নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক অর্থহীনের আর্থিক ভাবনা

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:০০



সংবাদ শিরোনামঃ
সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৫০ টি ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থশূন্য।

গতকাল সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় লাখ লাখ মানুষ নিজেদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ফিরে এসেছেন শূন্য হাতে। হঠাৎ করেই বিনা নোটিশে বন্ধ করে রাখা হয়েছে শীর্ষস্থানীয় অসংখ্য ব্যাংক শাখা। গ্রাহকরা দিশেহারা আর ব্যাংক কর্মকর্তারা কেউ নির্বাক কেউ পলাতক!!! গ্রাহকেরা দিশেহারা হয়ে ছুটছেন এখান থেকে ওখানে সমাধানের আশায়। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্যান্য ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে তুলে ফেলছেন কোটি কোটি টাকা। বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে!!!!!

কি বিস্ময়ে চোখ বড় হয়ে গেছে, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে লেখাটা পড়তে পড়তে?

তাহলে নিশ্চই কোনো না কোনো ব্যাংকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থকড়ি আপনার জমা আছে। আপাততঃ দুশ্চিন্তা মুক্ত হোন, এই লেখা পুরোটাই কাল্পনিক। তবে যদি সত্যি কখনো এমন হয় তখন সেই শোক সইবার ক্ষতা আছে নাকি?


আমার বাপু স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক দেওলিয়া হলেও মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই৷ ব্যাংকে টাকা থাকলে তো মাথাব্যথা থাকবে।
আচ্ছা বলুন তো ক্রমাগত অর্থপাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, কেলেংকারী ইত্যাদি কি এমন ভয়াবহ কিছুই ইংগিত করে না? খুব কি অস্বাভাবি কিছু হবে উপরের কাল্পনিক লেখাগুলোও যদি সত্যি কখনো বাস্তবে রূপ নেয়?

আসলে আমার তো টাকাপয়সা নাই।আমার কাছে টাকা থাকলে আমি জায়গাজমি কিনতাম, গাড়ি কিনতাম, সোনাদানা কিনতাম প্রয়োজনে মাটি খুড়ে প্রাচীন আমলের মতো টাকা পুুঁতে রাখতাম, পুকুরে চুবিয়ে রাখতাম তবুও ব্যাংকে আমার কষ্টে উপার্জিত টাকা রাখতাম না।

বাই দ্য হাই ওয়ে "কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেওলিয়া হলে/বন্ধ হলে/অবসায়িত হলে সেই ব্যাংকে গ্রাহকের যত লাখ/কোটি টাকাই থাকুক না কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে মাত্র এক লাখ টাকা" এই আইনটা কি এখনো বলবৎ আছে? এতবড় একটা জোচ্চুরিপনা/প্রহসন কীভাবে আইন হিসেবে স্বীকৃতি পায় জানি না। মনে করি করি একটা ব্যাংকে ১ হাজার কোটি টাকা আছে। বেশ কিছু কোটপতির সাথে সাধারণ লাখপতি পাবলিকের টাকাও আছে। ব্যাংকের হর্তাকর্তা বা মালিক পক্ষ সিদ্ধান্ত নিলো টাকাগুলো আত্মসাৎ করবে এবং লাখ টাকা করে সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবে। ব্যাস, কেল্লা ফতে। ৫ গ্রাহক থাকলেও তাদের তো ক্ষতিপূরণ আসবে মাত্র ৫ কোটি আর হাজার কোটি হয়ে যাবে হরিলুট। তাহলে এই আইন কি এরকম সহজ আত্মসাৎ বা কেলেংকারী করার সহায়তায় সৃষ্টি নাকি?



