নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

Misty Taste Of Moonshine....

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৫




আমি চাইছি তুমি চিঠিটা পড়।
মনে প্রাণে প্রার্থনা করছি এটা তোমার চোখে পড়বে ....

চিঠিটা পড়া খুব জরুরী, তোমার জন্য আবার আমার জন্যও!
জীবনে কখনও এভাবে কাউকে লেখা হয়নি তাই অনেক এলোমেলো হবে!
এতো বছর পর তোমাকে কিছু বলছি...

কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা! আচ্ছা, যেভাবে লেখার তাগিদটা এলো তা দিয়েই হোক।

গত প্রায় ছয় সাত মাস হিন্দী একটি গান মনে মনে ঘুরছে। এর মাঝে আমি দেশ বিদেশ ঘুরে এসেছি, গানটা কখনও ঘুমিয়ে, কখনও জেগে আবার কখনও নিজের মতো ভেসে বেড়িয়েছে আমার মনে। শেষে মাথা থেকে নামাতেই হয়তো গানটা শোনা শুরু করি, শুনি না বলে শোনা শুরু করি বলছি কারন..... যেভাবে এটা মগজে বেজে যেতো তার চেয়েও ভয়াবহ এক লুপে শোনা শুরু হয়!গানের স্ক্র্যাচটার হাহাকার আর আকুতি শুনে চমকে যাই!!!! ঘরে বাইরে, ড্রাইভ করার সময় এই এক গান; এমনকি প্লেনের জানালার বাইরে তাকিয়ে মেঘ আর অনেক নীচের পৃথিবীটাতে চোখ পড়তেই কোথায় যেন রিন ঝিন করে বেজে উঠে!

হঠাৎ মনে হলো, আচ্ছা আমার অলটাইম ফেভারেটটা শুনে দেখি এই গানের ঘোর কাটানো সম্ভব হবে হয়তো! ভাবা মাত্র বাজালাম বিজিস এর সেই অপার্থিব সঙ্গীত, আর ম্যাজিকের মতো কাজ হলো। Wish You Were Here নিমেষে সেই গানকে ছিটকে ফেলে আমার নিউরনে নিজের আসনটা পূণর্দখল করে নিলো। বিভিন্ন সময় শুনতে শুনতে হঠাৎ মনে হলো কবে এটা প্রথম শুনেছি! রোহান, আমি চমকে গেলাম ভেবে- এতো হাজার বার শোনা এই গান যে প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে আমাকে প্রথম শুনিয়েছিলো সেই তুমি কখনও এই গানের অপর পার্শ্বে ছিলেনা!

তারপর কেমন অপরাধবোধ হতে লাগলো।

তোমার সাথে ঠিক প্রথম কবে দেখা হয়েছিলো আমার মনে নেই, তোমাকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো দিন তারিখ, সময় ঘন্টা বলে দিতে পারবে। শুধু মনে আছে তোমার সাথে যখন বন্ধুত্ব হলো, কথা বলা শুরু হলো তুমি বলেছিলে সেই ছেলেবেলায় প্রথম দেখার মুহুর্তেই তুমি পণ করেছিলে আমার সাথে বন্ধুত্ব করেই ছাড়বে। তোমাকে কোন মেয়ে পাত্ত্বা দেয়না এমন ঘটেনা, তুমি কখনও দেখোও নাই তাই আরেকটু বড় হবার পর তোমার এমন জেদটা জোড়ালো হয়।

তুমি কতো পাগলামী করতে রোহান আর আমার ঔদাসীন্যে হতাস হতে! শুধু একবার রাগ করেছিলে, সেদিন রাগে তোমার চোখে পানি এসেছিলো কিনা জানিনা কারন তা জানার বা জানতে চে্ষ্টা করার মানসিকতা সত্যিই তখন আমার ছিলোনা। "তুমি বুয়েটে ভর্তি হয়েছো এটা আমাকে বাইরের লোকের কাছে শুনতে হলো লাবনী?"- এমনটাই বলেছিলে, তাইনা? আমার নির্লিপ্ততা বা ঔদাসীন্য সচেতনভাবে ছিলোনা বিশ্বাস করো, আমার কাছে সত্যিই কখনও জরুরী মনে হয়নি তোমাকে বা কাউকে ফোন করে আমার বৃত্তান্ত জানানো প্রয়োজন। হয়তো তোমার বেশি খারাপ লেগেছিলো তোমার বন্ধুও আমার ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলো, সেই তোমাকে জানিয়েছে বলে।

আচ্ছা, আমি আজও বুঝতে পারিনা তোমার কোন বন্ধুকেই যেখানে আমি কখনও দেখিনি ওরা সবাই আমাকে কিভাবে চিনতো? খুব আশ্চর্যজনক! তোমার আরেকটা কি বন্ধু ছিলো যেনো? শুভ- তাইনা? এই শুভ লিখতেও এখন মনে হচ্ছে তোমার চোখে পড়ুক আর না পরুক শুভর চোখে ঠিকই এই চিঠি পড়বে আর সে যথারীতি মুহুর্তের মাঝে তোমাকে জানাবে! যাইহোক, এই শুভ মনে হয় ছিলো "লাবনী হেইট ক্লাব"এর উদ্যোক্তা আর প্রধান।

রোহান, তুমি আমার কাছে শুধু একজন বন্ধু ছিলে। তুমি কেনো, কাউকেই তখন এবং অনেক বছর পর্যন্ত আমার প্রেমিক মনে হয়নি। প্রেম ভালোবাসা জিনিসটা সকলের মাঝে থাকেনা। আমি তাদের অন্যতম। যদি বন্ধু হিসেবে কোন ছেলের সাথে মেয়েরা কথা বলে তাহলে তাকে শুধু বন্ধুই ভাবে অন্য কিছু নয় এমন মেয়ের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। তোমার সাথে আর সকলের এই পার্থক্য ছিলো, পারিবারিক বন্ধুত্বের কারনে তুমি সহজেই ফোন করার, ড্রইংরুম পর্যন্ত আসার অধিকার রেখেছিলে অন্যদের তা ছিলোনা!

এই চিঠি লিখতে গিয়ে, এতো যুগ পর অণুভব করছি কি তীব্র আবেগ নিয়ে তুমি বার বার ছুটে আসতে! পৃথিবীর কোন ভালো কিছু তুমি আমার সাথে শেয়ার না করে থাকার কথা ভাবতে পারতে না... সে একটা ভালো বই হোক অথবা গান, কোন সুন্দর কার্ড হোক অথবা ঘটনা, সুন্দর কোন ফুল, এমনকি তোমার বোনের ছেলের জন্মদিনের কেকটাও তুমি আমাকে ছেড়ে একা এনজয় করতেনা। আর আমি? এখন বুঝি কেনো আমার সহপাঠি ছেলেরা আমাকে স্টিল হার্টেড বলতো। আসলে ওরা অনেক ভদ্রতা করেই এমনটা বলতো, এই মুহূর্তে তোমার তীব্র আবেগের পাশে নিজের ইনডিফারেন্সটা মনে করে নিজেকে সেসময় একটা পাথরের দেয়াল ছাড়া কিছু মনে হচ্ছেনা! বাড়ির সবচেয়ে ছোট হবার কারনেই কিনা জানিনা, বিশ্বাস করো আমার মগজে সেসময় একবারের জন্যও তোমার অনুভূতির এই তীব্রতা প্রবেশ করেনি।

