নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই ছবিটা নষ্ট করে কোন জনা কোন জনা..!!!!!!

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭



নিতান্তই ব্যক্তিগত এলোমেলো ভাবনা
.

সতর্কীকরন: অধিকাংশ পাঠকের জন্য বিরক্তির কারন হতে পারে!
.


শৈশবে গান বাজনার প্রতি তেমন কোন ভালোবাসা ছিলোনা। খেলাধুলা ছেড়ে গানবাজনা মানেই বিরক্তিকর এক ব্যাপার ছিলো।
কিছু ছড়াগান, বাড়ির বড়দের বাজানো কিছু রক গানের তালে মাথা নাড়ানো পর্যন্ত বেশীটা সীমাবদ্ধ ছিলো। আর স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ সংগঠনের শিখা বিভিন্ন শিশুতোষ গান।

কৈশোরে এসে নির্দিষ্ট কিছু ঘরানার গান ভালো লাগলেও সঙ্গীত ভূবনের বিশাল একটি অংশকে নিতান্তই প্যানপ্যানানি মনে হতো। রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি আর মশার গুনগুনানির মাঝে কোন ফারাক ছিলোনা সেসময়।

এক সময় "মোরা ঝন্ঝার মতো উদ্যাম মোরা ঝর্ণার মতো চন্চল" টাইপের কিছু গান পছন্দ হলেও এই বিশাল ভান্ডারের অধিকাংশ অপাংক্তেও মনে হতো। মান্নাদে আর হেমন্তের গান বাজলে দুকান হাতে ঢেকে ছুটে বেড়িয়ে যেতাম। তবে কবিতা "আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে", "বিদ্রোহী", অথবা "নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ" ভালো লাগতো। আরো ছিলো, লিচু চোর আর খাদু দাদু- এসব ঠোটস্থ!
একমাত্র দেশাত্মবোধক গানে কোন অরুচী ছিলোনা। "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ" অথবা আব্দুল হাদীর "সূর্যদোয়ে তুমি সূর্যাস্তে তুমি" রক্তে আনন্দে বন্যা বইয়ে দিতো।

ভাইয়ের ঘর থেকে ভেসে আসা কুমার বিশ্বজিতের একটিগান খুব পছন্দ হয়েছিলো, "একটা গল্প তোদের বলি..." খুব সম্ভবত তাঁর প্রথম দিকের এ্যালবামের কোন গান, ছোটদের জন্য। বিশ্বজিতের আরেকটিগান প্রবাসে এসে একবার শুনেছি, আর খুঁজে পাইনি "তোমরা একতারা বাজাইওনা, দোতারা বাজাইও না..." - অসাধারন!

হোস্টেলে পড়াশুনার সময় এক অদ্ভুত পরিবর্তন আসে। গ্রাম গ্রাম আবহের মাঝে বাসের জন্য না পরিবার, প্রযুক্তি থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হবার কারনে ছাত্রীদের গেয়ে যাওয়া "আমি পথ মন্জুরী ফুটেছি আঁধার রাতে", "আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ" ধরনের গান ভালো লাগতে শুরু করে। এই সময়টায় " ওরে ওরে আমার মন মেতেছে", "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে", "শাওনও রাতে যদি স্মরনে আসে মোরে", "আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে" ধরনের কিছু গানও গ্রহনযোগ্য হবে উঠে। তবে সবচেয়ে বড় স্থান করে নিয়েছিলো লালনগীতি। টিভিতে ফরিদা পারভীনের "মিলন হবে কতোদিনে" বাজলে ছুটে বেড়িয়ে যাওয়া আমার কাছে এপর্যায়ে এসে "বাড়ির পাশে আর্শি নগর" মুগ্ধ করে। ভালো লাগে "সবাই বলে লালন কি জাত সংসারে"।

আরো একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, দূর থেকে ভেসে আসা গান আমরা গুন গুন করতে শুরু করি। বিশেষ করে বাতাসের শীতের ছোঁয়া লাগার সাথে সাথে এসব গান বাজতে শুরু করে দেয় আর এক সময় দেখা যেতো আমরা বুঝে না বুঝে কোরাসের মতো গাইছি বাংলা সিনেমার গান আর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছি সবাই। সমসাময়িক, আদিকালের সব রকমের সিনেমার গান ভেসে আসতো; সেসব গানের ভাব আবেগ কিছুই তেমন বোধগোম্য হতোনা তবে নিজেরা দল বেঁধে "পিন্জ্ঞর খুলে দিয়েছি" আর "আমাকে পোড়াতে যদি..", "আমার মনের মধ্যে খানে, মন যেখানে" টাইপের গান নিয়ে হাসি মজা করে সময় কাটাতাম। এসব ছিলো কৌতুকপ্রদ ব্যাপার।

এইচ এস সি'র শেষ দিকে বিশেষ করে পর পর বড় পরিবর্তন আসে গানের রুচীতে। 'কফি হাউজের আড্ডার" মাধ্যমের মান্নাদে আর "আয় খুকু আয়" দিয়ে হেমন্ত ঠাঁই করে নেয়। এই পরবর্তনের বড় একটি কারন হতে পারে সেসময় আমি প্যানপ্যানানি গানের রাজা গজলের মাঝে ডুব দিয়েছি। পঙ্কজ উদাস দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছদ্য অংশ হয়ে উঠে। আর বান্ধবীদের প্ররোচণায় জগজিৎ সিং এর আগমন হলেও এক সময় প্রায় নেশাসক্তের মতো এসব গজল শোনা হতো। এই পরিবর্তনের সুযোগে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধবেরা "তোমাকে চাই" আর "হিমালয় আল্পসের সমগ্র জমাট বরফ" গছিয়ে দেয়।

রবীন্দ্র সঙ্গীতের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে যখন বাবার পরিচিত একজন তাঁকে কয়েক কার্টুন "দুজনে দুজনায়" এ্যালবামটি গিফট করেন। এতো এতো গান শুনছি, এসবও নাহয় শুনে দেখি..... এই ভেবে শুনতে শুরু করে প্রথমেই মুগ্ধ হয়ে যাই "সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে" শুনে। একে একে প্রায় প্রতিটি গান আচ্ছ্ন্ন করে রাখে, আধুনিক বাদ্য যন্ত্রের কারনে অথবা রেজওয়ানা চৌধুরী আর সাদি মুহম্মদের গায়কির গুনে অসাধারন মনে হয় এই এ্যালবামটি- ভালো লাগতে শুরু করে রবীন্দ্র সঙ্গীত। তার কিছুদিন আগেই নজরুল গীতিও আচ্ছন্ন করতে শুরু করেছে "মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম" দিয়ে।

সেসময় আমার গজল ফিভার চলছিলো। জগজিৎ সিং থেকে রুচী পরিবর্তনের জন্য বন্ধু বান্ধবেরা অনুপ জালোটা আর গুলাম আলী শোনাতে শুরু করে। একজন সঙ্গীত প্রেমী মুরুব্বী একদিন বেশ বড় এক বাক্স এনে হাজির করেন। মা বাবার কাছে আমার গজলের প্রতি ভালোবাসার ক্ষোভ শুনে তিনি মনে মনে উৎসাহিত হয়ে ২-৩ ডজন এ্যালবাম নিয়ে আসেন- মেহেদি হাসান, পারভীন সুলতানা, বেগম আখতার, বড়ে গুলাম আলী। তাঁর বক্তব্য মতে গজল শুনতে হলে এঁদের জানা জরুরী কারন তাঁরা এক রকম গজলের জনক জননী। বলতে দ্বিধা নেই সেসব গান আমাকে আপ্লুত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় তবে হঠাৎ কোথা থেকে নুসরাত ফতেহ আলী খানের গানের প্রতি ভালো লাগা প্রায় সব কিছুকেই ছাড়িয়ে যায়।

একটা সময় যে আমি রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, হেমন্ত, মান্নাদে শুনলে কানে হাতে দি্য়ে ছুটে বেড়িয়ে যেতাম, সেই আমার ঘরে গজল আর নুসরাত ফতেহ আলী বাজতে থাকে নন স্টপ। আর সেই সাথে ইন্সট্রুমেন্টাল। রবি শংকর, আনন্দ শংকরের সুরের মুর্চ্ছনায় বাইরের মুষল ধারার বৃষ্টির আবেদন যেনো আরো হাজার গুন বেড়ে যেতো। এবার সমবয়সী আত্মীয় আর বন্ধু বান্ধবদের পালা আমাকে নিয়ে মজা করার!

