নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ধরনের মহিলাদের মুখের উপর জুতা পেটা না করা পর্যন্ত এরা ঠিক হবে না।

০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৩:২১

গতকালকের কথার জের ধরে আজকের কথা শুরু করা যাক।
"ভাবি! আমার ভাইয়ের ছেলেতো এপ্লাস পেয়েছে, আপনার ছেলে কেন পেল না?"
ভাবির তখন কষ্টে কলিজা ফেটে যায়। তিনি মহিলাকে কিছু বলতে পারেননা, তবে সেই রাগ নিজের ছেলের উপর ঝাড়েন।
"আজকে তোর জন্য আমাকে এই কথা শুনতে হলো!"
ঠাস! ঠাস!! ঠাস!!! (চড়ের শব্দ।)
ডাব্বা মারা ছেলেদের বাবারা আরেক ডিগ্রী উপরে। তাঁরা বিপুল উৎসাহে পেটাবেন, সেই সাথে ছেলের প্রিয় কিছু, সেটা ক্রিকেটের ব্যাট থেকে শুরু করে গিটার পর্যন্ত যেকোন কিছু হতে পারে, এমনকি কোথাও কোথাও ডিএসএলআর ক্যামেরা বা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদিও ভাংচুর করবেন।
ফলে ছেলেমেয়ে ভাবতে শুরু করে তাঁদের বাবা মা তাঁদের শত্রু। শুরু হয় ডিপ্রেশন, ড্রাগস এবং পরবর্তিতে সুইসাইড। বাচ্চাদের 'উচ্ছন্নে' যাবার কষ্টে মা বাবার মনেও সুখ নেই। ব্যস, ধ্বংশ হয়ে গেল এককালের সুখী পরিবার!
পয়েন্ট টু বি নোটেড, এবং বোল্ড ক্যারেক্টার দিয়ে নোট্ করা হোক, যে শুভাকাংখী আন্টির কথা শুনে নিজের পরিবারের সর্বনাশ করে ফেললেন, তার কিন্তু এতে কিছুই আসলো গেল না।
এ কথা সত্য যে, সন্তান মানুষ করতে মা বাবার শাসনের বিকল্প নেই। যে সন্তান মায়ের চড় খায় না, সে সন্তান মানুষ হয় না। পরীক্ষিত সত্য। তাই পড়ালেখায় খারাপ করলে ওদের কোলে তুলে আদর করারও কিছু নাই। কিন্তু ভুল শাসনের ফলে ছেলে মেয়ের মনে যে জেদ তৈরী হয়, সেটাই আপনার সন্তানকে বিগড়ে দিতে যথেষ্ট।
ভুল শাসন বলতে আমি কী বুঝাচ্ছি সেটা আগে পরিষ্কার করে নেই।
আমার পড়ালেখা যাতে ভাল হয়, সেজন্য আমার বাবা মা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। বাবা দিন রাত পরিশ্রম করেন, মা আমাদের পেছনে লেগে থাকেন। নিজেদের শখের কিছু না কিনে প্রতি মাসে আমাদের প্রাইভেট টিউটরের পেছনে টাকা ব্যয় করেন। এবং দিন শেষে যখন দেখেন আমি পরীক্ষায় ডিম পারছি, তখন তাঁদের দুঃখিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই মনঃকষ্টে তাঁরা যদি আমাকে দুই চারটা চড় থাপ্পর মারেন, আমি কিছুই মনে করবো না। উল্টা তাঁদের দুঃখ দূর করার জন্য দ্বিগুন উৎসাহে পড়তে বসবো।
এখন মা যদি এই জেদে আমাকে মারেন যে পাশের বাড়ির আন্টির ভাইয়ের ছেলের মতন কেন "ভাল" রেজাল্ট করলাম না, বা বাবার অফিসের কলিগের মেয়ে কেন আমার চেয়ে বেশি নম্বর পেল, তাহলে আমার মনে জেদ আসাটা কী স্বাভাবিক না? আমি কী অন্যের মা বাবার সাথে তাঁদের তুলনা করি? তাহলে আমাকে কেন অন্যের সাথে তোলা হবে?
পাশের বাড়ির যে আন্টিটি রসিয়ে রসিয়ে আমার মায়ের কান ভারী করছে, সেই আন্টির নিজের পরিবারের অবস্থা একটু দেখুন। হয়তো তার নিজের ছেলে ড্রাগ অ্যাডিকট। মেয়ের চরিত্রে সমস্যা আছে। আন্টি নিজেই বা কতখানি পারফেক্ট? যেই মুহূর্তে সে অন্যের কানে বিশ ঢালতে শুরু করেছে, সেই মুহূর্তেইতো সে ভালোর খাতা থেকে নিজের নাম কাটিয়ে ফেলেছে। আমার চোখে পয়সার বিনিময়ে নিজের শরীর বিক্রি করা পতিতা নারীর চেয়েও এইসমস্ত অশান্তি সৃষ্টিকারী মহিলারা অনেক বেশি খারাপ। তাহলে এদের কথা শুনে শুধু শুধু ঘরে অশান্তি আনার কোন মানে আছে?
আপনি অন্যের ভালোর সাথে নিজের ছেলের তুলনা না করে দেখুন সেই একই ছেলের অনেক ত্রুটি আছে যা আপনার ছেলের মাঝে নেই। আপনার মেয়েও হয়তো এমন কিছুতে এক্সপার্ট যা অন্যের "ভাল ছাত্রী" মেয়েরা কেবল স্বপ্নেই দেখে। সেগুলো নিয়ে গর্ব বোধ করার চেষ্টা করুন।
এখন কোন ভাবি যদি আপনাকে বলেন, "আমার ভাইয়ের ছেলেতো গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে, আপনার ছেলে পেল না কেন?"
তখন আপনি শুনিয়ে দিন, "সেটা নাহয় বুঝলাম ভাবি, কিন্তু আমার ভাইয়ের বউ যেখানে একজন ডাক্তার, আপনি কেন গুডফর নাথিং হলেন?"
এইধরনের মহিলাদের মুখের উপর জুতা পেটা না করা পর্যন্ত এরা ঠিক হবে না।
এবং এর পরে নিজের ছেলের কাছে যান। তাঁকে বুঝিয়ে বলুন কেন লেখাপড়ায় ভাল করাটা জরুরী। কেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াটা জরুরী। কেন পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করাটা জরুরী। যদি নাও করে, তাহলেও আপসেট হওয়ার কিছু নেই। আমি নিজে বুয়েট বা ডিএমসি থেকে পাশ করে বেরুইনি। এবং সেজন্য আমি বানের জলেও ভেসে যাইনি। আপনার ছেলেও যাবেনা নিশ্চিৎ থাকুন।
ভাল চাকরি, ভাল বেতন কেবল পরীক্ষার রেজাল্টের উপর নির্ভর করেনা। ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হয়ে সাধারণ চাকরি করে মধ্যবিত্তের জীবন কাটিয়ে দেয়া ছেলের যেমন উদাহরণের অভাব নেই, তেমনি ফেলুয়া ছাত্রেরও কোটিপতি হবার উদাহরণ ভুরি ভুরি। আপনি শুধু এইটা নিশ্চিত করুন, আপনার ছেলে মেয়ে যেন শিক্ষিত হয়ে "মানুষ" হতে পারে, "অমানুষ" নয়। দিনের শেষে সেটাই সবচেয়ে জরুরী বিষয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৪:০১