তুমি কতোভাবে বুঝাতে চাইতে। এমনও বলেছো, "বান্ধবীদের সাথে তো বাইরে যাও, আর্ট এক্সিবিশন, বইমেলা কতো জায়গায় যাও... আমাকে বন্ধু মনে করো, আমার সাথেও চলো"। আমার রক্ষণশীলতাটা পরিবার থেকে চাপিয়ে দেয়া ছিলোনা বরং সেল্ফইম্পোজড ছিলো বলেই হয়তো খুব বেশি দৃঢ় ছিলো। তুমি বা কোন ছেলের সাথে কখনও বাইরে যাবার আগ্রহ হয়নি।
তুমি আমাকে এক রকম জোড় করেই "গর্ভধারিনী" পড়িয়েছিলে, আর বলতে একটু পুরুষালী টাইপ মেয়ে হলে কি হতো? ডানিপিটের মতো আমার সাথে বাইরে একটু ঘুরে বেড়াতে। সেসময় খুব বিরক্তবোধ করলেও আজ হাসি পায় মনে করে।

তুমি যেদিন এসে বলেছিলে দুদিন আগে বন্ধুদের সাথে মদ খেয়েছো, আমি হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেনো? আমি আজও ভাবতে পারিনা একজন ১৮ বছরের মানুষ মদ খেতে পারে, এমনকি এই দেশেও। তুমি কি জবাব দিয়েছিলে? "কষ্টটা, যন্ত্রণাটা কমে"- শুনে প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছিলাম আর ভেবেছিলাম স্বস্তা টাইপ বাংলা সিনেমা বেশী দেখছো মনে হয়। আমার একবারও মনে হয়নি তুমি চেয়েছিলে আমি জানতে চাই "কিসের কষ্ট?" সেসময় না বুঝলেও আজ বুঝতে পারছি তোমার বন্ধুরা আমাকে কখনও না দেখেও এতো অপছন্দ করতো কেনো! তুমি যতো বেশি বেশি ভালোবাসতে, ওরা আমাকে ততোটাই ঘৃনা করতো।

তোমার সাথে প্রায় নয় বছর পর দেখা হলো। ডিসেম্বরের প্রচন্ড ঠান্ডা আর হুহু বাতাসে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে, মাঝনদী থেকে ছুঁড়ে দেয়া থার্টিফার্স্টের ফায়ারওয়ার্ক্স দেখে ভিড় বাঁচাতে শেষ হবার আগেই পার্কিংলটে ফিরে যেতে উদ্যত হই! পিছন ফিরে কয়েক পা হাঁটতেই "এক্সকিউজ মি, তুমি লাবনী" বলে মাটি ফুঁড়ে যেনো সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলে!!! আমি ভুত দেখার মতো চমকে গিয়েছিলাম! বিভিন্ন জাতি আর বর্ণের হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে যেনো হারিয়ে না যাই, একহাতে আমার মায়ের হাত আঁকড়ে আছি। এই দূর প্রবাস, তার উপর এই শতবর্ণের মানবসমুদ্রের মাঝে তুমি আমাকে কিভাবে খুঁজে পেয়েছিলে? আমার স্বামী আমার আরেক হাত শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে, তোমার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই- তুমি লাবনী লাবনী করে ডেকে যাচ্ছো। মাথার উপর বর্ণিল ফায়ারওয়ার্কসের আকাশ বাতাস কাঁপানো শব্দ, তার মাঝেও তোমার ডাক শোনা যাচ্ছিলো!

আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সব সময় বলে, "Never say never. Life is stranger than fiction"। তাঁর জীবনে এখনও সেই ফিকশন হাজির হয়নি অথচ তোমার.....

তুমি ইদানীং কি করছো জিজ্ঞেস করতেই তুমি "পি এইচ ডি। ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জিনিয়রিং এ" বলে একটা অদ্ভুত হাসি দিয়েছিলে, সে হাসির অর্থ শুধু তুমি আর আমি জানি! তুমি ধারনা করতে পারবেনা তখন আমি কতোটা খুশী হয়েছিলাম! তোমার সাথে আমার বন্ধুত্বের এতোগুলো বছরের দীর্ঘ সময়ের মাঝে শ্রেষ্ঠতম মুহুর্ত ছিলো সেটা- থ্যাংক ইউ রোহান। আনন্দটা কেনো, ভালোলাগাটা কেনো-- সেটা শুধু তোমার আমার মাঝেই থাক।

পরমুহুর্তেই অবশ্য আবার আনন্দটা ফিরিয়ে নিয়েছ। যখন বিদায় নিতে চেয়েছি, তুমি বললে "হ্যাঁ, আমিও আসি। বন্ধুরা পাবে অপেক্ষা করছে"। তার সাথেও তোমার একটা হাসি ছিলো, আমার কাছে অসহনীয় মনে হয়েছে। শোন, তুমি হয়তো জানোনা, এটা বলে তুমি আঘাত করার চেয়ে বেশি ভালোবোধ করিয়েছো! রিয়ালাইজ করেছি আমি কোন ভুল করিনি।

তোমাকে একটা মজার ঘটনা কখনও বলা হয়েছে কিনা জানিনা! তোমার মনে আছে একবার, আমি নাতাশার সাথে তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে একদল মেয়ের মাঝে অপরাজেয় বাংলার সামনে বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ কোথা থেকে তুমি উদয় হলে! তুমিও এসেছো তোমার বন্ধুর সাথে। ফিরে যাবার পথে ঢাকা ভার্সিটির বিশাল চত্বরেও আমাকে তুমি খুঁজে নিয়েছো! তুমি যখন হরবর করে আমার সাথে কথা বলে যাচ্ছিলে তখন জানতাম না নাতাশার বান্ধবীরা তোমাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে বসে আছে। তুমি যাবার সাথে সাথে তোমার কথা জানতে চাইলো ওরা। নাতাশা বললো, আমি লাবনীকে এতো বুঝাতে চাইছি এই রোহান তোর জন্য পাগল হয়ে আছে, ও বিশ্বাসই করেনা। ‌যাই হোক, পরে ওর কাছে শুনেছি ওরা কয়েকজন তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। মেয়েরা যে আগ্রহ নিয়ে ছেলেদের সাথে পরিচিত হতে চায়, আরেকবার দেখা করার সুযোগ চায় আমার জন্য সেই প্রথম জানা! তবে এটা নিশ্চয় তোমার কাছে কোন নতুন ঘটনা নয়।

ওহ্! তুমি কি জানো বিজিসের এই গান কোন প্রেমিকা বা প্রেমিকের জন্য লেখা নয়। সদ্য প্রয়াত ভীষণ ভালোবাসার ছোট ভাই এ্যান্ডি গিবের উদ্দেশ্যে তার বড় ভাইয়েরা রবিন, ব্যারি আর মরিস গিব লিখেছে। নিখাদ শুদ্ধতম ভালোবাসা আর গভীর আবেগ দিয়ে গওয়া বলেই হয়তো এটা গান না হয়ে সৃষ্টি করেছে এক ভূবন ভুলানো প্রার্থণা, একটা কান্না!!!

