নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমারও পরাণও যাহা চায় তুমি তাই....!!!!

০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:০০



আমারও পরাণও যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাইগো
তোমা ছাড়া আর এজগতে
মোর কেহ নাই, কিছু নাই গো


বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা।

পরিচিত এক বড় ভাইসম ভদ্রলোক ছিলেন, শহীদ ভাই(ছদ্মনাম)। শিক্ষিত, মার্জিত, সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সুদর্শন। ভদ্রতা আর মার্জিত কথাবার্তার কারনে তাঁকে সবাই পছন্দ করতো।
উচ্চ শিক্ষিত, সুপ্রতিষ্ঠিত শহিদ ভাইয়ের স্ত্রী উচ্চতায় তাঁর চেয়ে প্রায় ৬ ইন্চি বেশী। নাহ্, কোন গতানুগতিক মডেল কন্যা নয়, বরং উচ্চতার কারনেই তাঁর ভারী গড়নে তাঁকে ছোটখাটো জায়ান্ট মনে হতে পারে। শুধু তাই নয় ঘোর কৃষ্ণবর্ণের সেই ভাবীটা সামনের দাঁতগুলো তাঁর উচ্চতার সাথেই পাল্লা দিয়ে উঁচু যেনো, বড় বড় সেই দাঁত মুখের মাঝে ঢেকে থাকায় আপত্তি জানায়।

শহীদ ভাই আর ভাবী, ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। ভাবীর গড়নের কারনেই হয়তো তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে অতীতে, সেকারনেই কিনা জানিনা... বেশ কিছুদিন পর একদিন অন্য এক আলাপ প্রসঙ্গে তিনি নিজের গল্প টেনে এনে বলেন, গভীর ভাবে ভালোবেসে তিনি তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন। আত্মীয়া হবার সুত্রে দীর্ঘ দিনের পরিচয়, আর তিনি জীবন পথে চলতে গিয়ে লক্ষ্য করেন- কোন অনিন্দ্য সুন্দরী তিলোত্তমাদের সাথে আলাপ করে তিনি ততোটা ভালো বোধ করেননা যতোটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন লিপিভাবীর সাথে। নিজে আগ্রহ করে প্রস্তাব দিয়ে ঘর বাঁধেন।

আমাদের দেশে তথা পুরো দক্ষিন এশিয় অন্চলেরই পুরুষদের মাঝে এক সংকীর্ণ ভাবনা কাজ করে। নিজে দেখতে জনি লিভার হলেও প্রেমিকা, বিশেষ করে স্ত্রী হিসেবে প্রায় সকলেই ঐশ্বরিয়া রাইয়ের চেহারা খুঁজে! নিজের যোগ্যতা, চেহারা, অর্জন যেমনও হোক, স্ত্রী হতে হবে শোকেসে সাজিয়ে রাখার মতো পুতুল। স্ত্রীর সৌন্দর্য্যের সাথ সাথে তার নিজেরও যেনো সামাজিক পদোন্নতি ঘটে।
অথচ নিজদের অন্ধকার কুয়োর বাইরে দৃষ্টি ফেরালে দেখা যায়, সুবিশাল পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য্য, ভালোবাসাটা ত্বক বা দৈহিক গড়নের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। শীর্ণকায় আর তিলোত্তমা চেহারার খোঁজের স্থুলতাটা পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রাধান্য পেলেও ইদানীং সে শৃঙ্খল ভেঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান বেরিয়ে আসছে।

কর্পোরেট জগৎ যেহেতু লেখার উদ্দেশ্য নয়, তাই আসল প্রসঙ্গে ফিরে আসি...

ভালোবাসা।

বিশ্বে যদি একজন পুরুষ সম্পর্কেও বলা যায় যে সে ইচ্ছে করলে পৃথিবীর যেকোন নারীকে বিয়ে করতে পারে, তাহলে সেই নামটি বিল গেটস বললে খুব ভুল হবেনা। পৃথিবীর ধনাঢ্যতম এই মানুষের জীবনের প্রথম প্রেমিকা আর স্ত্রী, সাধারন চেহারার মেলিন্ডা গেটস।


দুজন মানুষের ভাবনা, আদর্শ আর মন মানসিকতার মিলটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! আর তাই চেহারা দেখে নয়, নিজের ভাবনার সাথে মিল দেখে বিল গেটস খুঁজে নিয়েছেন তাঁর জীবন সঙ্গীনি।

বর্তমানে উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্ঠ, যাঁর গান শুনে প্রায় ৯০% প্রেমিকেরা ভালোবাসার স্বপ্ন বুনে- সেই অরিজিত সিং পাগলের মতোই ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ছেলেবেলার বান্ধবী খুব সাধারন কোয়েলকে।


ইচ্ছে করলে যে ছেলেটি ভারতের গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের আনিন্দ্যসুন্দরী স্ত্রী পেতো, পোড় খেয়ে শিখেছে সুখী হতে জীবন সঙ্গীনি হিসেবে অনিন্দ্য সুন্দরী অনিবার্য নয়, বরং যে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু সেই কৃষ্ণবর্ণের কোয়েলই যথার্থ!


"বন্ড, জেমস্ বন্ড" ডায়ালগটি মনে করিয়ে দেয় সুদর্শন, চৌকষ এক চরিত্র জেমস্ বন্ড- আর এই চরিত্রটিকে আমাদের জেনারেশণের কাছে বিমূর্ত করে তুলে ধরেছে পুরুষালী সৌন্দর্যের এপিটম পিয়ার্স ব্রসন্যান।



একজন সফল চৌকষ স্পাই হিসেবে জেমসবন্ড যতোটা পরিচিত ততোটাই পরিচিত প্রায় সর্বদা শীর্ণকায়া অনিন্দ্য সুন্দরীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হবার কারনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়া থেকে সেরা সুন্দরীদের খুঁজে সুযোগ দেয়া হয় জেমস্ বন্ডের সঙ্গীনি হিসেবে অভিনয়ের।
সিনেমার স্পাই বাস্তবে স্পাই নয় একজন অভিনেতা তবে সিনেমায় দেখা তার সৌন্দর্য্যটা বাস্তবে অনেকটাই সত্য।


সেই সুদর্শন পিয়ার্স ব্রসন্যানের বাস্তব জীবনের বাহুলগ্না জীবনসঙ্গীনিকে দেখে কিছুটা হোঁচট খায় অনেকে!

বর্তমান বিশ্ব সরগরম ফ্রান্সের আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে! নির্বাচনের হটফেভারিট তরুণ ইমানুয়েল ম্যাকরন।
ম্যাকরন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে কিনা জানা নেই, তবে বাস্তব জীবনের একজন রোমান্টিক নায়ক হিসেবে সফল!
প্রচন্ড ভালোবেসে ইমানুয়েল বিয়ে করেছে ব্রিজিতকে। ১৭ বছর বয়সে ভালোবাসা শব্দটি সবেমাত্র যখন বুঝতে শিখে তখনই তিনি ঘোষণা দেন, "আমি একদিন তোমাকেই বিয়ে করবো"। হেসে উড়িয়ে দেয় সেই পাগলামী সেসময় ৪১ বছরের ব্রিজিত!


