নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুব সহজেই আমরা সবাই জাদুকর হতে পারি যেভাবে.....

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

দীর্ঘদিন আগের ঘটনা।

ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু পরিবারে নতুন শিশু জন্ম হয়েছে। শিশুর বয়স তিন চার মাস, আমি বাসার বড়দের সাথে দেখতে গেছি। ভীষণ কিউট বাবুটা এই বয়সেই মাকে চিনেছে, অপরিচিত কারো কোলে যেতে চায়না। সেই বাবু আমার কোলে এসে খুব খুশী যদিও বাচ্চা কোলে নিতে অভ্যস্ত ছিলাম না তারপরও কিশোরী আমি মহা আনন্দিত!

সোফায় ঠায় বসে আছি আর, গুটলু একটা ছোট্ট বাবু কোলে বসে খেলছে।

তিন চার মাস পর ভয়ংকর সংবাদ শুনি, সেই শিশুটি মারা গেছে!!!

শিশুর মৃত্যু সংবাদের মতই চমকে দিয়েছে তার মৃত্যুর কারণ। দেশের অন্যতম ধনাঢ্যতম ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সেই শিশু মারা গেছে সাধারণ ডাইরিয়ায়! পরিবারটির একটি পা বরাবর আমেরিকায় দেয়া, কিছু হলেই আমেরিকায় ছুটে যায়। এমনকি শিশুর জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকায় নিয়ে নাগরিকত্বের ফরমালিটি সেড়ে এসেছিলো ওর পরিবার অথচ ওর চিকিৎসায় আমেরিকা দুরের কথা ঘরের পাশে সিঙ্গাপুরে যাবার সুযোগপায়নি তারা(যদিও ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ডাইরিয়ার চিকিৎসায় বাংলাদেশ ও দক্ষিন এশিয়ার দেশ আমেরিকা সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত)। তিন দিনের ডায়রিয়ায় অবুঝ শিশুটি মৃত্যু বরন করে।

এই চিত্র তৃতীয় বিশ্বের অত্যন্ত পরিচিত চিত্র। হত দরিদ্র থেকে বিত্তবান, যেকোন পরিবারের সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে শিশুদের জন্য এ এক মরণব্যাধি। অথচ খুব ছোট ছোট কিছু সাবধানতা আর প্রাত্যহিক অভ্যাস প্রতিরোধ করতে পারে এই মরণব্যধি।
জাতি সংঘের সংস্থা ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ি ২০১৩ সালে সারা বিশ্বেজুড়ে ৩ লক্ষ ৪০ হাজারের অধিক শিশু(যা দিনে ১০০০ এর বেশি) মৃত্যু বরন করে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি, যথাযথ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আর যথাযথ পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার অভাবে।

প্রতি বছর মাত্র পাঁচ বছরে পৌঁছানোর আগেই লক্ষ লক্ষ শিশু ডাইরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে! অথচ সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো একটি সাধারণ অভ্যাসের মাধ্যমে এই শিশু মৃত্যুর ও অসুস্থতার সংখ্যা বিপুল ভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব! অত্যন্ত সহজ ও সুলভ এই অভ্যাসটি গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতি তিন জনের একজন শিশু ডাইরিয়া ও প্রতি ছয়জনের একজন শিশুর নিউমোনিয়া সহ শ্বাসনালীর ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অভ্যাস হাত ধোয়া। যদিও বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিন্‌ই হাত ধুয়ে থাকেন তবে তাদের মাঝে নিয়মিত সাবান দিয়ে যথাযথ ভাবে হাত ধোয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়।
অথচ সাবান দিয়ে হাত যত্ন করে হাত ধোয়ার মতো একটি অতি সাধারণ ও প্রায় খরচহীন কাজটি একরকম ম্যাজিক ওয়ান্ড বা জাদুর কাঠির মতোই কাজ করে।

* প্রতিবার বাইরে থেকে বাসায় প্রবেশ করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরী। হাত ধোয়ার পূর্বে ঘরের কোন আসবাব, ব্যক্তিগত জিনিস বিশেষ করে খাবারের তৈজস(গ্লাস, প্লেট, চামচ) ইত্যাদি না ছোঁয়া অনুচিত।

* বাইরে থেকে বাসায় ফিরে হাত না ধুয়ে কোন ভাবে কোন ছোট্ট শিশু বা তাদের ব্যবহারের জিনিস স্পর্শ করা যাবেনা।

