নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

***সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকেই নিতে হবে!!!***

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩



যুক্তরাষ্ট্রের এ্যারিজোনা, ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের ভোর, হাইওয়ে দিয়ে ছুটে চলছে সারি সারি গাড়ি। ফটোগ্রাফার থমাস ইওক্সেল সেপথে যাবার সময় লক্ষ্য করে একজন পুলিশ অফিসারকে মাটিতে চেপে ধরে আঘাতের পর আঘাত করে যাচ্ছে এক দুর্বৃত্ত। প্রায় সাড়ে তিনশত মাইল পথের দীর্ঘ যাত্রার প্রায় শুরুতেই এমন দৃশ্য, তারপরও গাড়ি থামিয়ে কাছে গিয়ে দুর্বৃত্তকে আক্রমণ বন্ধ করতে বলে। তাতে সাড়া না পেয়ে শুধু পুলিশ অফিসার এ্যান্ডারসনের কাছে জানতে চায়, তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা! অফিসার সন্মতি জানাতেই দ্বিতীয়বার না ভেবে থমাস তার গাড়িতে আত্মরক্ষার জন্য রাখা পিস্তলটি নিয়ে এসে গুলি করে সেই দুর্বৃত্তকে নিবৃত্ত করে, আহত অফিসার এ্যান্ডারসনকে প্রায় অবধারিত মৃত্যুর হাত হতে রক্ষায় সাহায্য করে।
পুলিশের প্রতি কতোখানি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থাকলে একজন অতি সাধারণ মানুষ তাঁদের জন্য হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করেনা, তা সহজে অনুমেয়।

আমেরিকায় জনমানুষের সবচেয়ে ভরসা, ভালোবাসা আর আস্থার বাহিনীটির নাম "পুলিশ বাহিনী"। দিবারাত্রির ২৪ ঘন্টার যেকোন সময় যাঁদের কাছে নিশ্চিন্তে সমস্যার কথা বলা যায়, তাঁরা আমেরিকার পুলিশফোর্স। আর সব পেশার মতো পুলিশের মাঝেও দু চারটি কালোভেড়া আছে তবে সৎ আর নিষ্ঠাবান পুলিশের তুলনায় তাদের সংখ্যাটি নগণ্য। এ কারনেই আমেরিকার পুলিশের দ্বারা সংঘটিত যেকোন অন্যায় সংবাদ শিরোনামে চলে আসে, নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে।

এই ব্যাপারটির মাঝে সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটি সকলের চোখ এড়িয়ে যায় তা হলো, মানুষ জানে পুলিশবাহিনীর মাঝে সৎ অফিসারের সংখ্যা বেশি, তাঁদের উপর ভরসা করা যায় এবং তাঁদের কাছে অন্যায়ের প্রতিকার দাবী করা যায়। পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেটির পক্ষে বিচারের দাবীতে নামা মিছিল যদি উগ্ররূপ ধারন করে, আর সেই মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ছুঁড়ে দেয়া লাঠি হাতে ছেলেটি পরদিন তার পরিবারের কোন বিপদে সবচেয়ে আগে পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারে, কারণ এদেশের পুলিশের এক এবং অভিন্ন লক্ষ্য জনগণের সেবা, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পাশাপাশি বাংলাদেশের চিত্রটি দেখা যায়...

সব চেয়ে অপ্রিয় না হলেও জনগণের সবচেয়ে অনাস্থার বাহিনীটির নাম অনুমানে কারো সময়ের প্রয়োজন নেই!
অশ্রদ্ধা, অনাস্থা, অবিশ্বাস আর বিতৃষ্ণা - এসকল অনুভূতি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি জনমানুষের অনুভূতি, আর সাধারণ মানুষের অনাস্থা, অবিশ্বাস আর ভীতি একটি বিশেষ বাহিনীর প্রতি!! বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কি সৎ আর নিষ্ঠাবান অফিসার বা সদস্য নেই? আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, অবশ্যই আছে এবং বহুল সংখ্যায় আছে। সমস্যা হলো আমাদের পুলিশ বাহিনীর দুর্নীতিপরায়নদের ভীড়ে সেসব সৎ কর্মকর্তা সদস্যদের উপস্থিতি ম্লান হয়ে যায়।

মানুষের মনোভাব যেমনই হোক, আমরা জানি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী চৌকষ, দক্ষ আর তাঁরা ইচ্ছে করলে খুঁজে বের করতে পারেনা এমন আসামীর অস্তিত্ব নেই। অথচ নিষ্পাপ শিশু আয়েশাকে বলাৎকারের প্রচেষ্টার পর সেই কুলাঙ্গার যৌননির্যাতক ফারুক সম্প্রতি গ্রেফ্তার হয়েছে দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় পর! আইন বিচারের সুযোগ থেকে বন্চিত করে আয়েশার বাবা হজরত আলীকে আত্মহননে উস্কানীদানের জন্য ইউনিয়ন মেম্বারকে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রেফ্তার করা নিঃসন্দেহে আরেকটি মহৎ কাজ। তবে পরক্ষণেই এর বিপরীত চিত্র-

ময়মনসিহের গৌরিপুর থানার এসআই মিজানুল কনস্টেবল হালিমা বেগমকে ধর্ষণ করার পর হালিমা যখন ওসি দেলোয়ার হোসেনের কাছে অভিযোগ করে সুবিচার না পেয়ে অপমানে আত্মহনন করেন, তখন ধর্ষক মিজানুল গ্রেফ্তার হলেও আত্মহননে প্ররোচনা দানের জন্য ওসি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফ্তার করা হয়নি আজও।


একজন সাদা এ্যাপ্রন পরিহীতা চিকিৎসকের বাবা যেদিন তাকে প্রথম স্টেথোস্কোপ হাতে হাসপাতালে যেতে দেখেন, সেদিন তাঁর চোখে যে আনন্দ আর গর্বের স্পার্কল থাকে আমার বিশ্বাস ঠিক তেমন অথবা তারচেয়েও বহুগুনে বেশী আনন্দের ঝিলিক খেলে যায় যখন কোন পিতা তাঁর আদরের মেয়েটির পরনে প্রথমবারের মতো পুলিশের ইউনিফর্ম দেখেন- বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে। এক ধরনের স্বস্তি, আস্থা আর গর্ব থাকে সেই দৃষ্টিতে, ঠিক যেমন ছিলো ময়মনসিংহের হালিমার বাবার চোখেও।



মেয়ের পুলিশে জয়েন করার অর্থ শুধু মেয়েটি আত্মনির্ভরশীল হওয়া নয় সেই সাথে নিজেদের নিরাপত্তা আর মেয়েটির নিরাপত্তা সম্পর্কে এক প্রকার নিশ্চিন্ত হওয়া। পুলিশ মানেই প্রচন্ড টাফ একজন মানুষ, তা শারিরীক এবং মানসিক দুদিক থেকে- যার মাথায় পিস্তল ধরে জীবননাশের হুমকি দিলেও তাঁর নাড়ির গণনায় এতোটুকু হেরফের হবেনা।

