নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার মত তেমন কোনো গুন নেই এমনকি কোনো কিছুতেই সেরা নই কিন্তু সব সময় সেরাদের আশে পাশে থেকে সব সময় শিখতে চাই...\n

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী)

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা মুসলমানরা কিভাবে এল মায়ানমার ২য় খন্ড(ব্রিটিশ< পাকিস্তান< বার্মা)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

রোহিঙ্গাদের ব্রিটিশ যুগ,, পাকিস্তান যুগ,, বার্মা যুগ
(২য় খন্ড)

এ কদিন ধরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু আর্টিকেল
পড়সি
রোহিঙ্গাদের আজকের অবস্থার জন্নে ব্রিটিশরাও কিন্তু দায়ী।

এক সময়ে ব্রিটিশ ইম্পেরিয়র এর শাসনে আসে আরকান ।
তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা করে :)
কিন্তু তার ভিতর রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না :(
এ ধরনের অনেক পেচগি করে গেছে ব্রিটিশ সাহেবেরা,,
তার,,, সুজোগের সঠিক ব্যাবহার করছে বার্মিজরা,,, :/
স্রেফ অস্বিকার করছে রোহিঙ্গাদের।

এখন আসি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বার্মিজদের অভিযোগ কি এতো??
একটা ইনফো দেই,,
মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গারা 'কালা' নামে পরিচিত। যাতে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা।
১৯৪৭ সালে পাক ভারত স্বাধীন হয়।
ঠিক বছর দেরেক আগে যখন নিশ্চিত হয়ে গেল যে ভারত স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্যে পাকিস্তান হবে,
,তখন রোহিঙ্গা নেতারা বার্মিজ মুসলিম লীগ গঠন করে,, মুহম্মদ আলী জিন্নার সাথে দেখা করে,,
আগ্রহ প্রকাশ করে #পূর্ব_পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার। ওদের ইচ্ছা ছিল #রাখাইন প্রদেশ বা এর #রোহিঙ্গা মুসলিম প্রধান এলাকাগুলি #পূর্ব_পাকিস্তানের অংশ হোক।
আফসুস!! :(
মোহাম্মদ আলী জিন্না বিষয়টিতে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি :(
ঘটনা এমন একটা সময়ের, যখন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের মতোই মায়ানমারেও তখন ব্রিটিশ কলোনি আর আমাদের মতোই মায়ানমারও তখন চলছে স্বাধীনতার প্রস্তুতি ।
#১৯৪৮ সনে ৪ জানুয়ারি
মায়ানমার স্বাধীন হয়,,তার পর থেকেই সামরিক শাসন আর মাঝে মাঝে গণতন্ত্র এইভাবে চলেছে :(
তো মায়ানমারের স্বাধীনের কয়েক বছর পরই রোহিঙ্গারা #বার্মিজ গভমেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। :D
দাবী কি ছিল?
আমরা মুসলিম, আমরা মায়ানমারের নাগরিকত্ব মানি না, আমরা রাখাইন প্রদেশ নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাই :)
রোহিঙ্গা মুজাহিদরা মংডু ও বুছিডংসহ বিভিন্ন জায়গায় সরকারী অফিস আদালতে হামলা করে, নন-মুসলিম লোকজনকে মারে।
একসময় মায়ানমারর বৌদ্ধ ভিক্ষুরা রেঙ্গুনে অনশন কর্মসূচীতেও নেমেছিল (১৯৫৪ সনের অনশন কর্মসূচীটা বেশ বড় ছিল)। কয়েক হাজার ভিক্ষু অনশন করছে। কেন?
ভাই এই রোহিঙ্গা মুজাহিদদের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচান।
মায়ানমারর সেনাবাহিনী যখন মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তখন নিরীহ রোহিঙ্গারাও অত্যাচারের শিকার হয়। এইভাবে চলতে থাকে বছরের পর বছর।
এইরকম একটা বড় জ্বেহাদি গ্রুপ গঠিত হয়েছিল জাফর কাওয়ালের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার পর পর। বেশ বড় সংগঠন ছিল জাফর কাওয়ালের। কয়েক বছর পরে ওরা যখন সারেন্ডার করে তখন সারেন্ডারকারীদের সংখ্যাই ছিল তিনশ নাকি চারশ।
সাল ১৯৬২।
জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান করে কক্ষমতায় আসে। সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়।
এই কাজটা সব দেশের সামরিক সরকারি করে,,,সংখ্যাগরিষ্ঠ দের ছোটদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয়,,,ফলে ওরা ওরাই ব্যাস্ত,,তাদের গদি নিরাপদ।
আমাদের সামরিক সরকারদের দেখেন,,,এরা সবাই একটা হিন্দু বিরোধী এর,,attitude show offff করে বেড়াইসেন।
মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসার পরে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার মোটেই কমেনি, বরং উল্টো যেন আরও বেড়ে গেছে। এখন লোকে অং সান সু চিকে নিন্দা করছে।
সম্প্রতি ১৯৮৩ বা ৮৪ সনে সেই আইন নতুন করে বানিয়েছে ওরা এইবার ওদের স্ট্যাটাস আরও খারাপ হয়েছে।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের বিয়ে করার অনুমতি নেই। নেই সন্তানদের নিবন্ধন। জনসংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ।
তবে আইনে আছে,,
চাইলে একজন রোহিঙ্গা নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারে,
কিন্তু তার জন্য তাকে ডকুমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করতে হবে ৬০ বছরের চেয়ে বেশী সময় ধরে সে মায়ানমারের বাসিন্দা।
বেপারটা প্রমাণ করা রোহিঙ্গাদের জন্যে অসম্ভব না হলেও অনেক কঠিন।
কিন্তু এই কঠিন কাজটা তারা যদি করতে পারে তাইলেও সে হবে 'ন্যাচারালাইজড' সিটিজেন :/
মায়ানমারের সিটিজেনশিপ ক্লাসিফিকেশনে যার অবস্থান নীচের দিকে :/

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ফারগুসন বলেছেন: রোহিংগারা ভাল মুসলিম, তাই তারা মুসলিম দেশ পাকিস্থানের সাথে থাকতে চেয়েছিল কিন্তু হারামজাদা জিন্নাহ এটা বোঝেনি।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

ফারগুসন বলেছেন: রোহিংগারা ভাল মুসলিম, তাই তারা মুসলিম দেশ পাকিস্থানের সাথে থাকতে চেয়েছিল কিন্তু হারামজাদা জিন্নাহ এটা বোঝেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.