*প্রতিবার টয়লেট বা শৌচালয় ব্যবহারের পর অবশ্যই খুব ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরী।

*প্রতিবার খাবারের আগে হাত ধোয়া জরুরী। অনেকে বাইরে ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন খাবার খায় হাত না ধুয়েই। অনেক ক্ষেত্রে বড়দের এতে তেমন কোন ক্ষতি না হলেও, শিশুদের কোমল ও দুর্বল ইমিউন সিস্টেম সহ্য করতে পারেনা বিধায় ডাইরিয়া ও শ্বানালীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

*বাইরে খেলাধুলা বা বেড়ানোর সময় অপরিস্কার হাতে নাক, চোখ, মুখ স্পর্শ না করা, এই শিক্ষা শিশুদের জন্যও অত্যন্ত জরুরী।

২০০৮ সাল থেকে শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্লোগান নিয়ে প্রতি বছর ১৫ই অক্টোবর "গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং ডে" বা "বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস" পালিত হয়ে আসছে।



আমরা সকলেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই দিবসটি পালন করে পরিবার সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি-----

* বিভিন্ন স্কুলের শিশুদের এই দিন হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে অভিহিত করা যায়।

* নিজ নিজ বাসায় সন্তানদের সাথে সাথে গৃহকর্মীদের বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলে তাদের পরিচিত মহলে তথ্যগুলো ছড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টা করা যায়।

*কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলে অনেকেই অতি সাধারন অথচ জরুরী এই কাজটির গুরুত্ব সম্পর্কে জানবেন।

*উদ্যোগী তরুণ তরুনী(বয়স যেমনই হোক, যিনি এই কাজটি করবেন তিনি অবশ্যই তারুন্যকে পিছনে ফেলে আসেননি) নিকটস্থ বস্তি এলাকায় গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে।

*এমনকি পথ চলতেও আমরা প্রত্যেকে যদি একজন সুবিধা বন্চিত শিশুকে সাবান দিয়ে হাতা ধোয়ার গুরুত্ব বুঝিয়ে বলতে পারি, তাহলে নিজের অজান্তেই হয়তো কারো প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়ে যাবে।

*যাঁরা গ্রামে থাকেন বা গ্রামের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ তাঁরা আত্মীয় পাড়া প্রতিবেশী সহ গ্রামের সকল পরিচিত জনদের মাঝে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।

* কোন ভিখেরীর হাতে কাচা টাকার পরিবর্তে নতুন সাবানের মোড়ক খুলে তার হাতে তুলে দেয়া যায়(মোড়ক সহ দিলে তা আবার দোকানে বিক্রী করে দেবার সম্ভাবনা বেশি)।

সরকারের পক্ষে চার বছর, আট বছরে যা সম্ভব নয়..... শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সদিচ্ছা আর সন্মিলিত প্রচেষ্টায় তা অল্প সময়ে অর্জিত হতে পারে।


আমাদের ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা যদি নিষ্পাপ প্রাণ রক্ষায় সাহায্য করতে পারে, মানুষ হিসেবে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কি হতে পারে!

আর সেই সাথে এই ম্যাজিক ওয়ান্ডটি অন্যের হাতে তুলে দিয়ে খুব সহজে আমরা সবাই জাদুকর হয়ে উঠতে পারি



তথ্যসুত্র: ইউনিসেফ ও সিডিসি


মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল লাগল .........

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ আহসান।

অন্যদিন সম্ভব না হলেও ১৫ই অক্টোবর ম্যাজিক ওয়ান্ডটি অন্যদের হাতে পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইলো।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ম্যজিকটি কাজ করুক ম্যাজিকের মতোই।

নিরাপদ হোক শিশুর জীবন।

আমাদের ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা যদি নিষ্পাপ প্রাণ রক্ষায় সাহায্য করতে পারে, মানুষ হিসেবে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কি হতে পারে!
++++++++++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

মানবী বলেছেন: আশা করি আপনিও একজন দক্ষ ম্যাজিশিয়ানের মতো ম্যাজিক ওয়ান্ডটি তুলে দিবেন পরিচিত সকলের হাতে :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোন ভিখেরীর হাতে কাচা টাকার পরিবর্তে নতুন সাবানের মোড়ক খুলে তার হাতে তুলে দেয়া যায়(মোড়ক সহ দিলে তা আবার দোকানে বিক্রী করে দেবার সম্ভাবনা বেশি)। =p~

