নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভিন্ন সমস্যায় কিছু জরুরী ঘরোয়া চিকিৎসা......!!!

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রতি সীমাহীন অভিযোগ প্রায়ই চোখে পড়ে। অবশ্যই আর সব পেশার মতো চিকিৎসক পেশার মাঝেও অসৎ ও লোভীরা আছে তবে তারাই সংখ্যাগুরু নয়।

আমাদের ঘরের কোনে পড়ে থাকা বিভিন্ন উপাদানের মাঝে নানান রোগের উপশম আছে।


পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে এমন অনেক ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়মত ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা আমাদের দেশের নানি দাদীরা যা যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে এসেছেন। সেসব চিকিৎসার অনেকাংশ আজও কার্যকর!

অতি সাধারন আর সামান্য অসুস্থতায় কিছু সহব্লগারের তিক্ত অভিজ্ঞতা জেনে দীর্ঘ দিন ধরেই মনে হয়েছে ছোটখাটো রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা জানা থাকলে হয়তো তাঁদের এমন হেনস্থা হতে হতোনা। আর সেই ভাবনা থেকে এই পোস্টের অবতারনা....



জ্বর:

খুব সাধারন অসুস্থতা। সাধারন জ্বর বলতে ভাইরাল ইনফেকশন বা ঠান্ডা/শীতের কারনে যে জ্বর আসে তা বুঝায়। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ শুরুতে প্যারাসিটামল দিয়েই জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসা করে থাকেন।

প্যারাসিটামল যদি গ্রহন করতেই হয় তবে শরীরের তাপমাত্রা ১০২ এর বেশী হলে ভরপেটে খাবার খেয়ে প্রচুর পানির সাথে প্যারাসিটামল গ্রহন করা উচিৎ। জ্বর মানেই কাঁথা কম্বল জড়িয়ে শুয়ে থাকা এমন ধারনা আমাদের মাঝে বিরাজ করে। জ্বরের সময় বিশ্রাম জরুরী তবে তা কাঁথা কম্বল বা গরম কাপড় পেঁচিয়ে নয় বরং এমন সময় যথা সম্ভব হাল্কা পোশাক পড়ে ঘর স্বস্তিকর ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখা উচিৎ। এতে জ্বর কমে যেতে সাহায্য করে। জ্বর মানেই গোসল নয় এই ধারনা ভুল। হালকা গরম পানিতে ঘোসল করে চুল ভাবে শুকিয়ে নিলে জ্বরের প্রকোপ কমে যেতে সাহায্য করে। ভেজা চুলে বিছানায় যাওয়া যাবেনা, এতে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি।

এসময় হাইড্রেশন জরুরী তাই প্রচুর পানি বা লেবুর সরবত পান করতে হবে। সেই সাথে সামর্থ অনুযায়ি পেয়ারা, আপেলকমলা, বাতাবি লেবু, আমলকি জাতীয় ফল খাওয়া ভালো।

সতর্কতা:
মনে রাখা জরুরী, জ্বর নিজে একটি অসুখের চেয়ে একটি লক্ষণ বা সিম্পটম হিসেবে বেশি বিবেচিত হয় তাই ঘরোয়া চিকিৎসায় ৩-৫ দিনে জ্বরের প্রশমন না হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
(প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়ংকর হতে পারে তাই এসব ওষুধ যথা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো)



সর্দি কাশি:

শীত অথবা গরম, সর্দি কাশি আমাদের খুব পরিচিত একটি অস্বস্তির নাম। ধুলোবালির এলার্জির কারনে যাঁদের এধরনের লক্ষণ হয়ে থাকে তাঁদের ধুলোবালি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিৎ।

শীত বা ভাইরাল কারনে সর্দিকাশি হলে সবচেয়ে জরুরী পথ্যটির নাম মধু। পাশ্চাত্যের দেশেও এই অতি প্রাচীন ঘরোয়া চিকিৎসা সর্দি কাশির জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমাদের দেশে অনেকে মধুর সাথে লেবুর রস আবার কেউ সেই সাথে তুলসী গ্রহন করেন যা এধরনের অস্বস্তি প্রশমনে সাহায্য করে।
এলার্জির ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ বা কাঁচা হলুদের রস গ্রহন করে উপকার পাওয়া যায়।

