নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মুর্শিদের থ্রুতে চাইতে হবে। আল্লাহ আমাকে দেবার কে?"

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫০

কোন রেস্টুরেন্টের "হ্যাপী আওয়ার" মানে সব ড্রিংকসের উপর পঞ্চাশ শতাংস ছাড়, এবং কোথাও কোথাও এপেটাইজারেও একই ছাড় দেয়া হয়।
মদখোর অ্যামেরিকানরা তাই হ্যাপী আওয়ারের সময়ে রেস্টুরেন্টে ভিড় করে। অর্ধেক মূল্যে মদ্যপানের উদ্দেশ্যে।
'সনিক' নামের একটা ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টের হ্যাপী আওয়ারেও অর্ধেক মূল্যে ড্রিংকস বিক্রি হয়। যেহেতু ফাস্ট ফুড শপ, কাজেই মদ বিক্রি করে না। কিন্তু তাতেও এদিক সেদিক হয়না। আমাদের দেশের কাঙ্গালী ভোজে যেমন ভিড় হয়, সাদা কালো অ্যামেরিকানরা তেমনই ভিড় জমায়।
সনিকে আমারও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। আমি ভাবতাম, কেন এই ভিড় হয়!
সনিকে দুই একটা ড্রিংকস বাদে এমন কোন ড্রিংকস নেই যা অন্য দোকানে পাওয়া যায় না। কোক, ডক্টর পেপার, স্প্রাইট....ম্যাকডোনাল্ডস বা অন্যান্য যেকোন দোকানে এই একই জিনিস পাওয়া যায়। এবং কম দামে! তারচেয়ে বড় কথা, বারবার রিফিলও করা যায়। যেখানে সনিকে কোন ড্রিংকস রিফিল করা হয় না। তাহলে কেন শুধু শুধু এই ভিড় ঠেলে, বেশি দাম দিয়ে ড্রিংকস কেনা?
একজন উত্তর দিয়েছিল, "সনিকের ড্রিংকস মজার।"
" সেটা নাহয় চেরি লাইম এইড, অথবা আইস টির ক্ষেত্রে মানলাম, কিন্তু কোক, ডক্টর পেপার তো সব জায়গাতেই এক।"
"হ্যা। সনিকের কোক কেন জানি একটু বেশি মজা লাগে।"
এর উপর আর কোন কথা থাকেনা।
মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে বিচিত্র বৈশিষ্ট্য হলো, এ নিজের ইচ্ছে মতন যুক্তি তৈরী করে নিজের মনকে সন্তুষ্ট করতে পারে। যুক্তি খোড়া না উসাইন বোল্ট - তাতে কিস্যু যায় আসেনা।
সেদিন যেমন একটা ভিডিও দেখলাম কুমিল্লার 'বিড়ি বাবাকে' নিয়ে।
বাংলাদেশে তেলাপোকা আর পীর ফকিরের কোন অভাব নেই। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচন্ড অন্ধ কিন্তু একই সাথে ভীষণ অজ্ঞ বিরাট মানবগোষ্ঠিকে ঠকাতে ‘ফকিরি ব্যবসার’ উপরে আসলে দেশে আর কোন ব্যবসা নাই। এই ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট বলতে গেলে শূন্য, এবং অতি অল্প সময়েই কোটিপতি হওয়া যায়। আমাদের বিড়ি বাবা সেইরকমই একজন ব্যবসায়ী।
নাম শুনেই বুঝা যায় বিড়ি বাবার চিকিৎসার একমাত্র ওষুধ হচ্ছে বিড়ি। নব্বই বছরের থুত্থুরে বুড়োর বাত রোগ থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের শিশুর ডায়রিয়া - সব রোগীকেই 'বাবা' বিড়ি ফুঁকতে বলে। এমনকি ক্যানসার, যক্ষ্মা রোগীদের হাতেও এই ফাজিল বিড়ি ধরিয়ে দেয়। বাবার বিড়ি ফুকলে নাকি হাতে হাতেই ফল পাওয়া যায়। কথাটা বাবার নিজের না, তার মুরিদদের।
বাবার খাদেমের মতে এই বিড়ি আসলে বিড়ি না - তোবারক। হিন্দু ভাইবোনদের বুঝার সুবিধার জন্য বলছি, আপনারা যাকে ‘প্রসাদ’ বলেন, 'তোবারক' অনেকটা তাই। যদিও ইসলামে 'তোবারক' বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। এটা ধর্ম ব্যবসায়ীদের মস্তিষ্ক প্রসূত একখানা 'প্রোডাক্ট' মাত্র।
