নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনোনেশ দাস

সাধারণ মানুষ

মনোনেশ দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ময়মনসিংহে শিশু নির্যাতন গ্রেফতার ৩

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২০


ময়মনসিংহে এতিম শিশুকে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে নির্য াতনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর ভাটিকেশর, জে সি গুহ রোড ও সদর উপজেলার মাইজবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন, আব্দুল আজিজ (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৫), আজিজুল ইসলাম (৩৫)।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু সাদ্দামকে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র দেখে তাদেরকে আটক করা হয় ।ওই শিশুর মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধেকোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন বলে জানান ওসি কামরুল ইসলাম ।
ময়মনসিংহে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফির উদ্দিন। প্রকাশ্যে দিবালোকে তিনি পিটিয়েছেন শিশুটিকে। নির্যাতিত শিশুটির নাম সাদ্দাম (১১)।
বুধবার দুপুরে শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শিশু নির্যাতনের ভিডিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর কাছে ছড়িয়ে পড়ে।
নির্যাতনকারী শহরের ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফির উদ্দিন দাবি করেন, শিশুটি এক মহিলার মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে। তার সুরেই কথা বলছে পুলিশ।
কোতয়ালী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিশুটি একজন পেশাদার ছিনতাইকারী।
শিশুটির মা পারভীন আক্তার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুরের দিকে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে উদ্দেশ্যে তারা যাচ্ছিলেন। এ সময় পাটগুদাম এলাকায় সফির উদ্দিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে তার ছেলেকে কিল ঘুষি দেন এবং পরে ট্রাফিক পুলিশের লাঠি দিয়েও ছেলেকে পেটানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার ছেলেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তিনি গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসীর কাছে ছড়ানো মোবাইল ফোনের ভিডিও থেকে দেখা যায়, সফির উদ্দিন নিজের হাতে শিশুটিকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছেন। শিশুটি চিৎকার করে কাঁদছে আর নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে। কিন্তু তার কান্নাতেও মন গলছে না তার। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনও তাকে উৎসাহিত করছেন। ভিডিও ধারণ করা একজন, শিশুটির পক্ষে কথা বলছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, নির্যাতনের পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর ভর্তিকৃত ৮ নং ওয়ার্ডে শিশু সাদ্দামকে গিয়ে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বরত এক নার্স জানান, কাগজপত্রে শিশুটি ভর্তি থাকলেও সে এখন কোথায় তা বলতে পারছি না।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে নির্যাতনের খবর আমার জানা নেই। অনেকেই বলছে, নির্যাতনের ভিডিও আছে। ভিডিওটি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, শিশু সাদ্দাম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। এর আগেও একই অভিযোগে দু’বার সে আটক হয়েছিল। - See more at:

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
উপযুক্ত সাস্তি হোক কামনা করি।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবিচারের দেশে কি এমনই হয়!

বিয়ষটা যেন ভাইরাল হয়ে গেছে! একের পর এক! কোন প্রতিকার নেই! নেই কোন মিডিয়ার সচেতনতার কাজ! শিশু াধীকারের নামে কোটি কোটি টাকা ফান্ড খাওয়া এনজিওগুলা কই? তারাওতো শিশু অধিকার, আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়া এ সব টপিকে ফিলার বানিয়ে জনসচেতনতার জন্য প্রচার করতে পারে!!!
হা হতোম্যি!!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.