নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
( উৎসর্গ - গুণী ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই )
ইলিশের গন্ধে আজো ঘুরে যায় কত
ঝাঁঝালো বিক্ষোভ, অশ্রু , দুঃখ,পরাজয় ।- সৈয়দ শামসুল হক ।
গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেয়া অথবা চাঁদি বরাবর ধুম করে লাঠির বাড়ি বসিয়ে দেয়া ছাড়া স্বপ্ন রমিজার কোনদিন কি করেছে !
শুক্রবারে শাহরুখ খান কে নিয়ে সাহেবের বাড়ি না গেলে , তার ছোট ছেলের প্লেট হতে ইলিশের টুকরার ছোট একটা অংশ মেঝেতে ফেলে না দিলে এবং শাহরুখ খান শিকারি চিতার মত তা খপ করে তুলে গপ করে মুখে না পুরলে , ইলিশ বলে কিছু থাকত না , স্বপ্নেও আসত না । মরার শুক্রবার ! তখনো ট্যাঁ ট্যাঁ করে কাঁদছে শাহরুখ খান , ওর চোখের পানি রুপালি ইলিশ হলে কলকাতার জামাই ষষ্ঠী অনুষ্ঠানের
পাতে ভালই বিকোত !
' বাপরে , কান্দিস না বাপ ! পরের মাসে টেহা পাইলেই আইন্না দিমু ।' মা রমিজা খাতুনের আশ্বাসে ফোঁপানি আরো বাড়ে , নাকের বাঁশি আরো ফোলে শাহরুখ খানের । কিসের দোহাই
দিয়ে আপাতত ইলিশ হতে রেহাই পাওয়া যাবে রমিজা খাতুনের এমন ফন্দি- ফিকিরের মাঝে শাহরুখ খানের পিতা হাসেম ওরফে গাঞ্জা হাসেইম্যার কাচা ঘুম ভাঙ্গে এবং পাকালাল চোখে সোজা শাহরুখ খানের দিকে তাকিয়ে জমিদারি হাক ছাড়ে , কি অইছে ? কান্দে ক্যান ?
কান্নার কারণ জানার পর প্রথমটায় হেসে উঠলেও এক জাদুমন্ত্র বলে হাসিটা তীব্র রাগে রুপান্তরিত হয়ে জীর্ণ গলার চিকনা রগকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ফেলে '' থাবড়া দিয়া গাল ফাটায় লামু , হালায় ইলিশ মারায় ''
নামক বমশেল ছোট ঘরটায় বিস্ফোরণ ঘটায় ।বিস্ফোরণের সফলতায় শাহরুখের চোখে তৎক্ষণাৎ ফারাক্কা বাধের সৃষ্টি হয় এবং রমিজা খাতুনের মনে অনল প্রবাহের জন্ম হয় ।
''একটু না অয় পোলাটা আউস করছে ! ''- রমিজা ফোঁস করে বলে উঠে ।
আউস শব্দটার সাথে সাথে সায়েবের অগণন দেশি - বিদেশি মাছের হাজিরাওলা রসুইঘরের কথা মনে পড়ে রমিজার ।তার সাথে সাথে চলে আসে করিমার মা - " চুরি - চামারি করবানা কেলাম!! ।
কোনদিন ত বলল
না ''ওরে রমিজা !, তুই এই কয়ডা মাছ
রাখ , তোর পোলাডারে খাওয়াইস ! '' নিজে ত ঠিকই চুরি করস ! সায়েবের বউটাও খাণ্ডারনি ! দিলে দয়া নাই ।
'
- তবে সাহেব লোকটাকে বেজায় ভাল লাগে রমিজার । সাহেব , এত বড় ব্যবসায়ী আবার সামনে ইলেকশন ও করবে , রমিজাকে দেখলেই -
'কি রিনার মা! কেমন আছ ? সবাই কি ভাল ?' - কথাটা শুনতে খুব ভাল লাগে রমিজার । তার মনে একটা ছোট্ট আশা আছে । রিনার বিয়ার সময় সায়েব থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাইবে ।
রিনাকে রমিজা গারমেন্টে লাগিয়ে দিয়েছে , দেখতে দেখতে মেয়েটা
বিয়ার লায়েক হয়ে গেছে ।
সায়েবই বা দিবে না কেন ! সুযোগ পেলে বেডরুমে ডেকে পাঠিয়ে সায়েব যে রমিজার ব্লাউজের ভিতর হাত দেয় - রমিজা কি তা এমনি এমনি দেয় !
'কি যত্ন - আত্নি নেও না কেন ? ভাল মত না খেলে গাছের ফল শুকিয়ে যাবে যে ! - তারপর পকেট হতে ৫০০ টাকার কড়কড়ে নোট ! এমন ঘটনা অবশ্য মাঝে মাঝে ঘটে । এবার এমন হলে
সোজা ইলিশ ! রমিজা আরো ৫০০ টাকা এবার বাড়তি চাইবে ।
সুযোগ আসে না ফলে ভাবনারা ভাবনাতেই থাকে আর প্রতিরাতে
শাখরুখ খানের
মা ইলিশ আনবা না ? কবে আনবা ? এই প্রশ্ন টা রমিজার ক্লান্ত দেহে আগুন ধরিয়ে দেয় । ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ক্লান্ত দেহে হারামজাদার গায়ে
থাপ্পড় মারা হয় না , উলটা রমিজা বলে , আনমু বাপ , টেহা পাইলেই আন্মু , ঘুমা অহন বলে রমিজা ঘুমের ভান করতে থাকে । তখন হাসেমের উপর বড্ড রাগ হয় ।
'' খাওয়ান - পিন্দানের খবর নাই পোলার নাম রাখছে শাহরুখ খান ! এর লেইগ্যাই ত উঁচা নজর !
বাদাইম্মা ব্যাটায় কাম করলেই অয় , উলটা তারে চালান লাগে ! ''
মাছের ব্যবসা করার জন্য এনজিও হতে ধার নেয়া টাকাটাও মাসখানেক এর মধ্যে উড়িয়ে দিল !
'' হারাদিন আছে
খালি গাঞ্জা টাইন্ন্যা বইয়া থাকন '' । কিস্তির টাকাটাও এখন রমিজার ঘাড়ে ।
আরেক জালান জালায় রমিজার বুইড়া শ্বশুর । প্রতি রাতে আছেই রমিজা পেশাব করুম ! মরেও না , মাসে কয়েকশ টাকা রমিজার বুড়ার পিছনে খরচ করতে হয় ,না করলেও হয় না , বুড়া মানুষ ! আবার যদি নাতি - নাতনিগো অভিশাপ
দিয়া যায় ! '' এই বেডারে কি আল্লাহ চউক্ষে দেহে না ,জুয়ান জুয়ান কত বেডা মরে ! ''
- প্রায়ই এভাবে মনে মনে গজগজায় রমিজা । এই কয়েকশ টাকা জমিয়ে ঠিকই ত বড় একটা ইলিশ আনতে পারে সে !
এদিকে একের পর দিন যেতে থাকে , মা মেয়ের কামানিতেও কোন কূলকিনারা হয় না ,
টাকা হাতে আসার আগেই খরচের খাই টা হাঁ করে থাকে ।ঘিঞ্জি বস্তি হলেও ঘর ভাড়া কম না , রিনার অসুখ - বিসুখ লেগেই থাকে ,
রিনার ছোটটা আলমগির , সেও বার মাস পায়ের ব্যারাইম্যা , প্রতিবন্ধি সে । তার পিছনে ও প্রতি মাসে ভাল টাকা যায় । এনজিওর কিস্তি দিতে হয়
তার উপর আছে হাসেমের বোঝা , ঘাড়ের উপর খাবে - ঘুমাবে গাঁজা টানবে আবার তাকে হাত খর্চা দেও !
এক রাতে তাই নিজ থেকেই রমিজা কথা তুলে -
- এই মাসে তুমি টেহা লইও না , ইলিশ আনি ।
- আমি কি বাতাস খায়া চলুম ?
- কেমুন মরদ তুমি ? বউয়ের কামানি খাও , শরম করে না তুমার ?
- তরে রাখছি এডাই ত বহুত , বেশি তাফালিং মারাইলে তালাক দিমু কয়া দিলাম ।
রমিজা নেতিয়ে যায় । ঠিকই ত ! মাথার উপর সাইনবোর্ড স্বামী আছে বলেই না শিয়াল - কুত্তা জালায় না । যাদের স্বামী নাই তাদের অবস্থা কি নিজের চোখেই দেখে রমিজা । মেয়ে মানুষ , হোক৪ ,হোক ৮৪
কারো রেহাই নাই । তাছাড়া বিয়ের সময় রমিজার নানিও বলছিল '' সোয়ামীর ঠ্যাং এর নিচে বেহেস্ত !
