নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উদ্দেশ্য..

১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫


মনেমনে যতোই বলি রাজনৈতিক কোনো লেখা লিখবোনা তারপরেও কেন জানি না লিখে থাকতে পারিনা। আমরা অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন জনের মন যুগিয়ে চলি। এই মন যুগিয়ে চলা কখনো নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আবার কখনো বিভিন্ন সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। তারপরেও মাঝেমধ্যে অপ্রিয় কিছু সত্য কথা বলে কারো বিরাগভাজন হতেও প্ররোচনা আসতে থাকে ভেতর থেকে। তেমনি এক প্ররোচনায় আজকের লেখাটি। লেখাটা অযৌক্তিক বা মনগড়া মনে হলে কমেন্ট বক্স উন্মুক্ত আছে আমাকে শোধরে দেবার জন্য।

ভূমিকা করে ফেলেছি বেশী, প্রসঙ্গে আসা যাক। বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে বেশ কিছুদিন হলো। আমার অন্তত চোখে পড়েনি এই ব্যপারে সংগঠনটির কোনো জোরালো আন্দোলন। চোখে যেটা পড়েছে তা হলো বিএনপিকে নিয়ে মানুষের ঠাট্টাতামাসা আর ট্রল। তারা নাকি বাড়ীর ছাদে উঠে আন্দোলন করছে কিংবা সেই সংলাপ-ঈদের পরে কঠোর আন্দোলন ইত্যাদি। অনেকে বলছেন মা কারাগারে আর সন্তানেরা ব্যস্ত আখের গোছাতে।

আমি একটা বিষয় হলফ করে বলতে পারি, বেগম খালেদা জিয়ার স্থানে যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো কারণে কারাগারে থাকতেন (সরকারী বা বিরোধীদল যেকোনো অবস্থানে) তাহলে আন্দোলনের তীব্রতায় দেশের জনগণ হয়তো ঘরের বাইরে আসতে পারতোনা। এমন দৃষ্টান্ত ইতিহাসে আছে যা এখনো খুব একটা মলিন হয়ে যায়নি।

আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে দুইটা বিষয়, এক. আন্দোলনহীনতা আর দুই কমিটি বানানোর হিড়িক। কমিটি করা হচ্ছে, পদ পদবী বণ্ঠণ করা হচ্ছে দেদারসে। অমুক ভাই সভাপতি, তমুক ভাই সেক্রেটারি হচ্ছেন আর সে উপলক্ষ্যে বেনার, ফেস্টুন, ফেইসবুক পোস্ট কোনো কিছুরই কমতি হচ্ছেনা। চারিদিকে অনেকটা উৎসবের আমেজ। নেতারা অর্জন করছেন কাঙ্ক্ষিত পদ আর সদস্যরা আনন্দ উল্লাসে ভাসছেন নিজেদের গ্রুপে পদ আসায়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই পদপদবী কিসের জন্য? বৃক্ষের মূল যেখানে তিলেতিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে সেখানে শাখাপ্রশাখা দিয়ে হবেটা কি? আমার কেন জানি মনে হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দলের এমন উদ্ভট কর্মকাণ্ডে এই দেশ থেকে রাজনীতির চর্চা চিরতরে বন্দি বা বিলীন হতে চলেছে।

তবে এটা যেমন অনস্বীকার্য এবং দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার যে, হামলা মামলা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিকে পর্যুদস্ত করে রেখেছে এবং মাথাতোলে দাঁড়াতে দিচ্ছেনা তেমনি এটাও মেনে নিতে হবে যে, পৃথিবীর কোথাও কোনো অধিকার আদায়ের আন্দোলন সহজ হয়না। ছোটবড় প্রতিটা আন্দোলনের পেছনে জমা থাকে অনেক অনেক নিষ্ঠুরতা আর ত্যাগের গল্প।

যাইহোক, সুষ্ঠ রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতির অবাধ চর্চার মনোবাসনা থাকলে, কোটিকোটি জনতার সুষ্ঠ,সুন্দর, নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে ঘরে বসে নয়, রাজনীতি করতে হবে মাঠে ময়দানে। পদপদবীর পিছে না ছুটে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইটাকে মূল কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে আগাতে হবে।

সবাইতো রাজনীতি করেনা। আমার মতো রাজনীতির মাঠের বাইরে কোটি কোটি মানুষ আছে যাদের কাছে রাজনীতি মানেই ব্যালট পেপারে সীল মারার মুহূর্তটা শুধু। আমাদের চাওয়া বিএনপি কিংবা আওয়ামিলীগ অথবা অন্য কেউ যারাই নির্বাচনে জয়ী হোক আমরা যেন সুষ্ঠ নির্বাচন পাই আর নিজেদের অভিমত ব্যালট পেপারে ব্যক্ত করতে পারি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

কাইকর বলেছেন: ভাই আজকে আমিও বাস্তবতার শিকার হয়ে রাজনৈতিক একটা পোস্ট করেছি।

২| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর বৃহত্তম বিমান বন্দর কোনটি??

৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওয়ামী আর বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে পার্থক্যই হলো উগ্রতা। শেখ হাসিনা জেলে থাকলে অনেক ক্যাচাল চলত দেশে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.