অস্বস্তিকর সর্দি নিরাময়ে প্রায় ১০০% নিশ্চয়তা দেয় মধু আর রসুন। কাঁচা রসুনের কোয়া মুখে রেখে কিছুক্ষণ পর পর দাঁত দিয়ে সামন্য কেটে নির্যাস বের করতে হবে। রসুনের উৎকট গন্ধ সহ্য করে দিনে ৩-৪ বার রসুনের কোয়া এমনি ভাবে গ্রহন করলে সর্দির অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাবার সম্ভাবনা।

সর্দিকাশির সময় কালোজিরা আরোগ্যলাভে অনেক সাহায্য করে।

সতর্কতা: কাশির সাথে রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

নাক বন্ধ:

সর্দির মতোই বিরক্তিকর ঠিক এর বিপরীত অর্থাৎ নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিয়ে সেখানে অবস্থান করলে কিছুক্ষণের মাঝেই এর উপশম ঘটে তবে তা আবার ফিরে আসতে পারে। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করা জরুরী যেকোন কক্ষে অবস্থানের সময় কক্ষটি যেনো শুষ্ক না হয় এবং যথেষ্ট হিউমিড থাকে।


খুসখুসে কাশি:

খুব কমন আর অস্বস্তির এই কাশি। অনেকের নিজের ও পরিবারের রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এমন কাশিতে। ধুমপানের অভ্যাস থাকলে এমন কাশি হলে তা সাথে সাথে ত্যাগ করা জরুরী, এমনকি ধুমপায়ী ব্যক্তির পরিবারের কারো এই কাশি হলে ধুমপানে সতর্ক হওয়া জরুরী।

এক্ষেত্রেও মধু বেশ ভালো কাজ করে। একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিয়ে সেখানে কিছুক্ষন অবস্থান করলে এর প্রশমন হতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় ঘরের হিউমিডিফায়ার রাখা জরুরী(এটা শীতের দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। রুম হিটার/ভেন্ট এর পাশে একটি বাটিতে পানি রেখে হিউমিডিফায়ারের কাজ চালিয়ে নেয়া যায়।


গলা বসে যাওয়া:

আমাদের প্রায়ই কোন না কোন কারনে গলা বসে যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী চিকিৎসা মৌনতা। কথা বলা যথাসম্ভব বন্ধ রেখে ভোকাল কর্ডকে বিশ্রাম দিতে হবে। একটি মগে প্রায় ফুটন্ত পানি নিয়ে তা চারপাশ দিয়ে ঢেকে নিরাপদ(যেনো মুখের ত্বক বা নাসারন্ধ্রে প্রবেশ না করে) দুরত্ব রেখে ভাপটা মুখ হা করে টানতে হবে যেনো গলার কাছে উষ্ণতা অনুভূত হয়। এটা অনেকটা ভোকাল কর্ডকে গরম শেক দেবার মতো। এই প্রক্রিয়ার পরও পুরোপুরি সুস্থা না হওয়া পর্যন্ত বাক্যালাপ যথা সম্ভব কম করা উচিৎ।
এসময় ঠান্ডা পানীয়, বরফ বা আইসক্রীম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ডাইরিয়া:

আমাদের দেশের এক মরনব্যাধি। গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহে আর বর্ষার মৌসুমে আরো বেশি প্রকট হয়ে উঠে।
ডাইরিয়ার চিকিৎসায় এক জগ পানিতে এক চিমটি লবন, আর এক মুঠো গুড়ের মিশ্রনের ফর্মুলা শৈশব থেকে আমরা জেনে আসছি। এই মিশ্রন ডাইরিয়ার কারনে শরীরে সৃষ্ট পানি শুন্যতা আর ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরন করে। অনেক ক্ষেত্রে এর চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোটা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে ডাইরিয়া হয়, এ্যান্টোবায়োটিক খুব কাজে আসেনা।

রোগের শুরুতেই একটু সচেতন হলে ডাইরিয়ার প্রকোপ কমিয়ে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব।

ডাইরিয়া হয়েছে এমন জানার সাথে সাথেই দই খাওয়া ভালো। অনেকে আকাশ থেকে পড়বে এমনটা শুনে তবে দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক যা আমার অন্ত্র ও পাকস্থলীর ভালো ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ডাইরিয়ার জীবানুর সাথে লড়াইয়ে শক্তিশালি করে তুলে। সেই সাথে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু অথবা কমলা জাতীব খাবার খাওয়া ভালো, এমনকি আমলকি। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে পুরো ফল না দিয়ে লেবু বা কমলার রস দেয়া যায় তবে মনে রাখতে হবে বাজার থেকে কিনে আনা জুস নয়; টাটকা ফল কিনে ভালো করে ধুয়ে রস বের করে তা দিতে হবে। ডাইরিয়া হলে সাদা ভাত, ময়দার রুটি খাওয়া ভালো। আর এই সব কিছুর সাথে আমাদের অতি পরিচিত খাবার স্যালাইন আছেই।

