নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রসফায়ারের দৃশ্যে উৎফুল্ল হয়েছিলাম আমিও....

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৪

ক্রসফায়ারে মাদক ব্যবসায়ীদের এখানে ওখানে পড়ে থাকা লাশ দেখে প্রথম প্রথম মনেমনে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম, যাক এইবার সরকার নেমেছে কঠোর ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে! আজ থেকে এক বছর আগেও আমি ব্লগে লিখেছে ইয়াবার ভয়াবহ বিস্তার নিয়ে নিজের অর্জিত অভিশপ্ত অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে। ইউটিউবে আমার ব্যক্তিগত চ্যানেলে ভিডিও আপলোডও করেছিলাম একটু সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে।

যাই হোক কথা বলছিলাম মাদক ব্যাবসায়ীদের লাশ দেখে উৎফুল্ল হওয়া নিয়ে। উৎফুল্ল ভাবটা কেটে সেখানে নানা সংশয় জমা হতে খুব বেশী সময় লাগলোনা। কিছু প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করলো মনে। সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে এবং দুচারজনের মনে সে প্রশ্ন জাগাতেই আমার লেখাটি।

আচ্চা অভিযানে নেমেই, এতো তাড়াতাড়ি ধুমধাড়াক্কা বিভিন্ন জায়গার মাদক সম্রাটদের সন্ধান বের করে ফেললো কিভাবে প্রশাসন? শুধু সন্ধান আবিষ্কার নয় ক্রসফায়ার করে মেরেও ফেলা হলো তাদের ! বাহ, কতো কর্মতৎপর আমাদের প্রশাসন।
তাহলে দেখা যায় প্রশাসন চাইলে অপরাধীদের ধরা কঠিন কিছু না। আমার প্রশ্ন এতোদিন তাহলে প্রশাসন কেন নীরব ছিলো? তারা কেন মাদক বিশেষ করে ইয়াবার ভয়াবহ বিস্তার নীরব দর্শকের মতো বসে প্রত্যক্ষ করছিলো? তাহলে প্রশাসনও কি কোনোভাবে মাদক বাণিজ্যে মুনাফার ভাগীদার ছিলো আর এখন বিশেষ কোনো কারণে ঠাসঠাস করে মাদক সম্রাটদের মারতে শুরু করলো!

আচ্ছা আমরা তো অনেক বড়বড় ব্যক্তিবর্গের নাম শুনেছি মাদক কিংবা ইয়াবার বাংলাদেশি গডফাদার হিসেবে। তারা তো প্রকাশ্যেই বেশ বুক ফুলিয়ে চলছে, ফিরছে, রাজনীতি করছে বা কেউ নিজের ব্যবসা করছে। তারা কি তাহলে বিচারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কোনো রক্ষিত স্থানে বাস করে নাকি? যদি তা নাই হবে তাহলে বিষয়টা এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো যে, আগে সবগুলা গডফাদারদের ধরে রিমান্ডে নিতো। তাদেরকে স্পেশালি ইন্টারোগেশন করে বের করতো তাদের নেটওয়ার্ক কারা চালায়, কারা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে মাদক নামক সর্বনাশা বিষ? সাধারণত নেটওয়ার্কের বাইরের ব্যবসায়ীদের দৌড় খুব সীমিত থাকে। গডফাদার নিয়ন্ত্রিত নেটওয়ার্ক থাকে সুবিশাল আর অবাধ বিচরণ। সুতরাং গডফাদারদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দেয়ার স্বাভাবিক এবং ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া গ্রহন না করে এলোপাতাড়ি কাদের ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলা হচ্ছে? বিষয়টার স্বচ্ছতা কি আদৌ আছে? স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠবে কারণ আমাদের সামনে জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে আছে র‍্যাবের সেভেন মার্ডার কিংবা ডিভির ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে চাঁদাবাজি করার ঘটনাগুলো। প্রশাসনের এমন ঘোলাটে ও বিতর্কিত অতীত তাই সাম্প্রতিক মাদক ব্যবসায়ীদের আচমকা ক্রসফায়ারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যদিও উত্তর পাওয়া যাবেনা নিশ্চিত। আগেও জানিনি আর এখনো জানতে পারবোনা পত্রিকায় পাতায় দেখা লাশগুলো কাদের? তারা আদৌ মাদক বাণিজ্যে জড়িত নাকি না বা আসলেই হেডলাইনের মতো কোনো মাদক সম্রাট সে ছিলো নাকি ছিলো মামুলী সাপ্লায়ার?