তারচেয়েও বড় কথা, ইসলাম ধর্মে বিড়ি-সিগারেট বা যেকোন নেশা জাতীয় দ্রব্য যা মানুষের ক্ষতি সাধন করে, সব হারাম। কোন মোল্লা যদি সিগারেট খায়, তবে সে প্রকৃত মুসলিমই নয়। পীর হওয়াতো বহুদূর!
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বাবার আস্তানায় 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ' (লা ইলাহা না কিন্তু) জিকির উঠে। এই লাইলাহার মানেও কিন্তু ভিন্ন।
সারাজীবন ধরে যে শিখে আসলাম "আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইশ্বর নাই," বাবার খাদেমের মতে, এই লাইলাহা মানে 'আমি আমার মধ্যে নাই' আর ইল্লাল্লাহ মানে 'দ্বীন দয়াময়।'
এরা এখানে কলিমাই পাল্টে ফেলেছে। ফাইজলামিরও একটা সীমা থাকা লাগে, নাকি?
বাই দ্য ওয়ে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে বাংলাদেশে যে জিকির উঠে, সেটা কিন্তু আসলেই ভুল। আল্লাহ ছাড়া কোন ঈশ্বর নাই, এই তত্বে খ্রিষ্টান-ইহুদিরাও বিশ্বাসী। আবু জাহেলও মেনে নিয়েছিল এই তত্ব। কিন্তু সে মানতে পারছিল না যে মুহাম্মদ (সঃ) তার নবী। যদি কেউ নবীজিকে(সঃ) নবী হিসেবে স্বীকার না করে, তবে সে মুসলিম হবে না। কাজেই জিকির করলে পুরো কালিমাটাই (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) পড়া উচিৎ। সবকিছুতে 'শর্ট' ফ্যাশন চালু থাকলেও , ইসলামে এই ফ্যাশন চলে না।
বাবার সবচেয়ে বড় গুণ, এখানে বন্ধ্যা মেয়েরা এসে গর্ভবতী হন। শুধু বাবার সাথে নিয়মিত 'কিছু সময় দিতে হবে।'
বাহরে বাহ!
এক মহিলার মতে, "মানুষের আসল শক্তি হচ্ছে ঈমান। আমাকে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ যা পারেন, মুর্শিদও তাই পারেন।"
এরা এক ভন্ডকে আল্লাহ বানিয়ে ফেলেছে! 'কিছু সময় দিলে' যে কেউ তোকে সন্তান দিতে পারবে রে ছাগী, বিড়ি বাবার কাছে এসে বিড়ি ফুকতে হবেনা।
মজার ব্যপার হচ্ছে - হাজার হাজার মানুষকে বিড়ি খাইয়ে সুস্থ্য করা বিড়ি বাবা, নিজে চিকিৎসার জন্য বড় বড় ডাক্তারের কাছে যায়। তার নিজের ঘরে ওষুধ, প্রেসক্রিপশনের ছড়াছড়ি।
এই কথা ধরিয়ে দেয়া হলে তার মুরিদ বলে, "আমরা পাপী বান্দা, আমাদের চোখে পাপ! তাই দ্যাখতাছি বাবা অসুস্থ। আসলে বাবা অসুস্থ না।"
খাইছে। এ যে 'সনিকের কোক খেতে বেশি মজার' মতন যুক্তি! এর বিপরীতে কিছু বলার আছে? কিছুই বলার নেই।
সবচেয়ে হাস্যকর ফতোয়া শুনলাম আরেক খাদেমের কাছে।
বাবা নাকি চল্লিশ বছর ধরে পানি খায় না। যেখানে পানি ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা একদমই অসম্ভব!
খাদেম বলছে, "পানির অপর নাম জীবন না, আসলে পানির অপর নাম মরণ! আমাদের নবীজির (সঃ) নাতি মারা গ্যাছেন পানি খাইতে না পাইরা, তাই আমাদের পানি খাওয়া নিষেধ!"
এ যে উন্মাদের প্রলাপ! এদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে চিকিৎসা করানোর কথা, আমরা এদের পীর বানিয়ে পূজা করছি!
