নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সংগৃহীত লেখাটি সবার জন্য। যারা স্বপ্নের লেজটাকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাথে বেঁধে নিয়ে আকাশে উড়িয়েছেন তাদের কাজেও লাগবে আর যারা শুধুমাত্র দলীয় কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিতে অন্যের কানভারী করছেন তাদের কাজেও লাগবে। গত সপ্তাহজুড়ে এই স্যাটেলাইট নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি আর কম মহাকাশ বিজ্ঞানীর দেখা মিলেনি। সবাই যেনো একেকজন নাসায় কাজ করা অভিজ্ঞ মহাকাশ বিজ্ঞানী নভোচারী হয়ে বসে আছেন বাংলাদেশের আনাচেকানাচে, ফেইসবুকে, টং দোকানে, অফিস-আদালতে। যতোটুকু জানি তার চাইতে দুই কাঠি বেশী জানার অভিনয় শুধু আমরা বাংলাদেশীরাই পারি। কোনো মানুষকে ডেকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, এই যে ভাই জাহান্নামের রাস্তাটা কোনদিকে গেছে বলতে পারবেন? তিনি একটু চিন্তা করে আপনাকে সামনে পেছনে ডানে কিংবা বামে কোথাও না কোথাও ঠিকই আপনাকে জাহান্নামের রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। জানার বেলায় আমরা না বলিনা, জানিনা বলা বাঙ্গালিদের জন্য মহাপাপের মতো কিছু যেনো।
আচ্ছা কথা না বাড়িয়ে প্রসঙ্গে ফিরে আসি। জয়নুল আবেদীন নামক এক ভদ্রলোকের লেখা থেকে সংগৃহীত ও পরিমার্জিত লেখাটি আপনারা বিজ্ঞজনদের তর্কবিতর্কের অনেক তথ্যউপাত্ত সরবরাহ করবে আশা করছি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে কিছু কৌতূহল এবং প্রশ্নঃ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে আলোচনার আগে সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখার জন্য কিছু বাড়তি আলোচনা করছি।

স্যাটেলাইট নামক বহুল আলোচিত জিনিষটির উদ্ভব হয় রাশিয়া- আমেরিকা শীতল যুদ্ধের সময়ে। পরস্পরকে টেক্কা দেয়ার অংশ হিসেবে প্রথম এই মহাস্পাই জিনিষটি
মহাকাশে পাঠায় রাশিয়া। ইতিহাস বদলে দেয়া এই উপগ্রহের নাম ছিল স্পুটনিক-১। স্পুটনিক সাহেব মহাকাশে উড়াল দেন ৪ অক্টোবর ১৯৫৭ তে। রাশিয়া কয়েক মাসের মধ্যেই আবারো বাজিমাত করে মহাকাশে মানুষ পাঠিয়ে। ইউরি গ্যাগরিন প্রথম মানব হিসেবে মহাকাশে যান ভস্টক-১ চড়ে। দৃশ্যপটে আসতে খুব বেশি সময় নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তারা ১৯৫৮ এর ৩১ জানুয়ারী পাঠায় তাদের প্রথম স্যাটেলাইট এক্সপ্লোরার-১।
রাশিয়া এবং আমেরিকার দেখানো পথ ধরে তৃতীয় দেশ হিসেবে ১৯৬৫ তে মহাকাশ জয় করে ফ্রান্স, তারপর জাপান, চীন, ব্রিটেন হয়ে সবাই। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ ভারত মহাকাশে ছুটে ১৯৮০ সালে।

নাসা বলছে মহাকাশে পাঠানো মোট স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৬৬০০। তবে Satelite Debris এর ওয়েবসাইট মতে সংখ্যাটা গত বছর পর্যন্ত ৭১৪২। তার মধ্যে মাত্র ৫৮% অর্থাৎ প্রায় ৪০৭৭ টি ঠিক জায়গামতো পৌছাতে সক্ষম হয়। এই ৪০৭৭ টির সবকটা কিন্তু অক্ষত অবস্থায় নেই। নাসার সর্বশেষ হিসেব মতে মাত্র ১০৭১ টি এবং UNOOSA এর মতে ১৩০৫ টি স্যাটেলাইট এখন কাজ করছে।
যেখানে UNOOSA এর আগষ্ট ২০১৫ এর হিসেব মতে ৪০৭৭ স্যাটেলাইটের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ১৩২৯ টি, ১৫৩৯ টি কোন না কোন ভাবে ক্ষয় হয়ে গেছে আর একদম কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে ১৭৫ টি।

স্যাটেলাইটের সবগুলোই যে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো এমন না। ৪৭ টি পাঠানো হয়েছে চাঁদে, ১৫ টি শুক্রে, ১৩ টি মঙ্গলে, ১ টি গ্রহানুপুঞ্জে।

২০১৪ সালে পুরো বছরে পাঠানো হয়েছিল ২৩৯ টি স্যাটেলাইট। আর ২০১৫ এর আগষ্ট পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ১০৬ টি।

স্যাটেলাইটের কিন্তু বেশ কিছু প্রকারভেদ আছে। নানান প্রকারভেদের কারণে এক স্যাটেলাইট দিয়ে সচরাচর একটা কাজই করা হয়। বর্তমান সময়ে এসে এক স্যাটেলাইট দিয়ে অনেক কাজ করার ইতিহাস খুবই বিরল।

স্যাটেলাইট সবচেয়ে বেশি ব্যাভার করা হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা বা টেলিকমিউনিকেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়। মহাকাশে পাঠানো শতকরা ৫৬% স্যাটেলাইট দেখভাল করছে দুনিয়ার সমস্ত টেলিকমিউনিকেশন। টেলিকমিউনিকেশন এর পরে আছে আবহাওয়ার কাজ। আর্থ অবজারভেশন বা আবহাওয়া সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা স্যাটেলাইটের সংখ্যা মোট স্যাটেলাইটের ২৬%।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বা এস্ট্রোলজিক্যাল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ১৪১ টি স্যাটেলাইট। নৌ সিগন্যাল কিংবা সামরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৯১ টি স্যাটেলাইট।
স্পেস সায়েন্সের কাজে ব্যবহার করা হয় ৫% স্যাটেলাইট।

