নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন #আম জনতা...

রোমান্টিক বুইড়া

স্বপ্ন হাসিমুখের...!!!

রোমান্টিক বুইড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটি হারিয়ে গেল এভাবেই...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

মেয়েটির বিয়ের জন্য তার ফ্যামেলী
একটা ভাল সমন্ধ ঠিক করল।
কিন্তু মেয়েটি বিয়ে করতে রাজী না।
কারন মেয়েটি একটা ছেলেকে ভালবাসে।
.
আর সে তার ফ্যামেলীকে তা জানিয়েছেও।
মেয়েটার ফ্যামেলী এ সম্পর্ক মেনে নিবেনা।
কারন ছেলেটি তেমন ভাল কাজ করেনা।
এখানে তাদের মেয়ে কিভাবে হ্যাপী থাকবে।
.
একমাত্র মেয়ে, এ মেয়েকে নিয়ে
তাদের অনেক স্বপ্ন অনেক আশা প্লেনিং।
বিশাল এক ফ্যামেলীতে তাদের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে
পাড়া প্রতিবেশিকে দেখিয়ে দিবে তাদের মেয়ের
কত্ত বড় ঘরে বিয়ে হল কত্ত হ্যাপী ইত্যাদি...
.
কিন্তু তারা একবারো ভাবল না তাদের মেয়ে কি চায়??
কোথায় তার সুখের ঠিকানা।
.
সেইদিন মেয়েটিকে পাত্র পক্ষ দেখতে আসল।
পছন্দ ও হয়ে গেল, সব ঠিক করে দু পক্ষের সুবিধা
মত একটা ভাল দিন দেখে বিয়েও ঠিক হয়ে গেল।
ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হল।
.
বিয়ের দিন থেকে পরবর্তী মেহমানদের বিদায়
দেওয়া পর্যন্ত কয়েক দিন ঠিকঠাক মতই কাটল।
মাসখানেক এর মধ্যে বিয়ের আমেজটাও কেটে গেল।
.
আত্বীয়স্বজন সব চলে গেল।মেয়েটা বাপের বাড়ী
বেড়াতে আসল। বাড়িতে আসার পরের দিন
মেয়েটা উধাঊ, তার কোন হদিস নাই।
.
অনেক খোজাখুজির পর তার বেডে বালিশের
নিচে একটা চিঠি পাওয়া গেল। তাতে লেখাঃ
.
"তোমরা তোমাদের স্বপ্ন পূরন করছ
আর আমি আমার স্বপ্ন পূরন করলাম।
আমি চাইনি এমন কিছু হোক তাই আমার
ভালবাসার কথা তোমাদের জানালাম।
.
কিন্তু তোমরা আমার সুখের কথা ভাবনি
কিভাবে আমি হ্যাপী থাকব তা না ভেবেই
তোমাদের ভাল লাগা ছেলের সাথেই আমাকে
বিয়ে দিয়ে তোমাদের স্বপ্ন পূরন করলে।
.
তাই আমিও আমার ভালবাসার মানুষের সাথে
চলে গিয়ে আমার স্বপ্ন পূরন করলাম।
আমায় ক্ষমা করে দিও।" :-/
.
চিঠিখানা পেয়েই ফ্যামেলী তাদের ভুল বুঝতে পারল।
আর তখন সেই ভুল বুঝা কোন কাজেই আসলনা।
আমি যতটুকু জানি তারা আজো মেয়েটিকে খুজে পায়নি।
আর তাদের একটা ভুল সিন্ধান্তে ৩ টা জিবন নষ্ট হয়ে গেল।
.
এইখানে আপনি কাকে দোষ দিবেন..??
এখানে মেয়েটির কোন দোষ নাই,
কারন সে তার ভালবাসার কথা জানিয়েই
তার হাত ধরে আজানার পথে পা বাড়িয়েছে।
.
যেই ছেলেটা বিয়ে করল তার কি দোষ..??
কোন অপরাধ না করেও তাকে এমন একটা
বিব্রতকর পরিস্তিতিতে পড়তে হল।
.
হা সব "বাবা-মা"ই চায় তার সন্তান ভাল থাকুক।
কিন্তু তার সন্তানের ভালথাকাটা কোথায়
তা তারা বেশির ভাগ ই খুজেনা।
.
তারা নিজেদের ইচ্ছেগুলো তার সন্তানের উপর চাপিয়ে দেয়।
একবারো ভাবে না সে এটা বইতে পারবে কি না।
আর বাবা-মায়ের সম্মানের কথা ভেবেই তারা সারা
জীবন সেই বোঝা বয়ে সুখে থাকার অভিনয় করে যায়।
.
আফসোস সেই সব অভিবাবকদের জন্য যারা আজো
নিজের সিন্ধান্ত তার সন্তানের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।
আমার ব্যাপক সন্দেহ আছে তারা তার সন্তানকে
কতটা ভালবাসেন, ভাল রাখতে চান।
.
হা আমি বিশ্বাস করি বাবা মায়ের অগোচরে কিছু করা ঠিক না।
তারা ছোট থেকে এ পযন্ত বড় করে আসল সন্তানের
উপর তাদের একটা অধীকার সবছেয়ে বেশি।
তাই বলে তারা সন্তানের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা
সিন্ধান্তে তার কথার গুরুত্ব দিবেনা সেটা তাদের ভুল।
.
মানুষ কয় বছর ই বা বাঁচে।
আর এ কয় বছর ই যদি ভাল থাকতে না পারি।
তাহলে দুনিয়াতে আসাটাই বৃথা।
কেউই চায় না তার বাবা মা'য়ের অসম্মানি হোক।
আমিও তার বাইরে নই।
.
সো ভবিষ্যত মাম্মি ড্যাডি'রা আপনাদের বলিতেছি
দিন বদলাইছে, আপনার সন্তানকে যদি সুখি দেখতে চান
তার সিন্ধান্তগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন।
.
তা না হলে আপনাদের কিছু ভুলের কারনেই আপনারা
আপনার সন্তানের কাছে থেকে বহু দূরে চলে যাবেন।
এটাই স্বাভাবিক, আর সেই দিন হয়ত বেশি দূরেও না। :-(

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বাবা মায়েরা সন্তানের ভালো চায় ঠিকই তবে নিজের জীবনের ব্যাপারে সন্তানেরও সিদ্ধান্ত দেবার অধিকার আছে।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার পদ্যগল্পটি।

শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.