নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোলবালিশ ১৮-

২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৭



কোলবালিশ ১৮-(আঠারো মাইনাস) ;)

আজ থেকে ৪ বছর আগে বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে লিখেছিলাম গল্পটা। গল্পটি আজ জীবনের ক্ষতবিক্ষত এক স্মৃতি মাত্র। গল্পগুলোর চরিত্রের বর্তমান পরিণতি জানা আছে কিন্তু কোলবালিশটা কেমন আছে, কোথায় আছে জানিনা? :(

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই কোলবালিশ কিন্তু সেই কোলবালিশ না। :D কমেন্টে পুরাতন লেখার লিংক দিলাম।



একটি কোলবালিশের গল্প....
অনবরত কেদে চলেছে আফসানা। প্রায় আধাঘন্টা ধরে সিফাত মোবাইলে আফসানার কান্না আর বকাঝকা হজম করছে।
-তুমি কি কখনোই সিরিয়াস হবেনা?
-আমি কি তোমাকে বেসিরিয়াস ভাবে ভালোবাসি বলতে চাও?
-তাহলে এইসব উদ্ভট কান্ড করো কেন?
-কি এমন করলাম?
-জানোনা কি করেছ? কি বিপদেই না ফেলেছ আমাকে! কোলবালিশ কেউ কাউকে উপহার দেয়‚ শুনেছো কোনদিন?
-আনকমন কিছু খোঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ দেখলাম এক দোকানে কোলবালিশ। ব্যাস কিনে ফেললাম।
-জানো আমাকে কত কষ্টে এই কোলবালিশটাকে ম্যানেজ করতে হবে?
-কোলবালিশ ম্যানেজ মানে! ওটাকি মানুষ!
-ওরে বুদ্ধু তুমিতো সাত সকালে ঐ টা দিয়েই পালিয়েছো। বাসায় যখন জানতে চাইবে এটা কোত্থেকে এসেছে তখন কি থেকে কি বলে যে ম্যানেজ করবো একমাত্র আমি আর আল্লাহ জানেন। আমি কি বাসার মানুষকে বলবো যে সিফাত আমাকে কোল বালিশ গিফট করে গেছে? তাছাড়া ওরা তোমাকে পছন্দ করেনা। তোমার সাথে আমার ইয়ে জানলে আমাকে আর ঘর থেকে বেরুতে দেবে ভেবেছো?
-এই তোমার সাথে আমার কি বলতো!
-এক থাপ্পড় দেব কিন্তু ফাজিল। আমি মরি টেনশনে আর তুমি মজা নিচ্ছো?
-তাহলে আমি এখন কি করবো?
-তুমি বুঝার চেষ্টা করছনা কেন? ছোট খাট কিছু হলে সমস্যা ছিলোনা কিন্তু কোলবালিশ কি লুকানো সম্ভব। তাও আবার এই সকালে।
-আমি এখন কি করবো সেটা বল।
-এখনো কেউ ঘুম থেকে উঠেনি। প্লীজ তুমি আবার এসে কোলবালিশিটা নিয়ে যাও। পরে একসময় সুবিধা করে আমি নেব। বাসায় না হয় বলবো আমি কিনেছি।
-এইবার কিন্ত আমার মেজাজ বিগড়ে দিচ্ছো। কোলবালিশটা যদি এতো সমস্যা সৃষ্টি করে তবে এক কাজ করতে পারো। তোমাদের বাসার যে পুকুর সেই পুকুরে ডুবিয়ে ফেল যাও। আমি ফোন রাখছি।
সিফাত এইবার কল কেটে বন্ধই করে দিলো মোবাইল। আর আফসানা দৈত্যাকার কোলবালিশটার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। মনে হচ্ছে ওটা কোলবালিশ না একটা শিশু। সবাই এখন এসে এখন জিজ্ঞেস করা শুরু করবে "বাচ্ছাটা কার‚ এই বাচ্ছা এখানে আসলো কিভাবে?" কিভাবে ম্যানেজ করবে তখন? আফসানা ভাবতে বসলো কি করা যায়। পুকুরে ডুবিয়ে ফেলা বা ফেলে দেয়া কোনভাবেই সম্ভব না। সিফাতের উপহার বলে কথা। ছেলেটা আসলেই পাগল। পাগল না হলে সাত সকালে কেউ কাউকে কোলবালিশ দিয়ে যায়।

*** গতকাল রাত ১১ টা।
সিফাতের কল। তাড়াহুড়ো করে রিসিভ করলো আফসানা। একবারে না ধরলে আবার সিফাতের হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আফসানা জানে সিফাত তাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে। সে বিশেষ কিছুই চায়না।
তার চাওয়াগুলো খুবই সিম্পল। আফসানার কাছ থেকে একটু লুতুপুতু রেসপন্স আশা করে যেগুলো আফসানা করতে পারেনা। এই যেমন জান লাভ ইউ কিংবা মিস ইউ এইসব ছেলেমানুষী লাগে আফসানার। আর এগুলোই ভাল্লাগে সিফাতের। ছেলেটা দিন দিন বড় হচ্ছে কিন্তু শিশুসুলভ আচরনগুলো যাচ্ছেনা। আফসানা যদি ফোন রিসিভ করতে একটু দেরী করে তবেই হয়েছে। সারাদিন যাবে সিফাতের খিটমিট শুনে শুনে। সিফাত ফোন ধরা মাত্রই আফসানাকে বললো-কাল তুমি ভোরে উঠবে।
-কেন?
-কাজ আছে।
বলইনা কি কাজ ভোরবেলা?
-ভোর হলেই দেখবে।
-ইশ বলোনা কি?
-একটা স্পেশাল গিফট কিনেছি তোমার জন্য।
-কি এমন গিফট যেটা ভোরবেলা দিতে হবে?
-আছে। আর এত প্রশ্ন করছো কেন? সকাল ছয়টায় ফোন দেবো আমি।বলেই লাইন কেটে দিলো সিফাত।
ভোরবেলা সিফাত ফোন দিয়ে বললো বাসার গেইটে আসতে। সবার চোখ ফাকি দিয়ে যদিও সবাই ঘুমে। আলতো করে দরজা খুলে বাসার গেইটে এল আফসানা। গিয়েতো আফসানার চক্ষু চরক গাছ। সিফাত একটা বিশাল কোলবালিশ কোলে নিয়ে রিকসায় বসে আছে। আফসানা বেরুতেই কোলবালিশটা তার হাতে দিয়ে রিকসাওয়ালাকে বলে তড়িঘড়ি করে ফিরে যাচ্ছে আর সেইদিকে হতভম্ব আফসানা চেয়ে আছে। কি করবে এই কোলবালিশ?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :):):)

আমরা স্কুলের হোস্টেলে থাকতে, কোল বালিশ নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: মন্দ নয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.