অতি প্রয়োজনীয় পোস্ট ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

মানবী বলেছেন: বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে প্রিয় গিয়াস লিটন অদূর ভবিষ্যতে কোন পথ শিশু বা ভিখেরীর হাতে মোড়ক খুলে একটি নতুন সাবান তুলে দিবেন, জাদুর কাঠি ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুব জরুরী পোস্ট।

ভাল লেগেছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

মানবী বলেছেন: আপনি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন এই ম্যাজিক ছড়িয়ে দেয়াটা কতোটা জরুরী, অনেক কৃতজ্ঞতা।

ম্যাজিক ওয়ান্ড সাধ্যমতো ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ রইলো।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

আলোরিকা বলেছেন: 'খুব সহজেই আমরা সবাই জাদুকর হতে পারি যেভাবে.....' চমৎকার উদ্যোগ +++ :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

মানবী বলেছেন: আপনার ছোট্টমণিটার হাতে এই ম্যাজিক ওয়ান্ডটি থাক সবসময়, এই কামনা করি।

বাবুটার জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা। ধন্যবাদ আলোরিকা।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট, সবাই পড়ে কাজ করলে ভাল হবে। ডায়রিয়াতে একটা ধনী পরিবারের বাচ্চার মৃত্যু বড়ই বেদনার। বড়ই লজ্জার। আবার আমার সেই পুরোনো কথা বলতে হয় আমরা ডিগ্রী নেই শিখিনা কিসসু!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

মানবী বলেছেন: শুধু ধনাঢ্য নয়, উচ্চশিক্ষিতও। এক দুই জেনারেশন নয়, অনেক জেনারেশন উচ্চশিক্ষিত।
সবচেয়ে বড় আয়রনি, আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংস্থায় যে কজন কাজ করেছে, তাঁদের এক পাওনিয়ারের পরিবারের ছিলো এই শিশু।
খুব শিক্ষিত হয়েও আমরা কখনও কখনও বোকার মতো ভুল করি, তাই প্রয়োজন বার বার মনে করিয়ে দেয়া।

অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ন পোস্ট!

ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

মানবী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।

আশাকরি তথ্যগুলো সাধ্যমতো ছড়িয়ে দিবেন। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কথা দিলাম ! =p~

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

মানবী বলেছেন: কৃতজ্ঞ হলাম :-)

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

নতুন বলেছেন: হাত ধোয়া এবং খাদ্য নিরাপদ ভাবে রাখা খুবই দরকারী জিনিস।

আমাদের দেশে খাবার প্রস্তুতের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন/ জীবানূ সংক্রামনের প্রকৃয়া অনুসরন করা হয়না। বাসাতেও না হোটেলেও না। তাই পেটের সমস্যা...ডায়রিয়ায় ভোগে দেশের বেশির ভাগ মানুষ।

এটা খুবই জরুরী একটা বিষয়...

নিরাপদ খাবারের উপরে একটি ব্লগ লিখেছিলাম '' ৪ টি মন্তব্য ১২৭ বার পঠিত '' এই ব্যপারে জনগনের পড়ার উতসাহ নেই।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

মানবী বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য! প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো আমরা কেনো যেনো এড়িয়ে যাই অথচ সেসব থেকে নিজেরা কেবল উপকৃত হতে পারি!

আপনার পোস্টের লিংকটি এখানে শেয়ার করলে পড়ার সুযোগ হতো।
অনেক ধন্যবাদ নতুন।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

নতুন বলেছেন: Click This Link

আমাদের ডায়রিয়ার এবং অনান্য খাবার/পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধ সম্ভভ যদি সচেতন ভাবে খাবার প্রস্তুত+খারার রাখা এবং খাবার আগে ভাল মতন হাত ধুয়ে নেয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মানবী বলেছেন: পড়ে মনতব্য করেছি।

ধন্যবাদ ভালো পোস্টটির লিংক শেয়ার করার জন্য।

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

রোদেলা বলেছেন: সত্যিকার অর্থেই একটা ম্যাজিক বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি।।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

মানবী বলেছেন: অপক্ষার অবসান হোক শিঘ্রী।

ধন্যবাদ রোদেলা।

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৭

রাফা বলেছেন: সবাই আবার সাবান দেয়া শুরু করলেতো ভিক্ষুকরা না খেয়ে থাকবে।রেস্টুরেন্ট সহ সব রকম খাবারের দোকানে সাবান বাধ্যতা মূলক করা হোক।আর পাবলিক টয়লেটে রাখতেই হবে।

