নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি আমার একটু চাওয়ার অনেকখানি পাওয়া...!!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

নিখাদ ভালোবাসার শক্তি অনুভবের তীব্রতার চেয়েও বহুগুন বেশি!
এই জাদুকরী শক্তি বড় বড় পাহাড় গুড়িয়ে দিতে পারে সেখানে সাধারন মানুষ পরাজিত হতে বাধ্য!



হঠাৎ দেখা কোন দৃশ্য, হঠাৎ কোন মুহুর্ত মাঝে মাঝে স্মৃতির অতলে টেনে জন্ম দেয় গভীর বোধের!

দীর্ঘজীবনে হয়তো খুব আটপৌঢ় ভাবে যে বাস্তবতা জেনেছি বা মেনেছি জীবনের কয়েক দশক পাড়ি দিয়ে অণুধাবন করি সে জানার মাঝে কি ভীষণ এ ফোকর ছিলো, মেনে নেয়াটা ছিলো আরো বড় ভুল!

বাংলাদেশের বাইরে প্রথম বেড়াতে গিয়ে বেশ কিছু জিনিসের মাঝে একটি বিশেষ ব্যপার লক্ষ্য করি।
প্রথম দিকে বিষয়টি তেমন ভাবে নাড়া না দিলেও যখন প্রবাসে পাড়ি জমাই তারপর তা আরো প্রকট হয়ে উঠে, নিজের দেশের রহস্যটা আজও ভেদ সম্ভব হয়নি।

প্রবাসে বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে পার্কিং একটি মহা ব্যাপার। দেশগুলো সুন্দর ছিমছাম পরিপাটি রাখার পিছনে তাদের পথঘাট দোকান পাট, হাসপাতাল, অফিস আদালতের সুশৃংখল আর সুনির্দেশিত পার্কিং ব্যবস্থার এক বিরাট ভূমিকা আছে। ছোট বড় প্রায় সব পার্কিং লটে মূল ফটক/লিফটের সবচেয়ে কাছে সবচেয়ে কনভেনিয়েন্ট পার্কিং স্পেসগুলো হ্যান্ডিক্যাপ/বিকলাঙ্গদের জন্য বরাদ্দ। এমনকি ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টেও হুইল চেয়ার ফ্রেন্ডলী টেবিলগুলো সাইন দেয়া থাকে, যদি দোকানে কোন হুইল চেয়ারে বসা কাস্টমার আসে আর সুস্থ কেউ টেবিলটি দখল করে বসে থাকে তাকে সাথে সাথে স্থান ছেড়ে দিতে হবে।

এই হ্যান্ডীক্যাপ বা বিকলাঙ্গ শুধু জন্মগত ত্রুটির সমস্যাগ্রস্থদের জন্য নয়, বয়সের ভারে ন্যূয বৃদ্ধ, বৃদ্ধা থেকে শুরু করে শারিরিক অক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের জন্য।

প্রশ্ন হলো শারিরিকভাবে অক্ষম এই মানুষেরা, বার্ধক্যে জর্জরিত এই বৃদ্ধবৃদ্ধারা গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াবে, এটা কেমন ব্যাপার...... অন্তঃত আমাদের উপমহাদেশের মন মানসিকার প্রেক্ষিতে বিষয়টি খুব স্বাভাবিক নয়।

শুধু পার্কিং বা রেস্টুরেন্টের বিশেষ স্থান নয়, এই দেশে চলতে ফিরতে পথে ঘাটে, দোকানে, অফিস আদালতে চোখে পড়বে হ্যান্ডিক্যাপ মানুষদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি তাঁদের সর্বত্র সহজ সাধারন বিচরন। সুস্পষ্টভাবে জন্মগত ত্রুটি/বিকলাঙ্গতা নিয়ে জন্মানো, আবার কারো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনায় অঙ্গহানী হয়েছে, তাঁরা আর দশজনের মতো কাজ করে যাচ্ছে। দল বেঁধে মলে যাচ্ছে শপিং করছে, আড্ডা দিচ্ছে, দোকান পাট অফিস আদালতে কাজ করছে।

এসব দেখে ভীষণ কৌতুহল হতো আমাদের দেশে এমন মানুষ শুধু পথে ঘাটে ভিখেরী রূপে দেখা যায়, কোন সামাজিক অণুষ্ঠান বা মলে চোখে পড়েনা। এমনকি শিশুদের খেলার পার্কে কজন বিকলাঙ্গ শিশু দেখা যায়না।
এমনতো নয় যে এধরনের সন্তান শুধু হত দরিদ্রের ঘরে জন্মে!
তাহলে এরা কোথায় যায়?

নিশ্চিত নই তবে ধারনা করতে পারি এই শিশুদের কোন বিশেষ কারনে পরিবার আড়াল করে রাখে। হতে পারে আমাদের সমাজের স্থূল মানসিকতার জন্য, হতে পারে শিশুকে বাইরে সামাল দেয়া সহজ নয় এমনটা ভেবে।
একজন মা যে ভালোবাসা আর নির্যাস দিয়ে একজন সুস্থ সুন্দর শিশুর জন্ম ও লালনপালন করেন তার চেয়ে এই শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কোন অংশে কম নয়, হয়তো বেশিই। তাহলে?

