নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই নীরব ঘাতক : স্মৃতিকাতরতা আর আবেগপ্রবণতা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৫

মৃত্যু যখন প্রিয়জনকে দূরদেশে নিয়ে যায় মানুষ সেই শোকও সহ্য করে খুব সহজেই। মৃত মানুষটার অনুপস্থিতি খুব বেশীদিন মানুষ উপলব্ধি করেনা। সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবতার ছুটে চলায় সেই প্রিয় মানুষটার শারীরিক অনুপস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু কখনো কখনো একজন জীবিত মানুষই সীমাহীন কষ্টের হয়ে দাঁড়ায় আমাদের জন্য। বলতে পারবেন কেন? কারণ তার অফুরন্ত স্মৃতি আপনার জীবনের সাথে মিশে আছে। এই স্মৃতির পরিমাণ এবং আপনার সাথে সেইসব স্মৃতির জড়িয়ে থাকার গভীরতার উপর নির্ভর করে সে মানুষটিকে ভুলে যাওয়া/না যাওয়া কিংবা তার অনুপস্থিতিতে আপনি কতটা যন্ত্রণা উপলব্ধি করবেন বা করবেননা। অর্থাৎ স্মৃতির পরিমাণ যতো বেশী হবে, যতো গভীর হবে ততোটাই দীর্ঘ হবে আপনার জন্য তার অনুপস্থিতি বা দূরে চলে যাওয়ার যন্ত্রণাকর মুহূর্ত। এমনকি আমৃত্যু আপনি সে মানুষটার শূন্যতা উপল্পব্ধি করতে পারেন যদি আপনি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ হয়ে থাকেন।
একজন আবেগপ্রবণ মানুষ এক পলক স্থায়ী হওয়া সুখের স্মৃতিকেও আজীবন যত্ন করে ধরে রাখতে পারে হৃদয়ের গভীরে আবার অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিও সে আমৃত্যু লালন করে যায় নিজের মাঝে। পৃথিবীতে যে মানুষ যতো বেশী আবেগী তার ততোই কষ্টের ভাণ্ডার ততোটাই সমৃদ্ধ আর হালকা কিংবা আবেগহীন মানুষ অথবা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারা মানুষগুলি পৃথিবীর সুখী মানুষদের দল ভারী করতে পরিপক্ব। তাদের সুখী হতে পারা কিংবা দু:খ পাওয়া একান্তই নিজের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে দেখবেন আবেগপ্রবণ একজন মানুষের সামান্য হাসির পেছনেও লুকিয়ে থাকে অন্যকারো অবদান। তার প্রতিফোটা চোখের জলে লেখা থাকে অন্যকোনো মানুষের নিষ্ঠুরতা বা তিরস্কার।

জানিনা কার কি অভিমত তবে নিজের জীবনের জটিলতা আর কঠিন বাস্তবতা থেকে মর্মেমর্মে আমার উপলব্ধি হচ্ছে যদি আবেগটাকে পোষা প্রাণী কিংবা দাসদাসীর মতো নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা অর্জন করা যায় তবে জীবনের গল্পগুলো বিষাদময় হয়না।

আমার কাছে মনে হয় এই আবেগ এবং স্মৃতি কঠিন ব্যধির মতোই নীরব ঘাতক! যে ঘাতক তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয় জীবনিশক্তিকে এবং এদের জীবাণু চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত বিশ্বের অত্যাধুনিক কোনো যন্ত্রও ধরতে পারেনা। শুধু অসহায় উপলব্ধি করতে পারে সেই মানুষটি যার শরীরে আর মনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে জীবাণুরা। প্রতিকার কিংবা প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ তাই আত্মসমর্পণ করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা তখন। চোখের সামনে চোরাবালির গভীরে নিজেকে তলিয়ে যাবার দৃশ্যটাই ভয়ানক ভাবে বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠে শুধু।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দুই নীরব ঘাতক : স্মৃতিকাতরতা আর আবেগপ্রবণতা - ভয়ন্কর সত্যি কথা, আপনার জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা প্রবল, বাস্তবতা আপনি দেখেছেন খুব কাছে থেকে অথবা আপনি সেই বাস্তবতারই একজন ছিলেন ভুক্তভোগী ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫৬

মাহফুজ বলেছেন: জ্বী ভাইজান। নির্মম বাস্তবতা শুধু আমাকে দেখা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে উপলব্ধি করতেও বাধ্যকরেছে অতিক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ অংশটা।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা খুবই কঠিন। যতই প্রস্তুতি থাক না কেন, প্রিয় মানুষের হঠাৎ শূন্যতা এত সহজে ভোলার নয়...

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মৃত্য একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কিছু মৃত্য আছে যা সহজে ভুলার নয়। এগুলো মানুষকে প্রতিনিয়ত কাঁদায়। পীড়া দেয়। তবে দেরীতে হলেও তা মানুষ ভুলতে পারে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:০৮

মাহফুজ বলেছেন: আমিও সেটাই বলতে চেয়েছি যে প্রিয়জনের মৃত্যুশোক মানুষ ভুলে যায় কিন্তু জীবিত মানুষের স্মৃতি ভুলা যায়না।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মৃত্যু নিয়ে খুব ভাবি। জরা মৃত্যু যদি পৃথিবীতে না থাকতো। প্রিয় মানুষের মৃত্যু সীমাহীন কষ্ট।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আবেগী মানুষেরা বেশী ক্রিয়েটিভ হয়, কারণ তারা বেশী ভাবে।
আবেগহীন হয়ে সুখী মানুষ হতে চাই না, তার চেয়ে বরং দুখী থাকাই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.