নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপে ভিনদেশি পতাকায় দেশপ্রেম ও মানবতার আস্ফালন

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৭


আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল কিংবা অন্যকোনো ভিনদেশি পতাকা লাগিয়ে আমরা কিছু মানুষ একটু ফুটবল উন্মাদনা প্রকাশ করলেই আপনাদের দেশপ্রেম মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

দেশের বিশেষ কিছু দিন যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক তখন আপনাদের দূরবীন দিয়েও পাওয়া যায়না।
আপনাদের সেদিনও পতাকা বা দেশের প্রতি সামান্য মমতা জাগেনা যে বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে, রস্তাঘাট সর্বত্র হাজারে হাজার দেশী পতাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় এবং মানষের পায়ে পদদলিত হতে থাকে।

বিশ্বকাপ এলেই কেউ কেউ এসে আহাউহু করেন টাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে বলে। পতাকা না বানিয়ে এই টাকা দিয়ে কি কি করা যেতো তার ক্যালকুলেশন করে অর্থনীতিবিদ বনে যান অনেকেই।

তাদের কাছে প্রশ্ন, আচ্ছা এই টাকা তো ঘুরেফিরে দেশের অর্থনীতিতেই লাগছ, পাড়ামহল্লার দর্জিরা কিছু অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করছে পতাকা বানানো উপলক্ষ্যে। বিষয়টা কি ভেবে দেখেছেন?

আপনাদের আস্ফালন শুনে মনে হয়, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল থেকে পতাকার কাপড় কিনে নিয়ে আসা হয়। অথচ পতাকার কাপড়টা কিন্তু সলিড বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরাই পকেটে ভরছেন। পারলে সেই ব্যবসায়ীদের গিয়ে বলুন লাভের কিছু টাকা মানবতার পথে ব্যয় করতে।

অনেক মানবতাবাদীরা হায়হায় করে মাথা ফাটিয়ে বলেন, এই টাকা দিয়ে এতিমদের দুবেলা খাওয়ানো যেতো, দুস্থদের ঈদে কাপড় হতো ইত্যাদি ইত্যাদি। হাজারটা জটিলতাপূর্ণ জীবনে সামান্য বিনোদন লাভের আশায় কেউ দুই পয়সা উড়িয়ে দিলেই আপনাদের হাপিত্যেস শুরু হয়ে যায় আর দেশের কোটিকোটি টাকা লুটেরাদের নিয়ে কিছু বলতে গেলেই আপনাদের দলান্ধতা বেরিয়ে আসে। আসলে তাদের ব্যপারে বলতে ভয় পান কিংবা নিজেদের দলীয় আপনা মানুষ তাই চুপ থাকেন। আসলেই যদি দেশপ্রেমিক হতেন তাহলে প্রশ্ন ভিনদেশী পতাকায় মাথা না ঘামিয়ে মাথা ঘামাতেন ভিনদেশে বাংলাদেশী একজন ছাত্র যার উপার্জনের কোনো প্রমাণ নেই সে কিভাবে ২০০-৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে? ২০০-৩০০ কোটি টাকায় আপনার নজর নেই কারণ সে বড় মানুষের বড় সন্তান। আপনি দেশপ্রেম দেখাতে আসবেন আমাদের ২০০-৩০০ টাকার পতাকার নির্ভেজাল বিনোদনে।
সম্মানিত দেশপ্রেমিকগণ ক্ষমা করবেন কারণ আপনাদের চোখে আমরা আজীবন বিদেশপ্রেমিকই থেকে যাবো।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা খেলা পছন্দ করেন, তারা দলও পছন্দ করতে পারেন; পছন্দের দলকে সাপোর্ট করতে গিয়ে পতাকা লাগানোটা আসলে ম্যাঁওপ্যাঁও মনোভাবের পরিচয়।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৮

মাহফুজ বলেছেন: জ্বী থযথার্থ বলেছেন। ঘরে ঘরে নৌকা আর ধানেরশীষের পতাকা টাঙ্গালে বিষয়টা মানানসই হতো, ম্যাওম্যাও লাগতোনা।

২| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।
আমাদের মত বিদেশপ্রেমিকরা ম্যাওপ্যাও মনোভাবের পরিচয় দিয়ে এইসব পতাকা কিনে বলেই কিছু মানুষ বিশ্বকাপের মাসটাতে পতাকা বেচে ২বেলা পেটের মধ্যে দেওয়ার জন্য ভাত জোগাড় করতে পারে।

৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩১

কাইকর বলেছেন: একমত আপনার সাথে

৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আগেই বলছিলাম, গ্যারেথ বেল নামছে। গোলও দিয়ে দিয়েছে মামা...

৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: পতাকা লাগানো তে আপত্তি নেই কিন্তু পাশের নিজের দেশেও পতাকা লাগাতে হয় এবং তাও অন্য দেশের পতাকার থেকে একটু উঁচুতে। এটাই নিয়ম।

জনপ্রিয় একনায়ক থমাস শঙ্কর (১৯৪৯ -১৯৮৭ )

৬| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

তানিম৭১৯ বলেছেন: আমরাতো একমাসের জন্যই পতাকা লাগাই, এতে অসুবিধাটা কোথায়??? যে দেশের সাপোর্ট করবো তারটাই লাগাবো। এটা শুধুমাত্র আনন্দের জন্যই করি। আমাদের দেশপ্রেম এতো ঠুনকো নয় যে কমে যাবে.. বিন্দুমাত্র কমবেনা। আমরা যখন বিশ্বকাপে খেলবো তখন আমাদের পতাকাও লাগাবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.