সুমি আপার কাছে শুনেছি তোমার বৌ খুব লক্ষী আর ভালো মেয়ে। তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে বলে হেসেছে অনেক। যখন কোন ননদ বাড়ির বৌয়ের প্রশংসা করে, বুঝতে হবে সে আসলেই ভালো। রোহান, তুমি অসাধারন ভালো ছেলে, আমি বিশ্বাস করতে চাই তোমার বৌকে তুমি ভালো রেখেছো। যে তোমার ভালোবাসার দিকে ফিরে তাকায়নি তার জন্য পাগল না হয়ে যে নিজের ভালোবাসা তোমার পায়ে ঢেলে দিয়েছে তার দিকে মনযোগ দিয়েছো।

আমি চাই তোমার ছোট্ট ফুটফুটে একটা মেয়ে হোক। ফুলের মতো সেই মেয়ের এলো চুলে হাত বুলিয়ে দেবার সময় তুমি ভুলে যাও আর কারো কাঁধের কাছে আনমনে পরে থাকা চুলের কথা। ছোট্ট বাবুটার নিষ্পাপ সরল হাসি তোমাকে ভুলিয়ে দিক কারো মুখে এক ঝলক হাসি দেখতে চাওয়ার তোমার এক অদ্ভুত তৃষ্ণা আর সাধনার কথা।

চিঠি লিখতে বসে এই সাতকাহন লেখার মূল কারনে আসি। তুমি বলতে আমার কাছে তুমি পোকামাকড়ের মতো নগণ্য, এটা ভুল ছিলো। প্রেম ভালোবাসাই একমাত্র গভীর সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্বও সুন্দর আর গভীর সম্পর্ক। তুমি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে শুধু ভালোবাসা খুঁজছিলে বলেই দেখতে পাওনি আমি খুব অপছন্দ করা সত্ত্বেও তোমার দেয়া কান্ট্রি মিউজিক গুলো শুনেছি। তুমি জানতে ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস আর জন ডেনভারের কান্ট্রিরোড ছাড়া বাকি সব কান্ট্রি মিউজিক সেসময় বড্ড বিরক্তিকর মনে হতো, তারপরও তোমার দেয়া জন ডেনভারের গানগুলো আমি শুনেছি। তোমাকে ভালো বন্ধু মনে করেছি বলেই প্রচম্ড অনিচ্ছা সত্ত্বেও খুব অল্প সময়ের মাঝে তোমার দেয়া শির্ষেন্দুর কালবেলা সিরিজ আর সুনিলের "এখনই সময়" পড়ে শেষ করেছিলাম। তুমি এসব দিয়েই ক্ষ্যান্ত হতেনা।

তোমাকে যে সত্যি অবজ্ঞা করছিনা তার প্রমান হিসেবে চাইতে আমি ওসব বুক সেল্ফের কোনায় ফেলে না রেখে সাথে সাথে পড়ে শেষ করি।
তুমি যা ভাবতে তোমাকে তাচ্ছিল্য করার কথা, আমি কখনও সচেতনাভাবে তা করিনি। তারপরও, আমার জন্য যতো কষ্ট পেয়েছো, যতো যন্ত্রণা সহ্য করেছো তার জন্য "আই এ্যাম সরি, ভেরি ভেরি সরি মাই ফ্রেন্ড"

যেকোন ভাবেই হোক এই সাইট তুমি খুঁজে পাও রোহান, চিঠিটা পড়।।।



*** আমি মনে প্রাণে চাই তুমি এই চিঠিটা খুঁজে পড়, তবে এটা পড়ার পর সেই থার্টিফার্স্টের মতো এখানে লাবনী বলে চিৎকার করে উঠোনা প্লিজ। সেদিন এক সমুদ্র অচেনা মানুষের ভীড়ে কিছু এসে যায়নি, এখানে বিব্রত হবো। বুঝতে পারছো কতোখানি অস্বস্তি আর দ্বিধা নিয়ে এমন চিঠি আকাশের ঠিকানায় উড়িয়ে দেয়া যায়**


ছবিসুত্র :- ইন্টারনেট

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

বিলকিছ৫৩৯২ বলেছেন: ভাল

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ বিলকিছ৫৩৯২ :-)

ভালো থাকুন।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

রবি১০ বলেছেন: http://naeemabbasa.livejournal.com/' target='_blank' >ভালো থাকুন।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

মানবী বলেছেন: এটা কি?

শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: জীবনে এমনও হয়। একজন ভালোবেসে কষ্ট পেয়ে যায় আরেকজন টেরও পায়না। মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত। কখন যে কি চায়, কি অনুভব করে মানুষ নিজেও জানেনা।
হিন্দি গানটা আমারও খুব পছন্দের।
খুব সুন্দর হয়েছে চিঠিটা। সে নিশ্চই পড়বে :)
শুভ কামনা আপু

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

মানবী বলেছেন: আমার খটমট সব লেখালেখির মাঝে হঠাৎ হঠাৎ গল্প লেখার প্রচেষ্টার দুঃসাহস করি!
এটা তেমনই একটা কিছু! সাহিত্যমান তেমন নেই দেখে সেভাবে গল্প বলে দাবী করতেও দ্বিধাবোধ করছি।

আপনার কাছে সুন্দর মনে হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় উন্মে সায়মা। ভালো থাকুন সব সময়।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: What an incredibly attractive caption! The story is stranger than fiction. The two in fusion has left me bewildered with an exclamation- awesome! গল্পটা পড়ে এটাই আমার Instant reaction।
গল্পটা পড়ার সময় কিছুতেই মনে হচ্ছিলনা এটা আমি মানবীর লেখা পড়ছি। তবে এক নিঃশ্বাসে পড়েছি। আর মুগ্ধ হয়েছি, অভিভূত হয়েছি, ভেবেছি।
চিঠিটা পড়া খুব জরুরী, তোমার জন্য আবার আমার জন্যও - ঘটনার যা পরম্পরা, তাতে কেন এটা এত জরুরী তা পরিষ্কার হয় নি।
মহেশ ভাট এর হিন্দী গানটা চমৎকার। বী জীস এর গানটাও। বী জীস এর আরো কয়েকটা গান আমার খুব প্রিয়। How Deep Is Your Love স্মৃতিময়।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

মানবী বলেছেন: এটা পোস্ট করার সময়ই মনে হয়েছে ছোট গল্পের ঠিক সেই সংজ্ঞায় পরছেনা! "শেষ হয়ে হইলোনা শেষ" আর শুরুই তো শেষ দিয়ে! :-)

লাবনীরা ভালোবাসতে না জানলেও তাদের কষ্টানুভূতি টা থাকে! দীর্ঘদিন পর প্রিয় গানটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে গিয়েই রোহানের তীব্র কষ্ট স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রিয় বন্ধুকে অণ্তঃত এটা জানানো জরুরী যে সে নিতান্তই মূল্যহীন ছিলোনা। প্রেম ভালোবাসা নহলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। নিজের Guilty conscious থেকে বাঁচতেই এটা জরুরী। আকাশের ঠিকানায় চিঠি ছেড়ে ক্ষীণ আশা হয়তো বন্ধুটা পড়বে, জানবে, বুঝবে!