অদ্ভুতভাবে নিজ প্রতীজ্ঞায় দৃঢ় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর পর ২৪ বছরের বড় ব্রিজিতকে বিয়ে করে ইমানুয়েল ম্যাকরন। নির্বাচনের এই আড়ম্বর আর প্রচারণার মাঝে বয়সের ছাপ সুস্পষ্ট চেহারার ব্রিজিতকে কখনও আড়াল করে রাখেনা তার স্বামী, বরং প্রায় সর্বক্ষেত্রে নিজের স্ত্রীর পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দৃঢ়পদক্ষেপে এগিয়ে যায়।


এমন নয় ব্রিজিত অনিন্দ্য সুন্দরী কোন তরুণী ছিলো, শৈশব থেকে ক্ষুরধার বুদ্ধির অধিকারী, আর সবার চেয়ে আলাদা মেধাবী ইমানুয়েল বরাবরই স্বীকার করে ভালোবাসাটা ছিলো ইন্টেলেকচুয়্যাল লেভেলে- নিজেদের মাঝে ভাবনা চিন্তা, মন মানসিকতার মিলের কারনেই তাঁদের মাঝে প্রেম এতোটা গভীর আর সফল হয়েছে।
(ম্যাকরন আর ব্রিজিতের প্রেম কাহিনীর মাঝে নৈতিকতা আর সামাজিক নিয়মাকানুনের কিছু প্রশ্ন আছে, সেসব এড়িয়ে শুধু তাঁদের ভালোবাসাটাই এই পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করা।)

এধরনের একটি পোস্ট লেখার কারন, বিভিন্ন সময় কৃষ্ণবর্ণের মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা! যাঁরা লিখেন তাঁরা পজিটিভ ভাবনা থেকে লিখেছেন, কৃষ্ণাঙ্গীনিদের সমর্থন করেই লিখেছেন। তবে আমার মনে হয়, এমনি ভাবে কৃষ্ণবর্ণ বা শ্বেতবর্ণ, স্থূলকায় বা শীর্ণকায়, দীর্ঘকায় বা খর্বাকৃতি নারী পুরুষ নিয়ে বিশেষভাবে লেখাটা যেনো তাঁদের মনে করিয়ে দেয়া "এই যে তোমাদের অনেকে হেয় করছে, এটা আমি সমর্থন করছিনা।আমি তোমাদের পাশে আছি।"

কথা হলো, তাঁদের মনে করিয়ে দেয়াটাও এক ধরনের বৈষম্য!

যাঁরা মানুষের বর্ণ, উচ্চ্তা, শারিরিক সৌন্দর্য্য বিচার করে ভালোবাসে বা জীবন সঙ্গী সঙ্গীনি খুঁজে নেয় তারা নিতান্তই স্থূলভাবনার মানুষ। আলোকিত মানুষদের কাছে একজন মানুষই প্রধান, তাঁর আকার আকৃতি, বর্ণ, গোত্র নয়!


ছবি সুত্র: - ইন্টারনেট

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা হলো, তাঁদের মনে করিয়ে দেয়াটাও এক ধরনের বৈষম্য!

যাঁরা মানুষের বর্ণ, উচ্চ্তা, শারিরিক সৌন্দর্য্য বিচার করে ভালোবাসে বা জীবন সঙ্গী সঙ্গীনি খুঁজে নেয় তারা নিতান্তই স্থূলভাবনার মানুষ। আলোকিত মানুষদের কাছে একজন মানুষই প্রধান, তাঁর আকার আকৃতি, বর্ণ, গোত্র নয়!

+++++++++

কিন্তু আমাদে গ্লামার্স মিডিয়া সর্বক্ষন েকবলই গ্লামার্স গার্ল দিয়ে আম জনতার চেতনাকে আফিম নেশায় বুদ করে রাখে যে! আমজনতা যাবে কোথায়??
২৪/৭/৩৬৫ রং আর ফিগারের জয় জয়কার দেখে অবচেতনেই স্বপ্ন/দীর্ঘশ্বাসর বীঝ অগোচরেই রোপিত হয়ে যায়!!!

মিডিয়াই পারে সুস্থ বোধের বিকাশে সর্বাত্বক উপকার করতে! করবে কি?

০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

মানবী বলেছেন: মিডিয়া বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়েও মনরন্জ্ঞক আকর্ষনীয় সব বিজ্ঞাপণ প্রচার করে, শিক্ষিত সচেতন মানুষেরা নিজেদের বিচার বুদ্ধি দিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়, চাকচিক্য দেখে কিনবে না কোয়ালিটি নিশ্চিতে করে। সামান্য পণ্য কেনার সময় যদি আমরা সচেতনতা আর নিজেদের বুদ্ধিবিবেচনা ব্যবহার করতে পারি তাহলে জীবন সঙ্গী-সঙ্গীনি নির্বাচনে অবিবেচকের মতো কাজ করলে কিভাবে হবে! এই কথাটিই মনে করিয়ে দেয়া মাত্র!

বাংলাদেশের মিডিয়া মনে হয় দীর্ঘকাল ধরেই এবিষয়ে বেশ উদার, আআমদের শৈশবে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা- কৃষ্ণাঙ্গীনি। এমনকি সেসময়ের চলচ্চিত্রের নায়িকা চম্পা ঘোর কৃ্ষ্ণবর্ণের খুব সাধারন চেহারার। আমাদের দেশ অথবা ভারত- যাদের দেখে আমাদের পুরুষদের স্বপ্নকন্যারা তিলোত্তমা সুন্দরী হয়ে উঠে, তারা কি জানেনা কতো শত লেয়ারের মেকাপ, হেয়ার স্টইলিস্টের কতো ঘন্টার পরিশ্রম আর সর্বপোরি ক্যামেরার কসরতের পর সেসব চেহারা আমাদের কাছে এসে পৌঁছে!

নুন্যতম শিক্ষিত হলেই বিষয়টা মনে রাখার কথা, হয়তো আমরা ইচ্ছে করেই স্বপ্নটা ধরে রাখি সত্যটা এড়িয়ে!

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা বিদ্রোহী ভৃগু।

২| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোকিত মানুষদের কাছে একজন মানুষই প্রধান, তাঁর আকার আকৃতি, বর্ণ, গোত্র নয়! -- এটাই শেষ কথা। মূল কথা।
অরিজিত সিং পাগল আর কোয়েল এর ছবিটা খুব ভাল লাগলো। প্রেম তাদের চোখে মুখে আভাময়।
তোমা ছাড়া আর এজগতে
মোর কেহ নাই, কিছু নাই গো
-- এমন করে যারা ভাবতে পারে, তারা সেই "তোমা"কে কাছে পাক বা না পাক, বড় ভাগ্যবান।
পোস্টে প্লাস + +

০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

মানবী বলেছেন: শত মেকাপের লেয়ারে ঢাকা চেহারার সৌন্দর্য্যের চেয়ে মনের সৌন্দর্য্যের দ্যূতি হাজারগুন ত্বেজদীপ্ত তা অনুধাবনে ইদানীং যেনো সাধারণ বুদ্ধি আর যথেষ্ট নয়- এটা দুঃখজনক!

পৃথিবীর ধনাঢ্যতম বিলগেটস্ একজন শিক্ষিত ও বিচক্ষণ ব্যক্তি বলেই কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের চাকচিক্যে বিমোহিত না হয়ে খুঁজে নিয়েছেন তাঁর মনের সঙ্গীনিকে- বিষয়টি আসলেই বেশ শিক্ষনীয়।

:-)

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৩| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনার সাথে আমি একমত। তবে এমন মানসিকতার জন্য আমরা শুধু দায়ী নয়, আমাদের সমাজও এর জন্য অনেকটা দায়ী।

০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

মানবী বলেছেন: "তবে এমন মানসিকতার জন্য আমরা শুধু দায়ী নয়, আমাদের সমাজও এর জন্য অনেকটা দায়ী। "

বক্তব্যটা স্পষ্ট হলোনা, সমাজ তো আপনাকে আমাকে নিয়েই। আমরা যদি এই অসুস্থ মানসিকতার চর্চার পরিবর্তন নিয়ে আসি সমাজও পরিবর্তিত হবে। পোস্টের শুরুতে যে শহীদ ভাইয়ের কথা উল্লেখ করেছি তিনিইও একই সমাজের মানুষ।

আপনার ব্যাখ্যাটা জানার আগ্রহ রইলো :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল।
অনেক ভালো থাকুন।

৪| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: বউ দেখার সেই আদি নিয়ম কি এখনও উঠে গেছে? আমাদের মিডিয়াতে এসব এখনও যত্ন করে দেখানো হয়।
বা ভালোবেসেছে বলে তাকে মেনে নেয়ার সহজ পদ্ধতি কি সমাজে এখনও চালু হয়েছে? যদিও স্বাভাবিকও হয়।
এই যে কিছুদিন আগে একটা খবর হলো হিন্দু স্ত্রী নিয়ে ঘর করছে যে যার ধর্ম করছে তাদের থানায় নিয়ে নিপীড়ণ করা হলো। এই অসংলগ্ন ভাবনা চিন্তা বৈষম্য যারা ভালোবাসে তারা প্রকাশ করতে পারে না। সামাজিক মূল্রবোধ পরিবর্তন দরকার। ভালো বিষয়ের উপর লেখাটা সুন্দর হয়েছে।