ডায়রিয়ায় অনেক সময় বমির প্রকোপ দেখা যায়। এক্ষেত্রে বমির পর এক থেকে দু ঘন্টা কোন খাবার গ্রহন না করে তার পর পরিস্কার চামচে এক চামচ দই মুখে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর্যবেক্ষণ করতে হবে আবার বমি হয় কিনা। বমি নাহলে ১৫-২০ মিনিট পর আবার এক দুই চামচ দই খেয়ে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পরবর্তিতে সাদা ভাত অল্প গ্রহন করা যেতে পারে। বমি হলে একই ভাবে বিরতি দিয়ে পপসিকল বা আমাদের দেশের ললি আইসক্রিম(ভালো ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের) গ্রহন করলেও উপকার পাওয়া যায়।

সতর্কতা: মনে রাখতে হবে ডাইরিয়ার সাথে ১০১+ জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে, মল বা বমির সাথে রক্ত ক্ষরণ হলে অতি স্বত্ত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ছোটখাটো আঘাত পাওয়া:

পরিবারের ছোট বড় সকলেই কোন না কোন সময় আঘাত পেয়ে থাকে। ছোটরা খেলার সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মাথে ফুলে গেছে, এটা বেশ নৈমিত্তিক ঘটনা। মাথা, হাত, পা যেকোন স্থানে আঘাত পেয়ে ফুলে যাওয়া রোধ সম্ভব যদি আঘাতে সাথে সেখানে বরফ দেয়া যায়। বরফ সরাসরি না দিয়ে কাপড়ে পেঁচিয়ে আঘাতে স্থানে ১৫/২০ সেকেন্ড ধরে রেখে একটু আবার বরফ দিতে হবে যতোক্ষন ব্যাথা কমে না যায়।
"হট এন্ড কোল্ড জেল প্যাক" সহজলোভ্য হলে তা ফ্রীজে বরফ করে রাখলে এসব ক্ষেত্রে খুব কাজে আসে।

সতর্কতা:

মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেলে বা মাথায় যেকোন আঘাতের ২-৩ ঘন্টার মাঝে নিচের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে অতি স্বত্ত্বর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
১) দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা
২) নাক বা কান দিয়ে রক্তপাত (সামান্য রক্তপাত হলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ)
৩)কথা জড়িয়ে আসা
৪)বমি হওয়া
৫)হাঁটাচলা অস্বাভাবিক হওয়া


**এক্ষেত্রে যেসব হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করার সুবিধা আছে সেখানে যাওয়া ভালো।

ছোট খাটো পুড়ে যাওয়া:

রান্না ঘরে কাজ করতে গিয়ে তেলের ছিটা পড়ে হাত পুড়েনি এমন রাধুনি বিশ্বের প্রায় কোথাও নেই। সেক্ষেত্রে কাঁচা ভালো ভাবে ধুয়ে কিছু অংশ কেটে চাকু বা নখ দিয়ে খুঁচিয়ে আলুর নির্যাস বের করে পড়ে যা্‌ওয়া স্থানে লাগালে জ্বলন টা কমে যায় সেই সাথে ক্ষতর দাগ দীর্ঘস্থায়ী হয়না এমনটা দেখেছি।

সতর্কতা: পুড়ে যাওয়া ক্ষত দেড় ইন্চির বেশি হলে শুধুমাত্র ঘরোয়া চিকিৎসার উপর নির্ভর না করা ভালো


হেঁচকি:

কোন রোগ নয় তবে অতি বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। হেঁচকির সময় জীভের উপর কিছুটা চিনি রেখে দিলে দ্রুত হেঁচকি বন্ধ হয় এমন দেখেছি যদিও এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানা নেই। চিনি না চাইলে শ্বাস গ্রহন করে নিঃশ্বাস বন্ধ রেখে পেটটা ফুলিয়ে আবার নামিয়ে আবার ফুলাতে হবে - এমন কয়েকবার করলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ডায়াফ্রামের পেশীর এক্সারসাইজ হয় যা সাধারনত হেঁচকির কারন বলে মনে করা হয়।


