নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

মাহবু১৫৪

জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কঠিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

মাহবু১৫৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘর হতে বহু দূর পা ফেলিয়া

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

বিদেশে আসার পর থেকেই মনটা দেশে যাওয়ার জন্য আকুপাকু করতো। আর এই আকুপাকু ব্যপারটা আরো বেড়ে গিয়েছিল ২০১২ এর শেষ দিকে এবং ২০১৩ এর শুরুর দিকে। ভেবেছিলাম জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির দিকে যাবো। কিন্তু নানা রকম ঝামেলা আর ব্যস্থতায় সেটা হয় নি। অবশেষে ঠিক করলাম এপ্রিলের দিকে যাবো। এই সময় পিক সিজন না হওয়ায় টিকিটের দাম অনেক বেশি। যেই রুট গুলো আছে সব গুলোতেই টিকিটের দাম বাড়তি। তাই ভ্যানকুভার – চায়না – ঢাকা রুটই বেছে নিতে হল। (আমার ভ্যানকুভার যাওয়ার সেই অতি কষ্টকর ভ্রমণ কাহিনি না হয় অন্য আর একদিন বলবো।) টিকিটের দাম খানিকটা কম। তবে যে কষ্ট হবে তা অসহনীয়। কিন্তু দেশে যাচ্ছি মাত্র ১৮ দিনের জন্য। এত কম সময় নিয়ে কেন যাচ্ছি সেই কষ্টটা বুকেই জমিয়ে রাখতে হল।



৫ই এপ্রিল ভ্যানকুভার থেকে চায়নার গুয়াংজুর উদ্দ্যেশে রওনা হলাম যখন তখন ঘড়িতে স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১ টা (১৫ মিনিট দেরি)। ভ্রমণ দূরত্ব প্রায় ১৪ ঘন্টা। চায়না সাউদার্ণ এয়ারলাইনস এর সেবার মান ভাল এটা শুনেছিলাম। তাই এই পথে আসার ইচ্ছে ছিল। আর টিকিট প্রাইস কম হওয়ায় বেছে নিয়েছিলাম এটাই। খাওয়া দাওয়ার মান বেশ ভাল। তাই এসব নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় নি। তারপর ও কেন জানি মনে হচ্ছিল কি একটা যেন খাই নাই!! পরে মনে হল ভাত খাওয়া হয় নি। গত ২ দিন যাবত। :P



চায়নাতে পৌছানোর কথা ছিল ৬ই এপ্রিল বিকেল ৫ টায়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্লেন চায়নার গুয়াংজুতে না থেমে ৩০ মিনিটের দূরত্বে অন্য কোন এক প্রদেশে (কেউ সেই জায়গার নামটা বলতে পারলো না) যেয়ে থামালো। সেখানে প্লেনেই আমাদের বসে থাকতে হল প্রায় ২/৩ ঘন্টা। বিরক্তির চরম সীমা তখন অতিক্রম করছিলাম। X( অবশেষে আবহাওয়া খানিকটা ভাল হওয়ায় প্লেন ছাড়লো এবং গুয়াংজুতে যখন প্লেন এসে থামলো তখন ক্ষুদা এবং ক্লান্তি দুটোই এসে ভর করেছে আমাকে।



চায়নাতে আমাদের ১৫ ঘন্টা যাত্রা বিরতি। সেখানে আমাদের ফ্রী হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং খাওয়া ২ টাই দেয়া হবে। বিমানবনন্দরে নেমে চায়নার ইমিগ্রেশন ইনপেকশন কাউন্টারে গেলাম প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করতে। এখান থেকেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হবে হোটেলে। প্রায় আড়াই ঘন্টা অপেক্ষার পর হোটেল পেলাম আমরা। চায়নাতে যেয়ে যে ব্যপারটি লক্ষ্য করলাম তা হল গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় তরুণ তরুণীদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। কোন বয়ষ্ক লোককে দেখলাম না এসব জায়গায়। তাই হয়তো দক্ষতার বেশ ঘাটতি লক্ষ্য করলাম। যদিও এসব তরূণ তরুণীরা বেশ পরিশ্রমী।



সময় যেন দৌড়াচ্ছে আর এদিকে পেটের ক্ষুদা চরমভাবে বেড়ে চলেছে।:(( সাথে যোগ হয়েছে ক্লান্তি। আমাদের যেই হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল সেটা বিমানবন্দর থেকে বেশ দূরেই। হোটেলে রিসিপশন থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে রুমে চলে গেলাম সরাসরি। রিসিপশন থেকে বলা হলো আমাদের জন্য রাতে খাবার নেই। শুধু সকালের নাস্তা দেয়া হবে। শুনেই মেজাজ খারাপ হলো। যদিও হোটেলের ২য় তলায় একটা রেস্টুডেন্ট আছে। তবে রিসিপশনের সুন্দরী তরুণী জানালো এই রেস্টুডেন্টে খাওয়ার থেকে বাহিরে যেয়ে খাওয়া ভাল। কারণ এখানে দাম অনেক বেশি।



রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কিচ্ছুক্ষণ পর নেমে এলাম নিচে এবং যথারীতি খাবারের সন্ধান করে যাচ্ছিলাম। রেস্টুডেন্টেই প্রথমে ঢুকলাম। সুন্দরী ওয়েটাররা এসে ভীর করলো পাশে। তারা খাবারের অর্ডার নেয়ার জন্য তৈ্রি। কিন্তু সেই খাবারের ম্যেনুতে কোন দাম লেখা না থাকায় বুঝতে পারছিলাম না কোনটার দাম কত। ওয়েটাদর জিজ্ঞেস করতেই তারা কিছুই বুঝতে পারছিল না। আকারে ইঙ্গিতে, ছবি একে, লিখে কোনভাবেই বোঝাতে পারছিলাম না তাদেরকে। দামের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা ভাবে আমি ভাতের কথা বলছি। :-*:-* কি আজিব!!! পরে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বিষন্ন, ক্ষুদার্থ পেটে বিদায় নিলাম সেখান থেকে। শহরটা যেহেতু নতুন তাই ঠিক বুঝতে পারছিলাম কোন জায়গায় গেলে খাবার পেতে পারি। আশাপাশে কোথাও পেলাম না খাবারের দোকান! এখানে কেউ কি খায় না!! :-* অবশেষে হোটেলেই ফিরে আসতে হল।







ভ্যানকুভার থেকে দুটো ইন্সটান্ট নুডুলস কিনেছিলাম, যা হ্যান্ড লাগেজে ছিল। সেটা দিয়েই সেদিন রাতে খাবার খেয়েছিলাম এবং ক্ষুদা মিটিয়েছিলাম। সকালে উঠে নাস্তা দেয়ার কথা থাকলেও আমাদের গ্রুপের অনেকেই পায় নি। পরে অনেক চড়া দামে বিমানবন্দরের খাবার দোকান থেকে কিছু কিনে খেয়েছিলাম।

ঢাকা থেকে ফিরতি পথে আবার চায়না গুয়াংজুতে ট্রানসিট ব্রেক ছিল সাড়ে ২০ ঘন্টা। এখানেও একটা হোটেল দিয়েছিল এবং সকালের নাস্তা ছাড়া আর কোন খাবার দেয় নি তারা। দেশ থেকে কিছু খাবার হ্যান্ড লাগেজে নিয়ে এসেছিলাম যা রাতে খেয়েছিলাম।







পরের দিন সকালে নাস্তা খেতে যেয়ে রেস্টুডেন্টে যেয়ে টোকেন দেখানোর পর চাইনিজ ভাষায় কথা বলতে লাগলো ওয়েটারগুলো। কিছুই বুঝলাম না। সকালবেলা মেজাজ খারাপ করতে চাই না তাই বললাম ইংরেজীতে কথা বলতে। হাতের ইশারায় কিছু একটা বলছিল। পরে উপায় না দেখে রিসিপশনে যেয়ে জিজ্ঞেস করতেই ১৮ তলায় যেতে বললো। ওখানে আমাদের জন্য বুফে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পেট ভরে খেয়ে চলে গেলাম রুমে।



যা শিখলামঃ যেহেতু তাদের ইংরেজী জ্ঞান বেসম্ভব ভাল; তাই চাইনিজ ভাষা শেখা জরুরি বিশেষ করে যারা বিভিন্ন কাজে যান সেখানে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫০

রজনীগন্ধা বলেছেন: সেইরকম অভিজ্ঞতা :P

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

মাহবু১৫৪ বলেছেন: /:) /:)

২| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: B-) B-) নি হাউ মা

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

মাহবু১৫৪ বলেছেন: মানে কি?

৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

কালীদাস বলেছেন: জাপানীজদের কেউ কেউ ছাড়া, বোচা নাকওয়ালা প্রায় সব এশিয়ানেরই ইংলিশ ভয়াবহ (যারা পারে আরকি)।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: আসলেই। এদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলতে যেয়ে মাঝে মাঝে নিজেই ভুলে যাই কি বলবো! আবার মনে হয় ঠিক বলেছি তো!

৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০১

আরমিন বলেছেন: মাত্র ১৫ ঘন্টাতেই এই হাল! চায়নাতে লং টার্ম থাকতে হলে তো আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত ! =p~ =p~

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

মাহবু১৫৪ বলেছেন: হা হা হা

ঢাকা থেকে আসার পথে তো ২০ ঘন্টা ছিলাম।

আর লং টাইম থাকার কথা আমি চিন্তাই করতে পারছি না!

৫| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪১

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই যে কয়টা জাপানীদের দেখছি ইংরেজী ভয়াবহ..........

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৬

মাহবু১৫৪ বলেছেন: উফ! আর বইলেন না

৬| ৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৩

নোবিতা রিফু বলেছেন: 如何是你哥哥嗎? B-)) B-))

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

মাহবু১৫৪ বলেছেন: :-* :-*

মানে কি?

৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: cahines ra nijeder emn ekta obosthan kore nice j oder karo kace jete hobena borong onnora oder kace jabe......n tokhon oder vasa sikhe e jabe (!)

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছো

ওরা যতই নোংরা আর আক্কেলহীন হোক, কাজের ক্ষেত্রে ওরা অনেক এগিয়ে

৮| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

অনির্বাণ রায়। বলেছেন: আপনাকে বলেছিলাম মে বি , এই বার চায়নিজ ভাষা শিখার জন্য ভাষা ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হলাম B:-/ B:-/

নেক্সট টাইম বিপদে পড়লে আমারে ফুন দিয়েন , কনভার্সেশন এ হেল্প করমুনে B-)

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: হ ম ম, মনে হয় বলেছিলা চাইনিজ ভাষা শিখবা। খুব ভাল করেছো। এটা জরুরি।

৯| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৮

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: মানে হইলো কেমন আছেন

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: 我

১০| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১:১৮

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: :) :)

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৩

মাহবু১৫৪ বলেছেন: /:) /:)

১১| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ২:০৬

মামুন হতভাগা বলেছেন: বাহ :)

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৩

মাহবু১৫৪ বলেছেন: কেমন আছেন? বহুদিন পর দেখলাম আপনাকে

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:

ক্ষুধার রাজ্যে পৃধিবী গদ্যময় !

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪

মাহবু১৫৪ বলেছেন: সেটাই।

পেটে খাবার পরলে এইসব প্রেম ভালবাসা হাওয়ার মত উড়িয়ে দেয়া যায়! ;)

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

অদৃশ্য বলেছেন:





আপনার এই ভ্রমণের ঘটনাটা বেশ ভালো লাগলো... যদিও আপনি অনেক কষ্ক করলেন... সবকিছু চালানো যায় কোননাকোন ভাবে তবে ক্ষুধার সময়ে খাবার না পেলেই অবস্থা খারাপ..

আপনার ভ্রমণের আরো ঘটনা আশাকরি সামনে জানতে পারবো আপনার মাধ্যমে..

শুভকামনা...

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

মাহবু১৫৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যখন যে জিনিসটা না থাকে তখন সেটার কথাই বেশী করে মনে পড়ে। এত লম্বা লম্বা ট্রানজিটে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা পার করার পর খাওয়ার ব্যাপারটা বড় হয়ে দেখা দেয় অনেক সময় ! একবার আমার ভাই আর তার বন্ধু জার্মানিতে একটা এক্সিবেশন শেষে শুধুমাত্র ইতালিতে এসেছিলো আমার বাসায় ভাত খেতে, কারণ ওরা ৪ দিন ভাত না খেয়ে থেকে নাকি পাগল হয়ে যাচ্ছিলো !

ভাতের উপ্রে কোনও কথা নাই !

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ভাতের উপর কোন কথা নেই।

আমি ৫ দিন ভাত না খেয়ে ছিলাম।

১৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভাই, এরা সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে!! এমন কি অস্ট্রেলিয়াতেও মাঝে মাঝে মনে হয় আপনি ইংরেজী না জানলেও চলতে পারবেন, কিন্তু ম্যান্ডারিন না জানলে বহুত ভোগান্তি আছে :P :P :P :P এজন্য ঠিক করেছি যদি কখনো সুযোগ হয় কাজ চালানোর মত ম্যান্ডারিন শিখবো!

আপনার ভোগান্তি দেখে ভয় পেলাম। তবে এরকম হোটেল এবং খাবার দেবার কথা কিন্তু দেয়নি এরকম কাহিনী অবশ্য নতুন না। সব চালবাজী!!!

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: সেটাই। এদের ভাষা দেখছি এখন শিখতে হবে।

আর তাদের চালবাজী দেখেও আমাদের কিছু করার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.