নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা কৌতূহলী যাত্রার নাম- স্রষ্টা, সৃষ্টি, উদ্দেশ্য এবং এই সব কিছুর সত্যতা কে ঘিরে... আর আমি সেই পথের একজন সাধারণ যাত্রী। নিজের জায়গা থেকে সব স্থান, কাল, পাত্রে আপন অস্তিত্বকে কল্পনা করতে ভালোবাসি আর সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাজ করে যাই...

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate )

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

#মা যখন খুনি-#সমাজ যখন জ্ঞানী- #আমরা যখন বিনোদনী---

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

#মা যখন খুনি-#সমাজ যখন জ্ঞানী- #আমরা যখন বিনোদনী---

নৈতিকতার কথা বললে আজকাল সবার কাছে তা হাস্যকর মনে হয়, ধর্মের বালাই তো দূরেই থাক! জাতি হিসেবে আমরা এতোই বিনোদনপ্রবণ যে খেলাধুলা, রাজনীতি থেকে শুরু করে ধর্মীয় বা নৈতিক শিক্ষা সব ই আমাদের কাছে বিনোদন এর উৎসে পরিণত হয়েছে! অনুকরণের জোয়ারে হুজুগে জাতি হিসেবে আমাদের সুনাম ও কম নয়।
সাম্প্রতিক অবস্থা থেকে সবাই কম বেশি জানেন, এক মা কর্তৃক তার দুই ছেলে মেয়েকে হত্যার হতবাক করা ঘটনা! অথবা অতীতের ঐশীর বিপরীতমুখী কর্মকান্ড যাই বলুন না কেনো!

আমরা বিনোদন এ এতোই মজে গিয়েছি যে মস্তিষ্কের সুস্থ স্বাভাবিক ব্যবহার পর্যন্ত করতে প্রস্তুত নই! আপনার কি মনে হয় উপরের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? কখনো কি ভেবে দেখেছেন এইসব ঘটনার পেছনের সত্য টা কি? মস্তিষ্ক যখন একটা পেয়েছি তখন তার এতটুকু সদ্ব্যবহার তো থাকা চাই, তাই নয় কি?

ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে পরকিয়ার মত অতি প্রচলিত একটি সামাজিক ব্যাধির নাম! মানুষ পরকিয়া কেনো করে? কখন করে? সমাজে যখন বিয়ে কে কঠিন এক প্রথায় পরিণত করা হয়, প্রেম ভালোবাসার নামে অবৈধ সকল সম্পর্ককে যখন আদর্শের মাপকাঠি তে রূপান্তরিত করা হয় তখন প্রেমের নামে যা খুশি তা করে পৈশাচিক আনন্দ পাবার যে এক অভ্যাস নারী পুরুষের মাঝে গড়ে উঠে তা কি প্রয়োজনীয় সময়ের পরে সামাজিকতা রক্ষার্থে বিয়ের মাধ্যমে কারো চরিত্রের আমূল পরিবর্তন এনে তাকে সতি-সৎ বানিয়ে দেয় ভেবেছেন? না এতো সহজ নয় ব্যাপারটি। তার উপরে রয়েছে মিডিয়ার চরম রঙ্গিন প্রভাব। একজন সিরিয়াল নাটকের ডিরেক্টরকে নাটকের টুইস্ট ধরে রাখার জন্য পরকিয়ার মত অতি লোভনীয় নিষিদ্ধ আকর্ষণ ব্যবহার করতে হয়, সেটা তার বাণিজ্যের জায়গা বটে! কিন্তু বিনোদন নিতে গিয়ে এইসকল সিরিয়াল বা যে কোন নাটক সিনেমার দর্শকেরা যখন, এই এক বিশ্বাসে উদ্বুদ্ধ হতে থাকে যে- যদিও অবৈধ, তবুও প্রেম তো প্রেম ই, আহা এ এক স্বর্গীয় অনুভব, ইতিবাচক ভাবতে দোষ কোথায়! এভাবে যখন প্রেম এর নাম দিয়ে পরকিয়া ব্যাপারটিকে আদর্শিক রুপ দেয়ার চেষ্টা চলতে থাকে তখন দর্শকেরা তা গিলে খেয়ে পরিপূর্ণরুপে হজম করতেও প্রস্তুত হয়ে পড়েন। হজম তো করে ফেললেন, কিন্তু তার নির্গমন প্রক্রিয়া যে কতটা ধ্বংসাত্মক, তা নাটক, সিনেমা আপনাকে কখনো দেখাবেনা।
এবার আসি ধর্ম বা নৈতিকতার প্রভাব এই ক্ষেত্রে কেমন, সেই প্রসঙ্গে (যদিও অধিকাংশ মানুষেরই তা ভালো লাগার কথা না, ম্যান সব জায়গায় ধর্ম কেন!) ! আচ্ছা বলুন তো, কোন সে বিষয়টি মানুষ কে অন্যায় বা ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে মূলত বিরত রাখে? পরিবার, সমাজ, আইন? না এর কোনটাই প্রকৃতপক্ষে মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে, বা পাপাচারমূলক মানসিকতা থেকে বিরত রাখতে পারে না। একমাত্র ধর্মই মানুষকে যাবতীয় পাপ, অন্যায়, অবিচার থেকে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজে যখন ইসলাম এর শিক্ষা, চিন্তা, বিশ্লেষণ, প্রয়োগ এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস, ভয়, ভালোবাসা উঠে যায়, তখন সেই সমাজের মানুষগুলোর মন খুশি মত প্রবৃত্তির পুজা করতে, অন্যায় করতে আর কোন বাঁধা থাকে না! আইনের কথা তো বাদ ই দেন! ওটা শুধু মুখের কথাই! এই অবস্থায়, যখন কোন কিছুই অবৈধ মনে হয়না তখন কারো কাছে অন্যায় বলতে কিছু নেই, সব ই বৈধ যতক্ষণ নিজের মনের কালিমা তাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়!

ঠিক এইসকল কারণেই, যখন পরিবার এ ধর্মের শিক্ষা নেই, সমাজে এর সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ নেই, জীবনে মিডিয়ার আধিপত্য, সিরিয়াল এর নায়ক নায়িকারা যখন আদর্শ তখন আপনি পরকিয়া কেনো, খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে কোন পাপাচারেই আর মন থেকে বাঁধা আসে না! তখন কেউ নিজের সন্তান কে হত্যা করুক, অথবা সন্তান নিজের বাবা মাকে, তাতে অবাক হবার কিছু নেই, সত্যি ই কিছু নেই!

সবচেয়ে বেশি আফসোস লাগে এই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে। তাদের জীবন যে শুধু মিডিয়া, ডাকফেস সেলফি, ক্রিকেট, আর “ উফ, জানিস ও না কত দুষ্টু, কি কি যে করে না” প্রেম নামের খেলাধুলা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ! মেয়েদের কথা ভাবলে তো আরো কষ্ট লাগে- এই মেয়েরাই পরবর্তী জেনারেশন এর মা হবে। তারা কি ই বা শিখাবে নিজের ছেলেমেয়েদের, ভাবতেও শিউরে উঠি!

তবে এই সকল সমস্যার সমাধান কি? পুরো আলোচনা পড়েও যদি এইটুকু আমরা না বুঝি তবে আর কিছু বলার নেই। পৃথিবীতে সবচেয়ে আপন সম্পর্কগুলো পারিবারিক সম্পর্ক। কিন্তু আজ সেই পরিবার ই আমাদের মৃত্যুর কারণ- মা ( সবচেয়ে মধুর শব্দ ছিল এককালে) নিজের ছেলে মেয়েকে খুন, মেয়ে তার বাবা মাকে খুন, ভাই ভাইকে খুন এইসব কত সাধারণ বিষয় ই না হয়ে দাঁড়াচ্ছে!

নীতিকথা, ধর্মের কথা ভালো লাগে না আমাদের অনেকেরই! আপনিও মা হবেন, আপনিও বাবা হবেন, পরকিয়া আমাদের মাঝেই কারো না কারো মাঝে চলতে থাকবে। আমাদের কারো ছেলে মেয়েই হয়তো বা ইয়াবাখোর এ পরিণত হবে। আসুন প্রগতিশীলতার বালাই দিয়ে আমরা সকলেই ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বিরত রাখি, নিজেরাও সেক্যুলার হতে শিখি, দিন শেষে নিজের মনের পৈশাচিক সাধ মেটাতে না হয়, নিজের ছেলেমেয়েদের খুন করি, অথবা নিজের ছেলেমেয়েদের হাতে খুন হই! কি আসে যায়, একটাই তো জীবন, খাও দাও ফুর্তি করো, মরো! সৃষ্টিকর্তার দোহাই দিয়ে জীবন উপভোগ বন্ধ রাখবো নাকি!! ওহ ভালো কথা, সৃষ্টিকর্তাকে তো আজ অবধি চেনাই হয়নি, হয়েছে?!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০১

বিজন রয় বলেছেন: #মা যখন খুনি-#সমাজ যখন জ্ঞানী- #আমরা যখন বিনোদনী---

আর কিছু বলার নেই।
+++++

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate ) বলেছেন: এই তো অনেক !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.