নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নান্দোসের চিকেন প্ল্যাটার নিয়ে হুদাই ফালাফালি

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

নান্দোসের একটি চিকেনের প্লেটারের দাম নাকি এগারো হাজার টাকা! এই নিয়ে ফেসবুকে কত লেখালেখি! বেশির ভাগই নিন্দাসূচক।

সবার মোটামুটি একই মন্তব্য, "বাংলাদেশের মত একটি গরীব দেশে কেন একটি মুরগির দাম এগারো হাজার টাকা হলো? ফাইজলামির একটা সীমা আছে!"

কথা সত্য।

তবে এও সত্য যে আমরা বাঙ্গালিরা যখন কিছু পাইনা, তখনই কেবল কমিউনিস্ট হয়ে যাই। গরীবের জন্য তখন আমাদের বুক ফেটে চৌচির! আর যখন সেটা পেয়ে যাই, তখন আমাদের চেয়ে বড় ক্যাপিটালিস্ট আর কেউ হতে পারেনা। তখন আর সেই গরীব দুঃখীদের কষ্ট আমাদের স্পর্শ করেনা।

উদাহরণ সহ ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্ছে।

রাস্তার পাশের ভাতের দোকান এবং নান্দোসের মধ্যে যে কিছুটা পার্থক্য আছে, তা নিশ্চই আমাদের সবার চোখে পড়ে। যদি না পড়ে তাহলে একবার নান্দোসে ঢুকে পড়ুন এবং কাস্টমারদের ভাল করে লক্ষ্য করুন।

কাউকে কি পাবেন যিনি লুঙ্গি পড়ে খেতে চলে এসেছেন?

কাউকে পাবেন চেয়ারে পা তুলে বসে হাত দিয়ে আয়েশ করে হাপুস হুপুস করে খাচ্ছে?

যদি পান, প্লিজ ছবি তুলে সেখানে আমাকে ট্যাগ করে দিন। কারন আমি নান্দোসে কখনও এই শ্রেণীর কাস্টমার দেখিনি।

নান্দোসের একটি প্লেটারের দাম এই কারনেই এগারো হাজার টাকার চেয়ে একটাকা কম কারণ তাঁদের কিছু কাস্টমার এই টাকা দিয়ে মুরগি খাবার সামর্থ্য রাখেন।

ঠিক যেমনটা ওয়েস্টিনের এক কাপ চায়ের মূল্য টংয়ের দোকানের এক কাপ চায়ের মূল্যের চেয়ে সামান্য একটু বেশি হয়ে থাকে।



এইটা নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই।



আমার দেশে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা প্রতিদিন নিয়ম করে একবেলা উপোস থাকেন। কারন খাবার সামর্থ্য নেই। যখন ভাত খেতে বসেন, তখন সেই ভাতে পানি ঢেলে তাতে লবণ কচলে মুখে দেন। সাথে একটা কাঁচা মরিচ পেলে আনন্দে তাঁদের চোখে পানি আসে! সুষম খাদ্য তাঁদের কাছে বিলাসিতার নাম।

অনাদিকাল থেকেই আমাদের দেশে এইসব মানুষের বাস। এমনও না যে আমরা কেউ জানতামই না।

এখন আমরা কয়জন বাজারে একটা বড় কাতলা মাছ বা গলদা চিংড়ি কেনার সময়ে তাঁদের কথা চিন্তা করেছি?

পোলাও কোর্মা রেঁধে খাওয়ার সময়ে কয়বার ভেবেছি তাঁদের কথা?

গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে খেতে যাবার সময়ে একবারও কি খেয়াল করি রেস্টুরেন্টের পাশেই হয়তো একটি পরিবার না খেয়ে বসে আছে?

গরুর মাংসে স্বাদ ঊনিশ বিশ হয়েছে বলে অভিমানে কতদিন খেতে বসিনি, অথচ সেই গরুর মাংসই যে তাঁদের কাছে বেহেস্তের খাবার! এই জীবনে খাবার আশাও তাঁরা করেননা!



অনেক বছর আগে আমাদের বাসায় দাদির মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাড়ার দুই মসজিদের দুই ঈমাম এবং মুয়াজ্জিনদের দাওয়াত করে এনেছিলাম।

নতুন মসজিদে যেতাম বলে তার মুয়াজ্জিনের সাথে আমার সহজ সম্পর্ক ছিল। সে বেচারা আমার কম্পিউটার ডেস্কের চেয়ারে বসে খুব মজা পেল। নরম, রিভলভিং চেয়ার! তিনি বারবার দোল খেতে লাগলেন। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন আমার বাসা থেকে বেরিয়েই তিনি বাজারে গিয়ে এই চেয়ার কিনে বাড়ি ফিরবেন। সৌখিনতার দাম লাখ টাকা কিনা!

"এই চেয়ারটাতো খুব আরামের! কত দাম এর?"

