নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা কৌতূহলী যাত্রার নাম- স্রষ্টা, সৃষ্টি, উদ্দেশ্য এবং এই সব কিছুর সত্যতা কে ঘিরে... আর আমি সেই পথের একজন সাধারণ যাত্রী। নিজের জায়গা থেকে সব স্থান, কাল, পাত্রে আপন অস্তিত্বকে কল্পনা করতে ভালোবাসি আর সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাজ করে যাই...

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate )

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা তো অনেক হলো - এবার না হয় ভালোবাসার একটা থিউরি সম্পর্কে জেনে নিন। আপনার কাজে লাগতেও পারে :D

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

যেহেতু টুকটাক লেখার চেষ্টা করি, সেহেতু আজ দুনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ একই সাথে অসাধারণ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করবো , আর সেটা হলো ভালোবাসা- এর উৎস, কারণ, চলমান প্রক্রিয়া এবং পরিনতি , সম্পূর্ণই নিজের মতামতের ভিত্তিতে।

এখানে, আজকালকার ২ দিন এর এক্স থেকে নেক্সট টাইপ এর প্রেমের কথা বলবনা, বলব যাদের মাঝে এবং যেই সম্পর্কে ন্যুনতম ভালবাসার জ্ঞান আছে সেই সম্পর্কে।

আসলে ভালবাসার উৎপত্তি ২ টি বিষয় এর উপর নির্ভরশীল। এক, একাকিত্বের অসহায়ত্ব, দুই, অভ্যস্ততা। একটা নির্দিষ্ট বয়স এ এসে প্রত্যেকটি মানুষ ই নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ এর প্রতি অসহায় এবং মনোগত ভাবে নিজেকে একাকী মনে করে. এই একাকিত্বের অসহায়ত্ব থেকেই মানুষের মনে কোনো নির্দিষ্ট মানুষের প্রতি ভালো লাগার সৃষ্টি হয়, এই ভালো লাগা যদি উভয় দিকেই প্রকাশ এবং গ্রহণ করার মত সাহস এবং ইচ্ছার সংমিশ্রন এ আসে, তখন ই একটা ভালো লাগার সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভালবাসার সম্পর্কে পরিনত হয়। এই ক্ষেত্রে, প্রথম দেখার ভালবাসার কোনো অস্তিত্ব নেই, সেটা নিছক ভালো লাগা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে , এবং এই ব্যাপার টা প্রত্যেকের জীবনেই একাধিকবার ঘটতে পারে। অভ্যস্ততা ব্যতিত ভালবাসার অনুভুতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

এখন, একটি ভালবাসার সম্পর্ক কতটা দীর্ঘস্থায়ী এবং মধুর হবে তা নির্ভর করে দুটি মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া এবং আত্মত্যাগ এর মিলনের উপর। যদি সেই দুটি মানুষের মধ্যে এই দুটি বৈশিষ্টের কোনো একটিও অনুপস্থিত থাকে, তখন সেই সম্পর্কটি বেশিদিন মধুর আর দীর্ঘস্থায়ী হয়না। যার ফলে, এই ধরনের সম্পর্ক গুলো আর বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে পারেনা। আর যাদের সম্পর্কে এই দুটি বৈশিষ্ট বিদ্যমান থাকে তাদের সম্পর্কই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।

এখন, বিয়ের পরের ঘটনা যদি বিবেচনা করা হয়, সেক্ষেত্রে আমরা দেখি সম্পর্ক গুলো সামাজিক প্রয়োজনের জায়গায় এসে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়। বিয়ের পর ভালবাসার সম্পর্ক আজীবন বজায় থাকবে কিনা, এবং জীবনটা সুখময় কাটবে কিনা তা নির্ভর করে দুটি মানুষের জীবন এর প্রতি টি কাজে বৈচিত্রতার জ্ঞানের উপর। মানুষ আর যাই হোক, একঘেয়েমিতা পছন্দ করেনা। বিয়ের আগের ভালবাসা যত মধুর ই হোক না কেনো , তা যদি বিয়ের পর ও বজায় রাখতে হয় তবে উভয় এর ই জীবন এর প্রতিটা ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনার বৈশিষ্ট থাকা উচিত। যাদের মাঝে এই বৈশিষ্ট টি বিদ্যমান থাকে, তারা বুঝতে পারে কিভাবে একে অপরের প্রতি ভালবাসা আজীবন গভীরতর পর্যায়ে অনুভব করতে পারবে। আর যাদের মাঝে এই বৈশিষ্ট টি বিদ্যমান থাকে না, তাদের সম্পর্ক বিয়ের আগে যতই মধুর থাকুক এক সময় সেটি ধীরে ধীরে একঘেয়েমিতার কারণে ঠুনকো হয়ে পরে এবং ভেঙ্গে যায়. এমন ঘটনা কিন্তু আমাদের সকলের ই কম বেশি পরিচিত। তাই এভাবেই , একাকিত্বের অসহায়ত্ব, অভ্যস্ততা থেকে ভালোলাগা ভালবাসায় রূপান্তর, অত:পর, বোঝাপড়া, আত্মত্যাগ এর মাধ্যমে তা এগিয়ে চলা , বিয়ে পর্যন্ত গড়ানো এবং জীবন এর প্রতি ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা বজায় রেখে চলার বৈশিষ্ট বিদ্যমান থাকার উপর ই ভালবাসার উত্স, চলমান প্রক্রিয়া এবং তার সুন্দর পরিণতির ধারা বজায় থাকে। উপরোক্ত সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম ধারণা থাকতে পারে। কিন্তু, আমার মতে এই ই হলো ভালবাসার উপাখ্যান।

- মাহফুজ আলআমিন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.