নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনিমেষ আবার আলোয় আসো...

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮



অনিমেষ, জানতে চাইবোনা কেমন আছো? কারণ জানি প্রশ্নটা বড্ড অপছন্দের তোমার।
কেউ না জানলেও আমি জানি নিজেকে এখন অন্ধকারে বন্দি করে রাখো তুমি যে অন্ধকারের প্রতিটা কণা তোমারই সৃষ্টি। আলোর তো অভাব ছিলনা অনিমেষ, কিন্তু তোমার বড্ড অবহেলা আর অযত্নে আলোরা তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে। যে আলোরা আহ্লাদ করে গুটিগুটি পায়ে সারাক্ষণ তোমার কাছে ঘেঁষে থাকতে চাইতো। তারা অনেক কষ্টে তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে অনিমেষ।

কিসের অভাব ছিলো তোমার? মায়ামমতা, ভালোবাসা, সাহায্য,সহযোগিতা প্রয়োজনের চাইতে বেশী পেয়েও তুমি আজ জীবনের পথে মুখ থুবড়ে পড়ে আছো। কষ্ট হয়, সত্যি অনিমেষ ভীষণ কষ্ট হয় তোমার সেই তারুন্যে ভরপুর তেজোদৃপ্ত গভীর চোখের কথা মনে হলে। তোমার সেই খুব ক্ষীণ কিন্তু মুগ্ধ করে দেয়া হাসির কথা মনে পড়লেই হাহাকার শুরু হয় হৃদয়ে। জীবনে একটিবার মাত্র একটিক বার সে হাসিটুকু যদি আবার তোমার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে পারতাম তাহলে অতৃপ্তির পরিমাণ হয়তো অনেকটাই হালকা হয়ে যেতো।

অনিমেষ আমি জানি তুমি অভিযোগ করবেনা কারো প্রতি কিন্তু অভিমানের পাহাড় ঠিকই বুকে চেপে রেখেছো, বিশাল সে পাহাড়।

কেউ না দেখলেও আমি দেখেছি তোমার চোখের জল। খুব অল্প ক'ফুটা জল কিন্তু সেই কয়েক ফুটা আসে তোমার কষ্ট পাহাড়ের একদম চূড়া থেকে। যারা সহজেই কেঁদে ফেলে গলগল করে জল ঝরিয়ে তাদের কষ্টের যন্ত্রণাটা খুব একটা অসহনীয় না কিন্তু তুমি তো কাঁদতে পারনা অনিমেষ। তোমার চোখের জলগুলো কষ্ট পাহাড়ের চূড়া থেকে বেয়ে নামতে নামতেই শুকিয়ে যায় আর তুমি চোখের জলের তৃষ্ণায় ছটফট করতে থাকো।


অনেক কথা বলে ফেললাম অনিমেষ। শেষ করি এবার, শেষ কথাটা বলে। অনিমেষ আমি ভালো নেই, ভালো কোনোদিন থাকতে পারবোও না। আমাকে ক্ষমা করতে বলবোনা আমি কারণ সে যোগ্যতা আমার নেই। শুধু জেনে রেখো, আমি আসলে তোমার খামখেয়ালিপনায় ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আর ভয় পেয়েই জীবনের সবচাইতে বড় পাপটুকু করে ফেলেছিলা। ভয় পেতাম। অনিমেষ পারলে জীবনের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসো। অন্ধকারে অনিমেষ অভিমান নিয়ে ঘুপটি মেরে বসে আছে ভাবতেই খুব কষ্ট হয় আমার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: কে এই অনিমেষ?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১২

মাহফুজ বলেছেন: প্রশ্নটা কঠিন

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর চিঠি।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৩

মাহফুজ বলেছেন: সাহিত্যচর্চায় সুন্দর বাস্তবতায় নির্মম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.