আমার একটি ব্যাপার নিয়ে সমবয়সীরা মজা করতো। নাটক, সিনেমা মোটেও দেখা হতোনা হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া, তাও অধিকাংশ সময় তাও বাদ যেতো। ভারতীয় চ্যানেল গুলোও মুগ্ধ করতে অক্ষম আমাকে অথচ বিটিভির সান্ধ্য অধিবেশন শুরুর পর পর বাঁশরী আর মরমী ধরনের পল্লীগীতির অনুষ্ঠান চালিয়ে বসে থাকতাম। এমন নয় এসব আমায় আপ্লুত করে রাখতো তবে কোথায় যেনো একটা অদৃশ্য টান ছিলো। উচ্চবাজনার গানের চেয়ে এসব বেশী ভালো মনে হতো।

এর মাঝে বন্ধুবান্ধবদের কল্যানে "যদি হিমালয় আল্পসের সমগ্র জমাট বরফ", "তোমাকে চাই" ভালো লেগেছে। তবে আমাদের দেশের কুমার বিশ্বজিৎ, শুভ্রদেব, তপন চৌধুরী আর ভারতের বাপ্পি লাহিড়ির বেশ কিছু বাংলাগান অসাধারন!

একদিন পরিচিতজনের সাথে চ্যাট করার সময় বিরক্ত হয়ে উঠে যাচ্ছিলাম। অনেক অনুনয় বিনয় করার পরও যখন সাইনআউট করতে চাইছি হঠাৎ লতা মুঙ্গেশকরের "লাগ যা গলে " গানটার কথা উল্লেখ করে। সেসময় জাগজিৎ, নুসরাত ফতে্হ আলীর সাথে সাথে ইন্সট্রুমেন্টাল আর ইংলিশ গানে মগ্ন আমি চমকে যাই। এমন ভয়াবহ এক গানের কথা উল্লেখ কেনো করছে(কখনও শোনা হয়নি আগে) যাইহোক, কয়েক মিনিট সময় বাড়িয়ে দিয়ে নেট থেকে এই গান শুনতে চেষ্টা করি, অনেক কষ্ট করে দুতিন লাইন কোন রকমে শুনে শুধু প্রচন্ড বিরক্ত হই! আর্থিক অর্থে ভুরু কুঁচকে আরো দুএক মিনিট পর সাইন আউট করি এবং ধরেই নেই এর সাথে আলাপ করাটাই ভুল হয়েছে। মহা বিরক্তিকর সেই গান দিয়ে শুরু করলেও সেই পরিচিতজন পরবর্তীতে স্লোপয়জনিং এর মতো আমার মগজে পুরনো হিন্দী গান প্রবেশ করিয়ে দিতে সফল হয়! কিশোরকুমারের "পাল পাল দিল কে পাস....." শুনলে আজও ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠে!

একদিন হঠাৎ কানে ভেসে এলো "তুমি আমার প্রথম সকাল", কোন এক অনুষ্ঠানে তপন চৌধুরী একা গাইছিলো- শুনে মনে ছুঁয়ে যায়। আমার মুগ্ধতা জানাতেই আমার গান শেয়ারের সাথী জানালো এটা বেশ পুরনো গান আর ডুয়েট, আমি সলো শুনেই মুগ্ধ হয়ে বসে আছি।

প্রবাসে পাড়ি জমানোর পর একদিন লক্ষ্য করি এক সময়ের প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেককারী "কান্দো কেনে মন রে" শুনে চোখ ভিজে উঠছে। মনে হয় "বড় ভুল করেছি" ধরনের এক অনুভূতি স্পষ্ট করে দেয় এই গান, শুনলেই মনে হতো দেশ ছেড়ে এসে ভুল করেছি। শুধু বাংলা নয়, দেশে শোনা বাংলা, হিন্দী, ইংলিশ যেকোন গানের আবেদন এখানে তীব্র কষ্টের অনুভূতি নিয়ে আসে। দেশে যা শুনেছি তার বাইরে নতুন কিছু শোনা হয়না, শুনতে ইচ্ছেও করেনা।

তারপর উল্লেখযোগ্য একটা সময় গান, বিশেষ করে বাংলাগান শোনা হতোনা। একদিন ইমেইলে ভেসে আসা "দিন গেলো" শুনে চমকে যাই! অসাধারন গায়কী আর টোটাল কম্পজিশন ভিষণ ভালো লাগে। নতুন করে আবার গান শোনা শুরু.... হাবিবের গান আর কম্পোজিশনের পাশে ভারতীয় গানগুলো ম্লান মনে হয়।।।।



***ব্যক্তিগত এলোমেলো ভাবনাগুলো লিখে রাখছি কিছুদিন হলো, আজ মনে হলো পোস্ট করি।
নিতান্তই পাগলের মতো ভাবনা, সময়টা ব্লগে ধরে রাখা মাত্র! দীর্ঘ লেখা, সবটা একবারে প্রকাশ করতে ইচ্ছে করছেনা।
***

*ছবি সুত্র- ইন্টারনেট

মন্তব্য ৭৩ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০১

পুলহ বলেছেন: গজল সম্পর্কে খুব একটা আইডিয়া নেই আমার, মান্না দে,হেমন্তের কিছু ক্লাসিক ছাড়া অন্য তেমন কিছু শোনা হয় নি। তবে একটা সময় পাগলের মত কিশোর কুমারের গান শুনেছি...
হাবিবের প্রথম দিককার গান/ কম্পজিশন ভালো হলেও ইদানীংকারগুলো আর অত ভালো লাগে না।
"প্রবাসে পাড়ি জমানোর পর একদিন লক্ষ্য করি এক সময়ের প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেককারী "কান্দো কেনে মন রে" শুনে চোখ ভিজে উঠছে।"-- এ পুরো লেখাটার সব থেকে হৃদয়স্পর্শী আর গভীর উপলব্ধিজাত কথা বলে মনে হয়েছে আমার কাছে...
শুভকামনা জানবেন আপু!

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

মানবী বলেছেন: এমনিতেই শৈশবে আবেগঘন গান শুনলে প্রচন্ড বিরক্তিকর মনে হতো, পরবর্তীতে এসে কোথাও আবেগের রেশ মাত্র থাকলেও এই পোস্টে অত্যন্ত সচেতনভাবে আবেগকে দূরে ঠেলে রেখেছি। আপনি যে আবেগ বা গভীর উপলব্ধির অনুপস্থিতি বুঝেছেন তা জেনে মুগ্ধ হলাম ভাইয়া :-)

বিরক্তিকর দীর্ঘ এই লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ পুলহ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,




এলোমেলো ভাবনার ব্যক্তিগত সংস্করণ । ভালো লাগলো ।

এমনটাই হয় , সময় বদলে যায় - বদলে যায় চারিপাশ , বদলে যায় ভাবাবেগ । পুরোনো খোলস ছুঁড়ে ফেলে নতুন খোলসে আড়মোড়া ভাঙে মনের শুয়োপোকাটি । তবেই না সে হয়ে ওঠে এক প্রজাপতি ।

নষ্টালজিক হয়ে পড়তে হয় । গানের প্রতি অনুরাগের এই বিবর্তনপর্ব আমাদের সবা্রই মনে হয় কম বেশী ।
আমার মতো অনেকেরই হয়তো মনে হবে ---- সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি....

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

মানবী বলেছেন: "সময় বদলে যায় - বদলে যায় চারিপাশ , বদলে যায় ভাবাবেগ । পুরোনো খোলস ছুঁড়ে ফেলে নতুন খোলসে আড়মোড়া ভাঙে মনের শুয়োপোকাটি । তবেই না সে হয়ে ওঠে এক প্রজাপতি । "

-আমার এই সাধারণ নিম্নমানের লেখায় আপনার সমৃদ্ধ মন্তব্যটা আলোক রশ্মীর মতো ঝলমল করে উঠলো মনে হয়, তাই দেখার সাথে সাথে জবাব দিতে আসা।

মন ভালো করে দেবার জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার এইরকম মনোবস্থা কখনোই হয়নি তবে দেশের/লোকজ কিছু গান খুব ভাল লাগত ছোটবেলা থেকেই আজও সেগুলো ভাল লাগে। টেম্পোরারি বিনোদনের জন্য আসলে র‌্যাপ/হিপহপ এইগুলো খুব কার্যকরী তবে ফোক/মেটাল/আধুনিক বাংলা গানগুলো ভাল সময়ে শুনতে বেশ ভালই লাগে।

পোস্টে ভাললাগা!!