পেসাবে জ্বালাপোড়া:

পেসাবে জ্বালাপোড়া সেই সাথে শরীর কাঁপিয়ে জ্বর ইউরানারী ট্রাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। এসময় প্রচুর পানি পান আর ভিটামিন সি জাতিয় ফল খাওয়া জরুরী। সাধারণ অবস্থায় দিনে পাঁচ লিটার পানি পানের নিয়ম, এমন হলে ৬-৭ লিটার পান করা জরুরী। লক্ষনের শুরুতে এই ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ হতে পারে তবে তা দুদিনের বেশী দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে এসময় জ্বরের প্রকোপ খুব বেশি না হতে পারে আবার অনেক সময় পিঠে ব্যাথা হতে পারে, এসব ক্ষেত্রেও প্রচুর পানি পান ও ভিটামিন সি জাতিয় ফল কাজে আসে। এমনকি চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক দিলেও পানি ও ভিটামিন সি গ্রহন দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে।

সতর্কতা: পেসাবের সাথে রক্তপাত, জ্বর ১০২ এর বেশি, পেটে বা পিঠ প্রচন্ড ব্যাথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরী।




*****এই পোস্টটির কোন সত্ত্ব নেই। যে যেখানে ইচ্ছে যেকোন নামে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হলো। মানুষের উপকার হলেই পোস্টটি স্বার্থক, কোন কৃতিত্বের দাবী নেই।*****




প্রয়োজনীয় কিছু প্রাসঙ্গিক পুরনো পোস্ট

**প্রয়োজনীয় টুকিটাকি টিপস্.....!

**আরো কিছু ঘরোয়া টিপসের পোস্ট।

ছবি সুত্র: ইন্টারনেট।


মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

কল্লোল পথিক বলেছেন:


বাহ!বেশ কাজের পোস্ট।
সোজা প্রিয়তে নিলাম।

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১১

মানবী বলেছেন: আপনাদের উপকার হলে পোস্টটি স্বার্থক হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ কল্লোল পথিক।
ভালো থাকুন।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন পোস্ট! সাধারন রোগ আর তার থেকেও সাধারন চিকিৎসা সত্যিই অতুলনীয়! তবে বর্তমান সময়ে এই ধরনের চিকিৎসাটা আর দেখা যায় কই! ছোট থাকতে মাঠে ফুটবল অথবা ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একটু ছিলে গেলে বা কেটে গেলে দূর্বাঘাস চিবিয়ে ক্ষত স্থানে লাইগে দিতাম! সাথে সাথে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যেত!

তারপরই আবার শুরু হয়ে যেত ছুটোছুটি! একটু আগে যে আমি অসুস্থ ছিলাম সেইটা মনেই হইতো না! অথচ এখন একটু সমস্যা হইলেই ডেটল, কুইনাইন, পেনিসিলিন, ডাইক্লোফেন আরো কত হাবিজাবি খেয়েও কাজ হয় না। এখনো আমাদের ভাইবোনদের একটু জ্বর বা স্বর্দি-কাশি হইলে আম্মা মধু অথবা আম পাতার উপরে একটু সরিষার তেল আর একচিমটি লবন গরম করে গলায় লাগিয়ে দেয়! কিছুক্ষনের মধ্যেই বেশ উপশম পাওয়া যায়!

অথচ ডিজিটালাইজেশনের চাপে পড়ে এখন ঘরোয়া চিকিৎসা প্রায় হারাতে বসেছি! পোস্টটা খুবই চমৎকার! শুভ কামনা জানবেন আপু!

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২০

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন, আমাদের দেশে ঘরোয়া চিকিৎসা প্রায় বন্ধ, কিছু হলেই ওষুধ। মজার ব্যাপার হলো খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ছোট খাটো অসুখে ঘরোয়া চিকিৎসা সাধারন মানুষই শুধু ব্যবহার করেনা অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকও ওষুধ না দিয়ে ঘরোয়া চিকিৎসার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধ যথা সম্ভব কম ব্যবহার করা উচিৎ, ওষুধ গ্রহন মানেই কিডনী ও লিভারের প্রতি অতিরিক্ত চাপ আর কোন কোন ওষুধ এসব ্র্গানের ভয়াবহ ক্ষতি করে থাকে।

আম পাতার চিকিৎসা সম্পর্কে জানা ছিলোনা। শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন ভাইয়া।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

