নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ছি দর্শনশাস্ত্র নিয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখালেখির চেষ্টা করি, তা ফল হিসেবে কাব্যগ্রন্থ \"ভালোবাসা এবং অন্যান্য অশ্লীলতা\" বইমেলা \'১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে। একা থাকতে ভালোবাসি।

গালিব আফসারৗ

সাধারণ নৌকার অসাধারণ মাঝি

গালিব আফসারৗ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নাম সমাচার

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৪



-আমার নানুবাড়ির আত্মীয়রা আমাকে গালিব বলে ডাকতে পারেনা, গালেব বলে ডাকে। আমি যতোই বলি 'গালিব বলো, গালি-ব, গালেব না', ততোই ওরা ই কার না বলে আ কারে জোরে টান দেয়। এটা ওরা ইচ্ছা করেই ডাকে, নাকি এভাবেই ওদের উচ্চারণ হয় তা জানিনা।

-আমার ভার্সিটির বন্ধুরা অনেকেই আমাকে গালিব বলে ডাকে না। ছোটো করে "গালু" ডাকে। কেন ডাকে জানিনা, তবে উপভোগ করি ভালোই।
কে বা কোন বন্ধু এই গালু নামে প্রথম ডেকেছিলো জানিনা, তার কপালজুইড়া ফুলচন্দন পড়ুক।

-আবার কোন দুয়েকজন বান্ধবী আমারে এসব নামে ডাকেনা, তারা "ডালিম" বলে ডাকে আমায়।

-যখন হাইস্কুলে পড়তাম তখন এক টিচার যখনই আমাকে দেখতো তখন "আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাহেব" বলে লম্বা টান দিতো, এখনো এলাকায় গেলে উনি এভাবেই ডাকেন আমাকে। উনার ডাকার এই পদ্ধতিও উপভোগ করি আমি।

-একটু আধটু লেখালেখি করার চেষ্টা করি। লেখি "গালিব আফসারী" নামে। এই নামেরও একটা ছোটোখাটো ইতিহাস আছে। তো, আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী, সিনিয়র, বন্ধু, তারা আমাকে সরাসরি গালিব আফসারী নামেই ডেকে থাকে।

-আমার হাইস্কুলে কিছু বান্ধবী ছিলো, সারা জীবনেও যাদের ভুলতে পারবোনা। যখন আমরা একসাথে আড্ডা দিতাম কিংবা ক্লাস করতাম তখন ওরা আমার নাম ধরে ডাকতো না, "কি গো" বলে সম্বোধন করত। কি গো বলে সেঈ মধুর ডাকগুলো এখন অনেক বেশি মিস করি।

-আর আমার আছে এক দাদি, উনি একটু মানসিক প্রতিবন্ধী, যাকে আমরা পাগলী বলি। দাদি সেই ছোটোবেলা থেকেই আমাকে অনেক আদর করত, এখনো করে বাসায় গেলে। তো সেই দাদি আমাকে গালিব বলে ডাকতে পারতো না, মানে উচ্চারণই করতে পারতোনা। উনি বলতো "গালোই"। আমাদের বাড়িতে এসে উনি মাকে জিজ্ঞেস করত "আংগো গালোই কনে লো?" পাগলী দাদির সেই ভালোবাসা মাখানো মধুর গালোই ডাক খুব মিস করি এই ঢাকায় বসে। শুনলাম উনি নাকি খুবই অসুস্থ।

-আর, মা-বাবা আমাকে গালিব কিংবা, বাবা বলেই ডাকে। ছোটোবোনেরা ডাকে ভাইয়া বলে।

-যে যেই নামেই ডাকুক আমাকে, বিশ্বাস করি সেই ডাকগুলোতে ভালোবাসা আছে সীমাহীন, ভালোবাসি আমার তাদেরকে আর আমার অনেকগুলো নামকেও।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৭

পবন সরকার বলেছেন: আপনার নানু বাড়ি কি বরিশালে? বরিশালের লোকজন ই-কার উচ্চারণ করে না, যেমন-- দিতে হবে কে-- দেত্তে অইবে উচ্চারণ করে, বিশ্ববিদ্যালয়কে -- ব্যাশশো বিদ্যালয় উচ্চারণ করে। বইশশালে ব্যাশশো বিদ্যালয় দেত্তে অইবে দেত্তে অইবে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ব্যাশশো বিদ্যালয়, মজ পাইলাম :)

না পবন ভাই। আমার নানুবাড়ি লালমনিরহাটে, তবে তাদের পূর্বভিটা পাবনা বগুড়া অঞ্চলে।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: তো ডালিম ভাই আপনার সেই বান্ধবী রা এখন টাচে নেই?

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৮

গালিব আফসারৗ বলেছেন: টাচেই আছে :)

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ভাই ব্লগার গালিব,
গাল টিপে আদর করবে বড় ভাই তালিব

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৫

গালিব আফসারৗ বলেছেন: বাহ বাহ! টিপাটিপি আমার ভালোইলাগে অবশ্য :)

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪১

ওমেরা বলেছেন: আদর করে যে নামেই ডাকুক না কেন সেটা মধুর মতই মিষ্টি লাগে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৯

গালিব আফসারৗ বলেছেন: হুম। ভালোবাসার ডাক।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


কারো কারো নাম থাকে, কেউ কাউকে নাম দেয়
আবার কেউ একটা নাম না পেয়ে কাটিয়ে দেন বেনামী জীবন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.