রমিজারে ! হাশেমের ডাকে হঠাৎ সম্বিত ফিরে রমিজার ।
- কাছে আহো ! বলে হাশেম রমিজাকে নিজের দিকে টেনে নেয় । বুকে চেপে ধরে রমিজার ব্লাউজের বোতাম খুলতে থাকে ।
- আইচ্ছা দেহি , টেহা না অয় কম লমু , ইলিশ ত অনেক দিন কেউ ই খাই না । তুই জমাইতে থাক । আন ইলিশ আন , মরার মাছ এইডার যে এত দাম !
- ইন্ডিয়ায় না গেলে হস্তাই থাকত ।
ঠিক ! রমিজার অপুষ্ট বুকের দিকে তাকিয়ে কথাটা খাঁটি সত্যি মনে হয় হাসেমের ।
বেবাক ইলিশ ইনডিয়া যায় , এর লাইগাই ইন্ডিয়ান নায়িকাগো সিনা এমুন জেল্লাই , তেলতেইল্লা , বুঝতে পেরে হাসেম মিয়ার প্রচণ্ড রাগ হয় , রাগটা আরও বেড়ে যায় যখন মনে হয় তার শ্বশুরবাড়িতে তাকে কখনো ইলিশ খাওয়ানো হয়নি , রুই মাছ , কাতাল মাছ খাইয়েছে বটে , কিন্তু ইলিশ ? না !
হাসেম তখন রমিজার স্তন হাত দিয়ে দুমড়ে - মুচড়ে দিতে থাকে । রমিজা তীব্র ব্যথায় গোঙ্গিয়ে উঠে এবং মৃদু কেঁদে দেয় ।
- এমুন করেন ক্যান ? - রমিজা ব্যথা সামলিয়ে জিজ্ঞেস করে ।
- চোপ ছিনাল মাগী ! আমারে তোর বাপে ইলিশ খাওয়াইনেই ক্যান ?আমি গরিব - গুরবা বইল্লা ?
ততদিনে শাহরুখ খানের আবদার কমে কমে নাই হয়ে গেছে ।সে ধরে
নিয়েছে তার মা আর ইলিশ আনবে না । কিন্তু সে জানে না রমিজার হাতের মুঠোয় একটু একটু করে ইলিশ স্পষ্ট হচ্ছে ।
'' আরেকটু সবুর কর বাপ ইলিশ আইতাছে "' ! - ঘুমন্ত ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে বড্ড মায়া হয় রমিজার । সোনা আমার ! জাদু আমার! অনেক দিন ধরেই শাহরুখ আর ইলিশ এর কথা বলে না , কতরকম করে
যে ইলিশের কথা বলত শেষ দিকে !
- আইচ্ছা মা , ইলিশ বিলে দরিয়ায় ( সাগর) থাকে ?
- হ বাজান !
- হেরপরে নদীত ঘুরতে আইয়া পড়ে ?
- হ বাপ !
- নদীত আহে কিল্লাইগা ?
- ডিম পারতে !
- কবিরায় কয় ডিমওলা মাছ বিলে বেশি মজা ?
- হ বাপ ।
- তুমি কি ডিমওলা মাছ আনবা মা ?
- হ বাপ , আনমু রে আনমু । রমিজা শাহরুখ কে বুকে জড়িয়ে ধরত ।
রমিজা বেগম ঠিক করে রেখেছে একটা পদ্মার ইলিশ কিনবে , ডিমওলা , একটু বড় দেখে , সবাই মিলে ভালমত খেতে পারে মত । একসময় সেই কাঙ্খিত দিন আসে । রমিজা বাজার হতে বড় একটা ডিমওলা ইলিশ কিনে ফেলে । রুপালি চিকচিকে দেহটার দিকে মুগ্ধ হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে রমিজা । আহ ইলিশ ! সাথে বাজার থেকে কাচকলা কিনে ।বাসায় নিয়ে আসে । আজ যেতে পারবে না এই কথা মোবাইল করে রমিজা সাহেবের বাসায় বলে দেয় । ঘরে এসে শাহরুখ কে না দেখে খুশি হয় রমিজা । সে ঠিক করে একদম রেঁধে তারপর শাহরুখ কে ডাক দিবে ।
পারে ইলিশ দেখলে শাহরুখের মুখটা যেমন হবে সেটা কল্পনা করে হেসে ফেলে রমিজা ।বাছা আমার ! তারপর আল্লাহর নাম নিয়ে রাঁধতে বসে যায় । রাঁধতে গিয়ে প্রথমে একটু ইতস্ততবোধ, ভয় ও দ্বিধা কাজ করে তার । সেই কবে ইলিশ রেধেছে ! ভাল করে কি রাঁধতে পারবে ?
এক মুহূর্তকাল মাত্র । তারপর সব দ্বিধাদ্বন্দ্বকে হটিয়ে দিয়ে পরম যত্নে ও মমতায় রাঁধতে বসে যায় রমিজা । রাঁধতে রাঁধতে তার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে । আহা ! সে সময় কত ইলিশ খেয়েছে । কত রকম করে , কতভাবে ! কেউ ইলিশ রাঁধলে তার উঠান দিয়ে যাওয়ার সময় টের পাওয়া যেত ।
আহা ! এখন যে কি সব দিন এল !
শাহরুখ না বললে টের ও পাওয়া যেত না শাহরুখের জন্মের পর হতে এই ৮ বছর কোন ইলিশ খাওয়া হয়নি ।
কিছুক্ষণ পর ইলিশের মাতাল গন্ধে পুরো ঘর ভরে উঠে । চামচ দিয়ে একটু
সুরুয়া মুখে তুলে নিতেই আনন্দে চোখে পানি চলে আসে রমিজার ।
গন্ধটা সারা ঘর ঘুরাফিরা করে । ইলিশের রুপালি সুবাস নাকে যেতেই
অসুস্থ ঘুমন্ত শ্বশুর শোয়া হতে লাফ মেরে উঠে বসে পড়ে । এতদিন পরেও
এটা কিসের গন্ধ তা বুড়োকে বলে দিতে হয় না । আপনা আপনি ই তার মুখে হাসি ফোটে ।
- ইলিশ আনলা বউ ? বহুত দিন পর গন্ধ পাইলাম ।
অনেক দিন পর রমিজাও শ্বশুরের দিকে হাসিমুখে তাকায় ।
- হ বাবা ! আপনের নাতির লেইগা আনছি ।
মোহময় আকর্ষণে পাশের ঘরের সোহেলের মা ও রমিজার রান্না ঘরে
চলে আসে ।
ইলিশ রান্তাছ বইন ?কোন বাজার থেইকা কিনলা ?
রমিজাকে বললেও চোখটা ইলিশের দিকে সেথে থাকে মহিলার । নিজের ছেলে সোহেলের কথা মনে হয় ।
অনেকদিন হল ইলিশ ত দূরে থাক ভালমত মাছ খাওয়াই হয় না তাদের । ইলিশের চকচকে পিঠ দেখতে দেখতে চোখের কোণে পানি জমে যায় মহিলার ।
নিজের ছোটো ছেলে সোহেলের শুকনো মুখটা যেন ইলিশের টুকরায় দেখতে পায় ।
রমিজার মা এই চোখ চিনে । খারাপ লাগে রমিজার । অন্য মাছ হলে দেয়া যেত কিন্তু এটা ত ইলিশ ! কতদিন পর কত কষ্টে ইলিশ
এসেছে রমিজার ঘরে! শাহরুখের মুখটা ভেসে উঠতেই রমিজার দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে যায় ।
- অহন যাও বইন ! গাও - গোসল দিমু ।
গোসল করে এসে রমিজা শাহরুখের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে । আসতে দেরি দেখে আশেপাশের ছেলেপুলেদের কাছে শাহরুখের খবর নেয় । কিন্তু কেউ তার খবর বলতে পারে না ।
এর মধ্যে হাশেম ও ঘরে আসে এবং গন্ধে পেট মোচড় দেয় তার ।
রমিজা হেসে বলে , আজ সবাই মিল্লা খামু । পোলায় আহুক ।
রমিজা জানে না , শাহরুখ তখন মিছিলে আছে , বিল্লাল ভাই ডাকলেই সে ও তার মত কিছু ছেলে - পিলে মিছিলে যায় , মিছিল শেষে পাউরুটি পায় ।
শাহরুখ খান তখন মিছিলে , সবার সাথে তাল মিলিয়ে সেও বলছে ডাইরেক্ট একশন - আগুন জ্বালো গান - রোডের এ মাথা হতে অ মাথা , একশন শেষ হলে বিল্লাল ভাই পাউরুটি দেবে !
