নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেকোন ভন্ডামির মতো ভন্ড সেকুলারিজমও বিপদজনক..!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮




"থ্রী এএম ফ্রেন্ড" বলে একটি প্রচলিত কথা আছে, সাধারনত বন্ধুত্বের ঘনিষ্ঠতা বুঝাতে বাক্যটি ব্যবহৃত হয়।


ব্যাপারটা এমন- কারো যদি রাত তিনটায় জরুরী প্রয়োজনে সাহায্যের প্রয়োজন হয় তখন যে বন্ধুটিকে সে সবচেয়ে আগে সবচেয়ে নির্দ্বিধায় স্মরন করবে, সেই হলো এই থ্রী এম ফ্রেন্ড।

আমার বন্ধু মহলে প্রায় সকল ধর্মের সমাবেশ, তারপরও যদি থ্রি এম ফ্রেন্ড এর কথা বলতে হয় তাহলে তেমন যে ফ্রেন্ডকে সবচেয়ে আগে মনে পড়বে সে হিন্দু। আমি রক্ষনশীল মুসলিম।

আমার সেই বন্ধু শুধু হিন্দু নয়, কোন কোন সময় সে তা প্রায় এমন গোড়ামীর পর্যায়ে নিয়ে যায় যে তার পরিবারের সদস্যরাই বিরক্ত হয়ে আমাকে প্রায়ই পরামর্শ দেয় আমি যেনো খাবারে মধ্যে গরু মিশিয়ে ওকে খাইয়ে দেই। এ নিয়ে আমরা সবাই অনেক হাসাহাসি করি!

"ধান ভানতে শীবের গীত" টাইপ গল্প হয়ে যাচ্ছে! যে কারনে এই গল্পের অবতারনা তা হলো, আমরা এই গোড়া হিন্দু বন্ধু যখন থেকে গোড়ামী শুরু করলো তখন আমিষ ভোজন পুরোপুরি ত্যাগ করে। ধরে নেই বন্ধুর নাম রাহুল(ভারতীয়দের প্রিয় নাম)। রাহুলের মতো অসাধারন ভালো আর সহজ সরল একজন মানুষ সচরাচর চোখে পড়েনা। যে কারো বিপদে যেকোন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে আগে সে হাজির। ঝড় ঝন্ঝা এমনকি নিজের পেশা, কোন কিছুই তাকে এই বিপদের বন্ধু হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনা।


আমার পারিবারিক যেকোন অনুষ্ঠানে যদি দুইশত আমিষপ্রেমী অতিথি আসে, তার মাঝেও শুধু রাহুলের জন্য যথেষ্ট নিরামিষের ব্যবস্থা রাখা হয়। আমাদের দেশি ঐতিহ্যে বেশ মশলাদার আমিষের প্রচলন আছে, আর আমিষের পাশা পাশি একধরনের ভারসাম্য রক্ষার্থেই হয়তো আমাদের নিরামিষ গুলো বেশ সাদামাটা। রাহুল আর দু একজন রক্ষনশীল হিন্দু বন্ধু বান্ধুবের কারনে আমাকে ভয়াবহ ধরনের মশলা সমৃদ্ধ ভারতীয় নিরামিষ রান্না শিখতে হয়েছে। তাদের নিখাদ নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব, এমন শিখতে বাধ্য করেছে।

নিরামিষভোজি বন্ধুদের জন্য রান্নার সময় তাদের চেয়েও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করি। কোন চামচ, পাত্র কোন কিছুতে যেনো আমিষে ব্যবহৃত কোন কিছুর ছোঁয়া না লাগে! মহান আল্লাহ্'র প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস আর পারিবারিক শিক্ষা আমাকে অপরের ধর্মানুভূতিকে সন্মান করতে শিখিয়েছে।

আমি কখনও আশা করবোনা রাহুল আমার জন্য তার অনুষ্ঠানের আয়োজনে গরুর গোশতের ব্যবস্থা রাখবে। কারন আমি জানি তার ধর্ম বিশ্বাসের সাথে তা বিপরীত অবস্থানে। রাহুল এতোটাও গোড়া যে সে তার গাড়িতে কোন আমিষ বহনকে মহা পাতকের কাজ মনে করে।
প্রতিটি ঈদের জন্য রাহুলের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। ঈদের উপহারও কিনে রাখে আগে থেকেই; আমাদের সাথে এক হয়ে রাহুল আর তার পরিবার ঈদ উপভোগ করে প্রতি বছর। আমি কখনও পূজায় যাইনা, রাহুল কখনও আমাকে পুজার দাওয়াত ও দেয়না। কেনো?
কারন রাহুল একজন গোড়া হিন্দু হয়েও জানে মুসলিমদের ধর্ম বিশ্বাসের সাথে মূর্তি পূজার অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতে। তাই এধরনের অবিবেচকের মতো কাজ সে কখনও করবেনা।

আমি আর আমার পরিবারের সাথে রাহুল আর তার পরিবারের বন্ধুত্ব নিখাদ আর নিঃস্বার্থ। আর তাই আমরা খুব সহজ ভাবে এক অপরকে বিরক্ত না করেই নিজ নিজ ধর্ম পালনে সমর্থ।

আমার সাথে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে রাহুলদের মসজিদে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে হয়না বা ঘরে গরুর ঝাল কারি রান্না করার প্রয়োজন পরে না। ঠিক তেমনি হিন্দুদের পুজা পার্বন এলে আমাকে সাজগোজ করে "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ভন্ডামীর প্রয়োজন পড়েনা। কারন আমাদের একে অপরের কাছে প্রমানের কিছু নেই। দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত মূখী ধর্মের অনুসারীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই যথেষ্ট কমিউনাল হারমোনি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজিয়ে রাখার জন্য।

অত্যন্ত রক্ষনশীল মুসলিম পরিবারে জন্ম আমার, শৈশব থেকে দেখেছি মা বাবা কখনও হিন্দু, মুসলিম, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ ভেদাভেদ করেননি। আমাদের বাসায় সকলের সমান অগ্রাধিকার আর সন্মান ছিলো। হিন্দুদের পুজো দেখেছি কৌতুহলি হয়ে, শুধু মাত্র একজন সাধারন দর্শক হিসেবে সেই শৈশবেই। মা বাবা কোন আপত্তি করেননি শুধু নয়, আমাদের খ্রিস্টান প্রতিবেশি যখন ক্রিসমাসের রাতে আমাদের নিয়ে চার্চে যেতে চাইলেন, সেখানেও মা বাবা কোন আপত্তি না করে আংকেল আন্টির সাথে আমাদের যেতে দিলেন। এখনও মনে আছে মধ্যরাতে ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। সেই সাদা চার্চটার ভিতর সেকি উৎসব উৎসব ভাব! আংকেল আন্টি আমাদের পাখির ডানা দিয়ে আগলে রাখার মতো করে বসেছেন, শুধু কমিউনিয়ন আনতে যাবার সময় কি সুন্দর করে বুঝিয়ে আমাদের বসিয়ে রেখে গেলেন। তারপর তাঁদের সাথে আমরা বড়দিন বেড়ানো হিসেবে আন্টির বাবার বাড়ি গিয়েছি অল্প সময়ের জন্য।


এতোগুলো বছর বাংলাদেশেও ঠিক এমনি ভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী বজায় ছিলো। নিতান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নাহলে তেমন কোন বিদ্বেষ চোখে পড়েনি। হঠাৎ "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ফাজলামি করা এক শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার কি প্রয়োজন সেটা প্রথমে বোধগম্য হয়নি। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হলো এধরনের তামাশা করার কারন।

প্রথমত ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত দেশপ্রেম বর্জিত নির্লজ্জ পদলেহীদের লালনকারীর বর্তমান প্রধান অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ও উগ্রপন্থী কট্টর মনোভাবাপন্ন। চাটার দল(জাতির জনক দেশ ও জাতির জন্য নিজের দলের লোকদের এক অসাধরন নাম পরিচয় জানিয়ে গেছেন) সেখানে নিজের আনুগত্য প্রমানে এমনিভাবে লেজ নাড়ায়, এতে দুরকম লাভ।

এক দাদাবাবুর সন্তোষ্টি আরেকটি হলো বাণিজ্যিক - উৎসব যেহেতু সবার, তাহলে শুধু নিজ নিজ ধর্ম উৎসব কেনো, সবার উৎসব পালনে আমি মেতে উঠবো। তাহলে এখন থেকে শুধু পুজা, বা শুধু ঈদ নয় সব উৎসবের "বিশেষ মূল্যহ্রাসের" আমিও একজন ভোক্তা হয়ে উঠতেই পারি। অধিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা মানে ততোধিক বিজ্ঞাপণ, আর অধিক বিজ্ঞাপণ মানেই মিডিয়ার আয় রোজগারের মহা সম্ভাবনা।

ভন্ড আর নকল সব সময় বিপদজনক। যারা মন থেকে সেকুলার নয়, তারা যখন শুধু বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেকুলার হয়ে উঠার চেষ্টায় মেতে উঠে বা অপরকে বাধ্য করে, তা দেশ ও জাতির বিপদ টেনে আনতে বাধ্য।

ইদানীং পূজার সময় ঘনিয়ে এলে বিভিন্ন স্থানে প্রতীমা ভাঙ্গার খবর কানে আসছে এতো বছর যা শোনা যায়নি। ইচ্ছাকৃত ভাবেই কেউ আমাদের এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হোক তা দেশের মানুষের শান্তি সম্প্রতি ভঙ্গ করে, ক্ষমতার দুর্গন্ধযুক্ত মসনদে টিকে থাকতে প্রভুর সন্তোষ্টীটাই আসল।।।

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ একটি স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যথেষ্ট। যখন এই শ্রদ্ধাবোধ জোড়পূর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়, তখন দেখা দেয় সংঘাত আর বিদ্বেষ।

*দেশের মানুষের ধর্মানুভূতি নিয়ে এধরনের প্রহসনের নজির বিশ্বের আর কোন রাষ্ট্রে আছে বলে জানা নেই।

* এধরনের চাপিয়ে দেয়া "উৎসব সবার" নামক তামাশা শুধু হিন্দু মুসলিমের মাঝে অসন্তোষ নয়, মুসলিমদের নিজের মাঝে অসন্তোষ, হিন্দুদের নিজের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট।

* সাধরন সচেতন জনতা যাঁরা রাজনীতির এই পুঁতিদুর্গন্ধময় চালটি বুঝতে পারছেন, আশা করি তাঁরা এই যড়যন্ত্র ব্যর্থ করার লক্ষ্যে সকল প্রকার সহিংসতা ও নাশকতা মূলক কাজ থেকে বিরত থাকবেন





মন্তব্য ১২১ টি রেটিং +৩৯/-০

মন্তব্য (১২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

সবুজ সাথী বলেছেন: ব্যপক লাইক দিলাম আপু। এক্কেবারে আমার মনের কথা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

সবুজ সাথী বলেছেন: আমাদের এলাকার কথা বলি। আমাদের পাশের গ্রামেই হিন্দু পাড়া আবার সাঁওতালদের পাড়াও আছে। সাঁওতালরা আবার সবই খায়। তারা যেমন হিন্দুদের পুজায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে আবার ঈদের সময় কেউ কেউ সবার বাড়ী ঘুরে ঘুরে সেমাই, রুটি, গোস্ত নিয়ে যায়। আর হিন্দুদের সাথে আমাদের এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যে মনে হয় পাশের মুসলিম প্রতিবেশীদের চাইতেও বেশী আপন। তাদের অনেকের বিয়ের দাওয়াতে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল। সেই দিন গুলো কি আর ফিরে আসবে?

