নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেব শিশু আয়লানও শিউরে উঠতো যে দৃশ্য দেখে!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

সিরিয়ান দেবশিশু আয়লান, মা বাবা আর ভাই গালিবের সাথে সুন্দর সুখি নিরাপদ সুনিশ্চিত জীবনের আশায় পাশাচাত্যে পাড়ি জমাতে যেয়ে নৌদুর্ঘটনায় মা ও ভাই সহ নিহত হয়। তুরস্কের সমুদ্র তীরে তার নিস্প্রাণ, নিথর দেহ ভেসে উঠার ছবি আলোড়িত করে বিশ্ব মানবতাকে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কেঁদে উঠে সমগ্র বিশ্ব! সিরিয়া সহ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বিভিন্ন দেশের শরনার্থীদের পূণর্বাসনে নিজেদের দায়িত্বের কথা, আরো মানবিক হয়ে উঠার কথা মনে করিয়ে দেয় সকলকে দেব শিশু আয়লানের নিথর দেহের ছবি।

শিশু আয়লানদের জন্য হত দরিদ্র এই দেশের মানুষ আমরা সরাসরি খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা রাখিনা। অল্প কিছুকাল আগেই ঠিক এই দেবশিশু আয়লানের মতো হাজার অসহায় রহিঙ্গা দেবশিশুদের আমরা নির্বিকার ভাবে এমন নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছি, আশ্রয় না দিয়ে অনেকটা নির্মম ভাবেই ফিরিয়ে দিয়েছি তাঁদের। তাই আজ শরনার্থী আয়লানদের জন্য আর যেই কাঁদুক আমাদের কান্না কতোখানি যৌক্তিক তা ভেবে দেখার বিষয়!


সুন্দর সময় আয়লান ও গালিব


স্ত্রী পুত্র হারিয়ে শোকার্ত পিতা স্মৃতি বিজরিত সিরিয়ার বাসায় ফিরেছেন



আয়লানদের পরিবার বেশ কয়েক বছর আগেও সুখে শান্তিতে নিজ দেশেই নিশ্চিত নিরাপদ জীবন যাপন করছিলো। হঠাৎ এক দুর্ঘটনার মতো যুদ্ধ শুরু হয়, এক পাল হায়নার নিয়ত হামলায় অনিশ্চিত আর অনিরাপদ হয়ে পড়ে তাঁদের জীবন আর তাই এমনি ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেবার চেষ্টা।


আমাদের দেব শিশু


যে দেব শিশুদের দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই প্রতিদিন

আমাদের দেশে প্রতিদিন উপরের এই ছবির মতো হাজার হাজার ছবির সৃষ্টি হয়। এসব শিশুর জীবনে তাঁদের জন্মটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা! সুন্দর সুনিশ্চিত আর সুনিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখার মতো অবস্থাও তাঁদের নেই। মাথার উপর ছাদের চেয়েও দু বেলা দুমুঠো অন্নের জোগান হওয়াটাই বড় স্বপ্ন। রোদ বৃষ্টি ঝড় ঝন্ঝা উপেক্ষা করে এই পথেই তাদের জন্ম, এই পথেই তাদের মৃত্যু। এক ভয়ংকর অন্ধকার সত্য তাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসে, তার চেয়েও ভয়ংকর ভবিষ্যত তাদের হাত ছানি দিয়ে ডাকে।
বিভিন্ন পত্রিকা আর সামাজিক মাধ্যমে দেবশিশু ‌আয়লানের জন্য যতো বাংলাদেশি আজ আহাজারি করছেন, তাঁদের প্রত্যেকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রোহিঙ্গা নয়, এই আমাদের পাশেই পথে পড়ে থাকা এসব অসহায় শিশুদের দিকে যদি মমতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে কেমন পরিবর্তন সম্ভব ভেবে দেখুন!

জ্বি, আমি জানি হাতে কলম উঠিয়ে বা কী বোর্ডে ঝড় তুলে আয়লানের জন্য আহাজারীতে পয়সা খরচ করতে হয়না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে উপর্জিত হয়ে থাকে।

বলছিলাম আমাদের মানবিকতার কথা! যে বোধের কাছে অসহায় হয়ে এসব কলাম, কবিতা আর ব্লগের জন্ম, সেই জাগ্রত মানবিক বোধ বাস্তবে কাজে লাগিয়ে আলোর পথ নিয়ে আসা যায় এমন অগুনিত দেবশিশুদের। আর কিছু না হোক এসব শিশুদের পড়া লেখার দায়িত্ব নিয়ে সুনিশ্চিত অন্ধকার ভবিষ্যতের ছোবল থেকে রক্ষা করা যায়। একার পক্ষে সম্ভব না হলে পরিবার, আত্মীয় বন্ধু বান্ধবদের সাহায্য নিয়ে অন্তঃত একটি শিশুর শিক্ষা আর আহারের দায়িত্ব আমরা প্রত্যেকে গ্রহন করতে পারি।
খরচ খুব বেশি নয়। নিজের সিগারেটের খরচ, মেকাপ আর সাজ বিলাসিতার খরচটা বাঁচিয়ে আলোকিত করা যায় এদের জীবন।