সুমন কর বলেছেন: কাজের পোস্ট।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৪

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

অনেক শুভকামনা রইলো।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

অশ্রুকারিগর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আসলেন।

তবে প্যারাসিটামলের পার্শপতিক্রিয়া ভয়ংকর হতে পারে এই তথ্যের ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত ? প্যারাসিটামল নিয়ে নির্বাচিত পাতাতেই কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট এসেছি সেটা এবং বাস্তব্জীবনে ব্যবহার থেকে মনে হচ্ছে এটা ভুল তথ্য।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায় সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে তরমুজ বা ডাবের পানি খাওয়া। এর উপরে ঔষধ নাই।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩০

মানবী বলেছেন: জ্বী, তথ্যের ব্যাপারে আমি ১০০% নিশ্চিত।
আমাদের দেশ কজন শূধু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল সেবন করেন? খুব কম। এ্যাসিটামাইনোফেন এর অতিরিক্ত সেবনে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা সর্বজন স্বীকৃত। আর এধরনের অষুধের সাথে প্রচুর পানি না করলে কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

সবচেয়ে বড় কথা, ক্ষমতাবান ফার্মসিউটিক্যাল কোম্পানিদের কারনে বিভিন্ন সোর্সে প্রায় দায়সারা ভাবে "এর কারনে ভয়াবহ এলার্জিক রিএ্যাকশন প্রায় রেয়ার" জাতীয় কথা উ্ল্লেখ থাকলেও একসময় প্যারাসিটামল গ্রহন করেছেন নিয়মিত এমন মানুষেরা পেইন কিলার তথা এনসেইড এবং এ্যাসিটামাইনোফেনের কারনে ভয়াবহ এলার্জীর শিকার হয়েছেন এমন সংখ্যা বাস্তবে নিতান্ত কম নয়। আমি একাধিক মানুষকে জানি যাঁদের প্যারাসিটামলে এ্যান্জিওনিউরোটিক ইডিমা হয়ে যায়, এমনকি অতি সামান্য পার্সেন্টেজে গ্রহন করলেও।

পেসাবে জ্বালাপোড়ায় ক্র্যানবেরি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তরমুজ বা ডাবের তথ্য প্রথম জানলাম, শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ অশ্রু কারিগর।
অনেক ভালো থাকুন।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩১

অশ্রুকারিগর বলেছেন: এ যে দেখি ভয়াবহ অবস্থা !

আমরা তো প্রতিদিনই পেইনকিলার বা জ্বর নিরাময়ে প্যারাসিটামল খাই !

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মানবী বলেছেন: প্যারাসিটামল শুধু নয়, কোন ওষুধই বেশি খেতে নেই। মনে রাখতে হবে প্রতিটি ওষুধ কেমিক্যাল মাত্র, শরীরের প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ঔষধ গ্রহন করলেই রোগের উপশম এবং সেই সাথে ভয়াবহ সাইড এফেক্ট এড়িয়া যাওয়া সম্ভব।

প্যারাসিটামল খেলে ভরপেটে প্রচুর পানির সাথে খাওয়া উচিৎ।
অনেক ভালো থাকুন অশ্রুকারিগর।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । ছোটখাটো অনেক অসুখে আমরা ভুল ধারণা প্রয়োগ করি যা অসুখকে আরো ভয়াবহ করে তুলে । আপনার পোস্টটি সবার অনেক কাজে লাগবে । অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

১৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

মানবী বলেছেন: পোস্টটি আপনার কোন কাজে এসে স্বার্থক হবে।
অনেক সময় রক্ত, বমি, ডাইরিয়ায় প্রকোপে আমরা ঘাবড়ে গিয়ে শুধু শুধু পয়সা খরচের সাথে হেনস্থা হয়ে আসি, ব্লগে এমন অনেক ঘটনা জেনে মনে হয়েছে ঘরোয়া চিকিৎসা জানা থাকলে অনেককে হয়তো এসয় হয়রানির মাঝ দিয়ে যেতে হতোনা।

অনেল অনেক শুভকামনা আর আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় কথাকথিকেথিকথন।

