নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক থেকে নেয়া - একটি শিশুর জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩

কি বলবো কি দিয়ে শুরু করবো বুঝে উঠতে পারছি না। শুধুই চোখে পানি চলে আসছে। এই ছেলেটির নাম তাসিন।আমার ছেলে ও সে একই স্কুলে একই সেকশন এ পড়ে। এবার ক্লাস six এ পড়ে। সেন্ট যোসেফ স্কুলে। আপনারা জানেন বাংলাদেশে যতোগুলো স্কুল আছে তাঁর মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় সেন্ট যোসেফ স্কুলে কোন তদবির ও ভিন্নভাবে ভর্তির এই স্কুলে সুযোগ নাই। আর এই স্কুলে টিকে থাকতেও অনেক কস্ট। আমার ছেলের মতো এই ছেলেটিও সেন্ট যোসেফ স্কুলে পড়ে এবার PSC পরীক্ষা দিলো। ওর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। PSC পরীক্ষা দিয়ে মাকে বলেছিলো মা তুমি চিন্তা করো না আমার খাতায় একটা কলম বসাতে পারবে না। ও এমনই ও তিন ঘন্টার পরীক্ষা দেড় ঘন্টায় দিয়ে বের হয়। মাঝে মাঝে আমরা অবাক হই। সবচেয়ে অবাক লাগে সে একটি পড়া একবার পড়তো দু' বার পড়তে বললে খুব বিরক্ত হতো। পরীক্ষায় একটা কমাও ভুল হতো না। আবার এক এক দিন এক এক হাতের লেখা অসম্ভব সুন্দর। টিচাররা কিছুটা অবাক হয়ে বলতো তাসিন এটা কি তোমার হাতের লেখা ও হাঁসতো।ক্লাসে সবার চেয়ে লম্বায় ছোট কিন্তু বুদ্ধিতে সবার বড়। আজ যখন হাসপাতালে গিয়ে দেখলাম নিস্তেজ শুয়ে আছে ঘুমের ঔষুধে। আর ওর মার ফুপিয়ে কাঁদা। আমি নির্বাক হয়ে গেলাম কি বলবো কি করবো হাত পা কাঁপছিলো। ভাবী বললো ভাবী গাঁয়ে হাত দেওয়া যায় না প্রচন্ড ব্যথা আমি তো সব সহ্য করতে পারি ও যখন ক্যান্সারের ব্যথায় চিৎকার করে আমি তখন সহ্য করতে পারি না।আমি ওকে থামিয়ে বলতে পারি না বাবা এ কস্ট আমাকে দে আমি কি করবো! আমিও থামাতে পারি নাই এই মায়ের কান্না। তাসিন নাকি সব বুঝে ডাক্তার ইংরেজিতে কথা বলে ওর মা বাবার সাথে তখন বলে আপনি যা বলছেন আমি বুঝি সব আমি সেন্ট যোসেফের ছাত্র। আমি তো জানুয়ারি থেকে স্কুলে যাবো নতুন বই নিয়ে নতুন ক্লাসে ডাক্তার কেন এমন পঁচা কথা বলেন। ডাক্তারও কেঁদে ফেলে। সন্তান সে যারই হোক প্রতিটি মা বাবার কাছে তার পার্থক্য নাই। আমি বললাম এর চিকিৎসা কি বাংলাদেশে সম্ভব। ডাক্তার বলেছে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাইরে নিয়ে যান। কিন্তু ওর পরিবারের এতো ক্ষমতা নাই আমরা যারা আছি যতটা করতে পারবো করবো আর বাকি টাকা না হলে কি এই মেধাবী শিশুটি চলে যাবে? এ কথা চিন্তাও করতে পারি না। ওর মা বলে আজ এগারো বছর যাবৎ আমি একটি দিনের জন্য ও কে রেখে থাকিনি। ও বলে মা আমি যখন চাকরি নিয়ে বিদেশ যাবো তখন তুমি বাবাকে সময় দিও। কিভাবে থাকবো আমি ছেলে ছাড়া। পাগলের মতো একই কথা বলে যাচ্ছে। আমি জানি আমি একা এর সব দায়িত্ব নিতে পারবো না। আমি আপনারা যারা পারবেন একটু এই ছেলেটার নতুন জীবন দানের জন্য সাহায্য করেন। জীবনে কোনদিন আমি এভাবে কিছু চাইনি এই ছেলের দিক তাঁকিয়ে আমিও তো মা সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করছি। আমরা একটু একটু করে এগিয়ে আসলে বেঁচে যাবে এই মেধাবী শিশুটি।আমরা কতো টাকা কতো ভাবে খরচ করি। একটু যদি এ ছেলেটার জন্য হাত বাড়াই এই নিস্পাপ শিশুটি বেঁচে যাবে। মানবতার হাত বাড়াই আসুন।ওর জন্য দোয়া করি সবাই।
Md. Abdullah Al Mamun,
Savings Account no- 7103, Panthapath branch, Islami bank Bangladesh limited এটা ওর বাবার একাউন্ট / বিকাশ নাম্বার 01618144474 এই নাম্বারে দিলে পাবে personal

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কি ধরণের ক্যান্সার? কোথায় নেয়ার কথা ভাবছে? কত সময়ের মাঝে নেবে?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

মাহিরাহি বলেছেন: ফেসবুক থেকে শেয়ার করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.