নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, মনে পড়লো তোমায়.....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

.


বাইরে মুষলধারায় বৃষ্টি....

ঘরের আলো আঁধারিতে ধীরলয়ের মিউজিক এনজয় করার সাথে সাথে এই মুহূর্তে আমরা যখন ভাবতে ব্যস্ত ঈদের গরু বা খাসী দিয়ে কি সব মজার আইটেমের এক ভুড়িভোজের আয়োজন করা হবে... কেমন করে ছুটির সময়টা আরো উপভোগ্য আর আনন্দময় করে তোলা যায়.....

ঠিক সেই সময় একজন অসহায় মা ভাবছেন তাঁর সন্তানের মাথার উপর একটি ছাদের জোগান সম্ভব কিনা। ক্ষুধার্ত দুধের শিশুর জন্য এতোটুকু দুধ না হোক অন্তঃত ভাতের মাড় তুলে দিতে সক্ষম হবে কিনা। ঘরের আরামের বিছানা অথবা সোফায় বসে আমরা যখন মজার সব ঈদের অনুষ্ঠান উপভোগের আয়োজনে ব্যস্ত, ঠিক সেসময় একজন গৃহহীন অসহায় পিতা মুষল বৃষ্টিধারার মাঝে আপন সন্তান আর জীবনের শেষ সম্বল টা নিজের পিঠ দিয়ে আগলে রাখার ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত!




শুধু আমেরিকা আর ইউরোপকে দায়ী করে বা তাদের সমালোচনা করে আমরা অনেকেই বিবেকবান মানুষ হিসেবে, একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে চাই, আসলেই তাতে কি নিজেকে একজন মুসলিম বা মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়?
একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমের বিবেকবোধ, একজন খাঁটি মানুষের বিবেক এতো সহজে সন্তোষ্ট হতে পারেনা!




আমরা হাত বাড়ালেই যেখানে গৃহহীন, সহায় সম্বলহীন মানুষের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দেয়া যায়, যেখানে আমাদের দেয়া সামান্য টাকায় গৃহহীন শিশুর মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করা যায়, সেখানে শুধু সমালোচনা আর বিলাপ করে আমরা স্বস্তি পেতে পারিনা।



সম্পূর্ণ ভীনদেশী, ভীনধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ... শুধুই মানবিকবোধ বলে একজন মানুষ এসব অসহায় মানুষের সাথে এক কাতারে নিয়ে এসেছে বলেই তিনি তাঁর ঘরের দুয়ার খুলে দিয়েছেন শরনার্থীদের জন্য
শুধু আশ্রয় নয়, তাঁদের জন্য ধুমায়িত ফ্রেশ খাবার রান্না, তাদের ময়লা কাপড় ধোয়া থেকে তাঁদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেবার ভার স্বেচ্ছায় তুলে নিয়েছেন নিজের ও পরিবারের কাঁধে।

এই ভদ্রলোক কিছু দিন পূর্বেই ছিলেন নিজের দেশের প্রচন্ড প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী অথচ তাঁর বিনয় এতোটাই যে তাঁর গৃহে এনে যে শরনার্থীদের তিনি সেবা করছেন, তাদের কাছে নিজের পরিচয়টি পর্যন্ত জানান নাই! ফ্যারেন ইউক্যানির(Ferenc Gyurcsány) বক্তব্য "এই মূহুর্তে এটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার"



.. অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের দিকে তাকিয়ে শুধু শিউরে উঠতে হয়! আর ক্ষমতাসীন জন নির্মমতায় আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে! নিজের ধর্ম বর্ণসম অসহায় রোহিঙ্গারা যখন এই কিছু দিন পূর্বে ঠিক এমনি ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তিনি অতি নির্দয় ও নির্মম ভাবে তাদের ফিরিয়ে দেয়! অনেকেই অজুহাত দিবে আমাদের দারিদ্রের.. কারন আর যাহোক জাতিগত ভাবে এই অজুহাতের আমাদের কোন অভাব নেই। সকল রোহিঙ্গাদের আশ্রয় বা ভরনপোষনের ক্ষমতা আমাদের রাষ্ট্রের নেই যেমন সত্য, তেমনই সত্য অন্তঃত ১০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী একক ভাবেই সাহায্য করতে পারতেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় অতি নির্লজ্জের মতো হতদরিদ্র জনতার রক্তঘাম করা অর্থে যখন শ পাঁচেক আত্মমর্যাদাহীন লোভী সফরসঙ্গী নিয়ে ভ্রমন করে, সেই অর্থে একশত হতদরিদ্র পরিবারকে প্রতীষ্ঠিত করা যায়!