স্যাটেলাইট গুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ৫২%, সরকারী ৩০%, সামরিক ২৭%, সিভিলিয়ান (সচরাচর বিভিন্ন বড় বড় নামকরা ভার্সিটি পাঠিয়ে থাকে) ৮%।
লক্ষ্য করে দেখুন সবগুলো পার্সেন্টেজ যোগ করলে ১১৫% হয়। তার মানে এই ১৫% স্যাটেলাইট হচ্ছে বহুমূখী কাজে ব্যবহার করার জন্য।

মহাকাশে সর্বোচ্চ ৩৪৮৮ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে রাশিয়া। বলাই বাহুল্য, তাদের স্যাটেলাইট নষ্টও হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে সচল স্যাটেলাইটের অর্ধেকেরও বেশি স্যাটেলাইটের মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাঠিয়েছে ২১৩৭ টি স্যাটেলাইট।

স্যাটেলাইট ডেবরিস বলছে বিশ্বে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছে এমন দেশের সংখ্যা ৫৮টি। এই ৫৮ দেশের সাথে সাথে সংস্থা আছে আরো ২০টি। তবে আমাদের দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হচ্ছে আমরা ৪১ তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করব। সম্ভবত এটা পুরাতন হিসেব।
৫৮ দেশ স্যাটেলাইট পাঠালেও তাদের অধিকাংশই অন্যের উপর নির্ভর করে স্যাটেলাইট উড়িয়েছে। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছে ১০ টি দেশ। তারা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জাপান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইরান এবং ইসরায়েল।

পৃথিবীর সামগ্রিক স্যাটেলাইট ব্যবস্থা ব্যাপারে আপাতত আলোচনা এতটুকুই। প্রয়োজনে আবার ফিরব। এখন আমরা সরাসরি চলে যাচ্ছি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে।

দুঃখজনক হলেও প্রত্যাশিত সত্য যে আমাদের স্যাটেলাইট ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য কোথাও নেই।
ইউকিপেডিয়ায় হাস্যকরভাবে মাত্র দশ লাইনে বর্ণনা করা হয়েছে পুরো প্রজেক্ট। তার মধ্যে সাড়ে তিনলাইন ব্যাপী স্পারসো আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ সংস্থার পূর্ণরূপ লেখা।
ইউটিউবে এখন পর্যন্ত ভিডিও রয়েছে মোট চারটি। ৬ মিনিটের একটি ভিডিও তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক পাবলিশড করা। এখানে স্যাটেলাইটের চেয়ে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনী অধিক গুরুত্ব পেয়েছে।

বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা তথ্য এক করলে যা দাঁড়ায় সেটা হচ্ছে সরকার প্রথম এই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে ২০১২ সালে। তারপর অনেকটা টেন্ডার করে এসপিআই কে সাড়ে ৮২ কোটি টাকা দিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয় কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করার জন্য।
তারা বের করে নিয়ে আসে ফ্রান্স প্রতিষ্ঠান থ্যালেস এলেনিয়া কে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি লুইস গ্যালির সাথে চুক্তি সাক্ষরিত হয় ১১ নভেম্বর ২০১৫ সালে।

বক্তব্য দানকালে গ্যালি চমৎকার ইংরেজীতে বলেন, "এই চুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব জোরদার হয়ে গেল।"

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে পুরো দেশকে আশ্চর্যজনকভাবে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াশা প্রজেক্টের আর্থিক হিসেব নিয়ে। প্রকল্পের টাকার পরিমাণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পেয়েছে।
যতটুকু জানা গেছে রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য ২১৯ কোটি টাকায় অরবিটাল স্লট ভাড়া নিয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তি নবায়ন করা যাবে ১৫ বছর পরপর। থ্যালেস এলাইনার সাথে চুক্তি ১৯৫১ কোটি টাকার। তবে প্রকল্পের মোট ব্যয় একেক জায়গায় একেক রকম বলা হয়েছে। ৭১ টিভি বলছে ব্যয় চার হাজার কোটি টাকা। আর চ্যানেল নাইন বলছে ২৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৩১৫ কোটি টাকা এবং সেবা নেয়া প্রতিষ্ঠান অগ্রীম দেবে ১৬৫২ কোটি টাকা। আর্থিক আলোচনায় যাওয়ার জন্য আমরা চ্যানেল নাইনের সর্বনিম্ন বাজেটটা নিচ্ছি।

কথা হলো এত আয়োজন করে কেন আমরা স্যাটেলাইট আকাশে উড়াচ্ছি?
আসুন দেখি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফল হলে সংশ্লিষ্টদের মতে আমরা কি সুবিধা পেতে যাচ্ছি? নিশ্চয়ই কিছু না কিছু সুবিধা আছে। আসুন দেখে নিই আমরা কী সুবিধা পাচ্ছি এই নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কী বলছেন।

১। তথ্য অধিদপ্তর মতে টেলিকমিউনিকেশন বাবদ সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি টাকা বিদেশে দিচ্ছে। আমাদের নিজের স্যাটেলাইট থাকলে এই ১০০ কোটি টাকার পুরোটা দেশেই থাকবে। প্রথম এবং প্রধান সুবিধা এটাই।

২। আবহাওয়া এবং সামরিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করবে বাংলাদেশ। দুর্যোগ মোকাবেলা কিংবা সামরিক হুমকি রুখতে এই স্যাটেলাইট হবে ট্র্যাম্প কার্ড।