"চার হাজার টাকা।"

আমি সরল মনে বলে ফেললাম। দাম শুনে হুজুর নড়ে চরে বসলেন। মিলিটারীতে "সাবধান হওয়া" টাইপ বসা।

তিনি আবার জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হবার চেষ্টা করলেন।

"কত বললে?"

"চার হাজার টাকা।"

তিনি ঈমাম সাহেবের দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, "শুনলেন? এই চেয়ারের দামই চার হাজার টাকা!"

যখনকার কথা বলছি, তখন মুয়াজ্জিন সাহেবের বেতন ছিল পনেরোশো টাকা। এবং ঈমাম সাহেব পেতেন আঠারোশো টাকা। এবং অবশ্যই তা মাসিক। এই টাকার সাথে উপরি যা কামাই হতো, তা দিয়েই তাঁদের সংসার চালাতে হতো।

নিজেকে সেদিন এত ছোট মনে হচ্ছিল!

তাঁদের দৃষ্টিতে আমার সেই চেয়ার ছিল 'এগারো হাজার টাকার চিকেন প্ল্যাটার।'



আমার কথা হচ্ছে, কারও যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে সে দশ-এগারো হাজার কেন, কয়েক লাখ টাকার মুরগি খাবে। আমার কি? আমাকেতো আর তার বিল পে করতে হচ্ছে না।

আপনি ওয়েস্টার্ন গ্রীলে গিয়ে চিকেন ললিপপ খাননা? কেএফসিতে গিয়ে খাননা? পিৎজা হাটে যানতো? বিল কত আসে? পাঁচশো? এক হাজার? দুইহাজার? সেটাই গ্রামের দিকে কিছু পরিবারের একমাসের সংসার খরচ। এখন বলবেন না যে আপনি সেটা জানেন না।



যদি এখন বলেন যে আপনি ফ্যান্সি রেস্টুরেন্টে খেতে যান না। খুবই উত্তম! কিন্তু ফ্যান্সি অ্যাপার্টমেন্টেতো থাকেন? একবার বস্তিতে গিয়ে দেখেন, এককামড়ার বস্তি ঘরেই সন্তান উৎপাদন, লালন, পালন সবকিছু করে জীবন চক্র কাটিয়ে দিচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। তাঁদের কাছেও আপনার অ্যাপার্টমেন্ট "চিকেন প্ল্যাটার নম্বর সাত!"



অন্যকে কিছু বলার আগে নিজের দিকে তাকিয়েছেন কখনও? যেখানে একই কাজ আপনি সবসময়েই করে যাচ্ছেন, সেখানে অন্যকে কেন গালাগালি করছেন?

শুধু এইদিকটা খেয়াল রাখবেন যে কেউ অপচয় করছে নাতো!

দেখা গেল দশ হাজার টাকার চিকেন নিলাম, অথচ তার একটা রানও ঠিক মত চিবিয়ে খেতে পারলাম না। বাকিটা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হলো। এবং তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র অনুশোচনাও নেই। এই সমস্ত পাবলিককেই কেবল রূপসা হাওয়াই চপ্পল দিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত পেটানো উচিৎ।

এদের নিয়েই তখন মন্তব্য করা যায়, "ফাইজলামির একটা সীমা আছে!"



অপচয়ের ব্যপারেই আরেকটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। বলেই ফেলি। এখন গল্প বলার মুডে আছি।

আমার মেজো চাচা খুব সৌখিন ধরনের মানুষ ছিলেন। জমিদারের বংশধর, কাজেই নাকটা ছিল একটু উঁচু।

ভাত খাবার সময়ে তাঁর থালা থেকে যদি কখনও কিছু ভাত গড়িয়ে পড়ে যেত, তিনি কখনই তা তুলে খেতেন না।

খাবার শেষে সবসময়েই কিছু না কিছু অপচয় করতেনই।

একবার তিনি আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলেন। সেই আত্মীয় ছিলেন তখনকার সময়ে সিলেট শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। তাঁর প্লেট থেকে যখন ভাত গড়িয়ে টেবিলে পড়ে গেল, তখন তিনি সেটা তুলে খেলেন।

এই দৃশ্য দেখে চাচা ভাবলেন, "যদি এই লোক টেবিল থেকে ভাত তুলে খেতে পারেন, আমি তাহলে কোন ছাড়?"



এই অপচয় নিয়েই আমার সাথে আমার বেশ কিছু 'কাছের মানুষের' অনেকবার মনোমালিন্য হয়ে গেছে।

দেখা গেছে অ্যামেরিকা থেকে দেশে গেছি বেড়াতে। বন্ধু বান্ধব নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেছি। এক ফাজিল যা পারবেনা তার চেয়েও বেশি খাবার নিয়ে প্লেট ভর্তি খাবার নষ্ট করে আসলো।

তখন অনেক কষ্টে দাঁত মুখ চিবিয়ে টাইট হয়ে বসে থাকতাম। যদি নাই পারিস, তবে নিলি কেন? এর চেয়ে রেখে দিলেওতো অন্য কেউ খেতে পারতো।



অপচয়ের আগে শুধু এইটা খেয়াল রাখবেন, আপনি যা ফেলে দিচ্ছেন, সেটাই হয়তো কারও কারও জন্য রাজভোগ!