আমরা নিজেদের শিক্ষিত, আধুনিক মনে করি অথচ আমাদের মন মাসনিকতা যে কি পরিমানে প্রাচীন আর অভব্য তা শুধু এই একটি বিষয় ভেবে দেখলে স্পষ্ট হয়।

পাশের বাড়িতে এমন কোন শিশুর আগমন ঘটলে ফিসফিসে গুন্জন শুরু হয়ে যায়। নিজের আপাতঃ দৃষ্টিতে সুস্থ সুন্দর সন্তানটিকে সেই শিশুর কাছ থেকে আগলে রাখার চেষ্টায় মেতে উঠে অনেকে। আর পাড়ার বন্ধুরা একজন ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত, একজন বিকলাঙ্গ সমবয়সীর সাথে আগ্রহ নিয়ে খেলবে এমনটা আশা করাই যেনো ধৃষ্টতা!!!
এই মানুষদের, এই শিশুদের অক্ষমতা সেখানে শুধু কটাক্ষ আর পরিহাসের বিষয়!


নিজের সন্তানের মন একটু খারাপ হলে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি, কখনও ভেবে দেখেছি এই শিশুরা কি পরিমান বিষন্নতায় ভুগে! কবিতা আর সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় বিলাসী একাকিত্বে ভোগা এই আমরা কখনও একবার অনুভব করেছি কি ভীষণ একাকিত্ব গ্রাস করে রাখে আশৈশব এ ঘরে করে রাখা এঁদের!

আমেরিকায় এঁদের বলে স্পেশাল চিলড্রেন। স্পেশাল অবশ্যই- মহান সৃষ্টিকর্তা অধিকাংশ মানুষদের এক ছাঁচে গড়ে এই বিশেষ কিছু মানুষদের স্পেশালি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি কর্তা যেখানে এঁদের অসাধারন করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সেখানে এই সাধারন আমরা এঁদের হেলাফেলা করার কে?

এই শিশুদের আর দশজনের মতো সামাজিক সুবিধা আর পরিবেশ দিলে তাঁরাও হাসি মুখে এগিয়ে আসতে পারে, পরিবারের সবচেয়ে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।



যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পর এক ফিজিশিয়ানের ক্লিনিকের(আমাদের দেশে ডাক্তারের চেম্বার হিসেবে যা পরিচিত) লবিতে এক দৃশ্য দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। আর সব রুগীদের সাথে বসে আছে একঝাঁক স্পেশাল মানুষ। কেউ সোজা হয়ে বসতে পারছেনা, ২৫/২৬ বছরের যুবকের মুখ দিয়ে অনর্গল লালা পড়ে যাচ্ছে, কেউ বা একটানা গোঙ্গানীর মতো শব্দ করে যাচ্ছে। কারো মুখ শরীরের তুলনায় বেঢপ বড় আর কারো বিশাল দেহে ছোট্ট একটা মাথা.... অবাক হয়েছিলাম এই সব মানুষদের সাথে আর দশজন সাধারন রুগী খুব স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে! কেউ আঁৎকে উঠছেনা, কেউ সরে যাচ্ছেনা। অভিভূত হয়েছিলাম ওঁদের সাথে আসা দুজন ভদ্রমহিলাকে দেখে, কি পরম মমতায় সেই মুখ থেকে গড়িয়ে পড়া লালা বার বার মুছে দিচ্ছে, কারো অকারন অযৌক্তিক প্রশ্নের জবাব দিয়ে যাচ্ছে হাসি মুখে। এতোটুকু বিরক্তি নেই..... সেদিন নিজেকে, নিজদের কেমন ছোট মনে হয়েছিলো!

আমি জানিনা এই পোস্টের পাঠকদের পরিবার বা আত্মীয় মহলে কোন বিকলাঙ্গ বা হ্যান্ডিক্যাপ সদস্য আছে কিনা, যদি থাকে তাঁদের দিকে ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। আর দশজনের মতো তাঁদের সামিল করুন আপানর পারিবারিক, সামাজিক অণুষ্ঠানে।
পথে ঘাটে কোন বিকলাঙ্গ শিশু বা মানুষ দেখে আঁতকে না উঠে বরং আর দশজনের মতো তাঁদের সাথে স্বাভাবিক আচরন করা জরুরী, তাঁদের কোন প্রয়োজনে এগিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়।

প্রতিবেশীর বিকলাঙ্গ শিশুর সাথে আপনার হৃষ্টপুষ্ট সন্তানকে খেলতে দেয়া উচিৎ, এতে শুধু সেই শিশু নয় বরং নিজের সন্তান অনেক বেশি উপকৃত হবে। সে শৈশবেই মানবিকবোধের এক অমূল্য সম্পদের মালিক হবে। শুধু তাই নয়, একজন শিশু শৈশব থেকে নিজের অবস্থায় সন্তোষ্ট আর অপরকে শ্রদ্ধা করার ক্ষমতা নিয়ে বড় হবে।