৩। স্যাটেলাইটের মোট ৪০ টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০ টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। বাকি ২০ টি ভাড়া দেয়া যাবে। নেপাল, ভূটান, মায়ানমার কিংবা ভারতের সেভেন সিস্টার্স কে ভাড়া দিয়ে বাংলাদেশ বছরে ৩০০-৪০০ কোটি টাকা অনায়াসে লাভ করতে পারবে। এই বিপুল টাকা কাজে লাগানো যাবে বহুমুখী উন্নয়নে।

৪। আরব-কাজাখ থেকে ইন্দোনেশিয়া-মালেশিয়া-ফিলিপাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এর রেঞ্জ। চাইলে ভাড়া দেয়া যাবে এসব দেশকেও। আর্থিক লাভের প্রত্যাশা বাড়ছে।

৫। নতুন করে ১০০ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

৫। মাত্র ৬-৭ বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট লাভজনক প্রকল্পে পরিণত হবে। বহির্বিশ্বে এলিট সোসাইটিতে স্থান পাওয়ার পাশাপাশি লাভের অংকটাও হবে হিংসে করার মতো। দেশকে ডিজিটালিজেশন করার পথে সম্ভবত সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

আলোচনার এখন পর্যন্ত ভীষণ আশাব্যঞ্জক। প্রতিটি যুক্তি অখণ্ডনীয়। কোথাও কোনো ভুল নেই।

তবে একটু সূক্ষ্মভাবে উপরের লেখা আবার পড়লে কিছু কিছু ধোঁয়াশা এবং বেশ কিছু প্রশ্ন চলে আসছে আমাদের সামনে। আপাত দৃষ্টিতে বাহুল্যময় তথ্য দিয়ে এই প্রশ্নগুলোকে পোস্টমর্টেম করব এখন।

১। পৃথিবীর যত দেশই স্যাটেলাইট উড়িয়েছে তারা প্রত্যেকেই ইনিশিয়াল স্যাটেলাইট নিজের অক্ষরেখায় উড়িয়েছে। বাংলাদেশ অবস্থান করছে ৮৬-৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায়। সে হিসেবে বাংলাদেশ এ অবস্থানেই স্যাটেলাইট পাওয়ার কথা। ৮৮-৯১ এ রাশিয়ার দুটি সহ মোট চারটি স্যাটেলাইট রয়েছে। তাই এখানে স্থান পাওয়া সম্ভব না। কিন্তু ৮৬-৮৮ ডিগ্রি খালি থাকার পরও মহাকাশ সংস্থা আইটিইউ বাংলাদেশকে স্লট দেয় নি।
বাংলাদেশ এরপর চেষ্টা করে ১০২ ডিগ্রিতে। সেখানে রাশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া এবং গ্যালির ভাষ্যমতে বাংলাদেশের বন্ধু ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ আপত্তি জানায়। তাদের আপত্তি ছিল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তাদের সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটাবে। দুবার ধাক্কা খেয়ে বাংলাদেশ চেষ্টা করে ৬৯ ডিগ্রিতে। বিধি বাম এখানেও একই আপত্তি নিয়ে চীন, সিঙ্গাপুর,মালেশিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে তাড়িয়ে দেয়। হিসেব করে দেখা গেছে স্যাটেলাইটের মালিক ৪০ দেশের মধ্যে ২০ দেশ সরাসরি বাংলাদেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল।

দ্বিমুখী দৌড়ানি খেয়ে বাংলাদেশ সবশেষে স্থান পায় ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায়।
প্রশ্ন হচ্ছে ৯০ ডিগ্রির বাংলাদেশকে ১১৯.১ ডিগ্রির স্যাটেলাইট কতটা নিখুঁতভাবে কাভার করবে?

যে কোন অবস্থানে থাকলেই যদি নিখুঁত কাভার করা সম্ভব হত তবে প্রতিটা দেশ কেন নিজের অবস্থানেই স্যাটেলাইট উড়ায়?
কিংবা কোন সমস্যা না হলে বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা আপত্তি জানাল কেন?

সবশেষে আইটিইউ কেন খালি থাকার পরও বাংলাদেশকে ৮৬-৮৮ ডিগ্রিতে স্লট দিল না?

এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুবই জরুরি। আমাদের কী তবে সবাই মিলে "অলে বাবু কাঁদে না এই নাও লেবেঞ্চুস..." এরকম কিছু একটা দিয়ে বুঝিয়েছে?

২। বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যানেল বা বেসরকারি কোম্পানী কি বলা মাত্রই নিজের স্যাটেলাইট থেকে সেবা গ্রহণ করবে?
সেবার মান বিদেশী স্যাটেলাইট থেকে উন্নত হবে এই নিশ্চয়তা কে দেবে?

অতীতে টেলিটকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠান থেকে "দেশের টাকা দেশে রাখুন" বলে স্লোগান তুললেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারে নি। টেলিটকসহ যে কোন সরকারী সেবার মান কত জঘন্য সেটা সবাই জানে। জেনে শুনে কোন প্রতিষ্ঠান কেন এ পথে পা বাড়াবে?