কিরে শাহরুইখ্যা , ও তুই ত আবার শাহরুখ - জেলি ছাড়া পাউরুটি ক্যামনে খাবি , জেলি ত নাইরে - জেলি কই পাই ! কই পাই ! সবাই হো হো করে হাসে । এভাবেই চলে - শাহরুখের কোন কথাই মাথায় ঢুকে না - সে বিল্লাল ভাইয়ের হাতের দিকে চেয়ে থাকে ।
পাউরুটি কি নরম ! কি নরম ! মিছিলের শেষ প্রান্তে যখন শাহরুখ পাউরুটির গন্ধ পায় - বিল্লালের হাতের গন্ধ পায় , - ধুম ধুম ধুম - বোমাগুলি ফুলের মত পাপড়ি ছড়িয়ে -হাউ - মাউ - কাউ - মানুষের গন্ধ পাউ ।ধোয়ায় কিছু দেখা যায় না , পরিস্কার হলে পরে সবাই দেখে
শাহরুখ শুয়ে আছে রোডের উপর ! বুকের উপরটা লাল !
তারপর কিছু লোকের কোলে করে শাহরুখকে বয়ে আনা ............. সামনে - পিছনে অনরবত চিৎকার - চেঁচামেচি ................ তারা রমিজার দিকে কেবলামুখি হয়ে এগুতে থাকে ......... শাহরুখ শাহরুখ....... বাতাসে ইসপাস- ফিসফাস ...... শাহরুখ কে দেখেই রমিজা দৌড়ে আসে .....
রমিজার '' শাহরুখ '' উচ্চারণে বাতাস ও মানুষগুলো কাপে এবং রমিজার মাথার খুলি ফাঁক এন্ড ফাক হতে থাকে , মগজে ঢুকে পড়ে রাশি রাশি বাতাস , সাথে পানি সাথে ইলিশ সাথে শাহরুখ
ঘ্যাচঘ্যাচ করে রমিজার মাথার করোটি কাটতে থাকে , চাটাই নিয়ে আসে কেউ একজন এবং ঘরের বাইরে উঠোনের মত ছোট্ট খোলা জায়গাটায় শাহরুখ কে শুইয়ে রাখা হয় । তখন শাহরুখ - ছোট্ট সুন্দর শরীরটা মাছের মত খোলা চোখে , রোদ লাগা ইলিশের পিঠের মত ঝলমল করতে থাকে । শাহরুখের মুখের কাছে এসে বসে রমিজা ।
তখন রমিজা শান্ত বিমূঢ স্থির কিন্তু বিশ্রী , দুপুর রোদে ভেজা খড়ের
মত খরখরে। শাহরুখ কে ঘিরে বাড়তে থাকে ভিড় , দাড়িয়ে থাকে অসংখ্য শিশু , তাদের অনেকে শাহরুখের খেলার সাথী অবশ্যই । এদিক - ওদিক ঘোরা অসংখ্য কিশোর - যুবক এবং হাড্ডিসার বৃদ্ধগুলো যাদের অবনত মস্তক কিন্তু দৃষ্টি স্থির , তারা চেয়ে থাকে ।
তখন প্রচণ্ড নীরবতা , কেটে যায় অসহ্য নিস্তব্ধতা হঠাৎ , শুরু হয় ইসফাস - ফিসফাস , হই - হই , রৈ - চৈ কেননা তখন সাবেক সাংসদ গিয়াসুদ্দিন সাহেবকে আসতে দেখা যায় , যিনি বিরোধীদলীয় নেতা অবশ্যই এবং তার পুণ্যহাত যার উপর - রমিজার সাহেব আসাদ চৌধুরী
তিনি ও অসংখ্য লোক গিয়াসুদ্দিন সাহেবের পিছন পিছন ছোট্ট শাহরুখের লাশের দিকে আগাতে থাকে । শাহরুখের কালঘুমে চোখ- বোজা আহ্লাদি লাগে লাগে চেহারার দিকে তাকিয়ে গিয়াসুদ্দিন সাহেবের রুমালখানি তার সুরমামাখা চোখে চলে আসা মাত্রই কিছু লোক শাহরুখ কে খাটিয়ায় তুলে বিচার চাইবে বলে শহর ভ্রমণে যায় ।
রমিজা দাঁড়িয়ে পড়ে , ওভাবেই থাকে শান্ত অব্যক্ত স্থির হয়ে এবং হাশেম মিয়া এমপি সাহেবকে সালাম দেয় । গিয়াসুদ্দিন সাহেব ,রমিজার সাহেব , নেতা কর্মী , টিভি - প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক - ফটোগ্রাফার
- রিপোর্টার রমিজাকে ঘিরে দাড়ায় এবং উৎসুক আমজনতা তাদের ঘিরে দাড়ায় । কেবলমাত্র সাবেক এমপির সাথে আসা রিপোর্টার মহিউদ্দিন ইচ্ছে করেই আস্তে আস্তে পিছনে চলে যায় কেননা লোকগুলোর ফিসফাস তাকে জানতে হয় । তখন স্নায়ুগুলির খটখট শব্দের টাইপিং , এডিটিং এন্ড এভিরিথিং প্রসেসিং এর হুরুস্থুলে তার মাথাটা নাস্তানাবুদ !
তবুও শাহরুখ ইলিশ খাইতে পারেনাইক্কা - লোকজনের বলাবলিতে এমন টা শুনতে পেয়ে খাপে খাপ পারফেক্ট ম্যাচ হেডলাইন আবিষ্কৃত হওয়ার আনন্দে তার ক্লান্ত নিউরণগুলো ইউরেকা কয়া উঠে । তখনো সাবেক এমপি ও তার পেয়ারের ফটোগ্রাফার মোসাদ্দেক আলি বিরক্তিতে উত্তাল কারণ রমিজার চোখে অশ্রুর দেখা নেই মোসাদ্দেক আলি চোখ টিপ দিলে পকেট হতে ১০০০০ টাকা বের করে গিয়াসুদ্দিন রমিজার হাতে দেয় , সে হাত কইয়ের মত পিছল -ছাই নাই তাই হাশেম মিয়া টাকার বান্ডিল -টা নিয়ে লুঙ্গির খোপে গুজে রাখে ।তখনো রমিজা ফালতু - বেহায়া , কাঁদে না - সে বোঝে না ছেলের জন্য কাঁদতে হয় !
কান বেটি কান !