ঘটনা কুমিল্লার গ্রামে ঘটছে, তাই অনেকেই ভাবতে পারেন গ্রামের কিছু অশিক্ষিত লোকইতো ঠকছে। এটা এমন কোন বড় ব্যপার নয়।
কিন্তু সমস্যা আসলে সেটা নয়। ঢাকা শহরেও এখন এমন কোন মহল্লা নেই যেখানে কোন পীর থাকেন না। ফাজিলগুলি ইচ্ছে মতন ফাইজলামি করে যায়, আমরাও চোখ বন্ধ করে মেনে চলেছি।
দেওয়ানবাগী হুজুর নামে এক বদমাইশ সেদিন দাবী করছে, ফাতেমা (রাঃ) নাকি পুনর্জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন তার স্ত্রী হবার জন্য। সে নিজেকে রাসূল বলে দাবী করছে। এইসব আমি কারও কাছ থেকে শুনিনি, নিজের চোখে ভিডিওতে দেখেছি। তারপরও সে বহাল তবিয়তে ঢাকা শহরে দাপটের সাথে ‘ব্যবসা’ চালিয়ে যাচ্ছে।
তসলিমা নাসরিনকে যদি ইসলামের বিরোধিতা করায় দেশ ছেড়ে থাকতে হয়, তবে এইসব ফাজিলকে আরও বড় শাস্তি দেয়া উচিৎ।তসলিমা আল্লাহ-নবীকে(সঃ) নিয়ে আজেবাজে কথা লিখেছে, কিন্তু এদের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ তারচেয়ে সহস্রগুণ বেশি। কিন্তু আমরা ধর্মের নামে অন্ধ, বধির এবং অতি মূর্খ্য জাতি, ওদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশনই নেই না।
একবার এক লোকের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। ভদ্রলোক বিখ্যাত মাল্টিন্যাশনালে বিরাট পদে চাকরিরত আছেন। আমি যেমন হার্ডকোর পীরবিদ্বেষী, তিনিও তেমনি একজন হার্ডকোর মুরিদ। ফরিদপুরের আট রশি পীরের দরবারে রেগুলার হাদিয়া পাঠান। এইদিকে নামাজ পড়েন না এক ওয়াক্তও।
"ভন্ড পীরে বিশ্বাস করা হারাম। বরং আপনার উচিৎ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে চাওয়া। এতে ঈমানও নষ্ট হবেনা, পয়সাও বাঁচবে।"
আমি যেন হুজুরের শানে বিরাট 'গোস্তাখি' করে ফেলেছি, এমনভাবে তিনি আমার উপর তেড়ে এলেন।
"তওবা করেন! এখুনি তওবা করেন! আপনি কী বলতে চান? আল্লাহর কাছে আমি ডাইরেক্ট চাব কেন? মুর্শিদের থ্রুতে চাইতে হবে। আল্লাহ আমাকে দেবার কে? আমাকে মুর্শিদ দিবেন। আমি যে আজকে এত সাকসেসফুল, এইটা কার জন্য? মুর্শিদের জন্য!"
আমি আধবুড়ো লোকটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। বুদ্ধিহীন একটা মানুষের এইভাবে চুল পাকলো কিভাবে ভেবে পেলাম না।
শুধু দেশেই না, বিদেশে থেকেও অনেকে ঠিক মতন মাথা খাটানো শিখেননি। এখনও কোন বিপদে পড়লে দেশে বিপুল ডলার পাঠিয়ে ফোন করে বলা হয়, "বাবা(নিজের বাবা না, পীরকে বাবা ডাকে)! আমার জন্য দোয়া করবেন!"
"আল্লাহ নিজে বলেছেন আপনার কিছু লাগলে শুধুই তাঁর কাছে চাইতে" বলে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, "বাবা দোয়া করার কে?"
তিনি আমাকে বললেন, "আমার মতন পাপীর কথা কী আল্লাহ শুনবেন? বাবার থ্রুতে যদি কিছু হয়!"
ভাইরে, যদি আল্লাহ কারও কথা শুনে থাকেন, তবে আপনারটাই শুনবেন। মোল্লার কাছে দৌড়াবার দরকার নেই।
এইসব বুঝিয়ে কোনই লাভ হয়না। আবারও বিপদে পড়ে, আবারও ডলার পাঠিয়ে ফোনে কান্না, "বাবা আরও জোর লাগায়ে দোয়া করেন....কিছুই লাভ হচ্ছে না!"
