নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যি যদি বয়স হয় ১৫!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

"এ্যাডোলেসেন্ট লাভ" এর বাংলা করলে খুব সম্ভবত হয় "কৈশোরের ভালোবাসা" অথবা "কৈশোরের প্রেম"- মানুষের জীবনের অত্যন্ত পরিচিত একটি অধ্যায়।

সকলের ক্ষত্রেই এই অধ্যায় আসবে এমন নয় তবে অনেকে এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়। অত্যন্ত সুন্দর কোমল কিছু অনুভূতি, কারো প্রতি প্রচন্ড ভালোলাগা অথচ যার প্রকাশ সেভাবে নেই বললেই চলে- এমনটাই ঘটে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। কেউ কেউ প্রকাশ করলেও লজ্জা বা ইতস্তঃত একটা ভাব থেকে যায়। এক্ষেত্রে আর কিছু হোক হিংস্রতা বা প্রতিশোধপরায়ণতার মতো কঠিন অনুভূতি সাধারনত দেখা যায়না।

হঠাৎ এডোলেসেন্ট লাভ বা কৈশোরের প্রেম নিয়ে ভাবনার কারন একটি সংবাদ।
এই ব্লগে একটি ভিডিও দেখে চমকে যাবার চেয়েও বেশি ক্রোধান্বিত হলাম! দুজন কিশোরী বই হাতে স্কুলে যাচ্ছে এমন সময় এক বখাটে এসে তাঁদের একজনকে এলোপাথারি মারতে থাকে!!!
কতো বড় স্পর্ধা! দিবালোকে এতো জন মানুষের সামনে কি ভীষণ ধৃষ্টতা!
এই অন্যায়ের বিচার চেয়ে পোস্ট দেবার সাথে সাথে দেশে যোগাযোগ করে এর বিচারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালাম। উনিশ ঘন্টার কম সময়ে সুসংবাদ পেলাম বখাটে গ্রেফ্তারের। পোস্টে আপডেট লিখতে গিয়ে থমকে যেতে হলো, অপরাধীর বয়স মাত্র ১৫! শুধু তাই নয়, এই কিশোর গ্রাম থেকে শহরে আত্মীয়র বাসায় থেকে পড়াশুনা করতে এসেছে! ছেলেটির মা বাবা নিশ্চয় অনেক স্বপ্ন নিয়ে স্বন্তানকে তাকে পড়তে পাঠিয়েছেন, উন্নততর শিক্ষায় শীক্ষিত হবার জন্য, উন্নত মানুষ হবার জন্য!

এই কিশোরকে কারাগার বা জেলে রেখে নির্যাতন করা বা শাস্তি দেয়ায় কি কোন ইতিবাচক দিক আছে?

ইভ টিজিং এর একটি শাস্তির উদাহরন হবে এটা সত্য তবে সেই সাথে ধ্বংস হয়ে যাবে এই কিশোরের ভবিষ্যত। হয়তো সঠিক পারিবারিক শিক্ষার অভাবে তার এই বখাটেপণা, হয়তো জীবনের কঠোরতারকারনেই তার মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে-- বখাটেপনা বা অসভ্যতাকে সে মনে করেছে নায়কোচিত কাজ।

সে শিক্ষা পায়নি গায়েরজোরে ভালোবাসা আদা করা যায়না, ভালোবসলে সেখানে শুধুমাত্র বিনয়, নম্রতা ও ভদ্রতা ইতিবাচক কোন পরিনতি বয়ে আনতে পারে, কঠোরতা বা ইতরামী নয়। ইভটিজিং এর মতো নোংরমাী কারো মন জয় করতে পারেনা, বরং সৃষ্টি করে বিদ্বেষ!
রুহুল আমিনকে দিয়ে সেই কিশোরীর কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থণা করানো জরুরী, সেই সাথে এটাও জরুরী সে বা তার সঙ্গীরা যেন ভবিষ্যতে সেই কিশোরী বা তার পরিবারের প্রতি কোন হুমকির কারন না হয়। জেলের পরিবর্তে কিশৌর সংশোধনালয়ে কিছু সময় কাউন্সেলিং হয়তো অনেক বেশী কার্যকর হবে।

যার কঠিন শাস্তি চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম তার শাস্তির বিষয়ে এখন এই নমনীয়তার কারন অপরাধীর বয়স। আক্রান্ত কিশোরীকে সুবিচার পাইয়ে দিতে যেমন প্রয়োজন ছিলো আমাদের সকলের সম্নিলিত কন্ঠস্বর তেমনি এই কিশোরকে ভবিষ্যতে আলোর পথ দেখাতে এই নমনীয়তা অপরিহার্য।