আর এসব নির্লজ্জ লোভী দুর্নীতিবাজদের শুধু সমালোচনা করেই আমরা আমাদের মানবিক দায়িত্ব সম্পন্ন করতে পারিনা।



কীবোর্ডে ঝড় তুলে অনেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হয়তো ইতমধ্যেই অনেক বাহবা পেয়েছি; কেউবা আরব, পশ্চিমা বা মার্কিনীদের সমালোচনা করে আর কেউ বা এসব হতভাগ্য শরনার্থীর জন্য অশ্রু বিসর্জন করে!দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এসবের কোন কিছুই তাঁদের স্পর্শ করেনা, তাঁদের জন্য এতোটুকু স্বান্তনা বা স্বস্তি নিয়ে আসেনা। অথচ আমাদের সকলের পক্ষেই সম্ভব তাঁদের জন্য অন্তঃত এক বেলার আহারের জোগান দেবার।



বিশেষ করে প্রবাসীগন খুব সহজেই হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। আর কিছু না হোক অন্তঃত এসব অসহায় মানুষের এক বেলার আহারের জোগাড় সম্ভব। স্থানীয় মসজিদ বা চার্চে খোঁজ নিয়ে জেনে নেয়া যায় শরনার্থীদের জন্য তাঁদের ডোনেশন ড্রাইভের দিন তারিখ। ব্যবহৃত পোশাক, তৈজসপত্র, খেলনা বা বই দিয়ে সাহায্য করা যায়। আর আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসেই শুধু স্বদিচ্ছা বলে পে পলের মাধ্যমে নিমেষেই পাঠিয়ে দেয়া যায় সাহায্য। প্রত্যেকে নিজ নিজ পছন্দের বা আস্থাভাজন সাইটের মাধ্যমে ডোনেট করতে পারে।



এই ভীষণ অসহায় মানুষদের ঈদের আনন্দ নেই সন্তানদের জন্য তাঁরা নতুন পোশাক কেনার কথা ভাবতে পারছেননা, শুধু মাথা গুঁজার এতোটুকু ঠাঁই আর একমুঠো অন্নের জোগান আজ তাঁদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ!
তাই, এই হতভাগ্য মানুষদের নিয়ে গল্প, কবিতা বা ব্লগ লেখার আগে, তাদের নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলা আলোচনা বা আড্ডার আগে আমরা নিজের সাধ্যানুযায়ি তাঁদের জন্য কিছু করি; আর তা সম্ভব না হলে অন্তঃত নিজ দেশের গৃহহীন হতদরিদ্র মানুষের মুখে একবেলার অন্ন তুলে বা একটি শীত বস্ত্র তুলে দেই!



আমরা যদি প্রতীজ্ঞা করি, এই ঈদে নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য পোশাক বা উপহার কেনার বা দেবার আগে অন্তঃত একজন অসহায় গৃহহীন শিশুর অন্নের জোগাড় অথবা একজন গৃহহীনকে সাধ্যমতো সাহায্য করবো, তাহলে শুধু এই অসহায় শরনার্থীদের নয় নিজের জীবনকেও আলোকিত করে তোলা যায়।



আমার কাছে আস্থা যোগ্য একটি সাইট আপনি আপনারটি খুঁজে পছন্দমতো সাইট বা এনজিওর মাধ্যমে হাত বাড়িয়ে দিন।

ছবি সুত্র: - ইন্টারনেট

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সত্যিই মানবতা আজ বিপন্ন । খারাপ লাগছে । অপরাধি মনে হচ্ছে নিজেকে ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

মানবী বলেছেন: অপরাধবোধটাই আমাদের মানবিক সত্ত্বাকে জাগ্রত করে রাখে। আর বাংলাদেশেও এমন গৃহহীনের সংখ্যা অনেক, এই হতভাগ্য শরনার্থীদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব না হলে অন্তঃত দেশের হতদরিদ্র কোন পরিবার বা শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে সক্ষম হলে সেও মানবতার এক বিজয়!

ধন্যবাদ গেম চেন্জার, ভালো থাকুন।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ফ্যারেন ইউক্যারনিকে স্যালুট !
স্টীকি করার মত মানবিক পোস্ট !