জনসচেতন মূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ-মানবী।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

মানবী বলেছেন: সবাই? এই ব্লগের প্রতিটি ব্লগারও যদি ভিখেরীদের সাবান দেয়া শুরু করেন, নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি তারপরও কোন ভিখেরীর ভাগ্যে দ্বিতীয়বার সবান জুটার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য।
ভিখেরীরা টাকা পেলে তা দিয়ে শুধু নিজের খাবার কিনেনা, বরং বড় একটি অংশ দালাল ও চাঁদাবাজদের হাতে চলে যায় এই তথ্য অনেকের জানা।

সকল রেস্টুরেন্টে পরিচ্ছন্ন বেসিন ও সাবান বাধ্যতামূলকের হয়তো সরকারী আইন আছে তবে তা সকলে যে তা মান্য করছে সে ব্যাপারে কড়াকড়ি নজরদারী জরুরী।
আপনাকেও ধন্যবাদ রাফা।

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:১৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
“হাত ধোয়া” অতি উৎকৃষ্ট প্রতিষেধক-সম্পন্ন অভ্যেস। উন্নত দেশগুলোতে অভ্যেসটি প্রায় সর্বজনীন করা হয়েছে । আমরাও বেশ এগিয়েছি। সরকারী বেসরকারী উদ্যোগ এর পাশাপাশি ব্যাক্তি প্রচেষ্টার কোনও বিকল্প নাই। আপনার লিখায় সুন্দর করে তা বলেছেন। এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানের ব্যাবসাও জমেছে, কিন্তু সাধারণ সাবানই যথেষ্ট। শুধু মনে রাখতে হবে ২০ সেকেন্ড ও অধিক ফেনার বিষয়টি।

লিখাটির জন্য ধন্যবাদ পাবেন, মানবী।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

মানবী বলেছেন: বাংলা ভাষায় আপনার দক্ষতা ঈর্ষনীয় নিঃসন্দেহে! এমন চমৎকার অনুবাদ সকলের পক্ষে সম্ভব নয়।
২০ সেকেন্ড সময়টা মেনশণ করার জন্য ধন্যবাদ। কোথাও ৩০, কোথাও ২০ আবার বেশ কজনের কাছে ১৫ সেকেন্ডও শুনেছি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আসলে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাসই তেমন নেই, তাই আর সময়টা উল্লেখ করিনি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাবেন, অন্ধবিন্দু :-)

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: *এমনকি পথ চলতেও আমরা প্রত্যেকে যদি একজন সুবিধা বন্চিত শিশুকে সাবান দিয়ে হাতা ধোয়ার গুরুত্ব বুঝিয়ে বলতে পারি, তাহলে নিজের অজান্তেই হয়তো কারো প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়ে যাবে।
অসাধারণ আইডিয়া।জানলুম,শিখলুম এবং পণ করিলুম।

* কোন ভিখেরীর হাতে কাচা টাকার পরিবর্তে নতুন সাবানের মোড়ক খুলে তার হাতে তুলে দেয়া যায়(মোড়ক সহ দিলে তা আবার দোকানে বিক্রী করে দেবার সম্ভাবনা বেশি)।
ইউনিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়া।আবার শিক্ষা নিলুম।
তবে,,,
রাফা বলেছেন: সবাই আবার সাবান দেয়া শুরু করলেতো ভিক্ষুকরা না খেয়ে থাকবে............
এটিও কিন্তু বিবেচ্য বিষয়।হা হা হা।

পরিশেষে,
আরো একখানা মানবীয় পোষ্ট।ধন্যবাদ দিতে দিতে লেখিকার কাছেই পানসে অরুচি হয়ে গেলুম।কিন্তু কি করবো?ধন্যবাদ না দিয়েতো কোনো উপায় নেই............. :P
অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
(ভালো কথা,হাত ধুয়েছেন তো........ :) ;) =p~ )

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

মানবী বলেছেন: : "ইউনিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়া"
- এই আইডিয়ার কপিরাইট আমার মায়ের :-)