০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০১

মানবী বলেছেন: মিডিয়াতে যেভাবে বউ দেখার রীতি প্রচার করে তা বাস্তবে আদৌ শহর বিশেষ করে শহরের শিক্ষিতদের মাঝে প্রচলিত ছিলো কিনা জানা নেই। তবে এমন রীতি রেয়াজ গ্রামান্চলে হয়তো আজও আছে, যদিও আমি নিশ্চিত নই।

ভালোবেসে বিয়ে করা অথবা এ্যারেন্জ ম্যারেজ, সব ক্ষেত্রেই তিলোত্তমা সুন্দরী আর সুদর্শনদের খোঁজ যা নিঃসন্দেহে অবিবেচকের মতো কাজ। এধরনের মানসিকার পরিবর্তন জরুরী।

লেখা সুন্দর হয়েছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ রোকসানা লেইস।
অনেক ভালো থাকুন।

৫| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

পুলহ বলেছেন: "বিশ্বে যদি একজন পুরুষ সম্পর্কেও বলা যায় যে সে ইচ্ছে করলে পৃথিবীর যেকোন নারীকে বিয়ে করতে পারে..."-- এ কথাটা শুনতে একটু কেমন কেমন যেনো লাগছে আপু। মনে হচ্ছে- মেয়েদেরকে বুঝি টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া যায়। যদিও আমি বিশ্বাস করি- আপনি কোন নেগেটিভ চিন্তা থেকে কথাটা লিখেন নি....
"দুজন মানুষের ভাবনা, আদর্শ আর মন মানসিকতার মিলটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!"-- পুরোপুরি একমত!
আমার মনে হয়- চেহারা মানুষকে (সেটা নারী হোক আর পুরুষ) সাময়িক স্যাটিসফ্যাকশন দিতে পারে, কিন্তু লং রানে এটা - যতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা ভাবি- ততটা নয় !
"যাঁরা মানুষের বর্ণ, উচ্চ্তা, শারিরিক সৌন্দর্য্য বিচার করে ভালোবাসে বা জীবন সঙ্গী সঙ্গীনি খুঁজে নেয় তারা নিতান্তই স্থূলভাবনার মানুষ। আলোকিত মানুষদের কাছে একজন মানুষই প্রধান, তাঁর আকার আকৃতি, বর্ণ, গোত্র নয়!""-- খুবই সুন্দর আর উন্নত চিন্তা।

গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করায় আমার ধন্যবাদ জানবেন। শুভকামনা !

০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

মানবী বলেছেন: "এ কথাটা শুনতে একটু কেমন কেমন যেনো লাগছে আপু।"

-আমার কাছে কেমন কেমন লাগেনি ভাইয়া। লক্ষ্য করুন বলিনি "একজন পুরুষ সম্পর্কেও বলা যায় যে সে ইচ্ছে করলে পৃথিবীর যেকোন নারীকে বিয়ে করতে পারে." আমি বলেছি "যদি বলা যায়"- দুটোর মাঝে বিস্তর ফারাক।

হাইপোথেটিকালি বলার সময়ও বিল গেটস্ ছাড়া আর কোন উদাহরন মনে পড়েনি.. শুধু ধানঢ্যতম বলেই নয়, তাঁর ফিলান্থ্রোপিক দিকটি অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর! কজন পারে নিজের কষ্টার্জিত সম্পদ অজানা অচেনা হত দরিদ্রদের জন্য বিলিয়ে দিতে!

"চেহারা মানুষকে (সেটা নারী হোক আর পুরুষ) সাময়িক স্যাটিসফ্যাকশন দিতে পারে, কিন্তু লং রানে এটা - যতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা ভাবি- ততটা নয় !"
- সহমত। আসলে লং রানে মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়, দৌড়াটা যখন দীর্ঘ হয় তখন চেহারাও আর আগের মতো থাকেনা, সময় নামক পাগলা ঘোড়া বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের সব জৌলুস কেড়ে নেয়!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পূলহ।
আন্তরিক শুভাকামনা রইলো।

৬| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: খোঁজাখুজির সময় হয়তো একধরনের ফ্যান্টাসি কাজ করে - সৌন্দর্য্য প্রিয়তা আবশ্যক না হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করা বড় দায়, তবে এর চাইতে মানষিক সৌন্দর্য্যের চর্চা বেশী আবশ্যক এবং এটি আছে বলেই সমাজ টিকে আছে । আবার অতি সুন্দরী মেয়ে দেখতে কদর্য্য এমন লোককে সানন্দে বিয়ে করেছে এমনটাও আছে ।


০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।
আমার মনে হয় মানসিক সৌন্দর্য্যের এক ধরনের দ্যূতি আছে যা প্রথাগত সৌন্য্যের চেয়েও মোহনীয় তবে সেই সৌন্দর্য্য অবগাহনের ক্ষমতা হয়তো স্থূল মানসিকতার জনদের থাকেনা। তাদের জন্য মেকাপ আর গহনায় ঢাকা কৃত্রিম সৌন্দর্যই যথার্থ!!

সুন্দরী মেয়েরা সাধারণ চেহারার পুরুষকে আর সুদর্শন পুরুষরা সাধারন চেহারা মেয়েদের উদাহরন অনেক আছে অবশ্যই। কথাটা লিখতে গিয়েও বার বার মনে পড়ছে "বিউটি ইজ ইন দি আইজ অফ বোহোল্ডার"- সৌন্দর্য্য ব্যাপারটা আসলেই বড় বেশী আপেক্ষিক!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ কানিজ ফাতেমা।
ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

কানিজ রিনা বলেছেন: প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ,
মোর বধুয়ার রুপ ঝিলমিল করে কৃষ্ণকাল।
পদ্যার ঢেউরে। নজরুল,
শিক্ষনীয় পোষ্ট, সেই পুরুষ প্রসংশনীয় যে
তার পরিবারের কাছে প্রসংশনীয়।
আমাদের বেশীর ভাগ পরুষ পুরুত্ব খাটায়
স্ত্রীর উপর অন্যায় জুলুম দিয়ে। আর ছেলে
সন্তানও সেটাই নিয়ম ভেবে নিজের স্ত্রীর
সাথে একই নিয়ম বর্তায়।

আসলে পরিবার হোল সমাজের অবকাঠাম
পরিবারের কর্তা সুচ্ছৃংল না। সেই পরিবারের
সন্তান কিভাবে সুচ্ছৃংখল হয়। শুভকামনা,

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:২৪

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন। আসলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের অধিকাংশ জনের মাঝে সঙ্গী সঙ্গীনি নির্বাচনে একধরনের স্থূল মানসিকতা কাজ করে, এক্ষেত্রে পিতা বা কর্তাকে খুব বেশী হয়তো দায়ী করা যায়না।
আমার ধারনা এটা পুরোপুরো ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব ভাবনা।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কানিজ রিনা। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৮| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০২

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে পোস্ট টি।
মন্তব্য বেশী কিছু লিখতে মন চাচ্ছে না তবে লেখাটা ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:২৯

মানবী বলেছেন: মন্তব্য দীর্ঘ হতেই হবে এমন নয়, পোস্ট ভালো লেগেছে জেনেই ভালো লাগলো। :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা সঞ্জয় নিপু।

৯| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কানিজ রিনাপুর সাথে দিমোত পোষণ করছি। শুধু শুধু পুরুষদের দোষ দিলে হবে না। হ্যাঁ যারা খারাপ তারা খারাপই... সামগ্রিক ভাবে একটা জাতিকে দোষ দিলে সেটা ভুল হবে।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:১০

মানবী বলেছেন: পোস্টটিতে বিশেষভাবে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাই হয়তো তিনি শুধু তাদেরটাই বলেছেন।
অবশ্যই নারীদের ক্ষেত্রেও এধরনের স্থূল মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো সামিউল ইসলাম বাবু।

