নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন রণবীর

মামুন রণবীর

আমি খুব সাদাসিধে মানুষ ।কবিতা,গল্প,লিরিক লিখার চেষ্টা করি মাত্র ।মাঝে মাঝে জীবনকে রহস্যেঘেরা বৃত্ত মনে হয় । যে বৃত্তে আমরা একদিক থেকে অন্যদিকে পরিভ্রমন করি ।কখনো কখনো জীবনের কথাগুলো অলীক ভাবনাদের স্পর্শ করতে ব্যাকুল হয় ।কিন্তু ভাবনাগুলো কখনোই স্পর্শ করা হয়না ।হয়তো কিছু কথা রাখতে গিয়েও রাখা হয়না ব্যাপারটির সাথে একমত পোষণ করে ।রাখা না রাখার ক্যানভাসে জীবন নি:শেষের পথে হাঁটে ।একসময় সেটাও ফুরোয় ।এরমাঝে অনেক কথার মিছিলে একটি প্রশ্ন মনে বারবার আঁচর কাটে...........আমরা কি কখনো পরিপূর্ণ হতে পারি.................আমরা মুগ্ধ হই...........কিন্তু মুগ্ধতাকে ছুঁতে পারিনা,খুব কাছ থেকে............

মামুন রণবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শূন্য বাড়ি

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪০

দীর্ঘক্ষণ ধরে গোছগাছ করার পর সব মালামাল গাড়িতে তোলা হল।গাড়ী ছাড়বে ছাড়বে অবস্থা। পুরনো গিটারটা নিতে শেষবারের মতো রুদ্র পাচতলায় উঠলো।আমার মিনি টেপরেকর্ডারে তখন বাজছে পুরান সেই দিনের কথা গানটি।রুদ্র শুনে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বিদায়বেলার কষ্ট আর চেপে রাখতে পারলোনা।আমি বললাম

-কিরে কাদছিস কেন

ও কেদেই চলল ,কোন কথা বললোনা।রুদ্রর দেরী দেখে অন্তু এসে হাজির।

-রুদ্র যাবিনা ,দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।

রুদ্রর কান্নার মাত্রা যেন আরো বেড়ে গেল।কষ্ট লুকাতে অন্তু আর আমি চলে গেলাম ব্যালকনিতে।হোকনা একটু

দেরী।অন্তু প্রায় আনমনা ভঙ্গিতেই বললো

-ইচ্ছে করছে সময়টাকে পেছনে সরিয়ে দেই।এখনই যেতে হবে কেন?কখনো ছেড়ে যেতেই বা হবে কেন?কেমন এ

নিয়মগুলো!!ওর চোখে জল।

-তবে থেকে যা। কি প্রয়োজন আছে যাবার.....

কথা শেষ হয়নি ,ওপাশ থেকে রুদ্রর ডাক।আমরা ব্যালকনি থেকে প্রস্থান করলাম।

অতপর অন্তু রুদ্রসহ একে একে সবাই চলে যেতে থাকলো। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে প্রথম দিনের

কথা মনে পড়ে গেল।নীচতলার ফাকা জায়গাটায় রুদ্র দুমিনিট গিটার বাজিয়ে শুনালো,এ বাড়িটায় ওর গিটারের সুরের শেষ oikotan

ওদের বিদায় জানিয়ে সিড়ি দিয়ে উঠছি আর প্রতিপদক্ষেপে এত দিনের smritigulu যেন সামনে পেছনে কোলাহল করছে।সে কোলাহল থেকে doure পালালাম।

এখন আমাদের বাসাটা ফাকা পড়ে আছে।যেন দেখার কেউ নেই। খালি পড়ে আছে সেই প্রিয় ব্যালকনি।ড্রয়িংয়ে আয়েশ করে খেলা দেখার আয়োজন নেই।ছাদে ওঠার ব্যস্ততা অথবা বাদল দিনে দলবেধে ভেজার আকুলতাটাও যেন কোথায় হারিয়ে গেছে।প্রতি রাতে টকশো দেখে এখন কেউ বিতর্কের ঝড় তুলবেনা।জন্মদিনের প্রথম প্রহরে সারপ্রাইজগুলো দরজায় কড়া নাড়বেনা।

এ বাড়িজুড়ে যেন শুধুই শুন্যতা।আর দেখা হবেনা এই বাড়িটায় একসাথে ওদের সবার সাথে .......আজ

থেকে ড্রয়িংয়ে বসে আর কথাও হবেনা ওদের নিয়ে। কথা হবে একরাশ হাহাকারের সঙ্গে অথবা শূন্য বাড়িটায় পড়ে থাকা অবশিষ্ট mounotar সাথে।

দিন কতক ধরে দিনের ক্লান্তি শেষে রাতভর জেগে থাকে mounota আমাদের শূন্য বাড়িটায়......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.