নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে লেখা

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬

আমি সবসময়েই সিরিয়াস ও একটু সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে লিখি। এইসব বিষয় নিয়ে লিখতে আমার ভাল লাগে।
কোন একটি নির্দিষ্ট সাবজেক্টে নিজের ভাবনা দুই চারজনের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছে করে। সেই দুই চারজনও আমার ভাবনার ব্যপারে নিজেদের অভিমত নিজেদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকেই ব্যক্ত করেন। শালীন ভাষায় রচিত গঠনমূলক সমালোচনাকে আমি তাই সবসময়েই সাধুবাদ জানাই।
আমি জানি, আমি কোন নির্দিষ্ট ব্যপারে সব জেনেবুঝে বিরাট পন্ডিত হয়ে যাইনি। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাই খুশিই হই। এতে আমার নিজেরই জ্ঞান বাড়ে।
আবার আমার লেখায় কেউ ভুল বুঝে থাকলেও তাঁকে ভুল শুধরে দেই। দ্বিমুখী লেনদেন আর কি।
সমস্যা বাঁধে যখন আমি কারও "গঠনমূলক সমালোচনা" করতে যাই।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখি মানুষ রাগ করে ফেলেন।
আমি কিন্তু একজন পাঠক অথবা একজন দর্শক অথবা কেবল একজন মানুষ হিসেবেই আমার নিজের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে নিজের অভিমত ব্যক্ত করি। কাউকে ছোট করা, অপমানিত করার উদ্দেশ্যে কিছু বলিনা। আমার কাছে যেটা খারাপ মনে হয়, এবং আমি নিশ্চিত আরও এক হাজার মানুষের কাছেও ব্যপারটা খারাপই লাগে এবং তাঁরা সঙ্গত কারণেই মুখ ফুটে কিছু বলেন না, আমি সেসব বিষয়ই ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করি। কাউকে অপমান করাটা আমার উদ্দেশ্য থাকেনা, মোটেই না। বরং আমি চাই যাঁর ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি, তিনি যেন আরও পরিশুদ্ধ হয়ে উঠেন।
কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, তিনি যা বলেছেন অথবা করেছেন - তিনিই সঠিক।
আমি বিরাট অহংকারী, বিরাট মাতবর, নিজেকে পৃথিবীর সেরা পন্ডিত মনে করি - এবং সেই কারনেই তাঁকে লোকজনের সামনে ছোট করার উদ্দেশ্যে তাঁর আদর্শের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছি।
কাউকে কারও কুঅভ্যাস ধরিয়ে দিলে সে উল্টো তেড়ে এসে এমন সব কথা আমাকে বলে যার সাথে সাবজেক্টের বহুদূর পর্যন্ত কোন সম্পর্কই নাই।
যেমন ধরেন, এক লোক বউ পেটান। আমি বললাম, "ভাই বউয়ের গায়ে হাত তোলা ঠিক না।"
সে তখন রেগেমেগে বলে বসে, "তুমি এত কথা বলছো কেন? তুমি নিজে কতখানিই বা শুদ্ধ? তুমি নাটক করো, তুমি গানও শুনো! তুমি Off যাও!"
আরও মজা লাগে যখন দেখি তিনি আশেপাশে অনেক সমর্থকও পেয়ে যান!
"ঠিকই বলেছিস! বেশিই মাতবরি করে। একদম উচিৎ কাজ করেছিস!"
আমি তখন কিছুদিনের জন্য চুপ হয়ে যাই।
ছোটবেলায় একটা বাংলা প্রবাদ খুব শোনা হতো, "আমি কই কী, আর আমার সারিন্দা বাজায় কী!" - প্রবাদটি এইখানে ঠিকঠাক ফিট করে।
এইরকম উদাহরণ আরও প্রচুর আছে, এখন দিলে আরও মারামারি লেগে যেতে পারে। আপাতত বাদ দেই।
তবে অন্যের উদাহরণ দিতেই পারি।