১০| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

কানিজ রিনা বলেছেন: সামিউল বাবু পুরুষ ক্ষমতায়ন পরিবারের
বেশীর ভাগ ক্ষমতা অপব্যবহারে পুরুষরা
পারঙ্গম যা আমার সত্য অবলোকনে বলেছি।
আমার চাচী দাদী মা শাশুরীর বেলায় দেখেছি
তবে নারীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈকি
শাশুরী ছেলের বউ ক্ষমতার লড়াই আছে সব
পরিবারেই।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

মানবী বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা।

ভালো থাকুন।

১১| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:২১

মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: পোষ্টের উদাহরণ গুলু ব্যতিক্রম কয়েক জনের তাদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য , বেশীরভাগের ধ্যান ধারনা বৈষয়িক, সুন্দর হতে হবে ,আকর্ষণীয় হতে হবে , নিজে কি সেটা ভাবার সময় তারা পাই না। সেটা শুধু পুরুষের ব্যাপারে নয় মেয়েদের মধ্যে এই ধরনের মানষিকতা কাজ করে। ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টের জন্য। লেখাটি পড়ে যদি একজনের হলেও মানষিক অবস্থার পরিবর্তন হয়।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

মানবী বলেছেন: যাঁরা খুব সহজেই সাধারণ মানুষের স্বপ্নকন্যাদের সঙ্গীনি হিসেবে পেতে পারে তাঁদেরকেই উদাহরন হিসেবে দেখিয়েছি। কারন "আমার বউ হবে ঐশ্বরিয়ার মতো সুন্দরী" এমন বক্তব্য খুব আনকমন নয়।

"নিজে কি সেটা ভাবার সময় তারা পাই না। সেটা শুধু পুরুষের ব্যাপারে নয় মেয়েদের মধ্যে এই ধরনের মানষিকতা কাজ করে।"

- খুব সত্যকথা এবং সম্পূর্ণ সহমত।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মহিউদ্দিন হায়দার।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১২| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: হ্যা নারী পুরুষ যত কুৎসিত হোক ভাল
মনমানষীকতায় একে অপরের ব্যক্তিত্ব
তুলে ধরবে সেই শৌলপিকতা। কুৎসীত
মানুষীকতা কখনও সুন্দর রুপ চেহারায়
শোভা পায়না। একজন মানুষ যখন অসুন্দরকে
সুন্দর রুপে গড়ে তুলতে পারে সেই ব্যাক্তি
শিল্পমন শৌলপিকতায় সৃষ্টির কাছে শ্রেষ্ঠ।
একজন মানুষ তখনই শিল্পি যে অসুন্দর
মানুষের মাঝে সুন্দর খুজে পায়। ধন্যবাদ,

০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

মানবী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ কানিজ রিনা।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৩| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি বিষয় তোলে ধরেছেন। ধন্যবাদ জানবেন।

০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন।
ভালো থাকুন সব সময়।

১৪| ০২ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সমাজ বলতে আমি আমাদের চারপাশের পারিপার্শিক অবস্থাকে বুঝিয়েছি।এটা ঠিক সবার আগে নিজেকে বদলাতে হবে তারপর তো সমাজ বদলাবে।
আমাদের কালচারটাই এমন হয়ে গেছে ছেলে সুন্দর হলকিনা সেটা বিবেচ্য নয় ছেলের বৌকে সুন্দর হতে হবে।
আমি অতটা বুঝিয়ে বলতে পারছি না হয়তো।

০৩ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

মানবী বলেছেন: "আমাদের কালচারটাই এমন হয়ে গেছে ছেলে সুন্দর হলকিনা সেটা বিবেচ্য নয় ছেলের বৌকে সুন্দর হতে হবে।"
- সহমত।

পূণরায় এসে জবাব দেবার জন্য ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল, অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৫| ০২ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: যাঁরা মানুষের বর্ণ, উচ্চ্তা, শারিরিক সৌন্দর্য্য বিচার করে ভালোবাসে বা জীবন সঙ্গী সঙ্গীনি খুঁজে নেয় তারা নিতান্তই স্থূলভাবনার মানুষ। আলোকিত মানুষদের কাছে একজন মানুষই প্রধান, তাঁর আকার আকৃতি, বর্ণ, গোত্র নয়!
++++
আপনার সাথে একমত !
যারা বিখ্যাত তাদের নিয়ে লিখেছেন কিন্তু আমাদের মত অনেক নাম ঠিকানাহীন; তাদেরও মন আছে এবং প্রেম পিরিতি করে ..। এখন কথা হচ্ছ, সব যে ভালো হবে এর নিশ্চয়তা কি ? যদিও প্রকৃত ভালোবাসা বা প্রেমের চেহারা দেখে হয় না , মনের মিল আসল । আবার এ সকল প্রেমের বিয়েতেও কখনো, কখনো সংসার নরকে পরিণিত হয়.. বিয়ের আগে সবাই এক সুরে গান গায় ..
আমারও পরাণও যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাইগো........ সংসার সুখী হয় রুমনীর গুনে ! যদি কোন কারণে, এর বিপরীত হয়, তখন গাইতে হয় ,
আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান =p~

সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে
ভালো থাকুন সবসময়।

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

মানবী বলেছেন: "যারা বিখ্যাত তাদের নিয়ে লিখেছেন কিন্তু আমাদের মত অনেক নাম ঠিকানাহীন; তাদেরও মন আছে এবং প্রেম পিরিতি করে ..।"

- পোস্টের শুরুটাইতো এমন নাম ঠিকানাহীণ সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে লেখা ভাইয়া!!!

"এখন কথা হচ্ছ, সব যে ভালো হবে এর নিশ্চয়তা কি ?"

- খুব সত্যকথা, প্রথাগত সুন্দরীকে বিয়ে না করে অন্য কাউকে বিয়ে করলেই যে সুখের সংসার হবে এমনতো নয়। তবে পোস্টের উদ্দেশ্য হলো দৃষ্টিভঙ্গী আর মন মানসিকতার সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহবান মাত্র! সুখী/অসুখি যে কারো সাথে হতে পারে, সুযোগটাও যে কারো্রই সমান ভাবে পাওয়া উচিত!

আপনাকে যেনো কখনও "আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান " গান গাইতে নাহয় প্রার্থণা রইলো ভাইয়া।

শুভকামনা আর মজার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১৬| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য। মানুষ আর মনুসত্য দুটিই গুরুত্বপূর্ণ ।মনের মিল হয়ে গেলে বাকীটাও হয়ে যাওয়ার কথা । আর তা না হলে অন্য সব অর্থহীন ।

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

মানবী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন!

আন্তরিক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার!
অনেক ভালো থাকুন।

১৭| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

জুন বলেছেন: নিজের যোগ্যতা, চেহারা, অর্জন যেমনও হোক, স্ত্রী হতে হবে শোকেসে সাজিয়ে রাখার মতো পুতুল। স্ত্রীর সৌন্দর্য্যের সাথ সাথে তার নিজেরও যেনো সামাজিক পদোন্নতি ঘটে।। এতখানি সহমত আমি কখনোই কারো সাথে হইনি মানবী যা আজ হোলাম আপনার লেখাটি পড়ে । সুন্দর বিশ্লেষন ।
অটঃ
আমাদের স্বপ্ন পুরুষ অত্যন্ত জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল রেমিংটন স্টিলের পিয়ার্স ব্রসনান কিন্ত প্রথমে একজন অনিন্দ্য সুন্দরী রমনী কাসান্দ্রাকে বিয়ে করেছিলেন মানবী। সেই স্ত্রী ওভারিয়ান ক্যান্সারে মারা গেলে তিনি অত্যন্ত শোকাহত হন । এবং আমার জানামতে তিনি বহু পরে আরেকটি বিয়ে করেন ।
+

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

মানবী বলেছেন: "আমাদের স্বপ্ন পুরুষ অত্যন্ত জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল রেমিংটন স্টিলের পিয়ার্স ব্রসনান কিন্ত প্রথমে একজন অনিন্দ্য সুন্দরী রমনী কাসান্দ্রাকে বিয়ে করেছিলেন মানবী।"

- সেকারনেই তো রেমিংটন স্টীলের ব্রসন্যানের কথা উল্লেখ করা হয়নি, জেমস বন্ডের পিয়ার্স ব্রসন্যানের কথা বলেছি :-)
তাছাড়া রেমিংটন স্টীল কখনও আমার পছন্দের সিরিজ ছিলোনা তাই দেখা হতোনা।

প্রথম স্ত্রী ক্যাসান্ড্রা সুন্দরী ছিলো সত্য তবে পিয়ার্স ব্রসন্যানের চেয়ে ৫ বছরের বড় ছিলো। আর তরুণ ব্রসন্যান বিয়ে করে সংসার করেছে ক্যাসান্ড্রার আগের সন্তানদের নিয়েই। এধরনের চর্চা আমাদের মাঝে কম বরং উল্টোটা ঘটে বেশি!
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর প্রায় দশ বছর পর মনে হয় বর্তমান স্ত্রীকে বিয়ে করে ব্রসন্যান।

পোস্টটি মন দিয়ে পড়া আর সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জুন।


১৮| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:১৮

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। +।

মনের মিলটাই বড় কথা। কিন্তু সমাজ সেটা মাঝে মাঝে অস্বীকার করে !!