৩। সরকার বিদেশে সেবা দিয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছে। কিনবে কারা? ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, আরব কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।

আমরা নিজেরা এখনো সম্পূর্ণ রূপে ভারত নির্ভর। সে জায়গায় ভারত বাদ দিয়ে নেপাল ভুটান আমাদের কাছে থেকে সেবা নেবে এটা হাস্যকর যুক্তি। যুক্তিটাকে আরো হাস্যকর করার জন্য এশিয়ায় স্যাটেলাইট সংখ্যা দেখি।

ইন্দোনেশিয়া ১৩, জাপান ১৯৭, মালেশিয়া ৯/৭, পাকিস্থান ৩, ফিলিপাইন ২, থাইওয়ান ৯, আরব আমিরাত ৭, ভিয়েতনাম ৫, সিঙ্গাপুর ৪, থাইল্যান্ড ৮, সৌদি আরব ১৩, দক্ষিণ কোরিয়া ১৮, কাজাখস্থান ৫ টি, তুরষ্ক ১০, ইরান ৫, তুর্কেমেনিস্থান ১ টি।
হিসেব শেষ না।
আরব স্টেট কমিউনিকিশন অর্গানাইজেশনের রয়েছে ১৩ টি, এশিয়া স্যাটেলাইট টেলিকম কোম্পানী ৭ টি, কমনওয়েলথের ১৪৯৬ টি।

বাকি কে?
ভুটান, নেপাল, মায়ানমারের প্রতিবেশী ভারতের মাত্র ৬৭ টি (ISRO মতে ৮৪, স্যাটেলাইন ডেবরিস মতে ৭১) আর চীনের মাত্র ২৪৪ টি।

এবার আপনি বলুন, এদের এতসব স্যাটেলাইট বাদ দিয়ে সদ্য আসমানে তোলা স্যাটেলাইট থেকে কে সেবা কিনবে?
আর যদি কেউ কিনতেই যায়, ভারত চীন তাদের ব্যবসার লসকে নিশ্চয়ই নীরবে মেনে নেবে না।

বাংলাদেশ আশা করছে ভারতও আমাদের একমাত্র স্যাটেলাইট থেকে সেবা কিনবে। অথচ তাদের নিজেদেরই ৮৪ টা স্যাটেলাইট আছে। এতগুলো স্যাটেলাইট রেখে তারা আমাদের থেকে সেবা কেন কিনবে?

৩। শুরুতেই বলেছি স্যাটেলাইটের বিভিন্ন রকমফের আছে। একেকটা দিয়ে একেক কাজ করা হয়। এ জন্য মাত্র দশটা দেশ ও সংস্থা ছাড়া সবকটা দেশের রয়েছে একাধিক স্যাটেলাইট ।
দাবী করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দিয়ে সব কাজ করা হবে।
এটা আদতে কতটুকু সম্ভব। আর যদি করাও যায় তবে কী সব কাজ নিখুঁতভাবে হবে?

উদাহরণ হিসেবে যদি ভারতকে আনি তবে তাদের ৮৪ টা স্যাটেলাইটের মধ্যে ৩৪ টা স্যাটেলাইট কেবল টেলিকমিউনিকেশনের জন্য। বাকি গুলো আর্থ আবজারভেশন, নেভিগেশন বা স্পেস সায়েন্সের জন্য আলাদা আলাদা করা। ৮৪ স্যাটেলাইটের কেবল একটির কাজ দেখানো হয়েছে কমিউনিকেশন প্লাস আবহাওয়া মনিটরিং।
তারমানে তাদের ৮৩ টা স্যাটেলাইটকে মাত্র একটা করে কাজের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমাদেরটা দিয়ে হবে তো?

৪। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে আকাশে উৎক্ষেপন করা ৪২% স্যাটেলাইট কক্ষপথে যেতেই ব্যর্থ হয়েছে। কক্ষপথে গিয়ে ঠিকঠাক কাজ করছে মাত্র ১৫% স্যাটেলাইট।
আমাদের মতো দুর্বল প্রযুক্তির দেশের স্যাটেলাইট সেই ১৫% এর একটি হতে পারবে?

সচিব সুনীল কান্তি বোস নিজেও এই তথ্য স্বীকার করে বলছেন "বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতা মেনে নেয়া হবে না।"
না মেনে আপনি কি করবেন? মহাকাশে মাস্তানি চলে?

৫। বলা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অগ্রীম ১৬৫২ কোটি টাকা দেবে। প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি দিতে বাধ্য?
১৫% সাফল্যের সম্ভাবনার একটা প্রজেক্টে অগ্রীম টাকা দেয়ার কোন যৌক্তিকথা আছে?
সেবা নেয়ার আগেই কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নেয়ার রেওয়াজ বিরল। আর বাংলাদেশের মতো দেশে কে এত টাকা দেয়ার রিস্ক কে নেবে?

৬। ধরে নিলাম অগ্রীম ১৬০০ কোটি টাকা পাওয়া গেল। এখন বাকি ১৩০০ কোটি টাকা কিভাবে আসবে সেটা কিন্তু সরকার বলেনি। যদি এই টাকা ঋণ করা হয় তবে এই ঋণের সুদ বছরে কত আসবে জানেন?
কম হলেও ৭০ কোটি। সচরাচর বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ হয় ৩০ বছর পর্যন্ত। তাহলে ৩০ বছরে কতটাকা সুদ দিতে হবে? ২১০০ কোটি টাকা!!
সাথে ইন্টারস্পুটনিককে ভাড়া বাবদ দিতে হবে বছরে ১৫ কোটি। তারমানে বছরে সুদে আর ভাড়াতেই চলে যাবে ৮৫ কোটি টাকা।
বিভিন্ন বেসরকারী কোম্পানীসহ যে ১০০ কোটি টাকা বাঁচানোর চিন্তা করা হচ্ছে সেই লাভের গুড় তো পিঁপড়াই খেয়ে ফেলবে।

ধরলাম ঋণ করা হবে না। অর্থমন্ত্রীর একবার বলেছিলেন, "বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ নির্ভর না।"
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলছে।
২০১৪ সালে দেশের মাথাপিচু ঋণ ছিল ১৩১৬০ টাকা। বিগত এক বছরে যেটা বেড়েছে ৪৬০ টাকা। তার মানে আজকে যে শিশু জন্ম নিচ্ছে সেও ১৩১৬০ টাকা ঋণের বোঝা নিনিয়ে জন্ম নিচ্ছে।

সহজ বাংলায় ঋণ ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই।
সুতরাং এই প্রজেক্টে ঋণ না আনলেও মেকআপ করতে অন্য প্রজেক্টে আনতে বাধ্য। হিসেব কিন্তু বরাবরই হয়।

৮। একটা স্যাটেলাইট ভাঙতে পারে, কক্ষচ্যুত হতে পারে। সেটা রিকোভার করার মতো আর্থিক বা প্রযুক্তিগত ক্ষমতা কি বাংলাদেশের আছে?