নিজের ধর্ম সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান থাকলেই হাজার হাজার ডলার বেঁচে যেত, মনটাও শান্ত থাকতো! আফসোস! আমরা শিক্ষিতরা নিজেদের সর্বক্ষেত্রেই অতিরিক্ত পন্ডিত মনে করি।
ব্রিটিশ আমলে ফকির সন্ন্যাসীরা মুষ্ঠি ভিক্ষা করতো। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মুষ্ঠি ভিক্ষা চাইতো। ধর্মভীরু এবং তারচেয়েও বেশি ধর্ম অজ্ঞ ভারতীয়রা 'অভিশাপের' ভয়ে নিজে না খেয়ে হলেও এইসব ভন্ড ফকিরদের থলেতে ঠিকই খাবার তুলে দিত। ফকির সন্ন্যাসীরা আবার হালকা অস্ত্রও বহন করতো।
ব্রিটিশ সরকার ফকিরদের এই মুষ্ঠি ভিক্ষা এবং অস্ত্র বহনকে অবৈধ ঘোষণা করলে 'ফকির-আন্দোলন' নামে একটা আন্দোলন হয়েছিল। কী আশ্চর্য্য! আমাদের সাধারণ জনগণও তখন এই ভন্ড ফকির সন্ন্যাসীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল! ব্রিটিশরা হয়তো মনে মনে ভেবেছিল, "যার জন্য করি চুরি, সেই বলে চোর!"
ব্রিটিশ সরকারের কারণেই আমাদের দেশ থেকে সতীদাহ প্রথার মতন এক বর্বর প্রথা দূর হয়েছিল। ওদের কারণেই বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়েছিল। মুঘল আমলে কিন্তু এসব হয়নি। ডান্ডা না পড়লে মানুষ ঠান্ডা হয়না। এই কথাটা নিপাতনে সিদ্ধ।
ব্রিটিশরা চলে যাওয়ায় এখন দেখা যায় কাশি-হরিদ্বারে দলে দলে ন্যাংটা সাধু সন্ন্যাসীরা ঘুরে বেড়ান। সুনীলের এক লেখায় পড়েছিলাম এরা বেশির ভাগই ফেরারী দাগী আসামী। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই 'বাবার' বেশ ধরেছে।
আমাদের দেশের সরকারকেও ব্রিটিশদের মতন শক্ত হয়ে একটা আইন পাশ করতে হবে যাতে এইসব পীর ফকিররা অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে। মানুষ গয়না বেঁচে, জমি বেঁচে এইসব পীরদের পায়ে এনে টাকা ফেলছে - একে ডাকাতি না বললে কাকে বলবো?
আপনারা ইউনি পে, ডেসটিনি বন্ধ করে দিয়েছেন, তাহলে এইসব পীরদের কেন ব্যবসা চালিয়ে যেতে দিচ্ছেন? জনগণ আপনাদের বিরোধিতা করবে? সেটাতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়েও করেছিল। আপনারা যদি জানেন আপনারা সঠিক কাজ করছেন, তাহলে ভয় কিসের? কেউ কী পারবেন সরকারের কানে কথাটা তুলতে?
সম্রাট আওরঙ্গ জেবও নাকি একবার দিল্লীর সব ভন্ড পীরের মাজার ভেঙ্গে গুড়িয়ে সাফ করে দিয়েছিলেন।
তখনকার সময়েও দিল্লি শহরটা মাজারে মাজারে ছেয়ে গিয়েছিল। ভক্তদের বিশ্বাস ছিল, পীরেরা আসলে সেইসব মাজারে জীবিত শুয়ে আছেন। সেখানে ধরনা দিলে 'বাবা' ভক্তদের কথা শুনেন এবং অ্যাকশন নেন।
সম্রাটের পদ্ধতিটা খুব সহজ ছিল। তিনি ঐ সব মাজারে গিয়ে সালাম দিয়েছেন, উত্তরের জন্য অপেক্ষা করেছেন। উত্তর পান নি, কাজেই প্রমাণ হয়ে গেল ঐ কবরের মানুষ 'আসলেই মৃত।' তারমানে ওটাকে মাজার বানাবার কোন মানে হয়না।
তারপর ধামাধাম হাতুড়ি পেটা করে সেসব মাজার ভেঙ্গে ফেলা হলো।
কথা হচ্ছে, আমাদের আওরঙ্গ জেব কে হবেন?
https://www.facebook.com/groups/canvasbd/
ইসলাম নিয়ে আরও পড়তে যোগ দিন:
https://www.facebook.com/groups/shottyanweshi/

