নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাভাষা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৯

আমরা ভাষার জন্য অকাতরে রক্ত বিলয়ে দিয়েছি, দিয়েছি তরতাজা প্রাণ উৎসর্গ করে। যে ভাষার জন্য রক্ত দিলাম, জীবন দিলাম সে ভাষা আমার মায়ের মুখের বুলি বাংলা ভাষা। অথচ বাংলা ভাষা অর্জনের দিনটাকে আমরা উদযাপন করি ইংরেজি মাস, ইংরেজি তারিখ অনুসারে। মানলাম আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ইংরেজি তারিখ আবশ্যক কিন্তু স্বীকৃতি তো পরে এসেছিলো।

আমরা শিশুদের ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করিয়ে দিয়ে বাংলা বললে ধমক দেই, প্রয়োজনে মারিও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কড়া নির্দেশ "নো বাংলা, নো বাংলা"।

বাংলাটাও আজ ভয়ে তটস্থ, আপনগৃহে পরবাসীর হয়ে কেমন যেন বিকৃত, অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় গুটিসুটি মেরে আছে।

বাংলায় দরখাস্ত লিখে দিলে স্কুল কলেজ, ভার্সিটি, অফিস,আদালতের অনেক বড়কর্তা ক্ষেপে উঠেন। অপমানিত করেন বাংলায় লিখার শাস্তিস্বরূপ।
বছরের ১১ টা মাস ভুলে থেকে একটি মাস, না না একটিমাত্র দিন আমরা বাংলা নিয়ে ব্যস্ত হই, উল্লাসে মেতে উঠি, শহীদ মিনারকে ফুলের পাহাড় বানাই। শুনেছি মানুষের আত্মা মৃত্যুর পরেও থেকে যায় বিশেষ করে অপমৃত্যু হওয়া মানুষের আত্মা। সালাম, রফিক, বরকত, জব্বাররা কি দেখতে পাচ্ছে সব, দেখতে পাচ্ছে কি বাংলা ভাষার এমন করুণ দশা? যদি দেখে তাহলে নিশ্চই খুব অভিমান হয় তাদের। চোখের সামনে হয়তো ভেসে উঠে গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত নিজেদের ঝাঝরা দেহ মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার করুণ দৃশ্যটি।
তাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলাম কি এমন বাংলাভাষার জন্য?

কেউ বাংলা বললে ক্ষেত বলে, কেউ বলে গ্রাম্য আনকালচার্ড। তাই এখন বাংলা ইংরেজি মিশ্রিত ভাষা হচ্ছে স্মার্টনেস, আধুনিকতা, আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ। এভাবেই রক্ত দিয়ে আনা আমার বাংলা ভাষার পথচলা। আন্দোলন করে অর্জিত ভাষা এখনো যেন আরো মুক্তির যুদ্ধে মেতে থাকা সারাক্ষণ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৯

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: সহমত পোষণ করছি ।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহফুজ ,




একই বিষয়ের চর্বিত চর্বন সব সময় ভালো লাগেনা ।
আমরা নিজেরাই বা সবখানে বাংলা বলিনে কেন ? অসুবিধেটা কোথায় ?

এর পরেও বলি - ভাষার প্রতি দরদ নিজের ভেতর থেকে আসতে হবে । অন্যের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই ।


৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এমন জিনিস কি আছে হেথায়, না চাইতে সবাই পায় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.