নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই দেশ আমার দেশ -- নির্বাচন/ইলেকশন..!!!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নির্বাচনের একটি তুলনামূলক ছবি





দীর্ঘদিন ধরে ভেবেছিলাম আমেরিকার জীবন যাত্রার দৈনন্দিন জীবনে যখন খুব বেশী বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে তা লিপিবদ্ধ করে রাখবো, বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে দুদেশের পার্থক্য ভীষণভাবে প্রকট হয়ে উঠে...

বেশ কিছু বছরের পুরনো ইচ্ছে হলেও শুরুটা হলো আজ এমন এক দিনে....


যুক্তরাষ্ট্রে এখন নির্বাচনের মৌসুম। এখন আসলে প্রায় এই মৌসুমের শেষ প্রান্তে যার শুরু হয়ে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। বিভি্ন্ন দল প্রথমে গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজ দলের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে মূল নির্বাচনে অন্যান্য দলের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য। এসময়টায় তাঁদের যেতে হয় এক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। নিজের দলের লোকেরাই থলের বিড়াল বের করে অপছন্দের ক্যান্ডিডেটকে পিছে ফেলে নিজেকে অথবা নিজের পছন্দের জনকে সামনে এগিয়ে নিতে।

দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের বাংলাদেশের এই প্রক্রিয়াটিও তেমন স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক নয়। শুধু পরিবার তোষন, আত্মীয় তোষণ নয়, তার সাথে জড়িত থাকে কোটি কোটি টাকার নোংরা খেলা এমন কি অনেক ক্ষেত্রে দু চারজনের হত্যাকান্ডও ঘটে!


আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রধান দুটি দল ডেমোক্র্যাটিক আর রিপাবলিকানরা তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি নির্বাচিত করার পর শুরু হয় আসল লড়াই! এই সময়টা জনগণের জন্য অত্যন্ত ক্রুশিয়াল হলেও অত্যন্ত উপভোগ্য, বিশেষ করে দুজন প্রতিদ্বন্দী ক্যান্ডিডেট যখন ডিবেট আসরে নিজে কেনো অ্ররের চেয়ে বেশি যোগ্য তা প্রমাণের লড়াইয়ে মেতে উঠে! গত এক দশকের বেশী সময় ধরে এই ডিবেট ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচের(বালংদেশের ম্যাচ নয় কারন বাংলাদেশের ম্যাচের সময় প্রচন্ড উত্তেজনার সাথে সাথে প্রার্থণাও চলতে থাকে :-) মতো উত্তেজনা নিয়ে উপভোগ করছি। অনেকে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্দবদের সাথে মুখরোচক খাবার নিয়ে আয়োজন করে বসে এসব বিতর্ক দেখার জন্য!

ডিবেটের কয়েকদিনের মাঝে বোনাস হিসেবে থাকে ডিবেটের স্পুফ। ডিবেটের চুম্বক অংশ হাইলাইট করে সমালোচনার লক্ষ্যে দুজন ক্যান্ডিডেটকে পরিহাস করা হয় কমেডি শোগুলোতে! যে মানুষটা দু দিন পর রাষ্ট্রপ্রধান হতে যাচ্ছেন তাঁকে যে কি সব অপমানকর ভাষায় সমালোচনা করা হয় তা আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে অকল্পণীয়! দুঃখজনক হলেও এমন সমালোচনার শত ভাগের একভাগ আমাদের কোন গণমাধ্যমে ঘটলে ক্ষমতায় আরোহনের সাথে সাথে সেই মিডিয়া হাউজ বন্ধ আর গ্রেফ্তারের হিড়িক পড়ে যাবে। স্পুফ বা ব্যঙ্গ দূরের কথা, সাধারন সত্য তুলে ধরার কারনে গত নির্বাচনের পর পর বেশ কিছু মিডিয়া হাউজ বন্ধ ও এদের কর্ণধারদের গ্রেফ্তার, নির্যাতন আর নাজেহাল করার নোংরা ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে।


এসব ডিবেটের একটিতে সাধারন মানুষ সরাসরি প্রশ্ন করবে ক্যান্ডিডেটকে, জবাব পছন্দ না হলে তাঁর বলার অধিকার আছে জবাবটি সন্তোষজনক নয়। সবচেয়ে বড় কথা সেসব জবাব কেমন হয়েছে তা নিয়ে বড় বড় সব গণমাধ্যম চুল চেরা বিশ্লেষনে নেমে যায়। অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকে তার নাগরিকদের কাছে প্রতি মুহুর্তে জবাবদিহী করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। যেকোন কন্ট্রোভার্সিয়াল ঘটনা ঘটলে জনগনকে জবাব দিতে তাঁরা বাধ্য।

বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ, ২০০৯ এর ২৫ শে ফেব্রুয়ারির পিলখানা ম্যাসাক্যারের পর এক সভায় যে কজন সামরিক কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের সহকর্মীদের নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁদের সকলকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিলো, এমন স্পর্ধা এমন ধৃষ্টতা এদেশে অকল্পনীয়!