অরিজিত সিং এর মতো গায়ক এই গান গাইতে খুব ভয় পেয়েছিলো। কিছুতেই গাইতে চাইছিলোনা। তাকে সাহস দিতেই মহেশভাট স্ক্র্যাচটা গেয়ে শোনায়! স্ক্র্যাচটা আমার বেশি পছন্দ।

আপনার মতো সাহিত্যবোদ্ধার কাছে থেমে এধরনের মন্তব্য পেয়ে খুব উৎসাহিত হয়েছি, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
আপনার রিভিউটি লেখাটিকে সন্মানিত করেছে। অনেক অনেক ভালো থাকুন খায়রুল আহসান।


স্টোরী ফিকশনের মতো ঘটনাটা হয়তো ফিকশন নয়, আবার হতেও পারে :-)

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০০

পুলহ বলেছেন: "প্রেম ভালোবাসাই একমাত্র গভীর সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্বও সুন্দর আর গভীর সম্পর্ক... "
সুন্দর লেখা, শিরোনামটা দেখে না পড়ে থাকতে পারলাম না। এবং পড়ার সময় কেমন একটা ' Life is old there, older than the trees....' এর আমেজ পেয়েছি ! তার কারণ সম্ভবত যখন গল্পটা পড়ছিলাম, তখন চোখের সামনে পুরনো দিনের- আমি নিজেও যখন ছোট ছিলাম- সেই সময়কার বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকরো নানা ছবি ঘুরপাক খাচ্ছিলো।
লেখার যেসব জায়গায় মগজ শব্দটা ব্যবহার করেছেন, সেটা অন্য কোন শব্দ দিয়ে রিপ্লেস করতে পারেন- একান্তই একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে ব্যক্তিগত মতামত।
ভালো থাকুন আপু !

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

মানবী বলেছেন: মনে আছে বা মাথায় আছে বলার চেয়ে মগজে আছে বা মগজ থেকে বের করতে চাইছি বলার মাঝে বিষয়টা জোড়ালো মনে হয়। হয়তো আমার পেশার কাছাকাছি শব্দ বলেই কিছুটা পক্ষপাত! সাধারনত যা করিনা, আপনার সন্মানার্থে একটা বদলে দিয়েছি, আরেকটা আছে।
প্রচলিত বা প্রথাগত সাহিত্য আমাকে দিয়ে সম্ভব না, তাই নিজের স্টাইলেই লেখার দুঃসাহস করি মাঝে মাঝে :-)

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ পুলহ।
ভালো থাকুন ভাইয়া।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

দূরন্ত বলেছেন: অসাধারণ...

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর কোন ভালো কিছু তুমি আমার সাথে শেয়ার না করে থাকার কথা ভাবতে পারতে না... সে একটা ভালো বই হোক অথবা গান, কোন সুন্দর কার্ড হোক অথবা ঘটনা, সুন্দর কোন ফুল, এমনকি তোমার বোনের ছেলের জন্মদিনের কেকটাও তুমি আমাকে ছেড়ে একা এনজয় করতেনা -- গভীর ভালবাসা এমনই হয়।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

মানবী বলেছেন: এটা যে ভালোবাসা তা লাবনীদের মতো বোকা মেয়েদের অনুধাবনেই কয়েক যুগ কেটে যায়। অনেকটা সময় পেড়িয়ে, জীবনের হাজার রূপ দেখার পর তাদের বোধদয় হয়- রোহানদের ভালোবাসা সত্য ছিলো কোন ইনফ্যাচুয়েশন বা টিনএজ ক্রাশ নয়।

এই অনুধাবন, এই সত্যটা রোহানকে জানানো জরুরী লাবনীর নিজের জন্যও।

আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
সাহিত্য জাতীয় কিছু আমি খুব ভয়ে ভয়ে পোস্ট করি, আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানে সাহসী হয়ে উঠছি :-)

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

পুলহ বলেছেন: "সাধারনত যা করিনা, আপনার সন্মানার্থে একটা বদলে দিয়েছি"-- কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।
এবং সাথে সাথে লেখক হিসেবে আপনার কনফিডেন্ট মনোভাবেরও প্রশংসা করছি। কারণ, যত যাই হোক- পাঠক হয়তো স্রেফ তার মতামতটুকু জানাতে পারেন, দিনশেষে তো আসলে সিদ্ধান্তটা লেখকের।
আবারো আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানুন ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

মানবী বলেছেন: ঔদার্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনি একজন সৎ পাঠক, আপনার ভালোলাগা অথবা আপত্তিটা ভদ্রভাবেই সহজে জানিয়ে দিতে জানেন।
এটা একটা বিরল গুন বিশেষ করে বর্তমান সময়ে। আপনার সততাকে শ্রদ্ধা করি :-)

অনেক ভালো থাকুন।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী,



""বুঝতে পারছো কতোখানি অস্বস্তি আর দ্বিধা নিয়ে এমন চিঠি আকাশের ঠিকানায় উড়িয়ে দেয়া যায়**"
একেবারে শেষের এই লাইনটির মতো লেখার সমস্ত গা জুড়ে একটা অস্বস্তি নিয়ে , একটা দ্বিধা নিয়ে ; ভালোবাসা মানে যে বন্ধুত্ব ও হতে পারে তা বোঝাতে প্রানান্তকর কথামালার উড়েউড়ে যাওয়া দেখলুম ।

অভিনব বিন্যাসের আর অনেক কথা না বলেও অনেক কথা বলার ষ্টাইলটা ভালো লাগলো ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

মানবী বলেছেন: আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে পোস্টটি স্বার্থক হলো।
গল্প উপন্যাস জাতীয় লেখা আমি বরাবর দ্বিধান্বিত হয়ে পোস্ট করি, এব্যাপারে পারদর্শিতা প্রায় শূণ্য বলে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
অনেক ভালো থাকুন।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা জিনিসটা সকলের মাঝে থাকেনা। আমি তাদের অন্যতম ---
এখন বুঝি কেনো আমার সহপাঠি ছেলেরা আমাকে স্টিল হার্টেড বলতো। ... নিজের ইনডিফারেন্সটা মনে করে নিজেকে সেসময় একটা পাথরের দেয়াল ছাড়া কিছু মনে হচ্ছেনা!----
-- কঠিন দেয়ালেও বট পাকুড়ের চারা গজায়। :)
জোড় করেই "গর্ভধারিনী" পড়ে কেমন লেগেছিল?
আর ভেবেছিলাম স্বস্তা টাইপ বাংলা সিনেমা বেশী দেখছো মনে হয় - :) এ কথা শুনে রোহানের মনস্তাপটা আরেকটু বেড়ে যাবে বৈকি!
তোমার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই- তুমি লাবনী লাবনী করে ডেকে যাচ্ছো - খুব উপভোগ্য একটা ব্যাপার।
আনন্দটা কেনো, ভালোলাগাটা কেনো-- সেটা শুধু তোমার আমার মাঝেই থাক - আপনার পাঠকদেরকেও একটু ভাগ দিলে পারতেন! :)
রিয়ালাইজ করেছি আমি কোন ভুল করিনি -- এ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স!