সৃষ্টি কর্তার এই স্পেশাল সৃষ্টি ঘরের অন্ধকারে আড়াল করে না রেখে সূর্যের আলোয় আলোকিত হতে দিন। তাঁদের সন্মান আর ভালোবাসায় সিক্ত করে আপনার আমার সমাজকে সমৃদ্ধ করুন।


এই ভিডিওটি দেখে কারো পক্ষে চোখ শুষ্ক রাখা সম্ভব কিনা জানা নেই। এই পৃথিবীর মানুষের নিষ্ঠুরতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যে পরম ভালোবাসা আর মমতায় ছবির এই সৃষ্টি একজন ডাউন বেবীর সাথে গায়ে পড়ে, অণুনয় বিনয় আর চেষ্টা করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে তা মন ছুঁয়ে যায়। শিশুটি একসময় এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হতে বাধ্য হয়।




এই প্রানীটিও জানে একটু ভালোবাসা, একটু নিখাদ বন্ধুত্ব কি ভীষণ শক্তি নিয়ে ভালোবাসা আর আস্থায় জড়াতে -সক্ষম এমন শিশুদের!


কেউ কেউ মনে করেন নিজ পরিবারের বিকলাঙ্গ বা জন্মত্রুটি সম্পন্ন সদস্য সম্পর্কে জানলে আপাতঃ সুস্থ সন্তানদের ভবিষ্যতে বিয়ে দিতে সমস্যা হতে পারে! মনে রাখতে হবে জন্মগত ত্রুটি বা অসুস্থতা যে সমাজে ট্যাবু সে সমাজ কখনও সুস্থ বা সভ্য মানুষের সমাজ হতে পারেনা। তাই প্রত্যেকের নিজ পরিবারের সকল সদস্যের হাত ধরে "এই আমার ভাই/বোন, আত্মীয়, এটাই আমার বাস্তবতা" বলতে পারআর সৎসাহস আর শিক্ষা থাকা জরুরী।

স্পেশাল চাইল্ডরা আমাদের কাছে কিছু আশা করেননা। আমাদের কাছে তাঁদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই তবে আমাদের একটু ভালো ব্যবহার আর মনুষত্ব তাঁদের মুখে ফোটাতে পারে এক অমূল্য হাসি, তাঁদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সক্ষম হয়। একটু সহযোগিতা আর সন্মান পেলে তাঁরা অনেকেই দেখিয়ে দিতে পারে তাঁরা আর কারো চেয়ে কোন অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় নন।

আমেরিকার নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে "টিম'স প্লেস" নামের রেস্টুরেন্টের মেনুতে একটি স্পেশাল আইটেম আছে যে কারনে আর দশটি রেস্টিরেন্টের চেয়ে এটা বিশেষ ভাবে পরিচিত।

আইটেমটির ব্যাখ্যায় বলা আছে, "এই আইটেমে কোন ক্যালোরি, কোন অপরাধবোধ নেই অথচ তোমার জীবনকে আরেকটু আনন্দময় করে তুলবে"...... এই বিশেষ আইটেমটির নাম "হাগ" বা "আলিঙ্গন" যা কোন প্রেম বা রিপুর আলিঙ্গন নয় বরং বন্ধুত্ব আর সহমর্মিতার প্রতিক। গত ছয় বছর ধরে সুপ্রতিষ্ঠিত এই রেস্টুরেন্টের ২৬ বছর বয়সী মালিক গত দু বছর ধরে নিঃশর্ত ভাবে তার সকল কাস্টমারদের(যাদের আপত্তি নেই) দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সেখানে টিমকে শুধু জড়িয়ে ধরতে নিয়মিত ভাবে অনেকে এসে থাকে।

২৬ বছরের টিম হ্যারিস জন্মগত ত্রুটি ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত। হাজার প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে তাঁর মা বাবা তাঁকে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে শিখিয়েছেন বলেই শুধু রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় সাফল্য নয়, টিম গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে, প্যারা অলিম্পিকে অংশগ্রহন করেছে এমনকি টিম একজন দক্ষ নাবিক। আর হাই স্কুলে টিম হ্যারিস অর্জন করেছিলো "স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার" এর খেতাব।

আমাদের দেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রাখা হাজারও টিমদের্ আমরা উদ্বুদ্ধ করতে পারি আলোকিত জীবন যাপনের। তাঁরাও পারেন নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের জন্য নিজেকে বিশেষ সম্পদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে।

এই বিশেষ মানুষদের দেখে আঁৎকে উঠা বা তাঁদের অবজ্ঞা করার সময় মনে রাখা জরুরী, এঁদের কম বেশি কিছু শারিরিক ত্রুটি হয়তো আমাদের চোখে পড়ছে তবে দুর্ভাগ্যবশত এর চেয়ে অনেকগুন বেশি বিকলাঙ্গতা আর ত্রুটিগ্রস্থ আমাদের মানসিকতা আর মনন।

আমাদের একটু মানবিক ব্যবহার, একটু ভালোবাসা এঁদের সাহায্য করে হাসি মুখে হাজার মাইল পাড়ি দিতে!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

তাঁদেরকে অবজ্ঞা নয়, ভালোবাসায় কাছে টেনে নিতে হবে। তবে বাঙালির, সে ধরনের মানসিকতা তৈরি হতে আরো সময় লাগবে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪২

মানবী বলেছেন: আমাদের একটু চেষ্টা আর সচেনতনতা হয়তো সময়টা অনেক ছোট করে আনতে সক্ষম!