বখাটেদের ভবিষ্যতে শাস্তি নিশ্চিত করতে এই কিশোরের শাস্তির চেয়েও জরুরী সেসব নরাধমের শাস্তি যারা প্রচন্ড ঔদ্ধ্যতের সাথে বইমেলা আর পহেলা বৈশাখে শুধু ইভটিজিং নয় বরং নারীর সম্ভ্রমহানীর ধৃষ্টতা দেখায়।

এ এক অদ্ভুত অন্তর্দ্বন্দ!
ভিডিওটির দেখে রুহুল আমীনের প্রতি ঘৃনায় মনে ভরে গেলেও তার বয়সের কথা মনে পড়লে এই সিশিক্ষা বন্চিত কিশোরের অসহায়ত্ব ও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবটাও প্রকট হয়ে উঠে। তার প্রতি কঠোর শাস্তির চেয়ে সঠিক কাউন্সেলিং এর গুরত্ব অনেক বেশি মনে হয়।


*** রুহুল আমীনের কাজটি অত্যন্ত ঘৃন্য ও নিকৃষ্ট! এই কাজকে সমর্থনের কোন কারন নেই। এধরনের অপরাধে কোন কিশোরের জেল বা মৃত্যুদন্ডের চেয়ে জরিমানা ও কিশোর সংশোধনালয়ে কাউন্সেলিং অনেক বেশি জরুরী ও কার্যকর।***

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

এস কাজী বলেছেন: উল্লেখ্য তাকে জেলখানায় রাখা হয়নি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানীর তারিখ নির্ধারন করে গাজীপুর কিশোর শুধানাগারে পাঠানো হয়েছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

মানবী বলেছেন: কিশোর শোধনাগারে প্রেরণ নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: ছেলেটাকে এই অপরাধ করতে বাধ্য করেছে মেয়ের বাবা এবং দুলা ভাইয়ের কতৃক ছেলেকে মাইর দেয়ার ঘটনাটা।

একটা অপরাধ আরেকটা আপরাধের জন্ম দিয়েছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

মানবী বলেছেন: "একটা অপরাধ আরেকটা আপরাধের জন্ম দিয়েছে"
আপনার এই বক্তব্য সঠিক কারন যদি ছেলেটিকে প্রহার করাকে অপরাধ মনে করেন তাহলে জানবেন সেই অপরাধের জন্ম হয়েছে ছেলেটিত ইভটিজিং এর অপরাধের কারনেই।

রুহুল আমিনের শাস্তির ব্যপারে নমনীয় মনোভাবের অর্থ এই নয় যে কোন ভাবে তার ঘৃন্য অপরাধকে সমর্থন করা।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৮

নতুন বলেছেন: @ ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব << ঐ মেয়ের বাবা/দুলাভাই কেন দুনিয়ার এতো ছেলে থাকতে এই ছেলেকেই মাইর দিলো?

প্রথম অপরাধটা কিন্তু আপনার ঐ ছেলেই করেছে ...মেয়েটিকে ডিস্টাব করে।

অবশ্যই মেয়ের বাবা অন্যায় করেছে সেটাও সাস্তি যোগ্য অপরাধ...।

অবশ্য এই ছেলেটিকে যদি জেলখানায় রাখে এবং শুধু সাজাই দেয় তবে সেটা খুব একটা উপকার হবেনা। বরং বের হয়ে আরো খারাপ কিছুর চিন্তা করতে পারে। সেটা এই সাজার ফলে হতে পারে।

তাই তাকে কাউন্সিলিংএর দরকার। ছেলেটিকে বোঝাতে হবে যে এটা তার অন্যায় হয়েছে। তার পরিবারেরও উচিত হবে তাকে বোঝানো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

বাঘ মামা বলেছেন: সব কিছুর মুলে হলো পারিবারিক শিক্ষা, যেই শিক্ষা প্রতিটা মা বাবা তার সন্তান কে বুক থেকে বুকে মন থেকে মনে ডেলিভারী দেয়ার কথা যা ছেলেটি পায়নি,আমি বিশ্বাস করিনা মা বাবার সঠিক শিক্ষা কোন সন্তান এড়িয়ে যেতে পারে।
জানিনা ছেলেটি বদলাবে কিনা কোন শাস্তিতে কিংবা কোন শিক্ষাতে তবে এসব থেকে পরিবার গুলো শিক্ষা নেয়া উচিৎ সন্তানের জন্য।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

মানবী বলেছেন: নিঃসন্দেহে ইভটিজিং এবং ধর্ষনরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পরিবারল দুঃখজনক হলেও সত্য সমাজের একটি বড় অংশের শিশুরা পারিবারিক শিক্ষা থেকে বন্চিত, পরিবার থেকে বন্চিত।