০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন কর।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১৯| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:০০

সোহানী বলেছেন: হাঁ সব ঠিক আছে তবে তা যদি আমাদের পুরুষ সমাজ বুঝতো।

"নিজের যোগ্যতা, চেহারা, অর্জন যেমনও হোক, স্ত্রী হতে হবে শোকেসে সাজিয়ে রাখার মতো পুতুল"। সুন্দরী, শিক্ষিতা, মার্জিত, আকর্ষনীয় ফিগার, আধুনিক, ঘরকণ্যায় চৈাকষ, দশ কথায় রা নেই, শশুড় বাড়ির সকলের সেবা, স্বামীর সকল অত্যাচার মেনে নেয়ার ক্ষমতা............... এমন বউ চাই ই চাই....সে জনি লিভার হোক বা ডিপজল হোক...... আর সে কারনেই তো একের অধিক বিয়ে দরকার নতুবা রোবট!!! এছাড়াতো এমন বউ মেলা ভার....... তাই নয় কি???

অনেক ভালোলাগলো সত্যি কথনে.............

০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

মানবী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন!

সত্য কথন ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
আন্তরিক ধন্যবাদ সোহানী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২০| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমারও পরানে যাহা চায়, তা যেই পূরন করতে পেরেছে, সেই আমার স্ত্রী।। রং বা শিক্ষা নিয়ে মাথা ঘামাই নি।।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

মানবী বলেছেন: ভাইয়া, আপনি শুধু ভাগ্যবানই নন বিচক্ষণও :-)

সত্যিকারের ভালোবাসা মনে হয়না বর্ণ, গড়ন,উচ্চতা, শিক্ষা বা সামাজিক অবস্থান দেখে হয়। এভাবে যা হয় তা হলো ক্যালকুলেটেদ ভালোলাগা- এই হিসেব নিকেশ করেই ভালোলাগা কে স্থায়ি সম্পর্ক করে অনেকেই হেসে জীবনটা পাড়ি দিতে জানে। তবে সুক্ষবোধ সম্পন্ন মানুষদের দ্বারা তা সম্ভব হয়না মনে হয়।


অনেক অনেক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী(আসলেইতো, আপনি সচেতন ভাবেই হ্যাপী :-)
ভালো থাকুন নিরন্তর!

২১| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১:০২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালোবাসতে হলে মন মানসিকতা দুটোই লাগে ।

পোষ্টে +++

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩১

মানবী বলেছেন: সত্যকথা!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।
অনেক ভালো থাকুন।

২২| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ২:০৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সর্বোত্তম পরামর্শ, মতামত, উধাহারণ তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো মানুষকে কেবল মনের দিকে আকৃষ্ট থাকার চেষ্টা।

সুন্দর চেহারা কোন কাজে আসে না যদি সেই সুন্দর চেহারায় কুৎসিত একটা মন লুকানো থাকে। জীবনে আর সুখের সাথে পরিচিত হওয়ার কোন সুযোগ থাকেনা। চেহারা দেখে মুগ্ধ না হয়ে মনটা বুঝার চেষ্টা করাই উচিৎ। যার প্রতি নিজেকে সপে দেয়ার আস্থা পাওয়া যায় না, তার সাথে সুখ! সে তো সোনার হরিণের মতো। তাই প্রথমে আস্থাভাজন খুঁজতে হবে, তারপর জীবনসঙ্গী বেছে নিতে হয় ..।

অনেকেই আবার ব্যতিক্রম, মনে দু'আশা বুঝেও চেষ্টা করে সফল হওয়ার জন্য, এরা একজনকেই ঘষেমেজে ময়লা দূর করে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে চায়, যদিও ব্যর্থই হয় শেষে! তখন আর সুখ খোঁজার সময় থাকেনা ...

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।
লেখাটিকে এভাবে মূল্যায়ন করায় খুব ভালো লাগলো।

আন্তরিক ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৩| ০৩ রা মে, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টটি যেমন আকর্ষনীয়
তেমনি উপভোগ্য এ
পোষ্টের মন্তব্যের কথাগুলি
ভাল লাগল পাঠে :)

০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

মানবী বলেছেন: কোন মন্তব্যগুলো বিশেষ ভাবে ভালো লেগেছে তা জানতে চাওয়া ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছিনা!

আন্তরিক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
অনেক ভালো থাকুন।

২৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আবারও এক্কেবারে গোড়ায় ধরে টান দিলেন!!!!! এভাবে আসলে কখনো চিন্তাই করা হয়নি। পুরুষ সর্বাগ্রে সুন্দরের পূজারী। নিজেও কখনো এর বাইরে ছিলাম না। এ পোস্ট পড়ার পর নিজেকে স্থুল ভাবনার মানুষ বলেই মনে হচ্ছে!!!
পোস্ট এর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

মানবী বলেছেন: শুধু পুরুষ নয় ভাইয়া, নারীরাও সৌন্দর্য্যের পূজারী। আমার মনে হয় নারীরা পুরুষদের চেয়ে বহুগুনে বেশী সৌন্দর্য্যের পূজারি। সংসারটা সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে নারীদের ভূমিকা পুরুষদের চেয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশী- সৌন্দর্য্য পিপাসু বলেই তো এ্মন।
এই পোস্টের উদ্দেশ্য সৌন্দর্য্য পিপাসু হতে অনুৎসাহি করা নয় বরং সৌন্দর্য্য অবলোকনে দৃষ্টি ভঙ্গীটা পাল্টে ফেলা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস উপরে উল্লেখিত প্রতিটি পুরুষের কাছে নিজ নিজ স্ত্রী বিশ্বের সেরা সুন্দরী! নারী পুরুষ উভয়ের সৌন্দর্য্যের ক্ষেত্রে আমাদের মগজে গেঁথে থাকা সংজ্ঞাটা বড় বেশি সংকীর্ণ- যার বড় একটি প্রভাব মিডিয়ায় প্রদর্শিত নায়ক নায়িকা বা মডেলরা।
একটু ভেবে দেখলে স্পষ্ট হয় এই মিডিয়ায় প্রদর্শিত চেহারা ৩ ঘন্টা মেকাপের ফসল মাত্র! তাই অধিকাংশ জন বাস্তব জীবনে কাঙ্খিত সৌন্দর্য্যের সঙ্গী সঙ্গীনি সহজে খুঁজে পায়না।

