নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা হাবিয়া দোযখের ইন্ধন হোক

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২২

"পেশোয়ারে কী হয়েছে দেখেছিস?"
"হুম, শুনে খুব খারাপ লাগলো।"
"দিনটা খেয়াল কর, ষোলই ডিসেম্বর! অভিশাপ, বুঝলি? সবই অভিশাপের ফল! একটি অভিশপ্ত জাতিরতো এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক।"
আমি এইসব মন্তব্যে সাধারণত চুপ থাকি। দূর্বলের অভিশাপ যে মারাত্মক হয়ে থাকে, সেটা আমি সত্যিই বিশ্বাস করি। তবে আল্লাহ কোনটাকে শাস্তি হিসেবে দিচ্ছেন, সেটা না জেনে মন্তব্য করা ঠিক না।
তেতাল্লিশ বছর আগে তারা আমাদের মেরেছে মাঠে ঘাটে ময়দানে বিলে খালে নদীতে শোবার ঘরের বিছানার নিচ থেকে বের করে এনে।
তাদের 'কল্যানে' শকুনেরও তখন নরমাংসে অরুচি ধরেছিল। শিয়াল-কুকুরের সাথে লড়ে স্বজনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে হয়েছিল।
গণকবরের ভিড়ে ছেলে চিনতে পারেনি বাবাকে, স্বামীকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন স্ত্রী।
বর্বর নির্যাতনের শিকার নারী যখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর জন্য ভিক্ষা করছিল, তখন পাশবিক উল্লাসে ফেটে পড়েছিল তারা।
মায়ের কোল থেকে সন্তানকে নিয়ে হত্যা করেছে এরা। ছেলের সামনে ধর্ষণ করেছে মাকে।
তারা অভিশপ্ত হবেনা তো কারা হবে?
কিন্তু পেশোয়ারের এই গণহত্যা সেই অভিশাপের ফল - এইটা আমি মানতে পারছি না। শিশুরা বেহেস্তের ফুল হয়ে থাকে, তাঁদের কোন পাপ স্পর্শ করেনা। তাঁরা কেন পূর্বপুরুষের কৃতকর্মের জন্য অভিশপ্ত হবে? আর তাছাড়া, যিনি বিচার দিনের মালিক, ন্যায় বিচারক, তিনি কখনই একের অপরাধে অন্যকে শাস্তি দিবেন না।
ওরাও আমাদের মতই বর্বরতার শিকার।
শতাধিক শিশুর বুকে গুলি চালিয়ে বিরাট "বীর" বনে যাওয়া একেকটা তালিবানকে যেন আল্লাহ হাবিয়া দোযখের ইন্ধন বানান। দূষিত রক্ত আর পুঁজের সাগরে তারা যেন হাবুডুবু খায়, তবুও তাদের যেন মৃত্যু না ঘটে। কাঁটাওয়ালা যাক্কুম গাছের ফল হোক তাদের খাদ্য, এবং দুর্গন্ধময়, আবর্জনায় ঠাসা টগবগে গরম পানি হোক তাদের পানীয়। জাহান্নামের নিকৃষ্টতম স্থানে, ইবলিস শয়তানের সাথেই যেন তাদের স্থান হয়!
আর তাদের যারা সাপোর্ট (বাংলাদেশে অনেকেই আছেন যারা তালিবানদের জন্য সহমর্মী) করছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, আল্লাহ বলেছেন, "যদি কেউ একজন নির্দোষ মানুষকে হত্যা করলো, সে যেন গোটা মানবজাতিকেই হত্যা করলো।"
খেয়াল করে দেখুন, আল্লাহ "মানুষ" শব্দটা ব্যবহার করেছেন, তিনি বলেননি সেটা "মুসলিম।" মানে হচ্ছে সে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান, পুরুষ নারী হিজড়া যে কেউ হতে পারে। মানুষ হত্যার চেয়ে জঘন্য অপরাধ পৃথিবীতে আর নেই। ফুলস্টপ! এর পরে আর কোন কথা নেই।
কেউ কেউ বলতে পারেন, "ওদের উপর হামলা হয় বলেই ওরা বদলা নিয়েছে।"
নবীজি (সঃ) বলেন পিতার অপরাধে পুত্র, অথবা পুত্রের অপরাধে পিতা দোষী হতে পারেন না। যার যার অপরাধের শাস্তি, তাকেই পেতে হবে।
এখন বলেন, সেনাবাহিনী তাদের ঘাঁটি আক্রমণ করেছে, এই প্রতিবাদে তারা স্কুলে হামলা করেছে - কতটা যৌক্তিক শোনায়? লজ্জাস্থান ঢাকতেই আমরা কাপড় পড়ি। কাপুরুষগুলা নিজেদের কাপুরুষতা ঢাকতেই ইসলামকে ব্যবহার করছে। তাদের দৌড় ঐ নিরস্ত্র সিভিলিয়ান মারা পর্যন্তই।
এদের ধরে ধরে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে মারলেও ন্যায় বিচার করা হবেনা।
এদের লাশ বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে টুকরো টুকরো করে, চোখ উপড়ে, জিহ্বা কেটে, কলিজা বের করে এনে তপ্ত বালুর মরুভূমিতে ফুটবল খেললেও এদের যথেষ্ট শাস্তি হবেনা।
এরা শুধু শিশু হত্যাই করেনি, ইসলামী লেবাস পড়ে শয়তানের কাজ করেছে।
এমনকি ইবলিসও স্বজাতি হত্যার মত এত জঘন্য পাপ করেনি। এরা ইবলিসেরও অধম! নরকের কীট।
এরা যদি সঠিক পথে না আসে, যার সুযোগ নেই বললেই চলে, তবে এরা ধ্বংস হোক!
এদের জন্য কোনই দয়া দেখানো উচিৎ না। কোন সহমর্মিতা নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

তোমোদাচি বলেছেন: নিন্দা জানানোর ভাষা নেই; ধংশ হোক মানুষরূপী এই পশুগুলো

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: সহমত।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.