আবার এমন তো হতে পারে গডফাদাররাই নিজেদের বাঁচানোর চুক্তিতে তাদেরই নেটওয়ার্কের দুইচারজন ব্যবসায়ীর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে অবস্থানটাকে আরো শক্ত করলেন।


এভাবে একের পর এক হাজারটা প্রশ্নের উদয় হচ্ছে মনে। প্রশ্নবৃদ্ধি আর না করে এখানেই সমাপ্তি টেনে দিচ্ছি। আমরা তো সবাইই জানি মাদকের সহজলভ্যতাই এর বিস্তারের প্রধান হাতিয়ার। সবশেষে মনের মাঝে একটা ক্ষীণ প্রত্যাশা নিয়ে শেষ করছি, কঠোর হস্তে বাংলাদেশে ইয়াবা সহ সকল মাদক একদিন দমন হবে। ভয়াবহ নেশার ছোবল থেকে রক্ষা পাবে দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা লিংক দিলাম। আপনার বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর পাবেন আশাকরি। view this link

এই অভিযান থেকে খুব বেশী কিছু আশা করলে ঠকবেন।

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫০

মাহফুজ বলেছেন: so many thank and I'm not expecting any huge achievement from this Drama!

২| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:

ইয়াবা দরবেশের সাথে ফাটাকেস্টো। চমৎকার জুটি।

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫১

মাহফুজ বলেছেন: Comment of the day

৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

সাহাবুব আলম বলেছেন: আপনার প্রশ্ন গুলা আমার না জানা প্রশ্নের সাথে মিলে গেলো । এর আগে মাদক র্নিমুল করার নামে কত অসহায় সাধারন মানুষকে পুলিশি হয়রানি মুলক মামলা দেখে । এসব হত্যা কোন সমাধান নয়

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

মাহফুজ বলেছেন: আমার কিংবা আপনার মনের এই প্রশ্নগুলো আসলে আরো অসংখ্য মানুষকে উদ্বিগ্ন করছে প্রতিনিয়ত।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪১

স্ব বর্ন বলেছেন: প্রশাসনের নিরব ভূমিকা আর বিত্তশালীদের তৎপরতায় এর বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

মাহফুজ বলেছেন: এতোটাই ভয়াবহ যে, আমার মনে হহচ্ছে বাঁচতে হলে কোনো গায়েবী সাহায্য প্রয়োজন!

৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছোট হোক, বড় হোক কিছু কমুক। তাতে বড়রা সতর্ক হলেও ভাল...

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২০

মাহফুজ বলেছেন: জ্বী অবশ্যই তবে বড়দের সাজানো কোনো নাটক না হলেই বাঁচোয়া। হয়না এমন যে, ছোটদের ঘাড়ে চাপিয়ে বড়রা পাড় পেয়ে যায়!

৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০০

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: যেখানে সরকারই ভাগিদার সেখানে প্রশাসন কি করবে

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২১

মাহফুজ বলেছেন: এমন হলে ভয়াবহ সময় আসছে।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২১

শহীদ আম্মার বলেছেন: ভাই রমজান মানে একে সত্তর!
সরকারে পুরো মৌসুমটায় গেল সগীরা আর কবীরা গুনাহের মাঝে।
এই রমজানে যদি একটু ফযীলত কামাই করা না যায় তবে আর কবে?

তবে
মাদকের বিরুদ্ধে এই জিহাদ
সওয়াবের উদ্দেশ্যে?
নাকি
গোনাহ মাফের উদ্দেশ্যে?
নাকি
দরবেশীয় কায়দায় অন্য কোন রাজনৈতিক ফায়দা ‍লুটার উদ্দেশ্যে?
সেটা বুঝা যাবে কিছুদিন পর।

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২৩

মাহফুজ বলেছেন: শেষেরটাই হবার সম্ভাবনা বেশী। এমনতো প্রায়ই হচ্ছে এই দেশে।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: সকল কথিত ক্রস ফায়ারকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরা হবে এবং এর সাথে যুক্ত সকলের বিচার হবে।

২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

মাহফুজ বলেছেন: বিচার দেখিয়া চোখ মুজিবার সুযোগ কি পাইব?

৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সামনে নির্বচানের সম্ভাবনা, নিজেদের সামগ্রীক ব্যর্থতা আড়াল, করিৎকর্মা চরিত্র এষ্টাবলিষ্ট! সুযোগে বিরোধীদের যে কটা নতুন মাথঅ গজাইতে চায় তাদেরও বাটে ফেলার সুযোগে! আর বদি গংকে বাঁচাতে এরকম ১০-২০ জন বলি তো মামুলি তাদের কাছৈ!
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী সাফাই গায় বদির পক্ষে! অথচ কোর্টে মামলার এবং বাস্তবতা সবাই জানে! তবুও ন্যাকামী করে প্রমাণ চায় সাংবাদিকদের কাছে!
র্যবের ডিজিো সাফাই গায় বদির! বাহ। ভবিস্যতের ইয়াবা সম্রাটদের জন্য ইশারা!
আমাদের হাতে রেখে করো কেউ টিকিটিো ছুঁতে পারবে না ;) নয় কি?

২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

মাহফুজ বলেছেন: একদম! প্রেক্ষাপট কিন্তু এমনই লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.