আমার ধারনা আপনি স্থূল ভাবনার মানুষ নন :-)
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এরশাদ বাদশা।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৫| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ওমর সাহিত্যিক বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে আমার লজ্জা পাবার কথা। কারন আমি ব্যাক্তিগত জীবনে এই সমস্যার ভিতর দিয়ে অতিক্রম করছি। কিন্তু আমি লজ্জাটাকে ঢেকে রেখেছি। এখানে যে সমস্ত জুটির কথা লিখেছেন, তারা নিজেদের ভালবাসার মানুষককেই বেছে নিয়েছে। সেসব দেশে নিজেদের পছন্দমত বিয়ে করতে কোন বেগ পেতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশের কথা আপনি জানেন, ছেলে পক্ষ চাইবে তো মেয়ে পক্ষ চাইবে না, আবার মেয়ে পক্ষ রাজি তো ছেলের বাবা মা রাজি না। যদি পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তবে, বিয়ে উভয়ের পছন্দ জানা অজানা বিষয় জেনেই হওয়া উচিত। ছেলের উচিত তার সব গোপন জিনিষ প্রকাশ করা, মেয়েরও উচিত সব খোলাখুলি জানানো। কিন্তু কোন পক্ষ যখন আড়াল করে তখন সেখানে সম্পর্ক গড়ে উঠা কঠিন। আর সেক্ষেত্রে বিয়ে টিকানো অনেক মুশকিল। ইসলামে ছেলে মেয়েদের প্রকাশ্যে দেখাশুনা নিষেধ। কিন্তু একমাত্র বিয়ের ক্ষেত্র আল্লাহ বলছেন, তোমরা পস্পরকে দেখে জেনে বিয়ে কর। মেয়ে কুৎসিত, কালো, খাটো এটা তার দোষ না, আল্লাহ যাকে যেমন বানিয়েছে। কিন্তু নিজেকে আড়াল করে কোন মেয়ে বা ছেলে যদি বিয়ের মত জটিল বন্ধন সৃষ্টি করে তবে তা টিকানো দুষ্কর।

০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০০

মানবী বলেছেন: ‌এদেশের কালচারটাই পরিচিত হয়ে ভালোবেসে বিয়ে করার কালচার হয়ে গেছে, এখন এখানে যে দু চারটা এ্যারেন্জ্ঞড ম্যারেজ হয় সেসব সংবাদ হয়ে উঠে। পোস্টে উল্লেখিত ব্যক্তিরা যদি এ্যারেন্জ্ঞড ম্যারেজ করতো তাহলেও তাঁরা ঠিক এমন সঙ্গীনিই বেছে নিতেন। এখানে বাহ্যিক সৌন্দর্য্যটা নিয়েই বলা হয়েছে।
আমাদের দেশের মানুষের নারী পুরুষ উ্যয়েরই সুন্দর বিশেষ করে বাহ্যিক সৌন্দর্য্য বিচারে দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন জরুরী। নাটক সিনেমায় দেখা শত লেয়ারের রঙ মাখা চেহারা দেখে আর কতোদিন বি্ভ্রান্ত হয়ে থাকবে সাবি!!

আপনার ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ব্যাপারটা কোন কিছু আড়াল বা প্রকাশটা মূখ্য নয়। আপনি হয়তো বুঝতে পারছেননা বা বুঝলেও মানতে চাইছেননা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সবচেয়ে ভালো মেয়েটির সাথে বিয়ে দিলেও আপনি সুখি হবেননা। মনের মাঝে যখন আর কেউ খুব দৃঢ় থাকে তখন আর সবাইকেই অসহনীয় মনে হয়।
মেয়ে পক্ষ আড়াল করবে কিভাবে? একজন মেয়েকে বার বার দেখতে চাইলে তারা আপত্তই করলে বরপক্ষও বিয়েতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এখণ আপনার পরিবার থেকে তা নাকরে উল্টো আপনাকে বিয়েতে সন্মত করেছে সেই দোষ কি মেয়েটিকে বা তার পরিবারকে দেয়া যায়?
আবারও বলছি, মনে করে দেখুন আপনি সবচেয়ে আগে তাঁর চেহারা বা উচ্চতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন কিনা! যদি করে থাকেন তাঁর প্রতিঘাত করা বা রূঢ় আচরণটা অন্যায় নয়। আপনার পক্ষ থেকে নম্র ব্যবহার অনেক কিছু সহজ করতে সক্ষম। আপনি সদয় হলে তিনিও মানসিক চাপে আপনার বিভিন্ন সাময়িক অ্পরাগতার কথা মেনে নিতেন, বুঝতেন। আপনি যদি তাকে কুৎসিত বলে তার পরিবারের বিরুদ্ধে জোচ্চুরীর অভিযোগ করেন সেক্ষেত্রে সেও সর্ব শক্তি দিয়ে আপনাকে আপনার পরিবারকে আঘাত করতে চাইলে খুব দোষ দেয়া যায়না মনে হয়।

বিয়ে ব্যাপারটা খুব জটীল। এখানে সম্পূর্ণ দু রকমের পরিবেশ আজন্ম লালিত দুজন মানুষ ভিন্ন পরিবেশের একজনের সাথে একান্ত ভাবে সব শেয়ার করে। তাই খুব ভালোবেসে বিয়ের পরও বিভিন্ন জটীলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। একজনকে ডিভোর্স দিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করলেই সুখি হবার গ্যারান্টি পাওয়া যায়না।

আপনি ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত আছেন তাই আমার জবাবটিও খুব বড় হলো বলে দুঃখিত।
প্রার্থনা করি যার সাথেই হোক আপনার সংসার সুখের ও আনন্দময় হয়ে উঠুক। :-)

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ওমর সাহিত্যিক।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,




মানুষের মনোজগৎ এর ভেতরের হরেক রকমের দোলাচল থেকে কেবল জটিল একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন । ভালোবাসার বেলাতে যে মানুষটি কোন জাতপাত,বর্ণ, দেশ-কাল, অবয়বে বিশ্বাস করেনা সে-ই আবার সৌন্দর্য্যের পুজারীও হয় । নেহাৎ ঘাসফুলটাকে ফেলে সে গোলাপটিকেই বেছে নেয় । মানুষের মনের এটাও একটা দিক । এটাকেও অস্বীকার করার মতো নয় । জীবনসঙ্গী নির্বাচনের বেলায় যারা ভালোবাসার পাত্রপাত্রীকে বেছে নেন সেখানে রূপ-অরূপের প্রশ্ন নেই, থাকার কথাও নেই । আর যাদের দেখেশুনে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে হয় তারা মানুষের স্বভাবজাত সৌন্দর্য্য প্রিয়তার দিকেই ঝুঁকে পড়েন । এটাও স্বাভাবিক । যাদের দেখার সুযোগ নেই তাদের তো রূপ-অরূপের প্রশ্নই অবান্তর । এমন ক্ষেত্রে আশাহত হওয়া থেকেই সমস্যা তৈরী হয় ।
আপনি নিজেও তো শিরোনামে বলেছেন - আমারও পরাণও যাহা চায় তুমি তাই.. । নারীপুরুষ নির্বিশেষে আমাদের পরাণও তো সুন্দরকেই চায়, সেই তুমিকেই চায় । এতো অনেকটাই ধ্রুব সত্য ।

আসল প্রসঙ্গে ফিরে এসে আপনি কর্পোরেট জগৎ থেকে আলাদা করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসাকেই তুলে ধরেছেন । উদাহরণ ও দিয়েছেন । এমন ভালোবাসার ক্ষেত্রে, ভালোবাসা কোন জাত-পাত,বর্ণ, দেশ-কাল, অবয়বের ধার না ধরা ত্ত্ত্বই কাজ করে । এতে মনে হয় কেউ দ্বিমত করবেন না ।

বিভিন্ন সময় কৃষ্ণবর্ণের মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার সূত্রেই আপনার এই লেখাটি । মনে হয়, ওসব লেখায় ভালোবাসার কোনও স্থান থাকেনা । যারা লেখেন তারা , " যাহা চাই তাহা পাইনা ..." এমন হতাশা থেকেই লেখেন, পজেটিভ দিকটি তুলে ধরে নিজেদের দূর্বলতা ঢাকতে । এ বিষয়ে আপনি ঠিকই বলেছেন , "কথা হলো, তাঁদের মনে করিয়ে দেয়াটাও এক ধরনের বৈষম্য!"