হালিমা বেগম ঠিক একই স্বপ্ন নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর? লম্পট সহকর্মীর লোলুপ দৃষ্টি এসে পড়ে তাঁর উপর, ঠিক আর দশটি পেশার মতো পুলিশ বাহীনিতে দু একজন চরিত্রহীণ লম্পটের উপস্থিতি খুব অস্বাভাবিক নয়। দুঃখজনক ভাবে সংখ্যাটি হয়তো আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কল্পণা বা ভাবনার সীমার চেয়ে ঢের বেশী। আর তাই হয়তো শত অভিযোগেও সে লম্পটকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি।



রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটটি অনুযায়ী- ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ রাত ২টায় ময়মনসিহের গৌরীপুর পুলিশ স্টেশনের এসআই মিজানুল ইসলাম তার লালসা চরিতার্থে ধর্ষন করে কনস্টেবল হালিমা বেগমকে, এক নিমেষে ভূলুন্ঠিত করে হালিমা খাতুনে সকল গৌরব, আত্মবিশ্বাস আর ছিনিয়ে নেয় তার সম্ভ্রম। হালিমা দমে যায়না, মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়িয়ে নিজ বাহিনীর মাঝের ক্লেদাক্ত কীটের বিরুদ্ধে যুদ্ধটি চালিয়ে যেতে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি দেলোয়ার হোসেনের কাছে। ওসি কুলাঙ্গার মিজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়।

বেশ কিছু দিন চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে পুলিশেরই এক পরিত্যাক্ত ব্যারাকে ২রা এপ্রিল হতাশা, অপমান আর লজ্জায় নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

হালিমার এই দুঃখজনক পরিণতির পর ওসি অভিযোগের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।ওসি দেলোয়ার হোসেন জানেনা তার এই অস্বীকৃতির চেয়ে এমন অন্যায়ের পর যে নিজের জীবন দিয়ে অন্যায়, অনাচার আর নিজ পেশার মাঝে বিচরণ করা কীটদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন, তাঁর মৃত্যু আমাদের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য!!!

জনগণের মনে কৌতুহল হালিমার অভিযোগপত্র গ্রহনে অস্বীকারের কি কারণ হতে পারে!!! কি হতে পারে কন্সটেবল হালিমা বেগমের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও পুলিশবাহিনীরর ওসি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফ্তার না করার কারণ(তদন্ত কমিটি গঠন করে দুমাসের অধিক সময় অতিবাহিত হবার পরও ওসি গ্রেফ্তার হয়নি অথচ হজরত আলীকের আত্মহননে প্ররোচণার জন্য মেম্বারকে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রেফ্তার করা হয়েছে)!!

অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয় হলো, হালিমার এই আত্মাহুতির ব্যাপারে মিডিয়া, প্রশাসন সবখানে পিনপতন নিঃস্তব্ধতা! কিছু কিছু নিরবতার গর্জন হঠাৎ বজ্রপাতের হুংকারকে কে ছাড়িয়ে যায়।। প্রশাসনের এই ঔদাসিন্য, মিডিয়ার এই পিনপতন নিস্তব্ধতা কন্সটেবল হালিমার আর্তনাদ হয়ে বেজে চলেছে সাধারণ মানুষের মনে।

মিডিয়ার মৌনতা বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বোধগম্য। প্রচন্ড সাহসী, সৎ, নির্ভীক সাংবাদিকদেরও হাত পা বাঁধা থাকে মিডিয়া হাউজের বেনিয়া মালিক পক্ষের কাছে। আর তারপরও কেউ কেউ খুব সাহসী হয়ে উঠতে চাইলে তাঁদের জন্যও সামনে রাখা আছে সাগর সারোয়ার আর তাঁর স্ত্রী রুনীর উদাহরন। সুদি মহাজনের নষ্ট লালসা যেভাবে নিরীহ আব্দুর রশিদদের লাশ ঝুলিয়ে দৃষ্টান্ত রেখে দেয় সকল ঋনগ্রহীতাদের জন্য।

আমাদের বাংলাদেশের পুলিশবাহিনীর হাতে ছিনতাইকারি, চাাঁদাবাজ, মাস্তান এমনকি ধর্ষকেরা যতোখানি শারীরিক ভাবে লান্ছিত হয়েছে তার চেয়ে পুলিশ দ্বারা লান্ছিত সাংবাদিকদের সংখ্যাটাই বেশি না কম নিশ্চিত নই!
তাই আশা করছিনা এবং চাইছিনা কোন সাংবাদিক তাঁর/তাঁদের নিরাপত্তা হুমকীর মুখে ফেলে হালিমার পক্ষে কলম ধরবেন, ওসি দেলোয়ারের গ্রেফ্তারের দাবী জানাবেন। মাস্তান চাঁদাবাজ হত্যাকারীর হাতের অস্ত্রটি গুঁড়িয়ে দিতে না জানলেও কেউ কেউ যত্নের সাথে সাংবাদিকের কলম গুড়িয়ে দিতে জানেন!

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বেনিয়া মালিকেরা অর্থের ঝনঝনানির কাছে জিন্মী। আর এখন যেহেতু তাদের সুযোগ হয়েছে শুধু অর্থ নয়, রীতিমতো স্বর্নের ঝংকার শোনার তাই সব ফেলে তারা ব্যস্ত হয়ে আছে বনানীর জোড়া ধর্ষন নিয়ে, ভুল হলো.... তারা ব্যস্ত হয়ে আছে রেনট্রি হোটেলের ধর্ষক আপন জুয়েলার্সের মালিক পক্ষ নিয়ে। ক্ষণে ক্ষণে প্রচারে এদের যতো কোনঠাসা করে রাখা যায় তাতে ভিক্টিম দুজনের পক্ষে বিচার সুনিশ্চিত করা যাক বা না যাক, মুখ বন্ধ করার লক্ষ্যে দুচার সেট (?)উপঢৌকণ পাবার সম্ভাবনা বেশি। তাই দিবারাত্রী শুধু স্বর্ণালংকারের দোকানের মালিক পক্ষদের খবর!!!

মিডিয়ার মুখ বন্ধ করতে এসব উপঢৌকন এক এক করে বিভিন্ন ধাপ ছাড়িয়ে ক্রমেই উর্ধ্বগামী হয়ে কোথায় যে পৌঁছে সে বিষয়টি অনুমাণ করা খুব কঠিন কিছু নয়।
যেহেতু স্বর্ণের সুরেলা ঝংকার দূরের কথা সামান্য অর্থের ঝনঝনানির কোন আশা নেই তাই চাপা পরে যায় নিষ্পাপ শিশু আয়শাকে যৌণহয়রানির বিচারের দাবী, স্তব্ধ হয়ে থাকে কন্যা আয়শাকে নিয়ে এক পরাজিত হতাশ পিতা হজরত আলীকে আত্মহণনে বাধ্য করা কুলাঙ্গারদের বিচারের কথা। র‍্যাববাহিনীকে ধন্যবাদ তারপরও আয়েশার যৌন নির্যাতককে গ্রেফ্তারের জন্য
তবে কন্সটেবল হালিমা বেগমের নামটি নেয়া যাবেনা, কোনভাবেই না- এটা মিডিয়ায় নিষিদ্ধ শব্দ।

মিডিয়ায় প্রচার হোক আর না হোক দেশের জনগণের মনে ঠিকই একটি ক্ষতের মতো দগদগে ঘা হয়ে আছে কন্সটেবল হালিমা বেগমের আত্মহনন।
বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী, এই মেয়েটি আপনাদেরই একজন ছিলো। সাধারণ একজন ওসি দেলোয়ারকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দানের জন্য গ্রেফ্তার না করায় আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হয় আপনারা মেয়েটিকে আবর্জনার মতো ছুড়ে ফেলেছেন হয়তো শুধুই একজন "মেয়েমানুষ" বলে!

