নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরেকটা মেয়ের চড় খাওয়া ভিডিও

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯

ঢাকা শহরের এখনকার হরতালে গাড়ি, বাস নির্বিঘ্নে চলাচল করে। মাঝে মাঝে দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় গাড়ী ভাংচুর হয়। তবে সেটাও শতাংশে এতই নগন্য যে ইগনোরেবল।
একদিন মৌচাক মার্কেটের সামনে পিকেটাররা পুলিশের অনুপস্থিতিতে হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে একটা বেবি ট্যাক্সি উল্টে ফেলল। এইটা দেখে মাঠের মধ্যে ক্রিকেট খেলা বাদ দিয়ে সেই ছেলের দল দৌড়ে এসে বেবি ট্যাক্সিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব নিয়ে আবার মাঠে গিয়ে খেলতে শুরু করে দিল। নিজের চোখে দেখা।
মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে দিয়ে গাড়ি চড়ে যাচ্ছি। হঠাৎ রাস্তার জনতা ক্ষেপে উঠলো। সমানে গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঘটনা কী? স্টকের দাম পড়ে গেছে, তাই গাড়ি ভাংচুর হচ্ছে।
আমার বন্ধু ভাল ড্রাইভার ছিল। হলিউড স্টাইলে গাড়ি ঘুরিয়ে, ভিড় ঠেলে সে নিজের গাড়িকে অক্ষত অবস্থায় বের করে আনতে পেরেছিল। তারপর বলল, "আল্লাহ বাঁচাইছে!"
আমার বন্ধুর কাছে তাঁর প্রথম ভালবাসা ছিল তাঁর গাড়ি। একটা স্ক্র্যাচও যদি পড়তো, তাহলেও বন্ধু সেখানেই মারা যেত।
তাই আমিও বললাম, "আল্লাহ বাঁচাইছেন!"
একবার আমার উপর একদল ছেলে আক্রমণ করেছিল। "কিশোর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাথে প্রেম বিষয়ক জেলাসি" নিয়ে এক ছেলে কয়েকটা বখাটে তরুণকে দিয়ে আমার উপর আক্রমণ করেছিল। মৌচাক মার্কেটের মতন একটি ব্যস্ত এলাকায় আটটা ছেলে মিলে দুইজনকে (আমার সাথে আরেকজনও ছিল, ঘটনার শিকার বেচারা) আক্রমণ করেছে, একটা মানুষও এগিয়ে এলো না সাহায্যের জন্য।
বিশ্বজিতের ঘটনা সবাই জানেন। ছয়জন মিলে একটা তরুণ যুবককে কুপিয়ে হত্যা করলো, কেউ কিছু বলল না। পঞ্চাশজন মিলে শুধু হেঁটে গেলেই ঐ ছয় খুনীর পদপিষ্ট হয়ে পরপারে চলে যাবার কথা। বিশজন মিলে স্রেফ ধমক দিলেই সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ফেলে দেয়ার কথা। কেউ এগিয়ে এলো না! অথচ গাড়ি ভাংচুরের সময়ে কেন জানি বাঙ্গালির অভাব হয়না।
কিছুদিন আগে এক নারীকে ছিনতাই কারীরা টেনে হেঁচরে নিয়ে গেছে বহুদূর। সেই নারী কী এখনও বেঁচে আছেন কিনা জানিনা। অথচ একটা মানুষও এগিয়ে এলো না গাড়িটা থামাতে। ইচ্ছা করলেই সমবেত জনতা গাড়ি থামিয়ে বদমাইশগুলোকে বের করে এনে গাড়ির পেছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঢাকা শহরে হেঁচড়ে হিচড়ে চক্কর দিতে পারতো।
গতকাল এক আপু আমাকে একটা ভিডিও ক্লিপ দেখালেন। একদল ছেলে এক মেয়ের রিকশা থামিয়ে ঠাশ ঠাশ করে চড় মারছে মেয়েটিকে। কিছুদিন আগে এক স্কুল পড়ুয়া ছেলে এই কাজটি করেছিল। এবারের ছেলেটি যুবক। কিছুদিন পরে হয়তো বেরুবে কোন মধ্য বয়ষ্ক পুরুষ কোন নারীকে চড় থাপ্পড় মারছে।
ভিডিওতে এও দেখা গেল যে কেউই মেয়েটির সাহায্যে এগিয়ে এলো না।
এখন কেউ কেউ মুখ বাঁকিয়ে বলতে পারেন, "রাস্তাটা নির্জন ছিল।"
দেড় কোটি মানুষের ঢাকা শহরে 'নির্জন রাস্তার' অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করিনা। আসল কথা, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বীরত্বের দৌড় ঐ নিরীহ গাড়ি ভাংচুর করা পর্যন্তই। আসল কাজের সময়েই আমরা সটকে পড়ি, অথবা লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিও করি। ফেসবুকে শেয়ার করি।
এখন আসি নিজের জীবনের একটা ঘটনায়।
আমি এবং আমার অতি কাছের এক বন্ধু একবার ধানমন্ডি এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। আমরা তখন মাত্রই ঢাকা শহরে পড়তে এসেছি। আগে বহুবার আসা যাওয়ার ফলে আমার বেশ কিছু বন্ধু (ফুপাতো ভাই তারেকের থ্রুতে, যদিও সবাই স্কুল পড়ুয়া) থাকলেও বন্ধুর জন্য শহর একেবারেই নতুন।