ছবি: নির্বাচনের দিন বাংলাদেশ

নির্বাচনের দিন.... নির্বাচনের দিন বাংলাদেশেও নিঃসন্দেহে একটি বিশেষ দিন। অগুনিত মানুষ অত্যন্ত সখ করে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কেন্দ্র পৌঁছে আবিস্কার করেন তিনি পৌঁছানোর অনেক আগে কোন ?হৃদয়বান তাঁর ভোটটি দিয়ে গেছেন। আবার অনেকে ব্যালট বাক্সের কাছে পৌঁছানোর আগে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রার্থীদের পদলেহী ক্রীতদাস মাস্তানদের চোখ রাঙ্গানী আর হুমকী হজম করেন। তবে আরো একটি বড় অংশ ভোট কেন্দ্রে পৌছানো না পৌঁছানয় কিছু এসে যায়না কারন সেই পদলেহী পঙ্গপাল ব্যালটবাক্সটা্ দলের সম্পত্তি দাবী করে কেন্দ্র থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়!


ছবি: নির্বাচনের দিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট কেন্দ্র

আমেরিকায় নির্বাচনের দিন বলতে যে বিশেষ তারিখটিকে বুঝায় তা আসলে নির্বাচনের শেষ দিন, অর্থাৎ ভোট প্রদানের ডেডলাইন। ভোটিং পদ্ধতি শুরু হয় প্রায় ২-৩ সপ্তাহ আগে। ভোটগ্রহনের শেষ দিন সকলের অভিন্ন হলেও ভিন্ন ভিন্ন স্টেটে তাদের নিজস্ব ভোটিং শুরুর তারিখ আর পছন্দমতো উপায় আছে।


কোন কোন স্টেটে বাংলাদেশের মতো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসা যায়।


ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের ভোট কেন্দ্র

আবার কোন কোন স্টেটে এমন কোন কেন্দ্রের বালাই নেই। সেখানে অনলাইনে অথবা পোস্ট করে ভোট দিতে হয়। জ্বী, ভুল পড়েননি পোস্ট অফিসের চিঠির মতো ব্যালট পেপার পোস্ট করে ভোট দেয়া যায়!


ছবি: আমেরিকার ড্রপঅফ ব্যালট বাক্স

পোস্ট অফিস বা ডাকবাক্সও যদি সুবিধাজনক মনে না হয়, খোন অসুবিধা নেই.. দিন রাত ২৪ ঘন্টার যেকোন সুবিধামতো সময় নির্দিষ্ট স্থানে রাখা ব্যাল বাক্সে ব্যালটটি ফেলে আসা যায়। এমনকি ড্রাইভথ্রু ব্যালট ড্রপ অফ বাক্স আছে, গাড়ি থেকে নামার কষ্টের প্রয়োজন নেই। মেয়রের অফিস, লাইব্রেরীর সামনে, পথের পাশে ভোট বাক্স ফেলে রাখা হয়, জনগণ তাদের সুবিধা মতো সময় ভোট দিয়ে আসবে।


ছবি: লাইব্রেরীর সামনে পথের পাশে ফেলে রাখা ব্যালট বাক্স

আমাদের দেশে এমন একটি বাক্স কোথাও রাখার কথা কল্পণাতীত! হাজার পাহারা আর পুলিশের হেফাজত থেকে দেশপ্রেম বর্জিত ক্লিব সম দলীয় ক্যাডাররা ব্যালটবাক্স চুরি করে নিয়ে যায়! এমন ভাবনা এদেশের মানুষের দুঃস্বপ্নেও আসেনা।


ছবি: বাংলাদেশের ব্যালট বাক্স!