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

মানবী বলেছেন: ফ্যারেনের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।

এধরনের পোস্ট সাধারনত স্টিকি হয়না। আমরা একজন দুজনও যদি এই অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি তাহলেই পোস্ট স্বার্থক।

অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন গিয়াস লিটন।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বৃষ্টির চেয়ে বেশি কান্না হৃদয়ে ঝড়ালেন!

অক্ষমতার ক্ষতটা দগদগে হয়ে উঠল!

যাদের মন আছে তাদের ধন নেই! যারা ধনী তাদের মন নেই! এক নিদারুন বৈপ‌্যরীত্যে বসবাস! তবে ইচ্ছের উপর কোন শক্তি নেই। আপনার পোষ্ট এক অসাধারন প্রেরণা!

গিয়াসলিটন ভাইয়ের সাথে সহমত।

++++++++++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

মানবী বলেছেন: মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত!

আসলে কেউ অক্ষম নয়, এই শরনার্থীদের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে সক্ষম না হলেও ঘরের দুয়ার খুলে যে হতদরিদ্র পরিবার পথ শিশুদের সাথে প্রতিদিন দেখা হয়, তাদের কারো মুখে এই ঈদে হাসি ফোটালেও তা মানবতার অনেক বড় অর্জন!

আপনার মন্তব্যটি আমার জন্য প্রেরণার :-)
অনেক ভালো থাকুন বিদ্রোহী ভৃগু।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: শিরোনাম দেখে পড়তে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম স্মৃতিচারনের পোষ্ট। পড়ে দেখি মন খারাপের পোষ্ট। ভাল লিখেছেন। কিছু করতে চেস্টা করা উচিত সবার

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

মানবী বলেছেন:
সাধ্যমতো আমরা সকলে যদি চেষ্টা করি তাহলে অণেক বড় ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব!

বৃষ্টি নিয়ে স্মৃতিচারন পোস্ট পড়তে এসে হতাশ হয়েছেন, এখানে বৃষ্টি নিয়ে আমার স্মৃতি চারন পোস্ট

ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: নিজেকে মুসলিম বা মানুষ প্রমান করার জন্যই আমেরিকা আর ইউরোপকে সমালোচনা করা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। প্রকৃত অর্থে যারা এই সব মানবিক বিপর্যয়ের কারন তাদের চেহারা উম্মচনও জরুরি। আমরা তো আবার তাদেরকেই মানবিক আর সভ্য হিসেবে মান্য করি। এই যে আজকে যারা শরণার্থী আশ্রয় দিয়ে ধুমায়িত ফ্রেশ খাবার খাওয়াচ্ছে তারা কিন্তু বেখবর না যে তাদের ট্যাক্সের টাকায় পালিত সৈন্য আর আস্ত্র ব্যাবহার করেই এদেরকে শরণার্থী বানিয়েছে তাদের সরকার। এর প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নামেনি তারা শরণার্থী বরণ করতে রাস্তায় নেমেছে। যে প্রধান মন্ত্রী আজ তার বাড়ী ছেড়ে দিয়েছে সে কিন্তু লুটের গাস/তেলের ভাগের দাবি ছাড়েনা। গাছের শেকড় কেটে দিয়ে উপরে পানি ঢালার মতো অবস্থা।

একটা শ্রেণী অন্যায়ভাবে নিরন্তর ক্ষত সৃষ্টি করতে থাকবে আর একটা শ্রেণী মলম লাগাতে থাকবে আজিবন তা চলতে দেওয়া উচিত নয়। মানুষ যতদিন আছে মানবিকতাও ততদিন থাকবে, যারা অত্তাচারের প্রতিবাদ করছে তারও মানবিক কারনেই করছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

মানবী বলেছেন: ‌আপনি পোস্টটির বক্তব্য বুঝতে ভুল করেছেন। শুধু পশ্চিমাদের সমালোচনা নয়, এই শরনার্থীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে আমরা যাঁরা কবিতা, ব্লগ, প্রবন্ধ লিখেছি তাঁদের কথাও এসেছে। প্রত্যেকে তাঁর মতামত প্রকাশের অধিকার রাখে নিশ্চয়, তবে পোস্টের বক্তব্য হলো. এই সমালোচনা বা লেখালেখির উৎস যে আবেগ বা মানবিকবোধ তার স্বার্থক তখন্ হবে যখন প্র্যাক্টিকালী এসব হতভাগ্য মানুষদের জন্য কিছু করা হবে।
লেখালেখির পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও তাঁদের সাহায্যে আমাদের হাত বাড়িয়ে দেয়াটা জরুরী।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

