নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন #আম জনতা...

রোমান্টিক বুইড়া

স্বপ্ন হাসিমুখের...!!!

রোমান্টিক বুইড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারিয়ে যাওয়াই শেষ কথা নয়, সে তো অনন্ত কালের শুরু মাত্র। :-(

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

নীল আর নীলা তাদের পরিচয় ফেসবুকে,
কিছুদিনের চ্যাটিং এ মেয়েটি ছেলেটিকে
ভালোবেসে ফেলে।
.
কিন্তু নীল ভালোবাসে নীলান্তিকে।
তাদের ও পরিচয় ফেসবুকেই। নীলা তাও জানতো,
তাবুও এই নীলের প্রতি তার অদ্ভুত এক মায়া।
সেও নীলকে অনেক ভালোবাসে। কাউকে যে
এতটা ভালোবাসা যায় তা সে নিজেও জানত না।
.
আর এই অদ্ভুত পাগলী মেয়েটাও নীল ও নীলান্তির
মাঝেই তার একটু সুখের নীড় বাঁধতে চায়।
সমাজের কে কি ভাবলো এসব নিয়ে সে মাথা
ঘামায় না। তার শুধু নীলের ভালোবাসা চাই।
.
একদিন নীল নীলান্তির সাথে নীলার পরিচয় করিয়ে দিলো।
তাদের দুজনের মধ্যেও বেশ ভালো বুঝাপড়া হয়ে গেল,
একসাথে সারা রাত তিন জনের চ্যাটিং চলছেই
আর নীল ও নীলার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারেনা।
এভবেই এগিয়ে চলছে তিন পাগলের ভালোবাসার গল্প।
.
.
নীল জবের উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে চলে গেল।
নতুন পরিবেশে সব গুছিয়ে নিয়ে বেশ ভালো
ভাবেই তার লক্ষ্যের দিকে এগুতে থাকে।
দেশে ফিরেই নীলান্তিকে বিয়ে করে সারা
জীবনের জন্য নিজের কাছে রেখে দিবে।
.
এ মেয়েটাকে কিছুতেই কষ্ট দেওয়া যাবেনা
কারন এই মেয়েটাই নীলকে ওর জিবনের চেয়েও
বেশি ভালোবাসে। আর নীল ও কম যায় না।
এসব ভাবতে ভাবতেই নীলের মন খারাপ হয়ে যায়।
.
আবার নীলান্তির জন্য গ্যাসের বেলুন,
হাওয়াই মিঠাই, চকলেট, একটা বেলী ফুলের মালা
ছোট্ট ছোট্ট বায়না গুলোর কথা ভাবতেই মনের
অজান্তেই তার দু ঠোটে হাসির বন্যা বয়ে যায়। :-D
.
এভাবেই গেল কয়েক মাস।
হঠাত ই নীল নীলান্তির কোন খোজ পায়না।
ওর ফোন বন্ধ, ফেসবুকেও নাই... চিন্তায়
মাথায় হ্যাং হয়ে আসে। ওর একটা বান্ধবির
নাম্বার ছিলো তাও আনরিচেবল।
.
নীল নীলাকে দিয়ে নীলান্তির খোজ নিতে লাগল।
নীলা ওদের বাসায় গিয়েও ওর কোন খোজ পায়না।
কারন ওরা ওই বাসা ছেড়ে চলে গেছে বেশ
কিছুদিন হলো। আচ্ছা নীলান্তির বাবা জোর করে
ওকে বিয়ে দিয়ে দিলো না তো?? নাকি অন্য কিছু?
এসব ভাবতেই নীলের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।
.
নীল নিজে এসে যে খুজবে তার ও কোন উপায় নাই।
দেশে থেকে আসার সময় ৪/৫ লাখ টাকা ধার করে
এসেছে।এ টাকা দিয়ে নিজেই দেশে ছোট খাট
একটা ব্যাবসা করতে পারত কিন্তু তাতে নীলান্তির বাবা
তার মেয়েকে নীলের কাছে বিয়ে দিবেনা।
এখন চলে গেলে সেই টাকার কি হবে, সেই টাকা
পরিশোধ করার মত ক্ষমতা নীলদের নেই।
.
তবুও নীল আর এদেশে থাকবেনা। সে নিজে এবার
নীলান্তিকে খুজবে। কি হবে টাকা পয়সা দিয়ে
যদি সেখানে ভালোবাসাই না থাকে। :'(
.
রাত যেন কাটতেই চায়না,কাউকে কোন কিছু না বলে
পরদিন সকালেই নীল দেশে চলে আসলো।