আর তাদের দুর্বলতার সুযোগে তাদের বাড়ীতে ডাকাতি, ছিনতাই আর চাদাবাজী করে কারা জানেন? তথাকথিত সেকুলার সমাজতন্ত্রী দলের ক্যাডাররা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

মানবী বলেছেন: খুব স্বাভাবিক।
বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা ধার্মিকদের জন্য বিপদজনক, যারা সংখ্যালঘুদের(শব্দটি অপছন্দের তবে বিশ্ববিদিত, আমি নিজেও একটি দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন) নিয়ে রাজনীতি করে সংখ্যালঘুদের জন্য তারা বিপদজনক।

কারন উপরে উপরে এদের প্রতি যেহেতু একাত্বতা দেখায়, রাজনৈতিক কোন ইস্যুর প্রয়োজন হলে এদেরকেই ব্যবহার করে।
আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ সবুজ সাথী।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপু অনেক ভালো ভালো কথা লিখেছেন খুব গুছিয়ে। আমাদের উৎসব ও আচারকে পৃথক রেখেও আমরা ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে পারি।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

মানবী বলেছেন: গত ৪৪ বছর তো আমরা তেমনটাই থেকেছি তনিমা। কখনও কোন মানুষকে দেখে, পাড়া প্রতিবেশী শিক্ষক শিক্ষিকা সহপাঠি সহকর্মীদের দেখে মনে হয়নি কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ অথবা খ্রীস্টান।

হঠাৎ করে এরা এমন উতলা হয়ে উঠেছে কেনো মানুষে মানুষে বিভাজন সৃষ্টিতে, তা সত্যিই আশংকা জনক।
অনেক ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকুন।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুরো লিখাটিই ভাল লাগলো !
এই অংশ টুকু একটু বেশিই -
হঠাৎ "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ফাজলামি করা এক শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার কি প্রয়োজন সেটা প্রথমে বোধগম্য হয়নি। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হলো এধরনের তামাশা করার কারন।

প্রথমত ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত দেশপ্রেম বর্জিত নির্লজ্জ পদলেহীদের লালনকারীর বর্তমান প্রধান অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ও উগ্রপন্থী কট্টর মনোভাবাপন্ন। চাটার দল(জাতির জনক দেশ ও জাতির জন্য নিজের দলের লোকদের এক অসাধরন নাম পরিচয় জানিয়ে গেছেন) সেখানে নিজের আনুগত্য প্রমানে এমনিভাবে লেজ নাড়ায়, এতে দুরকম লাভ।

এক দাদাবাবুর সন্তোষ্টি আরেকটি হলো বাণিয্যিক - উৎসব যেহেতু সবার, তাহলে শুধু নিজ নিজ ধর্ম উৎসব কেনো, সবার উৎসব পালনে আমি মেতে উঠবো। তাহলে এখন থেকে শুধু পুজা, বা শুধু ঈদ নয় সব উৎসবের "বিশেষ মূল্যহ্রাসের" আমিও একজন ভোক্তা হয়ে উঠতেই পারি। অধিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা মানে ততোধিক বিজ্ঞাপণ, আর অধিক বিজ্ঞাপণ মানেই মিডিয়ার আয় রোজগারের মহা সম্ভাবনা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

মানবী বলেছেন: প্রথম কারনটাই বেশী আশংকাজনক মনে হয়।

সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রভুর দেশে ভীষণ রকম সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। প্রভুর যখন এমন হাল তার দাস দাসীরা সেখানে শান্তিতে থাকলে মহা স্পর্ধার কথা!
আর সম্প্রীতি নষ্ট মানে এই সম্প্রীতি প্রতীষ্ঠা করতে (?)সেকুলারকেই প্রয়োজন ক্ষমতায়।

ধন্যবাদ গিয়াসলিটন। শুভকামনা রইলো।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: ভন্ড আর নকল সব সময় বিপদজনক। যারা মন থেকে সেকুলার নয়, তারা যখন শুধু বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেকুলার হয়ে উঠার চেষ্টায় মেতে উঠে বা অপরকে বাধ্য করে, তা দেশ ও জাতির বিপদ টেনে আনতে বাধ্য।


দারুন লিখেছেন। এই সব ভন্ড সেকুলার রা আসলে সুবিধদাবাদী। হিন্দু-মুসলিম এদেশে বিনা নোটিশে বিনা আইনে পাশাপাশি বসবাস করেছে আবহমান কাল থেকে । কিন্তু অতি সম্প্রতি অসাম্প্রদায়িকতা নামক শব্দের বহুল ব্যাবহার মূলত হিন্দু মুসলমানের মাঝে ক্রমশ দুরত্ব তৈরি করেছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এখন নতুন কথা শুনি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কেন এটা? এই কথাটা কেবল হিন্দুদের উৎসবের বেলায় কেন বলা হয়। কুরবানীর ঈদে কেন বলা হয়না?
গরু জবাই করা হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ, সে কারণে ঈদুল আযহার উৎসব যদি হিন্দুরদের উৎসব হতে না পারে তাহলে যে মূর্তিপূজা ইসলামে হারাম সে মূর্তি পূজার ঊৎসব কেন মুসলিমদের হবে।
অসাম্প্রদায়িক হওয়ার মানে এই নয় যে নিজের ধর্মের প্রিন্সিপাল থেকে সরে গিয়ে অন্য ধর্মের প্রিন্সিপাল প্রাক্টিস করা। অসাম্প্রদায়িক হওয়ার মানে হচ্ছে নিজের ধর্মে বা বিশ্বাসে অটুট থেকে অন্য ধর্ম বা বিশ্বাসীদের সাথে সহবস্থান করা বা অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা পোষন না করা।

পুজায়/ ঈদে হিন্দু/মুসলিম বন্ধু/সহপাঠি / কলিগ কে শুভেচ্ছা জানানো সামাজিকতার অংশ এবং সুন্দর মনোবৃত্তি। আবহমান কাল থেকে এটা এই দেশে চলে আসছে।কিন্তু হিন্দু বন্ধু কে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কেন একজন মুসলিম কে বলতে হবে মা দূর্গার আপনার জীবনে কল্যান বয়ে আনুক। কই কোন হিন্দু বন্ধুকে তো কোনদিন বলতে শুনিনি পবিত্র ঈদে আল্লাহ আপনার জীবন কে সুন্দর করুক।
প্রসংগক্রমে বলতে হয় ওপার বাংলার একজন ফেইসবুক সেলিব্রেটি আছেন। উনি অসাম্প্রদায়িক। এপার বাংলার মেলা ফেইসবুক কবি সাহিত্যিক উনার ফ্রেন্ড। । উনার সাথে আমার কথা হত। একদিন উনি আমাকে উনার শরীর অসুস্থতার কথা জানালেন। আমি বল্লাম ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে? উনি আমাকে প্রশ্ন করলেন কি বল্লেন? আমি বল্লাম ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবেন। উনি আবার বল্লেন এই ইনশাল্লাহ টা কি? আমি বল্ললাম মানে হল আল্লাহ চাইলে আপনি ভাল হয়ে যাবেন। কেন আপনি ইনশাল্লাহ শব্দটি এর আগে শুনেন নি? উনি বল্লেন না।
ভাবতে লাগলাম ৩০ কৌটি মুসলিমের দেশে আসলে কি উনি ইনশাল্লাহ শব্দটি শুনেননি?পরের দিন এসে আর উনাকে খুঁজে পাইনি। উনি আমাকে ব্লক করে দিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক ঐ দিদির কাছে ব্লকের কারণ টা আর জানা হয়নি।

আসলে কতিপয় মুসলিম তরুন তরুণী আইডেন্টটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন । এরাই ভন্ড অসাম্প্রদায়িক। আমি জানিনা কেন এরা নিজেদের মুসলিম পরিচয় ধরে রেখেছে। আইডেন্টটিটি ক্রাইসিসে ভুগার চাইতে এরা এদের প্রিয় ধর্মে দীক্ষিত হতে পারে। ক্রিষ্ট, বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেওয়া যায়। ইদানিং সনাতন হিন্দু ধর্মেরও পরিবর্তন হয়েছে শুনছি। সেখানেও দীক্ষা নেওয়া যায়।

আপনাকে ধন্যবাদ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

মানবী বলেছেন: এধরনের প্রচারণা নিঃসন্দেহে উস্কানীমূলক। মানুষকে কনফিউজ করার সাথে সাথে বিরক্তির সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নয়।

রোজার ঈদ বা কুরবানী ঈদেও আমি বলবোনা "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের"। এটা নীরেট মূর্খের মতো কথা। একজন হিন্দু বা বৌদ্ধের কোন কারন নেই রোজা না রেখে, নামাজ না পড়ে ঈদের দিন ঈদগাহ্ মাঠে গিয়ে আনন্দে গা ভাসানোর, তেমনি একজন বৌদ্ধ বা মুসলিম অথবা খ্রীস্টানের কোন কারন নেই প্রতীমার প্রতি কোন বিশ্বাস ছাড়া পূজা মন্ডপে গিয়ে আদিখ্যেতা দেখানোর।

আপানর ফেসবুকের দিদি সত্য বলেননি তা নিশ্চিত। ভারতের মুসলিম হিন্দু নির্বিশেষে অনেকেই ইনশাহ্ আল্লাহ্ অনেক সময় ব্যবহার করে থাকেন। ভদ্রমহিলার কোন ইনসিকিউরিটি ছিলো নিশ্চয়। সত্যিকারের সেকুলার রা গায়ে "সেকুলারজিমের সাইন বোর্ড" এঁটে চলেনন। এটা তাঁদের জীবনাচার আর ব্যবহারে প্রমানিত হয় তাঁরা কতোখানি সেকুলার।

প্রথাগত ভাবে হিন্দু ধর্ম আর ইহুদী ধর্মে কনভর্শনের নিয়ম ছিলোনা। ইদানীং নতুন তামাশা শুরু হয়েছে ভারতে, সেখানে গণ হারে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জোড় পূর্বক কনভার্ট করছে হিন্দু ধর্মে। ওদেরই পত্রিকায় পড়েছো, যেহেতু হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার কোন প্রচলিত নিয়ম নেই তাই এদের নিয়ে "শিডিউল কাস্ট" বা নিম্ন বর্ণের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণর অণুসারীরা একধরনের কনভার্শন প্রথা মেনে আসছে তবে তা ঠিক সনাতন হিন্দু ধর্ম নয় বলেই জেনেছি আমার ভারতীয় হিন্দু বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে।
ইহুদীদের একটি শাখাও বেশ কয়েক বছর আগে থেকে কনভার্শন শুরু করেছে বলে শুনেছি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নেক্সাস। অনেক ভালো থাকুন।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: খুবই সুন্দর ভাবে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ AmieeMisirAli।
ভালো থাকুন।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

নেক্সাস বলেছেন: তখন সৌদি আরবে মক্কাতে অবস্থান করি। বন্ধু ছায়ানাথ দাস ষড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে। নিজের চোখ বেয়ে অঝোর বৃষ্টির মত পানি ঝরল। দেশে আসলাম কাপড় চোপড় খুলে দৌঁড়ে গেলাম জেলে পাড়া। ওখানে ছা্যানাথের চিতা। চিতার সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধুকে খুঁজলাম। কিন্তু কোণদিন ছায়ানাথদের পুজায় তিলক লাগিয়ে অসাম্রদায়িক হইনি আমি।