অনেক বছর আগে গ্রীষ্মের এক তপ্ত দুপুরে তিনি একটি দোকান থেকে খাবার কিনে বের হয়ে বাইরে একজন ভিখেরীকে দেখেন, সাথে সাথে দোকানে ফিরে ভিখেরীকে খাবার আইসক্রীম কিনে দেন। গাড়িতে ফিরে এসে নিমেষেই আবার ছুটে যান দোকানে, পরে জানতে পারি তিনি দেখেছিলেন দোকানীর কাছে খাবার ফেরত দিয়ে ভিখেরী টাকা নিচ্ছে আর দোকানী প্রায় দরজার কাছে রাখা ফ্রিজে আইসক্রীমটি ঢুকিয়ে রেখেছে।

তারপর থেকে তিনি বরাবর খাবার কিনে দেবার পর ওদের সামনেই মোড়কটি খুলে দেন। সেই আইডিয়া থেকে আমি সাবানের বিষয়টি বিবেচনা করেছি মাত্র।

আপনাকেও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। পোস্টের তথ্য সাধ্যমতো প্রচারের অনুরোধ রইলো।

*আমার হাত ধোয়ার বাতিক আছে, আমার পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব এই নিয়ে বড়ই অস্থির অবস্থায় থাকে*

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাহ, দারুণ পোস্ট; খুবই দরকারি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম, ভালো থাকুন।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ম্যাজিক বটে সবার জন্য ম্যাজিক। ধন্যবাদ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

মানবী বলেছেন: এই ম্যাজিক ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।

ধন্যবাদ প্রামানিক।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

সুমন কর বলেছেন: আশা করি, সচেতনতমূলক পোস্টটি সবার কাজে আসবে এবং সবাই আরো সচেতনতা হয়ে উঠবে।

আমি চেষ্টা করি, বাসার বাচ্চাদের এ ব্যাপারে সর্তক করে দিতে।

পোস্টে ভালো লাগা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

মানবী বলেছেন: আপনার সচেতনতার জন্য ধন্যবাদ।
বাসা সহ পরিচিত আত্মীয় সকলের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক, এমনকি পথ চলতেও সুবিধাবন্চিত শিশুদের একটু বুঝিয়ে বললে অনেকেই হয়তো সাবধান হবে।

ধন্যবাদ সুমন কর।

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

জুন বলেছেন: অনেক বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার সময় আমাদের স্লোগানই ছিল হাত ধোয়া ।ঢাকা শহরের বিভিন্ন বস্তিবাসীদের সচেতন করাই ছিল লক্ষ্য । তখন অনেকে এটা নিয়ে হাসতো। সামান্য জিনিসটাই যে কত জরুরী তা শিক্ষিত লোকেরাও বুঝতে চায়নি ।
ধন্যবাদ মানবী এমন একটি জনসচেতন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো জুন। খুব সম্ভঃবত গত বছর এদের মটো ছিলো "হেল্প এভরি চাইল্ড রিচ ফাইভ"..... বিষয়টা একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখলে বুঝা যায় কি ভয়ংকর এর অর্থ!
শুধুমাত্র যথাযথ হাইজিনের অভাবে লক্ষ লক্ষ শিশু পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারছেনা!

আপনাকেও ধন্যবাদ জুন চমৎকার ছবিটি শেয়ার করার জন্য।

১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট
খুব ভালো লাগল পড়ে।আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

হাত ধোয়ার মতো অতি সাধারন অথচ জরুরী একটি অভ্যাসের গুরুত্ব আমাদের অনেকের অজানা।
এই সমান্য তথ্যটি ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের প্রাণরক্ষা সম্ভব।

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

সাধারণ ভুল মানুষ বলেছেন: দারুন

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ভালো লাগলো , আপনি সবসময় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো তুলে ধরেন । আপনার এজাতীয় উদ্যোগ গুলো খুবই প্রশংসনীয় এবং ভীষণভাবে উপকারি ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

মানবী বলেছেন: আসলে গত পোস্ট সহ এই পোস্টটি এসেছে কয়েকজন প্রিয় ব্লগারের ব্লগে মন্তব্য বিনিময়ের সময় যখন জানতে পারি এধরনের তথ্য সম্পর্কে আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগন অবগত নয় তখন। এখানে আমার কোন কৃতিত্ব নেই :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ গুলশান কিবরীয়া, শুভকামনা রইলো।

২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দরকারি লেখা!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আমরা যারা পোষ্টটি পড়েছি সবাই যদি পোষ্ট শেয়ার করি ফেবুতে এবং প্রত্যেকে যদি অন্তত একটা করে আপনার পোষ্টের কপি ... নিজের অফিসে বা বাসার গেইটে লাগিয়ে রাখে তাহলোও অনেককে সচেতন করা যাবে।