৯। কাজ দেয়া হয়েছে বিদেশী কোম্পানীকে। বিদেশী কোম্পানী কর্তৃক দেশের সম্পদ লুট বা নষ্টের ইতিহাস অনেক। ২৪ জুন ২০০৫ এ টেংরাটিলায় হাজার কোটি টাকার গ্যাস পুড়িয়েছিল নাইকো। সে মামলার কিচ্ছু হয় নি এখনো।
থ্যালেস এলাইটা এটা করবে না বা করলে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। যদি সত্যিই কোনো বিড়ম্বনা হয় আমরা কার কাছে যাব?

১১। খুব সহজ স্বাভাবিক প্রশ্ন নিজেরা স্যাটেলাইট তুললে যদি এতই সুবিধা তবে কেন মাত্র ৪০ টি ( বা ৫৮) দেশ স্যাটেলাইট তুলল?
ইউরোপের সবকটা দেশ বা উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকার সবকটা দেশ কেন তুলল না?
তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের চেয়ে ভালো।

দেশ হিসেবে আমরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত। আমাদের সবকিছুতেই টাকার হিসেব আসে।
আমাদের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে আকাশ পাড়ি দেয়ার আগে দেখতে হবে দেশের মানুষ কেমন আছে। আমাদের মৌলিক চাহিদার কতটা আমরা পূরণ করতে পারছি?

আসুন পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে আলোচনা সংক্ষেপ করার স্বার্থে কেবল "বাসস্থান" এবং "চিকিৎসা" এই দুটি চাহিদার চিত্র দেখি।

বর্তমানে দেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ১২%। ঢাকা শহরে ২০০৫ এ গৃহহীন ছিল ৪০ লাখ মানুষ। বর্তমানে সেটা নিশ্চয়ই কোটিতে চলে গেছে। দেশের ৬৩% মানুষই ভূমিহীন।

প্রধাণমন্ত্রী বলেছেন দেশে একটাও গৃহহীন মানুষ থাকবে না। তাঁর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান রেখেই বলছি সেটা কি আদৌ সম্ভব? কোনো সরকার বা কোনো ব্যাক্তির পক্ষেই বোধহয় সব মানুষকে বাসস্থান দেয়া সম্ভব না। স

কিন্তু আমাদের জন্য বড় উদ্বেগ নিয়ে আসছে আরেকটা তথ্য।
গবেষণামতে ২১০০ সাল নাগাদ উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা ৫ ফিট বাড়বে। দেশে নতুন করে গৃহহীন হবে তিন কোটি মানুষ।
বরগুনার একটা এলাকায় জায়গার অভাবে চৌকির নিচে প্রিয়জনের করব দিতে হচ্ছে। নদী ভাঙনে প্রতিনিয়ত গৃহহীন মানুষ।

এই অবস্থায় তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে যদি "বঙ্গবন্ধু গৃহায়ন" প্রজেক্ট হাতে নেয়া হতো সেটা বেশি সফল হতো না?

আসুন চিকিৎসা ক্ষেত্রে।
সন্দেহ নেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি অর্জন করছে। দেশের যা অবস্থা তাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে এতটা অগ্রগতি বিস্ময়কর। এতকিছুর পরও বাস্তব পরিস্থিতি বলছে অগ্রগতি এখনো যথেষ্ট নয়। ১৮ কোটি মানুষের দেশে এখনো অনেক কিছু করা বাকি রয়ে গেছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের এক জরিপ মতে দেশে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যু হার ৫৩ জন। ৬৮.৩% প্রসবই হচ্ছে সম্পূর্ণ অদক্ষ কারো হাতে। অসুস্থ মানুষের মাত্র ১৬.২% মানুষ কোন পাশ করা ডাক্তার থেকে সেবা নিতে পারছেন। ৩৬% শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। ৪১% শিশু এবং ৪২% নারী ভুগছে রক্তস্বল্পতায়। পাঁচ বছরে কম বয়সী গ্রাম্য শিশু হাজারে মারা যাচ্ছে ৮৫ জন।
এত উদ্যোগের পরও ১২% শিশু টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আসতে পারছে না।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এত উন্নতির পরও আমাদের অসুস্থ দেশ এখনো সুস্থ হতে পারেনি। এখনো আমাদের সামনে যাওয়া বাকি, এখনো স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অর্থ ঢালার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কী স্যাটেলাইটের বদলে স্বাস্থ্য সেক্টরের দিকে বাড়তি নজর দিতে পারতাম না?