আমাদের সামনের রাস্তা দিয়ে একটি তরুণী রিকশায় চেপে চলে গেল। রিকশায় মেয়ে দেখলে তরুণেরা এমনিতেই উঁকি ঝুঁকি দেয়। তরুণীরাও তরুণদের দিকে একই আগ্রহে তাকান।
আমাদের চোখাচোখি হলো। তারপর আমরাও চোখ সরিয়ে নিলাম, মেয়েটিও হয়তো তাই করলো, চোখ সরিয়ে নেয়ায় দেখা হয়নি।
একটু সামনে যেতেই মোটর সাইকেলে করে দুইজন ছেলে রিকশা ব্লক করে তরুণীর দিকে এগিয়ে গেল। ছেলেগুলোর চলার ভঙ্গি ভাল ঠেকলো না। আমরা তাকিয়ে রইলাম।
ছেলে দুইটা এমনভাবে কথা বলছিল, বোঝাই যাচ্ছিল মেয়েটির সাহায্য প্রয়োজন।
আমরা দুইজন এগিয়ে গেলাম।
"কোন সমস্যা?"
আমার প্রশ্নে ছেলেদের একজন উত্তর দিল "আপনার কী? আপনে ফুটেন!"
আমি তখন ছেলেটাকে একবার দেখে নিলাম। আধুনিক পাংকু পোলাপান যেমন হয় আর কি। সন্ত্রাসী ফন্ত্রাসী কিছু না। এদের দৌড় মুখ পর্যন্তই। খুব বিশ্রী বিশ্রী গালাগালি করবে, এবং বলবে, "চিনোস আমারে?"
আমি এবং ইকবাল তখন এমন ভাব নিলাম যেন আমরাও এলাকার বিরাট রংবাজ।
আমাদের চেহারাও আমাদের সাহায্য করলো। গাল ছিল গাঁজাখোরদের মতন ভাঙ্গা। ডালখোরদের মতন শরীর ছিল চিকন। নিয়মিত বেয়ামের ফলে হাতের রগ থাকতো ফোলাফোলা এবং পেটা হাতের মাসল। গেটআপ ছিল বঙ্গ থেকে কেনা ফেডেড ব্যাগি জিন্স, এবং গেঞ্জির উপরে শার্টের সব কটা বোতাম খোলা।
বডি ল্যাংগুয়েজ এমন করলাম যেন ওরা মনে করে আমাদের কোমরে "মেশিন" গোজা আছে। প্রয়োজনে বের করতে সময় লাগবে না।
আমি ছেলেটির দিকে তাকিয়ে 'এলাকার বড় ভাইদের' মতন বললাম, "তোমারেতো জিগাই নাই, তুমি কথা কইতাছো ক্যান?" এরপর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললাম, "কোন সমস্যা?"
আমাদের এই কনফিডেন্ট গলার স্বরে কাজ হলো। ছেলে দুইটা মোটামুটি ভরকে গেল।
যদিও আমাদের দুইজনেরই বুক ভয়ে দরাস দরাস করছে। জানিনা ছেলে দুইটার ব্যাকগ্রাউন্ড কী! স্থানীয় ছেলে হলে আমাদের খবর আছে। আর ওদের কাছেও যদি কোন 'মেশিন' থাকে তাইলেতো কথাই নাই!
কিন্তু চেহারায় এমন ভাব ধরে রাখলাম যেন তাদের পেটানোর জন্য আমাদের হাত নিশপিশ করছে।
এবারে মেয়েটাও একটু সাহস পেল। বলল, "ওরা আমার সাথে জোর করার চেষ্টা করছে।"
আমার সাথের বন্ধু রিকশাওয়ালাকে বলল, "সোজা টাইনা চইলা যাও। কোন থামাথামি নাই। আর পিছন ফিরাও দেখবা না। যাও!"
যে ছেলেটি বাইক চালাচ্ছিল সে ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, আমি গিয়ে এক লাথি দিয়ে স্ট্যান্ডে রাখা বাইক রাস্তায় ফেলে দিলাম। তারপর তার কাছে এসে তার বুক পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে এনে একটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে কামড়ে ধরলাম। তবে ধরালাম না। ধরালেই বুঝে যেতে পারে আমি ধূমপান করিনা।
অ্যাকশনে কাজ হলো, ওরা একটাও শব্দ করলো না।
রিকশা গলির মোড়ে হারিয়ে গেল। আমি একটা ছেলের গালে মৃদু চাপড় দিয়ে বললাম, "আর যেন কখনই এমন করতে না শুনি। ভাল হয়া চলবা, ঠিক আছে?"
ছেলেটা কিছু বলল না।
আমরা আস্তে আস্তে সরে এলাম। আমাদের বুক তখন উত্তেজনায় লাফাচ্ছে। এই ধরণের কাজ জীবনেও করিনি। ওরা যদি ফোন করে ওদের কাউকে ডাকে আমরা তখনই শেষ। তবু মুখে ভাব নিলাম যেন কালা জাহাঙ্গীরকে ডাকতে আমাদের ফোন করাও লাগবে না, এমনিতেই হাজির হয়ে যাবে।
ছেলেগুলো সরে যেতেই আমরাও বাসে চেপে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করলাম।
মোরাল অফ দ্য স্টোরি: চোখের সামনে অন্যায় হতে দেখলে আপনি আওয়াজ তুলুন। যে অপরাধ করছে, সে এমনিতেই অপরাধবোধের কারণেই দূর্বল থাকবে। আপনাকে শুধু সবল হতে হবে।
আপনিই পারেন একটা মেয়েকে একটা বেজন্মার চড় খাওয়া ভিডিও বন্ধ করতে। আপনাকে শুধু একটু সাহস করে দাঁড়িয়ে গেলেই চলবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:


ঢাকায় অমানুষ থাকে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দুঃখজনক। :(

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৭

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: সর্বত্রই অমানুষ থাকে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আরও দুঃখজনক। :(

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৮

ব্লগার শান্ত বলেছেন: সাহসই সব ……………

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৮

রাফা বলেছেন: সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলার জন্যই আজকের এই অবস্থা।
আমরা একটুও চিন্তা করিনা এরকম বিপদ আমার বোনেরও হোতে পারে।
আমি ও হোতে পারি এর শিকার।
ধন্যবাদ,আপনাদের তাৎক্ষনিক বুদ্ধি ও সাহসের জন্য।জিবন তো একটাই ভালো কাজের জন্য নিবেদিত থাকতে পারলে অসুবিধা কি...!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। একজন একজন করে পার পেতে পেতেই তারা এখানে পৌছেছে।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলার জন্যই আজকের এই অবস্থা।
আমরা একটুও চিন্তা করিনা এরকম বিপদ আমার বোনেরও হোতে পারে।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
প্রিয় লেখক আপনার প্রতি সুভেচ্ছা রইল ।
আমি বিদেশে থাকি এবার ঢাকায় গিয়ে এ ধরনের বিরম্বনায় পরেছি । গায় ভাল জামাকাপড় ও ভদ্র চেহারা দেখলে শুয়াররা আরো সুবিধা পায় । কিন্তু কেহ আগাইয়া আসে না । নিরপেক্ষ সত্য একটি উক্তি করতে যা খুবই দুখজ্জনক ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৯

মেংগো পিপোল বলেছেন: সত্যিবলতে কি- অবস্হা দিন দিন আরো খারাপ হবে। মেয়েদের গালে চড় মারার যে প্রবনতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আরো কিছু ঘটনা ঘটবে, আশা করা যায় এবং বোধ করি বড় ধরনের কোন ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত সেটা থামবেও না। কিন্তু কেনো এমন হলো? হঠাৎ মেয়েদের সাথে প্রকাশ্যে কেনো এমন হবে? এটা অতি নারী জাগরন এবং অতি নারী স্বাধীনতা চাওয়ার একটা সাইডইফেক্ট নাতো? নারী স্বাধীনতার নামে যেভাবে নারীকে পুরুষের প্রতিযোগী বানিয়ে দেয়া হচ্ছে অথবা বলা যায় শত্রু বানানো হচ্ছে, তাতে কি আমরা নারী বিদ্বেসী হয়ে যাচ্ছি কিনা, সেটাও ভাববার বিষয়। আমি এই অল্প সময়ে একটা বিষয় দেখেছি ভারতে যা ঘটে তার একটা চেইন রিয়্যাকশন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে বাসে ধর্ষন হবার দের মাসের মাথায় আমাদের দেশেও সেই ঘটনা ঘটেছে। কথাটা কেনো বললাম- কিছুদিন আগে দেখলাম ভারতে নারীরা প্রচন্ড প্রতাপের সাথে পুরুষ পেটাচ্ছে, এবং সেই নারী দের পুরুষ্কারও দেয়া হচ্ছে, এখন আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে তার বিপরীত প্রতিকৃয়া। আপনি যেভাবে বললেন, আমাদের সামনের রাস্তা দিয়ে একটি তরুণী রিকশায় চেপে চলে গেল। রিকশায় মেয়ে দেখলে তরুণেরা এমনিতেই উঁকি ঝুঁকি দেয়। তরুণীরাও তরুণদের দিকে একই আগ্রহে তাকান।

ঠিক এই লাইনাটার মতনই ছেলেরা যেভাবে মেয়েদের টিজ করে কিছু সংক্ষক মেয়েরাও ছেলেদের টিজ করে। এখন ছেলেটা টিজ করলে যদি ছ্যাচা খায়। মেয়ে টিজ করলে কেনো খাবেনা? এই ধরনের একটা প্রশ্ন বোধকরি ছেলেদের মাথায় ঘোর পাক খাওয়া আরম্ভ হয়ে গেছে।

আর একটু সহজ করতে চাইলে রুবেল হোসেনের উদহারনটা দেয়া যায়, রুবেলের গর্লফ্রেন্ড মামলার এজাহারে বলেছিলো, বিয়ের প্রলভন দিয়ে তাকে বিছানায়া নেয়া হয়েছে। অতচ বিবাহ বহির্ভুত যৌন মিলন অবৈধ, সেখানে বিয়ের প্রস্তাবেই কেনো ঐ নারী যৌনি মিলন করলো? সেটার ব্যাপারে কেউ কথা বলছেনা কেনো? এতে কি ঐ নারী কে আস্কারা দেওয়া হচ্ছে না?

আমি একটা ছোট ঘটনা বলি, বাসে বসে আছি, মতিঝিল যাবো। বাসের মধ্যে ঠাসা ঠাসি মাত্রার ভিড়। তিন জন নারী উঠেল বাসে ভিড়ের মধ্যে, হঠাৎ এক ছেলের কর্লার ধরে বলল এই বাস থামা, এই পোলা আমার গায়ে হাত দিছে। অতি সাধারন ভাবে আমি ঐ নারীর পক্ষ নিলাম এবং হাতের কাছে থাকলে হয়তো কিন্চীত থাব্রাও দিতাম ছেলেটাকে। বাস থেমে গেলো মহিলারা ছেলেটাকে টেনে নামিয়ে নিলো বাসথেকে অন্যান্য পুরুষেরাও ছেলেটাকে হারামি বদমাইশ বলে সম্বোধন করতে লাগলো। আমি নামলাম পিছন পিছন। দেখলাম একজন নারী ছেলেটা কে চড়াচ্ছে আর একজন ছেলেটার পকেট হাতারাচ্ছে আর একজন ইভটিজার ইভটিজার বলে চেচাচ্ছে। আমি কেবল মনে মনে সরি বলে, ছেলেটাকে না বাচিয়ে উল্টা হাটা দিলাম। কে চায় বলুন নারী ও শিশু আইনে মামলা খেতে।

নারী দের অধিকারের দরকার অবস্যই আছে। তবে অতি অধিকারে সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। সব শেষে বাংলা সিনেমার শেষ ডায়লগটা লিখি,

"আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।"

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.