নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ছি দর্শনশাস্ত্র নিয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখালেখির চেষ্টা করি, তা ফল হিসেবে কাব্যগ্রন্থ \"ভালোবাসা এবং অন্যান্য অশ্লীলতা\" বইমেলা \'১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে। একা থাকতে ভালোবাসি।

গালিব আফসারৗ

সাধারণ নৌকার অসাধারণ মাঝি

গালিব আফসারৗ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্য সম্পাদকেরা নতুনদের জন্য স্পেস রাখুন, সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫



বছর খানেক আগের কথা। এই দেশের মোটামুটি একজন সাহিত্যিকের সাথে পরিচয় হইলো আমার। বাজারে তার দশ বারোটা উপন্যাস আছে, কয়েকটা গল্পের বই, দুতিনটা কবিতার বইও বের হইছে। তো উনি আমারে বললেন, গালিব তুমি তো লেখালেখি করো, আমি একটা সাহিত্য পত্রিকা বাইর করবো, তুমি এখানে নিয়মিতভাবে লিখতে থাকো। হাত পাঁকা করো সাহিত্যের সাথে থাইকা।
আমি তো সেই খুশি হইলাম, সাহিত্য পত্রিকা থেইকা লেখার অফার, আমার জন্য বিরাট কিছু।

তো, উনি পত্রিকা বাইর করলেন। প্রথম সংখ্যায় "ঘোড়ার ডিম" নামে আমার একটা গল্প বাইর হইলো। তারপরের সংখ্যায়ই আমাকে রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি বানায়া দিলেন তিনি। আমি প্রতি সংখ্যাতেই লিখতে থাকলাম, গল্প লিখি, কবিতা লিখি। সম্পাদক সাহেব আমারে উৎসাহ দেন, লেখা তোমার দিন দিন ভালো হইতাছে, লিখতে থাকো বেশি বেশি।
উনার উৎসাহে আমার লেখায় গতি বাড়ে, খুশি হই আমি।

দিন যায়, পত্রিকাটা জনপ্রিয় হইতে থাকে, দেশের প্রতিথযশা লেখকেরা এই পত্রিকায় লিখতে থাকেন, বড় বড় লেখকদের লেখা ছাপা হয়, সাক্ষাৎকার বাইর হয়। তারমাঝেই আমার নামে কোন লেখাও বের হয়। আমি খুশি হই।

তারপর, সময় আসে। সম্পাদক সাহেব আমারে বলেন, গালিব, এখন থেকে দুইমাস পরে পরে তোমার লেখা ছাপা হইবো, প্রতিমাসে না।
- কেনো?
- বড় লেখকেরা লিখতেছেন পত্রিকায়। তাদের জন্য স্পেস ছেড়ে দিতে হইবো।
- কিন্তু ভাই, আমরা নতুন, আমাদের যদি সুযোগ বেশি দেন তাহলে আমরাও একদিন বড় হবো।
- তোমার নামে তো পত্রিকার কাটতি হইবো না। একজন বড়, পরিচিত লেখকের লেখা পত্রিকায় থাকলে পত্রিকার কাটতি বাড়ে। তাই, এখন থেকে দুই তিন মাস পরপর তোমার লেখা ছাপা হইবো।

বুঝলাম, পত্রিকার প্রতিষ্ঠায় আমার মতো ছোট মানুষদের লেখা উনার প্রয়োজন ছিলো। আমাদের মতো ছোট লেখকদের লেখা নিয়া পত্রিকা প্রতিষ্ঠা কইরা যখন পত্রিকাটা জনপ্রিয় হইলো তখন আর আমারে উনার প্রয়োজন নাই। কষ্ট পাইলাম।

সেই পত্রিকা এখন অনেক বড় হইছে। দেশের নামকরা লেখকেরা তাতে লিখে থাকে। অনেক নাম তার। কিন্তু আমি আর তাতে লিখিনা। সম্পাদক সাহেব সেদিন আবার লেখা চাইলো, কিন্তু দিইনাই আমি লেখা।
এখন আমি ভাবি, এই পত্রিকাটার প্রতিষ্ঠায় আমার হাত ছিলো। এটা ভেবেই সান্তনা নেই।