মানছি বছরে ১০০ কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু সেটা ৩০০০ কোটিতে যেতে ৩০ বছর দরকার। এই ৩০ বছরে ৩০০০ কোটি টাকা পোশাক শিল্প বা অন্য কোন খাতে ব্যয় করলে এরচেয়ে বেশি লাভ অর্জন করা সম্ভব।

মাত্র ১৫% সাফল্যের সম্ভাবনা এবং বেশ কিছু "হয়তো" "কিন্তু" "যদি এমন হয়" ইত্যাদি অব্যয়যোগে গরীবের ৩০০০ কোটি টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ব্যাপারে আমি এখনো একমত নই। আমার ধারণা আমরা আরো কয়েক বছর পরে উড়াতে পারতাম। সম্ভবত আমরা কিছুটা আগেভাগেই এমন বিলাসবহুল প্রজেক্টে হাত দিয়ে ফেলেছি।
আমার দেশের ৩০০০ কোটি টাকার কেবল লোহা লাক্কড় ভাঙ্গাড়ী হয়ে মহাকাশে ভেসে বেড়ানোর সম্ভাবনা ৮৫%- এটা মানতে ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে।

তারপরও আমি আশা করি কেউ বলুক আমি ভুল। আমার উদ্বেগের প্রতিটি পয়েন্ট কেউ যুক্তিখন্ডন করুক। কেউ স্বপ্ন দেখাক। কেউ বাস্তব পয়েন্ট ধরে বলুক এই স্যাটেলাইট আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
দুঃখের ব্যাপার সমস্ত গুগল-ফুগল-ব্লগ ঘেটে আমি এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আশা দেখছি না।

ঐতিহাসিক কিন্তু অন্ধকারে রাখা এই স্যাটেলাইট সামনের বছরের বিজয় দিবসে উড়ছে।
আমাদের জন্য আশা নিয়ে আসছে নাকি অন্ধকার নিয়ে আসছে সেই প্রশ্নের জবাব আমরা কেউ দিতে পারব না।
কেবল নাম কামানো নাকি দূরদর্শী পরিকল্পনা তার উত্তরও কেউ জানি না।
তাহলে জানে কে??
সময়, হে সময়ই পারে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাদের মতবিরোধ ঠেকাতে। তাই সময়ের জন্যই উন্মুখ হয়ে অপেক্ষাটা করতেই হচ্ছে।


তথ্যসূত্রঃ
*NASA
*UNOOSA
*Wikipedia
*Satelite debris website
*Union of Concerned Scientists
*SPARSOO
*Indian Space Researce Org.
*New York Times
*BTRC
*The Intergovermental Pannel of Climate Changed
*The scientefic Committee on Entertic Researce
*Bangladesh Health Association
*দৈনিক ইত্তেফাক (১১-১১-১৫)
*দৈনিক প্রথম আলো (১১-১১-১৫/১৫-১-১৫/৩-৯-১৫)
*দৈনিক যুগান্তর (১১-১১-১৫)
*দৈনিক কালের কন্ঠ (১২-১-১৬)
*বিডিনিউজ২৪.কম... (৩-৯-১৫)
* দৈনিক সংগ্রাম (২২-১০-১০)
*দৈনিক ইনকিলাব (২০-৮-১৪)
*চ্যানেল 24
*চ্যানেল নাইন
*৭১ টিভি
*সময় টিভি

পুনশ্চঃ
১। লেখাটি দুই বছর আগের। যখন দেশের ৯৯% মানুষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নামই শুনেনই তখন এই লেখা আমি লিখেছিলাম। একটা লেখার প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এর পজেটিভ নেগেটিভ তুলে ধরতে গিয়ে শেষের বাহুল্য অংশকে টানতে হয়েছিল। গত দুই বছর আগে এই স্যাটেলাইট ব্যাপারে কোথাও কোনো তথ্য ছিল না। এখন আছে কিনা বলতে পারব না। কারো জানা থাকলে জানাবেন, এড করে নেব।

২। এই লেখার পুরোটাই তথ্যগত, ব্যাক্তিগত মত বা আবেগের জায়গা এখানে ছিল না। সুতরাং রাজনৈতিক চেতনা থেকে আমাকে বা স্যাটেলাইটকে আক্রমণ না করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

৩। আমি স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞ না। আমার প্রশ্ন করা যুক্তির মধ্যে ভুল থাকতেই পারে। এই লেখাটা বিতর্কের জন্য না, আলোচনার জন্য। আমি চাই আমার প্রশ্নের বিপরীতে যদি কারো উত্তর জানা থাকে তবে আমাকে জানান। আমি সেটা জানতে চাই, জানাতে চাই

৪। একজন নাগরিক হিসেবে যৌক্তিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার দাবি আমি রাখি। যতক্ষণ পাচ্ছি না ততক্ষণ পাচ্ছি না স্যাটেলাইট প্রশ্নে আমার বক্তব্য আগের মতোই। তবে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সবার মতোই আমিও চাই সব প্রশ্ন উপেক্ষা করে আমাদের স্যাটেলাইট ইতিহাস গড়বে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সহমত +++

২| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

গিরি গোহা বলেছেন: প্রথম অালোর সংবাদটা পড়েছেনতো??

স্যাটেলাইট যখন অাকাশে ওড়ছে ঠিক তখন প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েগেছে।

যে চুক্তি শেখ মুজিব নিজে করেনি, সেই চুক্তি তার মেয়ে করে গেলো।

অার মনে রাখবেন এটা কখনও জাতীর জন্য কল্যানকর নয়।

স্যাটেলাইট বড়। নাকি সার্বভৌমত্ব?

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২০

মাহফুজ বলেছেন: সার্বভৌমত্ব না থাকলে কোথায় বসে স্যাটেলাইটের গুণকীর্তন করবো শুনি!

৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ তুলনামুলক আলোচনা।

অনেক তথ্য নতুন করে জানলাম। জানা ছিল না। ৮৬-৮৮ ডিগ্রির জন্য আন্তর্জাতকি আইন অনুযায়ী কি রাস্ট কিছু করতে পারত?

