নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ছি দর্শনশাস্ত্র নিয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখালেখির চেষ্টা করি, তা ফল হিসেবে কাব্যগ্রন্থ \"ভালোবাসা এবং অন্যান্য অশ্লীলতা\" বইমেলা \'১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে। একা থাকতে ভালোবাসি।

গালিব আফসারৗ

সাধারণ নৌকার অসাধারণ মাঝি

গালিব আফসারৗ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলিতেছে সার্কাস

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৭:০৬



★ জবির একজন শিক্ষক, মোস্তফা কামাল, ঢাবিতে মাস্টার্স রেজাল্টে ২য় শ্রেণীতে ৫১ তম স্থান অধিকার করেছিলেন। মোট শিক্ষার্থী ৯০ জনের মাঝে তার অবস্থান হয় ৭৯ তম।

★ অনার্স প্রথম বর্ষে তিনি দুটো কোর্সে ফেল করেন, পরে রিএড নিয়ে পাশ করেন।

★ যেখানে শিক্ষক হওয়ার কোন যোগ্যতাই তার নেই, সেখানে তিনি জবিতে সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান।

★ সহকারী অধ্যাপক হওয়ার জন্য শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা লাগে ৩ বছর, যেখানে তার ছিলো মাত্র দেড় বছর।

★ তিন বছর মেয়াদী পিএচডি ডিগ্রি তিনি শেষ করেন মাত্র দুই বছরে।

★ পিএচডি করতে গেলে ন্যূনতম ৫০% মার্কস লাগে, সেখানে তার ছিলো মাত্র ৪৬% মার্কস।

★ তার পিএচডিতে ভর্তির কোন যোগ্যতাই ছিলোনা, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিনি ভর্তি হন।

★ এরপরেও তিনি সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদোন্নতি পান।

★ এতসব সমস্যার পরও তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু একজন শিক্ষক নন, সহকারী প্রোক্টর পদেও নিয়োগ পান।

★ এতগুলো অভিযোগ থাকার পরেও জবি ভিসি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে আগের নিয়ম শিথিল করে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া মোস্তফা কামালকে প্রথমে শিক্ষক ও পরে সহকারী প্রোক্টর, তারও পরে পিএচডি ডিগ্রি প্রদান করে।

★ সংবাদ পত্রে প্রকাশঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জ্যোষ্ঠ শিক্ষক বলেন, একমাত্র ভিসি পরিবর্তন হলেই ভার্সিটিতে এমন অবৈধ পিএচডি প্রদান আর নিয়োগ বাতিল হবে।

© গালিব আফসারী।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শুনে স্তম্ভিত হলাম।

২| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

শামচুল হক বলেছেন: উনি এত কিছু কিভাবে পেল?

৩| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসব মূর্খরা শিক্ষক হলে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশাতো হবেই।

৪| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: এই সার্কাস কি আদৌ কোনো দিন শেষ হবে!

৫| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: অবিশ্বাস্য। ইহা আমি কি শুনিলাম? এটা কি সত্যি?

এতদিন শুনতাম প্রথম সারির কাউকে না নিলেও মোটামুটি একটা মান বজায় রাখা হয়। এতো দেখছি বাসের ড্রাইভার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেও হিমসিম খাবে।

জাতির সামনে সমূহ বিপদ। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হলে এই মেরুদণ্ড ভাঙে এখন মাটিতে শোয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধিক, এদের পৃষ্ঠপোষকদের।

৬| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অতিশয় উত্তম, ওনাকে দেখে মনে মনে ভরসা পেলুম। আমারও পড়ালেখার যা অবস্থা..... =p~

৭| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতা থাকলে এদেশে সব সম্ভব।

৮| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

মাহের ইসলাম বলেছেন:

বাহ, ভালোই তো !
ভালো না ?
লেখার হেডিং মানানসই হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.