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বাহ! অনেক উপকারী পোস্ট।

কাজে লাগবে। রেখে দিলাম বুকমার্ক করে।

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

মানবী বলেছেন: আপনার কাজে এলে পোস্টটি স্বার্থক হবে।

অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

আলোরিকা বলেছেন: সাধারণ সর্দি - জ্বরে আমি অবশ্য আপু এখনও টোটকার উপরেই ভরসা রাখি । আমার আবিষ্কৃত সর্দি - কাশির একটি অদম্য টোটকা - এক কাপ / মগ পানিতে অর্ধেকটা আদার রস , একখণ্ড দারুচিনি , একটি লবঙ্গ , একটি তেজপাতা মুখবন্ধ পাত্রে ফুটিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় একচামচ খাঁটি মধু এবং বেশ খানিকটা লেবু / কমলা /মালটার রস, সামান্য লবণ ( স্বাদ বাড়াতে ) সহযোগে কয়েকবার পান করলে দেখবেন সর্দি -কাশি সহজেই দূর দেহমন চনমনে ,মেজাজ ফুরফুরে । আমার চার বয়সী বাচ্চাও এখন ঠান্ডা লাগলে বলে মা টোটকা খাব :)

আপনার পোস্ট থেকে ডায়রিয়া আর হেঁচকির টোটকা জেনে উপকৃত হলাম । অনেক অনেক ভাল থাকুন । কৃতজ্ঞতা । পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি ।

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৯

মানবী বলেছেন: বাহ্! খুব ভালো তো। ছোট্ট বাবুটাও টোটকা শিখে গেছে :-)
আমার পরিবারের ছোট বড়দের অধিকাংশ ছোটখাটো অসুস্থতায় ওষুধ না খুঁজে ঘরোয়া চিকিৎসা বেশি পছন্দ করে।

আপনার আবিস্কৃত ফর্মুলার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ আপু। আশা করি অনেকেই উপকৃত হবে।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ব্লগার আলোরিকার দেওয়া সাধারণ সর্দি জ্বরের টোটকা তো বেশ কার্যকরী মনে হচ্ছে।

জেনে রাখলাম।

পরবর্তিতে সর্দি কাশি হলে এইটা ব্যবহার করে দেখব।

ধন্যবাদ আপনাকে এইটা শেয়ারের জন্য।

১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অশ্রুকারিগর, ভালো থাকুন সব সময়।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু প্রিয় তে রাখলাম!!!

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২১

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভালো থাকুন।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

নতুন বলেছেন: মুড়ি মুড়কির মতন প‌্যারাসিটামল, এন্টাসিড, এমনকি এন্টিবাওটিকও খাচ্ছে জনগন...

অনেকেই প‌্যারাসিটামল বা ব্যাথার অন্য ওষুধ খেয়ে কিডনির সমস্যায় পড়েছেন।

একটা জিনিস মনে রাখার দরকার অসুস্থ না হলে ঔষুধ খাওয়া উচিত না। শুধু মাত্র একান্ত প্রয়োজনেই কোন ঔষুধ সেবন করা উচিত....

তবে সুস্হজীবন জাপন সম্ভব।

++আপু প্রিয় তে রাখলাম

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

মানবী বলেছেন: আসলেই আমাদের দেশে মুড়ি মুরকির মতো প্যারাসিটামল, রেনিটিডিন এমনকি এন্টিবায়োটিক গ্রহন করে মানুষ। কোন এক অদ্ভুত কারনে সকলের ধারনা হয়েছে প্যারাসিটামল, রেনিটিডিনের কোন খারাপ ইফেক্ট নেই।

অনেকে জানেনা গর্ভবতী মহিলা, ব্র্রেস্টফিড করছে এমন নারীদের রেনিটিডিন গ্রহন নিষেধ, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এই ওষুধ গর্ভের শিশুর ক্ষতি সাধন করে। আর প্যারাসিটামলের কারনে আমাদের দেশে প্রায় এক দশক আগে এক ঝাঁক শিশু কিডনী ফেইলরের শিকার হয়েছিলো।

আন্তরিক ধন্যবাদ নতুন। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মনিরা আপুর ব্লগে মন্তব্যের ঘরে রাশনা ফুল বিষয়ে আমাকে প্রদত্ত ধন্যবাদ সাদরে গৃহীত । আপনার ধন্যবাদ দানের বারতা মনিরা আপু আমাকে যথাসময়ে জানিয়েছেন। ধন্যবাদের উত্তর দিতে এসে এখানে যা পেলাম এযে শুধু বিনোদন নয় এযে প্রাত্যহিক জীবনের অতি প্রয়োজনীয় একটি লিখা, সকলের জন্য তা মর্মে মর্মে উপলব্দি করছি ।
অনেক ধন্যবাদ লক্ষ প্রাণের উপকারার্থে এমন একটি লিখা উপহার দেয়ার জন্য । এসাথে একগুচ্ছ সুকুমার কবরী ফুলের শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২০

মানবী বলেছেন: বাহ্! এই ফুলের নাম যে কবরী ফুল জানা ছিলোনা!!!
ফুল সম্পর্কে আপনার জ্ঞান সত্যিই প্রশংসনীয়!