আমি ফেবুতে শেয়ার আর স্কাইপে আমার কলিগদের দিয়ে দিচ্ছি।

গ্রেট পোষ্ট +

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন :-)
সমস্যা হলো খুব সহজ আর সাধারন কাজে বিনা খরচে মানুষের উপকার করা সম্ভব হলেও আমাদের তাতেও বেশ অনীহা!
আবার অনেকের সদিচ্ছা থাকলে বাস্তবায়িত করা হয়ে উঠেনা।

অনেক ধন্যবাদ আমিনুর রহমান।

২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: মানবী আপুর কোন লেখা আমার কখনই মিস হতোনা, পাছে মিস হয়ে যায় এই ভেবে তাকে লিংকে রেখে দিয়েছিলাম। ব্লগ থেকে একে একে সবাই হারিয়ে যাওয়ায় ব্লগে আসার উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। আমার অতি প্রিয় এ মানুষটি ব্লগে ফিরেছেন, আমার জন্য এটা একটা বড়ো খুশির খবর। তারচেয়েও খুশির কথা- যে টপিক নিয়ে আপনি লিখছেন আপু, ভার্চূয়ালি মানুষকে সচেতন করার জন্য এর থেকে ভালো বোধকরি আর কিছুই হতে পারেনা।
প্রয়োজনীয় কথাগুলো মাথায় থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

মানবী বলেছেন: জেনে সন্মানিত হলাম ভাইয়া। আমিও আপনাদের মিস করি এবং করেছি। আপনার পুরনো পোস্টে পড়েছিলাম সৌদিতে ফ্যামিলি নিয়ে যেতে সমস্যা হয়েছিলো, মনে হয়েছে শেষ পর্যন্ত ফ্যামিলি যেতে পারলো কিনা না আপনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।

ব্লগে প্রথম যে সুলেখক গল্পকারের পুরো গল্প পড়েছি, তাঁর একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, সেদিন জবাব দেখতে গিয়ে দেখি পোস্ট নেই!!!

এই পোস্টের তথ্যগুলো পরিবার, আত্মীয় পরিচিতজনদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার বিনীত অণুরোধ রইলো।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাইয়া।

২৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব দরকারী পোষ্ট আপু। সুন্দর সহজ ভাষায় লিখেছেন , পড়লে অনেকের উপকারে লাগবে। শুভেচ্ছা রইলো।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

মানবী বলেছেন: খুব সাধারন সহজ অভ্যাস যে আপু, তারপরও আমাদের মনে থাকেনা, অবজ্ঞা ভরে এই অভ্যাসের কথা ভুলে যাই। আমরা বুঝতেও পারিনা এই অবজ্ঞা লক্ষ লক্ষ প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রেজওয়ানা আলী তনিমা।

২৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:


ভাবটা এমন আমরা এই বিষয়ে যদি কাউকে বলি আর সে যদি বলে এইটাও সাধারণ বিষয় আমি আগে থেকেই জানি - আমার মনে শুধু লজ্জায় অনেকে অন্যদের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে না। আসলে এই বিষয়ে আমরা মোটামুটি সবাই অবগত আছি কিন্তু মানি না :(

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০২

মানবী বলেছেন: প্রশ্ন যখন কারো জীবন রক্ষার সেক্ষেত্রে লজ্জাকে প্রশ্রয় দেবার তো প্রশ্নই নেই!

আর এধরনের আশংকা হলে, আলোচনার শুরুটা ৩ লক্ষ ৪০ হাজার শিশুমৃত্যুর পরিসংখ্যান টা দিয়ে করা যায়। উল্লেখ্য এই শিশুদের মাঝে ধনী দরিদ্র সকল সামাজিক অবস্থানের পরিবারের শিশু ছিলো।

আবারো ধন্যবাদ আমিনুর রহমান।

২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমিন ভায়ার সাথে একমত। এ সহজ বিষয়টা জানে না এমন লোক খুবই কম পৃথিবীতে। সমস্যা হলো সচেতনতার অভাব। মানবী আপনাকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই এ বিষয়টি নিয়ে সজাগ থাকার জন্য।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

