নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাসঃ সময়ে সময়ে পাল্টে যায়

১০ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৩৭



আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে বা বলতে গেলে দেশের সাধারণ নাগরিক/ছাত্রসমাজ ও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে চিন্তা করতে হয় কোনটা লিখে বা বলে কার মন রক্ষা করবো? কোথায় কোনোটা বললে কিভাবে লাভবান হবো? কোন বিষয় উল্লেখ না করলে আর কোন বিষয় জোরালোভাবে উল্লেখ করলে কারো প্রিয়ভাজন বা বিরাগবাজন হবো?  এরচাইতে লজ্জার কিছু কী হতে পারে যেখানে কেউ জেনেশুনে মিথ্যা ইতিহাসের কথা বলে আবার কেউ জেনেশুনে সত্য এড়িয়ে যায়।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সর্বেসর্বা বলে সর্বত্র সমাদৃত হন ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এবং শুনেছি। বইপত্র, পাঠ্যপুস্তকে জিয়াকেই সকল কৃতিত্ব দিতে দেখা গেছে বিএনপি সরকারের সময়। তখনকার সময়ে ছাত্রাবস্থায় বিভিন্ন পরিক্ষায় আমি নিজেও জিয়াউর রহমানকে ক্রেডিট দিয়ে লিখেছি কারণ আমি যা জেনেছিলাম তখন তাই তো লিখেছিলাম।

পরবর্তীতে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় এলে প্রেক্ষাপট পাল্টে যেতে দেখলাম। বঙ্গবন্ধুকে করা হলো মুক্তিযুদ্ধের ওয়ান ম্যান আর্মি। তখন জেনারেল জিয়াকে তো মুক্তিযোদ্ধা বলতেও রাজি হননা অনেক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তি যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ অতি সাম্প্রতিক সময়েই ঘটেছে এবং আগেও ঘটেছিল। ক্ষমতার পালাবদলে আমিও লেখার পট-পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এলাম সামনের কাতারে অথচ কিছুদিন আগেও আমার জানামতে হয়তো জিয়াউর রহমানই ছিলেন সব। বিএনপি আমলে শুনেছি "বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছাড়া কী আছে মুক্তিযুদ্ধে? শুধমাত্র ভাষণ দিয়ে দেশ কী স্বাধীন হয়েছিলো না-কি সম্ভব" ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বকে চরমভাবে অস্বীকার করতে। শুধু তাই নয় এমন প্রকাশ্য সমালোচনাও আমরা পত্রপত্রিকা এবং জাতীয় টেলিভিশনের বিভন্ন চ্যানেলে দেখেছি ও শুনেছি যে "গোটা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবার বা বর্তমান আওয়ামিলীগের কয়জন রণাঙ্গনে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন সেটাই নাকি প্রশ্নবিদ্ধ!

অতঃপর কালেকালে এই বর্তমান সময়ে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাবই প্রায় বিলীন হতে দেখছি। এখন এইযে একই ইতিহাসের আলাদা এবং ভিন্নভিন্ন গল্প সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকেও দ্বিধাদ্বন্দে ফেলা হলো তার সমাধান কী আদৌ কখনো সম্ভব?

রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ নয় মাসে শেষ হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সময়ে সময়ে বিকৃত এবং স্বার্থহাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে। অন্তত আমি মনে করিনা গোটা বাংলাদেশের ইতিহাস নির্লজ্জ মিথ্যাচারে যেভাবে বিকৃত ও বিতর্কিত করা হয়েছে কালে কালে তা আর কেয়ামতপর্যন্ত কখনো সর্বজনস্বীকৃত হবে।

#মহান_মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে কিংবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেও মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সঠিক স্বীকৃতি পাননি অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।

জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে গেছে কিংবা এখনো করছে এমন হতভাগ্য মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাও অসংখ্য।

অন্যদিকে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করা তো দূর এমনকি যুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় নিরাপদ জায়গায় ঘাপটি মেরে থেকে পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা সেজে সুবিধাভোগীর সংখ্যাটাও বিরাট।

শুধু কী তাই? ১৯৭১ সালে জন্ম না নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা এবং বাপদাদা কেউ যুদ্ধে অংশ না নিলেও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে নানারকম অবৈধ সুযোগসুবিধা ছিনিয়ে নিচ্ছে এমন বাটপারও আছে অগনিত।