মানবী বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ সুমন কর।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোষ্টে আসা হলো ।
এই সব শরনার্থীদের দেখার মনে হয় আজ কেউ নেই । সত্যি ভার্চুয়াল জগত থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনেও আমরা নিজেদের নিয়ে আমোদ প্রমোদেই ব্যাস্ত । তাদের কথা স্মরণ করার সময় আমাদের নেই, নেই সেই মানবিক মুল্যবোধ । অত্যন্ত স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি আজকাল । অথচ আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টাতেই কত কিছু হয়েছে বা হতে পারে ।
অনেক অনেক সুন্দর লিখেছেন বরাবরের মতই ।
+

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

মানবী বলেছেন: আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টা কোন হতভাগ্যর জীবন পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারে!

শুধু মাত্র কিছুতা অবজ্ঞ আর কিছুটা আলসেমীর কারনে আমরা অনেকেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এধরনের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকি।
দীর্ঘদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জুন।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মানবী :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

মানবী বলেছেন: ‌আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ মঈনউদ্দিন মইনুল।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

প্রামানিক বলেছেন: মানবতা আজ বিপন্ন । শরণার্থীদের দেখে খারাপ লাগছে । ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক।

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

nirjoyণ বলেছেন: ই মেইল করেছি

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মানবী বলেছেন: মেইল আসেনি।
ইমেইল এ্যাড্রেসটি কপি পেস্ট করে পাঠালে হয়তো ভালো হয়।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেরীতে হলেও পড়লুম। দারুণ লিখেছেন তো~! খুব ভাল লাগল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

মানবী বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে।

ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

বিষের বাঁশী বলেছেন: দীর্ঘ চার বছর পর আপনাকে আবার সরব দেখছি। পোস্টটি অনেক ভাল লাগলো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

মানবী বলেছেন: আপনি ভালো ছিলেন এবং ভালো আছেন আশাকরি।
চার বছর পরও মনে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা।

অনেক ধন্যবাদ বিষের বাঁশী।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

হুপফূলফরইভার বলেছেন: পোস্টের প্রতিটি শব্দে বাক্যে একমত প্রকাশ করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাহবা কুড়ানো কিবোর্ড ফেরিওয়ালা ছাড়াও আরো একদল আছে যারা মনে করেন কেবল সমগোত্রিয় ভীন্নমতাদর্শের বিরুদ্ধাচরনেই জয় হয় আদর্শের জয় হয় ইসলামের। কি যে আফসুস লাগে তাদের সামগ্রিক কর্মচিন্তা আচরনে।

ইসলাম এসেছে দলমত নির্বিশেষ অসহায় মানুষের সেবাদান, ক্ষুধার্তের মুখে অন্যদান, নিজের সাধ্যের চাইতেও বেশী রকম প্রতিবেশী জনদের তরে নিজেকে নিবেদনের মাধ্যমে নিজ বিশ্বাস কর্ম ধর্ম আচরনের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কোথায় সেই উসমান কোথায় সেই আবি সিনার উত্তরসূরীরা?

আর দেশের নেতানেতৃদের কথা মুখে আনতেও লজ্জা হয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:২৬

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।
সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ হুপফূলফরইভার।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:২৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: .. অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের দিকে তাকিয়ে শুধু শিউরে উঠতে হয়! আর ক্ষমতাসীন জন নির্মমতায় আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে! নিজের ধর্ম বর্ণসম অসহায় রোহিঙ্গারা যখন এই কিছু দিন পূর্বে ঠিক এমনি ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তিনি অতি নির্দয় ও নির্মম ভাবে তাদের ফিরিয়ে দেয়!