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

মানবী বলেছেন: লোকজ গানে আমার সমস্যাছিলো, সমস্যা ছিলো রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি আর হেমন্ত মান্নাদে নিয়ে। এদের গান শৌনা শাস্তির মতো মনে হতো শৈশবে।
খুব সম্ভবত মান্নাদের একটা গান "আমায় মেঘ করে দাও"। এই গান শোনার চেয়ে কেউ মাথায় একটা বারি দিলে বেশী ভাও ফিল করবো বলে মনে হতো :-)

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গেম চেন্জার।
আপনার দেয়া পোস্টটা সরিয়েছেন মনে হয়। ভেবেছিলাম সময় করে পরে এসে পড়বো।

ভালো থাকুন।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

মোঃ গাউছুল আজম বলেছেন: নস্টালজিক

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

মানবী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মোঃ গাউছুল আজম।

অনেক ভালো থাকুন।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: 'নিতান্তই ব্যক্তিগত এলোমেলো ভাবনা'র সাবলীল প্রকাশে মুগ্ধতা!!!

লেখায় সংযুক্ত ছবিটা অসাধারণ!!!

আশাকরি এলোমেলো ভাবনার পরবর্তী অধ্যায়েও চোখ থাকবে।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৫

মানবী বলেছেন: আমার ধারনা ছিলো লেখাটায় অনেক জড়তা আছে, আপনার কাছে সাবলীল মনে হওয়ায় ভালো লাগলো।
এটা দীর্ঘ লেখা, পরবর্তী অধ্যায় পোস্ট করা হবে কিনা বুঝতে পারছিনা!

আন্তরিক ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ।
অনেক ভালো থাকুন।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

ভূমধ্য বলেছেন: নস্টালজিক হয়ে পড়লাম কিছু সময়ের জন্য।
প্রবাসে পাড়ি জমানোর পর একদিন লক্ষ্য করি এক সময়ের প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেককারী "কান্দো কেনে মন রে" শুনে চোখ ভিজে উঠছে। মনে হয় "বড় ভুল করেছি" ধরনের এক অনুভূতি স্পষ্ট করে দেয় এই গান, শুনলেই মনে হতো দেশ ছেড়ে এসে ভুল করেছি।
এই অংশটা পড়ে চোখ দিয়ে পানি এসে গেল।

আমি ব্লগে নতুন। আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে নিমন্ত্রণ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৬

মানবী বলেছেন: এই এলোমেলো লেখা আপনাকে নস্টালজিক করেছে জেনে পোস্ট স্বার্থক হলো।

হেমন্তের এই গান শুনলে বরাবর মাথা ধরে যেতো, কখনও ভালো লাগেনি আগে অথচ প্রবাসে এসে এই গান শুনে চোখ আর্দ্র হয়ে উঠে।

অনেক ধন্যবাদ ভূমধ্য।
ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব, খুবই ভাল লাগলো আপনার নিতান্তই ব্যক্তিগত এলোমেলো ভাবনাগুলোর কথা। মন ভরে গেল।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৫

মানবী বলেছেন: এই এলোমেলো লেখাটা ভালো লেগেছে শুনে পোস্ট স্বার্থক হলো।
নিজের কাছে এই পোস্ট আপন মনে বকে যাবার মতো মনে হয় :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
অনেক ভালো থাকুন।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

সুমন কর বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত এলোমেলো ভাবনাগুলো পড়ে আমারও কিছু কিছু মনে পড়ে গেল। বাবা খুব গান শুনতো, প্রায় সব ধরনের বাংলা গান। সে থেকে আমারও গান শোনায় নেশা ধরে। আপনার মতো প্রথম প্রথম প‌্যানপেনানী ধরা গানগুলো আজো কিন্তু মাঝে মাঝে শুনি। প্রথমে ব্যান্ড, পরে মান্না-হেমন্ত-কিশোর-সতীনাথ-মানবেন্দ্র-পিন্টু.....এরা স্থান করে নেয়। এইচ.এস.সি থেকে কবির সুমনের অন্ধ ভক্ত হয়ে যাই। আজো সময় পেলে সব মিলিয়ে শুনি।

তবে ইংরেজি শুনি না। হিন্দি মাঝে মাঝে শুনতাম, এখন আর না।

পোস্টে +।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

মানবী বলেছেন: সতীনাথের কথা মনে করিয়ে দিলেন! ছেলেবেলায় ভাইবোনরা আমাকে রাগাতে চাইলে সতীনাথের চিঠি নিয়ে সেই গান ছেড়ে দিয়ে হাসতো। শৈশবে এমন অসহনীয় আর কোন গান ছিলোনা। মনে হতো এতো কান্নাকাটি করলে গান গাওয়ার কি প্রয়োজন! রীতিমতো নির্যাতন মনে হতো :-)

সুমনের তোমাকে চাই ছাড়া আর কোন গান শোনা হয়েছে বলে মনে পড়ছেনা, শুনলেও তেমন ভাবে ছুঁয়ে যেতে পারেনি দেখে হয়তো মনে নেই।

আমি হিন্দী, ইংরেজী, উর্দু এমনকি যা বুঝিনা স্প্যানীস ফ্রেন্চ ও শুনি যদি সুমধুর হয়। আর ভাষাহীণ ইন্সট্রুমেন্টাল তো আছেই!

মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সুমন কর।
অনেক ভালো থাকুন।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আমি সৈকত বলছি বলেছেন: সত্যি বলতে আগা গোড়া মুগ্ধ হয়ে পড়েছ........... :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০৮

মানবী বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায় এই সাধারণ পোস্টটি স্বার্থক হলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সব সময়।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

করুণাধারা বলেছেন: এই ব্যক্তিগত এলোমেলো ভাবনা খুব নস্টালজিক করে দিল।

কিছু কিছু গান শুনতে ভাল লাগত কিন্তু আপনার মতই আমি গানের তেমন সমজদার ছিলাম না, আর আসরে বসে গান উপভোগ করা- সেটা এ জীবনে হল না।তবে একবার খুব ভাল লেগেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত গ্যালারীতে চাঁদের আলোয় বসে সোলসের তপন চৌধুরীর গান। ভেবেছিলাম গায়কটি বেশ গায়!

বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সহপাঠী সুযোগ পেলেই আমাকে গজল শোনাতে বসত। ভুল সবই ভুল।গান শুনে গলে যাবার মন যে আমার ছিলই না।

গান বিষয়ক আমার নস্টালজিয়ার ঝাঁপি খুলে দিল আপনার পোস্টটি।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

মানবী বলেছেন:
ওহ! তপন চৌধুরীর কথা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম, এ্যাড করে দেই। সত্যিই সুগায়ক আর একজন বেশ সাদামাটা ভালো মানুষ। সোলসের "মন শুধু ছুঁয়েছে" অথবা "মনে করো এখন অনেক রাত" তপন চৌধুরীর কন্ঠেই সবচেয়ে ভালো শোনায়। অরিজিনাল সিঙ্গার কে ছিলো তা জানা নেই।

সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার ছিলো আমার জীবনের প্রথম আসর দেখতে যাওয়া! রবীন্দ্রসঙ্গীত আর নজরুলগীতি সহ স্লোগান মানেই ছিলো প্যানপ্যানানি আর সেই শো ছিলো হেমন্ত অথবা চিন্ময় চট্টপাধ্যায়ের! এখন স্পষ্ট মনে করতে পারছিনা, শুধু মনে আছে তিনি বাংলাদেশে অনুষ্ঠান শেষে দেশে ফেরার কিছুদিন পর মারা গেছেন।

আমার বড়বোন বডিগার্ড হিসেবে আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো, গাড়ি থেকে নেমে বান্ধবীদের সাথে অনুষ্ঠান দেখে গাড়িতেই বাসায় ফিরবে, এর মাঝে আমাকে এমন টেনে নিয়ে বসে বসে নির্যাতনের ভয়ংকর বিরোধী ছিলাম!
এখন অবশ্য হাসি পায় মনে পড়লে।

আপনার নস্টালজিয়ার ঝাঁপি খুলতে পেরে পোস্টটি স্বার্থক হলো, আমরাও কিছু জানলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ করুণাধারা। ভালো থাকুন সব সময়।

প্রফেশনাল গায়কদের গান শুনতে পছন্দ করলেই যে মেয়েরা তাদের গান গান শুনে আনন্দিত বা বিগলিত হবে না, এটা অনেক ছেলে বুঝতে পারেনা। "ভুল সবই ভুল" নিয়ে আপনার অস্বস্তিটা বুঝতে পারছি মনে হয় :-)

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: একবার কি হলো, কবীর সুমন এর তোমাকে চাই গানটা সারা রাত ধরে শুনেছিলাম। ভীষণভাবে আকর্ষণ ও আসক্ত করেছিলো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