কিছুদিন আগে আমাদের ফেসবুকের গ্রুপ ক্যানভাসের একজন লেখক (নাম না হয় নাই বললাম) বাংলাদেশের একটা সামাজিক কুপ্রথা নিয়ে একটা চমৎকার আর্টিকেল লিখেছিল - এক পাঠক, যে কিনা আবার তাঁরই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় (তাঁরও নাম বললাম না একই কারণে) ভেবে বসলেন কথাটা বুঝিবা তাঁকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। কারণ লেখার সাবজেক্ট একেবারে হুবহু তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সাথে মিলে যায়!
ব্যস, আর যায় কই! লেগে গেল যুদ্ধ। বারো হাত কাকুড়ের তের হাত বিচির মতন সমালোচনামূলক মন্তব্যটির সাইজ হয়ে গেল আর্টিক্যালের চেয়েও কয়েকগুন বড়!
বেচারা লেখক সেটা ডিফেন্ড করতে আবার কিছু লিখে। জবাবে আরেকটা দীর্ঘ রচনা তাঁকে পড়তে হয়। এবং তাঁকেও কিছু একটা লিখে জবাব দিতে হয়।
দীর্ঘ কথোপকথনের ব্যপারটি ক্যানভাসে ঘটেনি। ঘটেছে তাঁদের ইনবক্সে। তাই বাঁচোয়া!
বেচারা! মন খারাপ করে বলছিল, "বিশ্বাস করো, আমি কিন্তু তাঁকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখিনি।"
আমি আবার এই ব্যপারে ভ্যাটেরান হয়ে গেছি। প্রায় প্রতিটা লেখাতেই এমন কিছু আমার সাথে ঘটে কিনা!
তাঁকে সান্তনা দিতে বললাম, "চোরের মনেই পুলিশ পুলিশ থাকে। তুমি একটা সোস্যাল ইস্যু নিয়ে লিখবে, দেখবে হাজারো মানুষের সাথে সেটা মিলে যাবে। এখন এইটা তাঁদের (Individual human being) উপর, তাঁরা কী তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে নিজেদের শুধরাতে চেষ্টা করবে, নাকি চোখ বন্ধ করে তোমার সাথে মারামারি বাঁধিয়ে দিবে।"
এইটা একটা ফ্যাক্ট। আমি যদি লিখি, "মিথ্যা বলা, সেটা ছোট-বড় যাই হোক না কেন, অবশ্যই পাপ! এবং যেই মিথ্যা বলেন, তিনিই পাপী!"
আমি জানি, ৯০% মানুষের জীবনের সাথে কথাটা মিলে যাবে। ছোট বড় মিথ্যাতো আমরা হরহামেশাই বলি। তার মানে "মঞ্জুর চৌধুরী আমাদের পাপী বলেছে! ধর শালারে! অমুকের পুত! মর তুই!"
একটা ফিলোসফির কথা বলে শেষ করা যাক।
সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা জরুরী কেন জানেন? কারণ এর সুফল আপনার জীবনে আসবেই। তেমনি অন্যায় যদি প্রশ্রয় পেতে থাকে, তবে এর কুপ্রভাবটাও আপনি এড়াতে পারবেন না।
ছোট একটা উদাহরণ দেই। বাংলাদেশ আর অ্যামেরিকার দিকে তাকান। অ্যামেরিকা ছবির মতন সুন্দর একটা দেশ। রাস্তাঘাট ঝকঝক করে, কোথাও এতটুকু গর্ত নজরে পড়ে না। কোথাও কোন অনিয়ম নেই।
কেন জানেন? সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গভীর রাতে নির্জন সড়কে রেড লাইট সিগনালে মানুষ গাড়ি থামিয়ে গ্রীন সিগনালের জন্য অপেক্ষা করে। স্পিডিংয়ের জন্য পুলিশ যখন গাড়ি থামিয়ে জরিমানা দেয়, তখন যদি কোন আহাম্মক বলে, "এই নেন একশো ডলার, আর ব্যপারটার এখানেই মিমাংসা করেন।" তাহলে ঐ অফিসার নিশ্চিত করবেন যে বেকুবটার রাত যেন জেল হাজতে কাটে।
এখন আমরা দেশীয় জনতা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে যেখানে সেখানে ময়লার বস্তা ফেলতে ফেলতে, থুথু এবং পানের পিক ছিটাতে ছিটাতে বলবো, "এই নোংরা দেশে কী থাকা সম্ভব?" - তাহলে কিভাবে চলবে?
অথবা যখন বীনা লাইসেন্সে গাড়ি চালানোর জন্য ট্রাফিক "মামাকে" একশো টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে বলবো "এইবারের মতন মাফ করে দিন" এবং এরপরে বড় গলায় বলবো, "দেশে কি কোন কাজ হয়? সব শালা ঘুষখোর!"
কখনও কী একবারের জন্যও ভাবি, আমরাই কী পুলিশকে ঘুষখোর বানাইনি?