একজন অর্থহীনের অর্থচিন্তা
(Sayed Mahfuj Ahmed)

ভেরি ভেরি স্পেশাল দ্রষ্টব্য: ইহা একখানা তাফালিং মার্কা পোস্ট, অলস মস্তিস্ক থেকে শয়তানের প্ররোচনায় সৃষ্ট কল্পকথা। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, দুশ্চিন্তা করবেন না। বাংলাদেশ একটি বড়লোক দেশ, এই দেশের ব্যাংক দেওলিয়া হতে যাবার প্রশ্নই উঠে না।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই সংবাদের সত্যতা কতটুকু ?
দুশ্চিন্তার কি আছে ?
প্রয়োজন হলে টাকা ছাপাবে। লাগে টাকা দেবে গৌড়ি সেন। =p~

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪০

মাহফুজ বলেছেন: সংবাদ তো কাল্পনিক বলেই দিলাম। টাকা ছাপানোর সরঞ্জামাদি আর লোকবল থাকবে তো?

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রশ্নপত্র ছাপানো থেকে ফাঁস এবং বিতরণ করতে সরঞ্জামাদি আর লোকবলের অভাব হয় না আর টাকা ছাপানোর ক্ষেত্রে অভাব হবে !!!
আপনি মশাই ফাজলামো করছেন নাতো ?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৮

মাহফুজ বলেছেন: চাইলেই টাকা ছাপানো গেলে আর লোকবলের সমস্যা না থাকলে এখনই ছাপায় না কেন? টাকা ছাপিয়ে আমাদের মতো হাড়হাবাতেদের বিলি করে না কেন?

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

বিটপি বলেছেন: ব্যাংক যতদিন দেউলিয়া না হচ্ছে, ততদিন আপনার নগদ টাকা তুলতে কোন সমস্যা হবেনা। ছাপানো টাকা দিয়ে বিনিময়ের দিন ফুরিয়ে আসছে। একটা সময় আসবে যখন বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ছাড়া লেনদেন করাই যাবেনা বা অবৈধ হয়ে যাবে। হতে পারে একদিন বাজার থেকে ছাপানো টাকা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে। সম্পদের স্বচ্ছতা এবং দায়ত্বশীল ব্যক্তিদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এই সিস্টেম একদিন কার্যকর হবেই হবে। তখন দেশের কালো টাকা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব না থাকাতে অর্থনীতি অনেক এগিয়ে যাবে এবং সম্পদের বণ্টনও অনেক সুসম হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

মাহফুজ বলেছেন: ছাপানো টাকার চল অদূর ভবিষ্যতে খুবই সীমিত হয়ে যাবে সন্দেহ নেই তবে সে পর্যন্ত এই ভঙ্গুর রাষ্ট্র আর জনগণ টিকে থাকলেই হলো।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

রবিন.হুড বলেছেন: ব্যাংক দেউলিয়া হলে গ্রাহক ঝুকি বীমা থেকে পাবে এক লক্ষ টাকা এবং আর ব্যাংকের স্থাবর -অস্থাবর সম্পত্তি নগদায়ন করে গ্রাহকের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যদি গ্রাহকের পাওনা থেকে ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ কম হয় তবে আনুপাতিক হারে প্রদান করা হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

মাহফুজ বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি দেবার জন্যে।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: টাকা পয়সা নাই- হারাবার চিন্তাও নাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩১

মাহফুজ বলেছেন: আপাতদৃষ্টিতে টাকাপয়সা নাই, চিন্তাও নাই এমন আপনার আমার মতো লোকই বেশী কিন্তু সত্যি এমন অস্বাভাবিকভাবে ব্যাংক দেওলিয়া হলে সবাই বিপদে পড়বে। টাকা থাক, না থাক ভুগতে হবে।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাংকে টাকা নাই। কিন্তু টাকা গুলো আছে। বস্তায় বস্তায় বন্ধী টাকা আছে বহু লোকের কাছে। কালো টাকা বলে, ব্যাংকে রাখা যাচ্ছে না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

মাহফুজ বলেছেন: বস্তাভরা টাকা তো আছেই ভাই। অভাব নাই। সেগুলো তো মালিকের কাছে আছে কিন্তু সাধারণ পাবলিকের ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা টাকাগুলো আছে তো?

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে প্ল্যান করে দেউলিয়া করা হয়েছিলো বারবার; সরকার বাজেটের টাকা দিয়ে ষেগুলোকে আবার মুলধন দিয়েছে বারবার; এতে দেশের ভয়ংকর ক্ষতি হয়েছে বারবার; এগুলো ছিলো ভয়ংকর অপরাধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.