আপনাদের এখন সিদ্ধান্ত নেবার পালা
- আপনারা আর সব মাধ্যমের মতো হেনস্থা, নাজেহাল দিয়ে অনলাইন মিডিয়ার টুঁটি চেপে ধরতে সচেষ্ট হবেন
- আর দশটি ধর্ষিতার মতো কন্সটেবল হালিমা খাতুনকেও "খারাপ মেয়ে" ট্যাগ দিয়ে কুলাঙ্গার ধর্ষক আর তার প্রশ্রয়দাতাদের রক্ষা করবেন।
না আমাদের এই আশংকা মিথ্যা প্রমানিত করে অবিলম্বে ওসি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফ্তার এবং এসআই মিজানুলের বিরুদ্ধে মামলার বর্তমান অবস্থা জানিয়ে একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপণ করবেন।
দেশের সকল নারী পুরুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে পুলিশবাহিনীর দায়িত্ব সেখানে খোদ পুলিশবাহিনীর মাঝেই মেয়েরা নিরাপদ নয়- এই বিষয়টির ভয়বহতা আর গুরুত্ব অনুধাবনের মতো সুস্থ মস্তিস্ক আজও বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীতে অনেকে আছেন বলেই বিশ্বাস করি।

মিডিয়ার মুখ বন্ধ সম্ভব হলেও জনগণের মন রুদ্ধ করা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় মানুষের ভাবনার চাকা স্তম্ভিত করে দেয়া। আর তাই মানুষ ভুলেনা ফুলবাড়িয়ার মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ আর মাছ বিক্রেতা ছফর আলীর নির্মম মৃত্যুর কথা- নষ্ট ক্ষমতার পুঁতি দুর্গন্ধময় কালোথাবার প্রভাব যেদিন রক্ষককে ভক্ষকে পরিণত করেছিলো। মিডিয়ায় যখন কোন ধর্ষণের সংবাদ, কোন অপরাধের সংবাদ প্রচারিত হয়- বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের মনে তখন প্রশ্ন জাগে কন্সটেবল হালিমা বেগমের ধর্ষন আর আত্মহননের প্ররোচনাকারীর কথা!

আমেরিকার কোন পুলিশের জীবন বিপন্ন দেখলে আরো অনেকের মতো আমি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে যাবো। এদেশের মানুষ জানে আত্মীয়, বন্ধু এমনকি পরিবার আমার বিপদে নিজের জীবন বিপন্ন করবে কিনা নিশ্চিত না হলেও একজন পুলিশ অফিসার বিনা দ্বিধায় আমাকে রক্ষা করতে নিজের বুকে বুলেট গেঁথে নিবেন। যে কাজটি তাঁরা অ্হরহ করছেন, কিছুদিন পর পর সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে আমেরিকার পুলিশ নিহত হচ্ছেন দুর্বৃত্তের হাতে অথবা দুর্ঘটনায়, সেই মৃত্যু বীরের মৃত্যু- মৃত্যুর পরও অক্ষয় অমর হয়ে থাকার বলিদান! হাজার হাজার মাইল দূরের তৃতীয় বিশ্বের এক হতদরিদ্র দেশের মেয়ে যে এদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন, সেই আমার মনে যদি এদেশের পুলিশের প্রতি এধরনের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর আস্থা থাকে তাহলে অনুমান করা যায় এখানে আজন্ম লালিত আমেরিকানদের মনে কি প্রবল ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা তাঁদের প্রতি।

এই ভালোবাসা তাঁরা অর্জন করেছেন নিজেদের সততা আর নিষ্ঠা দিয়ে। সাধারণ মানুষের যেকোন বিপদে মুহুর্তে পাশে দাঁড়িয়ে!
বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর প্রতিটি সদস্য যদি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন কোন নারী, এমনকি সন্ধ্যায় সোডিয়াম আলোর নীচে লুকিয়ে অপেক্ষারত বারবনিতাকেও তার অনুমতি ছাড়া স্পর্শের অধিকার কারো নেই, তাহলে এদেশে কোন কুলাঙ্গার আর কোন নারীকে লান্ছিত করার স্পর্ধা দেখাবেনা। নারী শিশুকে ভোগ করার মাঝে নয়, প্রকৃত পৌরষ আর শৌর্য্য সকল অবস্থায় নারী শিশুদের নিরাপদবোধ করানোর মাঝে- এই সত্য পুলিশ বাহিনী যদি মানে এবং গভীরভাবে বিশ্বাস করে তাহলে বাংলাদেশের সকল কুলাঙ্গারের পাল কোন নারীর সম্ভ্রম নষ্টের ধৃষ্টতা দেখাবর আগে হাজার বার ভেবে দেখবে।

আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি আমাদের দেশের দক্ষ, চৌকষ পুলিশবাহিনী একসময় মানুষের এই আস্থা অর্জন করবে। জনগণের যেকোন বিপদে আপোষহীণ ভাবে তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের পুলিশ, বিপদগ্রস্থ একজন মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু হবে পুলিশ। একজন নারী, সে প্রতি সন্ধ্যায় রাজপথের ল্যাম্পপোস্টের নিচে খদ্দেরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কেউ হলেও ধর্ষন বা হয়রানীর অভিযোগ করলে পুলিশ মুহুর্তে সেই ঘৃণ্য ধর্ষককে গ্রেফ্তার করে শাস্তি দিতে উদ্যত হবে। পুলিশ স্টেশনে ধর্ষন হয়রানির অভিযোগ জানাতে হলে কোন নারীকে নিজের চরিত্রের মৌখিক সনদপত্র দিতে হবেনা।

আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের পুলিশ একদিন চাঁদাবাজ দুর্বৃত্ত, কালোবাজারী, অপরাধী আর অসৎ রাজনীতিবিদদের ভীতির কারণ হবে, ত্রাস হবে দুর্নীতিবাজদের আর হবে সাধারণ মানুষের পরম আস্থার বন্ধু!!!!

সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে নিতে হবে তাঁরা জনগণের বিতৃষ্ণা, অনাস্থা আর সন্দেহের বাহিনী আর দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের আস্থাভাজন বন্ধু হবেন না আমাদের মতো সাধারণ জনগণের স্বপ্ন পূরণ করবেন!


তথ্য ও ছবি সুত্র: ইন্টারনেট

**** ব্লগে যদি কোন ব্লগার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সৎ সদস্য হয়ে থাকেন, তাঁদের অনুরোধ করবো পোস্টটি বাহিনীর সৎ সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে****

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

নতুন বলেছেন: জাতীগত ভাবে আমাদের শিক্ষার পরিমান কমে যাচ্ছে...তাই সাধারন মানুষও মনন এবং মানবিকা বোধ ভুলে যাচ্ছে।

একজন পুলিশ কিন্তু আমাদের সমাজের পাশের বাড়ীর মানুষ.... তারাই কিন্তু কিছু টাকা আয়ের জন্য নৈতিকতা ভুলে গেছে।

পুলিশের বাহিনিতে মানুষের প্রতি তাদের দায়ীত্ববোধের উপরে ট্রেইনিং দিতে হবে...

এবং জনগন অভিযোগ করলে তার জন্য দায়ী পুলিশকে যথাপোযুক্ত ডিসিপ্লিন করতে হবে...

তবেই এরা ভালো হবে।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মানবী বলেছেন: সত্য কথা। পুলিশ, সেনাবাহিনী সদস্য সকলেই আমাদেরই কারো না কারো পরিবার পরিজন। এই বোধটা উভয়পক্ষ সব সময় মনে রাখলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।


পোস্ট করার সময় ধরেই নিয়েছিলাম এই পোস্টে কেউ মন্তব্য করবেনা।
সেহরী করে এসে আপনার মন্তব্যটি দেখে ১০০ মন্তব্যের সমান মনে হলো :-)
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার নতুন।
ভালো থাকুন সব সময়।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

নতুন বলেছেন: পুলিশ ভালো না এটার দায় আমাদের সমাজের...

যেই ছেলে পুলিশে যায়...SSC or equivalent degree বাচ্চা বয়সী ছেলে... গ্রামের ছেলে...

বাবা মা যদি বলে বাবা অন্যান করিসনা..ঘুষ খাইসনা..কাউরে মাথায় বাড়ি দিয়ে টাকা আনিস না... আমাদের দরকার নাই।

তবে অনেক পুলিশ কিন্তু অন্যায় করবেনা।

কিন্তু যেখানে টাকা ঘুষ দিয়েই চাকুরীতে ঢুকতে হয় সেখানে টাকা আয় করাটাই মুখ্য হয়ে দাড়ায়...

মাঝে মেঝে চিন্তা করি আমাদের দেশের পুলিশ কি কখনো সৎ হবে? জনগনের বন্ধু হবে?

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

মানবী বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষার সাথে সাথে পুলিশবাহিনীর সকল কর্মকর্তাগণ যদি নিজ বাহিনীর মাঝে দুর্নীতি দমনে কঠোর হন, তাহলে হয়তো অনেক বেশি কার্যকর হবে। সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নই তবে শুনেছি কন্সটেবল পদে চাকরী পেতেই নাকি লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়- এমনটা সত্য হলে এই বাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত করা প্রায় অসম্ভব!

পুলিশবাহিনীর বেতন বৃদ্ধিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যাঁরা নিজের জীবন বিপন্ন করে দিবারাত্রি জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন, তাঁদের পর্যাপ্ত রুজি নিশ্চিত করা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব।

আমাদের দেশে অনেক সৎ পুলিশ সদস্য আছেন, বেশ বড় কর্মকর্তা আছেন প্রচন্ড সৎ(আমি দেশে যখন ছিলাম সেসময় অন্তঃত ছিলেন) তবে তাঁরা অসৎদের মাঝে এক প্রকার কোণঠাসা আর অসহায় দুর্নীতি দমনে।

আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ নতুন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, পুলিশদের নিয়ে লেখায়।
পুরো পোস্ট না পড়েই মন্তব্যে আসলাম। আমার মতে,

পুলিশ, বিজিবি, সেনা, নৌ, বিমান, আনসারসহ সকল বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের জন্য প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান, বিশেষ করে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এসব বাহিনীর মুসলিম সদস্যদের তাকওয়া, মানবিকতা, সহমর্মিতা, অন্যায়-অপরাধ থেকে ফিরে থাকার মানসিকতা, ধৈর্য্য, অল্পে তুষ্টি ইত্যাদি মৌলিক গুনাবলী অর্জনে সহায়তা করা। চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রত্যেক সদস্যের ভেতরে আখিরাতে আল্লাহ পাকের সামনে জবাবদিহিতার ভয় জাগরুক করার জন্য ধর্মীয় এসব বিষয়াদি শেখা এবং তার অনুশীলন ব্যক্তি জীবনে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

অন্তরে মহান আল্লাহর ভয়, নিজের যাপিত জীবনের পর্যালোচনা, বিশ্লেষন আর প্রতি দিনের কার্যাবলী সম্মন্ধে অন্যায় থেকে ফিরে থাকার গভীর অনুপ্রেরনাই একজন ব্যক্তিকে ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে পারে।

নতুনের দু'টি মন্তব্য ভাল লেগেছে। অভিনন্দন তাকেও।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

মানবী বলেছেন: পুরো পোস্টটি পড়লে হয়তো আপনার মন্তব্যটি অন্য রকম হতো।

ধর্ষিতা হালিমা বেগমের মৃত্যুর জন্য দায়ী ওসি দেলোয়ার হোসেনকে আমাদের পুলিশ বাহিনী অবিলম্বে গ্রেফ্তার করবে বলে আশা করি। সেই সাথে কোন নারী ধর্ষন বা উত্যক্ত করার অভিযোগ করতে গেলে, কোন প্রকার হ্যারাসমেন্ট ছাড়া, জেরা ছাড়া তাঁরা অভিযোগ গ্রহন করবেন- এটাই কাম্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নতুন নকিব।
আন্তরিক শুভকামনা।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশের পুলিশরা কিভাবে সৎ হবে। আমার জানা মতে বেশির ভাগ পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে অবৈধ ও টাকার বিনিময়ে।
আট থেকে পনেরো লাক্ষ টাকায় একজন পুলিশে ঢুকে সে তো তার টাকা কি ভাবে উসুল করা যায় সে কথায় ভাববে।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাববে অনেক পরে।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

মানবী বলেছেন: ‌এমনটা আমি নিজেও শুনেছি। পুলিশের বেতন ভাতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সরকার এবং প্রশাসনের এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরী। তাহলে হয়তো পুলিশবাহিনীর পক্ষেও নৈতিকতাটা শক্তভাবে আঁকড়ে থাকা সহজ হবে।

আপাতত হালিমা বেগমকে আত্মহননে উস্কানীদাতা অভিযুক্ত ওসি'র গ্রেফ্তারের মাধ্যমে তাঁরা নিজ বাহিনীর শুদ্ধিকরণ আর সততার পথে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল।
ভালো থাকুন সব সময়।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশের সকল নারী পুরুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে পুলিশবাহিনীর দায়িত্ব সেখানে খোদ পুলিশবাহিনীর মাঝেই মেয়েরা নিরাপদ নয়- এই বিষয়টির ভয়বহতা আর গুরুত্ব অনুধাবনের মতো সুস্থ মস্তিস্ক আজও বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীতে অনেকে আছেন বলেই বিশ্বাস করি। আপনার বিশ্বাস দেখে আমার ও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে। দুঃখজনক হচ্ছে- দেশের ৯০ ভাগ মানুস পুলিশকে একটা উৎপীড়ক বাহিনী বলেই জানে।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নিন মানবী।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৭

মানবী বলেছেন: সত্যিই দুঃখজনক! আমাদের পুলিশবাহিনীতে অনেক অনেক সৎ সদস্য থাকার পরও জনমনে তাঁদের ইমেজটা খুব হতাশাজনক! তারা ইচ্ছে করলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন সহজেই।
আমি তো ভেবেছিলাম এই পোস্টের মন্তব্য অপশন বন্ধ করে পোস্ট করবো- আপনাদের মতো কয়েকজন সাহসী প্রিয় ব্লগারের মন্তব্য দেখে মনে হলো বন্ধ না করে ভালো হয়েছে!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৫