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৮

জ্যানাস বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার পোষ্টটি। বিড়ি বাবার তো ধূমপান নিরোধ আইনে গ্রেফতার হওয়া উচিত! সে বাইরে থাকে কিভাবে। আমি চট্টগ্রামের অধিবাসি। এখানে প্রায়ই প্রতি কিলোমিটারে একটা করে মাজার। তবুও এখন এই মাজার পূজা বেশ কমে এসছে আগের তুলনায়। কিন্তু নামাজ না পরে পির কে টাকা দিয়ে দুয়া চাওয়া আছে।
ফকির সন্যাসি বিদ্রোহ সম্পর্কে একটু ভুল বলেছেন। হিন্দু সন্যাসিরা ভিক্ষা করতেন না ঠিক। তারা মন্দিরে প্রসাদ পেতেন। ধর্মিয় বিধান এই অনেক গৃহি সন্যাসিদের দান করতেন। একই ভাবে মুসলিম ফকির রাও ঠিক ভিক্ষুক বা পির শ্রেনির ছিলেন না। এরা বোন খানকাহ বা মসজিদে থাকতেন ধর্মিয় উপদেশ দিতেন এবং সাংগঠনিক ভিত্তিতে কিছু কাজও করতেন। প্রকৃত পক্ষে এরা যে জিবন যাপন করতেন তা সন্যাস নয় বরং অল্পে সন্তুষ্টি। বিৃটিশ আমলে তারা বিদ্রোহ করেন তাদের জন্য মোগল ও সুলতানি আমলে বরাদ্দ করা লাখেরাজ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ করায়। এই বাজেয়াপ্তর জন্য এই দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্ধ হয়ে যায়।
সম্রাট বাবুর এর আত্মজিবনি তে পড়েছি তিনি শুনতে পান গজনির কোন মাজারে গিয়ে দরুদ পঢ়লে মাজার টি কেপে উঠে। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন তাই হচ্ছে। তার অনুসন্দিচ্ছু মন খেয়াল করে মাজারটি বাঁশের পাটাতন দিয়ে ঘেরা। আসলে কেউ যখন দরুদ পরে তখন খাদেমরা পাটাতন টিকে নাড়ায় আর যার ফলে মনে হয় মাজার কাঁপছে!!! তিনি খাদেম দের উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। এই দেশেও এইরকম অলেীকিক! মাজারগুলির এই ব্যবস্থা করা জরুরি!!!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

আসফি আজাদ বলেছেন: এদের জ্ঞান দান করা বৃথা, যদি আল্লাহ হেদায়েত না দেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে রাখুন।
+++

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

সরদার হারুন বলেছেন: এ সব হেফাজাতে ইসলামের চেখে পড়েনা ? পীর নামক প্রতারণার ব্যাবসা
এ দেশে প্রথম হতেই চলে আসছে । সিলেটের শাহজালাল এবং তদান্তিন কিছু
পরহেজগার ব্যক্তির অবদানে এ দেশে ইসলাম প্রচার হয়। কাল ক্রমে তাদের
উত্তরসুরিরা পীর ব্যবসার নামে প্রতাড়ণা করে আসছে ।এক এক পীরের ট্রেড মার্ক আছে যেমন মোনাই চরের পিরের টুপি আলাদা এবং তারা আল্লাহ না বলে বলে "মাওলা"। এটা যার কাছে পাবেন তারাই মোনাইর চরের মুড়িদ ।

দেওয়ান বাগিতো বিশ্ব শয়তান । সে আল্লাহকে দেখেছে বলে দাবী করেছে।
দিলাম+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর অসংখ্য নাম আছে, তার মধ্যে নিরানব্বইটা আমাদের জানা। এর বাইরে অন্য কোন নামে ডাকলে গুনাহ।
আমাদের পীরের মুরিদেরা এইসব জানে না।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




চমৎকার পোষ্ট। তসলিমা কিংবা আসিফ বা অন্যন্যা ধর্ম বিদ্বেষীদের চেয়ে ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বেশী করতে করছে এইসব ভন্ড পীর আর অশিক্ষিত যারা যারা কথায় কথায় ফতোয়া প্রদান করা কাঠ মোল্লারা