- মনে মনে রেগে মুসিবতে ফটোগ্রাফার মোসাদ্দেক আলি তখন কাঁচের মত খান খান যেহেতু নোনাপানির অভাবহেতু ক্যামেরা শ্মশান এবং তার ও গিয়াসুদ্দিন সাহেবের বিরক্ততা তখন প্লাসে প্লাসে পাবন । সহসা রমিজার পিছনে দাঁড়ানো আসাদ সাহেব ইশারা দিতেই গিয়াসুদ্দিন সাহেব রমিজাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন , ডানহাতে তার মাথায় হাত বুলাতে থাকেন এবং গা ঘেঁসে দাঁড়ানো আসাদ সাহেব সবার চক্ষু অগোচরে অসামান্য দক্ষতায় পিছন হতে রমিজার স্তন টিপে দেন ।তীব্র ব্যথায় রমিজার মুখটা কুঁচকিয়ে সবার বহুল প্রত্যাশিত '' চোখে - পানি '' চলে আসে এবং পারফেক্ট ! ফ্লাশ জ্বলে উঠা মাত্র সচতুর আলি তার দীর্ঘদিনের চোরাবালি অভিজ্ঞতায় বুঝে যান জীবনের সেরা একটি ছবি আজ তিনি পেয়ে গেছেন ।তারপর সে গিয়াসুদ্দিনের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে কাজ শেষ হবার ইঙ্গিত দিলে গিয়াসুদ্দিন রমিজাকে ছেড়ে দেয় ।
তিনি চলে যাবার পর তার দলের একজন কর্মী হাসেমের লুঙ্গির গোঁজে হাত দিয়ে টাকার বান্ডিলটা হাতে নেয় এবং সেখান হতে একটি মাত্র নোট হাসেমের দিকে ছুড়ে মারে । হাশেম কেঁদে দেয় ।
রাতে সারাদেশ টিভি মারফত শাহরুখের কথা জেনে যায় এবং এটাও দেশবাসী জানতে পারে যে শাহরুখ ইলিশ না খেয়েই মারা গেছে । অনেকে এই ঘটনায় দারুণভাবে দুঃখিত হয় এবং আফসোসে চুকবুক করতে থাকে । বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোয় বার বার শাহরুখের মরা ছবি ও গিয়াস সাহেবের কান্নারত রমিজাকে বুকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য প্রচারিত হয়। তা দেখে মোসাদ্দেক আলিকে তার কলিগরা পিঠ চাপড়ে দেয় । এছাড়াও এটা যে তার তোলা অন্যতম সেরা ছবি এবং মোসাদ্দেক আলি এ বছর যে কোন আন্তর্জাতিক পুরুস্কারে ভূষিত হতে যাচ্ছে এ ব্যাপারে সবাই নিঃসন্দেহ হয় ।
বিরোধী মতের পত্রিকার সম্পাদকেরা শাহরুখ খানের ছবি সমেত - '' ইলিশ খাওয়া হল না শাহরুখ খানের " শিরোনামটি লাল কালিতে বোল্ট করে ছাপাতে প্রেসকে বলে দেয় । অনলাইন সেলিব্রিটিরা রা
ইলিশ খেতে না পাওয়া শাহরুখের ছবিটা ব্লগে , ফেসবুক , টূইটারে আপলোড দেয় এবং তাদের ব্লগ , ফেসবুক ফ্রেন্ড ও ফোলোয়ার রা শাহরুখের ছবিটা তে ট্যাগ , লাইক , কমেন্ট ও শেয়ার করে অন্যান্য যাবতীয় মননশীল কাজে নিজেদের মনোনিবেশ করান । বিরোধীদলীয় নেতা গিয়াস সাহেবের ত্বরিত বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেন এবং জালিম সরকারের মাসুম বাচ্চা কে মেরে ফেলার প্রতিবাদে হরতালের ঘোষণা দেয় ।সরকারী দল প্রেস বিফ্রিং এ এটা যে বিরোধী দলের যড়যন্ত্র এটা জাতিকে অবহিত করে এবং তাদের থেকে সতর্ক ও তাদের প্রতিহত করার আহবান জানায় । সবশেষে পরের দিন তারা প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেয় ।
ওদিকে রমিজা অনেকক্ষণ না কাঁদলেও শাহরুখ কে দাফন করতে নিয়ে যাবার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায় ।বাদ এশা শাহরুখ খান কে কবর দেয়ার পর হাসেম মিয়া ঘরে আসে ।অজ্ঞান রমিজাকে বেশ কয়েকবার ডাকার পর রমিজা না উঠায় হাসেম মিয়া ক্ষান্ত দেয় । কিছুক্ষণ পর রিনা সোহেলের মার দেয়া ভাত ও রমিজার রান্না করা ইলিশ বেড়ে
সবাইকে খেতে ডাকে । সোহেলের মা ভাত দেয়ায় রিনা সোহেলের মাকে
২ টুকরা ইলিশ দেয় । শোকে - তাপে - পরিশ্রমে এবং ডেকচিতে
ইলিশ দেখে সবার খিদে মুহূর্তে দাউ দাউ হয়ে যায় এবং সবাই মিলে
লুটেপুটে হাতে - চেটে খেতে থাকে । টুকরাগুলো হাপিশ হতে থাকে
এবং বিপদ দেখে শেষ পর্যন্ত এক টুকরা ইলিশ মাছ রিনা রমিজার জন্য
হাল্কা ঝোলসমেত সরিয়ে রাখে ।তারপর বেঘোরে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে ।
মাঝরাতে ২ টার দিকে রমিজার ঘুম ভাঙ্গে । ঘুম ভাঙ্গার পরই তার পেটে খিদে চাগিয়ে উঠে এবং নিজের অজান্তেই রমিজা রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায় । সবাই তখন গভীর ঘুমে নাক ডাকছে । আলো জালিয়ে
ইলিশের ডেকচির দিকে রমিজা তাকায় । ঝোলের মাঝে দেখা যায় শাহরুখের মুখ , ঘৃণায় - বিরক্তিতে ডেকচিটা উলটে দিতে ইচ্ছে করে তার ।
ঠিক তখনি ইলিশ দাঁড়িয়ে যায় তার অসামান্য রাজকীয় মহিমা নিয়ে , প্রবল সুগন্ধ স্রোত তৈরি করে রমিজার নাকে ঢুকে সোজা পাকস্থলিতে চলে গিয়ে হাত বুলাতে থাকে এবং হলিউড - বলিউড নায়িকাদের ন্যায় আবেদন সৃষ্টি করে । রমিজা তা উপেক্ষা করতে পারে না , সাড়া দেয় , ডেকচিটা মাটিতে রাখে , প্লেট নেয় এবং সবশেষে দুর্দমনীয় সৌরভের
দিকে হাতটা বাড়ায় ।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: ওদিকে রমিজা অনেকক্ষণ না কাঁদলেও শাহরুখ কে দাফন করতে নিয়ে যাবার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায় - চোখে পানি আসলো।
আমিও উনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি । আমিন । সেই সাথে উনার ,উনার পরিবারের সবার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় খেয়াঘাট ভাই
আমিও আপনার সাথে উনার পরিবারের সবার সুস্থতা কামনা করছি ।
আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগল ।
ভাল থাকুন প্রিয় ভাই
শুভকামনা রইল অনেক ।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ার সেই ইলিশ পোলাও গল্পের মত ইলিশের ঝোলের স্বাদ এখানেও পাওয়া গেলো তবে দুঃখটা রয়ে গেলো!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হুম আপু । কি করা !
ভাল থাকুন আপুনি ।
শুভকামনা রইল অনেক
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: বাস্তব জীবনের ছবি দারুন ভাবে তুলে এনেছেন গল্পে । ইলিশ এখানে আক্ষরিক বা রুপক দুই ভাবেই নাড়া দিয়ে গেছে পাঠকের মন ।
সোনাবীজ ভাইয়ের গল্পটা পড়িনি । মার্ক করে রেখেছি, পড়ব । উনার ছেলের সুস্থতা কামনা করি ।
গল্পে ভাললাগা ++
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সোনাবিজ ভাইয়ের গল্পটা আপনার ভালো লাগবে মামুন ভাই ।
প্রিয় মামুন ভাইকে সামনের সারিতে দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে ।
ভাল থাকুন মামুন ভাই
শুভকামনা রইল অনেক ।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সোনা'ভাইর সাথে অকস্মাৎ কথা হয়ে গেল আজ।
কিন্তু উনাকে চিনি নি।
কি বাজে অবস্থা বলুন।
দারুন গল্প বলতেই হচ্ছে।
আপনার গল্প, শব্দ চয়ন দূর্দান্ত।
পাইলটের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বলেন কি !
ইস ! আসলেই বাজে অবস্থা !
ধন্যবাদ কবি ভাই , আপনার ভাল লাগা আমাকেও আনন্দিত্ করল ।
ভাল থাকুন দুর্জয় ভাই
শুভকামনা রইল অনেক ।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: মুগ্ধ ! স্রেফ একটা শব্দ, মুগ্ধ ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই ।
একজন কলমের জাদুকর যদি মুগ্ধ হয় তাহলে ভাল লাগার পরিমাণ টা অনেক বেড়ে যায় ।
ভাল থাকুন আদনান ভাই
শুভকামনা রইল অনেক ।
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি আপনার লেখার হাত আসলেই ভালো। শব্দচয়ন বা শব্দ প্রয়োগ সবই বেশ ভালো। আমার তো আপনার লেখা আগেও ভালো লেগেছে এটাও বেশ ভালো লাগল।
নিয়মিত লিখছেন দেখে ভালো লাগছে।
সোনাবীজ ভাই এর পরিবারের প্রতি শুভ কামনা রইল।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সবকিছুর মূলেই আপনি
এটা একটু অন্যভাবে লিখার চেষ্টা করলাম ।
আপনার কথায় বরাবরের মত খুব ভাল লাগছে গুরু ।
ভাল থাকুন প্রিয় কাভা ভাই , শুভকামনা রইল অনেক ।
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
এম মশিউর বলেছেন: গল্প মানে শব্দের সর্বোত্তম ব্যবহার; আর আপনি সেইটাই দেখিয়েছেন।
অনেক ভালো লিখেছেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মশিউর ভাই ।
প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে স্বাগত জানাচ্ছি ।
আপনার মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা থাকল আমার ।
ভাল থাকুন , শুভকামনা রইল অনেক ।
৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০২
এ্যংরি বার্ড বলেছেন: ইলিশ মিস ইউ
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভেরি মাচ !
ভাল থাকুন এ্যংরি বার্ড ।
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৫
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: হাঁয়রে ইলিশ
আমাদের দেশের নিম্নবিত্ত মানুষগুলার যেন ক্ষুধা আর দারিদ্রতা ছাড়া আর কিছুই থাকতে নেই,পদে পদে হয় তারা নিষ্পেষিত তথাকথিত সুশীল সমাজ দ্বারা
এই চরম বাস্তব বিষয়টাকে গল্পে আকৃতি দেয়ার জন্যে লেখককে ধন্যবাদ
গল্পে প্লাস +++++++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গরিবের অনেক জ্বালা , অনেক কষ্ট মিসির আলি ভাই ,
তাদের সবকিছুই পেটের কাছে পরাজিত হয় , তাদের পেট ছাড়া আর কিছু নেই , থাকতে নেই ।
গল্পের সারমর্ম আপনি যথার্থই অনুধাবন করতে পেরেছেন ।
আপ্নাকেও হৃদয়ের অন্তঃস্থল হতে শুভকামনা প্রিয় মিসির আলি ভাই ।
ভাল থাকুন অনেক অনেক ।
১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব চমৎকার একটা গল্প উপহার দিয়েছেন ! পাঠককে নাড়া দেয়ার মত সব উপকরণ ই আছে এখানে !