দেব শিশু আয়লান কে দেখে লেখনির মাধ্যমে অশ্রু ঝরানোর আগে একবার আমরা ভেবে দেখি, আয়লানদের রক্ষায় বাস্তবে আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারে। শুধু হা-হুতাশ আর সমবেদনা না জানিয়ে বদলে দেই এসব অসহায় দেবশিশুর জীবন যাদের পীচঢালা পথের এমন ভয়ংকর জীবন দেখে আয়লানের মতো শরনার্থী দেবশিশুরাও শিউরে উঠে!

ছবি সুত্র: ইন্টারনেট
সামহয়্যার ইন ব্লগ

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আসলে আমরা পরের ধনে যেমন পোদ্দারী করতে ভালবাসি । ঠিক তেমন নিজ দেশের খবর না নিয়ে আক দেশের বাচ্চা নিয়া টানা টানি করি ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

মানবী বলেছেন: রোহিঙ্গা শিশুদের আমরা নির্দয় ভাবে বিতারিত করেছি, তাদের অনেকের পরিনতিই আয়লানের মতো হয়েছে, পশ্চিমারা তা নিয়ে হৈচৈ করেনি তাই আমাদের কলমেও আগুন ঝরেনি সেসব হতভাগ্য শিশুদের জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

সুমন কর বলেছেন: জীবনটা অনেক কঠিন। লেখা খুব ভালো লাগল।

কিন্তু আমাদের দেশে জনসংখ্যা এতো বেশী এবং উচ্চবিত্তরা এসব নিয়ে ভাববে না। আর মধ্যবিত্তের অনেকের সাধ থাকলেও তা পূরণ করা বেশ কষ্টকর। তবে হ্যাঁ, নিজের সিগারেটের খরচ, মেকাপ আর সাজ বিলাসিতার খরচটা বাঁচিয়ে আলোকিত করা যায় এদের জীবন। সামান্য হলেও।

লেখায় প্লাস।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

মানবী বলেছেন: জনসংখ্যা অধিক হলে সাহায্যের হাতের সংখ্যাও তো অণেক বেশী হবার কথা, তাই না?
দেখুন জনসংখ্যার ডিমান্ড পুরো করতে কিভাবে আধুনিক আ দামী দামী মল শপিং সেন্টারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে!!

আপনি , আমি আমরা সবাই যদি এক একজন শিশুর দায়িত্ব নিতে পারি তাহলে অন্তঃত কিছু করা হলো। কোন কিছুই না করার চেয়ে তো ভালো। আর দায়িত্ব নেয়া মানে এই নয় সব খরচ তাঁকেই বহন করতে হবে, পরিবার, আত্মীয় বন্ধুর সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই একজন শিশুকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়।

ধন্যবাদ সুমন কর।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: হ্যাঁ, নিজের সিগারেটের খরচ, মেকাপ আর সাজ বিলাসিতার খরচটা বাঁচিয়ে আলোকিত করা যায় এদের জীবন। সামান্য হলেও।

লেখায় প্লাস।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ সাইবার অভিযাত্রী।

ভালো থাকুন।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেকের লিখায় সামুর সোনালী সময় বলে একটা কথা উঠে আসে , যা এখন আর নেই বলে আক্ষেপও করা হয় ।
সবাই সামুর সোনালী সময় এর কথা শুনেছে , কিন্তু সে সময়ের লিখকদের চিনে না ।
সেই সোনালী সময়েরই এক গোল্ডেন ফোর্স এই মানবী।

অনেক দিন পর আপনার চমৎকার লিখা পড়লাম ।
অভিনন্দন মানবী ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

মানবী বলেছেন: আমি খুব ই সাধারন ব্লগার, আপনার এমন মন্তব্য শুধু মাত্রই আপনার ঔদার্য্য আর মহানুভবতা প্রসূত। আমার প্রাপ্য নাহলেও সন্মানিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

রুমানাকে নিয়ে লেখা পোস্টে আপনার স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছিলেন মনে আছে, আশা করি তিনি ভালো আছেন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন গিয়াস লিটন।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

মেহবুবা বলেছেন: সারা পৃথিবী জুড়ে এত অরাজকতা এত অমানবিকতা এবং আমাদের দেশে খুব কাছে এত সব অব্যবস্থা আর নির্মমতা ; সহ্য ক্ষমতার সীমা আল্লাহ্‌ নির্ধারণ করে , সেই ভাল জানে কি করে স্বাভাবিক থাকতে হয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

মানবী বলেছেন: সহমত।
অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ভাবে আমাদের আশেপাশের চিত্র আমাদের সেভাবে বিচলিত করেনা যেভাবে উদ্বেলিত করে ভিন্ন কোন দেশের একই রকম করুন ছবি!

