নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা কৌতূহলী যাত্রার নাম- স্রষ্টা, সৃষ্টি, উদ্দেশ্য এবং এই সব কিছুর সত্যতা কে ঘিরে... আর আমি সেই পথের একজন সাধারণ যাত্রী। নিজের জায়গা থেকে সব স্থান, কাল, পাত্রে আপন অস্তিত্বকে কল্পনা করতে ভালোবাসি আর সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাজ করে যাই...

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate )

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ, হ্যা মানুষ, হুম মানুষ ই তো!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

মানুষ বড়ই অসহায় জীব, কখনো বড়ই বোকা প্রাণী, আবার সেই মানুষ ই যখন সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি!

মানুষ এর মাঝে অনেকেই জানেনা, এই পৃথিবীতে সে কেনো এসেছে? সে কেনো মানুষ, অন্য কোন প্রাণী নয়? সে কিসের জন্য অন্য সব সৃষ্টির চেয়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সে তার রুপ, ধন সম্পদ, প্রতিভা, ক্ষমতার অহংকার খুব সযত্নে মনে- মস্তিষ্কে লালন করে, অথচ এর কোন কিছুই তার ব্যাক্তিগত নিয়ন্ত্রানাধিন বিষয় নয়। সে এও পর্যন্ত জানে না, পর মুহূর্তে তার সাথে কোন দুর্ঘটনা ঘটবে কিনা, সে কোন বড় বিপদে পড়বে কিনা, এমনকি পর মুহূর্তে সে বাচবে কিনা মারা যাবে! সে জানে তার মৃত্যু অবিশ্যম্ভাবি, কিন্তু এমন ভাবে জীবন যাপন করে যেনো মৃত্যু বলতে কিছুই নেই! এক্সিডেন্টে যদি তার কোন একটা অঙ্গ অচল হয়ে যায়, তবে সে দিশেহারা হয়ে পড়ে, অর্থ সম্পদ হারিয়ে যদি নিঃস্ব হয়ে যায় তবে বিলাপ করতে থাকে, অথচ যতক্ষণ তার কাছে এই নেয়ামত গুলো ছিল, সে ফিরেও তাকায় নি কে তাকে এইসব নিয়ামতের প্রাচুর্যতা দান করেছেন, যা কোন ভাবেই মানুষের নিয়ন্ত্রণের আওতায় ছিল না! প্যারালাইসিস হলে সে নড়তে পারে না, রোগ হলে পছন্দের খাবার খেতে পারে না, এমনকি বৃদ্ধ হলে বাথরুম পর্যন্ত একা নিজে করতে পারে না, নিজের জন্ম মৃত্যু কিছুই তার আয়ত্তে নেই, শুধু যা আছে তা হল সুযোগ আর স্বেছা শক্তি- সে কোন পথ বেঁছে নেবে, কিভাবে সেই মহান কারিগর কে খুঁজবে, তাকে ধন্যবাদ, শুকরিয়া জানাবে, কোন উপায়ে সে নিজেকে সত্যের পথে অবিচল রাখবে! কিন্তু হায় আফসোস, যতক্ষণ না তার কোন ক্ষতি হচ্ছে, উপায়, সময় শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ সে আপন রুপ, জ্ঞান, অর্থ সম্পদ, ক্ষমতার মোহে ভুলেই যাচ্ছে এর কোন কিছুই তার নিয়ন্ত্রণে নেই, যেই কোন মুহূর্তেই হারাতে পারে, নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে! কতখানি অসহায় সে, তবুও যে তাকে এতো সুন্দর জীবন দিলেন, এতো নিয়ামত দিলেন, পশুপাখি না বানিয়ে মানুষ বানালেন, রুপ, সৌন্দর্য, ধন সম্পদ, প্রতিভা, ক্ষমতা থেকে শুরু করে যাকে যেভাবে চেয়েছেন দিয়েছেন, তারপরেও তার প্রতি কোন শুকরিয়া বোধ নেই, সে সেই মহান সত্তাকে খুঁজতে চায়না, জানতে চায়না, তিনি যেভাবে আমাদের সমস্ত ভালোর জন্য নিয়ম কানুন দিয়েছেন তা সে আলোচনা করতেই চায় না, বুঝতে চায়না, সে মনে করে জানলে বুঝলে তার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। সে পরিবর্তন বড় ভয় পায়! অথচ সেই মহান সত্তা কে ভয় পায় না, তার বিরুদ্ধাচরণ করেও সে দিব্যি হাসি খেলায় জীবন পার করে দেয় যতক্ষন না নিজেই নিজের ধ্বংসের সম্মুখীন হয়! যিনি এতো কিছু দিয়ে সাজালেন, পূর্ণতা দান করলেন, তার সব কিছু গৌণ হিসেবে বিবেচনা করে জাগতিক মোহের খেলায় সে নিখুত অভিনয়ের কতই না ব্যার্থ চেষ্টা করে যায়! অথচ কোন বিপদ, দুর্ঘটনা, মৃত্যু থেকে তাকে এই জাগতিক অভিনয়, আশাপাশের অভিনেতারা কোন ভাবেই উদ্ধার করতে পারেনা, যতক্ষণ না সেই মহান সত্তা চান। অক্সিজেন ছাড়া যার ২ মিনিট বাচা দুষ্কর, পানি ছাড়া যার ২ দিন বাচা দুষ্কর সেখানে প্রতি টা নিঃশ্বাস যে কতখানি মুল্যবান তা সে উপলব্ধি করতে পারে না, তার জন্য যথাযথ শুকরিয়া আদায়ের চেষ্টাও করেনা! মানুষ সত্যি ই বড় অসহায় জীব!!


পৃথিবীর মত বিশাল একটি গ্রহের কাছে সে একটি অনুবিক্ষনিক কণাও নয়, আর সেই পৃথিবী কিনা এতো বিশাল সৌরজগত এর অন্তর্গত, সেই সৌর জগত কিনা আবার মিল্কি উয়ের ক্ষুদ্র এক অংশ, আর এমন সৌর জগত যেখানে কোটি কোটি সৌর জগতের মাঝে একটা বালুকণাও না, সেই অতিকায়, অচিন্তনীয় সু নিয়ন্ত্রিত সৃষ্টির মাঝে তার অস্তিত্ব বলে যে কিছু আছে তাই বলার মত কিছু না, সেই জায়গা থেকে মানুষ কি করে নিজেকে নিয়ে এতো অহংবোধ এ ডুবে থাকে তা সত্যি ই হাস্যকর! দুই চার টা মানব লিখিত বই পড়ে সে মনে করে সৃষ্টির সব কিছু তার বোধ গম্য!! সে মনে করে এতো সুবিশাল, সু নিয়ন্ত্রিত সৃষ্টির কোন সৃষ্টিকর্তা নাকি নেই!! হা হা কতখানি হাস্যকর তাদের চিন্তাধারা! অথচ তারাই কিনা জ্ঞানের কথা বলে! কিছু মানুষ সত্যি ই বড় বোকা!

আশাপাশের এতশত প্রভাব এড়িয়ে, মিথ্যের মিথ্যে জয়জয়কার থেকে সত্য কে খুঁজে নিয়ে, অধিকাংশ ঘুমন্ত, অকৃতজ্ঞ মানুষের বিদ্বেষ এর বিপক্ষে গিয়ে, প্রতিনিয়ত নিজের কু প্রবৃত্তির আঘাত এর নিয়ন্ত্রণের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত নিজের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ চালিয়ে গিয়ে, সারা পৃথিবীর হাসি ঠাট্টা, বিদ্রুপ এর উপেক্ষা করে, অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে গিয়ে যেই গুটিকয়েক মানুষ নিজেদের কে সেই মহান সত্তার ভালোবাসায় নিমজ্জিত করতে পারে, যারা জাগতিক শত ব্যাস্ততার ভিড়েও নিজের জীবনের প্রকৃত সত্য খুঁজে নিয়ে, আমরণ তার ই পালন, প্রচার, এবং প্রতিনিয়ত ঘুমন্ত মানুষের জাগরণের জন্য কাজ করে যায়, যারা একমাত্র সব কিছুর জন্য সেই মহান সত্তার উপর ই বিশ্বাস এবং নির্ভর করে একমাত্র তাদের জন্য ই মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যেখানে স্ব ইচ্ছা থাকার পরেও মানুষ ফেরেশতাদের পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়, মানুষ হিসেবে জন্মালেই, সমাজ এর অন্ধ অনুকরণ করলেই, নিজের জীবন কে অন্যান্য পশুপাখির মত পাড় করে দিলেই, রুপ, জ্ঞান, সম্পদ এর অহংকারে বুদ হয়ে থাকলেই মানুষ হওয়া যায় না, প্রকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হওয়া যায়না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভাবনায় কোন লজিক নেই, হ জ ব র ল

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate ) বলেছেন: প্রেক্ষাপট একটা বিষয়, জানেন তো? এখানে লজিকাল আর্গুমেন্ট নিয়ে কিছু বলিনি, ফিলোসফিকালি, বেসিক কিছু জায়গা থেকে আলোচনা করেছি, আপনি আমার লেখার প্রেক্ষাপট নিজের মত করে চিন্তা করতে গিয়ে গোলমাল লাগিয়ে ফেলেছেন, বোঝাই যাচ্ছে!

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.