মুগ্ধ মাহমুদ ভাই !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই
পাঠকের ভাল লাগাতেই আনন্দ ।
ভাল থাকুন অভি ভাই
শুভকামনা রইল অনেক ।
১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার হৈসে গল্পটা ||
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মুন ভাই
আপনার প্রপিক ভালা পাই ।
লাইক ইট ।
ভাল থাকুন এন্ড শুভকামনা ।
১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
শাহেদ খান বলেছেন: আরেকটা চমৎকার গল্প ! শাহরুখের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অবশ্য খুব গতানুগতিক মনে হচ্ছিল, এমনকী রমিজা যখন ইলিশ নিয়ে ঘরে এসে দেখল, শাহরুখ নেই - তখনই বোঝা যাচ্ছিল দূর্ঘটনা একটা ঘটবে এবার। তবে শাহরুখের মৃত্যুর পরই যেন আসল গল্পটা শুরু হল। এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাতে আপনার লেখার স্টাইল দুর্দান্ত !
অনেক ভাল লাগা জানাই, মাহমুদ। আর লেখায় সবসময়ের শুভেচ্ছা !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল লাগছে শাহেদ ভাই
আপনি মূল কথাই বলেছেন । মরার পরের অংশটুকু ই আসল ,
পুরো গল্পে ইলিশ বাহানা মাত্র ।
একটু ভিন্ন স্টাইলে লিখার চেষ্টা করলাম , এই আর কি । নেক্সট গল্পে এই স্টাইল বাদ দিয়ে দেব ।
আপনি আমার সব গল্পের সাথেই আছেন , এই জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি ।
শাহেদ ভাই , আপনার ত্রয়ী সিরিজটা চালানো আসলেই খুব টাফ ,
তবে আপনি চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এই আশাই করব ।
আর অলস গল্পকার আর কয়দিন গল্পকে ফাঁকি দেবে ?
এবার গল্প চাই , দিতেই হবে শাহেদ ভাই কে !
ভাল থাকুন শাহেদ ভাই , অনেক অনেক ।
শুভকয়ামনা রইল নিরন্তর ।
১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিন
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমিন ।
ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই , ভাল থাকুন
১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুরুটা কতো ইন্টারেস্টিং ছিলো ! শাহরুখের চরিত্রটা খুব সুন্দর করে এঁকেছ। তার বায়না করা, ঘুরে ফিরে ইলিশের কথা বলা ! ওকে শেষ পর্যন্ত তুমিও ইলিশ খাইতে দিলা না !
ভালো লেগেছে গল্পটা। ক্ষুধার কাছে কি মৃত্যু শোকও হার মানে বিশেষ করে অভাবী পরিবারে !!!
এই লাইনটা ঠিক করো ।
তবুও শাহরুখ ইলিশ খাইতে পারেনাইক্কা - লোকজনের বলাবলিতে এমন টা শুনতে পেয়ে খাপে খাপ পারফেক্ট ম্যাচ হেডলাইন আবিষ্কৃত হওয়ার আনন্দে তার ক্লান্ত নিউরণগুলো ইউরেকা কয়া উঠে ।
ভালো থাকো
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপা ।
হাহাহা আমি ত একটু পাথর -- হৃদয় তাই খাইতে দিলাম না ।
গরীবের - তার পেটের কাছে সব কিছুই হার মানে । ক্ষুধাকে তারাই
সবচেয়ে ভালভাবে ডিল করে । ক্ষুধা হল পৃথিবীর ১ নং সত্য ।
অই লাইনটা আপা ইচ্ছে করেই দিছি ।
আমার আবার গুরুচণ্ডালীতে আসক্তি আছে
ভাল থাকুন অপর্ণাদি
অনেক অনেক অনেক
শুভকামনা নিরন্তর । শুভবিকেল , ভাল থাকা হোক সবসময়ের জন্য ।
ভাল থাকুন
।
১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
অদৃশ্য বলেছেন:
মাহমুদ ভাই
লিখাটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে... যথেষ্ট ভালো লেগেছে... হাসি/কান্না/মজা/রসবোধ সব মিলিয়ে লিখাটি আসলেই চমৎকার...
শাহরুখ খানের মৃত্যুর পরের অংশটুকু কিছুটা বিরক্তি তৈরী করতে চাইলেও লিখাটির প্রকৃত ভাব প্রকাশের জন্য সেটা জরুরী ছিলো বলেই মনে হয়েছে শেষ পর্যন্ত এসে...
শুভকামনা...
খলিল ভাইয়ের সন্তানের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি...
শুভকামনা...
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
আপনাকে দেখে ভাল লাগছে ।
গল্পটায় আসলে নিজেকে প্রাধান্য দিয়েছি বেশি ,
বলতে চেয়েছি আর এটা করতে গিয়ে গল্পের শরিরের ক্ষতি করেছি । তারপর কেন জানি স্বৈরাচারী থাকতে ইচ্ছে হল ।
মরার পরের অংশটুকু ই আসল ,
পুরো গল্পে ইলিশ বাহানা মাত্র । এই আর কি ভাই
ভাল থাকুন প্রিয় ভাই , অনেক অনেক ।
শুভকামনা রইল নিরন্তর ।
১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্প এবং উৎসর্গ দুটোই ভাল লাগলো।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই
ভাল থাকুন , শুভকামনা রইল ।
১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথমদিকটা বিরক্তি সৃষ্টিকারী গতানুগতিক এবং সাধারণ ছিলো। শাহরুখ মারা যাবার পরের ঘটনাপ্রবাহ থেকে ভালো লাগা শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত বেশ ভালো একটা গল্প পড়ার তৃপ্তি অনুভব করি।
শুভবিকেল।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় হাসান ভাই
শুভকামনা রইল ।
শুভরাত
১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দুর্দান্ত!!!!!!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ইরফান ভাই
অনেক ভাল থাকুন আপনি ।
শুভকামনা রইল ।
২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ নিয়ে আপনার ২য় গল্প পড়ছি। হিউমার, উইট, ইত্যাদির সংমিশ্রণে সৃষ্ট আপনার গল্পগুলো অনন্যসাধারণ। আপনার শব্দচয়ন ও বাক্যালংকার ব্যবহার অতি উঁচু মানের- খুব জানা শব্দ, কিন্তু শব্দগুলো আমাদের নিত্যব্যবহার্য অনুষঙ্গের মতো- বিরল দক্ষতায় সেগুলোকে বাক্যে সাজিয়ে লেখেন।
সাহেবের ছোট ছেলের প্লেট হতে ইলিশের টুকরার ছোট একটা অংশ মেঝেতে ফেলে না দিলে এবং শাহরুখ খান শিকারি চিতার মত তা খপ করে তুলে গপ করে মুখে না পুরলে , ইলিশ বলে কিছু থাকত না , স্বপ্নেও আসত না। কী নিষ্ঠুর অথচ অতি বাস্তব একটা চিত্র তুলে ধরেছেন। হায়, এমনটা যে হতভাগাদের কপালে ঘটে, কতোই না অসহায় আর অভাগা তারা- চোখে পানি চলে আসে।
গল্পের প্রতিটা লাইন- শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত - সুচারু কাঁথার বুননে রচিত, শিল্পিত ও চিত্রিত হয়েছে। মুহূর্তের জন্য অন্যদিকে মন ছুটে যায় নি।
একটা মাত্র বাক্য বা শব্দে পরিস্থিতি বর্ণনা ও চরিত্র সৃষ্টিতে আপনার নিপুণতা ঈর্ষণীয়।
আপনার স্টাইল সম্পূর্ণ আপনার। অদ্ভুত সুন্দর।
করুণ রস সৃষ্টিতে আপনি অদ্বিতীয়- আগের গল্প আর এ গল্পটা পড়ে আমার অভিমত।
উদ্ধৃত করার মতো এতোগুলো কথা ছিল যে তার তালিকা এখানে দিলে অতিশয় দীর্ঘ হবে- ঝামেলা হয়েছে পড়ে ওটা এই বক্সে কপি-পেস্ট করতে।
আমি আপনার একজন বড় ফ্যান হয়ে গেলাম।
শুভ কামনা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বড় কমেন্ট করা আসলেই কষ্টকর । এর মধ্যে সামুর সমস্যা আছে । তার
মাঝে
কষ্ট করে আমার লিখা বিশ্লেষণ করেছেন , এজন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনার বিশ্লেষণ আমার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে , আমি অনেক আপ্লুত ।
দোয়া রাখবেন আমার জন্য - ভাল লিখতে চাই আরো , কমিটেড থাকতে চাই , নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চাই ।
পথচলায় থাকবে অনেক চড়াই - উতরাই , আপনাকেও অনুপ্রেরণা দায়ি হিসেবে পেতে চাই , ভাল - মন্দ দেখিয়ে দিয়ে আমার পথচলাকে নির্ভুল করতে সাহায্য করবেন এটাই চাই ।