লক্ষপ্রান কখনও সম্ভব হবে কিনা জানা নেই তবে এই পোস্টটি একটি প্রানের উপকারের কারন হলে স্বার্থক হবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ কাজের পোস্ট, প্রয়োজনে কাজে লাগানো যাবে। ধন্যবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

মানবী বলেছেন: কাজে লাগানো সম্ভব হলে পোস্টটি স্বার্থক হবে!
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ঢাকাবাসী।

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রসংসা মাখা প্রতি উত্তরের জন্য আপনার প্রতিও রইল ধন্যবাদ ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মানবী বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১০

জসিম বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট.

২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

মানবী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জসিম।
কারো উপকারে এলে পোস্টটি স্বার্থক হবে।

অনেক ভালো থাকুন।

১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১১

অনিক বলেছেন: অনেকদিন পর তোমার ব্লগ বাড়ি ঘুরে গেলাম। আসবো মাঝে মাঝে। ভাল আছো আশা করি।

শুভ কামনা রইলো।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২০

মানবী বলেছেন: :-)

১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রতি উত্তের জন্য ধন্যবাদ

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৪

মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খায়রান...

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

মানবী বলেছেন: ওয়া ইয়্যাক।

আন্তরিক ধন্যবাদ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: এতো প্রয়োজনীয় ও অসাধারন পোস্টটি এতো পরে পড়ার জন্য নিজের উপর রাগ হচ্ছে। লিখাটা আমার ছেলের বাবাকে বারবার পড়াচ্ছি কারন সে একটু কিছু হলেই ঔষধ নিয়ে ছোটাছুটি করে...............

++++++++++++++++++++++++

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০১

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো সোহানী। ঔষধের যে কি পরিমান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তা বিস্তারিত জানলে অনেকেই সাধারণ সর্দি জ্বরে টাইলেনল আর প্যারাসিটামল খাওয়া বন্ধ করবে। ঘরোয়া চিকিৎসায় উপশম নাহলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন প্রয়োজন।

পোস্টটি আপনার উপকারে এলে স্বার্থক হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এ উপকারী পোস্টটার জন্য। ১২ তম "লাইক" এবং ১২তম "প্রিয়"তে।
একেবারে শেষের কথাগুলো (স্বত্বহীনতা সম্পর্কে) আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জন্যপূর্ণ। এজন্য সাধুবাদ।
আলোরিকা এর টোটকাটাও বেশ চমকপ্রদ। সেভ করে রাখলাম।
অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভাল লাগছে। আর আপনার লেখা মানেই তো জনসচেতনতামূলক, জনহিতকর, জনদরদী পোস্ট।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০০

মানবী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রশংসাবাক্য আমার প্রাপ্য নয়, জনহিতিকর নয় এমন প্রচুর এলেবেলে লেখা আছে আমার :-)
তারপরও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা নিজগুনে আমার সাধারণ লেখার সুন্দর মূল্যায়নের জন্য।

আপনার বুয়ার কাশির প্রকোপ কমেছে আশা করি। শেষ পর্যন্ত ওষুধ খেতে রাজি হয়েছিলেন কিনা বুঝতে পারছিনা! আপনারা সবাই সুস্থ সুন্দর থাকুন। আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুকে জমাট বাঁধা কফ এবং শ্লেষ্মা বের করে ফেলার কোন টোটকার কথা কি জানা আছে? আমার ৪৫/৫০ বছর বয়স্ক বুয়া এটা জানতে চেয়েছে। সে কোন ঔষধ খেতে রাজী নয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫১

মানবী বলেছেন: যেকোন কনজেশনে স্টীম ইনহেলেশন বেশ কার্যকর, চুলায় ফুটন্ত পানি রেখে তার কাছাকাছি অবস্থান করলেও কিছুটা কাজ হয় তবে সবচেয়ে ভালো কোন বড় মগে ফুটন্ত পানি নিয়ে মুখটা কাছে নিয়ে স্টীমটা ইনহেল করা।