এখন অনেকেই গলার স্বর চিকন করে বলবেন, "ওরাই বা কী করবে বলো? ওদের বেতন কম, সংসার চালাতে হয়। শহরে বাড়ির ভাড়া কত বেশি! বাজারে দ্রব্যমূল্য কত্ত বেশি! মানুষকে বাঁচতেতো হবে!"
This is bull shit! ষাঁড়ের গু! যদিও "মানুষের পায়খানা" বলা উচিৎ ছিল এইসব যুক্তিকে। এইসব যুক্তি, মমতা খুবই ফালতু ব্যপার।
বেতন কম জেনেই এরা সরকারী কাজে জয়েন করেন। ঘটনা এমন না যে আপনি ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে কাজ শুরু করলেন এবং প্রথম মাসের বেতন নিতে গিয়ে ক্যাশিয়ার চোখ বড় বড় করে জানালো, "সারপ্রাইজ! তোমার বেতন আসলে এতই কম!"
আপনার যদি বেশি টাকা কামাতে ইচ্ছে থাকে, তবে অবশ্যই আপনার প্রাইভেট লাইনে চেষ্টা করা উচিৎ। যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকে, তাহলে মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। টাকা কামাবার জন্য আপনাকে পুলিশে আসতে কে বলেছে? সরকারী যে বেনেফিট পাচ্ছেন, সেটাই বা নিচ্ছেন কেন?
আমি এক এসপির ছেলেকে চিনতাম, যার এক জন্মদিনে তার পিতা তার শোবার ঘরে এয়ার কন্ডিশনার গিফট করেছিল, এরপরের জন্মদিনে ছেলে গিফট পেল একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার (তখনকার দিনে বিগ ডিল!) এবং এর পরের জন্মদিনে একটি গাড়ি!
আমার প্রশ্ন ছিল, একজন এস.পি সাহেবের বার্ষিক বেতন কত?
বিপরীত চিত্রও চোখে পড়েছে। একজন কাস্টমস সুপারের বাড়িতে বেড়াতে গেলে অতিথিকে কেবল চা এবং বেলা বিস্কিট পরিবেশন করা হতো। এর বেশি তাঁরা afford করতে পারতেন না। তাঁর জুনিয়র অফিসারদের শহরে চার পাঁচতলা করে চার পাঁচটা বাড়ি ছিল, তিনি বেচারা সরকারী কোয়ার্টারে অথবা ভাড়া করা বাড়িতে কোনরকমে থাকতেন।
কাকে এসপি "সাহেব" আর কাকে "চোর" ডাকতে ইচ্ছে করে আপনারাই বলেন!
যেকোন ধরনের অন্যায়কে কোনরকম সিম্প্যাথি দিয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করবেন না। কোনভাবেই না। এর কনসিকোয়েন্স সবসময়েই খারাপের দিকেই যায়।
বীনা লাইসেন্সে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে কেউ মানুষকে দুই টুকরা করে ফেলার পরে আমরা ফেসবুকে কিছুদিন অনেক হাউকাউ করে পরে ভুলে যাই। পুলিশের বড়কর্তার ছেলের ঘটনাই উদাহরণ। কী হয়েছে সেই বদমাইশটার? কেউ আপডেট দিবেন?
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া একটা মেয়েকে দেখে বাজে কমেন্ট করা ছেলেদের আমরা ইচ্ছে করেই ছেড়ে দেই। "আমার পরিচিত কোন মেয়েকেতো কমেন্ট করেনি, আমার কী?"
কালকে আপনার বোনকে যখন কেউ রেপ করে ফেলে, তখন আপনি হাউমাউ করতে থাকেন, "আমি বিচার চাই! আমি বিচার চাই!"
এই অপরাধের পিছনে আপনিও দায়ী।
আমাদের এক স্যার ছিলেন, জটিল জটিল থিওরির উপর লেকচার শেষে আমাদের দিকে ফিরে বলতেন, "বুঝাইতে পারছি?"
না বুঝলে আমরা প্রশ্ন করতাম, তিনি আবার বুঝাতেন, আরও ডিটেইলে, এবং শেষে আবারও বলতেন, "বুঝাইতে পারছি?"
তাঁর মতই লম্বা একটা লেকচার শেষে জিজ্ঞেস করছি, "বুঝাইতে পারছি?"

https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

খেলাঘর বলেছেন:


অর্থহীন বকবক

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বী, আপনি যদি দয়া করে অর্থবহ কিছু কথা বলা শিখিয়ে দিতেন, তাহলে উপকৃত হতাম। :)

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন +

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.