আরেকটা কথা বলা হয়নি , আসলে আপনার মত গুণী একজন লিখক কে উৎসর্গ করতে পেরে আমি নিজেকেই সম্মানিত বোধ করছি ।
আমার ভাল লাগা প্রকাশ করার এটাই ত সর্বোত্তম মাধ্যম ।
ভাল থাকুন প্রিয় সোনাবিজ ভাই , শুভকামনা রইল অনেক ।
২১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
নাম বলবো না বলেছেন: গল্পের শেষের দিকটা দূর্দান্ত হয়েছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকুন অনেক আপনি ।
শুভকামনা রইল
২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এটা কী করেছেন? আমাকে উৎসর্গ করে পোস্ট আমি স্বপ্নেও ভাবি নি। শুধু উৎসর্গই না, আমার একটা গল্পের লিংকও দিয়েছেন এই পোস্টে। আমার সাদামাটা গল্পটাকে এভাবে হাইলাইট করা আপনার অতিশয় উদারতা এবং বিনয়ের বহিঃপ্রকাশ। এরপর আমার ছেলের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা- এতো ঋণ শোধ করা এক জীবনে সম্ভব নয়, তাই ঋণীই থাকলাম আপনার কাছে।
আমার ছেলে আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ। গত শনিবারে সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়। এখন সে বাসায়- গিটার, টিভি আর গেইমস নিয়ে ব্যস্ত
সকল বন্ধুর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আমার ছেলের জন্য দোয়া প্রার্থনা করায়।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার ইলিশ গল্পটা খুব ভাল লেগেছিল । মাছ কে কেন্দ্র করে
আমাদের মধ্যবিত্ত অনুভূতির যে প্রাণময় প্রকাশ ঘটেছে আমি তাতে মুগ্ধ ,
সুনীলের '' পূর্ব - পশ্চিম ''বইতে ইলিশ
মাছ কে কেন্দ্র করে প্রতাপ চরিত্রের বেশ কিছু সূক্ষ্ম অনুভূতির বর্ণনা আছে , আমাদের পছন্দের মাছকে কেন্দ্র করে জীবনের গভীর কিছু কথা যেভাবে
ছিটকে আসে , তখন আর গল্পটা শুধু ইলিশ থাকে না , জীবনের কাব্য হয়ে যায় । আমার এই গল্প নির্মিতিতে আপনার গল্পের ও অবদান আছে । যদিও এই গল্পটা আমি লিখব বলে
এই মাসের ফেব্রুইয়ারিতেই ঠিক করেছিলাম । আমার গল্পের সোহেলের মার অংশ আপনার গল্প হতেই অনুপ্রানিত হয়ে নেয়া ।
ভাবলাম পাশের কারো অনুভূতিটাও দেখাই ।
আপনাকে উৎসর্গ করেছি বেশ কিছু কারণে ্ ব্লগে আপনার মত
কোয়ালিটি র ব্লগার তেমন নেই । ( বিনয় করছি না ) ।
সবমিলিয়ে আপনার ব্লগ ব্যক্তিত্ব আমাকে আকর্ষণ করেছে । একজন সহ ব্লগার হিসেবে আপনার ছেলের অসুস্থতায় আমার খারাপ লেগেছে
এবং আমার এই অনুভবটুকু আপনি আদায় করে নিয়েছেন ।
খেয়াল করেছেন কিনা জানি না আমি আপনাকে ফেসবুকে মেসেজ ও দিয়েছিলাম , পেয়েছেন কিনা জানি না ।
উৎসর্গ করার এটাও কারণ সবার উসিলায় যাতে আল্লাহ আপনার ছেলেকে সুস্থ করে দেন । সব মিলিয়ে এই আর কি ।
দেরিতে রিপ্লাই দিবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি ।
দেরি এ কারনে হল - গতানুগতিক কমেন্ট আপনাকে দিতে চাচ্ছিলাম না , দৈনন্দিন জীবনের হাবিজাবি তে মাথাটাও সুস্থির থাকেনা যে গুছিয়ে একটু লিখব । আপনাকে মন ও মাথা সুস্থির ও সংহত হয়ে লিখতে চাচ্ছিলাম । আশা করি ধরতে পেরেছেন ।
ভাতিজা ভাল আছে জেনে আর তার গেমস খেলার কথা শুনে আমি অনেক অনেক খুশি , খুব আনন্দ লাগছে আমার । দোয়া করি সে অনেক ভাল থাকুক , সুস্থ থাকুক , সবাইকে নিয়ে আপনি যাতে ভালভাবে দিন কাটাতে পারেন , কোন দুশ্চিন্তায় আল্লাহ যাতে আপনাকে না ফেলেন ।
অনেক অনেক ভাল থাকুন সোনাবিজ ভাই , আপনার উপরের মন্তব্যের জবাব সন্ধায় দিচ্ছি , এখন আবার উঠতে হচ্ছে । গল্প বিষয়ে কিছু বলার ইচ্ছে আছে ।
ভাল থাকুন । আল্লাহ হাফেয ।
২৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ইলিশ খেতে না পেরে শাহরুখের মারা যাওয়া, তার প্রতি সিমপ্যাথি জাগ্রত হওয়া খুব গতানুগতিক ছিল। কিন্তু তারপরের ঘটনাবলি বিশেষ করে এন্ডিংটা অসাধারণ হয়েছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে স্বাগত জানাচ্ছি ।
আপনি অনেক পুরনো ব্লগার দেখলাম ।
হা প্রথম দিকে গতানুগতিক , অভাবেই আগাতে চেয়েছিলাম , শেষের
অংশের দিকেই আমার মূল মনোযোগ টা ছিল ।
এখন মনে হচ্ছে এতটা গতানুগতিক করাটা ঠিক হয়নি , সামনে হতে
এ বিষয়টা লক্ষ্য রাখব ।
ভাল থাকুন আপনি , অনেক অনেক ।
একরাশ শুভকামনা । ভাল থাকা হোক ।
২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: উমেদারি মানে মোসাহেবি। সুতরাং এখানে এই শব্দটার ব্যবহার ভুল। বরং জমিদারি ব্যবহার করলে ভাল হত।
গল্পটা অবশ্যই ভাল লেগেছে। কিন্তু একটা কথা বলতেই হয়, আপনি এই গল্পটা নিয়ে বেশি খাটেন নি। আমি তো বেশ কয়েক জায়গায় অযত্নের ছাঁপ পেলাম। এত ভাল প্লটের একটা গল্পে অযত্নের ছাঁপ পেলে আমার খারাপ লাগে। লেখকের প্রতি রাগ লাগে।
আর রমিজার মতো অপুষ্ট শরীরের কারো শীর্ণ বুকে তার সাহেবের হাত চালানোটা আমার পছন্দ হয় নি। বরং রমিজাকে যৌবনবতী দেখিয়ে তার ভরাট বুকে সাহেবের হাত চালানোটা অনেক যৌক্তিক হত।
কিংবা শীর্ণ/ভরাট কোনো ব্যাপার নয়, মেয়েদের বুক পেলেই হল; এই যদি হয় সাহেবের মানসিকতা তাহলে অন্তত একটা বাক্যে সেটুকু ফুটিয়ে তোলা যেত।
গল্পটা আরও পড়েন। তাহলে আপনার চোখে কিছু অতিশয়োক্তি অবশ্যই ধরা পড়বে। সেগুলি বাদ দেয়ার পর আবারো পড়েন। তারপর মন্তব্যে জানান কেমন লাগল গল্পটা। আশা করি গল্পের অসাধারণত্ব এবার ইলিশের সুবাস ছড়াবে।
২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বেয়াইন
উমাদারি ঠিক করে দিলাম ।
উমরাও জান নামে একটা মুভি আছে বলিউডে ঐশ্বরিয়া অভিনীত । ঐটা একটা উপন্যাস অবলম্বনে রচিত হয়েছে । অই উপন্যাসিক ( নাম না মনে পড়ায় দুঃখিত ) নাকি একবার লিখার পর আর এডিট করতনা , বলত আমি যা লিখছি তাই ঠিক
আমারো দেখি তার মত আলস্যে পাইছে । কোন গল্পেই আমি খাটি না , একটানে লিখে ছেড়ে দেই ,
সেটার পর হাতে হাতেই পাচ্ছি । বিশ্রী রকমের ভুল বেরুচ্ছে ।
আসলে আমি অলস প্রকৃতির । আমি পরিশ্রমী হবার চেষ্টা করছি । সামনে আরো শোধরাবার চেষ্টা করব ।
স্তন বিষয়ে বলব অপুষ্ট স্তনের প্রতিও মানুষের আকর্ষণ আছে ।
অপুষ্ট , অনুন্নত সেটাই আকর্ষণের বিষয় ।
সাহিত্যে এর বেশ উদাহরণ আছে । এক চিনা উপন্যাসে ( আবারো দুঃখিত উপন্যাসের নাম বা লিখক মনে নাই ) নায়ক নায়িকার
শীর্ণ স্তনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল , কারণ তার কাছে শীর্ণতাই খাটি মনে হয়েছে , আসল মনে হয়েছে ( ভাববোধক ) ।
ভারতীয় উপন্যাসিক খুশবন্ত সিং এর উপন্যাসে ও এমন ব্যবহার আছে ।
যদি উদাহরণ না থাকত , আমি যদি প্রথম লিখতাম তাতেও সমস্যা নেই ,
চরিত্রের মানস - গঠন এরকম এটাই পাঠককে ধরে নিতে হবে । বাস্তবেও এমন আছে । কলেবর বাড়ার আশঙ্কায় আর অলসতায় আর লিখছি না ।
ভাল থাকুন নাইম ভাই আর এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময় এটাই আশা করব । আপনার যদি আরও ত্রুটি ধরা পড়ে , সেটা অবশ্যই অবশ্যই বলবেন এটা আপনার কাছে আমার দাবী থাকল ।
শুভকামনা নিরন্তর দোয়া করছি শীঘ্রই যাতে আমাদের নতুন ভাবি আসে
২৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
গোর্কি বলেছেন:
ইলিশ - আমার এবং ওই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর সাধারণ চাহিদা। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাছে পয়সার অভাব কিন্তু ইলিশ সহজলভ্য। অপরদিকে আমার পয়সার অভাব নেই কিন্তু দূর্লভ। উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কর্মসূচি; আর কতদিন? জীবনের মর্মস্পর্শী বাস্তব চিত্র লেখায় সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।
পাঠে মুগ্ধতা। শুভ কামনা।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় গোর্কি ভাই ।
আপনার মন্তব্যে ভাল লাগা থাকল ।
ভাল থাকুন এবং শুভকামনা রইল সব সময়ের জন্য ।
২৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
শায়মা বলেছেন: ইলিশ ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!
কাক থেকে ইলিশ হলেও চলবেনা তুমি তং বংই থাকবে.....
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
উউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউ
আমি তং বং ইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
উউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউ
কান্না করছি ............
আইচ্ছা উউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউ
ইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
জুন বলেছেন: আমার হাসবেন্ড এক সময় বলতো ইলিশ মাছ আর কাঠাল বাংলাদেশের আপামর মানুষ বিশেষ করে গরীব মানুষের জন্য ইশ্বরের আশীর্বাদ। কারন তখনো এই মাছ সহজ লভ্য এবং সবার নাগালের মধ্যেই ছিল। তখনও ভারতে রপ্তানী শুরু হয়নি ।
আর আজ মধ্যবিত্ত পরিবারেও ইলিশ মাছ দুর্লভ হয়ে পড়েছে। অনুষ্ঠানের মেন্যুতে উচুতে জায়গা করে নিয়েছে তারা ।এক সময় বড় পরিবারের নিত্যদিনের এই মাছ যা বাড়তে সুবিধা ছিল গৃহিনীদের জন্য আর কিনতে সুবিধা ছিল কর্তার।তা এখন নাগালের বাইরে।
এই মাছ নিয়ে আপনার গল্প অনেক ভালোলাগলো।
+
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ছোটবেলায় সন্দেশ আর ইলিশ বেশি খেতাম ।
মাঝে মাঝে ইলিশ খেতে খেতেই বিরক্ত হয়ে যেতাম । অনেক মাছই খেতে চাইতাম না । এখন এসব পেলে বর্তে যাব । দেশি অনেক মাছ বাজারে আর দেখিই না ।
এখন আসলে আর ইলিশ মাছকে জাতীয় মাছ বলা ঠিক হবে না ,
তেলাপিয়া মাছকে জাতীয় মাছ ঘোষণা করা উচিত ।
গল্প ভাল লাগায় আমারো ভাল লাগছে ।
ভাল থাকবেন জুনাপু , অনেক অনেক ।
শুভকামনা রইল ।
২৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
বোকামন বলেছেন:
অ-নে-ক-দি-ন হয় ইলিশের স্বাদ ভুলে গেছি
গল্পটি পড়ে ইলিশের স্বাদ পেলুম ....
বুঝাতে পারলুম ?!
পোস্টের মন্তব্য পড়া হয়না; কিন্তু আজ হঠাৎ স্ক্রল করে নিচে নামার সময় ২০নং মন্তব্যটি চোখে পড়লো.. পড়লুম...
মন্তব্যটির সাথে একমত ...
শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
অনেক ভালো থাকুন..
সাধারণের জন্য, মানুষের জন্য, আমাদের জন্য লিখুন ...
শুভকামনা
সালাম।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রিয় ভাইকে দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হলাম ।
হাহাহ , বুঝাতে পেরেছেন ।
আপনাকে দেখলেই মনে হয় সুদুর সুইজারল্যান্ড থেকে একজন ভাই
বাংলাদেশে আমার ব্লগে এল ! প্রযুক্তি মানুষকে কত সহজে কাছে এনে দিয়েছে । !
হাহাহ , বেছে বেছে একদম ২০ নাম্বারই হাইলাইট !
জানি - এ সবই আপনার ভালবাসার বহিপ্রকাশ , কৃতজ্ঞ রইলাম ভাই ।
আল্লাহর রহমতে ভাল আছি , আপনি ও আপনার পরিবার ভাল থাকুক
এই দোয়া সবসময় করি ।
আমার জন্য দোয়া রাখবেন , ভাইকে সবসময় পাশে দেখতে চাই ।
প্রিয় ভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।
সালাম ।
৩০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার গল্প বলার ধরণ, প্রকাশ ভঙ্গি, ভাষা শৈলী খুবই চমৎকার।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ টূম্পা মনি ।
ভাল থাকা হোক ।
আপনিও ভাল লিখেন ।
আন্তরিক শুভকামনা থাকল আপনার প্রতি ।
৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
নেক্সাস বলেছেন: বাহ ইলিশের মোসুমে দারুন গল্প। একদম ইলিশের মত স্বাদে ভরপুর।
কথা সাহিত্যের চর্চা এখন খুব একটা হয়না। আপনার লিখায় কথা সাহিত্যের মেজাজ পেলাম। ভাল লাগা রইল
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নেক্সাস ভাই
আপনাকে সুস্থভাবে ব্লগে বিচরণ করতে দেখে ভাল লাগছে ।
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুক এই কামনাই করি ।
হ্যা , এখন তেমন একটা হয় না । এখন অনেক কিছুই হচ্ছেনা ।
গ্রাম ভিত্তিক লিখাও কম । আঙ্গিক পরীক্ষা - নিরীক্ষা ও সময়ের প্রয়োজনে গল্পকার রা বিভিন্ন দিকে মুভ নিচ্ছেন । তবে প্রচলিত
ধারাটাও অক্ষত থাকা দরকার ।
আপনার ভাল লাগায় আমিও আনন্দিত হলাম ।
ভাল থাকুন ভাই ।
শুভকামনা রইল
৩২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
খাটাস বলেছেন: ইচ্ছা পুরন হউয়ার আগেই ক্যারেক্টারের মৃত্যু, বেশ পুরাতন কনসেপ্ট। কিন্তু সমাজ বেবস্থার বাস্তবতা আপনার ছোট ছোট সুক্ষ বর্ণনায় পুরো গল্প টা কে এক আবহের সৃষ্টি করেছে।
অনেক ভাল লাগা রইল মাহমুদ ভাই।
ফ্রি টিপসঃ ৫৭ ধারা বলবত। শেষে লেইখা দেন এটা বাংলাদেশের ঘটনা না।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাস্তবতায় চমক নেই , হুবুহু রুপায়নে বিশ্বস্ত থাকতে চেয়েছিলাম ।
গল্পটায় আসলে নিজেকে প্রাধান্য দিয়েছি বেশি ,
বলতে চেয়েছি আর এটা করতে গিয়ে গল্পের শরিরের ক্ষতি করেছি । তারপর ও কেন জানি স্বৈরাচারী থাকতে ইচ্ছে হল । সব মিলিয়ে এই আর কি । হাহাহ বলে দিলাম - এই ঘটনা কাল্পনিক । ঝামেলা মুক্ত হইয়া গেলাম ।
ভাল থাকেন ভাই
শুভকামনা রইল । ।
৩৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক আগেই বুকমার্কড করে রেখেছলাম সময় নিয়ে পড়ব বলে। আজ পড়লাম। দেরি করে পড়ার জন্য আফসোস হচ্ছে নাম বরং এমন চমৎকার একটা গল্প সময় নিয়ে তাড়িয়েতাড়িয়ে পড়ার আনন্দ উপভোগ করার জন্য নিজের বিচক্ষণতাকে আরেকবার ধন্যবাদ জানালাম মনে মনে।
জীবন ঘনিষ্ঠ লেখা। ক্ষুধা, দারিদ্র, অসহায়ত্ব, স্বার্থপরতা, রাজনীতির কীট ঘৃণ্য সব মিলিয়ে দুর্দান্ত উপস্থাপনা, সব শেষে ক্ষুধার কাছে যাবতিয় সবকিছুর পরাজয়! উফ!! অসাধারন।
গল্পের পরিবেশ, সংলাপ, গতি প্রকৃতি সব একেবারে পর্যাপ্ত।
ইলিশ ভাজা গন্ধের মত মৌ মৌ করছে পুরা গল্প
ইস্ কতদিন ইলিশ খাই না! আমার নিজেরই ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছা চাগিয়ে উঠলো ব্যাপকভাবে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল ভাই ।
দোয়া করি শীঘ্রই যাতে আপনার পদ্মার ইলিশ খাওয়ার সৌভাগ্য হয় ।
ভাল থাকুন ভাই
আগাম ঈদ মোবারক জানিয়ে রাখলাম ।
শুভকামনা রইল ।
৩৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৩
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: দারুণ গল্প
শেষের দিকে খারাপ লাগছিলো অনেক
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে । কেমন আছেন ?