আবার একথাও সত্যি, আলোকিত মানুষদের কাছে একজন মানুষই প্রধান, তাঁর আকার আকৃতি, বর্ণ, গোত্র নয়!
আসলে কেবলমাত্র সুন্দরের প্রতিই যে আমাদের সকল ভালোবাসা লুটিয়ে পড়বে এমন কোন কথাও আবার নেই । প্রকৃতির অসুন্দরতাকে , অপূর্ণতাকে মেনে নিয়ে যিনি ভালোবাসা সমর্পণ করেন , ভালোবাসার পাত্র-পাত্রীটিকে বা বস্তুটিকে গড়ে তোলেন মনের মাধুরী মিশিয়ে তার ভালোবাসা নিখাদ - সত্যিকারের । সেটা দু’জনার সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগেও হতে পারে , পারে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হবার পরেও ।

ভালো লিখেছেন । শুভেচ্ছান্তে ।

০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২১

মানবী বলেছেন: নেহাৎ ঘাসফুলটাকে ফেলে সে গোলাপটিকেই বেছে নেয় ।

- আমি আক্ষরিক অর্থেই গোলাপ ফেলে ঘাসফুল তুলে নেয়া একাধিক মানুষকে জানি। ঘাসফুল গোলাপের চেয়ে কোন অংশে কম সুন্দর নয় বরং অনেক বেশি রহস্যময়। গোলাপ হলো প্রথাগত সৌন্দর্য্যে বলীয়ান। অতি প্রচার বা ব্যবহারে আজ গোলাপের কদরও তেমন নেই, মানুষ ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য্য অবগাহনে সমর্থ হয়েছে, খুলে দিয়েছে মনের জানালা।

নারীপুরুষ নির্বিশেষ সুন্দরকে চায় সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত! সৌন্দর্য্য অবলোকনে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গীর প্রয়োজন জরুরী। যুগ যুগ ধরে চলে আশা যে প্রথাগত সৌন্দর্য্যের প্রতি আমাদের অনুরোক্তি অনেকটা সামাজিক ব্যাধির আকার নিয়েছে আথুনিক হতে হলে তা ঝেড়ে ফেলা প্রয়োজন। শুধু পোশাক পরিচ্ছদ আর খাবার দাবারে পাশ্চাত্যের অনুকরনে নিজেকে আধুনিক করে তোলা যায়না, আধুনিকতাটা আসতে হবে মননে, ভাবনায় আর রুচিবোধে।

বিস্তারিত মন্তব্য পড়ে ভালো লেগেছে।
আন্তরিক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
ভালো থাকুন নিরন্তর।


২৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার লেখা থেকে ধার করেই মন্তব্যটি করছি, সুখী হতে জীবন সঙ্গীনি হিসেবে অনিন্দ্য সুন্দরী অনিবার্য নয়, বরং যে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু সেই যথার্থ!

০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

মানবী বলেছেন: .
:-)

সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।
অনেক শুভকামনা রইলো।

২৮| ০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:১১

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: পরীক্ষা দিয়ে এসে আপনার পোস্ট পড়বো। তাই কমেন্ট করে রাখলাম।

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:২০

মানবী বলেছেন: আমি গতকাল আপনার পরীক্ষার সময় ব্লগে ছিলাম, এই মন্তব্য চোখে পড়ায় আন্তরিক ভাবেই প্রার্থনা করেছি পরীক্ষা যেনো খুব সহজ আর ভালো হয়। আশা করি সব প্রশ্নের যথার্থ আর সঠিক জবাব দিয়েছেন।

পরীক্ষা শেষ হবার আগে ব্লগে এসে সময় নষ্ট আর মানসিক ভাবে ব্যস্ত থাকাটা খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা বুঝতে পারছিনা।

পরীক্ষা শেষে এই পোস্ট সম্পর্কে আমার মন্তব্য জানার আগ্রহ রইলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা নাদিম আহসান তুহিন।

২৯| ০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , পোষ্টটির সমুদয় লেখা ও সকল মন্তব্যই ভাল লেগেছে । অভিভুত হয়েছি লেখাটি সম্পর্কে প্রিয় সহব্লগারদের সুন্দর সুন্দর মুল্যায়ন পাঠে । বুঝতে পেরেছি সকলেই আন্তরিক ছিলেন লেখাটি পাঠে , সময় অভাবে আমি ততটুকু যেতে পারিনি লেখাটির গভীরে , তবে একটু সময় করে আবার মনোনিবেশ করব লেখাটিতে । এখন তাই নিয়ে গেলাম প্রিয়তে ।
শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৮

মানবী বলেছেন: পোস্টটির মন্তব্যকারীদের সুন্দর মূল্যায়নে আনন্দিত হলাম।

এই সাধারণ লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন জেনে ভালো লাগলো।

পূনরায় মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৩০| ০৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

মাসুদ কামাল বলেছেন: আপনার লেখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এটি পড়ে একজন মানুষও যদি নতুন ভাবে চিন্তা করেন, তবেই এটি সার্থকতা পাবে।

তাছাড়া আপনার লেখাতেও বেশ গতি আছে, পড়তে ক্লান্তি লাগে না।

০৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:২৪

মানবী বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যে আমার সাধারণ পোস্টটি সন্মানিত হলো। যদিও আমার লেখা কখনও তেমন মান সম্পন্ন নয় তারপরও কিছুটা বিব্রতবোধ করছি একটি খেলো মানসিকতা নিয়ে অত্যন্ত হাল্কা ভাবে লেখা পোস্টটি দিয়ে আমার ব্লগের সাথে আপনার পরিচয় হলো ভেবে!

বাস্তব জীবনে আপনিই প্রথম সাংবাদিক যাঁকে কিছু নিয়ে লিখতে অনুরোধ করেছিলাম। প্রায় দশ বছর আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একটি অনুরোধ জানিয়েছিলাম আপনার সাথে শেয়ার করছি। নিতান্ত নষ্ট করার মতো সময় থাকলে পড়তে পারেন :-)

সাধারণ পোস্টটির মূল্যায়নে পোস্টটি ধন্য হলো।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা মাসুদ কামাল।
ভালো থাকুন প্রতি মূহুর্ত।

৩১| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন মানবী আপু।
কয়দিন আগে ফেসবুকে একটা ব্রাইডকে নিয়ে ঝড় উঠেছিল কারন সে সে মেকাপ করেও নিজের শ্যামলা রং রেখেছিল। সবাই বলছিল সে কত সাহসী হেন তেন। এটা যে বলল তাও তো বৈষম্য হল। তার মানে হল কালো রংয়ের বউ তো হতেই পারেনা। সে যেহেতু এমন সেহেতু সে সাহসী। আমরা এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারিনি। কি আজব আমাদের মন মানসিকতা! অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ মেয়ের রংই কিন্তু শ্যামলা বর্ণের। যে কয়জন সাদা বর্ণের মেয়ে আছে তাদের নিয়ে কাড়াকাড়ি।
এ পোস্টটি আগে দেখেছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে ভালো করে পড়া হয়নি। ধন্যবাদ আপু।

১২ ই মে, ২০১৭ রাত ২:১৮

মানবী বলেছেন: খুব সম্ভবত গত বছরের ঘটনা। চায়না বা চীনে একটি ডিভোর্সের ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো।
সন্তান জন্মের পর স্বামী দেখে সন্তান দেখতে না তার মতো হয়েছে না স্ত্রীর মতো, সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং স্বামীর দৃষ্টিতে অসুন্দর(শিশুদের কারো কাছে অসুন্দর মনে হলে সে নিজেই অসুন্দর মনে করি)!
স্ত্রীকে সন্দেহ করে মহাকান্ড বাঁধিয়ে দেবার পর তাকে জানানো হয় তার স্ত্রীর চেহারার মতোই হয়েছে তাদের সন্তান! স্ত্রী প্লাস্টিক সার্জারী করে চেহারা আমূল পাল্টে ফেলায় স্বামী তার স্ত্রীর প্রকৃত রূপ ধারনা করতে পারেনি, স্বামীর সাথে তার পরিচয় ঘটেছে প্লাস্টিক সার্জারীর পর :-)

ঘটনা জেনে ভীষণ রেগে প্রতারণার অভিযোগ এনে সাথে সাথে স্ত্রীকে ডিভোর্স করে!

আমার ধারনা আমাদের দেশে ফর্সাদেরও বিভি্ন্ন কটুবাক্য শুনতে হয়! মানুষের গাত্রবর্ণ, আকার আকৃতি, উচ্চতা নিয়ে কটুবাক্য বা সমালোচনা অত্যন্ত নীচ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র!