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ নির্বাচন শেষের দিকে। সমগ্র দেশ রুদ্ধ শ্বাসে অপেক্ষা করছে ফলাফলের জন্য। অতীতের সকল সময়ের চেয়ে এবারের নির্বাচন বেশী উত্তেজনাকর কারন এবার মুখোমুখি হয়েছে একজন স্বঘোষিত বর্ণবাদী আর একজন নারী নেত্রী। আট বছর আগের নির্বাচনের উত্তেজনা ছিলো আমেরিকা একজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতার জন্য প্রস্তুত কিনা সেই পরীক্ষার ফল জানতে, তবে তাঁর বিপরীতে ছিলেন একজন সন্মানিত জনপ্রিয় নেতা যিনি জয়ী হলে শুধু একটি দল হেরে যেতো। এবার নারী নেত্রীর বিপরীতে অত্যন্ত বিতর্কিত, সমালোচিত এবং নিন্দিত ব্যবসায়ী, যার নেতৃত্বের ভাবনা আমেরিকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে হতাশ করে।

বিপুল ভাবে সমালোচিত আর নিন্দিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দী আর সব বছরের মতো যেকোন ডেমোক্র্যাট হলে প্রায় চোখ বন্ধ করে বিজয় নিশ্চিত ছিলো, এবার ঘটনা তেমন নয়! একজন নিন্দিত ব্যবসায়ীর বিপরীতে একজন সুযোগ্য, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটন যিনি প্রাক্তন সিনেটর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তার পরও এ সংশয় শুধুমাত্র একটি কারনে, তিনি নারী।

আর এখানে এসেই বাংলাদেশের মাথা উঁচু হয়ে যায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, অত্যন্ত রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত দক্ষিন এশিয় অণ্চল- এমন অন্চলের মুসলিম অধ্যুসিত একটি রক্ষণশীল দেশ বাংলাদেশ মাত্র ২০ বছরের তারুণ্যে বিপুল ভোটে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলো একজন নারী বেগম খালেদা জিয়াকে।

আর সকলের মতো রুদ্ধশ্বাসে আমরা অপেক্ষা করছি দেখতে......বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি রক্ষণশীল দেশ ২০ বছরের সদ্য তারুণ্যে যে প্রগতিশীলতা আর ঔদার্য্যের স্বাক্ষর রেখেছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটি ২৩৯ বছরে এসে সেই ঔদার্য্য্ আর ভালোবাসায় নারী নেতৃত্বকে আলিঙ্গন করতে পারে কিনা!!!!!!!!!!!






****** বাংলাদেশে নির্বাচনের দিন শুধুমাত্র পোস্টের ছবির দৃশ্যের অবতাড়না হয়না। সুশৃংখল সারিবদ্ধ ভাবে ভোটারগণের শান্তিপূর্ণ ভোট প্রদানের সংখ্যা নিঃসন্দেহে কম নয়, তবে পোস্ট লেখা হয়েছে প্রকট হয়ে উঠা দুদেশের অসঙ্গতি আর অমিল সম্পর্কে! আরো দুঃখজনক, বাংলাদেশের ইলেকশন লিখে ছবি সার্চ করে নেতিবাচক ছবির সংখ্যাই বেশি পাওয়া যায়*****


ছবি সুত্র:- ইন্টারনেট

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

আহা রুবন বলেছেন: ‌আমরা সাহসী জাতি তাই...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

মানবী বলেছেন: নিঃসন্দেহে.. তবে মনে হয় রূপকথার দেশের মতো কোন এক ডাইনীবুড়ি পুরোজাতি গভীরঘুমে আচ্ছন্ন করে রেখেছে, ভীষণ সাহসী এই জনগণের গুম ভাঙ্গাতে এখন সোনার কাঠি রুপার কাঠির ছোঁয়ার অপেক্ষা..।

আন্তরিক ধন্যবাদ আহা রুবন। ভালো থাকুন।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: বাংলাদেশের মত একটা দেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরেছি বলে এক সময় ভীষণ গর্ব অনুভব করতাম! এখন আর করি না, বরং আফসোস হয়! আসলে যে দেশের মায়া-মমতা, মানবতাবোধ কেবল মাত্র গুটিকতক ক্ষমতা লোভীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে, সে দেশে জন্মনোটাই বোধহয় আমাদের সব থেকে বড় পাপ! :(

আসলে পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কথাই চলে আসে, তবে সব থেকে আশ্চার্যের বিষয়টা হল- আমাদের নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বমোট ৫১ জন সেনা অফিসার নিহত হন, আর পিলখানা হত্যাকন্ডের মাত্র দুইদিনে নিহত হয় ৫৭ জন মেধাবী কর্মকর্তা। জানি না, আদৌ এর কোন বিচার হবে কিনা! হয়তো প্রত্যেকটা কেসের মতই এটাও শেষ পর্যন্ত ধুলোজমা ফাইলের নিচে পড়ে যাবে একসময়।

আর আমাদের নির্বাচনের কথা বলতে গেলে তো এখন চোখ ফেটে কান্না চলে আসে। আমি ছোট থাকতেও দেখেছি, যেদিন আমাদের ওখানে ভোট হতো; সেদিন খুব সকাল সকাল বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিলে ভোট কেন্দ্রের আশে-পাশে গিয়ে আনন্দ ফুর্তি করতাম। মনে হতো যেন ঐদিনটাও একটা ঈদের দিন। আর এখন তো রুমের দরজা আটকিয়ে বসে থাকা লাগে, না জানি কোন অজানা স্থান থেকে ছোড়া লক্ষভ্রষ্ট গুলি তার নিশানা খুঁজে পায় সেই ভয়ে!

এতদিনে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি আপু, যে যতই বলুক না কেন; ক্ষমতার কাছে আসলে সব কিছুই তুচ্ছ! একসময় পুলিশকে বলা হতো জনগনের বন্ধু, আর আজ তারা সেই জনগনেরই ত্রাস! এটাও কিন্তু ক্ষমতা? খুব ইচ্ছা করে এর থেকে বেরিয়ে আসতে, কিন্তু আদৌ আমাদের এই সুন্দর দেশটা তা পারবে কিনা সেটা কেবল সময়ই বলে দেবে!

পোস্টটা ভাল ছিল! তাছাড়া আপনার বিশ্লেষনও চমৎকার! এনি ওয়ে দুইটা ছবি ভুল আসছে, ঠিক করে নিয়েন!

ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের ভোট কেন্দ্র
-এখানে বিএনপি চেয়্যারপার্সনের ছবি আসছে!

কোন কোন স্টেটে বাংলাদেশের মতো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসা যায়।
- আর এই ছবির শুধু লিংকটা আসছে! সব থেকে ভাল হয় লিংকটা কেটে বাদ দিয়ে নতুন করে আপলোড করলে!

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

মানবী বলেছেন: পাপ নয় ভাইয়া, আমাদের দেশ সেই ৭১ এর ডিসেম্বরের বাংলাদেশ আছে, ১৯৯০ এর গণআন্দোলন আর ১৯৯১ এর গৌরবময় ঐতিহাসিক নির্বাচনের বাংলাদেশই আছে শুধু আমরা বদলে গিয়েছি। আমরা একপাল লোভী কুলাঙ্গাগার নেতৃবৃন্দকে দূর্নীতির মহামারী ছড়িয়ে দেবার পরোক্ষ অনুমোদন দিয়েছি শুরুতেই তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে, কঠিন শাস্তি না দিয়ে!

এই যে আমেরিকায় দিনের পর দিন নিশ্চিন্তে পথের পাশে ব্যালট বাক্স ফেলে রাখে, তার একটিই কারন-কঠোর আইন আর আইনের প্রয়োগ। দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যখন দূর্নীতিমুক্ত থেকে কঠোর ভাবে আইন মেনে চলে তখন জনগণ আইন মেনে চলতে বাধ্য! আর সে কারনে এদেশের স্বয়ং ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতিও কখনও ব্যালট বাক্স চুরির মতো ভয়ংকর ভাবনা মাথায় আনবেনা যা বাংলদেশের পাতি মাস্তানদের (?)প্রমোশনের একটি পরীক্ষার মতো!! যে দেশপ্রেম বর্জিত ক্লীব ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে আনবে সে স্থানীয় নেতার স্নেহভাজন এবং আস্থার লোক হয়ে উঠবে আর জনগণ পাবে এলাকার নতুন ত্রাস!!!

এই পোস্টে যুক্ত করার ছবি খুঁজতে গিয়ে প্রচন্ড হতাশ ও শকড হয়েছি। এক সময় লক্ষ্য করি বাংলাদেশের নির্বাচনের দিন পুলিশ আর দলীয় সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডের কুৎসিত সব ছবিদেখে এক অদ্ভুত হাসি পাচ্ছে! হতাশা আর কষ্টও যে অট্টহাসির উদ্রেক করে প্রথম জানলাম!

পোস্টের শেষাংসে এসে মনে হয়েছে এখনও অন্ধকার টানেলের অপর প্রান্তে কোথায় যেনো আলোর হাতছানি দেখা যায়! ইনশাহআল্লাহ্ বাংলাদেশের জনগণ একটু আন্তরিক ভাবে চাইলে, একটু সচেতন হয়ে জেগে উঠলে আমরা আবারও ১৯৯১ এর মতো এক গৌরবজ্জল নির্বাচন আমাদের দেশেও অনুষ্ঠিত করতে পারি।

দেশের সাধারন জনগণ গর্জে উঠলে দূর্নীতিগ্রস্থরা লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য। জনগণ একবার রুখে দাঁড়িয়ে কঠিন অবস্থান গ্রহন করলে যে যখন ক্ষমতায় যায় তখন নিজেকে রাজা বাদশাহ ভাবার ধৃষ্টতা দেখাবার স্পর্ধা পাবেনা। বিএনপি, আওয়ামিলীগ, জামায়াত, জাসদ নয়; এসব দলীয় ভাবনা ভুলে জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একবার যদি শুধু বাংলাদেশী হয়ে উঠে, সোনার বাংলাদেশ সেদিন হাসি মুখে ঝলমলিয়ে উঠবে।


"পোস্টটা ভালো ছিলো" - অতীতকাল দেখে একটু ভড়কে গেছি!!! বুঝতে পারছিনা কি ঘটনা!


এতো কষ্ট করে সুনির্দিষ্টভাবে ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রিয় সাহসী সন্তান। তবে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর ছবি অনিচ্ছাকৃত ভাবে একাধিকবার আসায় ভাবতে ইচ্ছে করছে এটা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার একটি লক্ষণ ইনশাহ্আল্লাহ! :-)

বিস্তারিত সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুন সব সময়।


৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধঅরন তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছেন @ মানবী

অনেক অনেক ধন্যবাদ..

আমাদের রাজনীতিবিদদের কি লজ্জ্বা হবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমরা জনগন কি কনশাস হবো?????

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

মানবী বলেছেন: আমার এলেবেলে ভাবনার লেখা আপনার কাছে অসাধারন মনে হয়েছে জেনে গর্বিত হলাম যদিও আপনার উদার দৃষ্টি ভঙ্গীর কারনেই সাধারন পোস্টটি অসাধারন মনে হওয়া!

আমাদের রাজনীতিবিদদের সেদিনই লজ্জা হবে যেদিন দেশের মানুষ তাদের ছুঁড়ে ফেলতে পারবে। আর ছুড়ে ফেলার আকমাত্র উপায় সুষ্ঠু নির্বাচন, এটা তারাও জানে বলেই প্রানপণ চেষ্টা করে নির্বাচনটিকে দূর্নীতিদুষ্ট করে। এটা এসব কুলাঙ্গার নেতৃবৃন্দের নষ্ট অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এক পুঁতি দুর্গন্ধময় চেষ্টা।
জনগণ সব জেনেও ঘুমিয়ে আছে, যেদিন জাগবে সেদিন হয়তো সচেতন হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

আহলান বলেছেন: তুলনা করলে আফসোস বাড়ে আমরা যারা দূর্ভাগা এই দেশে পড়ে আছি .... এই দেশ ভিভিআইপিদের জন্য, আমাদের মতো সাধারণ জনগনের জন্য নয় ....

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

মানবী বলেছেন: তারপরও তুলনাটা সামনে চলে আসে!
এদের ভিভিভিআইপি হবার সুযোগ দিয়েছি আমরা সাধারণ জনতা, এদের টেনে ছুড়ে ফেলে দেবার ক্ষমতাও আমাদের আছে। আমাদের শুধু একটু সচেতন হয়ে সক্রিয় হতে হবে।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আহলান।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০১

বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: আপনার পোষ্টটাকে স্যাটায়ার মনে হচ্ছে। ;) বর্তমানে আপনি বাংলাদেশের নির্বাচনের সাথে আমেরিকার নির্বাচনের তুলনা করছেন!!! কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকির তলা। এরশাদ পরবর্তিতে ৯১,৯৬,২০০১ এবং ২০০৮ এ যদিও অনেক খানি এগিয়েছিলাম।কিন্তু ৫ জানুয়ারী ২০১৪ আবার পৌছে দিয়েছে সেই ৭৩এর নির্বাচনের যুগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার থেকেও অনেক অনেক গুন খারাপ । ইউ পি নির্বাচনে আওয়ামীরা নিজেরা নিজেরা গ্যনাজাম করে নিজেদের ১২৯ জন মেরে ফেলছে,অন্য দল কেন্দ্রের আশেপাশে আসতেই পারে নাই,সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচনের সাথে আমেরিকার নির্বাচনের তুলনা আসলেই সার্কাজম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

মানবী বলেছেন: চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বাস্তবতার বর্ণনা মাত্র, সার্কাজম নয়। তুলনা আসবেই, প্রতিদিনই কিছুনা কি্ছু মনে করিয়ে দেয় দূরে ফেলে আসা দেশের কথা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্যান্ডিডেটদের নিয়ে আমেরিকার সার্কাজম ! এটা দেখে ডোনাল্ড ট্রাম্প আহতবোধ করে বলেছিলো, "এ্যালেক বল্ডউইন(ট্রাম্পের গেটআপের অ্ভিনেতা) আমার সাথে নির্মম হয়েছে" এপর্যন্তই!

৯১ এর নির্বাচন বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক অর্জনের ছবি ছিলো যার সাথে পরবর্তী কোন নির্বাচনের সেভাবে তুলনা হয়না আর বর্তমানের তো নয়ই!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বন্দী কন্ঠস্বর, শুভকামনা রইলো।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,




একটি ভালো পোস্ট যা থেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল কি করে হতে হয় , তার বর্ণনা ।

আমাদের দেশের এই ক্ষমতার পালাবদল যে নোংরামীতে ভরা আর আমরা আহাম্মক জনগণ যে তাতেই খুশিতে বগল চাপড়াই সে কথা না তোলাই ভালো ।

শুভেচ্ছান্তে ।


০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

মানবী বলেছেন:
ভালো বলেছেন। দেশের সাধারন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা অত্যন্ত জরুরী আর সেকারনে মানুষের এবং মিডিয়ার বাকস্বাধীনতার অধিকারটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৬ 'র প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের আরেকটি ব্যঙ্গ এখানে,


কতো অনয়াসে তারা বর্তমান আর ভবিষ্যত রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে ব্যাঙ্গাতত্মক সমালোচনা করে। বাংলাদেশে শুধু নেত্রীবৃন্দ কেনো, দেশের একপাল নপুংশক দেশ বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিয়েও যে নির্লজ্জভাবে দলীয় প্রভুদের পদলেহন করে, প্রভুর সমালোচনা দেখলে নিজ দেশের মানুষের উপর আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পরে সেসব ক্লিব থেকেও ‌উন্নতবিশ্ব মুক্ত!



আন্তরিক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২

কালীদাস বলেছেন: খুব সম্ভব, এস্তোনিয়াতে ভোট সেন্টারে যেয়ে ভোট দেয়া সম্পূর্নরুপে উঠে গেছে সবাই অনলাইনে ভোট দেয়। আরও অনেকগুলো ইউরোপিয়ান দেশ অনলাইনে ভোট দেয়ার অপশন পার্শিয়ালি হলেও চালু করেছে।

বিডিআর ম্যাসাকারে ঠিক কে কে মারা গিয়েছিল (পিলখানা এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে) আর মৃত অফিসাররা ঠিক কয়দিন আগে আর্মি থেকে বিডিআরে ট্রান্সফার হয়েছিল খতিয়ে দেখলে অনেকগুলো প্রশ্ন আসবে যে কারও মনে। যার উত্তর আমরা কেবল স্পেকুলেটই করে গেছি সবসময়, কোন সঠিক উত্তর কোনদিনই পাওয়া যাবেনা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩১

মানবী বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকায় যেহেতু আইনের প্রয়োগ কঠোর ভাবে হয়ে থাকে সেখানে এমনটা ভাবা এবং প্রয়ো্গ সহজ।

একজন কালীদাস, একজন সাহসী সন্তান, একজন মানবীর মতো কোটি কোটি বাংলাদেশী জানে এবং বুঝে ঘটনা কি, ইনশাহআল্লাহ এদিন এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সত্য প্রকাশিত হবে এবং সঠিক বিচার হবে।

অনেক ধন্যবাদ কালীদাস।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনলাইন ভোটিং সব চেয়ে ভালো হতে পারে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০০

মানবী বলেছেন: আন্তরিক ভাবে দুঃখিত অনিচ্ছকৃত দেরীতে জবাব দেবার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ফরিদ আহমেদ চৌধুরী।
অশেষ শুভকামনা রইলো।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০১

মানবী বলেছেন: জেনে আমারও ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা জাহিদ বেস্ট।
ভালো থাকুন:

আন্তরিক ভাবে দুঃখিত অনিচ্ছকৃত দেরীতে জবাব দেবার জন্য।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

অন্তু নীল বলেছেন:
গণতন্ত্রের মুখোস পরে আর কতদিন....?
জানিনা এ দেশে কোনোদিন গণতন্ত্রের দেখা পাবি কিনা ।