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল
৩৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আরজু পনি বলেছেন:
জানতাম অসাধারণ আরেকটা লেখা পাবো ।
অনেকদিন পরে হলেও পড়বো জানতাম ।
অনেকগুলো বাজ বাস্তবকে সামনে তুলে নিয়ে এলেন...
আরেকটা কথা, নারীর শরীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পুরুষ নামের পশুদের বিভিন্ন রকমের ব্যবহারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়...বষিয়টা ভাবতেই ঘেন্না লাগে !
অসাধারণ গল্পে ভালো লাগা রইল মাহমুদ ।।
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা ।।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম
আপনাকে দেখে ভাল লাগছে আপু ।
সবসময় ভাল থাকুন এই কামনাই করি ।
শুভকামনা রইল
৩৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মাহমুদ ভাই, মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। ভালো লাগলো বললে কিছুই বলা হয় না। অসাধারণ মনে হল। চমৎকার বর্ণনায় অবলোকন করলাম রমিজার নুন আনতে পান্তা ফুরায় জীবনযাপন, স্বামীর নির্লিপ্ততা আর শাহরুখ খানের নায়োকচিত প্রস্থান। সাহেব, আর করিমের মা আর বিরোধীদলীয় নেতা যেন চিরন্তন রুপকে শোষণের হাতিয়ার।
ভাই আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আর প্রত্যাশা দুটোই অনেক বেড়ে গেলো। নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায় এই কামনা রইল।
অবশেষে আপনার এই গল্পটা পড়া হল। বাসায় যাবার আগে এতোটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম যে মনযোগ বসাতে পারছিলাম না। এতো দেরীতে পড়ার জন্য অবশ্যই অনেক লজ্জিত।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমার
এইভাবে উতসাহ দাও বইল্লাই হাত চালাইতে সাহস পাই ।
আমি ত জানি কি অবস্থায় ছিলা ভাল হইছ এটাই আসল কথা ভাই ।
তাই লজ্জার কথায় শরম পাই
ভাল থাইক ভাই ।
একরাশ শুভকামনা ।
৩৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা পড়ে কিছুক্ষণ উপলব্ধি করতে হল বিষয়টা- মুগ্ধ হলাম। চমৎকার লেখনি আপনার, প্রিয় মাহমুদ।
শুভেচ্ছা রইল।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল লাগছে প্রিয় প্রোফেসর , অনেক দিন পর এলেন ।
আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা রইল ।
ভাল থাকবেন
৩৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুর্দান্ত লিখেছেন ভ্রাতা।
গল্পটি পড়ে খুব মন খারাপ হল
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ শোভন ভাই ।
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল ।
৩৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
১ জনকে পাইসি যে আমার এই প্রোপিকটাকে ভালা পাইসে !
অনেকদিন হয়ে গেল আপনার কোন পোস্ট নাই ||
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহা ভাই , আপনার প্রোফাইলের জয় হোক । এর সুনাম বিশ্বব্যাপী
ছড়াক !!
হা ভাই , একটু বিরতি যাচ্ছে , তবে বিরতি শীঘ্রই কাটার চেষ্টা করছি ।
আর পোস্ট দেয়ার পর হতে নিয়মিত পোস্ট দেবার চেস্টা করব ।
ভাল থাকবেন ভাই । এভাবে স্মরণ করায় খুব ভাল লাগছে ।
৪০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্পে মুগ্ধ পাঠ , ধন্যবাদ লেখায়
শুভকামনা
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , আপনাকে দেখতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে , অনেকদিন পর দেখতে পেলাম । কেমন আছেন ?
ভাল থাকুন আপনিও ।
শুভকামনা নিরন্তর ।
৪১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অথচ রমিজার কেন মাছের চিন্তা করা লাগে ! সায়েবের রসুইঘরে দেশি - বিদেশি মাছের প্রতিদিন হাজিরা থাকে ।
অসাধারণ গল্প লিখেছেন মাহমুদ ভাই ! ++
অনেক অনেক ভালোলাগা ।
গত রাতে একটা গল্প পোষ্ট করেছি অনেক দিন পর ।
পড়বেন আশা করি ।
ভালো থাকুন ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমেই দুঃখিত দেরি করে মন্তব্য করার জন্য । ব্লগে অনিয়মিত
ছিলাম তাই দেরি হয়ে গেল । আশা করি মনে কিছু করবেন না ।
আপনাকেও অনেক দিন পর দেখলাম ।
পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার গল্প অবশ্যই পড়ব ।
ভাল থাকুন আপনি ।
শুভকামনা রইল ।
৪২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: গুণী ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর '' ইলিশ পোলাও : ছোটোগল্প '' নামের অসাধারণ গল্পটা আমি দু'মাস আগে পড়ে সেখানে একটা নাতিদীর্ঘ মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। তবে পুরনো লেখা হওয়াতে হয়তো তা নোটিফিকেশনে যায়নি, লেখকেরও তা দৃষ্টিগোচর হয়নি। তবে আপনার এ লেখাটাও খুব ভালো হয়েছে।
ঠিকই ত ! মাথার উপর সাইনবোর্ড স্বামী আছে বলেই না শিয়াল - কুত্তা জালায় না । যাদের স্বামী নাই তাদের অবস্থা কি নিজের চোখেই দেখে রমিজা । -- সমাজে কত নারী যে কেবল এই সাইনবোর্ড সর্বস্ব জীবন যাপন করে চলেছে এবং অথর্ব, মাতাল স্বামীকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, তার হিসেব কে রাখে?
৪৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঠকের মন্তব্য সবগুলো পড়লাম। অনেকগুলো মন্তব্য এবং লেখকের উত্তর খুব ভাল লেগেছে, সেগুলোকে অকাতরে 'লাইক' দিয়ে গেলাম। পাঠকের মন্তব্য লেখকের জন্য মস্ত প্রেরণা, অনেক সময় বিরূপ হলেও।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার এই জিনিস পছন্দ হয়েছে । পেছন থেকে পড়ে পড়ে আসা।
পাঠক সবসময়েই প্রেরণা সন্দেহ নেই। একেকজন একেক দৃষ্টিতে দেখবেন এটাও স্বাভাবিক।
কমেন্ট , লাইক, এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল ।
ভাল থাকবেন ।
শুভ সকাল
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গুণী ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর '' ইলিশ পোলাও : ছোটোগল্প '' নামে একটা অসাধারণ গল্প আছে ।
ইলিশ পোলাও : ছোটোগল্প
সবাইকে এটা পড়বার আহবান জানাচ্ছি । ফেবু মারফত জানতে পেরেছি উনার ছেলে অসুস্থ ।
আমি উনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি । আমিন । সেই সাথে আমি উনার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি ।