নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলে আমার ডাক্তার হবে

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

ডাক্তার বাবা মায়ের কথা বাদই দিলাম শিক্ষক বাবা মাও চান তাদের ছেলে ডাক্তার হোক। এই ক্ষেত্রে একজন কেরানীও পিছিয়ে থাকনে না। মোট কথা সকল পেশার বাবা মা-ই চেয়ে থাকেন ছেলেকে ডাক্তার হিসাবে দেখতে।

না হলে ২য় পছন্দ ইজ্ঞিনিয়ার।৩য় পছন্দ কোন আমলা। এর পরে কোন পছন্দ নেই। তখন যে প্রফেসনে উপরি ইনকাম বেশী আসার সুযোগ আছে, সেইটাই ছেলেকে পড়াতে চান।এ ক্ষেত্রেও শিক্ষক হিসাবে তাদের ছেলেকে কোন মা বাবা দেখতে চান না। আর সেই আদর্শে বড় করে তোলেন না। প্রথম থেকেই কাড়ি কাড়ি টাকার নেশার সুরটা বাবা মা-ই ধরিয়ে দিয়ে থাকেন।(অবশ্যই সকলে নন)।

অনুরূপভাবে জামাই হিসাবে প্রথম পছন্দ ডাক্তার্ ২য় পছন্দ ইজ্ঞিনিয়ার ৩য় পছন্দ কোন আমলা। কারণ এখানেও জামাই কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করবে এই আশায় । মেয়ে তাদের সুখে থাকবে টাকার কাড়ি নিয়ে।শান্তিতে থাকবে কিনা ভাবার দরকার পড়ে না।
বাবা মা সর্বস্ব নিয়োগ করে ছেলে ডাক্তারী পড়াতে চান এর কারন হিসাবে প্রথমেই তারা যুক্তি দেখাবেন মানুষের সেবা করবে তাদের ছেলে। ডাক্তারী মহত পেশা ইত্যাদি

কিন্তু তারা কখনই ভেবে দেখেন না যে মানুষের সেবা করার জন্য ডাক্তার হওয়া লাগে না। একজন বাস ড্রাইভারও প্রকারন্তরে মানুষের সেবা করছে।(আমি এখানে ড্রাইভার পেশাকে খাট করে দেখছি না্ উদাহরন দিয়েছি মাত্র)।
এই বিষয়ে ১৯৭৫ সালে মুক্তি্ প্রাপ্ত ছবি ”সুর্য কণ্যাতে” আলমগীর কবির বাবা মোস্তফার মুখ দিয়ে আসল সত্যটি বের করেছেন। ডাক্তার না হতে পারলে সে ছেলে অমানুষ হবে, তিনি এ কথাও বলেছেন।

এর প্রতিবাদ/সামলোচনা করেছেন পুত্র বুলবুল আহমেদ। কিন্তু সমাজে এই ধারনা আরও ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে, সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ছেলে বা মেয়ের আসল মেধা যাচাই না করেই কোন রকমে এ+ পেলেই তারা স্বপ্ন দেখতে থাকেন ছেলে/মেয়ে আমার ডাক্তার হবে।

কেরানীর ছেলে কেরানী হতে হবে এমন কোন কথা নেই তবে তার যোগ্যতা এবং মেধা যেখানে তাকে নিয়ে যাবে সেখানে যেয়েই তৃপ্ত থাকতে হবে, অহনির্শ চেষ্টা করে যেতে হবে একজন ভালো মানুষ হবার।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: চেষ্টা করে যেতে হবে একজন ভালো মানুষ হবার।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

হামিদ আহসান বলেছেন: ডাক্তারদের ইনকাম নাকি বেশি তাই সবাই সন্তানকে ডাক্তার বানাতে চায়

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ে্‌খেন এই ধারনা পেয়ে বসেছে আমাদের। আসলে এটা ঠিক যে প্রতি পরিবারে একজন ডাক্তার থাকার সুবিধা অনেক। তাই বলে অসত পথে হলেও ডাক্তার হতে হবে এমনটি নয়