তবে, ওদের সাথে আমাদের দেশের তুলনা দেখলে কেবল আফসোসই বাড়ে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৪

মানবী বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা। এপারের জনগণের আফসোস ও কম নয় তবে পার্থক্য হলো এরা জোড় গলায় সেই আফসোস মিডিয়া সহ সর্বত্র প্রকাশে সক্ষম।

অনেক অনেল ভালো থাকুন অন্তনীল। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

আন্তরিক ভাবে দুঃখিত অনিচ্ছকৃত দেরীতে জবাব দেবার জন্য।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

অন্তু নীল বলেছেন:
দুঃখিত,
"পাব" টা পাবি হয়েগেছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

মানবী বলেছেন: কোন অসুবিধা নেই, আমরা বুঝেছি :-)

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

প্রািন্ত বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য। আসলে আমাদের দেশে যে গণতন্ত্র রয়েছে, সেটি চাপিয়ে দেয়া গণতন্ত্র। রাজনৈতিক নেতারা নিজেরা গণতন্ত্র মানেনা এবং এর চর্চাও করেন না। তারপরও তাদের মুখে ভন্ডামীর জন্য ঝড়তে থাকে গণতন্ত্রের মায়াকান্না। গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেও নামের আগে লেখা হয়- “গণতন্ত্রের মানসকন্যা”। এটা মাত্র একটি উপমা মাত্র। সত্যি বলতে কি? এদেশে এখন আর ভাল বলার জায়গা নেই। কাকে ভাল বলব? সবাই এক। যারা গলাবাজিয়ে বার বার বলে যাচ্ছে- জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে, তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের সঠিক রায় নিতে ভয় পান। আবার, আরেক দল বলছে- জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। তারাও ৫ শত মানুষ একত্রে সংগঠিত করতে পারছেন না। সুতরাং, বাংলাদেশের বড় দুই দলই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৮

মানবী বলেছেন: গনগণের সত্যিকারের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় কোন নতুন দলের উপস্থিত হবার সময় এসেছে হয়তো তবে এই দুই/চার দলের বাইরে নতুন দূর্নীতিমুক্ত দলকে সমর্থন বা তাদের পাশে দাঁড়াবার মানসিকতা আমাদের হয়েছে কিনা তা বিবেচ্য।

আন্তরিক ধন্যবাদ প্রািন্ত।
অনেক অনেক ভালো থাকুন সব সময়।


আন্তরিক ভাবে দুঃখিত অনিচ্ছকৃত দেরীতে জবাব দেবার জন্য।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,



প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভোটের প্রসঙ্গ যখোন এলোই এবং আপনিও যখন "ভোট" নামের রঙ্গটির কথা তুলেছেন, তুলেছেন আমাদের রাজনীতিকদের কথাও তখন এই লিংকটি দেয়ার লোভ সামলাতে পারলুম না ------ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১১

মানবী বলেছেন: আমি এই মন্তব্যের পর পরই আপনার লেখাটি পড়েছি, তবে প্রচন্ড ব্যস্ততায় আর মন্তব্য করা হয়নি।
অবশ্যই শীঘ্রই মন্তব্য রেখে আসবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অশেষ শুভকামনা রইলো আহমেদ জী এস।



অনিচ্ছাকৃত দেরীতে জবাব দেবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

জুন বলেছেন: আমি অনেক বছর ধরেই আমেরিকার নির্বাচনগুলো মনযোগ দিয়ে দেখতাম মানবী। কিন্ত যতদুর মনে পরে ছোট বুশ এর দ্বীতিয় নির্বাচনে তার ভাই জেফ বুশ যিনি ফ্লোরিডার গভর্নর । ভাইকে জেথাতে ভোট গনাতেও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছিলো। আর এবারের ক্যাচালতো পুরাই বাংলাদেশ । ভালোলেখায় অনেক ভালোলাগা ।
+

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

মানবী বলেছেন: এবারের নির্বাচনে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে অপ্রিয় এবং অনাকাঙ্খিত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে তবে তা আসলে কোনভাবেই বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশের আশে পশেও নয়।

আশা করি ভালো আছেন জুন।
অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: তুলনামূলক সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক।
অনেক ভালো থাকুন।