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুন সব সময়।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগেরবার কি পোষ্ট সরিয়ে ফেলেছিলেন???

অনেক আবেগ নিয়ে লেখা মন্তব্য প্রকাশ দিতেই বেল লেখক নিজেই েপাষ্টটি সরিয়ে ফেলেছেন। লেখেকর সংেগ েযাগােযাগ করুন!!
মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলাম :(

যাকগে।

দারুন বিষয়। অসাধারন লেখনি...

আর শেষ কথা এটাই..
"এই বিশেষ মানুষদের দেখে আঁৎকে উঠা বা তাঁদের অবজ্ঞা করার সময় মনে রাখা জরুরী, এঁদের কম বেশি কিছু শারিরিক ত্রুটি হয়তো আমাদের চোখে পড়ছে তবে দুর্ভাগ্যবশত এর চেয়ে অনেকগুন বেশি বিকলাঙ্গতা আর ত্রুটিগ্রস্থ আমাদের মানসিকতা আর মনন।

আমাদের একটু মানবিক ব্যবহার, একটু ভালোবাসা এঁদের সাহায্য করে হাসি মুখে হাজার মাইল পাড়ি দিতে! "

++++++++++++

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০১

মানবী বলেছেন: পোস্ট করার সময় নোটিস দিয়েছিলো আমি পোস্টটি প্রথম পাতায় যাবে তা সিলেক্ট করা হয়নি তাই পোস্ট করার বেশ কিছু সময় পরও যখন পোস্টটি প্রথম পাতায় পেলাম না ভেবেছিলাম আমারই ভুল!
সেটা আর কেউ পড়তে সক্ষম হয়েছেন তা বুঝতে পারিনি...।! আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!

আপনি সেসময় যে মূল্যবান মন্তব্যটি করেছিলেন তা খুব পড়তে ইচ্ছে করছে। একটু চেষ্টা করলে মনে করতে পারবেন কিনা বুঝতে পারছিনা!!
আরেকটি মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাবার জন্য কৃতজ্ঞা বিদ্রোহী ভৃগু।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ এবং পছন্দ একটি অনন্যসাধারণ বিষয়ে লেখার জন্য।

যাদের আমরা লুলা, আতুর, মঙ্গল বা অটিস্টিক বলে এড়িয়ে যাই আপনি তাদেরি কথা বলেছেন - প্রধানত দুটি বিষয়ে। এই মানুষগুলোর প্রতি আমাদের দেশে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাহায্যর হাত কেউ বাড়ায়না। আপনি রাস্তাঘাট এ এই ধরনের মানুষ যাদের দেখেন তারা নিম্নবিত্ত, তাহলে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারে কি এমন মানুষ নেই? আছে কিন্তু তাদের আমরা দেখতে পাইনা তার কারণও ওই প্রাতিষ্ঠানিক আর ব্যক্তিগত । আমি আমার পরিচিত মধ্যবিত্ত সমাজের কথাই বলি। মধ্যবিত্ত পরিবারে যখন এমন একটা বাচ্চার জন্ম হয় তখন কাছাকাছির মানুষের প্রথম প্রতিক্রিয়া হয় মায়ের পাপের ফলে এমন বাচ্চা জন্মেছে। এই বাচ্চা পালনের সমস্ত দায়িত্ব মায়ের উপর পড়ে । (পারমিতার একদিন সিনেমাটা না দেখে থাকলে দেখতে পারেন।) এই বাচ্চার লালনপালন নিয়ে মা (কখনো পুরা পরিবার) অনেক শারীরিক আর মানসিক কষ্ট পোহান। ধরুন মা বাথরুম এ গেছেন, বাচ্চা বারান্দায় গিয়ে বাবার আফটার শেভ লোশন নিচে ফেল্ল- তা পড়ল গিয়ে কারো মাথায় বা পার্ক করা গাড়ীর উপর। তার পরে কি? বিরাট ঝামেলা। এই ধরনের বাচ্চাওয়ালা পরিবারকে বাড়ীওয়ালাও ভাড়া দিতে চান না ঝামেলার ভয়ে, পাড়া প্রতিবেশী রা মিশতে চায় না। এটা হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে কারন কেন এদের দেখা যায় না। আর প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় - বলুন তো একটি বিকলাঙ্গ শিশু যদি একদিন পারকে বা শপিং মলে যেতে চায় কিভাবে যাবে? হুইল চেয়ার চলার মত ফুটপাত, পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট, প্রতিবন্ধীদের চলার উপযোগী পার্ক, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল আমাদের দেশে আছে?