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: জীবনে নামও শুনি নাই প্লেটারের। প্রায় ১৪০ ডলারের এটা কি জিনিস? নিউইয়র্কেই একটা ভালো লান্চের দাম মাত্তর ১৩০ ডলার!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: খেয়ে দেখতে পারেন।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

বেগুনী ক্রেয়ন বলেছেন: ঠিক আমার মনের কথাটা লিখেছেন মনে হচ্ছে

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সত্যি কথা লিখলে অনেকের মনের সাথে মিলে যায়।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০১

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: The last line!!!!
আপনি যা ফেলে দিচ্ছেন, সেটাই হয়তো কারও কারও জন্য রাজভোগ!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪২

নতুন বলেছেন: নান্দোসের চিকেনের স্বাদ অনুযায়ী দাম ঠিক ই আছে...

আর মানুষ সমালচনা করে নিজের অবস্থান না বুঝে... এইটা আমাদের সমাজের ধারা হয়ে যাইতেছে...

কিন্তু খরচা করার সময় অন্যের দিকেও একটু তাকানো উচিত...

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন:


++++++

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার প্রথম দিকের কিছু মতামতের সাথে একমত নই। বরং কিছু বিষয় বেশ হাস্যকরই লেগেছে। দুঃখিত। এখানে কমিউনিস্ট বা ক্যাপিটালিস্ট মুখ্য বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে সামর্থবানদের নূন্যতম বুদ্ধিমতার। আর যারা সমালোচনা করছেন, তাদের মধ্যে কে সামর্থবান আর কে সামর্থবান নয়, তা বুঝার উপায় কি?

লুঙ্গি পড়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকা যাবে না, এটা দ্বারা কোন রেস্টুরেন্টের সুনাম বা আভিজাত্য সঠিক ভাবে প্রকাশ পায় না। এই ধরনের নিয়মে একধরনের উজবুকি ও শ্রেনী বৈষম্যই প্রকাশ পায়। আর এই সব আজাইরা নিয়ম বোধ বোধকরি বাংলাদেশেই একমাত্র আছে। এই দেশের পুরুষদের জাতীয় পোষাক বলে যদি কোন কিছু থেকে থাকে তাহলে এর মধ্যে লুঙ্গিই হওয়া উচিত। গ্রাম বাংলার অধিকাংশ মানুষই লুঙ্গি পরে এবং তারা অধিকাংশই গরীব চাষা বা খেটে খাওয়া মানুষ। সেই হিসাবে নান্দুস সহ গুটি কয়েক রেস্টুরেন্টে এই ধরনের বিধিনিষেধ এক ধরনের আহাম্মকি এবং শ্রেনী বৈষম্য ছাড়া আর কিছুই না। তাছাড়া লুঙ্গি না পড়ে কোট প্যান্ট স্যুট পড়ে খুব সেজে গুজে গেলে খাবারের স্বাদ ও গুনগন মান কতখানি বৃদ্ধি পায় তা নান্দুস বা ঐ সব রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কি ব্যাখ্যা করতে পারবেন?

তর্কের খাতিরে যদি বলি, ধরেন আমি ২০,০০০ টাকা দিয়া এক গ্লাস লেবুর সরবত খাওয়ার সামর্থ রাখি। যদি অর্থনৈতিক সামর্থই বড় কথা হয়ে থাকে, তাহলে পোষাকে কি বা যায় আসে? তাইলে তো চাইলে আমি ২০,০০০ হাতে টাকা নিয়া সুন্দর মত ল্যাংটা হইয়া নাচতে নাচতে রেস্টুরেন্টে গেলেও চলে তাই না? B-) :P কিন্তু হবে না। এখানে রুচির একটি বিষয় আছে। ভদ্রতার একটি বিষয় আছে। লুঙ্গি পড়ে বা সাধারন পোষাক পড়ে রুচি, ভদ্রতা আর শিক্ষার প্রয়োগ করা যাবে না, এটা কোথায় লেখা আছে?

খাবারের দাম নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে তাহলে বিশ্বের অনেক নামী দামী রেস্টুরেন্টের কথাই বলা যায়। যেমন ধরুন নিউয়র্কের ক্রাফট রেস্টুরেন্ট। সেখানে যে গরু থেকে বিফ স্টেক তৈরী করা হয়, সেই সব গরুকে তারা নিজস্ব খামারে লালনপালন করেন, মাংস নরম এবং সুস্বাদু করার জন্য বিশেষ খাবার দেয়া হয়, এমনকি লোক রেখে আয়োজন করে গরুকে ম্যাসাজ পর্যন্ত করা হয়। সেখানে একটা ফুল Wagyu ribeye এর দাম $২৮০০ ডলার পর্যন্ত আছে। এখন কথা হচ্ছে, নান্দুস কি সেই মানের কোন রেস্টুরেন্ট? বা তারা কি কখনও জানিয়েছে তাদের এই মুরগীগুলোর এত উচ্চ মুল্যের পিছনে কি কারন আছে? একজন কাস্টমার হিসেবে তো আমাকে জানতে হবে একটা সাধারন মুরগী আর ঐ নান্দুসের মুরগীর পার্থক্যটা কি তারপরই না স্পেশাল দাম।