দেখা যাক আলোচনা কেমন হয়।

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২২

মাহফুজ বলেছেন: স্যাটেলাইটের দুনিয়ায় বাংলাদেশ নবজাতক। বাঁচবে কি মরবে তাই অনিশ্চিত সেখানে খুব বেশী কিছু করতে পারবেনা।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
লেখাটার পিছনে অনেক সময় দিয়েছেন। যা আমরা টুকরো টুকরো বিভিন্ন গানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পেয়েছি আপনি সেটাকে একত্রিত করেছেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৩

মাহফুজ বলেছেন: সিংহভাগ কৃতিত্ব জয়নাল আবেদীন সাহেবের।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

এমজেডএফ বলেছেন: "৪। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে আকাশে উৎক্ষেপণ করা ৪২% স্যাটেলাইট কক্ষপথে যেতেই ব্যর্থ হয়েছে। কক্ষপথে গিয়ে ঠিকঠাক কাজ করছে মাত্র ১৫% স্যাটেলাইট। আমাদের মতো দুর্বল প্রযুক্তির দেশের স্যাটেলাইট সেই ১৫% এর একটি হতে পারবে?"
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথে যেতে সক্ষম হয়েছে, কক্ষপথে গিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে। সুতরাং ব্যর্থতার সম্ভাবনা এখন ১০%-এরও নীচে। দুশ্চিন্তা না করে আরেকটু ধৈর্য্য ধরুন। আশা করি অল্প দিনের মধ্যে আমরা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারবো। রাস্তায় বের হলে বাসের চাপায় পড়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে - তাই বলে কী ঘর থেকে বের হবো না?

"আমাদের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে আকাশ পাড়ি দেয়ার আগে দেখতে হবে দেশের মানুষ কেমন আছে। আমাদের মৌলিক চাহিদার কতটা আমরা পূরণ করতে পারছি? আসুন পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে আলোচনা সংক্ষেপ করার স্বার্থে কেবল "বাসস্থান" এবং "চিকিৎসা" এই দুটি চাহিদার চিত্র দেখি। বর্তমানে দেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ১২%। ঢাকা শহরে ২০০৫ এ গৃহহীন ছিল ৪০ লাখ মানুষ। বর্তমানে সেটা নিশ্চয়ই কোটিতে চলে গেছে। দেশের ৬৩% মানুষই ভূমিহীন।"
আপনাদের মতো আরো অনেকের হা-হুতাস দেখে মনে হচ্ছে, ৩০০০ কোটি টাকা খরচ করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাশূন্যে না পাঠালে সে টাকা দিয়ে বাংলাদেশের সব ভূমিহীন মানুষকে ভূমি দেওয়া যেত, সব গৃহহীন মানুষকে ফ্ল্যাট বানিয়ে দেওয়া যেত, সব টোকাইদের শেল্টারের ব্যবস্থা করা যেত। এটা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও খোঁড়া যুক্তি। আমাদেরকে পদ্মা সেতুও বানাতে হবে, উপগ্রহও পাঠাতে হবে এবং সেইসাথে দেশের মানুষকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

তর্কের খাতিরে আপনার যুক্তি মানলাম যে, এই ৩০০০ কোটি টাকার উপগ্রহের কিছু উপকারীতা থাকলেও বাংলাদেশের জন্য এটি বিলাসীতা। অন্যান্য ব্যাংকের কথা বাদই দিলাম, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভির মাহমুদ সোনালী ব্যাংকের হোটেল রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা যখন আত্মসাৎ করার কেলেঙ্কারী প্রকাশিত হয়েছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তখনতো আজকের মতো এভাবে ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দেশে দুধের নহর বয়ে দেওয়ার ফিরিস্তি দিয়ে হা-হুতাস করেন নাই! সেই সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশির ভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। অর্থাৎ লোকসানের উপর লোকসান। তাই যাদের কাছে জনগণের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের চেয়েও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ -এর ৩ হাজার কোটি টাকা খরচটা বড় চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়ায় তখন সন্দেহ হয় এটা কী দেশপ্রেম নাকি বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা!

"আমার ধারণা আমরা আরো কয়েক বছর পরে উড়াতে পারতাম। সম্ভবত আমরা কিছুটা আগেভাগেই এমন বিলাসবহুল প্রজেক্টে হাত দিয়ে ফেলেছি। আমার দেশের ৩০০০ কোটি টাকার কেবল লোহা লাক্কড় ভাঙ্গাড়ী হয়ে মহাকাশে ভেসে বেড়ানোর সম্ভাবনা ৮৫%- এটা মানতে ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে।"
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা বিলাসবহুল প্রজেক্ট - আপনার এই যুক্তির সাথে আমি একমত। কয়েক বছর পরে না করে নাহয় একটু আগেই করেছে, এতে মহাভুল হয়ে যায় নাই। দেশ-বিদেশের তথাকথিত প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদরা যখন চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন নিজের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু করা বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়, শুরু করলেও শেষ করতে পারবে না। তাদের মুখে ছাই দিয়ে আজ পদ্মা সেতু দৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হতে চলেছে।

দেশের হাজারো সমস্যা রয়েছে। এ ধরনের সমস্যা দেখলে একসময় আমিও বলতাম, 'এদেশে কিছু হবে না, এ জাতির কপালে আরো দুঃখ আছে!' দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, উড়াল সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সমূদ্র বিজয়, মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, ক্রিকেটে ভয়ডরহীন টাইগারদের জয়জয়কার, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ইত্যাদি কারণে দেশের সমস্যা দেখলে এখন 'এদেশে কিছু হবে না' আর বলতে পারি না। স্বপ্ন দেখি একদিন এ সমস্যা উৎড়ে আমরা এগিয়ে যাবো। একটি হতাশ জাতির মধ্যে আজ যে আশার সঞ্চার হয়েছে, উন্নয়নের স্বপ্ন দেখার যে প্রবৃত্তি জেগেছে, অসম্ভবকে সম্ভব করার যে স্পৃহা জেগেছে - এজন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। ব্যক্তি, দল, সরকার যেই হোক না কেন, দেশের উন্নয়নের জন্য যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করার জন্য আসুন সবাই মিলে উৎসাহিত করি।