অভিজ্ঞতা অনেক শেয়ার করার ছিল। লগ ইন করটা শিখে উঠতে পারলাম না তাই এটুকুই। আবারো ধন্যবাদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

মানবী বলেছেন: "মধ্যবিত্ত পরিবারে যখন এমন একটা বাচ্চার জন্ম হয় তখন কাছাকাছির মানুষের প্রথম প্রতিক্রিয়া হয় মায়ের পাপের ফলে এমন বাচ্চা জন্মেছে।"

- আমরা ইংরেজী মিশ্রিত বাংলায় কথা বলে অশ্লীলতার চর্চা করে নিজেদের আধুনিক আর ওয়েস্টার্নাইজড ভেবে তৃপ্তিলাভ করি। এই নির্বোধ কুয়োর ব্যাঙ আমরা জানিনা শুধু উপরে উ্ল্লেখিত মানসিকতার কারনে আমরা মধ্যযুগের চেয়েও পিছনের কি ভিষণ এক বর্বর সুগে অবস্থান করছি!
এমন ভাবনা আর মানসিকতার প্রতি ঘৃনা প্রকাশের ভাষা জানা নেই।

এই হীনমানসিকতার পরিবর্তন আর পথেঘাটে অফিস পাকশ সব হ্যান্ডিক্যাপ র্ফ্রেন্ডলী করার লক্ষ্যে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট সকল কতৃপক্ষের টনক নড়ানো জরুরী। আমার মতো অটি ক্ষুদ্র মানুষেরা শুধু সাধ্যানুযায়ী লেখালেখি করে যেতে পারে।
একটু সময় করে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার বিনীত অনুরোধ রইলো কারন এই মানুষদের আমরা এমনটাই পরিত্যাক্ত আর কোনঠাসা করে রেখেছি এঁদের অধিকাংশে কন্ঠস্বর চারদেয়ালের বাইরে পৌঁছনোর সুযোগ নেই!


চমৎকার বিশ্লেষনী মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা করুণাধারা!
ভালো থাকুন সব সময়।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: শিরোনাম দেখে প্রেম ভালোবাসার কোন কথাবার্তা পড়বো বলে পোস্টে ঢুকছিলাম! :P কিন্তু ভিতরটা পড়ে তো বিষাদে মনটা ভরে গেল! যদিও আমরা মানবিক দিক দিয়ে এখনো অনেকটা পিছিয়ে আছি, তবে কেবল মাত্র জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের পোস্টের কোন বিকল্প নেই! :(

আসলে বিকলাঙ্গ মানুষ গুলোর জন্য মাঝে মাঝে সাত্যিই খুব করুণা হয়! তাদের চলা ফেরা, ওঠা-বসা গুলো যে কতটা কষ্টের, সেটা কেবল ভুক্ত ভূগীরা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু আমার একদমই মনে হয় না, তারা এই সমাজের বোঝা সরুপ!

কারণ তাই যদি হতো, তাহলে এই পৃথিবীতে স্টিফেন হকিংয়ের মত মানুষ গুলোর কোন জায়গা হতো না। আমি লর্ড বায়রনের জীবনীতে পড়েছি, তিনি ছিলেন জন্ম খোঁড়া এবং তার সব থেকে বড় বদ অভ্যাস ছিল যে, তিনি সব সময় তার হাতের নখ কেটে কেটে খেতেন! অথচ এই বিকলাঙ্গ মানুষটার জন্যই তৎকালিন সময়ের হাজার হাজার নারীরা নাকি তার কাছে প্রেম পত্র আর সাথে তাদের রেশমী চুলের গোছা উপহার পাঠাতো!

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১১

মানবী বলেছেন: "আসলে বিকলাঙ্গ মানুষ গুলোর জন্য মাঝে মাঝে সাত্যিই খুব করুণা হয়!"

- করুণা নয় ভাইয়া, একটুও করুণা নয়। এঁদের শুধু আর দশজন মানুষের মতো সন্মান করলেই তা যথেষ্ট আর যদি আরেকটু সামনে এগিয়ে সহমর্মিতা আর বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়া সম্ভব হলে ভালো।

সরকার একটু সচেতন হয়ে এঁদের সুযোগ সুবিধা করে দেবার পদক্ষেপ গ্রহন যেমন জরুরী, তেমনি একথাও সত্য যতোদিন না সমাজ তথা আমরা সকলে নিজেরা সচেতন হয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করছি কোন পদক্ষেপই সফল হবেনা।

আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক শুভকামনা রইলো।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫১

আলগা কপাল বলেছেন: মডুদের ঘুম ভাঙাতে পারায় আমি গর্বিত।

নাহলে এই পোস্টটা হয়তো এখানে থাকতো না।

অনেক সুন্দর একটা বিষয়। আসলে আমাদের মন মানষিকতাই অন্যরকম। বিকলাঙ্গ কাউকে দেখলেই যে যেভাবে পারি এড়িয়ে যাই। সাহায্য করার তো প্রশ্নই উঠে না। আমাদের এই নিচু মানষিকতার কারণে শারীরিক বিকলাঙ্গরা মানষিকভাবেও নিজেদের ছোট মনে করে। তাদের মানষিক শক্তি বলতে কিছু থাকে না। আসলে আমরা জাতিটাই এমন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

মানবী বলেছেন: সহমত। আমদের নীচতা আর সংকীর্ণ মানসিকতার কারনেই সমাজের প্রতিবন্ধী আর বিকলাঙ্গদের এমন দুর্ভোঘ! তাঁদের প্রায় চারদেয়ালের মাঝে বন্দী করে রাখা হয়।

এঁদের অবস্থার উন্নয়নে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন তবে তারচেয়েও জরুরী আমাদের মানসিকতার উন্নয়ন।

আন্তরিক ধন্যবাদ আলগা কপাল, অনেক অনেক ভালো থাকুন।

(মন্তব্যের শুরুটা স্পষ্ট হলোনা!!!)

