নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ছি দর্শনশাস্ত্র নিয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখালেখির চেষ্টা করি, তা ফল হিসেবে কাব্যগ্রন্থ \"ভালোবাসা এবং অন্যান্য অশ্লীলতা\" বইমেলা \'১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে। একা থাকতে ভালোবাসি।

গালিব আফসারৗ

সাধারণ নৌকার অসাধারণ মাঝি

গালিব আফসারৗ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব টয়লেট দিবসে দেশীয় টুকিটাকি

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০



পায়খানা, টাট্টিখানা, প্রক্ষালন কক্ষ, টয়লেট, বাধরুম, শৌচাগার কিংবা হালজামানায় ওয়াশরুম যেটাই বলি না কেনো, এই টয়লেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অংশ। একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ বার টয়লেট ব্যবহার করে।

প্রাকৃতিক এই কর্মটি করতে আমাদের যেমন দরকার সেইফ একটি ক্ষেত্র তেমনই দরকার সচেতনতা। আর এই সেইফ ও সচেতনতার বিষয় মাথায় রেখে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন ২০০১ সালে সারাবিশ্বে টয়লেট ব্যবহার ও স্যানিটাইজেশন সম্পর্কে ক্যাম্পেইন শুরু করে।
এরপর থেকে প্রতিবছরের ১৯ শে নভেম্বর টয়লেট দিবস পালিত হয়ে আসছে।

একটা সময় বাংলাদেশের অঞ্চলগুলোতে অধিকাংশ বাড়ির কোণায় খোলা শৌচাগার দেখা যেত। খালের পাশে, পুকুরের কোণায় থাকতো মলত্যাগের স্থান কিংবা ফাঁকা যায়গা দেখে মানুষ বাধরুম করতে বসে যেত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।

সরকারি হিসাব বলছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থসম্মত টয়লেট ব্যবহার করছে।
কিন্তু বাস্তব হিসাবটা একটু ভিন্নই। বাংলাদেশের অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবী করে আসছে, এখনো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় স্যানিটেশন ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। মানুষ এখনো খোলা যায়গায় মলত্যাগ করছে, সচেতন হচ্ছেনা।

বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির সময় গ্রামের বাড়িতে চলে যাই। আমাদের বাড়ি প্রত্যন্ত অঞ্চলেই বলা চলে। বাড়ির পাশেই নদী, চর, কাশবন ও নদীর কূলের শষ্যক্ষেত। ইচ্ছে হয় বিকেলবেলা একটু নদীর কূল ধরে কিছুদূর হাটতে। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারিনা। মলমূত্রের দুর্গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে আসে। গ্রামের মানুষ এখনো টয়লেট ব্যবহারে অনেকটাই অনিচ্ছুক, তারা খোলা যায়গায় টাট্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যদিও অধিকাংশের বাড়িতে টয়লেটের ব্যবস্থা আছেই।

অর্যমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৩ সালের বাজেট বক্তৃতায় বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ পরিবারকে স্যানিটেশন ব্যবস্থায় আনা হয়েছে।
যদিও বাস্তব চিত্র আমরা ভিন্নই দেখি।

আওয়ামীলীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সকল মানুষের জন্য উন্নত স্যানিটেশন নিশ্চিত করার কথা বলেছিলো। কিন্তু তা তারা আজও করতে পারেনি। ঢাকা শহরের পাবলিক টয়লেটের পরিসংখ্যান ও অবস্থাদৃষ্টে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের প্রায় একশো কোটি মানুষ এখনো বনে-বাদাড়ে, খালে-বিলে, নদীর তীরে কিংবা রাস্তার পাশে মলমূত্র ত্যাগ করে চলছে। এবং বিশ্বের আড়াইশো কোটি মানুষের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই।
এর ফলে ইবোলার মত জটিল রোগ ছড়াচ্ছে। মলমূত্রের দ্বারা কলেরা, ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগ হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতেছে।