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন তবে সব ডাক্তারের রোজগার একরকম নয়, সকলেই খুব ধনাঢ্য হন এমন নয়। তবে, খাওয়া পড়ার নিশ্চয়তাটা মনে হয় সব চিকিৎসক, শিক্ষক এবং অন্যান্য পেশাজীবিরা দিতে পারেন।

সন্তান, জামা্ই বা ছেলের বউ ডাক্তার হবে এমন আকাঙ্খার পিছনে টাকা পয়সার চেয়েও বড় একটি ব্যাপার কাজ করে বলে মনে হয়। বাস চালক, ঝাড়ুদার, ইন্জিনিয়র সকলেই মানুষের সেবা করছেন সত্য তবে প্রতিটি ইন্ডিভিজুয়্যালের কিন্তু বাস চালক, ঝাড়ুদার বা ইন্জিনিয়রের প্রয়োজন পড়েনা তবে প্রায় ৯৯% ইন্ডিভিজুয়্যালের জীবনের কোনা কোন সময় চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। খুব সম্ভবত হাতের কাছে একজন চিকিৎসক পাওয়া(তিনি দূরে অবস্থান করলেও তাঁর পরিচয়ের কারনে অনেক পরিচিত ডাক্তার আশে পাশে থাকে), প্রয়োজনে চিকিৎসা সংক্রান্ত সুপরামর্শ পাবার ব্যাপারগুলো মনে হয় টাকাপয়সার চেয়েও বড় ভূমিকা পালন করে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: আপনার ধারনা সঠিক। তাই বলে জীবন মরন পণল করে ডাক্তার হতে হবে এমনটি নয়। মেধা যোগ্যতা থাকলে াবশ্যই সে ডাক্তার হোক। কিন্তু যে ভাবেই হোক ডাক্তার হতে হবে এই মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বাংলাদেশের ধ্যান ধারণা একটু অন্যরকম। এজন্যই এখনো দেশে সমস্যা লেগে রয়েছে।

আধুনিক বিশ্বে, ডাক্তার হতে চাওয়াদেরকে খুব একটা দাম কেউ দেয় না। ডাক্তারকে তারা পুতুল হিসেবে ব্যবহার করে। ফার্মাসিস্ট, বায়োলোজিস্টদের পুতুল। তাদের আবিষ্কার গুলো সর্বসাধারণের কাছে পৌছানোর পোষ্টম্যান বা দোকান ঐ ডাক্তাররাই।
বাংলাদেশে অবশ্য সবাই ই জন্মের পর থেকে এই পুতুল হওয়ার জন্যই লেগে থাকে।

তারা শুধু জানে, মাথা ব্যথা করলে প্যারাসিটামল খেতে হবে। কেন খেতে হবে - সেইটাও বইয়ে পড়ছে। কিন্তু এই প্যারাসিটামলকে কিন্তু তারা খুঁজে বের করেনি।

দ্বিতীয় পছন্দ ইঞ্জিনিয়ারিং।
এইটাও একটা জোকস। ইঞ্জিনিয়াররা হল (নিজেও ইঞ্জিনিয়ারই) বিজ্ঞানের বিশাল সাম্রাজ্যের এক ছোট্ট ঘর তুলে পড়ে থাকা শ্রেনীর মানুষ। অনেকটা বস্তির মানুষ। বাইরের দেশে গিয়ে, আই অ্যাম অ্যান ইঞ্জিনিয়ার বলে ভাব দেখালে - কেউ তাকিয়েও দেখবে না।

আমার দুঃখ লাগে বাংলাদেশে পিউর সাবজেক্টগুলোতে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য। তারা কোন কিছু না হতে পেরে, না পেরে এইটাকে বেছে নিয়েছে - কিন্তু নিজেও বুঝে না যে - তারাই সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। তাদের দ্বারাই চলবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়াররা।

ডক্টর থেকে কিন্তু ডক্টরেট - এর মূল্য বেশি। এই ডক্টরেট ডিগ্রি খুব বেশি ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তারের কপালে জুটে না।

পোষ্ট কী ছিল! আর কী বললাম! বলে দিলাম আর কী কিছু!!! মনে কইরেন না আবার! [আমি আবার জ্ঞান দানে পারদর্শী মানুষ]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.