আমার মতে তারা মনে করছে, এই দেশের পাবলিকের বহুত টাকা আছে, পাবলিক টাকার গরম আর সামাজিক স্ট্যাটাস দেখানোর জন্য হলেও এই জিনিস কিনা খাইবো।


ফলে যারা এই সব ফাইজলামি বুঝতে পারছে, তাদের চিল্লাপাল্লা খুবই জায়েজ ও সঠিক ব্যাপার। যাইহোক, দিনশেষে আমি বিশ্বাস করি, সামর্থবান হলেও নান্দুসের মত একটা রেস্টুরেন্টে ১০৯৯৯ টাকা দিয়া মুরগী খাওয়ার মত বড়লোক পাবলিক আশা করি এখনও চিড়িয়াখানার গাধার খোয়াড়ের বাইরে নাই।

পোষ্টের লাস্ট লাইনের সাথে সহমত।

ধন্যবাদ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু মন্তব্য পড়েই বুঝলাম আপনি আসল ম্যাসেজটাই ধরতে পারেননি। "কমিউনিস্ট বা ক্যাপিটালিস্ট" এখানে ব্যবহার করা হয়েছে রুপক অর্থে। কোথাও বলিনি এটাই মূখ্য বিষয়।
লুঙ্গি নিয়ে আপনি যেমন সেন্টিমেন্টাল হয়ে গেলেন তাতে বুঝা যায় এই পোশাকটির প্রতি আপনার বিশেষ ভালবাসা আছে। এটি যতই আমাদের জাতীয় পোশাক হোক না কেন, আপনি কি এই পোশাক পড়ে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন? সামর্থ্য সবারই থাকে অফিসের কাজ করার, কিন্তু "প্রফেশনাল অ্যাটায়ার" বলেও কিছু একটার অস্তিত্ব আছে পৃথিবীতে, নাকি?
আমি নিজেও লুঙ্গিকে ছোট করতে বলিনি, আবার পড়ে দেখুন। আমি যা বলেছি তা হচ্ছে রাস্তার পাশের 'আবুল রেস্টুরেন্টের' সাধারণ কাস্টোমার এবং নান্দোসের (ইন্টারন্যাশনাল চেইন) সাধারণ কাস্টোমারে পার্থক্য অবশ্যই আছে।
আপনার যদি লুঙ্গি পড়ে নিজের রুচি, ভদ্রতার পরিচয় দিতে ইচ্ছে করে খুবই ভাল কথা। বিয়ে বাড়িতে দাওয়াতে গেলে আপনি তাহলে লুঙ্গি পরে যান না কেন?
একটা রেস্টুরেন্ট ঠিক করবে তাদের মেনুর আইটেমের দাম কত হবে না হবে। কারও ভাল লাগলে খাবে, না লাগলে নেই। এটা নিয়ে হৈচৈয়ের কি আছে বুঝলাম না।
যারা ১১হাজার টাকায় খেলে আপনার তাদেরকে গাধা মনে হয়, আপনিও কোথাও ৫০০ টাকায় খেলে কিছু মানুষের কাছে আপনিও সেই একই শ্রেণীর হয়ে গেলেন। তাদের কাছে হয়তো এই টাকায় সপ্তাহ চলতে হয়।
শেষ লাইনটি ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ!

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১২

নাম বলবো না বলেছেন: যা খুশী তা দাম রাখুক, আমার ভাল্লাগ্লে যাবো, না ভাল্লাগ্লে যাবোনা, হিসেব পরিষ্কার।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এটাই বলতে চাইছি, কিন্তু কিছু মানুষ অহেতুক তর্ক করতে ভালবাসে বলেই শুধু শুধু কথা বাড়ায়।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৬

তার ছিড়া আমি বলেছেন: অপচয়ের আগে শুধু এইটা খেয়াল রাখবেন, আপনি যা ফেলে দিচ্ছেন, সেটাই হয়তো কারও কারও জন্য রাজভোগ!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৭

করিম কাকা বলেছেন: একটা কথা বলি শুনতে হয়তো খারাপ শোনা যাবে , যেই রেস্টুরেন্টই খান না কেন খাবারের পরে পরে থাকা খাবার টুকুও যদি রাস্তায় পরে থাকা কেউ পায় যে পরিমাণ খুশি হয় একবার দিলেই বুঝতে পারবেন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৬

নতুন বলেছেন: যেমন ধরুন নিউয়র্কের ক্রাফট রেস্টুরেন্ট। সেখানে যে গরু থেকে বিফ স্টেক তৈরী করা হয়, সেই সব গরুকে তারা নিজস্ব খামারে লালনপালন করেন, মাংস নরম এবং সুস্বাদু করার জন্য বিশেষ খাবার দেয়া হয়, এমনকি লোক রেখে আয়োজন করে গরুকে ম্যাসাজ পর্যন্ত করা হয়। সেখানে একটা ফুল Wagyu ribeye এর দাম $২৮০০ ডলার পর্যন্ত আছে। এখন কথা হচ্ছে, নান্দুস কি সেই মানের কোন রেস্টুরেন্ট? বা তারা কি কখনও জানিয়েছে তাদের এই মুরগীগুলোর এত উচ্চ মুল্যের পিছনে কি কারন আছে?