মানবী বলেছেন: সুন্দর গান! শুনে ভালো লেগেছিলো তবে যখন জেনেছি একটি সিগারেটের উদ্দেশ্যে গানটি লেখা তখন এই ভালোলাগা অনেকখানি ম্লান হয়ে গিয়েছিলো।
এখন যদি জানা যায় হেলাল হাফিজ তাঁর ফেলে আসা ঘরের সিলিঙ ফ্যানকে পত্র দিতে বলেছিলেন তখন যেমন কবিতাটির মাধুর্য্য অণেকখানি নষ্ট হয়ে যাবে, তেমন।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন খায়রুল আহসান।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

জুন বলেছেন: শৈশবে আপনার গানবাজনার প্রতি আকর্ষন ছিলোনা বলে উল্লেখ করেছেন মানবী । আমার আবার সম্পুর্নই উল্টো চিত্র । বাবা নজরুল মা রবীন্দ্র সংগীত । ঘরে রেকর্ড প্লেয়ার ক্যাসেট প্লেয়ার আর তারো আগে রেডিওতে গান বাজছে সব রকমই শুনতে শুনতে কান হয়ে গিয়েছিল । সুমন কর আধুনিক গানের যেসব শিল্পীর কথা উল্লেখ করেছে তারা সবাই খুব প্রিয় । এছারাও জটিলেশ্বর শ্যামল মিত্র সুবীর সেন । পরবর্তীতে জুটি বাধলাম যার সাথে সে নিজেও গাইতো। আপনার লেখায় কাকে ছেড়ে কার কথা বলি । বাংলা হিন্দী ইংরাজী উর্দু কোন বিষয় নয়, মনকাড়া সুর হলেই হলো তার প্রেমেই পড়েছি অহর্নিশি।
অনেক ভালোলাগলো বহুদিন পর আপনার স্মৃতিচারন যে ফাকে নিজের স্মৃতিটাও শেয়ার করলাম :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৮

মানবী বলেছেন: শৈশবে বাসায় গান বাজনা আমি ছাড়া সকলেই পছন্দ ছিলো, বড়দের ভালোলাগা স্লোগান অসহনীয় আমার মনে হতো। শিশুতোষ গান আর স্কুল, সংগঠনে শেখানো দেশাত্মবোধক গান ছাড়া বাকি সব বোরিং মনে হতো। এটা নিতান্তই শৈশবের কথা। শ্যামলমিত্রের কন্ঠে "তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো" গানটা ছাড়া আর কোন গান মনে দাগ কাটতে পারেনি।
টিভিতে ফরিদা পারভীনের "তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকাদের নাম" শুনে আমার মা যখন মনযোগ সহকারে তাকিয়ে দেখতেন, আমি তাঁকে দেখতাম- এটা ভালো লাগার কি আছে!! বাড়ির পাশে আর্শ্বিনগরকে ভালোবাসতেও কিছুটা সময় পার হয়েছে :-)

গানের ক্ষেত্রে ভাষা, দেশ, অণ্চল কোন সমস্যা নয়। সুন্দর সুর আর কথার গান মন কেড়ে নেয় নিমেষেই, অনেক ক্ষেত্রে ভাষা না জানলেও শুধু সুর আর আবেগের কারনেই কিছু কিছু গান মন ছুঁয়ে যায়। আর কোন লিরিক বিহীন ইন্সট্রুমেন্টাল তো আছেই।

আপনার স্মৃতিচারনও ভালো লাগলো জুন, অনেক ধন্যবাদ।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে এলেন। স্মৃতিচারণ মূলক চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন।
একসময় আমিও সর্বভুক শ্রোতা ছিলাম। জগজিৎ সিং থেকে কাঙ্গালিনী সুফিয়া কিছুই বাদ দিতাম না। =p~
খায়রুল আহসান ভাই আমার একটা স্মৃতি জাগিয়ে দিয়েছেন, হবু বউরে একটা ক্যাসেট গিফট করেছিলাম। সারা ক্যাসেট জুড়ে ছিল একটাই গান- প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই-----

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৬

মানবী বলেছেন: ঠিক এখানে এসেই একজন লেখক আর অলেখকের মাঝে পার্থক্য!
আমার লেখা হাজার শব্দের সাতকাহন পড়ে আপনার স্মৃতির হেরফের হলোনা আর সুলেখক খায়রুল আহসানের দু লাইনের মন্তব্যে সুন্দর স্মৃতি মনে পড়লো।

তবে ক্যাসেট প্লেয়ারের প্রচলন উঠে যাওয়ায় অন্তত মেয়েরা এই নির্যাতন থেকে রেহাই পেয়েছে, এ ক্যাসেটের দু দিকে এক গান রেকর্ড করে গিফট পাওয়া! :-)
সিডি প্লেয়ারের রিপিট মোডে দিলেই ঝামেলা শেষ, একটি গান একবার শুধু।

গান যারা ভালোবাসেন তাঁরা আসলে বিশাল এই ভান্ডার থেকে বুভূক্ষের মতো গান শুনে যায়, এটা শুনলে ওটা শোনা যাবেনা এমন কোন নিয়ম কাজ করেনা। আমার আরেকটি পছন্দের ঘরানা ছিলো, আদিবাসী সঙ্গীত। দেশে সেভাবে এ্যালবাম কিনে শোনা হয়নি তবে কোথাও বাজলে মন কেড়ে নিয়েছে, আগ্রহ ভরে শুনেছি।

অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ভাবনাগুলো মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম !!
গান এর ব্যাপারে আমি অনেকটাই সর্বভুক ,শুরুতে সুরের টানে শুনলেও বরাবরই গানের কথা আমাকে খুব বেশি আকৃষ্ট করে ।
হিন্দি / উর্দু গান বা গজলের লিরিকস গুলো খুবই উন্নত মানের কবিতা ,অসাধারন কাব্য !(অবশ্যই মুন্নি বদনাম ধরনের গুলো বাদে) ইংলিশের বেলায় ও বেশ কিছু ।
বেগম আখতারের সময়কার গায়কী ভঙ্গী অনেকের ই ভালোলাগে না ,আমার " জোছনা করেছে আড়ি " শুধু একটাই ভালোলাগে ।


শুভ কামনা :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৬

মানবী বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে আমি নিজেও গানের ব্যাপারে সর্বভূক হয়ে উঠেছি!
বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংলিশ- যাই হোক, সুন্দর লিরিক আর সুর সকলকেই টানে আর সেই সাথে গায়কি যদি চমৎকার হয় তাহলেতো কথাই নেই।
আমাকে উনি যে ডজন ডজন এ্যালবাম গিফট করেছিলেন সেখানে বাংলা ছিলোনা মনে হয়! আমি সেসময় নুসরাত ফতেহ্ আলী খানের "ইয়ে জো হালকা হালকা সুরুর হ্যায়" শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম, গিফটে পাওয়া সেই পুরনো এ্যালবামগুলো তেমন ভালো লাগেনি। শুধু বেগম আখতার নন, মেহেদী হাসান ও সেসময় আমাকে মুগ্ধ করেনি :-)
"জোছনা করেছে আড়ি" খুব শিঘ্রী শোনার ইচ্ছে রইলো।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা।
অনেক ভালো থাকুন।

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: @জুন, আপনার জুটির গুণের যে তথ্য দিলেন, তা জেনে মুগ্ধ হ'লাম। ভাইটি আমার অনেক গুণের হবে তা কল্পনায় ছিল, তার সাথে এ গুণটি আরেকটি সংযোজন।
@গিয়াস উদ্দিন লিটন, আপনার মনে একটি সুখের স্মৃতি জাগাতে পেরেছি বলে আনন্দিত হ'লাম।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

মানবী বলেছেন: :-)

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ভালোলাগার আর ভালোবাসার সেইসব গানগুলো এখনও মনের নিভৃত কোণে মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে যায়। পাঠকের মৃত্যু ঘটলেও শ্রোতার মনে হয় মৃত্যু হয় না। তাই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে সহসাই হারিয়ে যেতে মন চায়। সময়ের সাথে সাথে রুচির পরিবর্তন ঘটলেও যা ধ্রুপদী তার আবেদনের শেষ হবার নয়।

তাই তো ওস্তাত জাকির হোসেনের তবলার তালে বৃষ্টির রিমঝিম তান কিংবা ঘোড়া ছুটে চলায় খুরের আওয়াজের অভাবনীয় লয় মনের গহীনে গেঁথে রয়।

অাপনার এই সুন্দর স্মৃতিচারণ নিজেকেও ক্ষণিকের জন্য হলেও কয়েকবছর পিছনের দিনগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিল। ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

মানবী বলেছেন: "যা ধ্রুপদী তার আবেদনের শেষ হবার নয়।" - খুব সত্য কথা! আমাদের আব্বাসউদ্দীন, লালন শাহ্ আর ভারতের হেমন্তব, মান্নাদে, কিশোরকুমার, মুহম্মদ রফি এর বড় প্রমাণ।

"তাই তো ওস্তাত জাকির হোসেনের তবলার তালে বৃষ্টির রিমঝিম তান কিংবা ঘোড়া ছুটে চলায় খুরের আওয়াজের অভাবনীয় লয় মনের গহীনে গেঁথে রয়।"
- বৃষ্টির সময় ইন্সট্রুমেন্টালের আবেদন সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায়। ঝমঝম বৃষ্টির সময় বিশেষ করে সমুদ্র বা লেকের পানিতে বৃষ্টির ঝরে পরার সাথে আনন্দ শংকরের দ্যা রিভার শোনার অনুভূতির সাথে পৃথিবীর আর কিছুর তুলনা হয়না!