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,



প্রচন্ড মানবিকতায় ভরা একটি লেখা । লেখা বলা ঠিক হবেনা , এ যে এক দিব্য দর্শন ।
..........এর চেয়ে অনেকগুন বেশি বিকলাঙ্গতা আর ত্রুটিগ্রস্থ আমাদের মানসিকতা আর মনন।
কবে যে এমন অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলবে আমাদের !!!!!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৯

মানবী বলেছেন: খুব শিঘ্রী অভিশাপ থেকে মুক্তি জরুরী শুধু নিজেদের আর্শিতে মোকাবেলার জন্য, মানুষ হিসেবে দেখার জন্য!

আন্তরিক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস, অনেক ভালো থাকুন।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ --- মানুষ সচেতন হোক --সকলেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি -- সেই মহান সৃষ্টিকে সকলেরই সম্মান করা উচিত এবং করতে হবে --- অনেক পরিবার আছে যেখানে স্পেশাল মানুষেরা নানাভাবে নির্যাতিত হয় -- মেয়ে স্পেশাল শিশু হলে তো কথাই নাই --- যাইহোক আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে মানুষের কল্যানে, স্পেশাল মানুষের কল্যানে ----

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২

মানবী বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের উপমহাদেশের অসভ্য সমাজের একটি অসভ্যতর অংশ মেয়েদের বিকলাঙ্গ মনে করে।
শুধু বিকাঙ্গদের মানুষ হিসেবে সন্মান করতে জানলে নারীদের হেয় করার মানসিকতারও পরিবর্তন হবে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লাই্লী আরজুমান খানম লায়লা।
ভালো থাকুন সব সময়।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

আলোরিকা বলেছেন: মানবীয় ! সবাই সচেতন হোক , সভ্য হোক । শুভকামনা আপু :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৩

মানবী বলেছেন: সসেই সচেতনতা আর ভাবনাটা মনে উদ্রেকের উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট!

আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় আলোরিকা, ভালো থাকুন সব সময়।

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২১

ক্লে ডল বলেছেন: আমরা আর বর্বর যুগে থাকতে চাই না। সভ্যতা আসুক আমাদের মননে, মানসিকতায়। বিশেষ মানুষ গুলির দিকে বাড়িয়ে দেয় বন্ধুত্বের হাত!!

টিমের কথা জেনে খুব ভাল লাগছে। আমাদের টিমরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাক।বাঁচুক সুন্দরভাবে!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৮

মানবী বলেছেন: সহমত । আমাদের টিমদের অন্ধকার থেকে মুক্ত করে আলোকিত জীবনে স্নিগ্ধ বাতাসে বাঁচতে দেয়া হোক।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ক্লে ডল।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৬

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
স্পেশাল চাইল্ডরা আমাদের কাছে কিছু আশা করেননা। আমাদের কাছে তাঁদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই তবে আমাদের একটু ভালো ব্যবহার আর মনুষত্ব তাঁদের মুখে ফোটাতে পারে এক অমূল্য হাসি, তাঁদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সক্ষম হয়। একটু সহযোগিতা আর সন্মান পেলে তাঁরা অনেকেই দেখিয়ে দিতে পারে তাঁরা আর কারো চেয়ে কোন অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় নন।

ব্লগার মানবী -এর প্রতি সুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬

মানবী বলেছেন: শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এ কে এম রেজাউ করিম।
ভালো থাকুন সব সময়।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ভাল লাগল লিখাটি, চোখে পানি এসে যাওয়ার মত । এই প্রতিবন্ধীরা ( শারিরিক, মানষিক , মুক ও বধির ) শুধু যে ঘরেই বন্ধী তা নয় , এরা নীজেরা ও তার পরিবারের লোকজন মুখেও বলতে পারেনা তাদের দুর্গতির কথা , সমাজ পরিবারের অনেকেই ভাবে এটা তাদের পিতামাতার পাপেরই ফল, এর ভোক্তভোগী নীজেই । জানিনা আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতার কবে হবে পরিবর্তন । বিদেশে বাসে ট্রেনে তাদের জন্য জায়গা থাকে সংরক্ষন । মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও ভুলেও কখনো দখল করেনা সে সমস্ত অাসন । কোন কোন বিকলাঙ্গের জন্য একজন কেয়ারার বা সমাজকর্মী থাকেন সর্বক্ষন, এমনকি পিতামাতাও পান কেয়ারার ভাতা । বিকলাঙ্গদের স্কুলে যাওয়া আসার জন্যও থাকে বিশেষ আয়োজন । সমাজ সচেতন লিখাটির জন্য রইল অভিনন্দন ।
লিখাটি প্রিয়তে গেল । শুভেচ্ছা জানবেন ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