আমার প্রশ্ন হলো নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হলো কিন্তু অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিতর্কের অবসান হলোনা কেন? ক্ষমতার পালা বদলের সাথে দেশের ইতিহাস কিভাবে পাল্টে যায়? এই স্বাধীন বাংলাদেশ কী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের বা কোনো ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত এসেট যে সময়ে সময়ে তা পাল্টে যাবে? মুক্তিযুদ্ধ তো একবারই সংগঠিত হয়েছিলো তাহলে ইতিহাস কেন নানাজনের নানা অভিমত আর আদর্শের সমন্বয়ে তৈরী হবে?

আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস আসলে শুধুমাত্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃত হয়নি সেই সাথে মিথ্যাচারও হয়েছে ধাপেধাপে । সবচাইতে বিতর্কিত ও বিভক্তি সৃষ্টিকারী দুটো বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করে লেখাটা শেষ করবো। হ্যাঁ আমি জানি আমার মতো মানুষের ইতিহাস নিয়ে এতো আলোচনা-সমালোচনা করা মানায়না। এইলেখা হয়তো অনলাইনের কোথাও আরো অসংখ্য লেখার মতো পরে থাকবে লোকচক্ষুর আড়ালে কারণ আমি কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্ব নই যার লেখা বিরাট সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। তবে এই যে লিখলাম এবং মনের মাঝে জমিয়ে রাখা প্রশ্নগুলো ও চিন্তাভাবনাটা প্রকাশ করতে পারলাম সেটাতেই আমার সন্তুষ্টি। -

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মুক্তিযু্দ্ধের ইতিহাস লিখুন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:০৬

মাহফুজ বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে কথা বললে কী ইতিহাসই লিখে ফেলতে হবে? ইতিহাস লেখার যোগ্যতা আমার নাই আর কোনোকালে হবেও না কারণ ইতিহাসকে যেভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে যখন যার যেভাবে প্রয়োজন সাজিয়েছে তাতে কেয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও আর সঠিক ইতিহাস লেখা সম্ভব হবেনা। তাছাড়া ভাই আপনি তো আমাকে লিখার কথা বলে আবার কী লিখব আর কী লিখবনা সেটাও বলে দিচ্ছেন, নিজেই লিখে ফেলছেননা কেন?

২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৫৮

স্প্যানকড বলেছেন: কাপড় পাল্টানোর মতো ইতিহাস পালটায় যেখানে। সেখানে আপনার কথা কে শুনবে? ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন কওয়া তো যায় না আপনে আবার ইতিহাস হয়ে যান কি না !

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:০৯

মাহফুজ বলেছেন: আসলেই প্রতিবার ঈদপূজোয় যেমন নতুন কাপড় আসে তেমনি প্রতিবার ক্ষমতার পরিবর্তনের সাথে ইতিহাসেরও আধুনিকায়ন ঘটে।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:২০

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ১৯৯০এর আগ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে মুজিব-জিয়ার ক্রেডিট নিয়ে কোনো বির্তক হয় নি। তখনকার বইতে আমরা দুইজনের কথাই পেয়েছি। বির্তকটা শুরুই হয়েছিল ১৯৯০এর পর থেকে এবং তারপর যতদিন গেছে, নোংরামী তত বেড়েছে।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:১৫

মাহফুজ বলেছেন: কারণ তখনো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে নিজের নাম জুড়ে দেয়ার চিন্তাও প্রেসিডেন্ট এরশাদের মাথায় আসেনি বা প্রয়োজনও পড়েনি। তাই তো সামরিক শাসন শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছিলো সব নাটক, সিনেমা।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শেখ মুজিবের সাথে জিয়ার তুলনা হল বট গাছের সাথে আগাছার তুলনা।জিয়া যে কয়দিন দেশ শাসন করেছেন তার পুরো শাসন কালকেই অবৈধ ঘোষণা করেছে কোর্ট।
বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় যায় ( সম্ভাবনা কম) এবং তারা যদি আবার জিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় সেটা হবে তাদের চরম ভুল।যে ভুল তারা বর্তমানে করছে জিয়া পরিবারকে পার্টির নেতৃত্বে রেখে।আমাদের নতুন নেতৃত্ব দরকার,বর্তমান যোগের নেতৃত্ব ।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪০