আপনার চমৎকার মন্তব্যের কারনে কয়েক মুহুর্তের জন্য হলেও সুন্দর একটা সময় রি-লীভ(বাংলাটা কি হবে বুঝতে পারছিনা :( ) করা হলো।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আখেনাটেন। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুবই ভাল লাগল।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০১

মানবী বলেছেন: জেনে পোস্ট স্বার্থক হলো!

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ঢাকাবাসী।

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

আনিসা নাসরীন বলেছেন: আবেগের গানের কথা ভালো লাগলো.....

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২০

মানবী বলেছেন: আপনার ভালোলাগায় পোস্ট স্বার্থক হলো।

ধন্যবাদ আনিসা নাসরীন, ভালো থাকুন।

১৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৩

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক শিল্পির গান সর্ম্পকে একটা প্রছন্ন ধরনা পাওয়া গেল । সুযোগ বুঝে শুনবো আশা করি।
গান শোনা আমার একটা শখ, এই করনে যে এতে অনেকটা সময় কাটানো যায়। এবং গান শোনার সময় আমার কাছে বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ,তাই সচরাচর আমি আমাদের পোষা বিড়ালটিকে নিয়েই গান শুনি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

মানবী বলেছেন: গান শোনার সময় বাকহীণ বা নির্বাক সঙ্গী হিসেবে বইও খুব ভালো।
সময় কাটানো সমস্যা হলে বইয়ের কোন বিকল্প নেই!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪
আপনার আর আপনার সঙ্গীতপ্রেমী বিড়ালের জন্য শুভকামনা রইলো :-)

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেশ প্রেমের গান সেই ৭১য়ের মত আর টানে না।। কেন জানেনয়য়
তারপর থেকেই মান্না, তালাত, হেমন্ত আর সতিনাথের গান ভাল লাগা।। কেন?? যৌবনের ধর্মে।।
আসলে সময়ে বদলে যাওয়রই দৃশ্য!!

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫১

মানবী বলেছেন: ৭১ এ দেশাত্মবোধক গান যাঁরা শুনেছেন তাঁদের কাছে এসব গানের আবেদন সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলো তা বুঝতে পারি, অবশ্যই সেই সময় বা অনুভূতিটা রিক্রিয়েট করা সহজ নয়। মুক্তিযুদ্ধের কয়েক দশক পর হলেও এসব গান শৈশবে আমাকে মুগ্ধ করে। হয়তো শিশুদের স্কুলে এধরনের গানই বেশি শেখানো হয় বলে।

দেশপ্রেমের গানের প্রতি আমার এক অদ্ভুত আকর্ষন আছে। অন্যান্য দেশের দেশাত্মবোধক গানগুলোও গভীরভাবে ছুয়েঁ যায়। গত কিছুদিন ধরে ভারতীয় এক দেশাত্মবোধক গান গ্রাস করে রেখেছে!!

সময়ের সাথে সাথে আমাদের বোধের পরিবর্তন হয়ে সাথে, সেই সাথে তাল মিলিয়েই মনে হয় গানের স্বাদে এমন বদল!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলা সংগীত জগত নিয়ে মোটামুটি ভাল একটা রিভিউ যেন দেখতে পেলাম লেখাটিতে । রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি ,মান্নাদে হেমন্ত, আব্দুল হাদী, কুমার বিশ্বজিত,ফরিদা পারভীন,রেজওয়ানা চৌধুরী , সাদি মুহম্মদ, জগজিৎ সিং ,গুলাম আলী ,মেহেদি হাসান, পারভীন সুলতানা, বেগম আখতার, বড়ে গুলাম আলী ,নুসরতা ফতেহ আলী খান, রবি শংকর, আনন্দ শংকর ,শুভ্রদেব ,বাপ্পি লাহিড়ি , লতা মুঙ্গেশকর, সব শেষের কথাটি যথা হাবিবের গান আর কম্পোজিশনের পাশে ভারতীয় গানগুলো ম্লান মনে হয়।।।। শুনে ভাল লাগল ।

এখানকার সঙ্গীত জগতের সমসাময়িক গানের কথা গুলো ও আলোচনা উপভোগ্যই মনে হল । পরচিত অনেক গানের কথার ব্যবহারিক অনুশীলনের পাশাপাশি এর ক্রমবিকাশ এবং উৎকর্ষ সাধনের ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্যাদির সঙ্গে পরিচয় করানোতে খুব খুশী হলাম । প্রত্যেক শিল্পকলার মত কোন বিশেষ ধরনের গান ভাল লাগার পেছনে একটি ইতিহাসতো অবশ্যই আছে । আপনার বেলাতেও তাই দেখা গেল একটি গানের ধারা হতে আর একটি ধারায় উত্তরণের বিষয়ে এর পিছনে রয়েছে বেশ ভাল ও চমৎকার কার্যকারণ । গান নিয়ে আপনার স্মৃতি চর্চায় তা ফুটেও উঠেছে সুন্দরভাবে । বিভিন্ন ধরনের ভাললাগার মাহেন্দ্র ক্ষন বা সঙ্গীতের এলবাম প্রাপ্তির উপর ভিত্তি করে আপনার একটি গানের ধারা হতে আরেকটি গানের ধারায় উত্তরণ, প্রক্রিয়াটি দেখে ভালই লাগল ।

আপনার সাথে একমত , ৫২-এর ভাষা আন্দোলন হতে শুরু করে , ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশাত্ব বোধক গান এদেশের সংগ্রামী মানুষকে নিরন্তর প্রেরণা যুগিয়েছিল। তবে পঞ্চাশ কিংবা ষাট দশকে বাংলা গান যেভাবে শ্রোতাদের মন জয় করেছিল যার কিছু আপনাকেও মুগ্ধ করত তা আজ তা আর পারছে না। তাই চলছে পেছনের দিকে যাবার পালা। একরকম বাধ্য হয়েই রেকর্ডিং কোম্পানিগুলো প্রকাশ করে চলেছে পুরনো হিট গান বা তার রিমেক। তারা মূলত ক্যাসেট বের করে চলেছে চলি্লশ থেকে সত্তর দশকে গাওয়া শিল্পীদের আধুনিক গান। ১লা বৈশাখ, স্বাধিনতা দিবস , বসন্ত উৎসব, ঈদ কিংবা পূজা উপলক্ষে এখন আর গান রচনা হয় না। পঞ্চপ্রদীপের যথা রবিন্দ্রনাথ , নজরুল, লালন , হাসন রাজা আর অতুল প্রসাদের গানেই সে কাজ মিটে যায়। এর পরও বলতে হয় বাংলা গান থেমে নেই। যুগ যুগ ধরে চলছে এবং চলবে সেই চিরায়ত সারস্বত সাধনা।

উল্লেখ্য যে বাংলা ভাষা সাহিত্যে ও সঙ্গীতের এক অতি পরিচিত নাম অতুল প্রসাদ সেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গীতিকার ও গায়ক, তার গানেরও রয়েছে একটি উল্লেখ যোগ্য জগত , এপার ওপার দু পারেই সন্ধায় প্রায় হিন্দু মন্দিরেই শুনা যায় অতুল প্রসাদের ভক্তিমুলক কির্তন । বাংলাভাষীদের নিকট অতুল প্রসাদ সেন প্রধানত একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার হিসেবেই পরিচিত। তাঁর গানগুলি মূলত স্বদেশি সঙ্গীত, ভক্তিগীতি ও প্রেমের গান; এই তিন ধারায় বিভক্ত। নিলুফার ইয়াসমিনের কন্ঠে অতুল প্রসাদের গানটি শুনতে পারেন।