মানবী বলেছেন: আশা করছি তাই হবে। উদ্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে লেখাটি পৌঁছলে আর তাঁদের সামান্যতম ইতিবাচক ভাবনার উদয় হলে লেখাটি স্বার্থক হবে।
ওসি দেলোয়ারের গ্রেফ্তার না হওয়া পর্যন্ত হালিমার আত্মার আর্তচিৎকার শুনে যাচ্ছি মনে হয়!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৮

সুমন কর বলেছেন: সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে নিতে হবে তাঁরা জনগণের বিতৃষ্ণা, অনাস্থা আর সন্দেহের বাহিনী আর দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের আস্থাভাজন বন্ধু হবেন না আমাদের মতো সাধারণ জনগণের স্বপ্ন পূরণ করবেন! -- সহমত।

+।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৯

মানবী বলেছেন: সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সুমন কর।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের পুলিশ একদিন চাঁদাবাজ দুর্বৃত্ত, কালোবাজারী, অপরাধী আর অসৎ রাজনীতিবিদদের ভীতির কারণ হবে, ত্রাস হবে দুর্নীতিবাজদের আর হবে সাধারণ মানুষের পরম আস্থার বন্ধু!!!!
সহমত ।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

মানবী বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,




ঝাঁকি দেয়া চমৎকার বক্তব্য সমৃদ্ধ ।

আশাবাদী হবার মতো কোন কিছুই কোথাও নেই বলে বিস্তৃত ব্যাখ্যায় না গিয়ে শুধু এটুকুই বলা ---- আফসোস ,বাঙলাদেশের পুলিশ সিদ্ধান্তটি কস্মিনকালেও নিতে পারবেনা ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৪

মানবী বলেছেন: আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে খুব। বেনিফিট অফ ডাউট পাবার অধিকার আছে পুলিশবাহিনীর সৎ সদস্যদের। আর, আমাদের স্বপ্নপূরণ করবে না বর্তমান অবস্থা চালিয়ে যাবে, তাদের কর্মই বলে দিবে কোন সিদ্ধান্তটি তাঁরা নিয়েছেন।


হঠাৎ কয়েক দিনের মাঝে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত হওয়া হয়তো সম্ভব হবেনা তবে আপাততঃ তাঁরা যদি ওসি দেলোয়ারকে গ্রেফ্তার এবং হালিম বেগমের ধর্ষন মামলার আপডেট সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেন তাহলে কিছুটা বিশ্বাস ফিরে আসবে।

ফেসবুকে আমার এ্যাকাউন্ট নেই বলে সেখানে পুলিশবাহিনীর এ্যাকাউন্ট থেকে থাকলেও তাঁদের জানাতে পারছিনা। আশা করছি এখানেই তাঁদের কারো চোখে পড়বে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
ভালো থাকুন সব সময়।

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: বিশ্বে কোন দেশ কতটা ভালোভাবে চলছে তা তাদের পুলিশ বাহিনীর শানে-নুযুল পাঠ করলে ভালোভাবে জানা যাবে। তাই দেশের সামগ্রিক অবস্থাই এই বাহিনীর মাধ্যমে ভালোভাবে মূল্যায়ন করা যাবে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম না।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১২

মানবী বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। সত্যিই তো তাই, একটি দেশের পুলিশবাহিনী সে দেশের সার্বোক অবস্থার সূচক হতে পারে সহজেই।

আমরা তাই স্বপ্ন দেখি জনমানুষের আস্থাভাজন বন্ধু পুলিশবাহিনীর, যাঁদের ভয়ে ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ থেকে থেকে দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যবসায়ি সকলেই তটস্থ থাকবে!

আন্তরিক ধন্যবাদ আখেনাটেন।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সিদ্ধান্ত নিতে পারুক আর নাাই পাারুক, এখন আস্থা পেতে অনেক সময় লাগবে।। কারন গোড়াতেই যে গলদ!! যে ছেলেটা ৫/৮ লাখ ঘুষ দিয়ে চাকুরীটি নিচ্ছে, তার প্রথম লক্ষ্যই থাকবে সেই টাকাটা তোলা।। এটা বন্ধ করতে হবে আগে।। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরীতে নেয়া হলে, আর এই দায়টা থাকবে না।।
সব চেয়ে বড় কথা, সমাজের দুর্বৃত্ত হয়ে কেহই জন্মায় না।। সমাজই তাকে বাধ্য করে দূর্বৃত্ত হতে।। তাই সবার আগে প্রয়োজন সমাজের মানসিকতার বদল।। এই বদল হতে আরো কতদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে??!!

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

মানবী বলেছেন: চাকুরী দেয়া হবে যোগ্যতা অনুযায়ি এক্ষেত্রে টাকার খেলার নষ্ট চর্চাটা ঠিক কবে থেকে শুরু জানা নেই, তবে এই এক অসৎ চর্চার কারণে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তা উদ্বেগজনক।
কোন এক সৎ রাজনীতিবিদ যদি স্বরাষ্ট্রমান্ত্রী হয়ে এই অসৎ চর্চাটি কঠোর ভাবে দমন করতে পারেন তাহলে হয়তো আমাদের পুলিশবাহিনীর সদস্যদের সুন্দর ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

আশা করছি কন্সটেবল হালিমা বেগমের করুণ মৃত্যুর যথাযথ সুবিচারে তাঁরা সচেষ্ট হবে এবং সেই প্ররোচণাদানকারী ওসিকে অবিলম্বে গ্রেফ্তার করবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৫৪

তপোবণ বলেছেন: ভাই পুলিশে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে জানেন? কেউ যদি সৎ থাকতে চায় তাহলে কেন ১০/১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে পুলিশে ভর্তি হবে। সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে ৮/১০ লক্ষ টাকা লাগে কেন? কোন জবাব আপনাদের কাছে আছে? নাকি আমি মিথ্যা বললাম? এই পঁচন ঠেকাবে কে? যেখানে ধরবেন সেখানেই পঁচন। এই সমাজের উচুঁস্তরে যারা বসে আছেন তারা অসৎ নাগরিক তৈরী করছে। দেখুন এদেরকে কিভাবে রোধ করা যায়।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

মানবী বলেছেন: আপনি যদি মন্তব্যের ঘরে আলোচনা লক্ষ্য করেন, জানবেন সকলেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং বিচলিত। এই কুচর্চাটি বন্ধ করতে পুলিশের সৎ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। যে ক্যান্সার পুরোশরীরকে ধ্বংস করে ফেলে তা চিকিৎসা করে কেটে ফেলার উদ্যোগটি রুগীকেই নিতে হবে।

সমাজের উঁচু স্তরে যারা বসে আছে তারা নিজেরাই অসৎ, নাগরিক তৈরি করলে তো নিজের প্রতিচ্ছবিই করবে!!
বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীতে নোয়োগ দেবার সময়ের ঘুষের প্রথা শক্ত হাতে দমন আর সেই সাথে সদস্যদের বেতন সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টিও জরুরী।

আমরা আশা করবো, কন্সটেবল হালিমার মৃত্যুর যথাযথ বিচারের মাধ্যমে সৎ সুন্দর পথে তাঁদের অগ্রযাত্রার শুরু হবে।


সেনাবহিনীতে ভর্তির জন্যও টাকার খেলা শুরু হয়েছে? এটা জানা ছিলোনা- হয়ে থাকলে ভয়ংকর খবর!!!