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৪

মাহফুজ বলেছেন: চুম্বক অংশটাই তুলে ধরেছেন।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সুন্দর, তথ্যমূলক পোস্ট।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশ যখন ক্রিকেট টেস্ট খেলার স্ট্যাটাস পায়..তখন টেস্ট খেলা দেশ গুলির তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল..এখন প্রায় সমানে সমানে খেলে যাচ্ছে

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৭

মাহফুজ বলেছেন: জ্বী আমরাও অখুশি হবোনা টেস্ট খেলার মতো স্যাটেলাইট দুনিয়ায়ও যদি আমার দেশ পাল্লা দিতে পারে রাঘববোয়ালদের সাথে। ততোদিন খেয়েপড়ে বেচে থাকতে চাই জনাব।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৯৯৩ এ বিনামুল্যে ইন্টারনেট সাবমেরিন কেবল সংযোগ সুযোগ পেয়েও তা প্রত্যাক্ষান করা হয়েছিল।

বলাহয়েছিল "দেশে এত কম্পুটার নেই,এই সংযোগ নিয়ে দেশের কোন উপকার নেই,বরং অবাধে তথ্যপাচারের ঝুকি"।

১৯৯৬ তে ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ সুরু হয়। এরপর ৩ টি মোবাইল ফোন কম্পানীকে বিনা লাইসেন্স ফিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কম্পুটার ও হার্ডওয়ার সম্পুর্ন শুল্কমুক্ত করেদেয়া হয়েছিল। একুশে টিভি সহ ৩ টি বেসরকারি টিভি অনুমোদন।
এতে ততকালিন সরকার বিপুল রাজস্ব হারালেও ১০ লাখের উপর নতুন কর্মসংস্থান... সারা দেশব্যাপি বিপুল কর্মউদ্দিপনা শৃষ্টি হয়েছিল। ২০ হাজার কোটি থেকে এখন ৫ লাখ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী বাজেট।

তাই যোগাযোগ উপগ্রহ নিয়ে এখনি নেতিবাচক মন্তব্য ঠিক না। কটা দিন যেতে দেন। তারপর দেখেন।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

রাফা বলেছেন: এ্ত নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনা নিয়ে বেচে যে আছেন ,এটাই আশ্চর্যের বিষয়।প্রতিয়মান হচ্ছে ,আপনি সেই তবে,কিন্তু ,যদির দলের মানুষ।ঢাকা শহরে মানুষ আছে ২কোটি ,আপনার হিসাবমতে ১কোটি লোক গৃহহিন এই হিসাব পাইলেন কই! তারমানে অর্ধেক মানুষ রাস্তায় ঘুমায়?
মনে করেন এটা থেকে কোন অর্জনই হলোনা ,পরোক্ষভাবে যুব সমাজের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে উৎসাহ উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়েছে ।এই সাবজেক্টে পড়াশুনা করেই দেশে না হলেও বিদেশে চাকুরি পাবার সুযোগ রয়েছে।বেতবুনিয়া ভু উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্ভোধন করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।সেটার পরিপূরণ ব্যবহার শুরু হবে এই সেটেলাইটের মাধ্যমে স্বপ্নটা ছিলো বলেই এগিয়ে যাচ্ছি।আর শুরুটা কখনও না কখনও অবশ্যই করতে হয়। আর কক্ষপথে স্থান পাওয়ার প্রচেষ্টা চলছেই সেটারও সমাধান হবে।কারন আমাদেরও অধিকার আছে মহাকাশে।কাজই হতাশার কিছু নেই।

১০| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট হয়েছে অনেক গর্বের বিষয়। এটা অবশ্যই খুবই সাহসী উদ্যোগ....। আমার দেশের নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট নিয়া আমার উৎসাহের কোন সীমা পরিসীমা নাই। ঈদ ঈদ লাগতেছে।

সমুদ্র বিজয় থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যা করেছেন তার অনেক কিছুই যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

সারা বিশ্ব দেখে যাও, মহাকাশে আমরাও...

সমালোচনা সকল কাজের গতি আনে, তবে তা যদি হয় গঠন মুলক।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

ভোরের সূর্য বলেছেন: বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটির রেঞ্জ ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদিআরব পর্যন্ত।তার মানে সে এই রেঞ্জের মধ্যে থেকে পাওয়া আবহাওয়া,টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির তথ্য দিতে পারবে।কিন্ত বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো আফ্রিকা,ইউরোপ,আমেরিকা এবং ওশেনিয়া পর্যন্ত সার্ভিস দিয়ে থাকে তাই পুরোপুরি স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ ডলার দেশে থাকবে এটা ভুল।আর এটা দিয়ে আবহাওয়ার কোন আভাস পাওয়া যাবেনা কারণ এতে কোন ক্যামেরা নেই।


আমাদেরকে কেন এসব বিষয় নিয়ে লিখতে হবে কিংবা আলোচনা করতে হবে। সরকারের উচিত ছিল উপগ্রহ টি পাঠানোর পর প্রেস ব্রিফিং করে সুনির্দিষ্টভাবে জানানো যে কেন আমরা ৩হাজার কোটি টাকা খরচ করে উপগ্রহ পাঠালাম।এর বিনিময়ে আমরা কি কি সুবিধা পাব।আমাদের যেহেতু বিলাসিতা করার টাকা নাই তাই ১৫বছরের জন্য ৩হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কত টাকা সাশ্রয় করবো। কিন্ত এখন পযন্ত যা বুঝেছি তাতে ৩০০০কোটি(এর সাথে ১৫ বছরের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যোগ হবে) টাকা খরচ করে আমাদের দেশের একটি স্যাটেলাইট আছে এটা গর্বে করে বলা ছাড়া আর কাজের কাজ কিছুই হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.