নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোনটা ট্রেন্ড ?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

গোল্লাছুট খেলার সময় রাকিবের সাথে গন্ডগোলটা লেগেই গেলো !

অামি গোল্লা দিয়েছি কিন্ত ও বলে অামি দিই নি !

শুরু হয়ে গেলো মারামারি !

হাতির মতো একটা শরীর রাকিবের, যতই মারি ওর কিছু হয় না অার ও একবার অামার গালের উপর এমন করে একটা ঘুষি দিলো, উল্টে পাশের পুকুরের মধ্যে পড়ে গেলাম !

পরেরদিন, টিফিনের সময় সবাই বাইরে খেলছে অার অামি ক্লাসের মধ্যে বসে স্টিলের স্কেল দিয়ে খোদাই করে কাঠের বেঞ্চির যে জায়গায় শাকিলা বসতো ঠিক সেই জায়গায় লিখে দিলাম রাকিব + শাকিলা ! শাকিলা ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল!
শাকিলা তার নামের সাথে ৫৬রোল রাকিবকে দেখে পুরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো !
রাকিবকে কিছু জিঙ্গেস না করে সোজা হেডস্যারের কাছে বিচার দিয়ে এলো !
হেডস্যার ৫টা কঞ্চি নিয়ে এসে সবগুলা রাকিবের পিঠে ভেঙে ক্লান্ত হয়ে অফিসে ফিরে গেলেন ! পুরা ক্লাস নিস্তব্ধ ! রাকিবের কান্নার শব্দে পাশের ক্লাসও নীরব হয়ে গেসে ! তুহিন উঠে গিয়ে রাকিবের জামাটা তুলে ধরলো ! পুরা পিঠ লম্বা লম্বা দাগে ভর্তি !
প্রতিশোধ নিতে পেরে অাত্বিক শান্তি পেলাম খুব ! তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি ! প্রতিশোধ নেওয়া বা কাওরে রাগানোর জন্য তার নামের সাথে ক্লাসের সুন্দরী মেয়েটার নাম লিখে দিলেই মোটামুটিভাবে একটা অাত্বতৃপ্তি অাসতো ! তখন বেচারাদের রাগ দেখে কে ! ছেলেটা তো মেয়েটাকে বুঝাতেই পারতো না যে, সে এটা করে নি !
ছেলে অার মেয়ের সাথে প্লাস দেওয়া ইল্লিগ্যাল কিছু না ! এক জেন্ডারের প্রতি অপোজিট জেন্ডারের অার্কষন অস্বাভাবিক কিছু না !
অাজ ভার্সিটির কাহিনীটা একটু বলি !
অামার ক্লাসমেট নাহিদ অার মেহেদী রুমমেট, মেসে থাকে ! নাহিদ দাড়ি রেখে দিয়েছে অার মেহেদী একটু পিচ্চি টাইপের ! অল্পতেই রেগে যায় ! মোটকথা ক্লাসের মধ্যে মেহেদীরে রাগানো সবচাইতে ইজি ! গত সেমিস্টারে ৩.৫৬ রেজাল্ট করা সিফাত মেহেদীরে বলছে, কিরে মেহেদী তুই অার নাহিদ চাচা নাকি একরুমে দরজা লাগায়া ঘুমাস ! কাহিনী কি হাছা নাকি মামা ?... লিংক দিও একদিন..... !
সিফাতের অাশেপাশে বসা ছেলেগুলা সেই হাসাহাসি শুরু করলো !
মেহেদী চুপ কইরা অাছে ! মনে মনে খুব ক্ষেপেছে বোঝা যাচ্ছে !
সিফাত এবার গান শুরু করলো,
"অামি মেহেদী জোয়ান একটা পোলা,
দাড়িওয়ালা নাহিদের সাথে অামার বাপে দিসে বিয়া...."
সবাই তো হাসতে হাসতে শেষ !
এবার বেঞ্চিটাকে ঢোল হিসেবে নিয়ে সিফাত অাবার শুরু করলো,
"ও নাহিদ, যৌবন জ্বালা মিটায় না রে ঘরেতে নিয়াঅাঅাঅা........... "
পুরা ক্লাসে হাসি অার থামে না, শুধু মেহেদী ছাড়া !

একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম ! অাগে অামরা যেভাবে মজা করতাম সেগুলা হয়তো ইথিক্যাল ছিল, লজিক্যাল ছিল ! এখনকারগুলাও হয়তো তাদের দৃষ্টিতে ইথিক্যাল ! হয়তো এটাই এখনকার ক্রেজ, এটাই ট্রেন্ড ! কিন্তু ক্যান জানি নিজেরে এই দলটায় ভেড়াতে পারি না ! হয়তো অামিই এদের চাইতে বেশ অড ! তবে অামার মনে হয়, এখানে নাহিদ না থেকে যদি ক্লাসের স্বঘোষিত সুন্দ্রী অনামিকা থাকতো, তাহলে হয়তো মানাইতো !
কি অার করা, ওই ট্রেন্ড তো সেকেলে ! নতুন কিছু শুরু করতে হবে তো এই জেনারেশনকে !
সত্যিই এই জেনারেশনটা ঠিকঠাক পথে চলছে তো ?
নাকি, দিন যাওয়ার সাথে সাথে প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষিত জাতি তৈরী হচ্ছে অামাদের ?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সেরাম......

"লেখক জোয়ান একখান পোলা........
বুড়া মাইয়া দেইখা কেন
চাচায় দিছে বিয়া......: P

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলার ঘটনা। আমি নিজেই যেন তুহিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.