যদি-তোর-হৃদ-যমুনা-হলো

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

মানবী বলেছেন: আমার এলোমেলো লেখাটা আপনার কাছে সঙ্গীত জগতের রিভিউ মনে হয়েছে জেনে কি বলবো বুঝতে পারছিনা। সচেতনভাবে এমন রিভিউ লেখার স্পর্ধা হয়তো কখনও হবেনা।

নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি আমি যে হোস্টেলে পড়েছি সেখানে আজও ছাত্রীদের মগজে দেশাত্ববোধ হ্যামার করে প্রবেশ করানো হয়, এটাই সে প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট :-) সেসব দেশাত্মবোধ গান যেভাবে আমাকে মুগ্ধ করেছিলো, আমার বিশ্বাস বর্তমান ক্ষুদে শ্রোতাদের আজও তা করছে- বিবেচ্য বিষয় হলো পরিবার ও পরিবেশ। আমার শৈশবে দেশাত্মবোধক গান টিভিতে আর স্কুল ও শিশুদের সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মূলত শোনা হতো, কোন এ্যালবাম কিনে নয়। ইদানিং ভারতীয় টিভি চ্যানেলের দৌরাত্ব্যে দেশী চ্যানেলের অবস্থান ম্লান তবে স্কুল বা শিশুদের প্রতিষ্ঠানে নিশ্চয় দেশাত্মবোধক গানেই শিশুদের উৎসাহিত করে। কোন শিশদের প্রতিষ্ঠান বা স্কুলে ভারতীয় সঙ্গীত বা সিনেমার গানের প্রচলন হলে সেই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা জরুরী।

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন দেশের দেশাত্ববোধক গান আজও আমাকে মুগ্ধ করে, আর সেই গানের ভাষা বোধগম্য হলেতো কথাই নেই! যেমন গত কিছুদিন ধরে এই গান মগজ থেকে বের করা সম্ভব হচ্ছেনা :-)

চমৎকার মন্তব্য আর অতুল প্রসাদের গান শেয়ারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ডাঃ এম এ আলী।
অনেক ভালো থাকুন।

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০০

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আমি মাসে তিন মাসে ঢুঁ মারার উদ্দেশ্যে ব্লগে ঢুকি। সেই রুটিন ঢুঁ মারাতে প্রবেশ করতেই আপনার পোস্ট আমাকে বাধ্য করলো লগইন করতে। কেমন আছেন আপু? অনেক ভালো লাগে আপনার লেখা, আপনাকে। যদিও কোনদিন আপনার মুখচ্ছবিটা দৃশ্যমান হয়নি কোথাও, তবু কেন জানি মনে হয়; প্রশান্তি জাগানিয়া, কোমল এবং মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন একজন মানুষের ছদ্মনাম হলো- মানবী।
গান নিয়ে আমারও বিশার একটা পোস্ট ছিলো। অনেক আগে লেখা, বলা বাহুল্য- ব্লগের ড্রাফটে পড়ে ঘুমাচ্ছে লেখাটা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আমি লগইন করতে পারলেও, পোস্ট ফ্রন্ট পেজে না আসার কারনে লেখাটা পোস্ট করা হয়নি। আপনার লেখার আদ্যোপান্ত পড়ে বুঝলাম, গান শোনার ক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট এরিনা আছে। আমি ছোটোবেলা থেকেই গান শুনি। বাংলার চেয়ে হিন্দীর গানের প্রতি অনুরক্তিটা ছোটোবেলা থেকে। তাই আমার প্রিয় শিল্পীর তালিকাটা অনেক লম্বা।
ভালো থাকুন আপু।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১১

মানবী বলেছেন: এই অনেক ভালো লাগাটা মিউচুয়্যাল, আপনি জানেন নিশ্চয় ভাইয়া :-) আপনি আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার! খুব ভালো লাগলো দীর্ঘদিন পর আপনাকে দেখে! এই দুটো পোস্ট লেখার সময় আপনার রাজকন্যাদের কথা মনে হয়েছিলো। আপনি বলেছিলেন ওদের জন্য কিছু লিখতে, প্রথমটা ওদের ইদ্দেশ্যেই লেখা। উৎস্বর্গ করতে চেয়েও কেনো করা হয়নি বুঝতে পারছিনা!
ওরা ভালো আছে আশা করি।

আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় আসছেনা কেনো বুঝতে পারছিনা! কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন। দীর্ঘদিন পর ফিরে মনে হয়েছে ব্লগ ম্যানেজমেন্ট টিম বেশ পরিবর্তন হয়েছে। আমার নোটিফিকেশন টা প্রায় দু বছর ধরেই বিকল দেখছি। যখন তখন ১২০-১৬৫ টি না পড়া মেসেজ দেখায়, ক্লিক করলে কিছু নেই। আবার হঠাৎ হঠাৎ জেনুইন নতুন মেসেজ সংখ্যা দেখায়। এমনিতে সমস্যা নেই তবে যাঁরা পুরনো পোস্টে মন্তব্য করেন তাঁদের মন্তব্যগুলোর হয়তো আর জবাব দেয়া হয়না, অনেকেই হয়তো ভুল বুঝে থাকবেন এতে!

যাইহোক, প্রিয় শীল্পীর তালিকা দীর্ঘ হলেও আমার পড়তে ভালো লাগবে। গান সংক্রান্ত সব কিছুই ভালো লাগে। হিন্দী, উর্দু, ইংলিশ- সব ভাষার গানই ভালো লাগে যদি মন ছুঁয়ে যায়। গান নিয়ে আপনার সেই বিশাল পোস্ট পড়তে ইচ্ছে করছে। আশা করি ব্লগ ম্যানেজমেন্ট আপনার এ্যাকাউন্ট এর সমস্যার সমাধানে সফল হবে।

তিন মাসের ব্যবধানটা ছোট করে অন্তঃত সপ্তাহে একবার ব্লগে আপনার উপস্থিত হোক :-)
মন ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমার দুই মেয়েকে আমার রেসিপিতে আপনার খিচুড়ি রান্নার বর্ণনা দিলাম , ওরা অনেক হাসল ।
আপনার সৃতি চারণ পড়তে খুব ভাল লাগল ।আমারও রবীন্দ্র সংগীত আর অন্য কিছু গান শোনার অভ্যাস আছে ।আর গুন গুন করি " আমার বেলা যে যায়
সাঁঝ বিকেলে তোমার সুরের সাথে সুর মিলাতে " ভাল থাকুন সব সময় ।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

মানবী বলেছেন: আমি সত্যি সেদিন মহা আগ্রহনিয়ে রেসিপিটি পড়ছিলাম আর অপেক্ষায় ছিলাম চাল দেবার পালা কখন আসবে। রান্না শেষে মনে হলো চাল আমার দিকে হতাশ ভাবে তাকিয়ে আছে :-) আপনার মেয়েদের আমার শুভকামনা জানাবেন।

গুনগুন করায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের সত্যিই জুড়ি নেই! গানের কথা যখন হচ্ছেই- আপনার নিক এ চোখ পড়লেই আমার মনে পড়ে "যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়" গানটা। শৈশব বলতে যা বুঝায় সেসময় প্রথম শুনেছিলাম তবে এমন এক ঘটনার প্রেক্ষিতে যে গানটা সেই শিশু মনে দাগ কেটেছিলো, বলাবাহুল্য সেখানে রোমান্টিসিজমের কিছু ছিলোনা :-)

খুব ভালো লাগলো মা মেয়েদের ঘটনাটা জেনে, অনেক ধন্যবাদ আপু।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ।
আপনার লিখার এ অংশটা থেকে
রবীন্দ্র সঙ্গীতের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে যখন বাবার পরিচিত একজন তাঁকে কয়েক কার্টুন "দুজনে দুজনায়" এ্যালবামটি গিফট করেন।

আমি লিখেছিলাম
বিভিন্ন ধরনের ভাললাগার মাহেন্দ্র ক্ষন বা সঙ্গীতের এলবাম প্রাপ্তির উপর ভিত্তি করে আপনার একটি গানের ধারা হতে আরেকটি গানের ধারায় উত্তরণ, প্রক্রিয়াটি দেখে ভালই লাগল ।

এই এলবাম হতে রবীন্দ্র সঙ্গীতে উত্তরনের কথাটিই বুঝাতে চেয়েছিলাম । কারো লিখা একবার পাঠে তা সুচারুভাবে মনে রেখে মন্তব্য লিখা আমার জন্য একটু কঠিনই বটে । এলবাম কিনার কথা নয় আপনার লিখার প্রেক্ষিতে বা হিসাবে বলে ছিলাম এলবাম প্রাপ্তির কথা।

যাহোক এখন আপনার বলা
আমার শৈশবে দেশাত্মবোধক গান টিভিতে আর স্কুল ও শিশুদের সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মূলত শোনা হতো, কোন এ্যালবাম কিনে নয়। এ কথার প্রেক্ষিতে কোন গানে উত্তরনের জন্য আমার বলা কথা হতে বা শব্দ দিয়ে শুরু এলবাম কথাটা প্রত্যাহার করে নিলাম !!! কারণ কারো লিখার এক বাক্যের একটি চয়ন দিয়ে তার সার্বিক দিক বুঝা যায়না । এলবামের কথাটিকে কেন অমনভাবে দেশাত্মবোধক গান এর কথা বলে ডিনাই করে গেলেন তা বোধগম্য নয় । একটি মন্তব্য লিখা হয় মুল পোষ্টের লিখার তথ্যের উপর ভিত্তি করেই । যাহোক, কোন রকম আহত হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন । আপনার লিখার উপরে ভবিষ্যতে কোন মন্তব্য দানে আরো সচেতন হব ।

আপনার লিংক দেয়া গানটি শুনলাম, কিছুদুর যাওয়ার পরেই বুঝা গেল সত্যিই এটা মগজ থেকে বের করা কঠিনই হবে !!!