বন্ধু রত্না রানী দাস। বন্ধু পিন্তুর বিয়েতে আমন্ত্রিত। কিন্তু সে খাবেনা। কারণ এর আগে ঐসব প্লেটে অন্যেরা গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে গেছে। গ্লাসে পানি খাবেনা কারণ যারা গরুর মাংস দিয়ে খেয়েছে তারা ঐসব গ্লাসে পানি খেয়েছে। নিজে উদ্যেগ নিলাম বন্ধুকে খাওয়াতে হবে। ক্লাব বয় কে ১০০ টাকা দিয়ে নতুন প্লেট চামুচ আনলাম ওদের ভান্ডার থেকে। গরম পানি দিয়ে ধোয়ালাম। মাম পানি কিনে আনলাম। নিজে গিয়ে হেঁসেল থেকে খাবার তুলে আনলাম মুরগী আর চিংরি মাছ। এইসব আমার কাছে অসাম্প্রদায়িকতা। ওদের হোলিতে গিয়ে গায়ে রং মাখা আমার কাছে অসাম্রদায়িকতা নয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

মানবী বলেছেন: আপনার বন্ধু ছায়ানাথ দাসের কথা জেনে খারাপ লাগলো।

বন্ধুর বিয়েতে রত্নারানী দাসের জন্য আপনি যা করেছেন আমি নিশ্চিত এমনটা করার সময় আপনার ভাবনাতেও আসেনি আপনি অসাম্প্রদায়িক হচ্ছেন না সাম্প্রদায়িক। বন্ধুর প্রয়োজনে বন্ধু এগিয়ে আসবে, বন্ধুর ধর্মানুভূতি আরেকজন বন্ধু সন্মান করবে.। এটাই স্বাভাবিক এটাই এতো বছর আপনি, আমি, আমাদের অমুসলিম বন্ধুরা.. আমরা সবাই করে এসেছি।

জীবনের সাথে যা শ্বাস প্রশ্বাসের মতো স্বাভাবিক হয়ে মিশেছিলো, হঠাৎ চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিভাজনটা এরা দেখিয়ে দিচ্ছে যেনো।

পুরো ব্যপারটা এক ধরনের হীণস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে করা। ভয় হয় দেশে কোন বড় ধরনের গোলযোগ না বাঁধে।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ নেক্সাস।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: "ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার" সমাজতন্ত্রিদের এই শ্লোগান একটু কাটিং করে "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" বানানো হয়েছে। এদেশে গনতন্ত্রের ডালে যে সমাজতন্ত্রের কলম করা হয়েছে তার'ই একটা নমুনা। গনতন্ত্রের খেয়ে মহীরুহ হয়ে উঠছে সমাজতন্ত্র।

"শুধু পুজা, বা শুধু ঈদ নয় সব উৎসবের "বিশেষ মূল্যহ্রাসের" আমিও একজন ভোক্তা হয়ে উঠতেই পারি। অধিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা মানে ততোধিক বিজ্ঞাপণ, আর অধিক বিজ্ঞাপণ মানেই মিডিয়ার আয় রোজগারের মহা সম্ভাবনা।" ..... এই বক্তব্বের সাথে চরমভাবে একমত

আমার বাড়ী সাঁওতাল পাড়ার সাথে একটা মাত্র দেওয়াল দিয়ে আলাদা করা। বাসাই যখন প্রথম টিভি আসলো তখন ওরা-আমরা মিলেয় টিভি দেখতাম। এখন ওদের বাসায়ও টিভি আছে। মা'র সাথে খুব খাতির, ওদের চালের কুমড়া আমাদের বাগানের সব্জি দেওয়া-নেওয়া চলে।

@ সবুজ সাথি, ...... আমার বাড়ী - আপনার বাড়ী এপাড়া-ওপাড়া নই তো !!!!
আমার

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

মানবী বলেছেন: আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছিলো, এখানে কোন বিভাজনের ভাবনা কারো মাথায় ছিলোনা।
হঠাৎ রীতিমতো আয়োজন করে এমন উস্কানিমূলক প্রচারণার কি প্রয়োজন পড়লো সে্টা মূল রহস্য।

বর্তমানে ভারতে ভীষণ রকম ধর্মীয় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্যাপারটা হিন্দু মুসলিমের নয়, ব্যাপারটা কট্টরপন্থী হিন্দু জঙ্গী বনাম সাধারন জনতা। কট্টরপন্থী সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর ইদানীং বুদ্ধিজীবি হত্যা শুরু হয়েছে। এসব বুদ্ধিজীবিরা হিন্দু তবে তাঁরা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার অপরাধ করেছিলেন।

ধর্ম ব্যবসায়ী দল আর সংখ্যালঘুদের সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ী দল উভয়েই নিজ নিজ সমর্থকদের জন্য বিপদজনক।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক।
ভালো থাকুন।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

নেক্সাস বলেছেন: রোজার ঈদ বা কুরবানী ঈদেও আমি বলবোনা "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের"। এটা নীরেট মূর্খের মতো কথা। একজন হিন্দু বা বৌদ্ধের কোন কারন নেই রোজা না রেখে, নামাজ না পড়ে ঈদের দিন ঈদগাহ্ মাঠে গিয়ে আনন্দে গা ভাসানোর, তেমনি একজন বৌদ্ধ বা মুসলিম অথবা খ্রীস্টানের কোন কারন নেই প্রতীমার প্রতি কোন বিশ্বাস ছাড়া পূজা মন্ডপে গিয়ে আদিখ্যেতা দেখানোর।

ইয়েস। এটাই সততা

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

মানবী বলেছেন: মুসলিম ধর্ম বিশহবাসের সাথে মূর্তি পূজার যেমন সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান, তেমনি হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাসের সাথে আমাদের কুরবানী ঈদের গরু কুরবানীর তেমন বিপরীত অবস্থান।

ধর্মের এই নিজ নিজ অবস্থান মেনে নিয়েই আমরা একে অপরের প্রতি এতো বছর শ্রদ্ধাশীল থেকেছি।
এখন একদল ভন্ড হঠাৎ সেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টায় ব্যস্ত!

আবারও ধন্যবাদ নেক্সাস, সবসময় ভালো থাকুন।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

সবুজ সাথী বলেছেন: @বাবু<বাবুয়া<বাবুই, বলা যায় না। :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

মানবী বলেছেন: দুই জনের নিকের যে অবস্থা, এক প্রাচীর শেয়ার করা বাড়ি হলেও কেউ কাউকে চিনবেনা।

:-)

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

রাহি ওসমানী বলেছেন: এই পোষ্টটা ষ্টিকি করা হোক!!!!!!!!!অসাধারন একটা লেখা!!!!!!!!!!এভাবে যদি সবাই চিন্তা করত?????????

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

মানবী বলেছেন: পোস্টের শিরোনামের সমস্যা আছে, স্টিকি হবার মতো নয় :-)

অনুপ্রানিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রাহি ওসমানী।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

প্রলয়শিখা বলেছেন: খুব গোছানো লেখা। এই লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার এই লেখা পড়ে ভন্ডরা কিছু বুঝতে পারবে এই কামনা করি।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১১

মানবী বলেছেন: ভন্ডরা জ্ঞানপাপী, তারা যা করে জেনে বুঝে করছে।

সাধারণ মানুষ যারা এসব ভন্ডামী দেখে কনফিউজড, তাঁরা হয়তো আরেকবার ভেবে দেখে এই ষড়যন্ত্র অণুধাবনের সাথে সাথে তা ব্যর্থ করবেন, এমনটাই কাম্য।

আন্তরিক ধন্যবাদ প্রলয়শিখা, ভালো থাকুন।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: খুবই সত্য কথা বলেছেন, আপনার মতো আমারও ধারণা এরা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে। এদের আদিখ্যেতা কিছু মানুষকে হিংস্র করে তুলছে। সেই সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই ভন্ড গুলাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে ।

আর আমাদের পা চাটা মিডিয়া তাই শিরোধার্য মেনে নিয়ে নির্বোধের মতো প্রচার করে চলেছে।এর কিন্তু একটা বাজে প্রভাব পরছে আমাদের স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের মধ্যে, তারা ধরেই নিচ্ছে আধুনিক অথবা মুক্তমনা(?) হতে হলে এই ভন্ড লেবাস অপরিহার্য।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

মানবী বলেছেন: ক্ষমতা থাকার লক্ষ্যেই এমন তামাশার সূচনা বলে মনে হয়, ভন্ডামীর শুরুটা এরাই করেছে। সাধারণ মানুষতো এতো গুলো এসব ছাড়াই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ছিলো।

মিডিয়ার অর্থ উপার্জন নিয়ে কথা!
এখন পারিবারিক শিক্ষাই রক্ষা করতে পারে স্কুলের ছেলেমেয়েদের। কনফিউজড একটা জেনারেশন তৈরী করছে এই ক্ষমতালোভী নরাধমেরা। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন ভন্ডামীর নজির নেই।

ভালো লেগেছে মন্তব্য পড়ে, ধন্যবাদ পাজলড ডক।
ভালো থাকুন।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ছোটবেলায় পুজার জন্য অপেক্ষা করতাম। ওই সময় নানাবাড়িতে যাওয়া হইতো। সবচেয়ে বড় কারন ছিলো মুর্তি দেখতে আমার ভালোলাগতো। অনেকটা রুপকথার গল্প পড়তে কিংবা কার্টূন দেখতে যেমন ভালোলাগে, তেমন। আরেকটা বড় কারন ছিলো নারিকেল, তিলের নাড়ু খাওয়া যেতো। অনেক আদর করতো সেখানে গেলে। আমার কাছে কিন্তু মনে হতোনা যে পুজাটা কেবল ওদের উৎসব, আমার মনে হতো আমার নিজেরই উৎসব। আনন্দের সামিল তো আমিও হচ্ছিলাম। এই চিন্তাটা এখনো মাথায় আছে।

আমার কাছে ধর্ম যাইহোক, একটা মানুষ যদি নিজে ভালো মানসিকতার হয় সে সবার বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধ্যা দেখায়। আমাদের নবীকে নিয়ে কার্টুন আকলে দেশে কাহিনী হয়ে যায়, আবার যারা এই ইস্যুতে আন্দোলন করে, তারাই দেখবেন মসজিদে গিয়ে অন্য ধর্ম কিংবা ধরেন হিন্দুদের দেব-দেবীদের সম্পর্কে মাইকেই ওয়াজ দিতে থাকবে। বিশাল উদ্দীপনামুলক বয়ান। আপনি যদি একজন হিন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে তোমাদের দেবতা হনুমান তো একটা বান্দর, তখন তারও অনুভুতিতে আঘাত লাগাই স্বাভাবিক। কারন মুসলমানদের কাছে নবীর যে সম্মান, তাদের কাছে ওই হনুমানের সেই একই রকম সম্মান।

ব্যাপারটা আসলে মনের সমস্যা। একজন ভালো মনের মানুষের মধ্যে উগ্রতা, রাগ হিংসা থাকবার কথানা। অতিরিক্ত আদিখ্যেতাও থাকবার কথা না। অতিভক্তি আসলেই চোরের লক্ষন। কারো যদি অন্যের ধর্মের কিছু ভালোই না লাগে তাহলে এড়ানোটা কিন্তু খুব কঠিন না। আর মঙ্গলটাও সেই পন্থা অবলম্বন করলেই বেশি হবার কথা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০

মানবী বলেছেন: এতো বছর তাই হয়েছে। যার যেটা ভালো লাগেনি সে তা এড়িয়ে একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশিল থেকেছে। এখন ব্যাপারগুলো রাষ্ট্রীয় ভাবে শ্লোগান তুলে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বিশ্বের কোন দেশে এমন তামাশার নজির নেই।

যখন উৎসব টা সকলের তখন একজন মুসলিম শিশুর ইচ্ছে করবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে পুজার রঙীন মন্ডপে নাচ গানে মেতে উঠতে। উৎসব যেহেতু সকলের তাই হিন্দু শিশুটিও চাইবে কুরবানী পশুদের নিয়ে মেতে উঠে পরে সেই গো মাংসের স্বাদ আস্বাদনের। ঈদ হোক আজ পূজা পার্বন প্রতিবারই নতুন নতুন পোশাকে সজ্জিত হতে চাইতেই পারে শিশু কিশোরের দল.। উৎসব তো সকলের!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।