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কথা ঠিক। এদের শাস্তি তসলিমা-আসিফদের চেয়ে বেশি হওয়া প্রয়োজন।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে বিচিত্র বৈশিষ্ট্য হলো, এ নিজের ইচ্ছে মতন যুক্তি তৈরী করে নিজের মনকে সন্তুষ্ট করতে পারে।


চমৎকার লিখেছেন । কে কোন উটকো লোক ইসলাম নিয়ে কি বললো, ব্যাস তার গর্দান কাটো, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দাও । শাপলা চত্বরে দেশসুদ্ধ লোক জমা করে ভেঙে ফেলো পুড়িয়ে দাও । অথচ শাপলা চত্বরের পাশেই যেসব দেওয়ানবাগি হাগিরা প্রকাশ্যে ধর্মের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে, সটা নিয়ে তু শব্দ নেই । শব্দ হওয়ার কথাও না, একই গোত্রের ব্যবসায়ী সব । যে যেভাবে পারে ধর্মটাকে পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করে নিচ্ছে ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। পীরদের বিপক্ষেও শক্ত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাংলাদেশে তেলাপোকা আর পীর ফকিরের কোন অভাব নেই। চরম বলেছেন ভাই। অনেকক্ষণ ধরে হাসলাম লাইনটা পড়ে। আমার এলাকায় আমি নিজের চোখে এরকম লোকজন দেখেছি। ঢাকা মেডিক্যালে ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট এসে বাবার পা ধরে কেঁদে কেঁদে বলছে, বাবা যেন তার প্রেমিকাকে তার কাছে এনে দেন। কারন, উনার প্রেমিকা এখন অন্য কারো প্রেমিকা!!! =p~ =p~ =p~ =p~ এদের আয়, সম্পদ, প্রতিপত্তি দেখলে অবাক হতে হয়। "নাথিং ফর গুড" মানুষগুলো কি অবলীলায় তাদের ভণ্ডামি করে যাচ্ছে, আর নির্বোধ মানুষেরা দলে দলে লাইন দিয়ে এদের মোচ্ছবকে আরও জৌলুশ পূর্ণ করে যাচ্ছে।

চমৎকার লেখায় একরাশ ভালোলাগা রইল। ++++++

শুভকামনা জানবেন। :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: চরম উদাহরণ দিলেন। আমিও দেখেছি অনেক ডাক্তার ইন্জিনিয়ারকে এদের পা ধরাধরি করতে। মানুষ আসলে মনে করে মেডিক্যাল অথবা ইন্জিনিয়ারিং পড়ে ফেললেই বুঝিবা একেবারে শিক্ষিত হয়ে গেছে। নিজের ধর্মটাকেও একটু জানা উচিৎ। নাহলে হাসির পাত্র হতে হয়।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

লাজুক আনন বলেছেন: লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ মঞ্জুর ভাইকে।

বাংলাদেশের সব পীরই প্রায় একই রকম বৈশিষ্টের অধিকারি। আমি গ্রামে এমনও দেখেছি যে,তারা প্রতিষ্ঠিত নামকরা পীরের মুরিদ আবার নামাজও পড়ে নিয়মিত,সুন্নতি লেবাসেরও কোন ঘাটতি নেই। ধর্মীয় কোন বিধান কোরান ও হাদিসের কথা বললে বলে কি জানেন?
১।সব হাদিস মানা যাবে না।
২।কোরান হাদিসে কি আছে জানি না তবে পীর সাহেব যা বলবেন তাই ঠিক।
৩।মুফতি ছাড়া কেউ হাদিস/কোরানের কথা বলতে পারবে না।
৪।পীর ছাড়া পরকালে কেউ পার পাবে না।

বলুনতো একথা বলার পর তাদের ঈমান কোথায় থাকে?সংগত কারনেই পীরের নামটা বললাম না।এই পীরের যতগুলো মুরিদ আছে হঠাত করে যদি আপনি বা আমি বা সরকার কোন পদক্ষেপ নিই বা বিপক্ষে বলি তাহলে অবস্থা কি দাঁড়াবে বলুন। তাই আমাদের কে প্রথমে