মানবী বলেছেন: "জানিনা আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতার কবে হবে পরিবর্তন ।"

-্‌আপনি, আমি আমরা সকলে যদি আজ থেকে নিজে সচেতন হবার সাথে সাথে আশেপাশে পরিচিত সকলকে সচেতন করি, সেই সাথে পথেঘাটে এমন কোন স্পেশাল মানুষের সাথে দেখা হলে তাঁদের প্রাপ্য সন্মান নিজে দিতে এবং আশেপাশের সকলকে শামিলের চেষ্টা করতে পারি তাহলে হয়তো দেরী নেই এই পরিবর্তনের।

উন্নত বিশ্বে কোন অসচেতন বা অজ্ঞজন যদি এঁদের অপমান অবহেলার চেষ্টাও করে তখন আশেপাশের সুনাগরিকেরা এগিয়ে আসেন।

আন্তরিক শুভকামনা রইলো ডাঃ এম আলী।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৭

প্রামানিক বলেছেন: পথে ঘাটে কোন বিকলাঙ্গ শিশু বা মানুষ দেখে আঁতকে না উঠে বরং আর দশজনের মতো তাঁদের সাথে স্বাভাবিক আচরন করা জরুরী, তাঁদের কোন প্রয়োজনে এগিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়।

সবাই সচেতন হোক বর্বরতার অবসান হোক এই কামনা করি। লেখা অনেক ভালো হয়েছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ প্রামানিক।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৬

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: পরিবারে একজন অটিস্টিক শিশু থাকলে সেই পরিবারকে যে কতরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তা শুধু তারাই বোঝে। আমিও ভুক্তভোগী। তাই কাউকে কিছু আর বলতে ইচ্ছে করেনা। শুধু এটুকুই বলব, দয়া নয়, চাই সচেতনতা। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

মানবী বলেছেন: আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনের অতিস্টিক সন্তান আছে। সৌভাগ্যক্রে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে আর এখানে অণ্তঃত তাঁরা যে মহলে মিশেন সেখানে কেউ শিশুদের নিয়ে কোন প্রকার নেতিবাচক নোভাব প্রকাশের রুচি রাখেনা। তবে বুঝতে পারি, অসচেতন আর অমানবিক বাঙালীর সংখ্যা নিতান্ত কম নয়, আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আপনার ভোগান্তীর জন্য।

অনেক হয়তো না বুঝে অচেতন ভাবে আঘাত করে, সেকারনে যদি কিছু ইনপুট দিতে পারেন তাহলে কৃতজ্ঞ হবো।

আন্তরিক শুভকামনা রইলো প্রিয় অরুনি মায়া অনু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

মোঃ গাউছুল আজম বলেছেন: মননশীল । মন ছুঁয়ে যায় লেখাটি পড়লে । আমাদের এগিয়ে আসতে হবে ,মানবিক হতে হবে

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

মানবী বলেছেন: পুরনো লেখাটা পড়েছেন, দেখে ভালো লাগলো।

আন্তরিক ধন্যবাদ মোঃ গাউছুল আজম। ভালো থাকুন।

১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ লেখাটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল, পরিচিত লেখা। 'লাইক' দিতে গিয়ে দেখি, আগেই একবার দিয়েছি। বুঝলাম, লাইক দেয়ার পর মন্তব্য করতে হয়তো কোন কারণে ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার অন্যান্য লেখার মতই, এ লেখাটাও অসাধারণ হয়েছে।
এসব দেখে ভীষণ কৌতুহল হতো আমাদের দেশে এমন মানুষ শুধু পথে ঘাটে ভিখেরী রূপে দেখা যায়, কোন সামাজিক অণুষ্ঠান বা মলে চোখে পড়েনা - এদেরকে নিভৃতবাসী করে রাখা হয়, লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয়। কোন সময় সামনে চলে এলে এমনকি বাবা মাও বিব্রত হয়।
এই শিশুদের অক্ষমতা সেখানে শুধু কটাক্ষ আর পরিহাসের বিষয় - বড়ই মর্মান্তিক! অন্তরে গেঁথে গেল কথাটা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

মানবী বলেছেন: " বুঝলাম, লাইক দেয়ার পর মন্তব্য করতে হয়তো কোন কারণে ভুলে গিয়েছিলাম। "
- ভুলে গিয়েছিলেন? :-)

আবারও বলছি, আমার অতি সাধারণ লেখা আপনার নিজ গুনেই অসাধারণ মনে হয়। এখানে আমার কোন কৃতীত্ব নেই।

দীর্ঘদিন পর পুরনো পোস্টে আপনার মন্তব্যে দেখে ভালো লাগলো। কষ্ট করে পুরনো পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছেন, আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
শুভকামনা রইলো।