১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর পোস্ট

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ গোধূলি রঙ।
শুভ কামনা রইলো।

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত মূখী ধর্মের অনুসারীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই যথেষ্ট কমিউনাল হারমোনি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজিয়ে রাখার জন্য।...সহমত!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৯

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ, ভালো থাকুন।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

রংহীন-পানি বলেছেন: ধর্ম কে ব্যবহার করে কিছু মানুষরুপী অমানুষ নিজেদের ফায়াদা উসুল করছে.....
যে যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে এটা তার মেীলিক অধিকার....
হোক পাকিস্তানে, হোক ইন্ডিয়াতে.........হোক বাংলাদেশে......... আরো হোক সমগ্র পৃথিবীতে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১৪

মানবী বলেছেন: এক বিশেষ গোষ্ঠির কোন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, শুধু ক্ষমতার লোভ আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এরা বিভিন্ন ধর্মকে টিস্যু পেপারের মো ব্যবহার করে দেয়। নিজেদের স্বার্থে উস্কে দেয় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ আর সংঘাত।

অনেক ধন্যবাদ রংহীন-পানি। শুভকামনা রইলো।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হঠাৎ "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ফাজলামি করা এক শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার কি প্রয়োজন সেটা প্রথমে বোধগম্য হয়নি। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হলো এধরনের তামাশা করার কারন।

প্রথমত ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত দেশপ্রেম বর্জিত নির্লজ্জ পদলেহীদের লালনকারীর বর্তমান প্রধান অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ও উগ্রপন্থী কট্টর মনোভাবাপন্ন। চাটার দল(জাতির জনক দেশ ও জাতির জন্য নিজের দলের লোকদের এক অসাধরন নাম পরিচয় জানিয়ে গেছেন) সেখানে নিজের আনুগত্য প্রমানে এমনিভাবে লেজ নাড়ায়, এতে দুরকম লাভ।

এক দাদাবাবুর সন্তোষ্টি আরেকটি হলো বাণিয্যিক - উৎসব যেহেতু সবার, তাহলে শুধু নিজ নিজ ধর্ম উৎসব কেনো, সবার উৎসব পালনে আমি মেতে উঠবো। তাহলে এখন থেকে শুধু পুজা, বা শুধু ঈদ নয় সব উৎসবের "বিশেষ মূল্যহ্রাসের" আমিও একজন ভোক্তা হয়ে উঠতেই পারি। অধিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা মানে ততোধিক বিজ্ঞাপণ, আর অধিক বিজ্ঞাপণ মানেই মিডিয়ার আয় রোজগারের মহা সম্ভাবনা।----------------------চমৎকার।


ভন্ড আর নকল সব সময় বিপদজনক। যারা মন থেকে সেকুলার নয়, তারা যখন শুধু বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেকুলার হয়ে উঠার চেষ্টায় মেতে উঠে বা অপরকে বাধ্য করে, তা দেশ ও জাতির বিপদ টেনে আনতে বাধ্য।-------------সহমত।







চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

মানবী বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালীর কাছে পোস্টটি চমৎকার মনে হয়েছে জেন ভালো লাগলো :-)

আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

ফ্লাইং সসার বলেছেন: পোস্টের প্রতিটি বাক্যের সাথে ঐক্যমত, ভন্ড গুলারে লাথি মেরে খাচায় ঢুকাতে পারলে ভাল হত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

মানবী বলেছেন: ‌ঐক্যমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ফ্লাইং সসার।

দুঃখজনক হলেও সত্য এখন প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ভন্ডদের উগ্র বিচরণ। ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সহজ নয় তবে জরুরী ভীষণ।

অনেক ভালো থাকুন।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।

উপরে দেখলাম, অনেক কিছু বলা হয়ে গেছে।

আমি শুধু এটুকুই বলি, প্রতিটি ধর্মই সমান মর্যদা পাক। কেউ কাউকে অসম্মান না করুক, বিদ্রুপ না করুক।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

মানবী বলেছেন: সুন্দর মনে হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো।

যেখানে এমনিতেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আর পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আছে যুগ যুগ ধরে সেখানে এভাবে চোখ আঙ্গুল দিয়ে সম্প্রীতির ঢাক পিটানো কখনও শুভ উদ্দেশ্যে হতে পারেনা। আজ হয়তো একদল ভাবছে ভালোই তো, আমরা সন্মান পেলাম, কাল যখন সেই দলের ছেলেটা এই উৎসব সকলের ধুয়ো তুলে সম্প্রীতি দেখাতে গিয়ে নিজের ধর্মের অবমাননা করবে, তখন হয়তো তাঁদের চোখ খুলবে। শুধু ভয়, তখন খুব বেশী দেরী না হয়ে যায়।

অবশ্যই সকল ধর্মের মর্যাদা সমান, অন্তঃত বাংলাদেশে এতোদিন তাই মনে হয়েছিলো। আপনার ভাবনাটা আরেকটু বিস্তারিত বললে হয়তো বুঝতে সুবিধা হতো যদি কোন বৈষম্যকে মনে করে থাকেন।

অনেক অনেক ভালো থাকুন, আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পড়ার পর কোন কথার আগে পোস্টে লাইক+

ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত দেশপ্রেম বর্জিত নির্লজ্জ পদলেহীদের লালনকারীর বর্তমান প্রধান অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ও উগ্রপন্থী কট্টর মনোভাবাপন্ন। চাটার দল(জাতির জনক দেশ ও জাতির জন্য নিজের দলের লোকদের এক অসাধরন নাম পরিচয় জানিয়ে গেছেন) সেখানে নিজের আনুগত্য প্রমানে এমনিভাবে লেজ নাড়ায়


একদম চোখের সামনে ভাসা ভবিষ্যতের কথা বললে যেটা হবে এইসব চাটার দলের লোকেরা কেবল আরেকটি ১৫ আগস্ট হানার পরই শান্ত হবে। এরা তখন শেয়ালের মত বনে গিয়ে লুকোবে। আর প্রকৃত আওয়ামীলীগের লোকেরা কেবল দল করার কারণে নির্যাতনের ভাগীদার হবে। অথচ ওরা কোন সুবিধা না নিয়ে কেবল দেশ ও জাতির জন্যই আওয়ামীলীগ করে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

মানবী বলেছেন: কোন দেশের শাসক যে কতো খানি দেশপ্রেম বর্জিত ও নির্লজ্জ হতে পারে, আমাদের দেশের দিকে না তাকালে কেউ জানবে।

ধন্যবাদ গেম চেন্জার, শুভ কামনা রইলো।

২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

নতুন বলেছেন: সবার মনের কথাগুলি গুছিয়ে লিখেছেন।

আমার স্কুলের হিন্দু, খৃস্টান সহ সব বন্ধুরা ঈদের দিন দুপরে খাবার খেতো। মা হিন্দু বন্ধুটির জন্য অবশ্যই আলাদা রান্না করতেন।
সত্যিকারের বন্ধুত্বের জন্য লোক দেখানোর দরকার নাই।

রাজনিতিকরা নিজেরাই সমস্যা তৌরি করে। কারন সমাজে সবাই মিলে মিশে থাকলে মাতুব্বরের দরকার পড়ে না। তেমনি দেশেও জনগনকে বিভক্ত না করতে পারলে কিন্তু নেতারা এতো টাকাপয়সার মালিক হতে পারতো না।

জনগনকে শিক্ষিত করতে হবে। সচেতন হতে হবে। তখন এই সব ভন্ড নেতারা এবং তাদের ভন্ডামীপূণ কথায় কাজ হবে না।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

মানবী বলেছেন: "রাজনিতিকরা নিজেরাই সমস্যা তৌরি করে। কারন সমাজে সবাই মিলে মিশে থাকলে মাতুব্বরের দরকার পড়ে না। তেমনি দেশেও জনগনকে বিভক্ত না করতে পারলে কিন্তু নেতারা এতো টাকাপয়সার মালিক হতে পারতো না।"

- সম্পূর্ণ সহমত।
এরা প্রথমে এক পক্ষের সমর্থন আদায় করে ছলে বলে কৌশলে, পরে তাদের উপর আক্রমণ এরাই করায় আর ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হবার নাটক সাজায়।
আমাদের দেশের মানুষের মাঝে সংঘাত মানেই হলো রাজনীতিবিদদের ফায়দা।

অনেক ধন্যবাদ নতুন, আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । পড়ে ভাল লেগেছে । এমন অনুভূতি সবার হওয়া উচিৎ ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০০

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন (এবার পণ করেছিলাম আপনার এই টাং টুইস্টার নিকটি টাইপ করবোই :-)

অনেক ভালো থাকুন।

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

বাউন্টি হান্টার বলেছেন:

লেখায় অনেক ফালতু স্ববিরোধী কাহিনী শুনাইছেন, কিন্তু ধর্ম যার যার উৎসব সবার হলে নির্দিষ্ট ভাবে কী সমস্যার সৃষ্টি হয় তা বলেননি।

২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: এতোগুলো বছর বাংলাদেশেও ঠিক এমনি ভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী বজায় ছিলো। নিতান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নাহলে তেমন কোন বিদ্বেষ চোখে পড়েনি। হঠাৎ "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ফাজলামি করা এক শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার কি প্রয়োজন সেটা প্রথমে বোধগম্য হয়নি। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হলো এধরনের তামাশা করার কারন।

রাজনীতি ,সংস্কৃতি , শিক্ষা , চিকিৎসা , মূল্যবোধ , সম্প্রিতি সব জায়গাতেই খুব নিখুঁত ভাবে বিষ বাস্প ছড়ানো হয়েছে , যা একটি জাতিকে ধ্বংস রে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । আর আমাদের দেশ প্রেমিক নেতা নেত্রী রা আমার তোমার , তোমার আমার হিসেব নিয়েই ব্যস্ত , কেউ চেয়ারে বসে আর কেউ চেয়ারে কবে বসার সুযোগ হবে সেই প্রত্যাশায় ।।

"ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" যারা এগুলো বলে তারা ধর্ম , ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে কতটুকু জেনে বলছে জানতে ইচ্ছে হয় । নাকি হরলিক্সের মত , "আমিত এমনি এমনি খাই " তারাও খাচ্ছে , অন্যদের ও মিষ্টি কথায় খাওয়াচ্ছে ????

ধন্যবাদ আপনাকে ,

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

মানবী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন সায়েদা সোহেলী!!!

আমার মনে হয় তারা জানে তবে মানেনা। এদের যেহেতু কোন নীতিবোধ নেই, দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা। এদের শ্লোগান হোলো 'দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি"!
দেশের সাধারণ মানুষ, হিন্দু মুসলিম নিজেদের মধ্যে মারামরি করে যতো দাঙ্গা ফ্যাসাদ করবে, এদের ততোই লাভ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

২৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৭

সেয়ানা ০১ বলেছেন: মসনদ ধরে রাখার জন্য উনি "গো মূত্র" পান করতেও রাজী| ইনি একবার বলেছিলেন, মা দুর্গা গজে চড়ে এসেছেন বলেই এইবার ভাল ফলন হয়েছে......!! স্যাকুলারিযমের নমুনা !!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

মানবী বলেছেন: তিনি যা ইচ্ছা পান করুক, দেশের মানুষকে এভাভে বিভ্রান্ত করছে তাতেই ঘৃনাটা জন্মে। নিজের ধর্ম, অপরের ধর্ম কারো প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে এমন করা সম্ভব নয়।

ভালো থাকুন সেয়ানা।

২৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩২

সেয়ানা ০১ বলেছেন: @বাউন্টি হান্টার: মুসলিম ধর্মে ইমান আনলে কেউ গিয়া মুর্তির সামনে নেচে কুঁদে সেলিব্রেট করতে পারবে না আবার কেউ মুড়্তি পুজা করলে মহরমের কাফেলায় শিরিক হইয়া হায় হাসান হায় হোসেন করতে পারবে না, করলে সেইটা হবে ভন্ডামী| না বুজলে কিছু করার নাই, স্যকুলারিযমের সমস্যা !!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মানবী বলেছেন: সেকুলারিজম নিজ স্থানে ভালোই আছে, সমস্যা হলো অনেকে বুঝতে পারছেনা সেকুলারিজম কি?
যুক্তরাষ্ট্র একটি সেকুলার দেশ, এখানে "উৎসব সকলের" নামে এধরনের ভন্ডামী হতে দেখিনি কখনও। যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যা লঘু জনগোষ্ঠির একজন হয়ে আমি চাইনা সম্প্রীতির নামে এমন লোক দেখানো তামাশা হোক!

২৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: '' আল্লাহ্'র প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস আর পারিবারিক শিক্ষা আমাকে অপরের ধর্মানুভূতিকে সন্মান করতে শিখিয়েছে।''

''আমি কখনও পূজায় যাইনা, রাহুল কখনও আমাকে পুজার দাওয়াত ও দেয়না। কেনো?
কারন রাহুল একজন গোড়া হিন্দু হয়েও জানে মুসলিমদের ধর্ম বিশ্বাসের সাথে মূর্তি পূজার অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতে। তাই এধরনের অবিবেচকের মতো কাজ সে কখনও করবেনা। ''

''আমার সাথে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে রাহুলদের মসজিদে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে হয়না বা ঘরে গরুর ঝাল কারি রান্না করার প্রয়োজন পরে না। ঠিক তেমনি হিন্দুদের পুজা পার্বন এলে আমাকে সাজগোজ করে "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ভন্ডামীর প্রয়োজন পড়েনা। কারন আমাদের একে অপরের কাছে প্রমানের কিছু নেই। দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত মূখী ধর্মের অনুসারীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই যথেষ্ট কমিউনাল হারমোনি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজিয়ে রাখার জন্য।''

ঐ তিনটি মন্তব্যেই বোধসম্পন্নদের সবকথা বলা হয়ে গেছে।
আপনি খুব ভাগ্যবান যে প্রকৃত বন্ধু পেয়েছেন।বড্ড হিংসে হচ্ছে।
আপনার মতন আমারও প্রিয়বন্ধু একজন হিন্দু।আমার স্কুলের সহপাঠি।তখন থেকেই বন্ধুমহলে আমরা হরিহর আত্মা বলে পরিচিত।জানের দোস্তি।গর্ব করে বলি এখন সে দেশের একজন স্বনামধন্য ফিল্ম মেকার।বেশ কবার সেরা ডিরেক্টর পুরস্কার পেয়েছে।যদিও আমি তার ছবির ভক্ত নই। সুযোগ পেলেই তার ছবিতে ইসলামকে কটাক্ষ করে।মুখে খুব সেক্যূলারিজম/নাস্তিকতা কপচায় কিন্তু আমি জানি সে একজন গোঁড়া ইসলাম বিদ্বেষি হিন্দু।ফাঁক পেলেই কৌশলে আপত্তিকর মন্তব্য করতে ছাড়েনা।আগে চুপ করে থাকলেও আজকাল উত্তর দেই।ফলে কিঞ্চিত দূরত্ব হয়েই যায়।আমিও ইদানিং তার বাসায় যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি তার বাড়াবাড়ি রকম পোযা কুকুর প্রীতির যন্ত্রনায়।পূজাপার্বন এলেই আমার ধর্ম বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক জেনেও সে তাদের প্রসাদ খাওয়ানোর জন্য কিংবা রান্না বলীর পাঠার মাংস খাওয়ানোর জন্য জোর জবরদস্তি করে!!!তার যুক্তি সে গরু খায় তাই আমাকেও এসব খেতে হবে।আর কতো বেকডেটেড থাকবো!!!
মনে হলো তাই শেয়ার করলাম।বন্ধুত্ব যতো গাঢ়ই হোকনা কেনো কোথায় যেনো একটা বিশ্বাসের দন্দ্ব থেকেই যায়,যেখানে পারস্পারিক ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ভীষন জরূরী সেখানে আমার দিক থেকে আমি শতভাগ সৎ থাকলেও তার দিক থেকে সেটা কখনো পাইনি।তাই আবারো বলছি আপনি খুব ভাগ্যবান।যতই বলেন,আসলেই হয়না কিংবা ভেরি রেয়ার।এখানেই তৌহিদ আর শির্কের পার্থক্য।

ঠিক যেনো মনের কথাগুলোই স্বীয় মুন্সিয়ানায় সাজিয়ে গুছিয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছেন যা সারাজীবনে বলতে না পারার ব্যর্থতায় নিজে নিজেই অন্তর্দহনে পুড়েছি।
সঠিক মনের ভাব প্রকাশ করে কৃতজ্ঞতা জানানোর মতোন শব্দ আমার ম্যাড়ম্যাড়ে অভিধানে নেই।
অক্ষমতায় ক্ষমা প্রার্থনীয়।
আরো একখানা মহামানবীয় পোষ্ট।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

মানবী বলেছেন: যখন কেউ কারো ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে বা আঘাত করে কথা বলে, তাকে কি বন্ধু বলা যায়!!! নাহ্, সে কোন অবস্থায় বন্ধু হতেই পারেনা। কুকুর বিড়াল কাছে আসা পছন্দ করিনা, কেমন একটু ভয় হয়। তাই আমার বন্ধু বান্ধব, এমনকি শ্বেতাঙ্গরাও তাদের প্রিয় প্রানীটিকে সরিয়ে রাখে আমি তাদের বাসায় গেলে। আপনার এই বন্ধুটি নিঃসন্দেহে সংকীর্ণমনা, একজন ভালো মানুষ কখনও আরেকজনের ধর্মানুভূতিতা আঘাত করে কথা বলবেনা, আর বন্ধু স্থানীয়দের তো একেবারেই নয়।

অভিধান মোটেও ম্যাড়ম্যাড়ে নয় বরং অনেক সাবলীল আর আন্তরিক।
আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো।

৩০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: আইডেন্টিটী ক্রাইসিসে ভোগা সমাজের এরকমই হয়।চমতকার লেখা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

মানবী বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের সাথে সাথে নিজের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা--- সব মিলিয়ে কনফিউজড।

ধন্যবাদ ধ্রুব অন্যকোথাও, ভালো থাকুন।

৩১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

সুপ্ত আগ্নেয়গিরি মাহি বলেছেন: ভাল বলেছেন,,,,,,এই ধনের মধুর সমম্যায় আমি ও পরি,,,,,,কজ, আমার ও থ্রি এ এম ফ্রেন্ড হিন্দু,,,,,, আমি মুসলিম,আপ্নার সাথে হুবহু মিলে গেছে,,,,,

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। বন্ধুত্ব আর সম্প্রীতির জন্য "উৎসব সকলের" শ্লোগানের প্রয়োজন পড়েনা।

ধন্যবাদ আর শূভকামনা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি মাহি।

৩২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: এই ভন্ডামীর সুযোগে বড় বড় মুসলমান শিল্পপতি ও ব্যাবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকা চাদা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি হিন্দুরা এত উদার ও ধণী নয় যে,নিজেদের টাকায় এত বড় বড় জাঁকজমকপুর্ন উতসব করবে।এ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পুজা মন্ডপ বানানো হয়েছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২

মানবী বলেছেন: চাঁদাবাজরা শকুনের মতো সব সময় ওৎ পেতে থাকে, কোন এক সুযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।
পোস্টে যেসব বাণিজ্যিক ফায়দার কথা বোলেছি, চাঁদাবাজি এর সাথে যোগ হলো। শুনেছি ঢাকা শহরের সব রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই এমনকি ভিক্ষার পার্সেন্টেজ নাকি অনেক উপরের মহল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তাই এসব বখাটেরা সহজে ধারা পড়েনা, পড়লেও অল্প সময়ে ছাড়িয়ে আনা হয়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

তাল পাখা বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগী পোস্ট। সাধারণ মানুষগুলোকে প্রলুব্ধ করতে 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' মত মনোমুগ্ধকর শ্লোগান (বিষের বোতলে মধুর লেবেল) প্রচার করা হয়। আমাদের মনে রাখা উচিৎ- শয়তান যদি কোন ভাল কাজ করে তার পিছনে অবশ্যই শয়তানী উদ্দেশ্য আছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

মানবী বলেছেন: "শয়তান যদি কোন ভাল কাজ করে তার পিছনে অবশ্যই শয়তানী উদ্দেশ্য আছে"
- দুঃখজনক ভাবে এখানে ভালো কাজও করছেনা। এতোদিন যে সম্প্রীতি আর বন্ধুত্বের মাখে সবাই বাস করেছে, সেটা্কে দ্বদ্দের দিকে উস্কে দিচ্ছে মাত্র।

ধর্মটা ফাজলামি নয়। ইসলাম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, খ্রীস্টান ধর্ম, যে ধর্ম হোক তা নিয়ে তামাশা করার অধিকার কোন সরকারের নেই।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।

৩৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: এখন পারিবারিক শিক্ষাই রক্ষা করতে পারে স্কুলের ছেলেমেয়েদের। কনফিউজড একটা জেনারেশন তৈরী করছে এই ক্ষমতালোভী নরাধমেরা।
ঠিকই বলেছেন আপু। পারিবারিক শিক্ষা ছাড়া মনে হয়না আমাদের ভবিষ্যতকে রক্ষা করার আর কোন উপায় আছে। কেননা সর্বত্রই আজ শিক্ষা মানে ব্রাইট ফিউচার। শিক্ষা মানে প্রকৃত মানুষ হওয়া নয়।
আর কনফিউজড জেনারেশন! বড়ই চিন্তার (দুশ্চিন্তা) বিষয়।
সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংসপ্রায়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:১৫

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন। এই কনফিউজড জেনারেশন যেমন নিজের ধর্ম সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা পাচ্ছেনা তেমনি তারা সামাজিত মূল্যবোধ সম্পর্কেও পুরোপুরি উদাসীন।

সস্কুল কলেজ আর পরিবারের চেয়েও বড় শিক্ষক এখন টেলিভিশন আর সিনেমার রঙীন ঝলমলে জীবন।
কতো সহজে আর কতো তাড়াতাড়ি আমোদ প্রমোদের তরীতে গা ভাসানো যায়, এটাই এখন তাদের লক্ষ্য।

আপনাকে ধন্যবাদ বিদ্রোহী সিপাহী।

৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

তাল পাখা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

মানবী বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ তাল পাখা।

অনেক ভালো থাকুন।

৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: একদম খাঁটি-অন্তরের বিশুদ্ধ কথা
আসুন এসব ভণ্ড সেকুলারিজমের মুখশ উন্মোচন করি,সকলে মিলে...
সতত শুভাশিস.।.।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

মানবী বলেছেন: খাঁটি-অন্তরের বিশুদ্ধ কথা, জেনে ভালো লাগলো।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের একাত্বতা আর সচেতনতা এই ভন্ডদের মুশোক উন্মোচনের সাথে সাথে প্রতিহত করতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ কিরমানী লিটন।

৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেশের মানুষের ধর্মানুভূতি নিয়ে এধরনের প্রহসনের নজির বিশ্বের আর কোন রাষ্ট্রে আছে বলে জানা নেই। দেশে গত কুড়ি বছরে হিন্দুদের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে কমে গেছে। কেন কমেছে সবাই জানেন। লেখার সাখে একমত। ভাল লেগেছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

মানবী বলেছেন: কুড়ি বছর- টাইম লাইনটা গুরুত্বপূর্ণ!
তৃতীয় বিশ্বে যেসব নষ্ট রাজনীতিবিদরা ভোট ব্যাংকের জন্য সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে, তারাই এদের সবচেয়ে বড় শত্রু। দুঃখজনক যে এই সত্যটা অনেকেই জানেননা; জানলেও মানেন না! আর তাই এতো দূর্ভোগ।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ঢাকাবাসী, ভালো থাকুন।

৩৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

ডাঃ মারজান বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্টটি। ++

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ডঃ মারজান।

ভালো থাকুন।

৩৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
শাহ আব্দুল করিম কত সহজ ভাসায় সেই চিরায়ত অসমাপ্রদায়িক বাংলা কথা গানে গানে বলে গেছেন...
যেখানে কোন ভন্ডামী ছিল না, ছির কেবল আন্তরিক প্রেমের পরশ...

গেরামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!!!

সবার জন্য গানের লিংক
https://www.youtube.com/watch?v=a3wTdGhSZBI


২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

মানবী বলেছেন: সেই আন্তরিকতার অস্তিত্ব বি।ইনে উদ্দেশ্যেই আজকের এই ভন্ডামী।

অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু, ভালো থাকুন।

৪০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: * এধরনের চাপিয়ে দেয়া "উৎসব সবার" নামক তামাশা শুধু হিন্দু মুসলিমের মাঝে অসন্তোষ নয়, মুসলিমদের নিজের মাঝে অসন্তোষ, হিন্দুদের নিজের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট।

* সাধরন সচেতন জনতা যাঁরা রাজনীতির এই পুঁতিদুর্গন্ধময় চালটি বুঝতে পারছেন, আশা করি তাঁরা এই যড়যন্ত্র ব্যর্থ করার লক্ষ্যে সকল প্রকার সহিংসতা ও নাশকতা মূলক কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
---সহমত ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

মানবী বলেছেন: সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

৪১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা পোস্টই অনেক বেশি তথ্য সমৃদ্ধ এবং সবলিল হয়! পড়তে যেমন মজা লাগে তেমনি ভাবে অনে জ্ঞানও অর্জন করা যায়! আজকের লেখাটিও তার ব্যতিক্রম নয়! লেখাটির সব গুলো অংশই আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে, তবে সব থেকে বেশি মনযোগ আকর্ষণ করেছে এই লেখাটি, ইদানীং পূজার সময় ঘনিয়ে এলে বিভিন্ন স্থানে প্রতীমা ভাঙ্গার খবর কানে আসছে এতো বছর যা শোনা যায়নি। ইচ্ছাকৃত ভাবেই কেউ আমাদের এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হোক তা দেশের মানুষের শান্তি সম্প্রতি ভঙ্গ করে, ক্ষমতার দুর্গন্ধযুক্ত মসনদে টিকে থাকতে প্রভুর সন্তোষ্টীটাই আসল।।।

সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টের জন্য অনেক বেশি শুভ কামনা! ভাল থাকবেন!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

মানবী বলেছেন: এমন চমৎকার একটি মন্তব্যের জবাব কিভাবে স্কিপড হলো বুঝতে পারছিনা! আনতরিক ভাবে দুঃখিত!

আজই একতী পোস্টে জানলাম, সরকারী দলের কর্মী/গুন্ডারা কিভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করেছে, এমনকি গর্ভবতী নারীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যা করেছে।
অহিন্দুরা পূজায় আনন্দ করা না করায় হিন্দুদের কিছু এসে যায়না, যদিও একটি নির্দিষ্ট মহল নিজেদের সেকুলার প্রমান করা গেছে ভেবে আত্মতৃপ্তি লাভ করে। তবে এমন অনাচার তারা হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী.... সকলের উপর করছে। এমন সময় সেকুলারিজম আর দেশপ্রেম সব চুলোয় যায় তাদের।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

৪২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমার জানামতে "ধর্ম যার যার উৎসব সবার " শ্লোগানটি নাস্তিকরা চালু করে ।পরে কিছু নামধারী আস্তিকরা এটার প্রচারণা শুরু করে ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

মানবী বলেছেন: নাস্তিকদের তো কোন ধর্মেই বিশ্বাস থাকার কথা নয়, ধর্মীয় উৎসব মেনে নেয়া মানেতো ধর্ম মেনে নেয়া।
উৎসব সকলের হলেও ধর্মীয় আচার সকলের নয়, অথচ এই স্বস্তা শ্লোগানের প্রচারে যেসব ছবি ব্যবহৃত হচ্ছে সেসবে ভিন্ন ধর্মীয় আচার পালনটাই মূখ্য দেখিয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ shahadath hossain। ভালো থাকুন।

৪৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার চিন্তাশীল লেখাটি চমৎকার লাগল।লেখা এবং মন্তব্য পড়তে গিয়ে মনে পড়ল ক্যম্পাসে হিন্দু মুসলমান মিলিয়ে আমরা অনেক বন্ধু ছিলাম।এক প্লেটে এক চামচে নির্দ্বিধায় খাওয়া দাওয়া করতাম তবে গরুর মাংস থাকলে নিজে থেকেই খেয়াল রাখতাম যাতে প্লেট বাটি চামচ তাদের খাবারের সাথে না মিশে।
হলে পিকনিক করলে ডিম আর মুরগী রান্না হতো।একজন হিন্দু ফ্রেড কোনো মাংসই খেত না।তার জন্য সব ছোঁয়া বাঁচিয়ে রান্না করা হত কিন্ত ওটুকু ছাড়া কখনো মনে হয়নি আমরা আলাদা।
এখন আমি যে রুম শেয়ার করি সেখানে রুমমেট হিন্দু।উনার টেবিলে প্রতিমা থাকে,আমি একটা ফাকা জায়গা বেছে নিয়ে নামাজ পড়ি কিন্ত কখনো মনে হয়না খুব অসুবিধা হচ্ছে।উনি যা দেয় আমি খাই আবার আমি কিছু দিলে উনি খান।
ঠিকই বলেছেন অসাম্প্রদায়িকতা কথাটা তুলেই আসলে বিভেদ তৈরি করে দেয়া হয় নয়ত বাংলার মানুষ নিজনিজ ধর্ম বাঁচিয়ে ঠিকই মিলেমিশে থাকতে জানে।অসাম্প্রদায়িক কথাটা এমন শোনায় যে যদিও ধর্ম অনুযায়ী তুমি পাত্তা পাওয়ার যোগ্য না তবুও এই মহান আমি দয়া করে তোমাকে নিজের সমগোত্রীয় মনে করছি।আসলেই এসব আলগা ঢং না দেখালেই চলে তবে অনেকে এটাকে স্মার্টনেস এর লক্ষন মনে করে।

আপনার জন্য শুভকামনা।ভাল থাকবেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

মানবী বলেছেন: "অসাম্প্রদায়িক কথাটা এমন শোনায় যে যদিও ধর্ম অনুযায়ী তুমি পাত্তা পাওয়ার যোগ্য না তবুও এই মহান আমি দয়া করে তোমাকে নিজের সমগোত্রীয় মনে করছি"

- ভালো বলেছেন। যা স্বাভাবিক এবং নিয়মিত তাকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলা যেনো "এটা একটা বিশেষ খাতির, তোমার অধিকার নয়"।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সন্ধ্যা প্রদীপ।
ভালো থাকুন।

৪৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষতা কোন প্রেক্ষিতে উদ্ভূত হয়েছে, সেই ব্যাপারটাও কিন্তু অামাদের ভাবতে হবে । বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে অর্থাৎ ৭২ এর সংবিধানেই এই বিষয়টা ছিলো । কেন ছিলো? ৪৬ এর দাঙা কিংবা ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে ৬৪ এর দাঙা কিংবা অারো সাম্প্রদায়িক হামলার ব্যাপারগুলোও নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের মাথায় ছিলো? অাপনি বলেছেন, কয়েকবছর ধরে শব্দটা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে । অাসলেই কি তাই? এটা তো ভাষানী অাওয়ামীলীগের সভাপতি থাকাবস্থায়ই ছিলো । এর উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই মন্দ কিছু ছিলোনা? বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিক্রিয়ায় এদেশে ধ্বংসযজ্ঞের ইতিহাস কিন্তু বিস্মরণ হয়নি, বিস্মরণ হয়নি ২০০১ সালের পরের ইতিহাস ।
অাপনি নেহায়েত ভালো মানুষ, তাই হয়তো ধর্মনিরপেক্ষতা অাপনার প্রয়োজন পড়েনা । উগ্রতা নিরসনে এর দরকার অাছে । মন্দিরে গেলেই যে ভক্তি করতে হবে, এমন কথা নেই । বর্তমানের অধিকাংশ মুসলমানের মত নিয়ে দেখুন, তারা পারলে হিন্দুদের ধ্বংস করে ফেলতে চায় ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

মানবী বলেছেন: "অাপনি বলেছেন, কয়েকবছর ধরে শব্দটা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে । অাসলেই কি তাই? এটা তো ভাষানী অাওয়ামীলীগের সভাপতি থাকাবস্থায়ই ছিলো । এর উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই মন্দ কিছু ছিলোনা?"

- আপনি কোন শব্দের কথা বলছেন? পোস্টে কি ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি একবারও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উচ্চারিত হয়েছে? আর ধর্ম নিরপেক্ষ হলেো মুসলিমদের মন্দিরে যাবার কোন কারন নেই, অমুসলিমদের মসজিদে যাবার কোন প্রয়োজন পড়েনা।
আমি একটি অফিশিয়ালি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির একজন, আমাদের দেশে সম্প্রতি "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" নামে যে ফাজলামী শুরু হয়েছে তার এক কণাও কখনও এই দেশে দেখিনি এবং সেটাই আমার কাছে যথার্থ মনে হয়। পৃথিবীর কোন দেশে এমন তামাশার প্রচলণ আছে বলেও জানা নেই।

চোখে সম্প্রিতীর নামে রঙিন চশমা তুলে দিয়ে সাময়িক ভাবে হয়তো এরা কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারছে, এক সময় এর কুফলে সকলেই বিরক্ত হবে। বাংলাদেশে আজ কিছু মুসলিম নিজেকে বিরাট অসাম্প্রদায়িক প্রমান করতে প্রতীমার সামনে প্রদীপ হাতে দাঁড়িয়ে আছে দেখে যারা "বাহ! কি সুন্দর" বলে হাত তালি দিচ্ছে, আগামী কাল যখন একদল হিন্দু মহা উৎসাহে কুরবানীর সময় হাসি মুখে গরু জবাই করবে, তখন এই এদেরই মুখের ভাব বদলে যাবে! কোন হিনদউ ধর্মালম্বীর কাছে গরু জবাই যেমন তার ধর্ম বিশ্বাসের পরপন্থী, তেমনি মুসলিমদের কাছে মূর্তি পূজা তাদের ধর্ম বিশহবাসের পরিপন্থী।

পরবর্তী এই অসন্তোষ শুধু হিন্দু মুসলিমের মাঝে থাকবেনা, হিন্দুরা হিন্দুদের প্রতি অসন্তোষ্ট হবে, আজ যেমন মুসলিমরা কিছু মুলিমের প্রতি অসন্তোষ্ট। পুরো ব্যাপারটা দেশকে এক ধরনের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবার চক্রান্ত ছাড়া কিছু মনে হচ্ছেনা। আর সেই সংঘাতে লাভবান হবে আজকের নাটের গুরুরা, মাঝখান থেকে নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারন এতো গুলো বছর এসব তামাশা না করেই কিন্তু যে যার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে গেছে।