১।তাদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
২।তাদের মাঝে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দিতে হবে।
৩।তাদের কে ভালো মন্দের পার্থক্য করার বিষয়ে জ্ঞানী করে তুলতে হবে।
৪।প্রকৃত /সহি ইসলাম কে তাদের সামনে দাড় করাতে হবে।

এবার দেখুন তারা আপনার কথা শুনবে।শুনছে না । প্রথমে প্রবল বিরোধীতার মুখে পড়বেন।ধৈর্য ধরুন ।তারপর দেখবেন আপনি সফল হচ্ছেন।আপনার প্রেরনা হবে আমাদের প্রিয় নবীজির মক্কা জীবনের কথা।যেখানে তারই গোত্রের লোক সুদীর্ঘ ১৩বছরে তাঁর কথা শুনেছে কতজন?শুধু তাই যেকয় জন তাঁর অনুসরন করেছে তাদেরকে মক্কা ছাড়তে হয়েছে।
তবে আপনাকেও সঠিক পথে থাকতে হবে।ইসলামকে নিজের মতো করে দাড় করালে আপনি কখনোই সফলতা পাবেন না।অমুক হুজুর কি বলেছে বা অমুখ আলেম বলেছে বা সবাই এটা পালন করে বা আমাদের সমাজে চলে আসছে বা আমার মনে হয় এই জাতীয় কথার কোন মূল্য নেই।

আপনার প্রতিটা কথা হতে হবে সুত্র/রেফারেন্স ভিত্তিক।আর রেফারেন্স হবে

১।কোরান এর কোন সুরার কত নং আয়াত।
২।কোরানের আয়াতে পূর্ণনা না পেলে সহযোগী/সাপোর্ট হিসাবে হাদিসের উদ্ধৃতি ।সেক্ষেত্রে কোন হাদিসের কত নং উল্লেখ করে দেবেন।
৩। যদি কোন ইজমা থাকে তাহলে উল্লেখ করুন তাঁর পটভূমি।কেন বা কিভাবে ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৪।যদি সমসাময়িক কোন বিষয়ে কিয়াস/বা ফতোয়া হয়ে থাকে তা উল্লেখ করুন। শুধু নিজের পক্ষে যেটা যাবে সেটা উল্লেখ করলে হবে না। অন্যদের টাও উল্লেখ প্রয়োজন।

এবার দেখুনতো সমাজ পরিবর্তন হয় কিনা? আমরা সত্যিকারে মুসলমান হয় কিনা। বিড়ি বাবা, গাজা বাবা, দড়ি বাবা, মহিশোয়ার,
আখেরাতের কাণ্ডারী বাবা থেকে মুক্তি পাই কিনা?

আসলে আমরা সবাই এক পীরের প্রশংসা করি তো অন্য পীরের নিন্দা করি। কিন্তু ইসলাম কি বলে সেটা জানিনা। তাইতো গলা উচিয়ে জোর গলায় বলতে চেষ্টা করি বিশ্বের সহি ইসলাম একমাত্র আমার পীরই লালন করে আর সর পীরের মুরিদ(পীরসহ) ভণ্ড,ফাসেক,মুরতাদ,কাফের ইত্যাদি ইত্যাদি।পীর ছাড়া মুক্তি নাই। আসুন ভাই আমার পীরের দলে। মুক্তি মিলবে আখিরাতে।
কিন্তু আপনি যদি জ্ঞানী বলে নিজেকে মনে করেন তাহলে একটু কষ্ট করবেন প্লীজ। বাংলাদেশের সকল পীরদের উৎপত্তির ইতিহাস একটু খোজ করে দেখবেন।বুঝতে পারবেন সবার ইতিহাস নিজের প্রতিষ্ঠার জন্য পীরত্ব-যেমনটা লালসালু উপন্যাসে মজিদ পীর। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য না।

তাই আসুননা ভাই আমরা ব্লগে লেখালেখির সাথে সাথে সত্যিকারের ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য ইসলাম জানার -বোঝার-মানার তৌফিক দান করুন।আমিন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমার এই গ্রুপ এবং পেজে যোগ দিন, বন্ধু বান্ধবদেরও যোগ দেয়ান।
https://www.facebook.com/groups/shottyanweshi/

https://www.facebook.com/shottyanweshi

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমার মতে সবকিছুর মুলেই অশিক্ষা , কুশিক্ষা ও অর্ধশিক্ষা । এক এক সরকার যতই % বাড়াক / দেখাক , আসলে কতজন সুশিক্ষিত হতে পেরেছে ? ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা কয়জনের আছে ! অমুকের কাছে জেনে তমুকের থেকে শুনেই আমরা মুসলিম ।