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

মানবী বলেছেন: কঠিন দেয়ালে গজানো বটপাকুরের চারায় দূর্ভাগ্যবশতঃ রোহানদের নাম লেখা থাকেন!

জোড় করে গর্ভধারিনী পড়ার পরের অনুভূতির ব্যাখ্যাটা কেমন হতে পারে, এটা ভেবে দেখিনি!
এনি আইডিয়া? :-)

পাঠকদের ১০০% এর ভাগ দেয়া হলো আর যে উহ্য থেকে তা সাধারনত পাঠকের অনুমান/কল্পণার উপর ছেড়ে দেয়া হয়! আমি পাঠক হিসেবে বরাবর তেমনটাই করেছি :)
ক্লাইমেক্স, এন্টিক্লাইমেক্স লক্ষ্য করিনি আগে, এক ফ্লো তে লিখেছি এটা।

আপনার বিশ্লেষন ভালো লাগলো, ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: যে তোমার ভালোবাসার দিকে ফিরে তাকায়নি তার জন্য পাগল না হয়ে যে নিজের ভালোবাসা তোমার পায়ে ঢেলে দিয়েছে তার দিকে মনযোগ দিয়েছো -- ভালবাসা কোন ব্যাকরণ মানে না। আর মানলেও, অনেক সময় ব্যাকরণে বিধানের চেয়ে ব্যতিক্রম বেশী হয়ে থাকে।
ফুলের মতো সেই মেয়ের এলো চুলে হাত বুলিয়ে দেবার সময় তুমি ভুলে যাও আর কারো কাঁধের কাছে আনমনে পরে থাকা চুলের কথা -- এই বাক্যটি দিয়ে আপনি শত পাঠকের বুকের উনুনে হাপর টেনে যাবেন।
তারপরও, আমার জন্য যতো কষ্ট পেয়েছো, যতো যন্ত্রণা সহ্য করেছো তার জন্য "আই এ্যাম সরি, ভেরি ভেরি সরি মাই ফ্রেন্ড" -- A belated realization, may be, but certainly soothing!
বুঝতে পারছো কতোখানি অস্বস্তি আর দ্বিধা নিয়ে এমন চিঠি আকাশের ঠিকানায় উড়িয়ে দেয়া যায়** -- আশাকরি, গল্পটা যদি সত্য হয়- যার কিছুটা আভাস আপনি মন্তব্যে দিয়েছেন, চিঠিটি গন্তব্যে পৌঁছবে।
তবে লাবনী আসলে কী পড়েছিলো, ডাক্তারী না ইঞ্জিনীয়ারিং, তা নিয়ে একটা গোলক ধাধা রয়েই গেল... :)

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

মানবী বলেছেন: "গল্পটা যদি সত্য হয়- যার কিছুটা আভাস আপনি মন্তব্যে দিয়েছেন"
- আপনাকে বিভ্রান্ত করতে বলেছি :-)
হুমায়ূন আহমেদের কোন এক লেখায় পড়েছিলাম একজন ভালো লেখক পাঠককে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা রাখে। লেখালেখি বা গল্প দিয়ে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা যেহেতু আমার নেই, মন্তব্যের জবাব দেবার সময় একটু চেষ্টা করেছি মাত্র! লেখক হিসেবে না হলেও অন্তঃত মন্তব্যের জবাবদানকারী হিসেবে সফল হয়েছি বলে মনে হচ্ছে :-)


বুয়েটে কি ডাক্তারী পড়ায়। বুয়েটে পড়াশুনা করলে লাবনী নিশ্চয় ইন্জিনীয়রই হয়েছে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: কি লিখবো বুজতেছিনা!

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১০

মানবী বলেছেন: কেনো? :-)
গল্প পড়ে ভালো লেগেছে না খারাপ লেগেছে তেমন কিছু জানানো যায়!!


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাদিম আহসান তুহিন।
আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

ক্লে ডল বলেছেন: পড়তে পড়তে লেখার মাঝে ডুবে যাওয়া যাকে বলে আমার ঠিক সে অবস্থায় হয়েছিল!! অসাম!! অসাম!! এবং অসাম একটা লেখা পড়লাম!!
আমি বিশ্বাস করতে চাই তোমার বৌকে তুমি ভালো রেখেছো। যে তোমার ভালোবাসার দিকে ফিরে তাকায়নি তার জন্য পাগল না হয়ে যে নিজের ভালোবাসা তোমার পায়ে ঢেলে দিয়েছে তার দিকে মনযোগ দিয়েছো।
আমার মনে হয় এই চাওয়াটা সার্বজনীন। সব লাবণীরই আন্তরিক প্রার্থনা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৯

মানবী বলেছেন: ‌আমার মনে হয়েছিলো লাবনীদের এই গল্পটা পাঠকের চেয়ে পাঠিকাদের বেশী স্পর্শ করবে। অধিকাংশ মেয়েরা বন্ধুত্ব কে বন্ধুত্ব হিসেবেই ধরে রাখে, রোহানরা সব সময় পারেনা!

আপনার চমৎকার মন্তব্য আর অনুভূতি এই পোস্টটিকে স্বার্থক করেছে।

আন্তরিক ধন্যবাদ ক্লে ডল।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

করুণাধারা বলেছেন: এটা কি! কবিতা, গল্প না প্রার্থনা!!!

এ কেমন শব্দাবলী যা হ্রদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভাসিয়ে নিয়ে যায়!

মন্তব্য করার মত ভাষাই পাচ্ছি না। শুধু প্রার্থনা করি রো্হানের কাছে চিঠিটা পৌঁছাক। মহাকালের পরশে দুটি হ্রদয়ের ক্ষত মুছে যাক।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৩

মানবী বলেছেন: ‌এটা লাবনীদের জীবনের সত্য ঘটনা অবশ্যই। রোহানদের উদ্দেশ্যে লেখা, তারা যেনো জানে লাবনীদের বন্ধুত্বটাও নিখাদ ছিলো। প্রেম ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের মাঝে বিস্তর ফারাকটা রোহানরা মাঝে মাঝে বুঝতে পারেনা বা মানতে চায়না।

"এ কেমন শব্দাবলী যা হ্রদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভাসিয়ে নিয়ে যায়!"
- লেখালেখিতে নিজের অক্ষমতাটা আমি অকপটে মেনে নিয়েছি। সেই আমার লেখার এমন মূল্যায়ন শুধু এই লেখাটিকে নয়, আমার নিজেকেও সন্মানিত করেছে। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা করুণাধারা।


ভালো থাকুন প্রতি মুহুর্ত।

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

করুণাধারা বলেছেন: এটা কি! কবিতা, গল্প না প্রার্থনা!!!

এ কেমন শব্দাবলী যা হ্রদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভাসিয়ে নিয়ে যায়!

মন্তব্য করার মত ভাষাই পাচ্ছি না। শুধু প্রার্থনা করি রো্হানের কাছে চিঠিটা পৌঁছাক। মহাকালের পরশে দুটি হ্রদয়ের ক্ষত মুছে যাক।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০০

মানবী বলেছেন: সাধারনত মন্তব্য ভুল করে দুবার পোস্ট হলে একটি মুছে দেই। এটা থাক, এতো সুন্দর মন্তব্য মুছতে ইচ্ছে করছেনা :-)

অনেক ভালো থাকুন করুণাধারা।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জীবনে কখনও এভাবে কাউকে লেখা হয়নি তাই অনেক এলোমেলো হবে! আর সেটাই তো আমার মনের কথা!! এমনই এক বোকা মেয়েকে, জানতাম।। আমি প্রতিরাতে রাতে আজও মনের পাতায় লিখি আর কাটাকুটি করি।। কিন্তু.।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

মানবী বলেছেন: বোকা মেয়েকে এখনও লিখেন ভাইয়া?
বোকা মেয়েডের ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো মনে হয়। শুধু শুধু ভুলমানুষের জন্য কষ্ট পাওবা!

ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করেছেন, খুব ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকুন সব সময়।

১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো নীলপরি।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম আপু। একদিন আমারও বোধদয় হলো, যে দুঃখ যখন আসে তখন তাকে স্বীকার কেরে নেওয়াই ভাল।মিথ্যে দিয়ে যে একটুখানি স্বর্গ বানিয়েছিলাম তা আর টিকলো না,সত্যিই প্রবঞ্চনার দ্বারা বিধাতার মার ঠেকানো যায় না। ঘরে ফিরে মাকে বললাম ,মা আমি তোমার কোলে মাথা দিয়ে একটু শুই। আর আমার কাউকে দরকার নেই,কাউকে না, কোনো মিথ্যাকেই না।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩২

মানবী বলেছেন: প্রবঞ্চনা কেনো হবে ভাইয়া? আমি নিশ্চিত আপনার মতো চমৎকার একজন কে তিনি যথেষ্ট পছন্দ করেন। সব পছন্দের অপর পিঠে প্রেম ভালোবাসা লেখা থাকেনা। সেই পছন্দটাও কম কিছু নয়।

তিনি আপনাকে পায়ে ঠেলে উপেক্ষা না করে থাকেন তাহলে তা আরো ভালো। প্রেম ভালোবাসার কথা কেউ বললে লাবনীর মতো কঠিন পাথর তাদের সাথে কথাবার্তা, মুখদর্শন পর্যন্ত সব বন্ধ করে দেয়! আশা করছি আপনার প্রিয়জন এতোটা রূঢ় নয়, তাই যদি হয় তাহলে সেটাই এ্যাপ্রেশিয়েট করে জীবনে এগিয়ে যান, আপনার জীবনটা আনন্দময় আর সুন্দর হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা আর শুভকামনা রইলো।

মন ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, ভাল লেগেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১০

মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
শুভকামনা রইলো।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১০

ফয়সল নোই বলেছেন: প্রকৃত অনুভবের হৃদয়গ্রাহী একটা লেখা । এই লেখার পাঠক, যারা সাবেক প্রেমিক ; পড়ে অনেক হারানো স্মৃতি ফিরে পাবে মনে হচ্ছে । অন্য যা বলবো বলে পড়ার সময় ভেবেছিলাম, মন্তব্য পড়ে দেখি খায়রুল আহসানসেহ কয়েকজন আলোচনা করেছেন। সত্যই,‘ আমি চাই তোমার ছোট্ট ফুটফুটে একটা মেয়ে হোক। ফুলের মতো সেই মেয়ের এলো চুলে হাত বুলিয়ে দেবার সময় তুমি ভুলে যাও আর কারো কাঁধের কাছে আনমনে পরে থাকা চুলের কথা। ছোট্ট বাবুটার নিষ্পাপ সরল হাসি তোমাকে ভুলিয়ে দিক কারো মুখে এক ঝলক হাসি দেখতে চাওয়ার তোমার এক অদ্ভুত তৃষ্ণা আর সাধনার কথা ‘... খুব সুন্দর কথা ।

মানবীর ব্যতিক্রমি রোমান্টিক লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

মানবী বলেছেন: সকলের সব লেখাই তো প্রকৃত অনুভবের লেখা।
এটাকে রোমান্টিক লেখা বলে!!! আর সাবেক রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহীনির সাবেক প্রধানদের মতো সাবেক প্রেমিকও হয়! প্রেমিক পদে বর্তমানে যে পাঠকেরা বহাল আছেন তাদের অভিনন্দন, রিটয়্যারমেন্ট এখনও হয়নি বলে!


দীর্ঘদিন পর সময় করে মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ফয়সল নোই!

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

জুন বলেছেন: আপনার লেখার ধরনে ভেবেছিলাম আপনার নিজের জীবনের কোন টুকরো ঘটনা । মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন গল্প । এত বাস্তব ! এখন থেকে নিয়মিত আপনার গল্প পড়ার আশা রাখি :)
অনেক ভালোলাগা জানবেন আরো ভালোলাগার কারন আমার অল টাইম ফেভারিট গ্রুপ এর কথা উল্লেখ করার জন্য । একটা সময় মোহমুগ্ধ করে রেখেছিলো স্টেইন এলাইভ , হাউ ডিপ ইজ ইউর লাভ সহ অসংখ্য গান দিয়ে ।
+

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

মানবী বলেছেন: বিজিস আপনার প্রিয় ব্যান্ড জেনে ভালো লাগলো। ওদের "Wish You Were Here" পৃথিবীর আর সব গানকে ছাড়িয়ে যায় মনে হয়- স্বর্গীয়!!!

আমি থার্ডপার্সনে লেখার চেয়ে প্রথম পুরুষে লেখায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। দ্বিটীয় ব্যক্তির বর্ণনার মতো গল্প লিখেছিলাম আগে, নিজের কাছে লেখাটা নিষ্প্রাণ মনে হয়েছে!

আমার লেখালেখির ক্ষমতা আপনাদের মতো সমৃদ্ধ নয় বলে তেমন বেশি পোস্ট করা হয়না, তারপরও আমার লেখা গল্প পড়ার আগ্রহবোধ করেছেন জেনে সন্মানিত হলাম।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জুন।

২২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

ফয়সল নোই বলেছেন: ভুল ভাঙ্গানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই । আগে মনে হতো প্রকৃত অনুভব মানে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বা খুব কাছ থেকে দেখা কোন ঘটনা গভীরভাবে অনুভব করা । আর সাবেক প্রেমিক শব্দটাও মনে হয় ভুল ব্যবহার হয়েছে, ঘটনার ঘনঘটায় রোহানকে প্রত্যাখাত প্রেমিক বললেই বোধ হয় যথার্থ হবে । ভালো থাকবেন । মন্তব্য সংশোধনের সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে । ধন্যবাদ মানবী ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১১

মানবী বলেছেন: নিঃসন্দেহে নিজের মতো করে ভেবে নেবার স্বাধীনতা আপনার আছে।
পাঠকের ভাবনা বা মনজগতে লেখক কি লিখতে চেয়েছে বা কি ভেবে লিখেছে তা প্রতিষ্ঠিত করা জরুরী নয়।

উপরের এই জবাবের মাধ্যমে যদি নিজেকে লেখক হিসেবে মনে করার ধৃষ্টতা দেখিয়ে থাকি, তাহলে দুঃখিত!
ধন্যবাদ ফয়সল নোই, শুভকামনা রইলো।