নতুন বলেছেন: শুধু এইটা নিশ্চিত করুন, আপনার ছেলে মেয়ে যেন শিক্ষিত হয়ে "মানুষ" হতে পারে, "অমানুষ" নয়। দিনের শেষে সেটাই সবচেয়ে জরুরী বিষয়

এটাই বোঝেনা বেশির ভাগ মানুষ..

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: একজন একজন করে বুঝতে শুরু করলেই চলবে।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

বিজয় কুমার ঘোস বলেছেন: আপনি শুধু এইটা নিশ্চিত করুন, আপনার ছেলে মেয়ে যেন শিক্ষিত হয়ে "মানুষ" হতে পারে, "অমানুষ" নয়। দিনের শেষে সেটাই সবচেয়ে জরুরী বিষয়। মহাসত্য বলেছেন

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

বিজয় কুমার ঘোস বলেছেন: আপনি শুধু এইটা নিশ্চিত করুন, আপনার ছেলে মেয়ে যেন শিক্ষিত হয়ে "মানুষ" হতে পারে, "অমানুষ" নয়। দিনের শেষে সেটাই সবচেয়ে জরুরী বিষয়। মহাসত্য বলেছেন

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:২৩

যোগী বলেছেন: সব ঠিক আছে, কিন্তু শিরোনামটা অনেক শ্রুতিকটু।

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই শিরোনাম না হলে আপনিই হয়তো পড়তে আসতেন না।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: "ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া" ছেলেদের নিয়ে শুধু বাংলা সিনেমাই বানানো হয়। জীবনের আসল হিরো ঐসব ব্যাকবেঞ্চের ছাত্ররাই যারা নিজেদের শ্রম ও মেধার জোরে ইতিহাস পাল্টে দেয়....

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

৬| ১০ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

কানাই স্যার বলেছেন: যোগী। গুরু। আপনার লেখা কই পাবো? ছটফটানীতে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.