১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়লে মনে আশা জাগে, উৎফুল্ল হই। প্রবাসীরাও নানা প্রতিকূলতা সত্তেও দেশটাকে নিয়ে এতটা ভাবে, অথচ এখানে আমরা কতটা অলস ও স্থবির! আরেকটু সচেতন ও সাহসী হলে কত কিছুই না আমরাই করতে পারি! অন্ততঃ উচ্চস্বরে অন্যায়ের প্রতিবাদটুকু করলেও অনেক অন্যায়কারী পিছ পা হতো।
বিএনপি, আওয়ামিলীগ, জামায়াত, জাসদ নয়; এসব দলীয় ভাবনা ভুলে জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একবার যদি শুধু বাংলাদেশী হয়ে উঠে, সোনার বাংলাদেশ সেদিন হাসি মুখে ঝলমলিয়ে উঠবে। - অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

মানবী বলেছেন: আমার পোস্টে সাম্প্রতিক মন্তব্যের কলামে করুণাধারার মন্তব্যটি দেখে জবাব দিতে এসে আপনার মন্তব্যটি দেখে আর্থিক অর্থে ঘাবড়ে গিয়েছি!!! কিভাবে মন্তবটী আগে চোখের আড়ালে চলে গিয়েছে বুঝতে পারছিনা! আমি খুব অল্প সময়ের জন্য ব্লগে এলেও বিভিন্ন জনের পোস্ট পড়ার মাঝে মাঝে নিজের পোস্টের সকল মন্তব্যের জবাব দিতে চেষ্টা করি। জবাব না দেবার নিতান্তই কোন বিশেষ কারন থাকলে শুধু বাদ পরে যায়।

অনিচ্ছাকৃত দেরীর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!!!

"অন্ততঃ উচ্চস্বরে অন্যায়ের প্রতিবাদটুকু করলেও অনেক অন্যায়কারী পিছ পা হতো।"
-খুব ভালো বলেছেন।
আমার সামান্য লেখা কারো মনে আশা জাগালে তা মহা সৌভাগ্য বলেই মনে করি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
ভালো থাকুন সব সময়।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

করুণাধারা বলেছেন:
আপনি এখনো এ দেশকে নিয়ে এত ভাবেন? অসততা, ভণ্ডামি, সীমাহীন লোভ আর মিথ্যাচারে যদি দেশের নেতারা পুরোপুরি ডুবে থাকেন, আর দেশের জনগন তাদের প্রশ্রয় দিয়ে চলে তবে দেশের ভরাডুবি থেকে আল্লাহ কেন তাদের বাঁচাবেন!!!

পোস্ট খুব ভাল লাগল। এমন পোস্ট কেবল আপনিই লিখতে পারেন- ভবিষ্যতেও লিখে চলুন।

ভাল থাকুন। শুভকামনা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৮

মানবী বলেছেন: দেশকে নিয়ে ভাবনায় আর কি এসে যায় আপু, দেশের জন্য করতে পারাটাই আসল!

দূরে বসে আমরা অনেক কিছু স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারি যা দেশে বাস করে তেমন স্পষ্ট হয়না কারন সে সময় নিজের অজান্তেই বীণের সুরে নেচে যায় জনতা!

আমার পুরনো সাধারন পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব সন্মানিত হলাম।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রিয় করুণাধারা।
ভালো থাকুন সব সময়।

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেরীতে এলাম বলে কেমন যেন লাগছে।
আসলে দোষ দেশের না।। দোষ আমাদের।। অর্থাৎ সাধারন জনগনও (আমরাই) যাদের শাসক বানিয়েছি এবং ভবিষ্যতে বানাবোও।।
আজ দেখুন কত বিভেদ আমাদের মাঝে!! সহনশীলতাও দুরঅস্তঃঃ।।
শুধু কোনভাবেই যদি আমরা বাঙ্গালী হয়ে উঠতে পারতাম!!

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

মানবী বলেছেন: কোন অসুবিধা নেই ভাইয়া! আমার দশ বছরের পুরনো পোস্টে অনেকে মন্তব্য করেন, খুব ভালো লাগে তা দেখে।
এই পোস্টটি মাত্র কয়েক মাস পুরনো :-)

বাঙালীপণ অনেক আ্গে থেকেই বিসর্জিত হবার পথে এখন বাংলাদেশী জাতি স্বত্ত্বাটিও সংকটময়।
আন্তরিক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৯| ১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

সারাফাত রাজ বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

ভারতে বেড়ানোর সময় দুজন রাশিয়ান আমার কাছে বাংলাদেশের পরিচয় জানতে চেয়েছিলো। বলেছিলাম বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উদার মুসলিম দেশ, বিগত ২৭ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে কোন না কোন নারী যেটা তোমাদের অনেকদিনের কম্যুনিস্ট শাসনেও হয়নি।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.