নান্দসের পেরি পেরি চিলি সসের রেসিপি খুবই জনপ্রিয়.... এই জন্যই এরা আলাদা... এরা সারা বিশ্বে এই ডিসগুলির জন্যই জনপ্রিয়..

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ;)

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৬

is not available বলেছেন: আপনার লেখায় একটা অহংবোধ বা বড়লোকি আছে যেটা খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে| তাছাড়া আপনার লিখা অধিকাংশ ব্যাপারের ক্ষেত্রেই একমত না| এরকম একটা পোষ্ট মডারেটরেরা নির্বাচিত পাতায় প্রকাশ করল কীভাবে বুঝতে পারছি না|

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার মনে হচ্ছে আমার লেখায় "বড়লোকি অহংবোধ" আছে। খুবই দুঃখিত।
কিন্তু কারও কারও চোখে পড়ছে যে আমি খাবার অপচয় করার বিপক্ষে বলছি।
আমি আমাদের সমাজের দরিদ্র মানুষের কথাও চিন্তা করতে বলছি।
আমি কারও উপর দোষ দেয়ার আগে নিজের দোষ দেখার কথা বলছি।
যার যার দৃষ্টিভঙ্গি।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৬

রাজিব বলেছেন: আপনার পোষ্টের মূল ভাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেও বলতে চাই, সমাজের সিংহ ভাগ মানুষের কাছে ১১,০০০ টাকা একটা মুরগীর জন্য মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি রকমের বেশি মূল্য। ওয়েস্টার্ন গ্রীলের খাবার আমারও পছন্দ তবে বছরে কয়েকবারের বেশি খাওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা যারা মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যবিত্ত এর সমালোচনা করবোই এবং এর স্বাধীনতা আমাদের রয়েছে ঠিক যতটাই নান্দুসের স্বাধীনতা রয়েছে একটি মুরগীর দাম ১১,০০০ টাকা ধার্য করার। আবার এর পক্ষে লেখার স্বাধীনতাও আপনার রয়েছে। তবে কথা একটাই- আমরা যেন উত্তেজিত না হই এবং বাড়াবাড়ি না করি।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: একদম সত্যি কথা। উত্তেজিত হবার কিছুই নেই। বরং এই কারণে আল্লাহর কাছে শুকর করা উচিৎ যে তিনি আমাদের আরও অনেকের চেয়েও ভাল রেখেছেন।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @নতুনঃ ভাই, সেটা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু বাংলাদেশের এই নান্দুস কতখানি আন্তর্জাতিক চেইনের মানদন্ড বজায় রেখেছে তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে। খুব সম্ভবত ২০০৯/১০ এর কথা- আমার এক আত্মীয় দিন ইউকে থেকে অস্ট্রেলিয়া যাবার পথে দিন দশেকের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমরা সবাই মিলে নান্দুসে খেয়েছিলাম। তিনি আমাদের সবার মধ্যে নান্দুসের জনপ্রিয়তা দেখে বললেন, তার কাছে নান্দুসের কিছু কুপন আছে যা দিয়ে তাদের যে কোন ব্রাঞ্চে একটা মিল অর্ডার করলে আর একটা মিল ফ্রি পাওয়া যাবে। পরে যখন যোগাযোগ করলাম, নান্দুস কর্তৃপক্ষ এই অফার দিতে রাজি ছিলেন না। হতে পারে, এই ধরনের অফার কান্ট্রি টু কান্ট্রি ভ্যারি করে। তাই এই নিয়ে আর কোন কথাই আর বলি নাই। তার সাথে যখন পরে ফেসবুকে যোগাযোগ হল, তিনি জানালেন, তিনি এই কুপন তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহার করেছেন। সেই থেকে ব্যাপারটা নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ তৈরী হইছে।

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৭

নতুন বলেছেন:

এখানে তো ৩১৯৫টাকা... ১১হাজার কবে হইলো>??

