নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে কারা?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৫



#প্রজন্মের #মুক্তিযোদ্ধা ও #রাজাকারদের প্রতি আমার লেখা পড়ার উদাত্ত আহবান। :) ব্যস্ততা থাকলে পরে এসে পড়ুন :)

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি অনেক লেখালেখি করে ফেলেছি। না জানি কপালে কি আছে। তবে অন্যায় কিছু লিখিনি সে আত্মবিশ্বাস আছে। যাই হোক কিছু পরিসংখ্যান দেখে নতুন কিছু প্রশ্ন মাথায় এলো- প্রথম পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় সংখ্যাটা ছিলো মাত্র ৫০ হাজার। পরবর্তীতে সেটা ২ লাখ ছাড়িয়ে যায়! তবে সেই দুই লাখে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে ৬২ হাজার এমন অভিযোগও উঠে। সেই তর্কে আর না যাই। মেনে নিলাম সবাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। দুই লাখের যোগ করা হলো সন্তানসন্ততিদের। তাহলে সে সংখ্যাটা হলো প্রায় ১০ লাখ! অর্থাৎ মাত্র ১০ লাখের জন্য কোটা ছিলো ৩০%। ১০ লাখ ই দখল করেছিলো দেশের ৩০% যেখানে মোট জনসংখ্যা ১৬-১৭ কোটি। :/ এবার আসি মুক্তিযোদ্ধে শহীদদের সংখ্যা কতো? জ্বি ৩০ লাখ। সেই ৩০ লক্ষকে যোগ করুন এই তালিকায়। দুই লাখ মনে করি তালিকাতেই আছে জীবিত মৃত সব মিলিয়ে। ২৮ লাখ কোথায় গেলো? প্রশ্নটি কখনোই কি জাগেনি? এই ২৮ লাখ পরিবারকে সর্বনিম্ন দুই দিয়ে গুণ করলেও তো ৫৬ লাখ হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবীদার। তাহলে দেখা যাচ্ছে মাত্র ২ লাখ যেখানে ৬২ হাজার ভুয়া বলে সন্দেহ রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার সহ ৮-৯ লাখ যদি ৩০% কোটা পায় তাহলে বাকি ৩০ কিংবা ২৮ লাখ যোগ করলে কোটা কত % দিতে হবে বলে উচিৎ মনে হয়?
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। পরাধীন থাকার অসহনীয় কষ্ট আমরা ভোগ করিনি শুধুমাত্র তাদেরই ত্যাগ তিথিক্ষায়। সুতরাং তাদের প্রতি অসম্মান বা অকৃতজ্ঞতা প্রকাশের মতো জানোয়ার অন্তত এই বাংলাদেশে নাই। যদি থাকে তাদের অন্তত মানুষ বলা যায়না। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের প্রতিনিয়ত অপমান করছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা আর তাদের পোষ্যরা। সাধারণ ছাত্রজনতার ক্ষোভ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি নয়, ক্ষোভটা মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের প্রতি যারা মুক্তিযোদ্ধা বাবা ভাইকে ব্যবসার পুঁজি বানিয়ে ফায়দা লুটে।

ক্ষোভ আছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা সরকারের বিভিন্ন ফায়দা অন্যায় ভাবে লাভ করে। যেখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম এখনো তালিকায় আসেনি যাদের কেউ ভিক্ষা করে কিংবা রিকসা চালায়। যাদের পরিবার সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা পোষ্য বলে দাবী করে তাদের কাছে প্রশ্ন- ২ লাখে যদি ৬২হাজার ভুয়া হয় তাহলে বাকি ২৮-৩০ লাখে কয় লক্ষ্য ভুয়া আসবে? তাদেরও তো নাতি পুতিদের কোটার আগায় নিয়ে নাচা লাগবে। নাকি? সুতরাং তোমরা মুক্রিযোদ্ধার বংশধরেরা যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাজাকার, দেশদ্রোহী বলছো তারা নিজেরা নিজেদের প্রশ্ন করো আসলে আমরা কিসের বিরুদ্ধে? তোমরা কিংবা তোমাদের বাপদাদার বিরুদ্ধে নাকি কোটাপ্রথার বিশাল ফাঁকে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে তাদের বিরুদ্ধে। তোমরা যদি বৈষম্য সৃষ্টির পক্ষে তাহলে হে আমরা রাজাকার আর তোমরা যদি ন্যায়প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকো তাহলে আমরাও তোমাদেরই ভাইবন্ধু। তোমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে তাই তোমাদের মাথায় তুলে রাখতে আমাদের কিসের আপত্তি? যদিও প্রশ্ন থেকে যায় বাবার সম্পত্তি না হয় সন্তান পেলই কিন্তু সন্তানেরও সন্তান পেতেই থাকবে বীনাকষ্টে এতো কার ভূসম্পত্তি না, একটি দেশের অস্তিত্ব, ইতিহাস।