প্রতিবেশী দেশে একপাল নেকড়ে মুসলিমদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে যারা বাংলাদেশের হিন্দুদের আক্রমণ করে তারা নিতান্তই নির্বোধ এবং কোন ভাবে দেশের মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করেনা। সেখানের হায়নার পাল যেমন রাজনৈতিক ইশারায় নারকীয় হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছে, এখানেও তেমনি নষ্ট রাজনৈতিক ইশারায় হায়নার পাল ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রতিবেশী দেশে কি হলো তা নিয়ে আমরা আমাদের মানুষকে মারবো কেনো? এই মনোভাব কিন্তু শুধু আমার নয়, দেশের ৯৯% মুসলিমের। আপনি জানেন নিশ্চয়, কি ভারত আর বাংলাদেশ--- রাজনৈতিক ইশারায় যখন এধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি হয় তা বরাবরই সাধারন মানুষ এগিয়ে এসে বন্ধ করে। বাংলাদেশে মুসলিম প্রতিবেশি যেমন হিন্দু প্রতিবেশীর উপর হামলার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছে, তেমনি ভারতেই হিন্দু প্রতিবেশী তাঁদের মুসলিম প্রতিবেশীর প্রতি হামলার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ায়।

উগ্রতা নিরসনে কখনও "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ তামাশার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শূধু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু।
ভালো থাকুন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

মানবী বলেছেন: "বর্তমানের অধিকাংশ মুসলমানের মত নিয়ে দেখুন, তারা পারলে হিন্দুদের ধ্বংস করে ফেলতে চায় । "

-এটা আপনার ভুল ধারনা, ভীষণ রকম ভুল ধারনা।
এধরনের মনোভাব কখনও আত্মীয় মহলে, পরিচিত মহলে দেখিনি।

এমন মনে করছেন জেনে সত্যি শংকিত হলাম।

৪৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

সেয়ানা ০১ বলেছেন: সাধু বলেছেন:

বর্তমানের অধিকাংশ মুসলমানের মত নিয়ে দেখুন, তারা পারলে হিন্দুদের ধ্বংস করে ফেলতে চায় ।

====<< তাহলে গত ৭ বছর স্যাকুলার আমলীগ-জাসদ-হাসিনা-ইনু-সুরন্জিতের নয়া সংবিধান কি কোন কাজেই আসতেছে না ?

৪৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সেয়ানা ০১ বলেছেন: সাধু বলেছেন:

বর্তমানের অধিকাংশ মুসলমানের মত নিয়ে দেখুন, তারা পারলে হিন্দুদের ধ্বংস করে ফেলতে চায় ।

====<< অধিকাংশ মুসলমান যদি ধ্বংসই করে ফেলতে চায় তাহলে আপনাদেরকে রক্ষা করছে কারা, পাশের দেশের দাদারা ???

৪৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেক্যুলারিজম এর যথোপযুক্ত বাংলা নেই । কাছাকাছি অর্থ ধর্মনিরপেক্ষতাই । অার ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে অাপনি যেটা বলেছেন বেশিরভাগ লোক কিন্তু সেটা মনে করেনা । ধর্ম যার যার উৎসব সবার এটাই মনে করে । অামি যদিও ধর্মীয় অাচার বর্জন করেছি, তারপরও একে অন্যের উৎসবে শরিক হওয়ার ব্যাপারটা পছন্দ করি ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

মানবী বলেছেন: একে অপরের উৎসবে অবশ্যই শরিক হবো তবে তা মাত্রা রেখে, একে অপরের ধর্ম বিশহবাসে আঘাত না করে।
আমার ঈদ উৎসবে শরিক হতে আমার বন্ধুরা ঈদের নামাযে দাঁড়াবে বা ঘটা করে কুরবানীর গরু জবাই করবে এমনটা আমি কখনও চাইবো এবং এটা ছাড়াই তাঁরা আমার সাথে উৎসবের আনন্দ ভোগ করছে।
তেমনি মুসলিমরা পূজার আনন্দ শরিক হতে মন্দিরে প্রদীপ হাতে মূর্তির সামনে দাঁড়াবে বা প্রসাদ খাবে এমনটাও কাম্য নয়। উপরের মন্তব্য থেকে জেনেছেন, অনেকেই বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশীর সাথে পূজার আনন্দ শেয়ার করেছে, তবে তা মাত্রা রেখে অবশ্যই।

আবারও বলছি বিশ্বের ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলোতে কিন্তু বাংলাদেশের অধনা প্রচলিত "উৎসব সকলের" নামে যে তামাশা চলছে তার নজির নেই।

শুধু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সব সময়।

৪৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: @সেয়ানা, পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে জোর করে কি ধর্মনিরপেক্ষতার সুফল অাদায় করা যাবে? টিকে থাকা অার বেঁচে থাকা কিন্তু এক নয় । স্বাধীনতার অাগে এদেশের ২৫ ভাগ লোক হিন্দু ছিলো এখন কতভাগ অাছে? অাপনি অামার লেখায় বহুবার সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন । অাপনার কি মনে হয়না অাপনি পরধর্মের লোককে অপছন্দ করেন?

৪৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইসলামিক পেজগুলোর কথা নাই বা বললাম, সাধারণ কোন খবরের নিচের মন্তব্যগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন হিন্দুদের নিয়ে এ দেশের মানুষের ধারণা কেমন! সে তুলনায় ভারতের মুসলমানরা অবশ্য অনেক উদার বলেই মনে হয় । অবশ্য উদার না হয়েই বা কী উপায় অাছে? অার এদেশে তো উদার হওয়ার দরকার নেই । মালুর জাতদের অাবার অনুভূতি কী?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

মানবী বলেছেন: সৌভাগ্যক্রমে ফেসবুকে আমার কোন এ্যাকাউন্ট নেই। তারপরও ধারনা করতে পারি, ইসলামিক পেগে হিন্দু বিদ্বেষ আর হিন্দু পেজে মুসলিম খ্রিস্টান বিদ্বেষ কেমন থাকতে পারে..... ইন্টার ন্যাশনাল নিউজ মিডিয়ার মন্তব্য পড়ে এই ধারনার জন্ম।

তবে এটুকু জানি, এসব পেজ বলুন আর মিডিয়ার মন্তব্য সাধারন জনগোষ্ঠির অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ কে এরা রিপ্রেজেন্ট করে।
আর এধরনের নেতিবাচক মন্তব্য বিশেষ উদ্দশ্য প্রণোদিত হয়ে থাকে, অনেকেই স্বার্থান্বেষী কোন সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে।
এতো দৃঢ়তার সাথে কিভাবে বলছি?

ছোট্ট একটি উদাহরন দেই। আমেরিকায় বিভিন্ন বিদ্বেঢ় গ্রুপ আছে, তার মাঝে একটি আছে মুসলিম বিদ্বেষী গ্রুপ(ভারত বিদ্বেষীও আছে).... এসব নাকি বাক স্বাধীনতা :-)
যাই হোক, কিছুদিন আগে সেই মুসলিম বিদ্বেষী গ্রুপ ভীষণ ঢাকঢোল পিটিয়ে দেশব্যাপি মসজিদের বাইরে অয়স্থান করে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিলো। অনেক প্রচার হলো, তারপর সেই দিন যখন উপস্থিত.... তখন দেখা গেলো মসজিদ গুলোর সামনে হাতে গোনা দু চার জন, কোথাও আট দশ জন লোক মুসলিম বিদ্বেষী ব্যানার নিয়ে এসেছে আর তাদের অবাক করে দিয়ে তাদের চেয়ে বহুগুন বেশী সংখ্যক অমুসলিম মুসলিমদের স্বপক্ষে ব্যানার নিয়ে এসে দাড়িয়েছেন।

কোন কোন ক্ষেত্রে সেসব (?)প্রতিবাদী হাতের ব্যানার ফেলে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে।
এই গল্প বলার উদ্দেশ্য, বিদ্বেষীরা প্রকৃত পক্ষে সংখ্যায় অনেক কম, তবে তাদের গর্জন বর্ষন সব সময়ই বেশি। আপনি ভাবতে পারেন ওটা আমেরিকা, এটা বাংলাদেশ। আমি জানি, বাংলাদেশ বলুন আর ভারত, সব খানেই এই বিদ্বেষীরাই প্রকৃত সংখ্যালঘু।

আপনি আমি, আমরা দুজন দুটি রাষ্ট্রের সংখ্যা লঘু জনগোষ্ঠির একজন, আপনি বিদ্বেষীদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন আর আমি যাঁরা বিরুদ্ধে এসে দাঁড়ায়, তাঁদের।

আবারও বলছি, আমি আমার সকল উৎসব বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধু বান্ধবের সাথে এক হয়ে উদযাপন করি এবং অবশ্যই মাত্রা রেখে যেনো প্রত্যেকের ধর্মানুভূতির প্রতি যথার্থ সন্মানটা বজায় থাকে।

অনেক ভালো থাকুন রূপক বিধৌত সাধু (এটা আপনার নাম হলে যিনি নামকরন করেছেন তাঁর রুচির প্রশংসা করি) :-)

৫০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩০

সেয়ানা ০১ বলেছেন: সাধু বলেছেন:

অাপনি অামার লেখায় বহুবার সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন । অাপনার কি মনে হয়না অাপনি পরধর্মের লোককে অপছন্দ করেন?

====< মানুষের সন্তান হলে আমার করা সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের লিংক বা প্রমান দিবেন, এখন, এই খানে|

আর আমি পর ধর্মের লোককে অপছন্দ করি এই কথা আপনারে কে বলেছে বা আপনি কেমনে জানলেন ? নিজেরে কি ভগবান ভগবান ভাবতে শুরু করছেন ?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০১

মানবী বলেছেন: সাধু যেহেতু আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন প্রমান এখানে উপস্থাপন করেননি, আপনার বিরুদ্ধে লেখা মন্তব্যটি ভুল মনে হচ্ছে।

ভালো থাকুন।

৫১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার লিখসেন।

সহমত আপনার সাথে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

৫২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: যে সব পোস্ট ভাল লাগে, তাতে আমি একাধিক বার আসি।
সহ ব্লগারদের প্রতিক্রিয়া পড়ি, ভাল লাগে।

আমি নিজেকে ভাল শ্রোতা হিসাবে দাবী করি এবং নিম্ন মানের বক্তা।

তবে সত্যটাকে আমি মন দিয়ে উপলব্ধি করতে চাই, তাই অনেক সময় সত্য নিয়ে বিতর্ক করতে চাই না।

এ ব্যাপারে আমি সেকেলে কবির দলে:
//বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর।//

আবারও ভাল লাগা টুকু জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।


৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

মানবী বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে সন্মানিত হলাম।
আপনার উপলব্ধি সন্মান করি তবে আপনি যে নিম্নমানের বক্তা নন আপনার লেখা পড়ে নিশ্চিত। তবে সবাই সুবক্তা হলেই যে বলবেন এমন নয় :-)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

৫৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট। খুব গোছানো ও অসাধারন একটা লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

মানবী বলেছেন: পর পর দুটি মন্তব্য, একটি বলছে গুছানো লেখা আরেকটি বলছে অগোছালো।
লেখালেখিতে আমার অক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞাত তাই আপনার এই উদার মন্তব্য কেবলই আপনার মহানুভবতার প্রকাশ বলেই মানছি।

আমার সাধারণ লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে সন্মানিত হলাম, আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন অভ্রনীল।