এখনকার সাহিত্য পত্রিকাগুলার আচরণ এমন যে, অপেক্ষাকৃত ছোটো লেখকদের, যারা লিখতে চায় তাদের সুযোগ না দিয়ে বড় লেখকদের জন্যই সব স্পেস রাখা হচ্ছে। যার জন্য তরুণেরা বড় হইতে পারেনা। এই সংস্কৃতি থেকে বের হওন দরকার, না হইলে সাহিত্য বড় হইব না।
.
© গালিব আফসারী।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিষয়‌টি এমনই। কোন সমাধান নেই। ডাক যো‌গে লেখা পাঠালে তারা খাম খু‌লেও দে‌খেন না।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

গালিব আফসারৗ বলেছেন: এইটা ঠিক না। বড়োরাও একদিন নতুন আছিলো।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: শুভ সকাল, প্রীশু নিয়েন।

সব জায়গায় স্বার্থপররা উৎ পেতে থাকে। তাদের স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে সে অনেক কিছু।

আপনার দেওয়া ছবিটাই এখানে কথা বলে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ওরা সাহিত্যটাকে স্বার্থের জন্য খাটায়।
ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

নীলপরি বলেছেন: হুম । এরকমটা হয় ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

কালো যাদুকর বলেছেন: শুধু মন্তব্য করার জন্য লগইন করলাম। লেখক সাহেব কি আর বলব,একই ঘটনা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে।তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কয়েকজন সিনিয়র ভায়ের অনুরোধে একটা র্ফাম করলাম। একবছরে দুইটি প্রজেক্ট শেষ করলাম। আমি নিজে ওই প্রজেক্টগুলার মেইন ডিজাইন করলাম। যার ফলে র্ফাম আরো অনেক প্রজেক্ট পেল। কয়েক জনের র্ফাম বড় হল, আরো স্পেস এব্ং লোক হায়ার হল। বেকলগ প্রজেক্ট কয়েক মিলিয়ন ডলারে উঠে গেল। তখন মালিকানা সেয়ার করার পরির্বতে সিনিয়র ভায়েরা আমাকে বের করে দিলেন( অবশ্যই শালিন ভাবে)। দুনিয়াটাই এরকম, ভাল/সরল মানুষের ভাত নাই।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

গালিব আফসারৗ বলেছেন: সবকিছু শালীনভাবেই করা হচ্ছে। আপনাকে দিয়ে সুযোগ নেবে বাট আপনার কোন সুযোগ থাকবেনা, এমনই হয় এখন।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০১

এ.এস বাশার বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো........ ভাই দুনিয়াটা এই রকমই... সরলের মরন বেশি.....

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে যারা সাহিত্য পাতা দেখে তারা খাতিরের লোক ছাড়া লেখা ছাপায় না।
আমি দেখেছি সাহ্যিতের পাতায় দায়িত্বরত ব্যক্তি সব সময় তার পরিচিত লোকদের লেখা ছাপায়। অন্যরা যেন লিখতেই পারে না।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাজীব ভাই। সাহিত্য সংশ্লিষ্টদের সাথে একটু মিশে এই ধারণা আরও পোক্ত হইছে আমার।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্য লেখকদের তুলনায়, আপনার লেখার মান কেমন ছিলো?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

গালিব আফসারৗ বলেছেন: আমার লেখার মান নিয়ে উনি একবছরকোন কথা বলেন নাই, বরং প্রশংসাই করেছেন। তাছাড়া নতুনদের কিছু সমস্যা তো থাকেই, সম্পাদক - সাহিত্যিকদের উচিত সেই সমস্যাগুলো ধরিয়ে দিয়ে তাদেরকে উঠিয়ে আনা। তা তো তারা করেইনা বরং সামান্য স্পেসও ছাড় দেয়না। পত্রিকার নামডাক বাড়াতে বড়দের পা চেটে সম্পাদকেরা পত্রিকার কাটতি বাড়ায়।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: হতাশ হবেন না। লেখা চালিয়ে যান। প্রতিভাকে ছাইচাপা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না।
তবে শিরোনামটা সঠিক। নতুনদের জন্য স্পেস রাখলে সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে
ভাল লিখেছেন। পোস্টে প্লাস + +।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