সেই সাথে প্রচুর পানি পান আর ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া জরুরী। সকাল বিকেল দু চামচ মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়। আরেকটি অস্বস্তিকর তবে অত্যন্ত কার্যকর হলো কাঁচা রসুন, এর এন্টিবায়োটিক প্রপার্টি আছে বলেও ইদানীং শোনা যায়।
গরম দুধে কাঁচা হলুদ কুচি বা বাটা মিশিয়ে খেলেও তা এন্টি হিস্টামিন(অনেকে বলেন এন্টিবায়োটিকেরও) কাজ করে।

তবে এসবে সাথে জ্বর আছে কিনা জানা জরুরী। ঘরোয়া চিকিৎসায় ৪/৫ দিনে কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী। ফুসফুসের ইনফেকশন মৃত্যুর কারন হতে পারে খুব সহজেই। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর নিউমোনিয়া আর সাধারন ফ্লুতে মানুষের মৃত্যু ঘটে। আমার পরিচিত একাধিক এর শিকার হয়েছেন।

আপনার রুগীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

মানবী বলেছেন: ঠান্ডা লাগানো যাবেনা, কংক্রিটের ফ্লোরে চলাফেরার সময় পায়ে মোজা বা স্লিপার পড়তে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা পানি পান আর ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে।

২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০১

সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক দরকারি লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

মানবী বলেছেন: পোস্টটি আপনার দরকারে কাজে এলে স্বার্থক হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো সোহাগ সকাল।

২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ত্বরিত জবাবের জন্য, দুঃখিত এ বিলম্বিত উত্তরের জন্য।
বুয়াকে জোর করেও স্টীম ইনহেলেশন করাতে পারিনি। তবে মধু, তুলসী পাতা ও আদার রস, আমলকি, ইত্যাদি খাইয়ে উপশম পেয়েছি।
থ্যাঙ্কস ফর ইয়োর কনসার্ন। ভালো থাকুন সপরিবারে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

মানবী বলেছেন: বুয়ার উপশম হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

আন্তরিক ধন্যবাদ শুভকামনা আর মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভালো থাকুন।

২৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

আমি ইহতিব বলেছেন: উপকারি পোস্টটি প্রিয় পোস্টে যুক্ত হল।
ছোট কন্যা ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগে কিছুদিন পর পরই। গত ৪/৫ দিন ধরে আবার ভুগছে। মধু ট্রিটমেন্ট শুরু করেছি গতকাল থেকে।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৪

মানবী বলেছেন: বাবুটা ঠান্ডায় কষ্ট পায় জেনে খারাপ লাগছে।
কাঁচাহলুদ ম্যাজিকের মতো কাজ করে আলহামদুলিল্লাহ্ :-)
আদা কুচি করার মতো কাঁচা হলুদ_এক ইন্চির এক তৃতীয়াংশ হলেও হবে) কুচি একটি কাপে নিয়ে তাতে গরম দুধ ঢেলে ৫-/৭ মিনিট রেখে দিন, এতে দুধটাও ঠান্ডা হয়ে আসবে আর হলুদের রংটা ছাড়বে। তারপর পুরোটা খে।এ দেখবেন ইনশাহআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে। সুস্থ হবার পর অবশ্যই প্রতিদিন মধু আর যেকোন রকমের ভিটামিন সি জাতীয় ফল/সব্জি খাচ্ছে এটা লক্ষ্য রাখতে হবে। আর খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি না করা, ভিজাচুলে কোথাও না শোয়া, এসবও জরুরী!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: হুম...সেই চিরায়ত সদগুন আপনার। উপকার..জনকল্যানের চিন্তা...প্রিয়তে নিলাম।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫১

মানবী বলেছেন: নিতান্তই নিজের ঔদার্য্য দিয়ে বলেছেন ভাইয়া, এসব কোন গুনই আমার নেই!

পোস্টটা রাজকন্যাদের উপকারে এলে খুব ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ এরশাদ বাদশা। ভালো থাকুন সব সময়।

২৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ডাক্তার সাব, ধন্যবাদ। বিনা ফি -তে প্রেসক্রিপন দিলেন যে! কাজ করবে তো!!


মজা করলাম। সুন্দর পোস্টে অনেক অভিনন্দন।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

মানবী বলেছেন: .

:-)

প্রেসক্রিপশন দেইনিতো ঘরোয়া চিকিৎসা বলেছি, যেনো আপনাদের কিছু ফি দিতে না হয়।

অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো নতুন নকিব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.