এয়ারর্পোর্ট থেকে প্রায় ২৫৬ কিমি পাড়ি দিয়ে সোজা
নীলান্তির শহরে, বাসায় গিয়ে ওদের কাউকে পায়না।
.
সারারাত গেটের পাশে বসে থাকে,
পরদিন থাকে, তারপর দিন থাকে সপ্তাহ চলে যায়
কিন্তু নীলান্তির খোজ পায়না। দিনরাত বাড়ির নিচে
গেইটের পাশে দাড়িয়ে থাকে মহল্লার মানুষ
চোর ডাকাত ভেবে মারধর করে পুলিশে দিয়ে দেয়।
.
পুলিশের মার খেয়ে মাস খানেক জেল
খাটার পর আবারো সেই বাড়ির নিচে দাড়িয়ে থাকে।
বোরখা পরা মেয়ে দেখলেই নীলান্তির খোজ করে
পিছু নেয় কিন্তু তার নীলান্তির দেখা সে পায়না।
মানুষ আবারো মারধর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
.
তারপর থেকেই সারা শহর নীলান্তিকে খুজতে থাকে নীল।
অনাহারে অর্ধাহারে রাস্তায় অলিতে গলিতে খোজে,
কিন্তু এ খোজা-র শেষ হয় না। খুজতে খুজতে
পাগল ই হয়ে গেল নীল।
.
এদিকে নীলের মা ও তার ছেলের খোজ পায় না,
অনেকে বলে হয়ত বিদেশে মরে গেছে
না হয় জেলে আছে আরো কত কি... আর এদিকে
নীলা ও নীলের খোজে ওদের বাসায় যায় সবাইকে
সান্তনা দেয়। কিন্তু তার নিজের জন্যই কোন সান্তনা নেই।
তাকে কে সান্তনা দিবে কারন নীল তো তার ও...
.
হয়ত নীলকে ছাড়া সে তার জীবনের মানে ও খুজে পায়না।
নীল হয়তো মরে গিয়ে বেচে গেল কিন্তু সে বাঁচবে কি করে?
মেয়েটা যে বড্ড ভালোবাসে নীল-কে।
.
একবার নীলের সাথে হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে
নীলার হাত নীল একটু জোরে চাপ দিলো
তাতে নীলার আঙ্গুল ই মচকে গেল। মেয়েদের
হাত যে এত অপরিপক্কা হয় গাধাটা তখন জানত না। :-)
.
আরেকবার সেনাক্যান্টনমেন্টের ভেতর নীলার
পছন্দের গোলাপ চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে কি
দৌড়টাই না দিলো তা ভাবতেই নীলার চোখে মুখে
ফুটে ঊঠে এক চিলতে হাসি... :-D
.
ছেলেটা আসলেই একটা গরু কখন কি করে ঠিক নাই।
আর কেন এই গরুটাকে নীলা ভালোবেসে ফেলল
তার ঊত্তর ওর নিজের ই জানা নাই।
.
নীলের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত তার
চোখের সামনে ভাসে। আর এসব ভেবে মনের
অজান্তেই নীলা হাসে। হয়ত মেয়েটা এভাবেই নীলের
সৃত্মি নিয়েই বাকি জীবন পার করে দিবে। হয়ত না, সবাই
সব ভুলে যাবে। জীবন চলবে আবার স্বাভাবিক গতিতে।
.
.
.
এভাবে আস্তে আস্তে নীলের জীবন ও স্বাভাবিক হয়ে গেল।
অল্প কিছুদিনের মধ্যে এমন পরিবর্তন হবে কেউ
ভাবেনি কখনো। সে এখন আর নীলান্তির বাড়ির
গেইটের নিচে দাড়িয়ে থাকেনা। রাস্তায় বোরখা
পরা মেয়ে দেখলেই পিছু নেয়না।
.
এখন সে রাস্তায়, ফুটপাতে, এখানে ওখানে,
সিনেমা হলের সামনে রেললাইনের পাশেই পড়ে থাকে...
কারন সব পাগলের জায়গা পাগলা গারদে হয় না।
নীলান্তির শেষ সৃত্মি "বর-বউ" এর মাটির পুতুলটাই
এখন তার জীবন...ওটার দিকে চেয়েই দিন-রাত কাটে।
.
.
জীবন চলচেই,
কিন্তু এমন জীবন কে চাহিয়া ছিলো??
নীল? নীলান্তি?? নাকি নীলা??? তারা কেউ জানেনা।
.
.
মূল লেখাঃ Mamun Wretched
fb/mamunlgc

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.