১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটা আর কেউ পড়তে সক্ষম হয়েছেন তা বুঝতে পারিনি...।! আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! (২ নং প্রতিমন্তব্য)-- কতদিক দিয়ে যে কত রকমের ভুল হয়ে যায়, আবার কেউ কেউ তা দেখেও ফেলে! :)
এই মানুষদের আমরা এমনটাই পরিত্যাক্ত আর কোনঠাসা করে রেখেছি এঁদের অধিকাংশে কন্ঠস্বর চারদেয়ালের বাইরে পৌঁছনোর সুযোগ নেই! (৩ নং প্রতিমন্তব্য)-- হ্যাটস অফ, এই সত্যভাষণের জন্য।
আপনার এ লেখাটা ভেরী ইন্সপায়ারিং। আমার নিকটাত্মীয়ের মাঝে একজন অটিস্টিক আছে। আগামী কালই তার খোঁজ খবর নেব। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, তাদের মা বাবা কখনো চায়না আমরা তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেই। মাঝে মাঝে খুবই অপরাধী মনে হয় নিজেকে, ওর প্রতি ওর বাবা মায়ের উদাসীনতার ব্যাপারে আরও সরব প্রতিবাদী না হবার জন্য।


১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

মানবী বলেছেন: "কতদিক দিয়ে যে কত রকমের ভুল হয়ে যায়, আবার কেউ কেউ তা দেখেও ফেলে!" -

- :( আবার কোথায় ভুল হলো!! বানান আর টাইপোর ভুল এতো বছরেও শুধরানো সম্ভব হলোনা!

অটিস্টিক সেই আত্মীয়র খোঁজ নেয়া হয়েছিলো কিনা বুঝতে পারছিনা। এদের খোঁজ নেয়ার চেয়েও ভালো যদি সামনাসামনি দেখা করে এদের সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করা যায়, একটু গুরুত্ব দিয়ে কিছু সময় দেয়া যায়।
তাঁর মা বাবাকে নাম আর মন্তব্যগুলো ছাড়া এই পোস্ট কোন ওয়ার্ড ফরম্যাটে পোস্ট করে দিতে পারেন, অনলাইনে আর্টিকেল পেলে তো পরিচিতদের সাথে শেয়ার করাই যাই। আসলে তাঁদের মতো মানুষেরাই আমার এই লেখার মূল টার্গেট জনগোষ্ঠী!

পুরনো পোস্টে মন্তব্য করার জন্য আবারও বিশেষ ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
ভালো থাকুন সব সময়।


১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো একটা পোষ্ট। আমাদের সবারই ভাবা উচিৎ। প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, একটু মানবিক হওয়া তাদেরকে অনেকাংশে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে পারে। তারাও স্বাভাবিকভাবে সবকিছু করতে আগ্রহী হতে পারে।

শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

মানবী বলেছেন: তাঁদের সাথে স্বাভাবিক অথবা ইতিবাচক বিশেষ আচরন আর তাঁদের নিয়ে পরিবার পরিজন বিব্রত না হওয়া যে তাঁদের জীবনে কতোবড় ভূমিকা পালন করতে পারে সেসম্পর্কে আমরা অধিকাংশই অবগত নই।
মহান আল্লাহ তাঁদের এভাবে সৃষ্টি করেছেন, এ নিয়ে বিব্রত হবার কিছু নেই- এই সত্যটা এসকল মানুষদের পরিবারদের উপলব্ধি হোক, এই প্রার্থনা।

পুরনো পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো একটা পোষ্ট। আমাদের সবারই ভাবা উচিৎ। প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, একটু মানবিক হওয়া তাদেরকে অনেকাংশে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে পারে। তারাও স্বাভাবিকভাবে সবকিছু করতে আগ্রহী হতে পারে।

-সহমত।
শুভকামনা প্রতিনিয়ত।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নতুন নকিব।
ভালো থাকুন সব সময়।

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্যিই আপু আপনি মহৎ মনের অধিকারী। আপনার চিন্তা চেতনা, সৌজন্যতা, মমত্ববোধ আন্তরিক ভালোবাসা সবকিছু মিলিয়ে মানবীর প্রতিফলন। আপনার প্রতিউত্তরে মুগ্ধ হয়ে পুরনো পোষ্টটি আবারও পড়ে গেলাম। খুব ভালো একটা পোষ্ট। আপনার মানুষিক চিন্তাভাবনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গেলাম। এমন চিন্তাভাবনা কেবল আপনার মতো মনের মানুষরাই করে থাকেন। আমি স্যালুট জানাই সবসময় আপনাদের মতো মনকে।

অনেক অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন। শুভকামনা সবসময়। আল্লাহ্ আপনাকে সুস্থ সবল রাখুক প্রতিক্ষণ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৬

মানবী বলেছেন: ভাইয়া আপনি যা বলেছেন তার পুরোটাই আপনার নিজের ঔদার্য্যের গুনে আর আলোকিত মানসিকতার কারনে বলেছেন। এখানে আমার কোন কৃতীত্ব নেই। তারপরও ধন্য হলাম।

এভাবে সন্মানিত করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।
ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.