৫৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:২৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মানবী,
যদিও লেখাটা ঠিক গুছানো পেলাম না তবে সাধুবাদ জানাই- আপনি সাহস করে অন্তত বলতে পারলেন। ধর্মীয় জ্ঞানের সঠিক চর্চা ও সুশিক্ষার কতোটা অভাব চলছে তারই বাস্তব নমুনা এমনতর দৃষ্টিভঙ্গি। আমি বলবো না যে শুধু বাংলাদেশে তা প্রকট হচ্চে, উন্নত দেশগুলোতেও প্রায়ই ঘটে, ঘটছে। তবে সেটা আরও পরিণত ও সুদুর প্রসারী(ভয়ংকর)।

বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দ্যাটস ইট্। এখন কথা হলো আমরা মোকাবেলা করবো কিভাবে ? পত্রিকা-গ্রন্থ-ব্লগ-টক শ কথা/লেখা করতে করতে ক্লান্ত। নতুন করে আর কিছু বলার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। করার প্রশ্নে কচু-ঘেচু। জনতার সচেতনতা বাড়ছে, একই সাথে বাড়ছে বিশেষ উদ্দেশ্যের বিশেষ সব পদ্ধতির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ।

আশা ছাড়ছি নে, আপনার মতো মানুষেরা যতদিন বেঁচে আছেন...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

মানবী বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আমার লেখার মান বরাবরই অতি নিম্ন, গুছিয়ে লেখার কথা ভাবার স্পর্ধাও করতে চাইনা।
অনেক সময় আপনদের মতো সুলেখকদে উচ্চমানের লেখায় মন্তব্য করতেও ভয় হয় নিজের লেখনী ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার জন্য।

ডিভাইড এন্ড রুল দুঃশাসকেরা বরাবরই নিজেদের হিন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে প্রয়োগ করে এসেছে। "ধর্ম যার যার....." ভন্ড শ্লোগানটি তুলে তারা ধর্ম যার যার থাকতে দিচ্ছেনা বরং "উৎসব সকলের.।" ভন্ডামী করে একজনের ধর্ম আরেকজনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে!
আমাফ মতো নগণ্য জনকে এভাবে বলায় নিতান্তই বিব্রত হলাম, এ আপনার মহানুভবতা মাত্র।

আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।

৫৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১০

দুঃখ সয়ী বলেছেন: এতোগুলো বছর বাংলাদেশেও ঠিক এমনি ভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী বজায় ছিলো। নিতান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নাহলে তেমন কোন বিদ্বেষ চোখে পড়েনি। হঠাৎ "ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের" টাইপ ফাজলামি করা এক শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার কি প্রয়োজন সেটা প্রথমে বোধগম্য হয়নি। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হলো এধরনের তামাশা করার কারন

অনেক সুন্দর লিখছেন,
লাইক ইট
এন্ড
লাইক ইউ

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

মানবী বলেছেন: থ্যাংক ইউ এন্ড আই লাইক ইউ টু :-)

অনেক অনেক ভালো থাকুন, দুঃখ যেনো কখনও আপনাকে স্পর্শ না করে!

৫৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

জুন বলেছেন: পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ একটি স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যথেষ্ট।
একথাটি হলো অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যাবস্থার মুলনীতি মানবী। যা এখন দেশ কাল পাত্র ভেদে আমাদের সবার জন্য জরুরী। অনেক সুন্দর বিশ্লেষন।
+

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন জুন, ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

৫৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের একে অপরের কাছে প্রমানের কিছু নেই। দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত মূখী ধর্মের অনুসারীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই যথেষ্ট কমিউনাল হারমোনি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজিয়ে রাখার জন্য।

ভন্ড আর নকল সব সময় বিপদজনক। যারা মন থেকে সেকুলার নয়, তারা যখন শুধু বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেকুলার হয়ে উঠার চেষ্টায় মেতে উঠে বা অপরকে বাধ্য করে, তা দেশ ও জাতির বিপদ টেনে আনতে বাধ্য।

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ একটি স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যথেষ্ট। যখন এই শ্রদ্ধাবোধ জোড়পূর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়, তখন দেখা দেয় সংঘাত আর বিদ্বেষ।

এর কিন্তু একটা বাজে প্রভাব পরছে আমাদের স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের মধ্যে, তারা ধরেই নিচ্ছে আধুনিক অথবা মুক্তমনা(?) হতে হলে এই ভন্ড লেবাস অপরিহার্য। - (পাজলড ডক, ১৪ নং মন্তব্য)।

আমি শুধু এটুকুই বলি, প্রতিটি ধর্মই সমান মর্যদা পাক। কেউ কাউকে অসম্মান না করুক, বিদ্রুপ না করুক। - (সুমন কর, ২১ নং মন্তব্য)

শয়তান যদি কোন ভাল কাজ করে তার পিছনে অবশ্যই শয়তানী উদ্দেশ্য আছে - (তালপাখা, ৩৩ নং মন্তব্য)

যারা সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করে সংখ্যালঘুদের জন্য তারা বিপদজনক।

সারাটা পাতায়, মূল লেখা এবং মন্তব্যে যে কথাগুলো ভালো লেগেছে তা উপরে উদ্ধৃত করলাম। বক্তব্য প্রকাশে আপনার স্বচ্ছতা ও সাহসের প্রশংসা না করলেই নয়, মানবী। শুভকামনা রইলো, নিরন্তর।

আপনার ব্লগ "প্রিয় ব্লগার অন্ধকার", "সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ" (২২-১০-২০০৭), এবং "নাম বিভ্রাট..." (১৪-০২-০৭) এ কিছু মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি দেখে নেবেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

মানবী বলেছেন: বিস্তারিত ভাবে মতামত জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

আপনার উল্লেখিত মন্তব্যের এর মাঝে জেনেছেন আশা করি।
অনেক অনেক শূভকামনা রইলো।

৫৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ছোটবেলায় পুজার জন্য
অপেক্ষা করতাম। ওই সময়
নানাবাড়িতে যাওয়া হইতো।
সবচেয়ে বড় কারন ছিলো মুর্তি দেখতে আমার
ভালোলাগতো। অনেকটা রুপকথার গল্প পড়তে
কিংবা কার্টূন দেখতে যেমন ভালোলাগে,
তেমন। আরেকটা বড় কারন ছিলো নারিকেল,
তিলের নাড়ু খাওয়া যেতো। অনেক আদর
করতো সেখানে গেলে। আমার কাছে কিন্তু
মনে হতোনা যে পুজাটা কেবল ওদের উৎসব,
আমার মনে হতো আমার নিজেরই উৎসব।
আনন্দের সামিল তো আমিও হচ্ছিলাম। এই
চিন্তাটা এখনো মাথায় আছে।

আমার কাছে ধর্ম যাইহোক, একটা মানুষ যদি
নিজে ভালো মানসিকতার হয় সে সবার
বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধ্যা দেখায়। আমাদের
নবীকে নিয়ে কার্টুন আকলে দেশে কাহিনী
হয়ে যায়, আবার যারা এই ইস্যুতে আন্দোলন
করে, তারাই দেখবেন মসজিদে গিয়ে অন্য ধর্ম
কিংবা ধরেন হিন্দুদের দেব-দেবীদের
সম্পর্কে মাইকেই ওয়াজ দিতে থাকবে।
বিশাল উদ্দীপনামুলক বয়ান। আপনি যদি একজন
হিন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে তোমাদের
দেবতা হনুমান তো একটা বান্দর, তখন তারও
অনুভুতিতে আঘাত লাগাই স্বাভাবিক। কারন
মুসলমানদের কাছে নবীর যে সম্মান, তাদের
কাছে ওই হনুমানের সেই একই রকম সম্মান।

ব্যাপারটা আসলে মনের সমস্যা। একজন ভালো
মনের মানুষের মধ্যে উগ্রতা, রাগ হিংসা
থাকবার কথানা। অতিরিক্ত আদিখ্যেতাও
থাকবার কথা না। অতিভক্তি আসলেই চোরের
লক্ষন। কারো যদি অন্যের ধর্মের কিছু ভালোই
না লাগে তাহলে এড়ানোটা কিন্তু খুব কঠিন
না। আর মঙ্গলটাও সেই পন্থা অবলম্বন করলেই
বেশি হবার কথা।
--নদী ভাই আমার কথাগুলোই বললেন।সহমত
খুব সুন্দর লেখা।সাবলীল ভাষায় লেখ্ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা বোধগম্য হওয়ার মতো। ভালো থাকুন +++

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ।

আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৫৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৭

প্রীতম বলেছেন: আমি রাজনীতি বুঝিনা, বুঝতেও চাইনা।
রাজনৈতিক অংশ বাদ দিয়ে বাকী সবগুলো কথার সাথে আমি সহমত।
বার বার পড়েও অবাঞ্ছিত কোন লেখা পেলামনা।
ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২২

মানবী বলেছেন: সমস্যা হলো রাজনীতি বুঝি আর না বুঝি প্রতি নিয়ত এর হিংস্র ছোবলে আমরা জর্জরিত।

সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রীতম।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৬০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

বিষের বাঁশী বলেছেন: আমার স্কুলের, কলেজের প্রিয় গণিত শিকখক, হলের রুমের ডাবলিংমেট সবাই হিন্দু। ছোটবেলায় পূজা দেখতে গেছি মন্ডপে বাবার হাত ধরে অভিগগতা নিতে, হিন্দু বান্ধবীদের বাড়ি গিয়ে সন্দেশ খেয়েছি, কলিগের আনা লুচি, সবজি, সন্দেশও খাই, আমার কি জাত গেল?!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১১

মানবী বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে মনে হলো এসবে আপনার জাত গেছে এমন কিছু বলা হয়েছে?

৬১| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "আমাদের দেশি ঐতিহ্যে বেশ মশলাদার আমিষের প্রচলন আছে, আর আমিষের পাশা পাশি একধরনের ভারসাম্য রক্ষার্থেই হয়তো আমাদের নিরামিষ গুলো বেশ সাদামাটা। রাহুল আর দু একজন রক্ষনশীল হিন্দু বন্ধু বান্ধুবের কারনে আমাকে ভয়াবহ ধরনের মশলা সমৃদ্ধ ভারতীয় নিরামিষ রান্না শিখতে হয়েছে। তাদের নিখাদ নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব, এমন শিখতে বাধ্য করেছে।" - অসাধারণ! আপনার এবং আপনার পরিবারের যে চিত্র বর্ণনা করেছেন তা আজ যেন সুদূর স্বপ্নের বিষয় মনে হচ্ছে। প্রিয়তে রাখলাম।

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৫

মানবী বলেছেন: প্রবাসে মনে হয় এমনটা খুব আনকমন নয়, পোস্টের মন্তব্য পড়ে মনে হলো আমাদের মানুষদের মাঝেও অনেকে হয়তো অথিকাংশ এমনটা খুব স্বাভাবিক ভাবেও করে আসছেন। নষ্ট রাজনীতির কালোসাপ আর তাদের ছুঁড়ে দেয়া দু পয়সায় লালিত কীটেরা এই সৌহার্য্যকে অস্বীকার করে সাম্প্রদায়িকতার দুর্গন্ধ ছড়াতে চাইছে মাত্র।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সোজোন বাদিয়া।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৬২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৭

সোহানী বলেছেন: সহমত লিখায়। কি আর বলবো হবু চন্দ্রের দেশে এর থেকে আর কি আশা করা যায়..দাদাদের খুশিই যেখানে মূখ্য অন্য কিছু আশা করবো কিভাবে ............+++++++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪৪

মানবী বলেছেন: দেশপ্রেম বর্জিত নির্লজ্জ লোভীদের পক্ষেই সম্ভব নিজ দেশের মানুষের মাথা নত করে দুষ্ট শোষকের পদলেহনে মরিয়া হয়ে যাওয়া।

পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সোহানী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.