ভালো লাগলো আপনাকে দেখে, আশাকরি আপনি ভালো আছেন মেহবুবা।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আনেক দিন পর "পানির দরে গরু কিনে বাড়ির পথে" এই পোস্টে আপনার উপস্থিতি দেখে একটু চমকেই উঠলাম। তাই খোঁজ নিতে আপনার ব্লগে আসা।

আপনার সাথে সহমত, বিশেষ করে মন্তব্বের " পশ্চিমারা তা নিয়ে হৈচৈ করেনি তাই আমাদের কলমেও আগুন ঝরেনি " এই লাইনটা।

ঘটনার ফলাফল নিয়ে আমরা যতটা বাড়াবাড়ি করি ঘটনার কারন নিয়ে ততটা নাড়ানাড়ি করি না। কারন নির্মূল করা গেলেই এই রকম খারাপ ফলাফল আমাদেরকে ভগ করতে হবে না। সিরিয় যুদ্ধের পেছেনের সত্যটা খুজতে একটা পোস্ট করেছিলাম;
http://www.somewhereinblog.net/blog/Abid_Jaljala/30070193

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

মানবী বলেছেন: আমার মতো বিস্মৃত জনকে মনে রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো।

সময় করে পোস্টটি পড়বো। আমার পোস্টের উদ্দেশ্য আসলে বিশেষ করে সিরিয়া সমস্যা বা তাঁদের শরনার্থী নাগরিকেরা নন, আমরা যারা ভীনদেশীদের জন্য মাতম করি অথচ নিজের দেশের মানুষের সাথে নিষ্ঠুর আচরন করি, তা মনে করিয়ে দেয়া।

ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে, অনেক শুভ কামনা রইলো।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



একার পক্ষে সম্ভব না হলে পরিবার, আত্মীয় বন্ধু বান্ধবদের সাহায্য নিয়ে অন্তঃত একটি শিশুর শিক্ষা আর আহারের দায়িত্ব আমরা প্রত্যেকে গ্রহন করতে পারি।

সম্ভব শুধু দরকার একটু সদিচ্ছা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

মানবী বলেছেন: আমাদের দেশে হত দরিদ্র মানুষের দুর্দশা এতোটাই প্রকট শুধু হাতা বাড়ালেই তাঁদের সাহায্য করা যায়, ঠিক বলেছেন শুধু সদিচ্ছার প্রয়োজন। হত দরিদ্রের মাঝে দু একজন প্রতারক যে নেই তা নয়, তবু সৎ মানুষের সংখ্যা বেশি।

ধন্যবাদ আমিনুর রহমান। ভালো থাকুন।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বি, আমি জানি হাতে কলম উঠিয়ে বা কী বোর্ডে ঝড় তুলে আয়লানের জন্য আহাজারীতে পয়সা খরচ করতে হয়না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে উপর্জিত হয়ে থাকে।
রোহিঙ্গা শিশুদের আমরা নির্দয় ভাবে বিতারিত করেছি, তাদের অনেকের পরিনতিই আয়লানের মতো হয়েছে, পশ্চিমারা তা নিয়ে হৈচৈ করেনি তাই আমাদের কলমেও আগুন ঝরেনি সেসব হতভাগ্য শিশুদের জন্য। (১ নং মন্তব্যের উত্তরে)
আমার পোস্টের উদ্দেশ্য আসলে বিশেষ করে সিরিয়া সমস্যা বা তাঁদের শরনার্থী নাগরিকেরা নন, আমরা যারা ভীনদেশীদের জন্য মাতম করি অথচ নিজের দেশের মানুষের সাথে নিষ্ঠুর আচরন করি, তা মনে করিয়ে দেয়া। (৬ নং মন্তব্যের উত্তরে)
* আপনার এসব ঋজু ও বলিষ্ঠ বক্তব্যের জন্য হ্যাটস অফ!
সম্পূর্ণ একমত আপনার বক্তব্যের সাথে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

মানবী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সন্মানিত হলাম। সহমতের জন্য ধন্যবাদ।

অনেক ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.