বি:দ্র: কোটাবাতিলে আন্দোলন নয়, আন্দোলন ছিলো সহনশীল মাত্রায় নিয়ে আসতে। বাতিল করে দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবাররাও এখন আন্দোলনে নামতে পারে, এই অধিকার তারা অবশ্যই রাখে। তারা প্রশ্ন করতেই পারে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন? সুতরাং যা ঘটেছে সেটা যে চূড়ান্ত নয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমরা শুধু চাই মুক্তিযোদ্ধাদের যাতে কোনো পণ্যসামগ্রী হিসেবে বাজারের পণ্য বানানো না হয়। নোংরা মানুষের দল যাতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম না বানায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, প্রতি ৬২৫ জনে একজন বাংগালী মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন; এতে আপনি, কিংবা আপনার পরিবারের কেহ ছিলো কিনা?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

মাহফুজ বলেছেন: জ্বী জনাব আমার মায়ের পরিবারে দুজন ছিলেন যারা বুদ্ধিজীবী হিসেবে শহীদ হয়েছেন। আমার বাবার পরিবারের কারো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেই সুতরাং যুদ্ধ করেছেন কি না তা নিয়ে আমি কথা বলতে চাইনা আর লেখার প্রশঙ্গটাও সেটা না।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: কানাডায় বসে উসকানি মুলুক পোস্ট দেওয়া খুবই সহজ। রগ কাটার ছবি সহ উসকানি দিয়ে পোস্ট দেওয়া ব্লগার কে বলছি...এখন কি বলবেন...? যার রগ কাটার কথা বললেন সে নিজেই ছাত্রলীগের নেত্রী.... দরজায় লাথি দিয়ে পা কাটা কে রগ কাটা বলে চালানো চাদে সাঈদীকে দেখার মত লোকদের ই আবিস্কার। এরা কোটা সংস্কার এর চেয়েও বেশী দাও মাড়তে চেয়েছিল....।তাদের উল্লাস আর মিনিটে মিনিটে আপডেট দেখেই বুঝা যায় এদের আসল উদ্দেশ্য কি ছিল...

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মাহফুজ বলেছেন: রগ কাটার বিষয়টা প্রথমেই সন্দেহজনক লেগেছিলো কারণ ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার এদেশের পুরানা কালচার। তবে সভানেত্রী তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছিলো তা ঠিক।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: চাদ্গাজী, আপনি মুক্তিযুদ্ধে গেছেন এইটাই এখন আর বিশ্বাস হয় না। কারন কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কখনো কারোকে এরকম আক্রমনাত্মক প্রশ্ন করতে পারে না। এই যে কোটাবিরোধি আন্দোলন হল, মুলত ছাত্ররাই সেই আন্দোলনে গেছে। সারা দেশের মানুষতো আর যায়নি। যেতে চাইলেও কি সবার পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল? যারা এই আন্দোলনে শরীক হতে পারেনি , তাহলে তাদের অবস্থান কি ছাত্রদের বিরুদ্ধে? না বিরুদ্ধে নয়। আপনার মত স্বল্প সংখ্যক সরকারী এজেন্টই কেবল এই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪০

মাহফুজ বলেছেন: বাদ দেন ভাইজান উনারে কিছু বইলেননা আমিও বলিনা। আসলে কে যে মুক্তিযোদ্ধা আর কে যে সুবিধাভোগী তা উপরওয়ালা ছাড়া নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। একটা মহান বিষয়বস্তুকে এমন নীচু পর্যায়ে নিয়ে গেছে মানুষ যা কল্পনারও বাইরে। তাছাড়া কিছু কিছু মানুষকে আমি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলেই ধরে নিয়েই দুধভাত হিসেবে রেখে দেই

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনা মতামত আমার পছন্দ না হতেই পারে। কিন্তু আমি আপনার চিন্তা ভাবনা মতামত সম্মান জানাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

মাহফুজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সবারই তা কাম্য যে যারযার চিন্তাচেতনা, মতামতের মূল্যায়ন হবে। প্রয়োজনে যুক্তিতর্ক বা তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে সত্যমিথ্যা প্রমাণিত হবে। তাই বলে নিজেই সর্বেসর্বা ভেবে কিছু চাপিয়ে দেয়া অন্যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.