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ তপোবণ।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: আমার ধারনা, এদেশের সব জনগন মিলে যত অপরাধ করে তার চেয়ে বেশী অপরাধের সাথে জড়িত আমাদের এ বাহিনি। আর এ জন্য দায়ী আমাদের রাজনীতিবিদ আর সমাজ ব্যবস্থা। রাজনীতিবীদ, মন্ত্রী, আমলাদের কথায় আমাদের পুলিশ বাহিনি ডানে যায়, বামে যায়।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মানবী বলেছেন: আসলেই ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক!
পুলিশবাহিনী কখনও এমপি, মন্ত্রীদের তাঁবেদার হবার কথা নয় অথচ আমাদের দেশের বাস্তবতা এতোটাই ভয়াবহ যে এমপি মন্ত্রী পরের কথা, ক্ষেত্রে বিশেষে পাড়ার মাস্তানদের/ক্যাডারদেরকেও পুলিশবাহিনীকে মান্য করে চলতে হয়। অথচ পুলিশের নাম শুনে এসব মাস্তানদের আতংকিত হবার কথা।

আমাদের নষ্টরাজনীতিবিদেরা নিজেদের স্বার্থে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনীর যথেচ্ছা অপব্যবহার করে জনগণের অনস্থাভাজন একটি বাহিনীতে পরিনট করেছে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জাহিদ বেস্ট।
ভালো থাকুন সব সময়।

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টাইপো আর শীফটের অযাচিত প্রেসে কি অবস্থা!!!!!!!!! ;) :P
নিজেই হাসতে হাসতে মরি! :-B
কমেন্ট সংশোধন করা যা না ক্যারে!! :((

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

মানবী বলেছেন: আপনি ইচ্ছে করলে, কমেন্টটি কপি পেস্ট করে সংশোধন করে আবার পোস্ট করতে পারেন, আমি আগেরটি মুছে দিবো।

তবে এতো কষ্টের প্রয়োজন নেই। টাইপো আমাদের সকলেরই হয়, আমার তো ভীষণ ভীষণ রকম হয়- আমরা সকলেই বুঝতে পারছি আপনি বুঝাতে চেয়েছেন।

পূণরায় করতে চাইলেও সমস্যা নেই :-)

ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন পোষ্টে হ্যাটস অফ!

আমরাও চাই পুলিশের উপর তেমনি আস্থা রাখতে। যে কোন বিপদে দৌড়ে অভিভাবকের মত আশ্রয়স্থল হিসেবে তাদের পাশে পেতে। তাদেরও তেমনি দায় জাগ্রত হতে হবে। এবং তা ব্যাক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান সবার মাঝে।

তাই কিছূ নগন্য ভাবনা-
# এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবার আগে পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের বাইরে রাখতে হবে, থাকতে হবে।
# সাংবিধানিক ভাবে আইন, বিচার, প্রশাসন যেমন কেউ কারো অধিনস্ত নয়- তার বাস্তবিক প্রয়োগিক চর্চাটা তেমন রাখতে হবে।
# পুলিশকে মনে রাখতে হবে সে যে রাজনৈতিক নেতার আনুগত্য করছে সে সেই নেতার অধীনস্ত নয় বরং সমান!!!
# আইন প্রণেতারা তাদেরকে (পুলিশকে) অধীনস্তের মতো ব্যবহার করতে পারে না- কয়জন পুলিশের এই বোধ আছে?
# একটা স্বতন্ত্র ইনষ্টিটিউট হিসেবে আইন ও বিচারের মতো তারাও সমমর্যাদার এই বোধ জাগাতে হবে।
# তার জবাবদিহীতা রাষ্ট্র এবং জনতার কাছে! রাষ্ট্র এবং জনতার প্রয়োজনে সে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করার ক্ষমতাও রাখে!
# তার বেতন প্রদান করে আমজনতা! আমজনতার এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে বলে!

## নিয়োগ প্রক্রিয়াকে পূর্ন ঘূষ, দূর্নীতি মুক্ত করতেই হবে।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।

"পুলিশকে মনে রাখতে হবে সে যে রাজনৈতিক নেতার আনুগত্য করছে সে সেই নেতার অধীনস্ত নয় বরং সমান"
- খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা! দুঃখজনক ভাবে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার একটু স্পর্শ পেলেই পুলিশ এবং জনগণকে তাদের তাঁবেদার বলে মনে করে অথচ পুলিশের একমাত্র কনসার্ন হবার কথা জনগণের নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপত্তা!

মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ছুটে চলা গাড়ি থামিয়ে এ্যামন্বুলেন্সের পথ সুগম করে দেয়ার কথা, আমাদের দেশে কোনদিন এমনটা কল্পনা করা যায়। হতদরিদ্র একটা দেশ আর অথচ শ্রেনী বৈষম্যটি দৃষ্টিকটূ ভাবে প্রকট।

"## নিয়োগ প্রক্রিয়াকে পূর্ন ঘূষ, দূর্নীতি মুক্ত করতেই হবে।"
- খুব জরুরী। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটু ডিটারমাইন্ড হলেই এমনটা খুব সহজেই সম্ভব!

চমৎকার বিশ্লেষনমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০০

তপোবণ বলেছেন: এই লেখাটি ষ্টিকি করা দরকার ছিল। এমন লেখা কিন্তু বার বার আসেনা। সাুমর কাছে অনুরোধ রইল লেখাটি ষ্টিকি করা জন্য। এটা সমাজ সচেতন মূলক লেখা, আমাদের সবারই ইচ্ছে যে লেখাটি কর্তা ব্যাক্তিদের নজরে আসুক। ষ্টিকি না হলে সহজে নজরে আসবেনা। সাহসী বক্তব্যের জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

মানবী বলেছেন: এমন পোস্টে মন্তব্য করতে যেখানে অনেকে দ্বিধাবোধ করে সেখানে স্টিকি করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়তো।

ফেসবুকে আমার কোন এ্যাকাউন্ট নেই, থাকলে সেখানে অন্তঃত শেয়ার করে পুলিশবাহিনীর এ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করা যেতো।

আপনার সুন্দর ভাবনার জন্য আন্তরিক কৃজ্ঞতা তপোবণ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০৬

করুণাধারা বলেছেন: আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের পুলিশ একদিন চাঁদাবাজ দুর্বৃত্ত, কালোবাজারী, অপরাধী আর অসৎ রাজনীতিবিদদের ভীতির কারণ হবে, ত্রাস হবে দুর্নীতিবাজদের আর হবে সাধারণ মানুষের পরম আস্থার বন্ধু!!!!