সময় করে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইলো উন্মে সায়মা।

৩২| ২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

উর্বি বলেছেন: আমাদের দেশে তথা পুরো দক্ষিন এশিয় অন্চলেরই পুরুষদের মাঝে এক সংকীর্ণ ভাবনা কাজ করে। নিজে দেখতে জনি লিভার হলেও প্রেমিকা, বিশেষ করে স্ত্রী হিসেবে প্রায় সকলেই ঐশ্বরিয়া রাইয়ের চেহারা খুঁজে! নিজের যোগ্যতা, চেহারা, অর্জন যেমনও হোক, স্ত্রী হতে হবে শোকেসে সাজিয়ে রাখার মতো পুতুল। স্ত্রীর সৌন্দর্য্যের সাথ সাথে তার নিজেরও যেনো সামাজিক পদোন্নতি ঘটে-------------
দারুন ভাবে কতগুলো নগ্ন সত্যকে তুলেছেন আপু। এগুলা যে কতটা সত্যি যে ভিক্টিম সে ছাড়া কেউ বুঝবে না! একদম সত্যি সত্যিই এমন হয়।
লেখার জন্য +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

মানবী বলেছেন: এত্তো এত্তো গুলো প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ উর্বি মনিকে।
আল্লাহ্'র রহমতে আমাকে এর ভিক্টিম কখনও বলা যাবেনা তবে আশে পাশে অজস্র উদাহরণ দেখেছি।


আব্দুল্লাহ্ স্যারকে সাপোর্ট জানিয়ে লেখা পোস্টে মন্তব্য বন্ধ করেছেন কেনো আপু!!
বড় একটি মন্তব্য করে দেখি পোস্ট করা সম্ভব নয়!!

অনেক অনেক ভালো থাকুন উর্বি।

৩৩| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আজকাল নিজের সাথে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে চলে আসি। যদি সংকীর্ণতাগুলো প্রকাশ পেয়ে যায় ক্ষণিকের আলাপে?

২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

মানবী বলেছেন: আমরা খুব আবেগ আপ্লুত হয়ে জগজিৎ সিংহের গজল শুনি
"না উমর কি সীমা হো, না জনমোকা হো বান্ধন
যাব পেয়ার করে কোয়ি, তো দেখে কেওল বালমান"
তবে গান বন্ধ করে বাস্তব জীবনে নেমে এলেই আমরা ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসেব কষতে বসে যাই, তাই না ভাইয়া? :-)

মানুষের, চেহারা, রং, হাইট, আকার আকৃতি এসব আসলেই খুব স্থূল ব্যাপার।
আমাদের সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভকামনা হাতুড়ে লেখক।

৩৪| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

উর্বি বলেছেন: মানবী আপু, বাধ্য হয়ে মন্তব্য অফ করে দিসি। কারন আর যাই হোক, স্যারের মতো মানুষকে নিয়ে বাজে মন্তব্য কখনোই সহ্য করার মতো নয়। যে জেনুইন ভালো তাকে কেন সমাজে হেয় হতে হবে! এই কারনে মন্তব্য অফ করে দিসিলাম।

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৬

মানবী বলেছেন: আমরা যারা এখানে আছি, আমাদের সম্পর্কে আজে বাজে মন্তব্য করলেই কিছু এসে যায়না, যে খারাপ কথা বলছে সেই খারাপ হয়। সেখানে আব্দুল্লাহ্ স্যার অনেক বড় মাপের মানুষ, এধরনের আক্রমণ তাঁকে স্পর্শ করেনা।

আপনার পোস্টের মন্তব্য ওপেন থাকলে একদিকে আমরা সকলে যেমন তাঁর আক্রমণকারীদের জেনে রাখতে পারি তেমনি ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ্ আসলে কে, সে সম্পর্কেও সকলে অবগত হতে পারে। আমার ধারনা যারা এখানে নেতিবাচক মন্তব্য করছে তারা তাঁর সম্পর্কে না জেনেই করছে।

আমি আপনার স্থানে হলে সেই পোস্টটি মুছে নতুন করে আবার দিতাম, সবাই মতামত জানাবে, স্যার সম্পর্কেও জানবে।
আপু, আপনি আমি আমরা নিজেরাও কিন্তু ঢাকার রং চকচকে ক্লিনিক বা হাসপাতালের স্বরূপটা ভালো ভাবে জানি, মানুষের ক্ষোভটাও পজিটিভলি গ্রহন করতে হবে। তবে হ্যা, নোংরামী বা মাত্রাতিরিক্ত কিছু নয়।

অনেক অনেক ভালো থাকুন উর্বি।

৩৫| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২১

উর্বি বলেছেন: পোস্ট ওপেন করে দিসি আপু। :)

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২৩

মানবী বলেছেন: ভালো খবর আপু, ধন্যবাদ :-)


তবে এখন ওপেন করলে বেশী সংখ্যক মানুষের চোখে পড়বেনা, অনেক পিছনে চলে গেছে।
ওটা নতুন করে পোস্ট করলে আপনার বক্তব্য অনেক বেশি জনের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

৩৬| ২৭ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: খুউব ভাল লাগল । সত্য‌ি ত‌ো প্রকৃত ভালবাসা হঠাৎ এ আস‌ে ,তাত‌ে ক‌োন রূপ মাপকাঠ‌িতে পড়‌ে না । স‌েই বন্ধন সারা জীবনের জন্য । ক্ষন‌িক‌ের ক‌োন ম‌োহ ক‌েটে গ‌েলে তা হারায় না । ( পুরাতন ব্লগার এখন‌ো আছে দ‌েখে ভালই লাগল )

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

মানবী বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে পোস্ট স্বার্থক হলো আপু।
দীর্ঘদিন পর ব্লগে দেখছি আপনাকে, আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হবেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় নূর-ই-হাফসা।
ভালো থাকুন সব সময়।



*এখান থেকে অভ্র কী-বোর্ড ডাউনলোড করে দেখতে পারেন, হয়তো বাংলা টাইপ সহজতর হবে।*

৩৭| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পোস্ট টা পড়লাম। কেন যেন পড়ে মাথাটা ঘুরাচ্ছিল। আরো ২ বার পড়লাম।

যাইহোক আমার এই ছোট জীবনের অভিজ্ঞতা হল-
জনি লিবারের মত দেখতে হোক বা ব্যাড পিট, সুন্দরী মেয়ে নিয়া ঘর-বাধা মানে বিষধর সাপের মাথা থেকে মুক্ত আনা। তো মুক্ত দেখে মানুষ হ য়তো বাহ বাহ দিবে কিন্তু আঘাতে জজ্জরিত দেহের খবর কেউ নিবে নাহ। তো যেনে শুনে সেই সাপের কামড় খেয়ে জীবন দু:দ্রশা গ্রস্থ করতে কে বা চাইবে?

উপরের যাদের উদাহরন দিয়েছেন তারা হয়তো বিষহীন নাগিনী নিয়ে সুখে আছে।

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

মানবী বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে মাথা ঘুড়ে গেছে!!! বাহ্!

আসলে এমন নয় যে প্রথাগত সুন্দরী হলেই সে বিষযুক্ত নাগিনী আর প্রথার বা্রের সৌন্দর্য্যের অধিকারিনীরা বিষহীণ নাগিনী!
ভালো মন্দ সকলের মাঝেই আছে, শুধু সৌন্দর্য্যের প্রথাগত মাপকাঠি থেকে দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টানোর আহ্বান জানিয়ে এই পোস্ট।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা কলিমুদ্দি দফাদার।

৩৮| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভালবাসা এরকমই হওয়া উচিত ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪০

মানবী বলেছেন: তাইতো! :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভকামনা শাহারিয়ার ইমন।

৩৯| ২৬ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইলো, ঈদ মোবারক।

৪০| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৩২

মেহবুবা বলেছেন: অনেক আগের এই পোষ্ট চিরন্তন সত্য কে তুলে এনেছে ।
ভাল থেকো মানবী।

৪১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কি খবর, কেমন আছেন?

৪২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৭

রোবোট বলেছেন: কি খবর, কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.