নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় বাঙ্গালী, অাবেগী হওয়ার সাথে সাথে একটু যুক্তিবাদী হও!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে ফেসবুকে খুব জনদরদী স্টাটাস দিচ্ছেন, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন, ধরুন, আপনার বাড়িতে একজন আশ্রয় চাইলো, আপনি আশ্রয় দিলেন, খাইতে দিলেন, হাগামুতার সুযোগ করেও দিলেন, পরের দিন আপনাকে দয়াশীল লোক মনে করে পাশের এলাকার কিছু লোক আপনার বাড়িতে অাশ্রয় চাইলো, আপনি একইভাবে তাদেরকেও জায়গা দিলেন, পরের দিন আর কিছু, তার পরের দিন আরো কিছু, তারপর বুঝলেন আপনার নিজের থাকার জায়গা অনেক আগেই হারাইসেন, এখন তারা সবাই একজোট হয়ে বলল, এই বাড়িটা আসলে তাদের, আপনি নিজেই সেই বাড়িতে আশ্রয় নিতে এসেছিলেন! (প্রশ্ন নং:১) কি করবেন তখন ??
অথবা সুযোগ বুঝে, তারা একদিন আপনার বাড়ির সব জিনিস চুরি করে নিয়ে চলে গেল! (প্রশ্ন নং:২), আপনার করনীয় কি তখন?
অথবা ধরুন, তারা একদিন আপনাকে খুন করলো, তারপর গ্রামে পুলিশ-বিজিবির টহল জোরদার করা হল, তারা এসে আপনাদের গ্রামের সবার স্বাধীন চলাফেরা বিঘ্নিত করে ১৪৪ধারা জারি করলো, সেই শান্ত সুন্দর গ্রামটিতে অশান্তির সৃষ্টি হলো ! (প্রশ্ন নং:৩) তাহলে কি করা উচিত আপনার?
বর্তমানে আমাদের দেশে রহিঙ্গা ভাই বোনের সংখ্যা কতো জানেন? মাত্র ২লাখ! এভাবে যদি তারা দেশে প্রবেশ করতে থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এটা ৫লাখ ছড়িয়ে যাবে খুব শীঘ্রই!
পরসমাচার, আমাদের জনপ্রনিধিরা নির্বাচন এর সময় কতটা ভোট পাগল হয়, সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই, তারা এদেরকে যদি এখন ভোটাধিকার দিয়ে আমাদের দেশের নাগরিকত্ব দেয়? সম্ভাবনাটা খুব একটা অযোক্তিক না নিশ্চয় !
এখন আবেগীদের কথা হল, তারা ভোটার হলে কি সমস্যা? এইটা বুঝার বয়স যদি আপনার না থাকে, তাইলে প্লিজ, হাল্কা মুতে শুয়ে পড়ুন !
পরের কথা, এই ৫লাখ রহিঙ্গা যদি কয়েক বছর পর নিজেদের জন্য স্বাধীনতা চায়? নিজেদের জন্য আলাদা আবাসভুমি চায়? তাহলে নতুন একটা আলাদা বিশৃঙ্খলা তৈরি হল কি না? এম্নিতেই আমরা সমস্যার মহাসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি!
সম্ভাবনার কথাটা কেনো বললাম, ফিলিস্তিন আর ইসরাইল এর দিকে তাকান! উত্তর পাইলেন তো !
আবার তাদের মদ্ধে যে, কেউ আইএস এর সাথে জড়িত না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে বস?
দুদিন আগেই মিরপুরে একটি বাড়িকে জঙ্গী আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করে ঘিরে রেখেছিল র্যাব! জঙ্গীর ভয় তো এখনো কাটেনি বস! এখন এর সুত্র ধরে যদি আম্রিকা বলে, তোমাদের দেশে জঙ্গী বেশি হয়ে গেছে, কিছু নেভি সিল টিম, আর কয়েক লাখ আর্মি পাঠালাম, ওদের শেষ করতে, সিরিয়ার দিকে তাকিয়ে যদি ওদের সহায়তার কথা চিন্তা করি, তখন সহ্য হবে তো বস?
মানবতার খাতিরে কাওকে অাশ্রয় দেওয়ার পক্ষে থেকেই বলছি, শুধু মুস্লিম বলে নয়, এই একই রকম কাজ যদি মায়ানমার এর বৌদ্ধ, হিন্দু বা অন্য ধর্মের কারো সাথে ঘটতো তবুও অামরা হয়তো এরকম ভাবেই অামাদের মানবতাবোধ ফুটে উঠতো কিন্তু
মানবতাবাদ দেখাতে গিয়ে নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা,.... বিলীন করার পক্ষে যাওয়া নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না !
আবেগ দিয়ে না ভেবে এই ইস্যুটাকে যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে! তাদের অাশ্রয়কে রাজনৈতিকভাবে ভেবে এর ভবিষ্যত সম্পর্কেও চিন্তা করতে হবে! বার্মাকে আমরা এসব না করার জন্য চাপ দিতে পারি এবং এর সমাধান একমাত্র রাজনৈতিক ভাবেই মুকাবিলা করতে হবে!
তারা মেরে বের করে দিবে আর আমরা আশ্রয় দিয়েই যাবো, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি দেখানোটা কোনো সমাধান হতে পারে না !
রোহিঙ্গা অধিকার আদায়ে ইতিমধ্যে জিহাদি সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ করবে শুধু তা না, বাংলাদেশের সাথেও করবে। তারা সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারসহ স্বাধীন আরাকান চাইবে।
একদিকে তিন পার্বত্য জেলায় স্বাধীকারের আন্দোলন চলবে, সাথে সাথে রোহিঙ্গাদের আন্দোলন চলবে। নিজ দেশের বহুধা আগুন নিভাতে গিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন থেকে ছিটকে গিয়ে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হবে।
আচ্ছা পাহাড়ে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র আসে কোথা থেকে? এত টাকা তারা পায় কোথায়? এত বিদেশি এনজিও সেখানে কি করে?ভেবেছেন কখনো?
খাল কেটে কুমির টানার কথা যারা বলছেন তাদের উদ্দেশে বলি “আবেগ দিয়ে দেশ চলে না”।
রোহিঙ্গারা নিজ দেশে যাতে নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে পারে সেটার জন্য আওয়াজ তুলুন, এই দেশে এনে আশ্রয় দেয়ার জন্য নিজের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না । নিজের ভালো পাগলেও বুঝে!
আপনি কেন বুঝবেন না !!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাই, এদেশের এক শ্রেণীর মানুষের মগজে শুধু আবেগ আর অনুভুতি, যেখানে যুক্তি বা বুদ্ধির কোন স্থান নেই.......

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২১

নতুন বলেছেন: ভাই আমাদের দেশের জনগনও কিছুদিন আগেই ( ১৯৭১ এ) দেশ ছেড়েছিলো এবং আরেক দেশ আমাদের আশ্রয় না দিলে আমাদের অনেক মানুষই মারা যেতো।

রোগিঙ্গারা অবশ্যই সমস্যা সৃস্টি করবে এবং তারা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবেনা।

কিন্তু আমাদের অতীত ভুলে গেলে চলবেনা।

সরকারের উচিত এদের জন্য জীবনজাপনের সব্যবস্তা করা কিন্তু এরা যেন সারা দেশে না ছড়িয়ে পরে এবং দেশের পাসপোট না পায়, বিয়ে না করে এবং অপরাধমুলক কাজে না জড়ায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.