নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিকৃত মানবসন্তানদের আবাসন

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩


"তোমাকে ছেড়ে আমি কোনোদিন যাবো না"

"তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব"

সংলাপগুলো প্রেমের তবে বর্তমান সময়ের নয়, বিলুপ্ত প্রায় প্রাচীন প্রেমের সংলাপ। :D

এখন উভয় পক্ষই জানে যে " সময়ের পরিবর্তন কিংবা কঠিন পরিস্থিতির আবির্ভাবে এই তোমাকে ছেড়ে যেতে হতে পারে"।

এখন উভয়েই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখে যে, "স্বার্থের প্রলোভনে কিংবা জীবনের প্রয়োজনে তোমাকে ছাড়াও বেঁচে থাকতে হবে। "

তবে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ নিয়েই সবকিছু। স্বার্থহীন ভালোবাসা হয়তো বিরল কিন্তু আছে। জগতের সবাই তো আর অকৃজ্ঞ কিংবা অনুভূতিহীন নয়। কিন্তু সময় আর পরিস্থিতি যে মানবসমাজকে এক প্রকার পুতুল বানিয়ে নাচায় তাতে সন্দেহ নেই। সময় এবং পরিস্থিতির কাছে প্রতিজ্ঞা- প্রতিশ্রুতি, স্বপ্ন অনেক সময় মুখ থুবড়ে পড়ে।

যাই হোক প্রেম দিয়ে শুরু করেছি প্রেম দিয়েই শেষ করি। বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ব্যপকহারে বেড়ে চলেছে। কেন? বিচ্ছেদ হচ্ছে আবার প্রেমের বিয়েতেই বেশী।

কিন্তু কেন?

আগেকার দিনে একটি প্রেমকে পরিণতি দিতে অর্থাৎ বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট, ত্যাগ তিথিক্ষার প্রয়োজন হতো। যাদের কেউ খুব সৌভাগ্যবান তারাই প্রেম করে বিয়ে করতে পেরেছে।

বর্তমান সময়ে প্রেমের বিয়ে মোটামুটি স্বীকৃত। অভিভাবকরা আগেই আশা করেন যে, সন্তানেরা পছন্দ করেই বিয়ে করুক অযথা কোনো বিয়েটিয়ে চাপয়ে দিলে হয়তো তার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবে, মানসিক অশান্তিতে থাকবে, অসুখী সংসার হবে ইত্যাদি। অথচ অতিরিক্ত উদারতা এবং স্বাধীনতাই যে সন্তান দের ধংস করছে তাতে এতটুকুও বিচলিত নন কেউ। আগেকার সেই অনুগত, সুবোধ, বাধ্য সন্তানদের খুব হাহাকার আজ যাদের গায়ে হাত তোলা যেতো, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া যেতো ও রাখা যেতো কঠিন নজরদারি কিংবা শাসনে। বর্তমান যুগ তো আধুনিক যুগ। আধুনিকতার গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসমান সবাই। শিশু অধিকার, নারী অধিকার শত অধিকারের গ্যাঁড়াকলে শাসন কিংবা মারা তো দূর জোরে ধমক দিলেও সরির বন্যা বইয়ে দিতে হয়।

আমরা আধুনিক যুগের স্বাধীন সন্তান কিংবা নাগরিকগণ তাই বিশাল প্রশস্ত মনের অধিকারী হয়ে, পরিবারের অনুশাসন কিংবা বন্ধন সম্পর্কে না জেনে না প্রেম করছি, ব্রেকাপ করছি, বিয়ে করছি,বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছি। কারণ আমরা স্বাধীন, আমরা আধুনিক, আমরা অধিকার সচেতন।

"স্বাধীনতার অপব্যাখ্যা, অবমূল্যায়ন, আইনকানুনের অপপ্রয়োগ, অপসংস্কৃতির অনুকরণ, সমাজব্যবস্থার নড়বড়ে কাঠামো ইত্যাদির সমন্বয়ে চতুর্দিকে তাকালে মনে হয় প্রকৃত মানুষের স্থলে এ যেনো একেকজন কঠিন জীবাণুতে আক্রান্ত বিকৃত মানবস্তানদের আবাসন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

আটলান্টিক বলেছেন: সব পশ্চিমাদের দোষ :) :) :)
দেখা গেছে দেশের অধঃপতন শুরু হয়েছে টেলিভিশন আসার পরে।এখন বুঝেন কি অবস্থা

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

মাহফুজ বলেছেন: টিভিগুলো আবার পশ্চিমে হস্তান্তর শুরু করবো নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.