মাহফুজ বলেছেন: বিএনপিই মূলত এদেশটি প্রবলভাবে অলিখিত একনায়কতন্ত্র এক রাষ্ট্রে পরিণত হবার জন্য দায়ী। তারা রাজনীতি করেছে নিজের জন্য, জাতীয় ইস্যু বুঝেনি, জনগণের সাথে সংযোগ ঘটাতে পারেনি সেই সুযোগেই আওয়ামিলীগ রাজনৈতিক দক্ষতা দিয়ে প্রতিনিয়ত সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি লিখেছেন, "... লেখক বলেছেন: কারণ তখনো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে নিজের নাম জুড়ে দেয়ার চিন্তাও প্রেসিডেন্ট এরশাদের মাথায় আসেনি বা প্রয়োজনও পড়েনি। "

-এরশাদ চাইলে কি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জড়িত হতে পারতো?

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৬

মাহফুজ বলেছেন: তা পারতো না তবে আমি শুধু এটুকুই বুঝাতে চেয়েছি তখনো মহান মুক্তিযুদ্ধের অপব্যবহার শুরু হয়নি।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

অক্পটে বলেছেন: আগে এমন ছিলনা। ইতিহাস বিকৃতিতে আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখছে।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪০

স্থিতধী বলেছেন: আপনার এই ক্ষোভ খুব যৌক্তিক ক্ষোভ । আমি জানিনা দুনিয়ার আর কয়টা দেশ আছে যেখানে রেজিম পরিবর্তনের সাথে সাথে জাতির জন্ম ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে এতো ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করার নির্লজ্জতা দেখানো হয়। আমি শুনেছি খুব সম্প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি তাঁদের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন শুরু করেছে যাতে সেকুলার কোন ভ্যালু বাচ্চাদের মধ্যে না থাকতে পারে। কিন্তু এটাও ঘটতেছে তাঁদের স্বাধীনতার ৭০ বছর পর। কিন্তু আমাদের মতো স্বাধীনতার ২০-৩০ বছরের মধ্যে একটা জাতি তাঁদের জন্ম ইতিহাস ইচ্ছামতো বদল করে গেছে এমন নজির আমার মনে হয়না আর কোথাও আছে। এবং এটা যারা শুরু করেছে তাঁরা কখনো বাংলাদেশ পন্থী ছিলোনা।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

মাহফুজ বলেছেন: এই জিনিসটা ভাবলেই কষ্ট লাগে ঘৃণা লাগে। এতো অদলবদল! এ যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নয় রেনডমলি কোনো গল্প লিখছে সবাই৷

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

স্থিতধী বলেছেন: @ দূর আকাশের নীল তারা

৪ নং কমেন্টে আপনি যা বলছেন তা আরেকটি ধোঁয়াশার জন্ম দিচ্ছে। কিছুদিন আগে ব্লগার সরল পাঠের এই পোস্টের ৩ নং কমেন্টে আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে ১৯৮৬ তে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে শেখ মুজিবের কথা ও তাঁর ৭ মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ ছিলো কিনা? উত্তরে তিনি জানিয়েছেন ছিলোনা। ১৯৮৬ তে আপনি কোন শ্রেনীতে ছিলেন?

৯| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পোস্ট ভাল লেগেছে। মোদ্দাকথা, বর্তমানে ইতিহাস সরকারের নির্দেশে কিম্বা খুশী করতে ফ্যাক্টরীতে তৈরী হয়।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

