নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার মত তেমন কোনো গুন নেই এমনকি কোনো কিছুতেই সেরা নই কিন্তু সব সময় সেরাদের আশে পাশে থেকে সব সময় শিখতে চাই...\n

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী)

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গজব শহরের দিনলিপি (৩)

১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪


৩)আমি বসে আছি বেতাল মোকারমের সামনে - গজব নগরের 'এক দেবতা' পূজারীদের জাতীয় উপাসনালয়। ধারণক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বের দশম।
আজ শুক্রবার। দেবতার কাছে পাপ মুক্তির জন্য লম্বা ভিক্ষা' চাওয়া হচ্ছে। পাশের দেশে এক দেবতা' পূজারীদের ওপর আক্রমণ করেছে 'হনুমান পূজারিরা'। সেখানে 'এক দেবতা'র সুপ্রাচীন মন্দির গুলোতেও ওড়ানো হয়েছে হনুমানের মুখাবয়ব আকা পতাকা। পাশের দেশের নিপিড়ীত পূজারিদের মুক্তির জন্য আজ প্রতিবারের থেকে একটু বিশেষ ভাবে কান্না কটি করে প্রধান পূজারী ভিক্ষা' অনুষ্ঠান সম্পন্ন করছেন।

আমি ঈশ্বর নামের উম্মাদ বৃদ্ধলোকটার উপর বিরক্ত!! এক মানব জাতীর জন্য এত ধর্মের প্রয়োজন কি?
আরেহ,একি ক্লাসের সব ছেলেমেয়েদের একই পাঠ্যবই হবে,নাকি আলাদা আলাদা ? তবে সবার আলাদা আলাদা আসমানী কিতাব কেন বাপ?
হয়ত মানুষের মস্তিষ্কেই ঈশ্বরের বসবাস!
হয়ত ঈশ্বরের আলাদা কোনো অস্তিত্বই নেই!

আমি সিদ্ধিতে লম্বা একটা টান দিলাম..

বড় একটা র্যালী বের হয়ছে.. শান্তির ধর্ম রক্ষার র্যালী। শান্তির ধর্ম রক্ষায় তারাও সড়কে তুলকালাম যানজট বাধিয়ে বসেছে! তাদের গলায় পাশের দেশের 'হনুমান' পূজারীদের শায়েস্তা করার আক্রোশ!!
অথচ রাতের আধারে যেদিন ওদের মন্দিরের নিচের
ভার বহনকারী মূল পিলার আর সাথের ১৫ ফুট লোড বেয়ারিং দেয়াল ভেঙে এক রাজার টুটকো অনুসারী, তার বিবির নামে কেনা মন্দির এর নিচের মারকেট কমপ্লেক্সের দোকান বড় করেছেন.. জাতীয় এই মন্দিরকে বুবিট্রাপ বানিয়ে ফেলেছেন... এরা তখন কিন্তু চুপ!

যারা নিজেদের জাতীয় মন্দির রক্ষা করতে পারেনা,,যাদের পুরুহিতরা শিশুকামী,বলাৎকার করে ছেলে শিশুদের কল্লাকেটে ধর ফেলে রাখে- দোষ পড়ে কল্লাকাটা' গুজবের, যারা তাদের ঈশ্বরের ঘরে ধর্ষন করে,পরীক্ষার হলে আগুন লাগিয়ে দেয় মেয়েদের গায়ে....সামান্য ফেইসবুক স্ট্যাটাসে মাত হয়ে শ’য়ে শ’য়ে মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়..

সেই পাপীরা কিভাবে তাদের 'এক দেবতা ধর্মকে' রক্ষা করবে তথাকথিত জাহেলদের থেকে? এমনিতেই ইদানিং মর্তলোকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আর কর্মক্ষমতা নিয়ে বেশ সন্দেহ প্রকাশ করা শুরু করেছে মর্তলোকের বেশির ভাগ মানুষ। এদের জন্য বাড়ছে তা আরো...
সেখানে ঈশ্বর বিশ্বাস বাড়াতে পাড়ে এক মাত্র গাজা'ই!! সুস্থ মাথায় এখানে বিশ্বাস রাখা দূরহ..অসম্ভব!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.