ভীষন দামী একটি কথা বলেছেন।নিষ্ঠুরের মতো আমরা তাদেরকে(শিশু,বৃদ্ধ,নারী সহ) লাঠি দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে সাগরে ঠেলে দিয়েছি।সেই সময়ে কত অসহায় রোহিংগা যে সাগরে ডুবে মরেছে তার কোনো হিসাব নেই।লক্ষণীয় ব্যপার হলো ঠিক তারপর পরই টেকনাফ,রামু,উখিয়া,কক্সবাজার অঞ্চলে হয়েছিলো স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।১১০ বছরের বৃদ্ধা বলেছিলেন তার জীবদ্দশায় এতো ব্যপক বন্যা এই অঞ্চলে আগে দেখেন্নি!!!
আমার কাছে ব্যপারটা মোটেই কাকতালীয় মনে হয়নি।হয়তোবা ইঙ্গিত ছিলো কোনো মহাশক্তির পক্ষ থেকে........

অসম্ভব ভালোলাগার এবং শিক্ষামুলক একটি পোষ্ট।জানাপুর ভাষায় মানবীয় পোষ্ট।
কিন্তু শেখে ক'জনা???

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

মানবী বলেছেন: রোহিঙ্গাদের প্রতি আমাদের নিষ্ঠুর আচরণ শিউরে উঠার মতোই।
এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে এসেছে শত শত অপ্রয়োজনীয় নির্লজ্জ জনের এক বহর নিয়ে, এই অর্থে অন্তঃত শ দুয়েক রোহিঙ্গা পরিবারকে পূণর্বাসিত করা যেতো।

খুব সম্ভঃবত তার প্রভু রাষ্ট্রের এতে সমর্থন ছিলোনা।
পোস্টটি শিক্ষামূলক মনে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এই অর্থে অন্তঃত শ দুয়েক রোহিঙ্গা পরিবারকে পূণর্বাসিত করা যেতো।
খুব সম্ভঃবত তার প্রভু রাষ্ট্রের এতে সমর্থন ছিলোনা।

কাছিমের দাসত্ব!!!
এই বুঝি মহান ......র চেতনা???
আফসোস

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১২

মানবী বলেছেন: কাছিমের দাসত্ব

ভালোই বলেছেন! অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
এই হতভাগ্য মানুষদের নিয়ে গল্প, কবিতা বা ব্লগ লেখার আগে, তাদের নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলা আলোচনা বা আড্ডার আগে আমরা নিজের সাধ্যানুযায়ি তাঁদের জন্য কিছু করি

আপনার সাথে শতভাগ সহমত। মনের কথা বলেছেন। বলতে গেলে মন্তব্য লিখতেও আমার লজ্জা লাগছে। কারণ, যতটা লিখেছি। বাস্তবে তার খুব কমই করেছি/করছি। এই যেমন আপনার সাথে সহমত করে গেলাম অথচ কোথাও কিছু করার ছিলো/পারতেম, চোখ বুজে এড়িয়ে গেলাম। মহান আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

মানবী বলেছেন: আমিন।

সময়ের প্রয়োজনে আমাদের অনেক সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও এড়িয়ে যেতে হয় তবে একটু অবসর করে যদি থেমে যাই, তাহলে অগুনিত মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব, হয়তো কোন ক্ষুধার্তের মুখে অন্ন জোগানো সম্ভব।

আগামীকাল আর এড়িয়ে যাবেননা, আমি নিশ্চিত :-)
ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু, ভালো থাকুন।

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর ভাবনা। সবাই যদি এমন সহমর্মী হতো! পোষ্টের জন্য অজস্র ধন্যবাদ আপু।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

মানবী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।

ভালো থাকুন সবসমসয়।

১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো খুবই হৃদয়স্পর্শী হয়ে থাকে। এটাও তাই।
৫ নম্বর মন্তব্যটা মোটেই ভাল লাগেনি। যিনি এতটা মহানুভবতা আর মানবিকতা দেখালেন, তাঁকে খাটো করে দেখতে চাইনা। তাই ফ্যারেন ইউক্যারনিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
দানশীলতার উপর আমাদের ধর্মের, এবং বোধকরি সকল ধর্মেরই তাগিদ রয়েছে।
সহৃদয়তার বিনিময় কি সহৃদয়তা ছাড়া আর কিছু হতে পারে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।

এই পোস্টের প্রথম ছবিটা বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। প্রবল বৃষ্টির মাঝে এক শরনার্থী বাবা তাঁর সবটুকু শক্তিদিয়ে নিজ সন্তানকে আগলে রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁর অসহায়ত্ব আর অনিশ্চয়তা কেমন যেনো বোবা কষ্টে বিবষ করে দেয় অন্যদের!

আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.