গালিব আফসারৗ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। ভালো থাকবেন।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের অবস্হা ভয়ংকর, বই মেলায় ৯০% বই'এর মান খুবই নীচু।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

গালিব আফসারৗ বলেছেন: বইমেলার বই আর সাহিত্যের মাঝে অনেক ফারাকআছে চাঁদগাজী ভাই। এখন দুলাইন কেউ লিখতে পারলেই ফটাফটনিজের টাকায় বই বাইর করে, প্রকাশনীগুলাকে কিছু টাকা দিলে তারাও যেমন তেমন বই ছাপায়া দেয়।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: লেখক অনেকেই তবে স্বার্থবাজ লেখকও কম নয়, আর ঘাত প্রতিঘাতে সংগ্রাম করেই টিকে থাকতে হয়, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১২

গালিব আফসারৗ বলেছেন: স্বার্ত্থবাজে সাহিত্য হয়না।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সময় উপযোগী লেখা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখার মান ভালো হলে পত্রিকায় ছাপা হওয়ার কথা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

গালিব আফসারৗ বলেছেন: লেখাটা আগাগোড়া আবার পড়েন।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

সিনথিয়া আফরিন বলেছেন: এভাবেই ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গালিব আফসারৗ রা একদিন জায়গা করে নিবে । যুগ যুগ ধরে এই অসমতা চলতেই থাকবে ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সত্যি কথা বলিতে কি একটামাত্র সাহিত্য পত্রিকার কথা জানি "কালি ও কলম " ! বাকিগুলোর কথা জানি না !

ছাত্র অবস্থায় কিছুদিন একটা প্রকাশনার সাথে কিছু কাজ করিয়াছিলাম ! তাহাতে দেখিতাম বেশিরভাগ সাহিত্যই আসলে কেজিদরে বিক্রয়যোগ্য ! নতুন লেখকদের জন্য ব্লগ চমৎকার মাধ্যম হইতে পারিত ! মাগার কপি পেস্টের জ্বালায় তাহাও কঠিন হইয়া পড়িয়াছিল ! এখন অবশ্য কপি করা যায় না। তবে লেখার মূল প্লট নকল হইয়া গেলে কিছু করার থাকে না।

নতুন লেখকদের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হইতে পারে ! সামুর নিজস্ব প্রকাশনা থাকিলে আরো ভালো হইতো ! সারা বছরের ভালো লেখা নিয়া সংকলন , উপন্যাস বাহির করা যাইতো !

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

গালিব আফসারৗ বলেছেন: ভালো প্রস্তাব দিয়াছেন আপনি। সামু কর্তৃপক্ষ বিষয়টা ভাবতে পারে।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


আপনি সত্যটি তুলে ধরেছেন; আমার সাথেও দেশের প্রথম সারির পত্রিকা এমন আচরণ করেছে; এদেশে শুধু নাম ধাম আর ভাব থাকলেই লেখকদের লেখা চলে; মানের হেরফের কোন ব্যাপার নয়; পত্রিকা নাম চায়, মান নয়।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

গালিব আফসারৗ বলেছেন: এজন্যই দেশের সাহিত্যের এই হাল।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



নিজেই পত্রিকা বের করুন! আমরা লিখব!

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট, সহমত আপনার সাথে। সুযোগ দেয়া উচিৎ নতুনদের, অনুপ্রাণিত করা উচিৎ।
ভালো লাগলো পড়ে।

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দেশের সম্পাদক-প্রকাশকদের একটা বড় অংশই সাহিত্য নিয়ে রমরমা বিজনেস করছেন। উনারদের কাছে পত্রিকার কাটতি বাড়ানো টাই ইম্পরট্যান্ট।

কাটতি বাড়বার সম্ভাবনা বেশি থাকলে হিরো আলমের ভুল বানানের লিখাও আনন্দের সাথে ছাপাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.