ভালো লিখেছেন । শুভেচ্ছা ।।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। যেকোন বিষয়েই আমাদের সুশিক্ষা প্রয়োজন। অর্ধশিক্ষা অথবা কুশিক্ষা যেকোন কিছুর জন্যই খারাপ।
ধন্যবাদ! :)

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: কিছু কঠিন সত্য আবারো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। কিন্তু তাতে কী, আমাদের দেশের মাজারে ভন্ড পীরের রাজত্ব চলছে চলবে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি প্রচার করতে থাকুন, একজনকে আপনি ফেরান, আমি একজনকে ফেরাবো ইন শা আল্লাহ!

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩০

নতুন বলেছেন: আমি আধবুড়ো লোকটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। বুদ্ধিহীন একটা মানুষের এইভাবে চুল পাকলো কিভাবে ভেবে পেলাম না।


এইরকমের অনেক আছে আমাদের দেশে...

বিঙ্গান আর যুক্তির শিক্ষা আমাদের দেশে দিতে হবে.... শুধু গোল্ডেন এ+ পাইতেছে আসল শিক্ষা হইতেছেনা...

আর এক ভন্ড কিন্তু কখনো আরেক ভন্ডের পেটে লাথি মারেনা...

তাই দেশের কোন দলই ভন্ডপীরের বিরুদ্ধে কথা বলেনা...

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমাদেরকেই আওয়াজ তুলতে হবে।

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১০

কোলড বলেছেন: An excellent post! Hats off to you.

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: খুবই দুঃজনক । ইমোশন দিয়ে ব্যবসা সবচেয়ে বড় ব্যবসায় । :(

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, তাই ইমোশনাল হবেন না। কিছুতেই না।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার চিন্তাধারার সাথে আমার চিন্তাধারা হুবহু মিলে যায় কেবল আমি আপনার মত তা গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারি না। আর আমাদের অর্থাৎ বাংগালীদের মধ্যে বোধহয় কোন জিনেটিক ত্রুটি আছে যার কারনে আমরা ইসলামের নামে এইসব ভন্ডামীর পিছনে ছুটে বেড়াই, শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই। হয়তো আমাদের পুর্বপুরুষেরা না জানার কারনে মাজারভক্ত ছিলেন সেটাই আমরা জানা সত্ত্বেও আমাদের জিনে বহন করে চলেছি।

তবে আশার কথা নতুন প্রজন্ম এইসব ভন্ডামীর বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে উঠেছে, আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে মাজারভক্তদের অধিকাংশ বিগত যৌবনা বা বয়স্ক।

পরিশেষে বলতে চাই আমার বাড়ী খুলনায় হলেও আমি একবারও বাগেরহাট মাজারে (খান জাহান আলী) যাই নাই (যদিও হজ্ করেছি)। যদি যাই তাহলে ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের জন্যে যেতে পারি।

১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকে বেশি মডার্ণ হতে গিয়ে নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে এবং বিপদে পড়লে এরাই মাজারে গিয়ে শির্ক করছে। :(

১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: আমি একবার সিলেট শাহ্ জালাল মাজারে গিয়েছিলাম, তখন যা দেখলাম পুরাই অস্থির । আমি ঘটনাক্রমে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঢুকলাম, কিন্তু বিধি বাম, দেখি টয়লেটের পানির লাইর স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পানির খোজে দেখলাম একস্থানে পানি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি বদনা পাচ (৫) টাকা করে। আমি এই অবস্থা দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, এইটা কোন র্ধমীয় স্থান বা মাজার ।
ভিতরে যা দেখলাম তা তো রিতিমত ক্রাইম, টাকা নেয়ার জন্য একদল লোক বসে আছে, তাদের ভাবখানা এমন যে টাকা না দিলে আপনি বিরাট পাপীলোক।
আর এক স্থানে মুরিদদের দেয়া কতগুলো ছাগল, ভেড়া, গরু জমানো আছে জবাইয়ের উদ্দেশে।
দেশের ১ নং মাজারে যদি হয় এই অবস্থা, বাকিগুলো.....!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.