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

মানবী বলেছেন: আসলে কি বলবো বুঝতে পারছিনা!

আমার ভাষাজ্ঞান তেমন উন্নত নয়, বোধবুদ্ধি আরো খারাপ তাই হয়তো আপনার মন্তব্য বুঝতে অথবা আমার জবাব বুঝাতে ভুল করেছি। সেজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!

অত্যন্ত সঙ্গতকারনেই আপনি আমার নিম্নমানের লেখালেখির সাথে তেমন পরিচিত নন, হলে জানতেন এ বিষয়ে আমার অক্ষমতার কথা। যাঁরা কষ্ট করে নিয়মিত পড়ে থাকেন তাঁরা জানেন দুটি লাইনে আমার পাঁচটি বানান ভুল আর আটটি টাইপো অবধারিত- আর এসব কারনে যে অনেক সময় অর্থও বদলে যায় তা তাঁদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার গুনে আমি তেমন গ্রাহ্য করিনি হয়তো।

তারপরও একটু চেষ্টা করে দেখি। যাইহোক, আমি আপনার লেখা "এ্যালবাম" শব্দের ব্যাবহারের প্রেক্ষিতে দেশাত্ববোধক গানের এ্যালবামের কথা বলিনি। বর্তমান শিশুরাও দেশাত্বোধক গান ভালোবাসতে পারে বলে দাবী করেছি। আবার আমি দেশাত্ববোধক গান টিভিতে অনেক শুনেছি অথচ ইদানীং টিভিতে ভারতীয় চ্যানেলের দোর্দন্ড প্রতাপের ফলে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো ম্লান তাও বলেছি- নিজের বক্তব্যের লজিক/এন্টি লজিক হিসেবে এ্যালবামের কথা এসেছে। ইদানীং নতুন এ্যালবাম তেমন বের হচ্ছেনা(আমাদের শৈশবে শোনা গানগুলোও নতুন ছিলো বলে মনে হয়না, মুক্তিযুদ্ধের কাছাকাছি সময়ের গানগুলোই কয়েক দশক পর নতুন রঙে সাজিয়ে টিভিতে দেখাতো তখন), আর আমি নিজেও তো এ্যালবামে শুনেছি এমন নয়। সেক্ষেত্রে স্কুল, শিশুদের সংগঠনগুলোর অবস্থান এ বিষয়ে অপরিবর্তিত, এই পয়েন্টটিই টিকে থাকে।
আর সব বিষয়ের মত শব্দ বিন্যাসে আমার অযোগ্যতার কারনে আপনি ভুল বুঝেছেন, আবারও দুঃখিত।

দেশাত্ববোধক গানটা আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

আমি ইহতিব বলেছেন: ভালো সুরের ভালো কথার গানের আবেদনই অন্যরকম তা সে যে ভাষাতেই হোক না কেন। আমার জামাই আরেক গান পাগল লোক। তার কারনে আর আমার ভালোলাগা থেকেও আমার অনেক গান শুনা হয়। আপনি নুসরাত ফতেহ আলির আফরিন শুনেছেন আপু? গানটা শুনতে শুনতে মনে হয় অন্য জগতে চলে যাই। আবার জগজিত সিং এর " ঠুকরাও আব কি পেয়ার করু ম্যা ন্যাশে মি হু" এই গানটা শুনলে মনে হয় আমি আবার আমার সেই যখন তখন ক্রাশ খাওয়ার বয়সে চলে যাই ;) হিন্দি অনেক অনেক গান আছে যেগুলো আমাকে মন খারাপের সময়ে অদ্ভুত ধরনের প্রশান্তি দেয়। যেমন কৈলাশের "সাইয়াঁ"

আর বাংলা গানের ভান্ডার তো বিশাল। ছোট থাকতে আম্মুর জন্য বেশী শোনা হত মান্না দে, হেমন্ত, ভুপেন হাজারিকা, সতীনাথ ওনাদের গান। আরো একটু বড় হবার পর শুনেছি ব্যান্ডের গান। কলেজে থাকতে টিফিনের টাকা জমিয়ে কিনতাম জেমস, আর্ক বা এল আরবির নতুন এলবামগুলো। দেশাত্ববোধক গানগুলোতো রীতিমত গায়ে কাঁটা দেয়ার মত।

পোস্টে ভালোলাগা জানাতে এসে নিজের অনেক কথা শেয়ার করে ফেললাম। বিরক্তির কারন হলে দুঃখিত।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৫

মানবী বলেছেন: একটুও বিরক্তর কারণ হয়নি আপু, খুব ভালো লেগেছে!
আফরিন আফরিন খুব সুন্দর গান, নুসরাত ফতেহ আলী খানের প্রথম কমার্শিয়ালাইজ(পপ চালচার ধাঁচের) গান মনে হয়! "ইয়ে জো হাল্কা হাল্কা সুরুর হ্যায়" প্রথম শুনে আসক্ত হয়েছিলাম দীর্ঘ দিন মনে আছে, আর কারো গান ভালো লাগেনি সে সময় :-)

জগজিৎ সিং এর "ম্যায় নাশে মে হুঁ" আমি প্রথম শুনেছিলাম একটি শোতে, সামনে বসে! শো'র শুরুতে দর্শকরা মৃদু আলাপ তখনও চালিয়ে যাচ্ছে, শিল্পীরা তবলায় ঠুক ঠাক করে সব টিউন করে নিচ্ছে, এর মাঝে হঠাৎ "গাম কা খাজানা তেরা ভি হ্যায়" শুরু করেছিলো- অনেকবার শোনা এই গজল সেদিন হাজারগুন বেশি আবেদন নিয়ে মুগ্ধ করেছিলো। ঐ বিশেষ শো'তে(আমি তাঁর একাধিক শোতে গিয়েছি) এই দুটো গজল প্রিয় হয়ে যায়। আর একই শো তে আবেদন হারায় "হোঠোসে ছূ লো তুম" :-)
কৈলাশ খেরের "টুটা টুটা এক পারিন্দা" সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, সাঁইয়া ও সুন্দর!

ব্যান্ডের গানের প্রতি আমার কেমন যেনো একটা নেতিবাচক মনোভাব ছিলো, কিছুটা উন্নাসিকও বলা যায়। একবার এক জনপ্রিয় ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট(আমার খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বান্ধবী'র হাজবেন্ড ছিলো) চেয়ার থেকে পরে যাবার উপক্রম করেছিলো আমি তাঁদের ব্যান্ডের নাম বা কোন গানের সাথে পরিচিত ছিলাম না জেনে। অবশ্যই অভদ্রের মতো তথ্যটা আমি জানাই নাই, আমার বান্ধবী বলে দিয়েছিলো :-)

ভদ্রলোক পারলে ঐখানেই গান শোনানো শুরু করেন :-)

গান বিষয়ক আলোচনায় কোন ক্লান্তি নেই, বিরক্তির তো প্রশ্নই আসেনা আপু। আপনার চমৎকার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার প্রায় পোস্টসম বিশাল জবাবে স্পষ্ট হয়েছে আশা করি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমি ইহতিব।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো। বাবু এখন ভালো আছে আশা করি।


এই জবাবটি এই নিয়ে তৃতীয়বার পোস্ট করছি! অল্প সময়ের জন্য ব্লগে এসে তাড়াহুড়ো করে মন্তব্য/জবাব দিতে গিয়ে হাজারটা ভুল আর বাদ হয়ে যায়!! :(

২৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার ভূবন, আমারই।। বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে।। এখানে কারো প্রবেশাধীকার থাকতে পারে না।। এখানে আমি মগ্ন, আমাতে।।
তাই কয়েকবারই এসে পড়ে গেলাম,

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মানবী বলেছেন: অবশ্যই। আপনার গানের ভূবন আরো আরো বেশী আনন্দের হয়ে উঠুক শুভকামনা রইলো :-)

আমার এই এলোমেলো লেখা আপনার একাধিক পাঠে অনেক অনেক সন্মানিত হলো!
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সচেতনহ্যাপী।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

মেহবুবা বলেছেন: সতর্কবাণী মানতে পারছি না ।
ভালো থেকো মানবী।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০০

মানবী বলেছেন: ‌ইদানীং অনেকে সব ব্লগে সাহিত্যরস খুঁজে, আমার পোস্ট যে সাহিত্যের পাশ দিয়ে হাঁটেনা তাই আগেই সতর্ক করেছি।

সেই সতর্কবানী একটুও আপনার জন্য নয় কারন যতো পচা লেখাই হোক আপনি বরাবর আমার এলেবেল লেখাগুলো গভীর মমতা দিয়ে পড়ে সুন্দর মন্তব্য রেখে যান। খুব খুব ভালো লাগলো অনেক দিন/বছর পর আপনাকে দেখে।

আন্তরিক ধন্যবাদ মেহবুবা।
ভালো থাকুন প্রতি মুহুর্ত।

২৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন লেখা! ৫০-৬০ বছর আগে সেই হেমন্ত লতা মোহরদি জর্জদা শামশাদ শুরু আর এগোয়নি, ওখানেই শেষ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

মানবী বলেছেন: উল্লেখিত আর সবাই সঙ্গীত ভূবনের কিংবদন্তী! তাঁদের গান দিয়ে শোনা শুরু হলে অন্য কিছু ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক। আমাকে যিনি পুরনো দিনের গানের ডজন ডজন এ্যালবাম উপহার দিয়েছিলেন তিনিও এই নামগুলোই বলেছিলেন।জর্জদা শুধু অপরিচিত, হয়তো অন্য কোন নামে চেনা যাবে।

পরবর্তীতে যখন পুরনো দিনের গান ভালো লাগে, সেসব গানে আজও কোন ক্লান্তি নেই!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: মানুষের ভালোলাগাটা সবসময়ই আপেক্ষিক।
শৈশবের অনেক কিছুই এখন হারিয়ে গেছে।ভালো লাগার রুচিবোধের পরিবর্তনও এসেছে অনেক।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।
গানের ক্ষেত্রে আমার শৈশবে অনেক খারাপ লাগা ভালো লাগায় রূপান্তরিত হয়েছে তবে শৈশবে ভালোলাগা সব গান এখনও ভালো লাগে :-)

কষ্ট করে দীর্ঘ পোস্ট পড়ে মন্তব্যে করেছেন, অনেক ধন্যবাদ নাদিম আহসান তুহিন।
ভালো থাকুন।

৩০| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।
আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।


আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।
আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।




আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।
আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।


আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।
আপনার দোয়ায় আমার রাজকন্যারা ভালে আছে। পোস্ট পড়েছি। কাজে লাগবে যেটা সেটা প্রিয়তেও রেখেছি। আমার রাজকন্যাদের ছবি দিলাম আপনার জন্য। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে আমাকে এক্টিভ পাবেন। আমি লিখছি সেখানে। ব্লগে অনেক তদ্বির করে কাজ হয়নি। শায়মাও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছে।






২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪০

মানবী বলেছেন: রাজকন্যারা ভালো আছে জেনে খুব ভালো লাগলো, আলহামদুলিল্লাহ্!

মাশআল্লাহ্ খুব সুন্দর হয়েছে। ছোট ছোট দুটো পুতুল দাঁড়িয়ে আছে মনে হয়। মহান আল্লাহ্ ওদের সবস সময় সুস্থ, সুন্দর আর নিরাপদ রাখুন প্রার্থনা করি।

দুই পরীর ছবি দিয়ে সকালটা সুন্দর করে দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। মাশআল্লাহ্ ওদের নিষ্পাপ হাসি দেখে সত্যিই মন ভালো হয়ে গেছে। :-)


আমার ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট নেই। আপনাকে ব্যান কেনো করেছে তাই বুঝতে পারছিনা!
আশা করছি খুব শিঘ্রী(বানানটা বিরক্ত করছে? বুঝতে পারছিনা কোনটা সঠিক :( )আনব্যান করবে আর আপনার চমৎকার সব লেখা পড়ার সুযোগ হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৩১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

এরশাদ বাদশা বলেছেন:
নিগার।


মেহের।



২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

মানবী বলেছেন:
আইডেন্টিকাল টুইন :-)

আপনার ঘরে দু দটৌ চাঁদ, মাশআল্লাহ্! অনেক অনেক ভালো থাক ওরা দুজন।
একটু সময় নিয়ে দেখি যদি আলাদা করে আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হয়!!!

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন:

এবার আপনি বলুন, মেহের কোনজন নিগার কোনজন? :)

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৩

মানবী বলেছেন: প্রথমজন মেহের পরের জন নিগার।

ঠিক হয়েছে? খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি জবাবের জন্য।
শিঘ্রী জানাবেন ভাইয়া!


আপনার এবং পুরো পরিবারের জন্য আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৩৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

এরশাদ বাদশা বলেছেন: হা হা হা হা। সবার মতো আপনিও ভুল করেছেন। প্রথমজন নিগার (বামপাশেরজন) পরের জন মেহের।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

মানবী বলেছেন: :(

এখম জানার পর মনে হচ্ছে, তাই তো! খুব সহজেই চেনা সম্ভব ছিলো, ভুল হলো কিভাবে!!! :(

নিগার আর মেহেরের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। ভালো থাকুন ভাইয়া।

৩৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২১

এরশাদ বাদশা বলেছেন: কিছু যদি মনে না করেন, আমি আপনার ছোট ভাই হিসেবে একটা অনুরোধ করবো...আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে আমার..সম্ভব?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২১

মানবী বলেছেন: এই অক্ষমতা আমার সীমাবদ্ধতা ভাইয়া, আশাকরি বড়বোনের এই সীমাবদ্ধতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

হয়তো দেখবেন একদিন হঠাৎ বাস্তবেই কোথাও দেখা হয়ে গেছে!!! :-)

অনেক অনেক ভালো থাকুন প্রিয় এরশাদ বাদশা।


৩৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জর্জদা শুধু অপরিচিত, হয়তো অন্য কোন নামে চেনা যাবে (২৮ নং প্রতিমন্তব্য) -- রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস কোলকাতায় এবং ভারতের অন্যান্য অংশে জর্জদা নামে সুপরিচিত।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

মানবী বলেছেন: তথ্যটি শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
সময় করে দেবব্রত বিশ্বাসের গান শুনবো।


অনেক অনেক ভালো থাকুন সব সময়।

৩৬| ০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

সুরঞ্জনা বলেছেন: সময়, পারিপার্শিকতা মানুষের রুচি অনেক বদলে দেয়। আমার জ্ঞ্যান হবার পরই রবীন্দ্রসংগীতের সাথে মিতালি। তারপর আস্তে আস্তে কত গান ভেসে এলো। কিছু তার উড়ে গেলো, কিছু মনের মেঘে আটকা পরে রয়ে গেলো।

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন আপু। রুচি পাল্টে যায় শুধু গানে নয়, জীবনের অনেক ক্ষেত্রে। কোন কোনটা এক সময় অসহনীয় হয়ে উঠে!

ব্লগে নতুন লেখা দিন আপু। আপনার লেখা খুব মিস করি।
আবারও বলছি, আপু আমি আপনার মেইল দেখার সাথে সাথে রিপ্লাই করেছি, দেখেছি একটু দেরীতে- সেই জন্য সরি।
রিপ্লাই পেয়েছেন আশা করি।


অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুরঞ্জনা আপুকে।
ভালো থাকুন প্রতি দিন, প্রতি মুহুর্ত।

৩৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: শ্যামলমিত্রের কন্ঠে "তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো" গানটা ছাড়া আর কোন গান মনে দাগ কাটতে পারেনি (১২ নং প্রতিমন্তব্য) - শ্যামল মিত্রও কি এ গানটি গেয়েছিলেন? আমি তো শুনেছি শুধুই তালাত মাহমুদ এর কন্ঠে।
অনেকদিন ধরে আপনাকে ব্লগে দেখছি না। আশাকরি পুনরায় ফিরে আসবেন, স্বমহিমায়, স্বভূমিকায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.