আমাদের কিশোর শোধনাগারগুলো সঠিক ভাবে কাউন্সেলিং আর দিকনির্দেশনা দিলে নিশ্চয় এরা বদলে যাবে, কৈশোরকালটা তো মানুষ গড়ে তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

ধন্যবাদ বাঘমামা।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: একটা ছেলে বাজে লাইনে চলে গেলে সাধারনত আর ফিরতে পারেনা। এই ছেলেও পারবেনা। আর মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হবার কথা বলে। আমার মনে হয় অপরাধের জন্য শাস্তিযোগ্য বয়স কমিয়ে ১৪-১৫ করা উচিত। কত ঘটনাই দেখছি হচ্ছে, ১৪-১৫ বছরের বাচ্চা খুন ধর্ষনেও জড়িত হচ্ছে। আরেকটা জীবন নস্ট করে তোমার সংশোধনে যাবার অধিকার কতটুকু যুলতিযুক্ত জানিনা। একেবারে শিশুতোষ অপরাধ ছাড়া সবকিছুরই শাস্তি দরকার।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

মানবী বলেছেন: "একটা ছেলে বাজে লাইনে চলে গেলে সাধারনত আর ফিরতে পারেনা।"
- এই বক্তব্যের সাথে মোটেও সহমত নই। এধনের বিশ্বাস বা মানসিকতা থাকলে পৃথিবীতে এতি সব রিহ্যাব সেন্টার আর কাউন্সেলরের জন্ম বা প্রয়োজন হতোনা।

আর বিষয়টা আরেকটা জীবন নষ্ট করে সংশোধনে যাওয়া নয়, অপরাধ প্রবণতা বা অপরাধ করার কারনেই সংশোধিত হবার প্রশ্ন।
আপনার ভাবনা শেয়ার করার জন্য ধন‍্যবাদ।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

মদন বলেছেন: পরিবারে/বিদ্যালয়ে নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয় না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

মানবী বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো তাই, নাহলে এমন হবে কেনো!


আপনি ভালো আছেন আশা করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

রাশেদ ইফতি বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

"রুহুল আমিনকে দিয়ে সেই কিশোরীর কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থণা করানো জরুরী, সেই সাথে এটাও জরুরী সে বা তার সঙ্গীরা যেন ভবিষ্যতে সেই কিশোরী বা তার পরিবারের প্রতি কোন হুমকির কারন না হয়। জেলের পরিবর্তে কিশোর সংশোধনালয়ে কিছু সময় কাউন্সেলিং হয়তো অনেক বেশী কার্যকর হবে"।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমি একমত ।

শতদ্রু একটি নদী<< ভাই একটা ছেলে বাজে লাইনে গেলে সে ফিরতে পারে না ভুল । হ্যা সাধারনত পারে না । তবে চেষ্টা আর সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে তাকে ফির‍্যে আনা সম্ভব । আমি এমন একজন ভাই যে জানি যার বাবা উকিল কিন্তু সে অস্ত্র এবং মারডার কেস এই দুইয়ের আসামী ছিল । কিন্ত বরতমানে সে নিজে একজন উকিল ।

আসলে পারিবারিক শিক্ষা হল মূল । এটার ভিত্তি যত মজবুত আর সুন্দর হবে একজন মানুষ তত ভাল ভাবে বেড়ে উঠবে ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

মানবী বলেছেন: সঠিক শিক্ষা, সহানুভূতি আর সাহায্য পেলে অবশ্যই বিপথগামীরা সঠিক পথে ফিরে আসে।
আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত ভদ্রলোক সুপথে ফিরে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভালো থাকুন।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

সেনাপতি৮০ বলেছেন:

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

মানবী বলেছেন: আপনি এখন আমার এই পোস্ট খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞাপণের জন্য? :-)


আপনার মেন হয় গর্ভবতী মেয়েটির প্রান বাঁচানোর আর্ত চিৎকারে বিজ্ঞাপণের পর কেউ আগ্রহী হবে এতে সাড়া দিতে!!!

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

চিত্রনাট্য বলেছেন: এ ধরণের মানসিকতা গুলো পরিবার থেকেই তৈরি হয়, একটা পরিবারের মূল্যবোধ বলে দেবে একটা শিশু কিরকম হতে পারে।
এর বাইরে ফ্রেন্ডস দারুণ প্রভাব ফেলতে পারে।

হ্যাঁ, এই বয়সে শাস্তির চেয়ে অন্য কোন পন্থা হলেই ভালো। তবে আমাদের দেশের জন্য এগুলো খুবই কম।

বাবা মা কে গালি দিচ্ছে, পিটাচ্ছে সেই তাদেরই সন্তানরা একই কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.