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১৯

এফ রহমান বলেছেন: ভাই সাহেব কিছু মনে নিয়েন না। নান্দোসের পক্ষে পোস্ট লিখলে কি মুরগী ফ্রি? তাইলে আমারে একটু ব্যবস্থ্যা করে দেন। আমি কিন্তু ভালো লিখি। :-D

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাই সাহেব, কিছু মনে নিয়েন না। আপনার বোঝায় সমস্যা হয়েছে। ভাল করে আবার পড়েন, পোস্টটি খাবার অপচয় রোধের জন্য লেখা। নান্দোসকে সমর্থন করতে নয়।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৯

নতুন বলেছেন: http://www.dhakasnob.com/nandos-menu.htm

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না লুঙ্গি নিয়ে আমার অতিরিক্ত কোন প্রেম নেই। স্বাভাবিক পোষাক হিসেবেই দেখতে ভালোবাসি। প্রফেশনাল এ্যাটায়ার বা ফরমাল এ্যাটায়ার বিষয়টা সম্পর্কে আমি সামান্য হলেও ধারনা রাখি। সেই কারনে আমার কমেন্টে মনে হয় আমিও উল্লেখ করেছি। আমি বলতে চেয়েছি, বড় বড় রেস্টুরেন্টে লুঙ্গি পড়ে ঢুকা যাবে না, এটা টোটাল হাস্যকর বিষয়। আপনার পোষ্টের ঐ নির্দিষ্ট অংশ পড়ে আমার মনে হয়েছে, লুঙ্গি পড়ে নান্দুসে কেউ ঢুকতে পারে না, এটা বুঝি বিশাল একটা ব্যাপার। ফলে সেই ব্যাপারে সমালোচনা করেছি।

একটা রেস্টুরেন্ট অবশ্যই ঠিক করবে, তাদের কোন খাবারের দাম কেমন এবং সেটার পিছনে যথেষ্ট কারনও থাকবে আশা করি। যদি তাই না হত তাহলে নিশ্চয় ওয়েস্টিনের এক কাপ চা আর টং দোকানের এক কাপ চা নিয়েও বিতর্ক হতো। কিন্তু সেখানে হচ্ছে বলে মনে হয় না।

পাশাপাশি আমার মনে হয়, একটা কনসেপ্টকে সবাই সমান ভাবে দেখে না, একটা বিশ্লেষনকেও সবাই একই ভাবে গ্রহন করে না। ফলে সেখানে এক সময় আসে যুক্তিসংগত বির্তকের বিষয়টি। এটাকে কেউ অহেতুক তর্ক হিসেবে দেখলে আর কিছুই বলার থাকে না।

আমি আমার কমেন্টের শুরুতে উল্লেখ্য করেছি, আপনার প্রথম দিকের কিছু মতামতের সাথে একমত নই। অর্থাৎ আপনার বাকি পোষ্টের বক্তব্য নিয়ে আমি দ্বিমত করছি না। এখানে ম্যাসেজ না বুঝতে পারার কোন কারন নেই।

ধন্যবাদ।

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৬

নতুন বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @নতুনঃ ভাই, সেটা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু বাংলাদেশের এই নান্দুস কতখানি আন্তর্জাতিক চেইনের মানদন্ড বজায় রেখেছে তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে।>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

তিনি জানালেন, তিনি এই কুপন তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহার করেছেন। সেই থেকে ব্যাপারটা নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ তৈরী হইছে।


আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরাই তো সব বিদেশী চেইন চালায়.... তাই অবশ্যই যতটা চালবাজী সম্ভব তা আশা করা যেতেই পারে... :(

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @নতুনঃ হাহাহ! সঠিক বলেছেন। চালবাজির মাস্টার এরা। দেখেন তাদের অরিজিনাল প্রাইজে দাম দেয়া আছে ৩১৯৫ টাকা। এটা নিয়া কিন্তু পাবলিকের আপত্তি নাই। এটারে তারা এই রেস্টুরেন্টে খাইতে গেলে জাস্টিফাইডই মনে করছে। সমস্যা হইছে যখন এই জিনিসের দাম ১০৯৯৯ হইয়া গেসে।

তবে যতই এই দামের পিছনে সাফাই থাক না কেন, নান্দুস কর্তৃপক্ষ নাকি এখন স্বীকার করেছে, এটা তাদের প্রিন্টিং মিস্টেক।



লে বাবা! সব লেঠা চুকে গেল! এবার সবাই ঝাপিয়ে পড়েন। ;)

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @নতুন ভাইঃ আহা! ছবিটা আসছে না, লিংক আর টেক্সট তুলে দিলাম।

মানুষের গালি খেয়ে Nando's লজ্জায় তাদের মেনু change করেছে।
■ International food chain হয়ে যদিও excuse দেয় আগেরটা নাকি 'printing mistake' ছিল! একটা ১ পেজ এর লিফলেট এ কত ভুল থাকা সম্বব কে জানে। এত ধানাই-পানাই দেখলে মনে হয় যে তারা মুরগি'র ভিতর সোনার ডিম ভরে দিয়েছে। তাই ২ টা মুরগি ১০,৯৯৯ টাকা বাংলাদেশের হিসাবে কিন্তু সস্তা!
Nando's এর Manager টেলিফোনে ভাঙ্গা ভাঙ্গা English এ বলল, ''গত বছর অনেক ভিড় হয়েছিল তাই আমরা 'root people' ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিয়েছি''। 'Root people' কি জিনিস আর 'Root ছাড়া people' কারা জানতে পারলে ভালো হতো। আমরা এরকম ছাগল ব্যাবসায়ী গুলাকে কেও মেন্যু তে অন্তর্ভুক্ত করার শক্ত দাবী জানাই।
■■ We are STRONGLY requesting the Government to regulate such ridiculous pricing ASAP.


