নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটা বাজে পোশাক পড়েছে, মামা চল রেপ করি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

একটা মেয়ে বাজে কাপড়ে রাস্তায় বের হইসে। তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভেসে উঠছে আপনার চোখের সামনে! বুঝতে হবে মেয়েটা বিকৃত রুচির চর্চা করে। এই যে তার অশ্লীল জামাকাপড়ে নিজেকে অশ্লীল ভাবে উপস্থাপনা সেটার জন্য তার পাপ লিখা হবে অবশ্যই। যার শাস্তি হয়তো হবে পরকালে। কিন্তু আপনার যদি ইচ্ছে করে, তাকে এই দুনিয়াতেই পাপের শাস্তি দিয়ে দিতে তাহলে, আপনি তার নামে মামলা করুন, নালিশ সালিশ যা ইচ্ছা বসিয়ে বিচার করার চেষ্টা করুন, তার পরিবারে জানিয়ে আসুন যে, তাদের মেয়ে পরিবেশ নস্ট করছে। মেয়েটাকে শাস্তি দেবার এরকম হাজারটা উপায় আছে।

কিন্তু এত্তসব উপায়ের ধারেকাছে না গিয়ে শাস্তি স্বরূপ তাকে ধর্ষণ করবেন এটা আপনার কোন ধর্মে বা সংবিধানে লিখা আছেরে ভাই?
যদি লিখা না থাকে তাহলে আপনিও অপরাধি। পোশাকের দোহাই দিয়ে ধর্ষণের অন্যায় মোটিভ সৃষ্টির জন্য আপনি অপরাধী, ঐ নস্টার চাইতে আরো বড় আরো ভয়ঙ্কর অপরাধী আপনি।

তার যেমন পোশাকে সমস্যা আপনারও তেমনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিকতায় সমস্যা কিংবা বলা যায় ধর্ষণের উসিলা সৃষ্টিকারী নিকৃষ্ট জীব আপনি।

ঐ মিয়া আমরা কি হিজরা? পথেঘাটে এইরকম দুই চারটা অর্ধনগ্ন, উসৃংখল, নস্টা কি চোখে পড়েনা আমাদের? তাহলে কি দেখা মাত্রই এই চিন্তা আসতে হবে যে, পাইছি! মেয়েটা খারাপ পোশাক পড়েছে, চল মাম্মা রেপ করমু। ছি: ওয়াকথুহ। এমন হলে আপনার জীবন দর্শনে থু থু দেই আমি।

কোলের বাচ্চারা ধর্ষিত হয় আজকাল নরপশুদের কাছে। সেইসব নরপশুদের পক্ষে শিশু ধর্ষন হালাল করতে কি কি যুক্তি তৈরী করেছেন একটু শুনি!
অযথা এইসব তর্কাতর্কিতে লিপ্ত না হয়ে কয়েকটা ধর্ষকরূপী হায়েনাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন তাহলেই দেখবেন ধর্ষকদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে সময়ে সময়ে। তবে সেই সাথে ঐ নস্টা, কুরুচিপূর্ণ সমাজের কীট যারা নিজেকে উন্মুক্ত করে একধরণের নোংরা সুখ লাভ করে তাদের প্রতিও দৃষ্টি দিতে হবে। বুঝাতে হবে এই দেশ ইউরোপ, আমেরিকার কালচার ধারণ করেনা। আমাদের কৃস্টিকালচার ভিন্ন ও সংযত। বখে যাওয়া বিকৃত মানসিকতা ও অতি আধুনিকতাসম্পন্ন গোটিকয়েক মেয়ে/মহিলাকে অনুসরণ করতে গিয়ে নিজেকে নিলামে উঠানো হবে চরম বোকামি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনি ব্লগে এসব লিখে মজা পাবেন না। ফেসবুকে লিখতে পারেন। ব্লগাররা এসব ভালো জানে। যারা এসব অপকর্ম করে তারা ব্লগে আসে না, আর ব্লগাররাও সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে মেধা মননে আলাদা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩২

মাহফুজ বলেছেন: জ্বী জনাব লিখবোনা। আমি ভেবেছিলাম ব্লগিং মানে সচেতনতা তৈরীর একটা মাধ্যম। শুধুমাত্র মজা পেতে লিখা হয় জানতামনা। আমি সাধারণত ছোট গল্প বা কবিতাই লিখি। ভেবেছিলাম ব্লগিং একটা সিরিয়াস প্লাটফর্ম আর শুনেছি ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক কিংবা ধর্মের প্রতীক হুজুরেরা এই অপকর্মে পিছিয়ে নেই। আমরা ব্লগারেরা ফেরেশতা জানা ছিলনা, খুশী হলাম।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: বিচারহীনতা কারণে ধর্ষণ আমাদের সমাজে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা যায় ধর্মীয় অনুশাসন না মানা আর দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা না করা। কারণ, কোনো ধর্ম-ই নারীর অশ্লীলতাকে সমর্থন করে না। নারী পোষাক পরিচ্ছদে শালীনতা বজায়ে রাধার কথা সব ধর্মেই বলা আছে। তবে দেখা যায়, আমাদের বাঙালী নারীরা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ভুলে ভিদেশী কালচার ধারণ করছে। যার প্রভাব পড়ছে পোষাকেও। ধর্ষণের জন্য সবক্ষেত্রে দায়ী পুরুষের কু মনোভাব বা বিকৃত মনোভাব। এর মাঝে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীর অশালীন পোষাকও দায়ী বটে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

মাহফুজ বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসনের কথাটা যোগ করার আগেই পোস্ট করে দিয়েছি। The most vital point.

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকে খুশি করতে পেরে আমি ধন্য। :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

মাহফুজ বলেছেন: এবার আমি কি হবো তাহলে। tnx এর পর wc এর পরে তো আর কিছু শিখিনি। আপনার ধন্যতায় আমি আপ্লুত।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

অর্ক বলেছেন: আমি যেখানে সন্ধ্যায় দৌড়াই, এক্সারসাইজ করি, ওখানে একদল মেয়ে হাফ প্যান্ট, হাতাবিহীন টি শার্ট পড়ে বাস্কেটবল খেলে, প্রায় সকলেই দেখতে সুন্দরি, কয়েকজন আবার বেশ লম্বাও।

"মামা চল রেপ করি" বলে রেপ করে দেখাক তো কেউ ওদের কাওকে! অসহায় গরীব মেয়েরাই মূলত এ পাশবিকতার স্বীকার। বিউটি, তনু... অগণিত কেউ পোশাকের কারণে রেপ হয়নি।

শুভেচ্ছা।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর খাঁজে লুকিয়ে থাকা বিষাদগুলি
আনন্দে রূপান্তরিত হয়ে চলে গেল
ঐ শেষ অস্তরাগে,
অন্তরের মাঝে ছড়িয়ে থাকা মেঘকণাগুলি
অশ্রু হয়ে উড়ে এলো এই বৃক্ষের সবুজে।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সহমত ভাই। আইন ঠিক থাকলে, কয়েকটা নারকীয় পশু ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দিলেই ৯৫% ধর্ষণ কমে যাবে বলে আমি মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.