আপনার আশাবাদের বিপরীতে আমার হতাশা- বাংলাদেশের পুলিশ জনগনের বন্ধু হবে সেদিন যেদিন দূর্নীতিতে বাংলাদেশের স্থান হবে সবার নীচে, যেদিন এদেশের রাজনীতিবিদরা দিনরাত কাজ করবেন দেশ ও জনগনের উন্নয়নের জন্য, যেদিন এদেশের প্রতিটি মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ অনুভব করবে। জানি না সেদিন কবে আসবে।

উচ্চ বেতন পেলেই পুলিশ দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ছেড়ে দেবে আমি তা মনে করিনা। সরকারি কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছিল এই যুক্তিতে যে এর ফলে তারা ঘুষ না নিয়েই কাজ করতে পারবে। বাস্তবে দেখা গেল তারা ঘুষের রেট দ্বিগুণ করে দিলেন।

পুলিশ বাহিনীতেও সৎ অফিসার নিশ্চয় আছেন কিন্তু তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না বেশি দিন থাকা।এই ব্লগেই অনেকেই লিখেছিলেন বাবুল আখতারের সততা নিয়ে। কি হল তার? Discharged with disgrace.

আশাবাদী না হতে পারলেও আমি কামনা করি আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীও বন্ধুর মত আমাদের পাশে থাকুক।

পোস্টে ভাললাগা।

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

মানবী বলেছেন: দুর্নীতিতে স্থানটি নীচের দিকে নিয়ে আসতে দেশের পুলিশ বাহিনীর সততা খুব জরুরী আপু।
এমন কোন দুর্নীতি মুক্ত দেশ নেই যেখানে পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে করাপ্টেড! এক্ষেত্রে ৮নং মন্তব্যে থেকে কোট করছি "বিশ্বে কোন দেশ কতটা ভালোভাবে চলছে তা তাদের পুলিশ বাহিনীর শানে-নুযুল পাঠ করলে ভালোভাবে জানা যাবে।"

শুধুমাত্র উচ্চ বেতন নিঃসন্দেহে দুর্নীতি দূর করবেনা, সেই সাথে উর্ধ্বতন কর্ম কর্তাদের নিজ বাহিনীর মাঝে সততার বিষয়ে আপোষহীণ হতে হবে।
বাবুল আখতারের কেসটি খুব দুঃখজনক। সততার মূল্য তাঁকে নির্মম ভাবে দিতে হয়েছে। তারপরও তিনি হয়তো সুদিনের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি।

হালিমা বেগমের নির্মম পরিনতির সুবিচার তাঁরা করবেন, এমনটি আশা করতে ইচ্ছে করে।

মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় করুণাধারা।
ভালো থাকুন সব সময়।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের পুলিশ একদিন চাঁদাবাজ দুর্বৃত্ত, কালোবাজারী, অপরাধী আর অসৎ রাজনীতিবিদদের ভীতির কারণ হবে, ত্রাস হবে দুর্নীতিবাজদের আর হবে সাধারণ মানুষের পরম আস্থার বন্ধু!!!

চাওয়াটা আমাদের সবার। যদিও জীবদ্দশায় চাওয়াটা পুরন হবে কিনা জানিনা।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি চার তারিখ থেকে ব্লগ ছাড়া, আসলে নেট জগতের সাথে বিচ্ছিন্ন ছিলাম মোবাইল ফরমেট দিতে গিয়ে ভুল করে ডিবাইস ফরমেট হওয়ায় মোবাইল ডাটা সার্ভিস ডিসকানেক্ট হওয়ায়। পরে কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হলে গতকাল ব্লগে ডুকেছি। আজ আপনার ব্লগে এসেই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটি পড়ে দুঃখবোধ যেমন হল তেমনি গর্ববোধও হচ্ছে আপনাদের মতো কিছু সচেতন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ এখনো আছেন পৃথিবীতে। পোষ্টটি প্রিয়তে না রাখলে আমার কাছে অন্যায় মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী নিয়ে আপনার আশাবাদ শুনে ভালো লাগছে, যদি তাই হতো!! যদি দুর্নীতিমুক্ত হতো আমাদের পুলিশ বাহিনী!! তাহলে কতই না সুখী হতো বাংলার কোটি কোটি মানুষ/হতদরিদ্র আর আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ গুলো!! 'আমরা স্বপ্ন দেখতেই ভালোবাসি' আপনার এই কথাটি অত্যন্ত সত্য, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিরন্তন সত্য একটি কথা!!

আমরা সাধারণ মানুষরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী কোনএকদিন দুর্নীতিমুক্ত হবে, জনমনে সঞ্চারিত হবে স্বস্তিকর নির্ভাবনার আমেজ!! কিন্ত আপু, আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধি আর প্রভাবশালী'রা সেই স্বপ্ন দেখেন না কোন সময়ই!!! তারা তাদের প্রভাব আর সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর সবসময়!!!

আবার দেখেন, যারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত তাদের প্রতি সাধারণ মানুষ অনেক আশা-ভরসা করবে এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ, শুনেছি শিক্ষা মানুষের অন্তর-আত্মা শুদ্ধি করে, বিবেকবোধ জাগ্রত করে, মানবিকতা আর ন্যায় নীতির আদর্শ বৈশিষ্ট্যময় মানুষে পরিণত হয় শিক্ষার ব্যাপকতায়। কিন্তু আপু, দুঃখের সাথে বলতেই হয় আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো হয় সবকিছু!! যদি তাই না হবে, তাহলে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জন করে আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা'রা পুলিশে জয়েন্ট করেন, তাদের মধ্যে থাকার কথা দেশপ্রেম, নীতি, আদর্শ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। কিন্তু বাস্তবে তার পুরোপুরিভাবে উল্টো, তাদের মধ্যে মুখ্যার্থ হয়ে উঠে অর্থ!! তারা টাকা পেলে সবকিছু করতে পারেন!! কারো জীবন কেড়ে নিতেও দ্বিধান্বিত হননা তারা!! ন্যায় অন্যায় সব তাদের কাছে সমান হয়ে যায়, বিবেক প্রশস্ত না হয়ে বিপরীত সংকুচিত হয়ে যায়!! তাদের মধ্যে কেবল টাকাই সবকিছুর সমাধান!!

পুরো পুলিশ বাহিনীকে দোষ দিতে আমি রাজি নই আপু, আমি দোষ দিবো কেবল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তাদের। তারা যদি সবাই দুর্নীতিমুক্ত হতে পারে তবে পুরো পুলিশ বাহিনী হবে দুর্নীতিমুক্ত, এতে কোনই সন্দেহ নেই, কারণ আমি পুলিশ বাহিনীর ভিতর মিশে এতদিনে তা পুরোপুরিভাবে বুঝেছি বলেই আমার বিশ্বাস।

আর সাংবাদিকতা! এখানেও আমাদের দেশের সাংবাদিকতায় চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত অধিকাংশ সাংবাদিক!! এরা টাকার পাহাড় গড়ার প্রতিযোগিতায় অন্যান্য সকলের চেয়ে কোন অংশেই পিছিয়ে নেই!! একটা থানা উপজেলার সাংবাদিক যতো সবই থানার ওসি থেকে শুরুকরে সকল অফিসারের কাছ থেকে উপঢৌকন পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন, চলেও তাই!! তাই তারা অফিসারদের বিরুদ্ধে যাবে এমন খবর স্বার্থে ব্যতিক্রম না হলে প্রকাশ করেন না!! তাই, হালিমা বেগমের মতো অনেক হালিমা বেগম বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নির্যাতিত হচ্ছেন!! আমরা দু একটা প্রকাশ পাওয়ার পরই জানতে পারছি, নয়তো অজানাই থেকে যাচ্ছে হাজার লক্ষ নির্যাতিত প্রাণের আর্তনাদ!!