মাহফুজ বলেছেন: আচ্ছা অনেক বিজ্ঞজনেরা এখানে মন্তব্য করছেন, সবার উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্নঃ আমার মতো যারা কোনো সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনের মতাদর্শ অনুসরণ করেনা, যার মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মও হয়নি সে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হিসেবে কোনটাকে গ্রহন করবে এবং কোনযুক্তিকে গ্রহন করবে? মনে করলাম কেউ এসে বললো আওয়ামিপন্থী যে ইতিহাস সেটা গ্রহন করতে কিন্তু সেখানে অসংখ্য মানুষ, ইভেন ভ্যালিড মানুষ এসে বিরুদ্ধাচারণ করবে। ঠিক তেমনি বিএনপি পন্থী ইতিহাস ফলো করতে গেলেও একইভাবে দ্বিমত দেখা দেবে এবং অযৌক্তিক হবে তাও না। তাহলে প্রয়োজন নিরপেক্ষ প্রেক্ষাপট বা মাধ্যমে তৈরী কোনো ইতিহাস। সেই সর্বজনস্বীকৃত কয়টা নিরপেক্ষ ইতিহাস আমাদের জানামতে আছে? এই যদি অবস্থা তাহলে আমি কী ভুল বললাম যে বিকৃত হয়ে যাওয়া ইতিহাস আর কখনোই শতভাগ বিশুদ্ধ হবেনা বরং বাড়বে বিকৃতি কারণ তৎকালীন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপস্থিত প্রবীণরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করছেন।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৪

অক্পটে বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যারা নির্মোহভাবে বই লিখেছেন। ঐ সময়ের ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করেছেন সেসবই হল সঠিক তথ্যসম্বলিত ইতিহাস। এখন যারা হাসিনাকে খুশি করার জন্য লিখছেন এসব হবে গার্বেজ। কারণ কিছু বিকৃত কুলাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের দুজন নমস্য ব্যাক্তিকে মানুষের মাঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। একজনকে বটগাছ আরেকজনকে আগাছা বলে! একজন জাতিয় বীরের বীরত্বকে যদি কোন দলবাজ কুলাঙ্গার এমন হেয়ভাবে প্রকাশ করে এতে বীরের কি আসে যায়। প্রকৃত ইতিহাসকে যারা বিকৃত করতে চায় ওদের আশা পূরণ হবেনা। ওসব গার্বেজ একসময় পরিস্কার হয়ে যাবে।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৪

অক্পটে বলেছেন: আপনার কি মনে হয় এই মাফিয়া সরকার জনগণের সাথে সংযোগ ঘটাতে পেরেছে? যদি এমনই মনে হয় তাহলে আপনার রাস্তা তাদের থেকে ভিন্ন নয়। রাতের ভোট ব্যবস্থাকে আপনি রাজনৈতিক দক্ষতা বলছেন। ভালো।

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিকার ইতিহাসটা কিন্তু কেউ বদলে দিতে পারে না। আর ইতিহাস দামাযাপা দিয়ে বেশী দিন রাখা যায় না।

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শেখ মুজিবের সাথে জিয়ার তুলনা হল বট গাছের সাথে আগাছার তুলনা।জিয়া যে কয়দিন দেশ শাসন করেছেন তার পুরো শাসন কালকেই অবৈধ ঘোষণা করেছে কোর্ট।
পরে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কোর্ট এই সরকার এবং বাকশালী সরকার'কে কি বলবে বলুন দেখি?

আপ্নারদের মতো ধান্দাবাজ লোকজনের জন্যই আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বার বার বিকৃত হয়েছে। নির্লজ্জ মিথ্যাচার হয়েছে। ১৯৭১ সালের পাকিস্থানী সরকারী চাকুরিজীবিরা আজ মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছে। একটা মুক্তিযুদ্ধের মেশিন বসিয়েছেন, বা'লের যেই সেই মেশিনে ঢুকবে তারাই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হয়ে আসে! রাজাকার নুরুল ইসলামের গাড়িতে এরাই প্রথম জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল।

১৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

অক্পটে বলেছেন: নুরা'রা ভাবছে পরেরবার মনেহয় আর কোন কোর্ট নেই। তবে নূরারা জানেনা যে সময় কখনো কখনো আচমকাই পাল্টে যায়। এই আচমকা পাল্টে যাওয়া সময় কতোখানি মধুর হবে তা আবার সময়ই বলে দিবে।

১৬| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: কি বলব ... নিরবতা।

১৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই কয়েকদিন আগে একজন মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করে করেছে সরকারি মুক্তিযোদ্ধা লিস্টে নাম বাদ পড়ায়। পরে উনাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে দাফন করে

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

অক্পটে বলেছেন: @নেওয়াজ আলী- মরনোত্তর সম্মাননা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.