https://www.facebook.com/moja.losss

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৪

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: বেশ লিখেছেন। সহমত!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: প্রথম কথা হলো, নান্দুসের মুরগীর দাম তো কোনভাবেই এগার হাজার টাকা হতে পারে না, পৃথিবীর কোন দেশেই নান্দুস এগার হাজার টাকায় চার-ছয় জনের একটা ডিশ বিক্রি করে না। কোথাও করে থাকলে দয়া করে জানান। ৩৯৫০, কিভাবে যে ১১,০০০ হয়ে যায়, অদ্ভুত !!!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: লেখার বিষয় নান্দোসের মুরগির মূল্য না। লেখার বিষয় অপচয় রোধ।

২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

একে৪৭ বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালবাসা'র সাথে একমত।

অাপনার লিখার মূল বক্তব্য যাই হোক, লুঙ্গি নিয়ে অাপনার লিখার ধরনে বাড়াবাড়ি রকমের অহমিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
-লুঙ্গি পরে অফিসে যাওয়া অার রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া'র তুলনা করাটাকে হাস্যকর মনে হল।
যতটুকু জানি বা বুঝিঃ ফরমাল ড্রেসের প্রচলন শুরু হয়েছিল মূলত এলাইনড হওয়ার উপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের বাইরের অর্থ্যাৎ কাষ্টমারদেরকে ইমপ্রেস করার উদ্দেশ্যে। কোন রকমের কোন ড্রেসকে ঘৃনা বা অসন্মানের উদ্দেশ্যে নয়। পরবর্তিতে এটা একটা কালচারে রুপান্তরীত হয়েছে, যা অামরা ফলো করি।

-অামি অামার অফিসে ফরমাল ড্রেসে যাই, কারন অামাকে যেতে হয়, অামি বাধ্য, অবশ্যই অামার অফিস অামার চেয়ে অনেক বড়! টাকায় বলেন, অার সন্মানে বলেন বা সাইজেই বলেন। অামি অামার অফিসের দাষ! তাই ড্রেসকোড মেনে অামি অামার দাষত্ব বা অানুগত্যের প্রকাশ করি বা করতে হয়। কারণ এর জন্য অামার অফিস অামাকে পে করে। অামি অর্থ গ্রহন করি।

-এবার রেষ্টুরেন্টে ফেরা যাক! এখানে কে কার অানুগত্য করা উচিৎ? অামি রেষ্টুরেন্টের? নাকি রেষ্টুরেন্টের অামাকে??? ওখানে অর্থের গ্রহনকারী কে? ড্রেসকোড যদি মানতেই হয়, রেষ্টুরেন্ট মানবে! অামাকে ড্রেসকোড মেনে রেষ্টুরেন্টে যেতে হবে কেন???
কি বোকাদের মিলনমেলাই না ঘটে ওখানে! ড্রেসকোড মেনে খেতে যায়! টাকা দিয়ে নিজেদেরকে দাষ বানিয়ে অাসে!!!

-অাপনার কথা মতোইঃ অামার যদি টাকা থাকে অামি যাব, না থাকলে যাব না! এতে চেচামেচির কি অাছে?
-একই ভাবে যদি অামার মতো বলিঃ অামার টাকা অাছে, অামার ইচ্ছেটাই বড় হওয়া উচিৎ, অামার ইচ্ছে হচ্ছে অামি লুঙ্গে পরে যাব, অাপনার তাতে প্রবলেম কি???

অাপনার কথার ভাবে মনে হল অামাকে লু্ঙ্গি পরে ঢুকতে দেবে না, তার মানে কি ঐ রস্টুরেন্টে ঢুকতে হলে অাপনার ভোল পাল্টাতে হবে? তার মানে তো সেখানে ব্যাক্তি অাপনার কোন দাম'ই নাই! বানরের হাতে টাকা দিয়ে স্যুট-টাই পরিয়ে নিলে নিশ্চই ঢুকতে দেবে??? তার মানে পার্থক্যটা অাপনি বা অামি নই! পার্থক্যটা টাকা অার কাপড়ে!

-লুঙ্গি পরেন না, বা পছন্দ করেন না সেটা একান্তই অাপনার ব্যাপার। অামি নিজেও লুঙ্গি পরি না। কিন্তু তাই বলে স্যুট-টাই এর দেখা পেয়েই বাপ-চাচার পোষাকের উপর থুথু ছেটাতে পারেন না!