মানবী বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ গেমচেন্জার।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিভিন্ন স্কুলের শিশুদের এই দিন হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে অভিহিত করা যায় - এখানে 'অভিহিত' কথাটা অবহিত হবে মনে হয়।
কোন ভিখেরীর হাতে কাচা টাকার পরিবর্তে নতুন সাবানের মোড়ক খুলে তার হাতে তুলে দেয়া যায়(মোড়ক সহ দিলে তা আবার দোকানে বিক্রী করে দেবার সম্ভাবনা বেশি) - চমৎকার একটা আইডিয়া দিলেন, ধন্যবাদ।
আমাদের ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা যদি নিষ্পাপ প্রাণ রক্ষায় সাহায্য করতে পারে, মানুষ হিসেবে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কি হতে পারে! - যথার্থ!
কি করি আজ ভেবে না পাই মনে হয় একথাটা ভেবে চিন্তেই বলেছেন (১৪ নং মন্তব্য), আরো একখানা মানবীয় পোষ্ট
একটা প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর চমৎকার এ লেখাটার জন্য কোন ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়। সে সাথে জুনকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি ছবিসহ তার মন্তব্যের জন্য(১৮ নং)। ছবিগুলো অনেক কিছুই বেশ পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দেয়।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মানবী বলেছেন: পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো মন দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হাত ধোয়ার এ ব্যাপারটি সম্পর্কে প্রথম সবক পেয়েছিলাম আমার মা ও নানার কাছে। মা এই ব্যাপারে আপোষহীন ছিলেন। বাইরে থেকে এলে হাত না ধোয়া পর্যন্ত তিনি রেহাই দিতেন না। কোন কিছু খেতে দেয়ার তো প্রশ্নই আসেনা। ছোটবেলায় স্কুলের পরীক্ষা শেষে যখন নানাবাড়ীতে বেড়াতে যেতাম, তখন দেখতাম, নানা হাট থেকে এসে কাঁচা টাকা পয়সাগুলোকে (কয়েন) সাবান দিয়ে ধুতেন। পরনের পাঞ্জাবিটা খুলে তিনি উঠোনের তারে ঝুলিয়ে রাখতেন। পরদিন না ধোয়া পর্যন্ত সেটা আর গায়ে চড়তোনা। গ্রামের কাঁচা পায়খানা থেকে এসে প্রথমে অনেক সময় নিয়ে হাতটা মাটিতে ঘসে ধুতেন। তারপর সাবান দিয়ে ধুয়ে গোসল করে নিতেন। অভ্যাসের কারণে তার মোশন হ্যাবিটও বিস্ময়করভাবে নিয়মানুগত ছিল। প্রতিদিন গোসলের আগে তিনি রুটিন মাফিক টয়লেট ভিজিট করতেন। গোসলের পর তিনি কদাচিৎ ওমুখো হতেন। তিনি ৮০ বছর বেঁচে ছিলেন। এই দীর্ঘজীবনে তাঁর অসুখ বিসুখ বলতে হয়তো তাঁকে কয়েকদিন জ্বরজারিতে ভুগতে দেখা গেছে, তবে আম্মা বলেছেন, সে সংখ্যাও হাতে গোনা যাবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

মানবী বলেছেন: আপনার মায়ের মতো এই বিষয়ে আমারও আপোষহীন অবস্থান, কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি আমার এই আপোযহীন অবস্থান আশেপাশের মানুষদের জন্য সবসময় খুব স্বস্তিদায়ক নয় :-)

আপনার শৈশবের কথা জেনে ভালো লাগলো। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।

৩০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই একটু আগে পথের ধারে বসা বাচ্চাসহ এক ভিখারিণীর হাতে একটা মোড়ক ছেঁড়া (একটুখানি ছিঁড়ে, যেন সে মোড়কে করেই সাবানটা বাসায় নিয়ে যেতে পারে, আবার দোকানেও বিক্রী করতে না পারে) সাবান তুলে দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে দুটো কথা বললাম। তার পরেই কেবল মনে হচ্ছে, আপনার এই চমৎকার লেখাটার প্রতি কিছুটা সুবিচার করতে পারলাম।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭

মানবী বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি আমার পুরো পোস্টটিকে স্বার্থক করলো!!
এধরনের পোস্ট লিখে মনে হয় একজনও যদি কথাগুলো ভেবে দেখেন ও প্রয়োগ করেন তাহলেই পোস্ট স্বার্থক।


অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইলো খায়রুল আহসান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.