আমাদের শিক্ষা বাড়ছে কিন্তু বিবেকবোধ মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে তারও ঢের!!

আপনার পোষ্টে কৃতজ্ঞতা রইল আপু। এই পোষ্টটি প্রচার হওয়া দরকার ছিল ব্যাপকভাবে। কিন্তু হবে কিনা বুঝতে পারছিনা!!

ছোট মানুষ অনেক অগোছালো কথা বলে গেলাম আপু, বিরক্তিকর মনে হলে ক্ষমা করবেন।

(অনুমতি পেলে আপনার পোষ্টটি 'পুলিশ যখন ধর্ষক! জনমনে বিচারহীনতার ভয় চরমে' শিরোনামে ওয়েবসাইট ফেসবুকে প্রকাশ করতে চাই আপনার নামে।)

২০| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,








২১| ২৬ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৭:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

২২| ২৬ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

নাগরিক কবি বলেছেন: ঈদ মুবারক আপু B-)

২৩| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপু। কেন যেন এ পোস্টটি আগে চোখে পড়েনি।
কিছুদিন বোধহয় ব্লগ থেকে দূরে আছেন। আশা করি ভালো আছেন! ঈদ মোবারক!

২৪| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

মক্ষীরাজা বলেছেন: ভাইয়ুমণিতা!!!!!!!!!

বাহ!!!!!!!!

মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!

ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!

উলে জাদুরে। উম্মা :>

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আমেরিকায় জনমানুষের সবচেয়ে ভরসা, ভালোবাসা আর আস্থার বাহিনীটির নাম "পুলিশ বাহিনী"। দিবারাত্রির ২৪ ঘন্টার যেকোন সময় যাঁদের কাছে নিশ্চিন্তে সমস্যার কথা বলা যায়, তাঁরা আমেরিকার পুলিশফোর্স

সকল দেশের পুলিশ এমন হোক। এই কামনা করি।

ঈদের শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক"।

২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বিবর্তনের ধারায় অনেক কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষের ধর্ষণ আকাঙ্ক্ষা পরিবর্তন হতে এতো সময় নিচ্ছে কেন বুঝছি না।

এটা পরিবর্তন হতে যদি এতো সময় লেগে যায়, তাহলে তো মুশকিল।

এর নিরাময় হিসেবে, মানুষের কোন জিন এই অপকর্ম করে, তা ডিটেক্ট করে তা জন্মলগ্নেই ডিটেক্ট করা হয়তো সম্ভব। তখন হয়তো জন্মলগ্নেই এর নিরাময় করা যেতে পারে। আমাদের মত গরীব দেশে হয়তো এই প্রযুক্তি হয়তো বেশ ব্যয়বহুল হবে। কিন্তু, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে, সহজেই এটা করা সম্ভব।

এরকম চিন্তা করতে হচ্ছে এই কারণে যে, রাষ্ট্রে যারা রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের মাঝেই যখন এ ধরণের অবস্থার সৃষ্টি হয়, তখন, এরকম ভাবা ছাড়া উপায় কি?

আপনার সাথে একমত যে আমাদের সমাজের অন্যান্য অংশগুলোর মত পুলিশেও ভালো-খারাপ আছে। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, ভালোর সংখ্যাই বেশি। কিন্তু, সামাজিক ভাবে মিলিত চিন্তা-ভাবনা'র দিক দিয়ে আমরা যেহেতু পিছিয়ে, তার ছাপ সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোর মতো পুলিশ বাহিনীতেও পড়েছে।

এর পরিবর্তন হতে সময় লাগবে। এক-দু জেনারেশন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে সে পরিবর্তনের দেখা পাবার জন্যে। ততদিন পর্যন্ত এমন ঘটনার দেখা হয়তো আরো অনেক পেতে থাকবো আমরা।

ধন্যবাদ, আপু।

২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: প্রিয় মানবী, ব্লগে আপনাকে মিস করছি। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার আপনার নির্ভীক উচ্চারণ, ক্ষুরধার লেখনী - সামুতে এভাবে এখন আর কেউ লেখে না!!!

ফিরে আসুন।জানি না কেন আপনার এ অনুপস্থিতি। আপনার জন্য অজস্র শুভকামনা।

২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: একজন ৭থেকে ১২লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে যখন চাকরি নেয়, তার কাছ থেকে সততা প্রত্যাশা বোকামী। সে ফেরেশতা বা মহামানব হলেও অসৎ হয়ে যাবে। কারণ তার লগ্নি করা টাকা তুলতে হবে, তারপর ভবিষ্যতের জন্য বাড়ি-ঘর, জমি, ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স এর জন্য চোখ বুঁজে যেখানে ঘুষের সুযোগ নেই সেখানে অসাধু উপায়ে টাকা আদায় করে।

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে- ঘুষখোর পুলিশের স্ত্রী-সন্তান ভালো হয় না।

২৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

প্রবাসী দেশী বলেছেন: আমি মনে করি পুলিশ এ ৩ টাইপ মানুষ পুলিশ এ join করে.

১। পার্মানেন্ট জব উইথ স্যালারি।
২. দেশ প্রেমিক।
৩. killer ইনসাইড me টাইপ।
নম্বর ১ টাইপ নিরলস ভাবে কাজ করে যায়. দিন যায় মাস যায় বেতন পান কিন্তু কোনো কারণে প্রমোশন হয়না।
নম্বর ২ অনেক সাহসিকতার সাথে প্রতিদিন কাজ করে যায়....ছোট খাটো ২ নম্বরি করেন।(বড় খারাপ কাজে তাদের বিবেক বাঁধে )
নম্বর ৩। ...they just killer . তারা মোটা মুটি এই ধারণা নিয়েই পুলিশ এ যোগদান করেছেন। ..তারা তাদের মনের যত ক্ষোভ লালসা ঘৃণা আছে সব সাধারণ জনগণের উপর ইমপ্লিমেন্ট করেন।

আমি এখনো মনে প্রাণে বিশ্বাস করি দিন বদলাবে এক দিন আসবে যেদিন হালিমার মতো বোনদের গভীর আর্তনাদ বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ উপলব্ধি করবে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্টা হবে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে যেতে পারবে। বাংলাদেশের পুলিশ পারবে যদি ইকটু ইচ্ছা করে. দেখবেন সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়.

৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রিয় একজনের অনুপস্থিতি কিন্তু অনেকটাই অসহায় অনুভূত করে,জানেন কি??

৩১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



১১ জুন ২০১৭ এর পরে এই প্লাটফর্মে আপনার অনুপস্থিতি আমাদের ভাবায়। কেমন আছেন, কোথায় আছেন জানতে পারলে ভাল লাগতো। যেখানেই আছেন ভাল থাকুন অহর্নিশ।

৩২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৭

মেহবুবা বলেছেন: আলাদা করে আর পুলিশের জন্য কি বলব কি আশা করব ?

ব্যবস্থাপনার প্রতি ধাপে দূরদর্শিতার অভাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.