ভাগ্য ভাল যে অাপনি ওয়েস্টার্নদের দেখা পেয়েছিলেন! নইলে যে কি পরতেন!!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাই পুরা লেখা পড়ার পর আপনি লুঙ্গিতেই আটকে রইলেন?
ভাল করে পড়ে দেখেন আমি বলেছি, নান্দোসের এবং আবুল হোটেলের কাস্টোমারে যে পার্থক্য থাকে সেটাই লুঙ্গির রূপকে তুলে ধরেছি।
আপনার ইচ্ছে হয় আপনি যান লুঙ্গি পড়ে। "আপনাকে ঢুকতে দিবে না" - এই কথা আমি কোথাও বলিনি - শুধু শুধু বানিয়ে বানিয়ে কেন বলছেন?
আমি বলেছি, আপনি নিজেই যাবেন না লুঙ্গি পড়ে। আপনি কি বিয়ে বাড়িতে যান লুঙ্গি পড়ে? সেখানেতো আপনাকে কারও দাসত্ব করতে হয়না, তাহলে কেন প্যান্ট পড়ে যান?
তর্কের খাতিরে অনেক কথাই মানুষ বলে। নিজের জীবনে অ্যাপ্লাই করেন কম। সেটাই এই লেখায় বলেছি।

২৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

মুহাই বলেছেন: আপনি কি ভাই নান্দোসের ফেরিওয়ালা?????? দুনিয়ার কোন জিনিস নিয়া সমালোচনা হয়না???মানুষ মতপ্রকাশ করতেই পারে। খারাপ বলতেই পারে। আপ্নার ভাল্লাগে সারাদিন সেখানে পড়ে থাকেন। যাদের লাগেনা সমালোচনা করুক। নাকি কেউ আপ্নাকে সমালোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করার ঠিকাদারি দিছে???

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে বলবো লেখাটা আবার পড়তে। আপনি এক পড়ায় কোন গল্প বুঝার লোক না বুঝতে পারছি।
আপনাকে সাহায্য করি। এই লেখাটি নান্দোসের পক্ষে বিপক্ষে না; এই লেখাটি অপচয় রোধে মানুষকে সচেতন করতে লেখা। নান্দোস একটি উদাহরণ যে আমরা মূল বিষয় পাশে রেখে ফালতু কাজে বেশি লাফালাফি করি।
এই লেখায় লিখেছি, আমরা নিজেরাই যে পাপে দোষী, সেই পাপে কেন অন্যের সমালোচনা করি?
আপনি নিজেই তার একটি উদাহরন। আপনিই লিখেছেন, "মানুষ মতপ্রকাশ করতেই পারে। খারাপ বলতেই পারে। আপ্নার ভাল্লাগে সারাদিন সেখানে পড়ে থাকেন। যাদের লাগেনা সমালোচনা করুক। নাকি কেউ আপ্নাকে সমালোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করার ঠিকাদারি দিছে???"
এইদিকে নিজেই কিন্তু আমার মতের সমালোচনা করতে এসেছেন।

২৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

হেডস্যার বলেছেন:
চমতকার লেখা+

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আপনি বুঝতে পেরেছেন, তাই ভাল লেগেছে। অধিকাংশ পাঠক দেখি মূল বক্তব্যের ধারে কাছে দিয়েও যাচ্ছে না।

২৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

পাঠক০০৭ বলেছেন: লেখায় অপচয় রোধের চাইতে তো নান্দুসের গুনগান বেশি হইল মনে হইতাছে! আপনে কি অনেক বড় লোক ভাই? ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নান্দোসের উদাহরণ টানা হয়েছে শুধু যাতে মানুষ রিলেট করতে পারে। কারও গুণগান গাইতে এই পোস্ট না। আবার পড়েন, ট্রাই করেন, যদি বুঝতে পারেন!

২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন:
ভাই আপনের কাছে কি মনে হয় জানি না, তবে আমি একটু কনফিউজ্ড আমার কাছে মনে হ্য়
বড় মানের চোর ছেচ্ছর সাথে আমাদের নেতা দের কে ও নিতে পারেন, ঘুশখোর, খানকির দালাল, মাগির দালাল এমন কি ইয়াবা, হেরোইন ব্যবসায়ি ছাড়া কি নান্দুসে যাওয়া সম্বব....??

আমার তো মনে হয় না....... ১০০% হালাল ইনকাম করে নান্দুসে :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেইটা আমার বিবেচনা না ওখানে কারা যায়। ১০০% হালাল ইনকাম করে ধনী হওয়া যায়না আপনাকে কে বলল? আমাদের হযরত উসমান (রা:) কি অসৎ বয়বসায়ী ছিলেন? হযরত তালহার (রা:) সম্পদ কি কম ছিল? আমরাওতো চাকরি করছি, মাশাআল্লাহ দুই নম্বরি কিছু করতেও হয়না।
টাকা পয়সা আল্লাহর দান। তিনি বরকত দিলে যে কেউ ধনি হতেই পারেন। কেউ ধনি হয়ে গেলেই তাকে দুই নম্বরি ভাবাটাও গুনাহ।
যদিও আমাদের দেশে চোর বাটপাররাই এখন বেশিরভাগ ধনি। তবুও আমি নিশ্চিত, অন্তত একজন হলেও সৎ ব্যবসায়ী থাকবেনই থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.