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল গল্পটি ।
আমার কস্ট যদি অন্যে টেরই পেল
তাহলে কি আর তাকে কস্ট বলা যায়
সেটাই কষ্ট যেটা কেও টের না পায় ।
বাহিরের কষ্ট সেতো ভিতরের
কষ্টের কাছে কিছুই নয় ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

মানবী বলেছেন: ভালো বলছেন, ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

সব কষ্ট ধুয়ে যাক, আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

জুন বলেছেন: এন্ডি গিবসের উদ্দেশ্যে গাওয়া গানটি Wish You Were Here তো হৃদয় ছোয়া মানবী ।
তবে এন্ডি গিবসের নিজের গাওয়া সলো ছাড়াও বিভিন্ন গান বিশেষ করে অলিভিয়া নিউটন জনের সাথে ডুয়েট Rest Your Love on Me আমার প্রিয় তালিকায় ছিল :)
ড্রাগস যে কত বিখ্যাত গায়ক গায়িকার জীবন কেড়ে নিল তার সর্বশেষ উদাহরন হুইটনি হিউস্টন ।
শুভেচ্ছান্তে-------

২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২১

মানবী বলেছেন: এ্যান্ডি গিব আর ভিক্টোরিয়া প্রিন্সিপালের "ড্রিম ড্রিম ড্রিম...." এক নিমেষেই নিয়ে যায় দুরন্ত শৈশবে। খুব সম্ভবত এই ভিক্টোরিয়া প্রিন্সিপালকেই প্রচন্ড পছন্দ করে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এ্যান্ডি গিব ড্রা্গ আর এলকোহলে আসক্ত হয়ে পরেছিলো। এই আসক্তি তার ইমিউনিটিকে এতোটাই ক্ষতিগ্রস্থ করে যে সামান্য ভাইরাল ইনফেকশন হার্টে ছড়িয়ে যায়, তার মৃত্যু হয় মায়োকার্ডাইটিসে।


ড্রাগ আসক্তির কারনে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরা বিশ্ব বিখ্যাত গায়কের সবশেষ উদাহরন প্রিন্স।

গানের আলোচনা সব সময়ই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারনে কিছুসময়ের জন্য হলেও দূরন্ত শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইলো জুন।

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১৩

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

মানুষের মধ্যে যুক্তি ও অযুক্তির সমান প্রাধান্য । মানুষ যে অতিরিক্ত অহমিকার সঙ্গে বলেছে আমরা যুক্তিশীল, কথাটা মনে হয় ঠিক নয় ।
পৃথীবিতে যত যুদ্ধবিগ্রহ এবং যত অন্যায় অবিচার সেইগুলিও যদি মানুষই করে থাকে তবে মানুষ একাধারে যুক্তিশীল এবং অন্যাধারে যুক্তিহীন দুটো কথাই সত্য । মানুষ যতটা না তার মনিব, তার চেয়ে ঢের বেশি তার গোলাম।

ফ্রিডম ইজ এ ডেঞ্জারাস থিং........

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

মানবী বলেছেন: সামটাইমস ইট ক্যান বি!

মানুষ নিঃসন্দেহে তার অনুভূতির গোলাম তারপরও বাস্তবতাটা মেনে নিয়ে অনুভূতিকে বশ করে রাখার চেষ্টাতো সম্ভব! সে চেষ্টায় পুরোপুরি সাফল্য না এলেও ক্রমেই সুস্থির হবার সম্ভাবনা নিতান্ত কম নয়।

আপনাকেও আবারও ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

আমি ইহতিব বলেছেন: এই চিঠি সেদিনই পড়েছিলাম যেদিন পোস্ট করেছিলেন সামুর পাতায়। পড়েই মনে আহা আহা রব উঠেছিলো। ফিরে গিয়েছিলাম যেন ১৭/১৮ বছর আগের সময়টাতে। একজনের চেহারা দেখে ফিদা হয়েছিলাম (ঐ বয়সে যা হয় আরকি)। তিনিও জানতে পেরে বেশ কয়েকমাস খেলা খেলে গিয়েছেন আমার সাথে। পরে একটা ভুল বুঝাবুঝিতে সম্পর্কের ইতি ঘটে। পরে অবশ্য তিনি ভুল বয়ঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। আমার কাছে সেই সময়ের সেই অনুভূতিগুলো আজও যেন চোখের সামনে ভাসে। কি পাগল ছিলাম আমি!!! আপনার এই চিঠি পড়ে মনে হল এমনভাবে যদি দেখা হত আমাদেরও :)

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

মানবী বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা আপু!
যে খেলা খেলে যায় তার সাথে দেখার হবার আগ্রহের উৎসটার সাথে আমি আসলে পরিচিত নই। এটা এমন এক গভীরতার ব্যাপার যেখানে আমার প্রবেশাধিকার নেই, তাই হয়তো!
প্রার্থনা করি আপনাদের দেখা হোক, আপনার এই ইচ্ছেটা পূরণ হোক :-)

আপনি প্রথম দিন পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো! অনেক অনেক ধন্যবাদ আমি ইহতিব।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

মোঃ কবির হোসেন বলেছেন: আপনার চিঠিটা অন্যরকম লাগলো। মনটা নাড়া দিয়ে গেলো। খুব মনোজোগ দিয়ে পড়লাম। সত্যিই লেখাটা চমতকার। ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪২

মানবী বলেছেন: চিঠি?
তাহলে এটা চিঠিই! :-)

সাধারন লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে পোস্টটি ধন্য হলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ মোঃ কবির হোসেন। অনেক ভালো থাকুন।

২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: ধরেই নিয়েছিলোম রিয়েল লাইফ স্টোরি...তবে এখনও শিওর না...গল্প নাকি জীবনের গল্প...এখানে অবচেতন ভাবেই হয়তো চলে এসেছে আপনার পছন্দ, অপছন্দগুলো। ব্লগে এখন হয়তো আপনার লেখা পড়ার জন্যই আসবো। নিয়মিতে বিরতিতে লিখছেন দেখে ভালো লাগছে। ভালো থাকেন আপু।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২০

মানবী বলেছেন: পুরনো পোস্ট, তেমন কেউ আর পড়বেনা মন্তব্য- সেকারনে একটি হাস্যকর কথা জানাতে ইচ্ছে করছে। অধিকাংশজনই জানেননা এই ব্লগে আমার প্রথম পোস্ট ছিলো একটি উপন্যাসের প্রথম পর্ব :-)

আমার পরবর্তী অধিকাংশ পোস্ট খটমট টাইপ তারপরও মাঝে মাঝে গল্প লেখার চেষ্টা। আর গল্প উপন্যাসগুলোতো সব কারো না কারো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি, তাই না? আপনার লেখা যে গল্প প্রথম পড়েছিলাম, একটা ছয় বছরের শিশুর মনস্তাত্বিক টানাপোড়ন ছিলো, আপনি কতোটা ভালো লিখেন ভেবে দেখুন ভাইয়া। এতোগুলো বছর পরও আমার মনে আছে :-)

আপনি নিয়মিত লিখলে ভালো লাগবে। ব্যান কেনো করেছে তাই বুঝতে পারছিনা!

আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেমিক পদে বর্তমানে যে পাঠকেরা বহাল আছেন তাদের অভিনন্দন, রিটয়্যারমেন্ট এখনও হয়নি বলে! -- :)
(২০ নং প্রতিমন্তব্য)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

মানবী বলেছেন: সাবেক হননি মানে এখনও বহাল আছে, তাই না? :-)

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৩০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২৭

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

শুনে ভাল লাগল। শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল ভাই এখনও রিটয়্যারমেন্ট করেন নি।

আমিই শুধু বাধা পড়ে আছি ছায়ালোকের নিস্তব্ধ রঙ্গভূমিতে।
একদিন কোটি কোটি যোজন দূরে থেকে কে যেন বলিল-- ইচ্ছা করিলে তুমিও অনুবর্তী হইতে পার – আমি অভয়দান করিতেছি।
আমিও ভাবিলাম-- এই মধুর বসন্ত-সন্ধ্যায় দণিবায়ুবীজিত নিভৃত উদ্যানে একবার প্রবেশ করা যাক।

এই প্রবেশই আমার কাল হলো.......

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৬

মানবী বলেছেন: সর্বনাশ! আমি কি কহিলাম আর এই অবুঝ বালক কি বুঝিলো! আমার বক্তব্যের সাথে ব্লগার খায়রুল আহসান বা অন্যকোন মন্তব্যকারীর ব্যক্তিগত জীবনের কোন সম্পর্ক নেই! ইহা কেবলই ২০ নং মন্তব্যের জবাব আর তাহার ব্যাখ্যা মাত্র!
বালকের মন্তব্য পড়িয়া আমার চেয়ার হতে পরিয়া যাইবার উপক্রম!!!! :-* :-* :-*

দক্ষিনাবায়ুবীজিত নিভৃত উদ্যানে আপনার পদচারনা প্রশান্তিদায়ক আর আনন্দময় হোউক ভাইয়া, শুভকামনা রহিলো!
স্মরনকরিয়া এই ব্লগে আরেকবার ঘুরিয়া যাইবার কারন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিলাম।

৩১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আমি প্রেমিক পদে বর্তমানে বহাল আছি, রিটয়্যারমেন্ট এখনও হয়নি !

বালক বলিয়া যতই রঙ্গ করেন না কেন আপু, আমি এখনও প্রেমিক। কারণটা এত বেশি তুচ্ছ যে আজকের দিনে সে কথাটা মুখে আনতে সাহসের দরকার। ইতিহাসে কোনোখানে লেখে না যে, হাতের কাছে ছাতা ছিল না ব’লে বাদলের দিনে প্রেমিক তার প্রিয়ার কাছে যাওয়া মুলতবি রেখেছে; বরঞ্চ লেখা আছে সাঁতার দিযে অগাধ জল পার হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা অন্যের ইতিহাস, সেখানকার সমুদ্রে আমিও কি সাঁতার কাটছি নে ভাবছ? সে অকুল কোনোকালে কি পার হতে পারব ?-

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫০

মানবী বলেছেন: ভাষায় আপনার সমৃদ্ধ কারুকার্যের কাছে আমার দৈন্যদশা নিতান্তই হাস্যকর।

রঙ্গ করার সাহস করার কথা নয় মোটেও। ইদানীং আপনি সহ কয়েকজনকে হঠাৎ হঠাৎ সাধু ভাষার প্রয়োগ করতে দেখি, তাই একটু সখ হলো :-)

তবে অবুঝ বালককেই অবুঝ বালক বলেছি, রঙ্গ নয় B-)

কষ্ট করে আবারও মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪
অনেক অনেক ভালো থাকুন ভাইয়া।

৩২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
শুভকামনা থাকবে সবসময়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ নয়ন জাহাঙ্গীর নয়ন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৩৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পড়ে অনেক ভালো লাগলো +++

আর কি বলবো, আমার যা বলার ছিল, তা উপরের সবাই বলে গেছেন B-)

আবার পড়তে হবে । প্রিয়তে রেখে দিলাম ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৬

মানবী বলেছেন: তারপরও, আপনার কি বলার ছিলো জানলে খুব ভালো লাগবে।

এমন অলেখকের পোস্ট আপনার মতো গুনী কবির ভালো লেগেছে জেনে পোস্টটি ধন্য হলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর।
আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।

৩৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: চিঠি জাতীয় এ ধরণের লেখা বেশ ভাল লাগে। পঠিত হয়েছে বেশ দেখে ভাল লাগল

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

মানবী বলেছেন: পঠিত সংখ্যাটা ভালো লেগেছে শুধু! :-)

পড়ার জন্য ধন্যবাদ রেজওয়ান তানিম।
অনেক ভালো থাকুন।

৩৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আজ ১১ রই রজব , আকাশে একাদশীর চাঁদ । আর চারদিন বাদে মুনশাইন মানে পুর্ণিমার আলো , দেখবেন আশাকরি ।
শহড়ে থেকে আমাবশ্যা পুর্ণিমা কিছুইতো টের পাওয়া যায় না ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০০

মানবী বলেছেন: এক সময় পূর্নিমার ক্যালেন্ডার দেখে হিসেব রেখে বেশ আয়োজন করে চাঁদ আর পূর্ণিমা দেখা হতো। ইদানীং আর হয়ে উঠেনা সেভাবে।
আপনি মনে করিয়ে দিলেন, এবার দেখবো ইনশাহআল্লাহ্। আমার শহরের মানুষের চেয়ে গাছগাছালি বেশি, কৃত্রিম আলোর চেয়ে চাঁদের আলোর অধিক প্রভাবও প্রত্যক্ষ করা যায় ১০/১৫ মিনিট ড্রাইভ করলেই।

আন্তরিক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৩৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া চিঠি। হয়ত পৌঁছেছে গন্তব্যে, হয়ত পৌঁছেনি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৬

মানবী বলেছেন: পৌঁছে যাক যার যার গন্তব্যে :-)

অনেক ধন্যবাদ অরুনি মায়া অনু।
আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।

৩৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভালো লেখা বেশি করে পড়া উচিত সেই কথাই বলতে চেয়েছি। লেখা ভাল না লাগলে তো মন্তব্য দেয়া হত না।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

মানবী বলেছেন: এখন স্পষ্ট হলো।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ রেজওয়ান তানিম।

৩৮| ০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

ওমর সাহিত্যিক বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন। লিখেছেন বলব না, মনের ভিতরের এক কান্না , আফসোস , দু;খ যেন বের হয়ে এসেছে অজান্তে । ঘটনার সত্যতা কতটুকো জানি না। কিন্তু সত্য বলেই বোধ হয়েছে। কোন লেখা যখন কারও জীবণের এতটুকো অনুভূতিও নাড়া দিতে পারে তখন তাকে স্বার্থক লেখা বলা যায় ।

০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

মানবী বলেছেন: পুরনো পোস্ট পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলে এখানে লাবনীর দুঃখ বা কান্না নয়, তবে বন্ধুর সাথে রূঢ় আচরনে অনুতাপের বহিঃপ্রকাশ দেখাতে চে্যেছি। লেখালেখিতে আমার তেমন ভালো হাত নয় বলেই হয়তো তা সফল ভাবে সম্ভব হয়নি।

আমার অতি সাধারণ লেখা কারো মনে নাড়া দিয়ে থাকলে তা নিঃসন্দে আমার জন্য খুব সন্মানজনক।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ওমর সাহিত্যিক।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.