আজ বিশ্ব টয়লেট দিবস। আসুন, টয়লেট ব্যবহারে সচেতন হই ও এব্যপারে আমাদের আশেপাশের মানুষকে সচেতন করে তুলি। আমাদের গ্রামগুলো যেন এব্যপারে আরো সচেতন হয় সেজন্য সরকারি উদ্যোগ আরো জোরদার হোক সে কামনা।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

কালীদাস বলেছেন: কিছু মনে কৈরেন্না, এউকগা জিনিষ কই। এক শ্রেণীর মানুষ আছে ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলাতে, এগরে সোনা দিয়া বান্ধানি টয়লেট ফ্রিতে দিলেও রাস্তায় বা নদীর তীরে হাগামুতা না কৈরা তৃপ্তি পায় না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

গালিব আফসারৗ বলেছেন: হা হা হা, ঠিক বলেছেন। এরকম মানুষ গ্রামেগঞ্জে হামেশাই দেখা যায়।

পোস্টে কিন্তু বলেছি, কিছু মানুষ খোলা যায়গায় টাট্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

অনিক_আহমেদ বলেছেন: বিশ্ব টয়লেট দিবস নামক কোনো দিবসের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম। এই দিবসের কল্যানে মানুষ বনে-বাদাড়ে, খালে-বিলে, নদীর তীরে কিংবা রাস্তার পাশে মলমূত্র ত্যাগ করা থামাক এটাই প্রত্যাশা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

গালিব আফসারৗ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রত্যাশায় পূর্ণতা আসুক।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হা হা হা দারুণ লিখেছেন।।



লিখতে থাকুন।।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

গালিব আফসারৗ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়। আশা করি পাশে থাকবেন। ভালোবাসা নিরন্তর।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
লিখতে থাকুন ।। পাশে আছি ......


((আর আমার ব্লগে এক কাপ চা আ্ড্ডাতে সবার সাথে পরিচয় হোন এবং আ্ড্ডা দেন, এখানে অনেক ব্লগার আ্ডা দেন,ধন্যবাদ ))

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ধন্যবাদ, যাচ্ছি আমি

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আরে ভাই ! প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাকৃতিক কর্ম সারিতে যে মজা, পরিবেশবাদী মাত্রই উহা উপলব্ধি করিতে পারিবেন ! আফসোস। আমাদের দেশে পরিবেশবাদীর সংখ্যা কমিয়া যাইতেছে ! এবিষয়ে আমরা বড় ভাইদের চেয়ে পিছাইয়া আছি ! বিশ্ব টয়লেট দিবসে আমাদের দাবি , প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাকৃতিক কর্ম সারিবার অধিকার চাই , দিতে হইবে !!!!!!!!!! :D :P B-)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

গালিব আফসারৗ বলেছেন: হা হা হা, এ নিয়ে বিস্তর জনমত গড়ে তুলুন ভাই। আমাদের দাবী মানতে হবে।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
@কালীদাস
প্রাথমিক স্তরের টয়লেট সুবিধা নেই এরকম লোকের সংখ্যা ভারতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ভারতে এখনো ৭০ কোটি লোক প্রকাশ্য স্থানে বা অনিরাপদ টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করে -
তবে আমাদের দেশেপ্রকাশ্যে এ কাজ করা 'প্রায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত' হয়ে গেছে।
টয়লেট সম্পর্কে আরো কিছু তথ্যঃ
পৃথিবীতে ৬০ কোটি লোক অন্য পরিবারের সাথে টয়লেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে।
ভারতে ৩৫ কোটি নারীর জন্য কোনো নিরাপদ টয়লেট নেই।
ভারতে প্রকাশ্য স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধর্ষণের
শিকার হবার ঘটনাও ঘটেছে।
ইথিওপিয়ায় এ সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

গালিব আফসারৗ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়। আরো অনেক তথ্য জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.